সিরিয়ার প্রশ্নে কে সঠিক?
লিখেছেন লিখেছেন রিদওয়ান কবির সবুজ ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১১:৪৫:০৪ রাত
মধ্যপ্রাচ্যে সিরিয়া সংকট নতুন মোড় নিয়েছে সৌদি নেতৃত্বে নতুন সামরিক জোট গঠন ও সম্প্রতি এই জোটভুক্ত কয়েকটি দেশ নিয়ে আয়োজিত সামরিক মহড়ার জন্য। গত ৪-৫ বছর ধরে চলতে থাকা সিরিয়ার আভ্যন্তরিন সংঘাত এভাবেই ছড়িয়ে পড়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। মধ্যপ্রাচ্যে স্বৈরাচারি সরকার গুলিকে উৎখাত করা আরব বসন্ত সবচেয়ে বেশি ব্যার্থ হয়েছে সিরিয়াতে। যদিও মিসর সহ অন্যান্য দেশেও এই বিপ্লব এখন তার লক্ষচুত্য হয়েছে। কিন্তু সিরিয়াতে এটি কোন প্রভাব ই রাখতে পারেনি। এর প্রধান কারন সিরিয়ার শিয়া-সুন্নি বিরোধ। সিরিয়ার শাসক বাশার আল আসাদ শিয়া ইরান এর সম্পুর্ন সমর্থন পেলেও আসলে তিনি এবং সিরিয়ার প্রভাবশালি গোষ্ঠিটি হল আহলে বায়েত নামক একটি সম্প্রদায়। তাদের সাথে ইরানি শিয়াদের যথেষ্ট পার্থক্য আছে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের প্রভাব বিস্তার এর স্বার্থে ইরান অন্য দেশগুলিতে আরব বসন্তকে সমর্থন করলেও সিরিয়াতে বাশার আল আসাদ কেই সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। দির্ঘদিন ধরে চলতে থাকা এই সংকট ঘনিভুত হয়েছে বাশার আল আসাদ এর সমর্থনে রাশিয়ার সরাসরি হস্তক্ষেপ এর জন্য। সিরিয়ায় রুশ হস্তক্ষেপ এতদিন ধরে সিরিয়া বিষয়ে নরমপন্থি থাকা তুরুস্ককে নিজের নিরাপত্তা বিষয়ে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। যার ফলাফল সিরিয়াতে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিতে এখন উদ্যোগি হয়ে উঠেছে তুরস্ক। এই নতুন জোট এর বিশটি দেশ এখন সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রি মুহাম্মদ বিন সালমান এর নেতৃত্বে সিরিয়া সিমান্তে মহড়া দিচ্ছে। পরবর্তিতে সিরিয়াতে সরাসরি সামরিক অভিযান এর পূর্বপ্রস্ততি হিসেবেই এই মহড়া দেওয়া হচ্ছে।
এই সামরিক জোট এবং সিরিয়াতে এর হস্তক্ষেপ নিয়ে বিভিন্ন মুসলিম দেশে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ ও তার ব্যাতিক্রম নয়। অনেকেই এই জোট এবং সিরিয়ায় সামরিক অভিযান এর উদ্যোগ কে সমর্থন করছেন। অনেকে আবার এই জোট কে মার্কিন-ইহুদি গোষ্ঠির দালাল বলে অভিহিত করছেন। আসলে উভয়ই ভুলের মধ্যে আছেন। পূর্ন মার্কিন সমর্থন থাকলেও এই জোট এর মূল উদ্যোক্তা তুরুস্ক ও সৌদি আরব উভয়ই নিজেদের ভুখন্ডগত নিরাপত্তার স্বার্থেই এই সামরিক জোট এর উদ্যোগ নিয়েছে। সিরিয়াতে প্রথম থেকেই বাশার বিরোধি আইএস গোষ্ঠি তুরুস্ক ও সৌদির ও বিরোধি ছিল। এমনকি প্রথম দিকে তুরুস্ক বাশার আল আসাদ কে নিরব সমর্থন ও দিয়েছিল। কিন্তু ২০১৪ সালে রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখল তুরুস্কর নিতি বদলে দেয়। ক্রিমিয়া দখল এর মাধ্যমে রাশিয়া ভুমধ্য সাগরিয় এলাকায় প্রবেশ করার প্রচেষ্টা নিচ্ছে। যা নিশ্চিত ভাবেই রাশিয়া ও তুরুস্কের মধ্যে সংঘাত এর সৃষ্টি করবে। এই দিকে ইরান নিজেদের প্রভাব বিস্তার এর লক্ষে রাশিয়ার সাথে সহযোগিতার উদ্যোগ নিয়েছে। তুরুস্ককে চাপে রাখার উদ্দেশ্যই রাশিয়া সিরিয়ার সংকটে সরাসরি সামরিকভাবে জড়িত হওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। একসময় পশ্চিমাদের নিকট মানুষ বাশার আল আসাদ এর এভাবে রাশিয়ার প্রতি ঝুঁকে পড়া পশ্চিমা শক্তিকেও উদ্বেগ এর সম্মুখিন করেছে। রাশিয়ার এই সরাসরি হস্তক্ষেপ এর কারনে আত্মরক্ষায় তুরুস্ককে পশ্চিমা সহায়তায় সিরিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য করছে। সৌদি আরব এর অবস্থা ও মোটামুটি তাই। ইরান রুশ সহায়তায় সিরিয়ায় শিয়া প্রভাব বিস্তার এর যে চেষ্টা করছে সেটা অবশ্যই সৌদি আরবের জন্য উদ্বেগ এর কারন। অন্যদিকে কিছুদিন আগে তেহরানে সৌদি দূতাবাসে হামলা নিয়ে ইরানের আচরন আন্তর্জাতিক আইন ও কূটনিতির লংঘন। ইয়ামেন এর হুতি শিয়া গোষ্ঠিও ইরানের সমর্থন পাচ্ছে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে। যদিও ইয়ামেন এর সংখ্যাগরিষ্ঠ জায়দি শিয়া রাও হুতি বিরোধি। এই অবস্থায় সিরিয়ায় নিজেদের প্রভাব বিস্তার করা ছাড়া সৌদি আরবের বিশেষ কোন পথ নাই।
আমরা মুসলিম বিশ্বে মিল্লাত বা উম্মাহ সৃষ্টি করতে পারিনি। এখনও আঞ্চলিক জাতিয়তাবাদ এ আক্রান্ত আমরা। সেখানে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়া অস্বাভাবিক বা অভাবনিয় কিছু নয়। ফিলিস্তিন বিষয়ে ইরানের সকল সুউদ্যোগ কে সমর্থন করেও এই সত্য অস্বিকার করা যাবেনা যে আর্য বংশদ্ভুত ইরানি জাতি সেমেটিক আরব জাতির প্রতি বিদ্বেষ রাখে। সিরিয়ার পরিস্থিতির জন্য একক ভাবে সৌদিদের দায়ি করা অত্যন্ত বড় ভুল। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদেও উচিত শান্তির জন্য দোয়া ও চেষ্টা করা। এককভাবে সৌদি-তুরুস্ক জোট এর উপর দোষ চাপিয়ে যদি আমরা মনে করি যে তারা ইসরাইলি এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে সেটা একটি বড় ভুল চিন্তা।
বিষয়: বিবিধ
৪৩৪৪ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তাই এই সামরিক জোট ও যুদ্ধকে নিজেদের অস্তিত্বের লড়াই বলা যেতে পারে। ধন্যবাদ
আপনার এই বিশ্লেষণের সাথে নিচের স্ট্যটাসটাও পড়ে দেখতে পারেন। আমি নিয়েছি ফেইসবুকের একজন এক্টিভিস্টের টাইমলাইন থেকে।
===============
সাউদী আরবের মালিক(রাজা) সালমান-ইবনে-আবদুল আজীজের নেতৃত্বে সাউদী আরবের সাথে তুর্কী, পাকিস্তান, মিছর ইত্যাদি শক্তিশালী মুসলিম রাষ্ট্রগুলো মিলে সিরিয়ার শোষক বাশার আল-আসাদ তথা রাশিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক জোট গঠন করেছে। এই নিয়ে রাশিয়া ও মুসলিম ২ পক্ষের মাঝেই আলোচনা-সমালোচনা ও তর্কযুদ্ধ শুরু হয়েছে। কিছু অতি উৎসাহী মুসলিম রাশিয়াকে দুর্বল মনেকরে অদ্ভুত প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। আবার তেমনি মুসলিম নামধারী কিছু ব্যক্তি ইরাকের মালাউন সরকার কর্তৃক সাউদী আরবকে হুমকি দেওয়ার ব্যাপারটি ঢোল পিটিয়ে উল্লাস প্রকাশ করে প্রচার করছে। আবার কিছু ভাই সাউদী আরবকে মার্কিন দালাল ঠাউরে অদ্ভুত কথা প্রচার করছে। তাই একান্ত বাধ্য হয়েই এই নিয়ে লিখতে বাধ্য হচ্ছিঃ
এখানে কতোগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা করা দরকার, সেগুলো হচ্ছেঃ
১/ সাউদী আরব আমেরিকার দালাল তাই এই জোটও আমেরিকার জোট, কথাটা কতদূর সত্যি?
২/ সাউদী আরবের এই জোট আমেরিকার অস্ত্র বাণিজ্যকেই লাভবান করবে- এই উক্তিও কতখানী যথার্থ??
৩/ সাউদী আরব, তুর্কী, পাকিস্তান ও মিসর এই প্রধান ও শক্তিশালী ৪টি মুসলিম রাষ্ট্র কেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে চটে আছে??
আমি প্রথমেই সাউদী আরব আমেরিকার দালাল এইমর্মে আলোচনা কোরব। এই কথাটি সত্যি না, কারণ এটি ছিলো অতীত; ফাহাদের আমলে একথা ছিলো ১০০% সত্যি। আবদুল্লাহ্'র আমলে ছিলো আংশিক সত্যি, আর সালমানের আমলে একথার কোন ভিত্তি নেই। তুর্কীর সাথে সাউদী আরবের তুলনা দেওয়া যায়, যদি বলাহয় তুর্কীতে বোরখা নিষিদ্ধ, তুর্কী সামরিক বাহিনীতে নামায নিষিদ্ধ তাহলে যারা জানেন তারা সবাই বলবেনঃ হ্যাঁ এগুলো রাজ্ব তাইয়্যিব এরদোগানের আগে ছিলো, কিন্তু এগুলো সবই এখন অতীত। তেমনি কেউ যদি এখন সাউদী আরবকে আমেরিকার দালাল বলে তাও ভুল হবে। যারা এই নিয়ে সমালোচনা করে সেইসব নির্বোধদের এতটুকু ধারণাও নেই যে- বিশ্বে মুসলিমদের কোন নিজস্ব ব্লক নেই। বিশ্ব নামক এই গ্রহটা শক্তিশালী কিছু রাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের মাঝে বিভক্ত-এরাই বিশ্ব শাসন করে। এই শক্তি বলয়কেই ব্লক বলা হয়, বিশ্বে মোট ৩টি #ব্লক আছে(এখানে ইউরেশিয়া ও আফরিকার মূল মূল রাষ্ট্রই দেখানো হয়েছে), এসব ক'টি ব্লকই বিধর্মীদের। কারণ বিশ্বে মোড়লগিরি করার মতো ইচ্ছে মুসলিমরা ১০০ বছরের বেশি আগে থেকে ত্যাগ করেছে। তাই প্রধান-প্রধান/গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রগুলোর উচিত নিজেদের স্বার্থে কোন না কোন ব্লকে যোগদান করা-যে একাজটা করবে না সে নির্বোধ। যেমন গত শতকে উছমান্লী খালিফাহ্ জার্মানীর পক্ষে ১ম বিশ্বযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলো। তাহলে কি উছমানলী খিলাফাহ্কেও জার্মানীর দালাল বলবে নির্বোধেরা?? উছমানলীদের জার্মানীর পক্ষে ১ম বিশ্বযুদ্ধের কারণ ছিলো তৎকালীন বিশ্বের ৫টি ব্লকের(ব্রিটিশ, ফ্রেঞ্জ, রুশ, জার্মান ও মার্কিন) মাঝে জার্মানীই কেবলমাত্র মুসলিমদের জন্য ভালো ছিলো। তেমনি
বর্তমান কালেও ৩টি ব্লকের মাঝে মার্কিন ব্লকই মুসলিমদের জন্য তুলনামূলক ভালো। কারণঃ রুশ ব্লকের নিউক্লিয়াস রাশিয়া ইসলামের সাথে দুশমনি করছে আজ ৩,০০ বছর হলো। চায়নিজ ব্লকের নিউক্লিয়াস চীন ইদানিং ঝিংঝিয়াং প্রদেশে মুসলিমদের সাথে এমন আচরণ করছে যা- আমেরিকার মতো শয়তানও নিজ দেশের মুসলিমদের সাথে করছে না। যেমনঃ দাড়ি রাখা ও ইসলামী পোষাক পরা নিষিদ্ধ করণ, রোষা রাখলে কারাদন্ড এসব। তাছাড়াও সাউদী আরব বর্তমানে মার্কিন ব্লকভুক্ত কোন দেশ নয়। সাউদী আরব ২০১৪ সাল পর্যন্ত মার্কিন ব্লকের সদস্য ছিলো। এবং ইরানের মতো রাশিয়ার খাটি চামচাদের শত্রুতার হাত থেকে বাঁচার জন্য সাউদী আরবের দরকারও ছিলো আমেরিকার সাহায্যের-তাদের থেকে উন্নত অস্ত্র-শস্ত্র কেনার। কিন্তু সাউদী আরবের বর্তমান রাজা সালমান সাউদী আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রী হওয়ার পরেই সাউদী আরব ২০১৪ সালে মার্কিন ব্লক থেকে বেড়িয়ে চায়নিজ ব্লকে যোগ দেয়। ১৬-২৭শে এপ্রিল ২০১৪ সালে "রাজা আবদুল্লাহ্'র তরবারী" নামক এক সামরিক মহড়ায় সালমানের উদ্যোগে ১ম বারের মতো চীন থেকে কেনা পারমানবিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রকাশ্যে প্রদর্শন করা হয়(যথা সময়েই এর ভিডিও আপলোড করা হবে ইনশা আল্লাহ্)। এর মাধ্যমেই সাউদী আরবের চায়নিজ ব্লকে প্রবেশের বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে পরে। কিন্তু ২০১৫ সালে সালমান সাউদী আরবের মালিক তথা পবিত্র ও নিষিদ্ধ শহরদ্বয়ের সেবকে পরিণত হলে পুরো ব্যাপারটিই ঘুড়ে দাঁড়ায়। কারণ সালমান ভিন্ন ধাতুতে গড়া, তিনি সাউদী আরবের মতো ১টি দুর্বল সামরিক রাষ্ট্রে পারমানবিক ক্ষেপণাস্ত্র সংযোজন করে শী'আ বিশ্ব ও তাদের গুরু ঠাকুর রাশিয়াকে তাঁক লাগিয়ে দেন। #সালমানের রাজত্বকালের শুরু থেকেই তুর্কী, পাকিস্তান ও মিছরের মতো মুসলিম বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ স্থাপিত হয়, তখন থেকেই এই আলোচনা আল-জাজিরায় উঠে আসে যে সালমান কি তবে- এই ৪ রাষ্ট্র মিলে কোন নতুন ব্লক খুলতে চান?? আল-জাজিরার সেই টক-শো'র উত্তর আমি এখন পেলাম- নতুন জোট গঠনের মাধ্যমে। চলুন দেখে আসি কি আছে এই ৪ রাষ্ট্রের মাঝে? যে তারা ব্লক হওয়ার পথে? (চলবে)
প্রকৃত পক্ষে সৌদি আরব এখনও মার্কিন ব্লকেই রয়েছে। কিন্তু বর্তমান সিরিয়া পরিস্থিতিতে তার জন্য আর কোন বিকল্প নাই। গভিরভাবে বিশ্লেষন করতে গেলে কিন্তু এটা এটা দেখা যাবে যে এটা ইসলামি উম্মাহ এর জন্য ক্ষতিকর অনেক কিছু সৃষ্টি করছে।
সবুজ ভাই সম্প্রদায়টির নাম হলো আলাউই। অন্যদিকে "আহলে বায়েত" কথাটির অর্থ হলো "ঘরের লোকেরা"। এটা দিয়ে মুহাম্মদ(সা.) এর পরিবারকে বোঝানো হয়।
আপনার লেখাটি বেশ ভালো। তবে লেখাতে কুর্দি ও ভুয়া খিলাফত আইসিস এর কথা তেমন আসেনি। সমীকরণে ওরাও আছে, আর তাই পরিস্থিতি সত্যই বড় জটিল।
আলাউই ও আহলে বায়েত একই উৎস থেকে আসা শব্দ। মুলত এই গোষ্ঠি নিজেদের দাবি করে আলি রাঃ এর উত্তরসুরি তাই আলাউই।
স্বার্থান্বেষী মুসলিম নেতারা অমুসলিমদের খপ্পর থেকে নিষ্কৃতি লাভ করুক তাঁদের বোধোদয় হোক মুসলিম উম্মার কল্যাণে এটাই কাম্য।
সুন্দর মন্তব্যটির জন্য ধন্যবাদ। শুধু নেতাদের বোধোদয় এর চিন্তা না করে নিজেদের ও উদ্যোগি হতে হবে।
সুন্দর পোষ্টটির জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আল্লাহ্ আপনার লিখনির শক্তি আরো বাড়িয়ে দিক। সুস্থ শরীর দেহ মনের আপনাকে হায়াত দীর্ঘতর করুক।
মন্তব্য করতে লগইন করুন