বিজয় এর মাসে দেখুন শর্টফিল্ম "নিশান"
লিখেছেন লিখেছেন রিদওয়ান কবির সবুজ ০১ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৬:১৮:১২ সন্ধ্যা
বিজয়ের মাস ডিসেম্বর! এই মাসে আমরা লাভ করেছি একটি স্বাধিন ভূখন্ড বাংলাদেশ। এই স্বাধিন দেশ এর প্রতিক চিহ্ন আমাদের প্রিয় লাল-সবুজ পতাকা। কিন্তু সত্যই কি আমরা এই স্বাধিনতার প্রতিক কে ধারন করতে পেরেছি আমাদের হৃদয়ে?
বিজয়ের এই মাসে দেখুন এই লাল-সবুজ পতাকা নিয়ে তৈরি শর্টফিল্ম "নিশান"।
পরিচালনায় খ্যাতনামা শর্টফিল্ম নির্মাতা হাসান আল বান্না। প্রযোজনায় "অহনিশ ফিল্মস"। অভিনয়ে- ইসমাইল, পারমিতা, মঈন, হাসান এবং আমাদের অতিপ্রিয় ব্লগার চাটিগাঁ থেকে বাহার!
দেখুন অহনিশ ফিল্মস এর ইউটিউব চ্যানেল এ
বিষয়: বিবিধ
১৬৬১ বার পঠিত, ৩৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মুসলমানদের মিডিয়াবিমূখীতার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। ভারতীয় উপমহাদেশে আমাদের জাতির আলোর মশালধারী তথা আলেম সমাজের একটি বড় অংশই সেই বিংশ শতাব্দির শুরু থেকেই মিডিয়ার প্রতি নেতিবাচক চিন্তা চেতনার প্রভাব পড়েছে বর্তমান এই করুণ ধন্যতার উপর। অবশ্য আলেম সমাজের এই পশ্চাৎমূখীতার বেশ কিছু যৌক্তিক ও বাস্তবধর্মী কারণও ছিল। আলেম ওলামারা গল্প, নাটক, উপন্যাস ইত্যাদি শিল্প-সাহিত্যের এই শাখাগুলোতে সংগত কারণেই বিচরণ করেননি। তা তাদের পক্ষে শোভনীয়ও ছিল না। এর ফলে এসব সাহিত্যের যখন স্থির চিত্রায়ণের বৈপ্লবিক সূচনা হলো তখন খালি পোস্টে গোলা দেয়ার জন্য এগিয়ে আসলো তথাকথিত প্রগতিশীল নামের দুর্গিতিশীলরা। এই দুর্গতিশীলদের খপ্পরে পড়ে যাত্রাতেই হুচোট খেয়ে পদশ্চুৎ হয়ে শয়তানের কর্মসূচী বাস্তবায়নের হাতিয়ারে পরিনত হলো এই শিল্পটি। এর পতিক্রিয়া স্বরূপ আলেম ওলামাদের তরফ থেকে ফতোয়া আসতে লাগলো সিনেমা দেখা হারাম, নাটক দেখা হারাম, টেলিভিশন দেখা হারাম, ভিসিয়ার দেখা হারাম। এর একটি বাস্তব কারণও ছিল। ওখানে যা প্রচার করা হচ্ছে তা দিতে জাতির প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তর পর্যন্ত সুষ্ঠ দিক নির্দেশনামূলক কিছুই দিতে পারছে না। পারবেই বা কি করে? ওখানে আগে থেকেই ঢুকে পড়েছে তথাকথিত প্রগতিশীলরা। আর এরাই মানবতার চুড়ান্ত বিপর্যয়ের কারণ সৃষ্টি করছে মিডিয়ার বহুমূখী অপব্যবহারের মাধ্যমে। যার ফলে আলেম সমাজের পক্ষ থেকে এসবের বিরুদ্ধে ফতোয়া আসাটা ছিল একটি অত্যন্ত স্বাভাবিক পতিক্রিয়া। একারণে এই জগৎটাতে ঈমানদার মেধাবী লোকদের পদচারণা নিজের জন্য পরিবেশবান্ধব ছিল না। এখন পরিবর্তিত বিশ্ব ও আঞ্চলিক পরিস্থিতির আলোকে আলেম ওলামাদের মিডিয়ার গুরুত্ব বুঝতে শুরু করেছে। কিন্তু হালের পানি গড়িয়ে এখন সমুদ্রের নিকটে চলে গেছে। যার পরিনতিতে জাতিকে সজাগ করার যাবতীয় মিডিয়া এখন সন্ত্রাসী এবং পাক্কা অভিনয় কুশলীদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। তাই এখন মুতকে মধু এবং মদকে দুধ বলে খাওয়ায়ে গোটা জাতিকে ঘুমের ঘোরে রাখার কৌশল সার্থকভাবে প্রয়োগ করছে। এখন দেখার বিষয় তাদের এই অপকৌশল কতদিন টিকে থাকে।
হাসানুল বান্নার মতো মেধাবী হাজারো চলচিত্রকার সৃষ্টি হওয়া সময়ের অনিবার্য দাবী।
আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ।
নির্মাতা হাসান আল বান্না,"অহনিশ ফিল্মস", অভিনেতা ইসমাইল, মঈন, হাসান এবং আমাদের অতিপ্রিয় ব্লগার চাটিগাঁ থেকে বাহার!
অভিনেত্রি পারমিতা সহ সবাইকে মোবারক বাদ।
সবার অভিনয় ঝর ঝরে প্রানবন্ত হয়েছে।
এগিয়ে যাক প্রযোজনা প্রতিষ্টান "অহনিশ ফিল্মস"। অনেক ধন্যবাদ
সুন্দর মন্তব্যটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। অনেক দুর্বলতা সত্বেয় এটি খুবই ভাল হয়েছে।
ধন্যবাদ
আমাদের বর্তমান সামাজিক অবস্থায় এই স্কার্ফ থাকাটি নিয়ে যদি বেশি চিন্তা করি তবে অপসংস্কৃতির যে ধারা আমাদের উপর আছে সেটাই সুযোগ পাবে। উপরে আহমদ মুসা ভাই এর মন্তব্য ও আমার উত্তর টি বিবেচনায় নিন। ইরানি সিনেমার পর্যায়ে পৌছতে আমাদের এখনও অনেক সময় লাগবে। সেই সময় পর্যন্ত যদি কিছুটা ছাড় দেওয়া না হয় তবে এই শিল্প গড়ে উঠবে না।
বাসায় বাবার সামনে মেয়েরা এত সিরিয়াস থাকেনা বলেই হয়তো ।
ধন্যবাদ আপনাকে ।
বান্না ভাই ঢাকা থেকে আমার অফিসে এসে বললেন কাল সকালে অভিনয় করতে হবে । সকালে অভিনয় করতে গিয়েই প্রথম স্ক্রীপ্ট দেখেছি । একেত প্রথম বার তার উপর রিহার্সাল করার কোন সুযোগ ছিল না । আমার ব্যর্থতার জন্য আমিই দায়ী, ভাষাগত সমস্যাতো ছিলই । তবে সমাজের প্রতি মেসেজটা আমার খুবই পছন্দ হয়েছিল । বান্না ভাইকে বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ ।
সবুজ ভাইকে ও মন্তব্যকারী সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি ।
অভিনন্দন এই সুন্দর চলচ্চিত্রটি উপহার দেওয়ার জন্য।
এজন্য সবুজ ভাইকে ডবল ধন্যবাদ ।
http://epurbodesh.com/index.php?date=01-12-2015&page=6
সরাসরি ইউটিউবে দেখলাম।
ব্যতিক্রমী এক প্রশংনীয় উদ্যোগ। সবার অভিনয়ই সুন্দর। বক্তব্যধর্মী গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে চাটিগাঁ থেকে বাহার ভাইয়ার সাবলীল অভিনয় দারুণ হয়েছে!
তবে মেয়েটিকে হিজাব পরিহিত অবস্থায় উপস্থাপন করলে আরও চমৎকার ও উপভোগ্য হত। গতানুগতিক মিডিয়ার বিপরীতে।
আসলে আমাদের সমাজে এখনও কিছু গ্রহনযোগ্যতার সমস্যা আছে। উপরে আহমদ মুসা ও আবু জান্নাত ভাই এর মন্তব্য ও আমার জবাব গুলি দেখুন। আসলে বিষয়টাতে অন্য পক্ষিয় গ্রহনযোগ্যতা সৃষ্টির একটা ব্যাপার ও আছে। তাই সাময়িক ছাড়!!
তারা যদি ভাল রুচিশীল কিছু পায় তাহলে অবশ্যই ফিরে আসবে।
অহনিশ ফিল্ম'র মত আরো শত শত ফিল্ম মেকার দরকার যারা প্রজন্মের চাহিদা মেটাবে।
এখনো দেখা হয় নি আমার,বিজয় দিবসে মুক্তি দেয়ার কথাই তো শুনলাম! সে দিনই দেখবো বলে বসে আছি!
'নিশান' নির্মানে আপনার ভূমিকাও তো কম নয়!
সকল কল্যাণকর প্রচেষ্টা মহান রব কবুল করে যথার্থ প্রতিদান দান করুন,আমিন!
জি ভাই আমার ডান্ডা দেওয়ার ভুমিকা ছিল এর পিছনে!!!
সিনেমা নাটক এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের প্রতি যুগ যুগ ধরে মানুষের আগ্রহ থাকা সত্বেও আমাদের অতীতের মনিষিদের নেতিবাচক মনোভাব এবং সমাজ চিন্তকরা সুদুরপ্রসারী কি ভয়াবহ প্রভাব বিস্তার করবে সে ব্যাপারে জোরালো চিন্তাভাবনা না করার কারণে এই জগৎটাতে আমাদের ঝুড়িতে অর্জন শুণ্য থাকার কারণে বাইরের অপসংস্কৃতিটা এসেই আমাদের শুন্য ঝুড়িটার খালি স্থান দখলে নিয়েছে। এর ফলে সিনেমা বলেন, টিভি নাটক বলেন, বিজ্ঞাপন শিল্প বলেন সবখানেই আমাদের নিজস্ব সকীয়তা, ধর্মীয় মূল্যবোধ, দেশীয় কৃষ্টি-কালচারের যথাযথভাবে উপস্থাপিত তো হয়'ই না বরং এই সেক্টরটি এখন সবচেয়ে বড় এবং মারাত্মক শত্রু হয়ে আজ আমাদের চেতনাবোধকে ধ্বংশ করে দিচ্ছে! অথচ এখনো পর্যন্ত আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ আছে যারা এসবের অর্ন্তনিহিত রহস্য অনুধান না করে সস্থা ধর্মীয় ভাবাবেগ তাড়িত হয়ে এসবের বিরোধীতা করে থাকি।
আশার বিষয় হচ্ছে বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির অভাবনীয় উৎকর্ষ সাধন এবং গ্লোবালাইজেশনের এই যুগে নবীন প্রজম্মের একটি অংশ এই বিপদ বুঝতে পেরে তারা নিজেরাই স্ব-উদ্যেগে কিছু কিছু কাজ করে যাচ্ছে কারো পেট্রোনাইস পাওয়া ছাড়াই। এক্ষেত্রে মেধাবী প্রতিভাবান ও প্রতিশ্রুতিশীল সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জনাব হাসানুল বান্না ভাই যে আলোর মশাল নিয়ে মাঠে নেমেছেন তাতে হয়তো অনেকের অন্ধ চোখ খুলে যেতে পারে। আমরাও আশা করবো শুধু একজন হাসানুল বান্না হলেই চলবে না বরং হাজার হাজার হাসানুল বান্না দরকার বিশ্ব দরবারে আমাদের কৃষ্টি-কালচারকে শ্রেষ্ঠ হিসেবে তুলে ধরার জন্য।
নিশান সর্টফিল্মটিতে যারা অভিনয় করেছেন, যারা সময় দিয়েছেন, শ্রম দিয়েছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিশেষ করে "নিশান" সর্টফিল্মটির মুল চরিত্রে মুখ্য ভূমিকায় যিনি অভিনয় করেছেন সেই "চাটিঁগা থেকে বাহার" ভাই কেও অন্তরিক ধন্যবাদ এবং অভিন্দন জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে যেন এ জাতীয় নতুন নতুন সর্ট ফিল্ম তৈরী করে মানুষের জীবন জিজ্ঞাসার জবাবকে আরো প্রাণবন্ত করে উপহার দেয়া যায় সেই কামনা করছি।
আমি কিন্তু এইধরণের শর্ট ফ্লিম দেখার ভক্ত অনেকদিন ধরে । ইউটিউব থেকে সার্চ দিয়ে শুধু শর্ট ফ্লিমগুলো ডাউনলোড করি। প্রতিদিন অন্তত পক্ষে একটাও হলে ডাউনলোড করি। আমার বেশীরভাগ MB খরচ হয়ে যায় এই শর্টফ্লিমগুলো ডাউনোড করতে করতে। এই পর্যন্ত আমার মোবাইলে ৮ জিবি মেমোরির অর্ধেকের ও বেশী জায়গা দখল করে আছে এই শর্টফ্লিমগুলো। ইউটিউবে অর্থবহ ভালো শর্ট ফ্লিমগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ কিন্তু ডাউনলোড এবং দেখা হয়ে গেছে। নিউ শর্ট ফ্লিম দেখার মত আর খুজে পাচ্ছিনা।.... আজ বিজয়ের মাঝে প্রথম আপনাদেরটা পেলাম। ভিডিও কোয়ালিটি, স্পষ্ট কথাবার্তা, মূল থিম সবমিলিয়ে দারুণ.....
শিক্ষণীয়, অনুপ্রেরণামুলক ..., ইসলামিক, পথশিশু ... পারিবারিক..., সামাজিক সচেতনতা ইত্যাদি অর্থবহ বিষয়ের শর্টফ্লিমগুলো আমাকে প্রভাবিত করে. ..অনেক শর্টফ্লিম দেখেছি যেগুলোর আমার হ্নদয়কে নাড়া দিয়েছে... ২/১ মিনিটের অনেক ফ্লিম দেখার সময় চোখ বেয়ে পানি গড়িয়েছে... চলার পথে এইসব বিষয় চোখের সামনে ভেসে ওঠে...সব মিলিয়ে অনেক কিছু শেখার আছে এইসব বিষয়ের শর্টফ্লিমগুলোতে...তবে ইউটিউবে বাংলা শর্টফ্লিম খুব কমই দেখা যায়...ইংরেজিতে অনেকগুলো আছে... বেশিরভাগ এওয়ার্ড উইনার..সবগুলোতে শিক্ষণীয় থিম রয়েছে। দেখতেও ভালো লাগে। তাদেরগুলো দেখে বাংলাদশী শর্টফ্লিম মেকাররা ঐ বিষয়গুলো নিয়ে বাংলাভাষায় করলে মন্দ হত না। ..শেষ কথা হচ্ছে আমাদের দেশের তরুণ সমাজরা ঢালিওড, বলিউড, হলিউডের নোংরা বাজে ফুল ফ্লিমগুলো দেখে সময় নষ্ট না করে এইসব বিষয়ের শর্টফ্লিম গুলো দেখা অনেক উত্তম।এতে শেখার আছে অনেক কিছু.. .... । আর আপনারা সামনে আরো অর্থবহ শর্টফ্লিম উপহার দিবেন আমাদের এই আশা কামনা করি.....
মন্তব্য করতে লগইন করুন