এক সংগ্রামি নেতা। আলিজা ইযতবিগোভিচ
লিখেছেন লিখেছেন রিদওয়ান কবির সবুজ ১৮ অক্টোবর, ২০১৫, ১১:৩৬:৩৭ সকাল
সাইমুম সিরিজের দশম বই ”বলকানের কান্না” তে প্রথম পড়েছিলাম যে যুগোশ্লাভিয়া নামক দেশটিতে অনেক মুসলিম আছে এবং সেই দেশটির আছে সম্বৃদ্ধ ইসলামি ঐতিহ্য। বইটি প্রকাশনার অল্পদিন আগেই ভেঙ্গে গেছে অমিত শক্তিশালি সুপার পাওয়ার সোভিয়েট ইউনিয়ন। সেই সঙ্গে ইউরোপের অনেকগুলি সোভিয়েট প্রভাবাধিন রাষ্ট্র ও বিভক্ত হয়ে যায়। মার্শাল জোসেফ ব্রজ টিটোর লেীহকঠিন শাসন ব্যবস্থার অন্ধকার থেকে আলো তে আসল যুগোস্লাভিয়া তখনই। কম্যুনিষ্ট শাসন এর শোষন আর অত্যাচার এর প্রতিবাদে মাথা তুলল এর প্রদেশ গুলি। যার একটি বসনিয়া-হারজেগোভিনা। কিন্তু সাবেক যুগোস্লাভিয়ার অন্য প্রদেশগুলির স্বাধিনতা নিয়ে তথাকথিত মানবতাবাদি রাষ্ট্রগুলির বিশেষ মাথাব্যাথা না থাকলেও তাদের সমর্থনে বসনিয়ার স্বাধিনতা কে দমন করতে উঠে পরে লাগল সাবেক যুগোস্লাভিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালি রাষ্ট্র সার্বিয়া। কারন ছিল একটাই বসনিয়াতে মুসলিম জাতি সংখ্যাগরিষ্ঠ। সেসময় প্রতিদিন সংবাদ এর একটা বড় অংশ জুড়েই থাকত বসনিয়ার যুদ্ধ আসলে যার বড় অংশই ছিল মুসলিম দের উপর পরিচালিত গনহত্যার সংবাদ। আর তখনই পরিচিত হয়ে উঠলাম একটি নাম এর সাথে। আলিজা ইযত বিগোভিচ। স্বাধিন বসনিয়া-হারজেগোভিনার প্রেসিডেন্ট ও জনমানুষের নেতা। সেই সাথে আধুনিক যুগে ইসলাম বিষয়ে অন্যতম প্রধান গবেষক ও দার্শনিক।
আলিজা ইযতবিগোভিচ এর জন্ম ১৯২৫ সালের ৮ই আগষ্ট উত্তর বসনিয়ার একটি ছোট নগরি বসনিয়াক সামাচ এ। পিতা মুস্তাফা ও মা হিবা ইযতবিগোভিচ। তিনি ছিলেন বসনিয়াক মুসলিম। অর্থাত স্থানিয় বসনিয় অরিজিন এর মানুষ যারা তুর্কি শাসনামলে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছিল। তার দাদার নামও ছিল আলিজা। তিনি একসময় সেই শহরটির মেয়র ছিলেন এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় সেই নগরিতে থাকা অনেক সার্বিয়র প্রান বাঁচিয়েছিলেন। পিতা মুস্তফা ছিলেন একাউন্টেন্ট। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধে আহত হওয়ার কারনে কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। ১৯২৭ সালে তিনি তার পরিবার এর সাথে বসনিয়ার রাজধানি সারায়েভো তে চলে যান। সেখানে তিনি শিক্ষা লাভ করেন। বসনিয়া তখন সার্ব সাম্রাজ্য এর অধিনে একটি সায়ত্বশাসিত দেশ। স্কুল জিবনের শেষদিকে শুরু হয় হয় দ্বিতিয় বিশ্বযুদ্ধ। এই সময় তিনি যোগদেন ”ইয়ং মুসলিম” নামে একটি সংগঠনে। বসনিয়া এ সময় জার্মানির নিয়ন্ত্রনে চলে যায় এবং একটি সায়ত্বশাসিত অঞ্চল হিসেবে থাকে। সার্ব সাম্রাজ্যের বিরোধি হিসাবে ”ইয়ং মুসলিম” এবং আলিয়া ইযতবিগোভিচ জার্মান নাজি দের সমর্থন করতেন। ১৯৪৪ সালে সার্বিয় জাতিয়তাবাদি চেটনিকদের হাতে বন্দি হন তিনি। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তার দাদার অবদান এর স্বিকৃতি দিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এর কিছুদিন পরেই তিনি আবার কম্যুনিষ্ট পার্টিজান দের হাতে বন্দি হন।
দ্বিতিয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে সোভিয়েট সহায়তায় মার্শাল জোসেফ ব্রজ টিটোর নেতৃত্বে সাবেক যুগোস্লাভিয়ার প্রদেশগুলিতে কম্যুনিষ্ট শাসন কায়েম হয়। টিটো জোড় করে কম্যুনিজম প্রতিষ্ঠার নামে নাস্তিকতার প্রচলন করেন এবং মুসলিমদের উপর অত্যচার শুরু করেন। কম্যুনিষ্ট পার্টির বিরোধিতা করায় আলিজা ইযত বিগোভিচ কে তিন বছর কারাদন্ড দেওয়া হয়। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি সারায়েভো বিশ্ববিদ্যালয় হতে আইন বিষয়ে ডিগ্রি লাভ করেন এবং কর্ম জিবন শুরু করেন। কঠোর কম্যুনিষ্ট শাসন এর মধ্যেও তিনি ইসলাম সম্পর্কে পড়াশুনা করতেন এবং ইসলামে জিবনে প্রতিষ্টিত করার চেষ্টা করতেন। বসনিয় হিসেবে তিনি সার্বিয় প্রধান তথাকথিত যুগোস্লাভিয়ার সরকার এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতিবাদে অংশ নিতেন। ১৯৭০ সালে তিনি লিখেন তার অন্যতম বিখ্যাত বই ”ইসলামিক ডিক্লারেশন”। বইটি প্রকাশিত হলে ইয়োরোপ এবং বিশ্বে তিনি পরিচিত হয়ে উঠেন। বইটিতে তিনি ইসলামি ও আধুনিক রাষ্ট্র বিষয়ে বিষয়ে নতুন ধারনা উপস্থাপন করেন এবং এটি প্রমান করেন যে আধুনিক যুগে ইসলামি রাষ্ট্র কোন অসম্ভব বিষয় নয়। ১৯৮৩ সালে এই বইটি লিখার জন্য কম্যুনিষ্ট আদালত তাকে চোদ্দ বছর এর কারাদন্ড দেয়। পাঁচবছর কারাগারে কাটিয়ে ১৯৮৮ সালে কম্যুনিষ্ট পার্টির পতন এর পর মুক্তি পান।
মুক্তি পাওয়ার পর তিনি তার সমমনা দের নিয়ে গঠন করেন পার্টি অফ ডেমোক্রেটিক একশন। বসনিয় ভাষায় যার সংক্ষিপ্ত নাম এসডিএ। এসডিএ ছিল প্রধানত মুসলিমদের নিয়ে গঠিত দল। ১৯৯০ সালে সাবেক যুগোস্লাভিয়ার প্রদেশগুলিতে প্রথম বহুদলিয় নির্বাচনে এসডিএ ৪৪ শতাংশ সমর্থন লাভ করে। সেসময় এর নিয়ম অনুসারে বসনিয়াতে ছিল সাত সদস্য এর একটি প্রেসিডেন্সি। যার দুইজন বসনিয় মুসলিম হতেন। আলিজা প্রেসিডেন্সির সদস্য হন এবং ঐক্যমতের ভিত্তিতে বসনিয়ার প্রেসিডেন্ট হন। ১৯৯২ সালে পুর্নাঙ্গ স্বাধিনতার প্রশ্নে গনভোট এর আয়োজন করা হয় এবং বসনিয় মুসলিম এবং ক্রোট দের বিপুল ভোটে বসনিয়া স্বাধিন রাষ্ট্র হিসেবে আত্ম প্রকাশ করে।
কিন্তু ইউরোপের বুকে একটি স্বাধিন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট রাষ্ট্রের অস্তিত্ব মেনে নিতে প্রস্তত ছিলনা তথাকথিত সভ্য পাশ্চাত্য। বসনিয়া স্বাধিনতার ত্রিব্র বিরোধি ছিল বসনিয়ায় বসবাসকারি সার্বিয় বংশোদ্ভুত জনগোষ্ঠি। বসনিয়ার স্বাধিনতাকে মেনে না নিয়ে তারা সার্বিয়ার নিয়মিত সশস্ত্রবাহিনির সহায়তায় জোর করে ক্ষমতা দখল করার চেষ্টা করে। অন্যদিকে খৃষ্টান ক্রোট রাও মুসলিম বসনিয়াক দের সাথে বসবাস করতে বিশেষ উৎসাহি ছিলনা। তারাও এই সশস্ত্র যুদ্ধে যোগ দেয়। সামরিক শক্তি বিহিন বসনিয়া পড়ে যায় মহাবিপদে। তথাকথিত আন্তর্জাতিক গোষ্ঠি এই সময় মানবতা বা শান্তির নামে উলটা বসনিয়ার উপরই আরোপ করে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা। এই অবস্থায় সার্ব খৃষ্টান রা বসনিয়ার বিরাট অংশ দখল করে এবং চালায় একাধিক গনহত্যা ও ধর্ষন। সার্বিয়ান রা খোলাখুলি ভাবেই স্বিকার করত যে তাদের হামলার একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে এথনিক ক্লিনজিং তথা বসনিয়াক মুসলিমদের পৃথিবি থেকেই সরিয়ে দেওয়া। এই ভয়ংকর সময়ে দেশকে দক্ষতার সাথে নেতৃত্ব দিয়ে বসনিয়া ও সারা বিশ্বে বিখ্যাত হয়ে উঠেন আলিজা ইযতবিগোভিচ।
১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত এই যুদ্ধ চলার পর ১৯৯৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেটনে একটি শান্ত্রিচুক্তি হয়। এই চুক্তি অনুযায়ি বসনিয়ার সর্বোচ্চ প্রেসিডেন্ট পদে তিন জাতির তিনজন প্রতিনিধি রাখার নিয়ম করা হয়। নতুন নির্বাচনে ও তিনি জয়লাভ করে রাষ্ট্রপতি হন। ২০০০ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্বপালন করে সাস্থগত কারনে তিনি অবসর নেন। বসনিয়ার মুসলিম জনগোষ্ঠি যারা মুলত বসনিয়ার ভুমিপুত্র তাদের জন্য তার বিশেষ অবদান এর স্বিকৃতি হিসেবে তিনি বসনিয়ায় ”দিদো” তথা দাদা নামে পরিচিত । ১৯৪৯ সালে হালিদা রিপুভিচ এর সাথে বিয়ে হয় তার। তাদের এক পুত্র বাকির ইযতবিগোভিচ বর্তমানে বসনিয়া প্রেসিডেন্সির সদস্য। ২০০৩ সালের ১৯ এ অক্টোবর তিনি হৃদরোগে ইন্তেকাল করেন। বসনিয়ার রাজধানি সারায়েভো তে তাকে দাফন করা হয়।
পশ্চিমা রাষ্ট্র ও মিডিয়া গুলি তাকে তাদের অন্যতম শত্র বলেই বিবেচনা করত। কারন তিনি কেবল ইউরোপের বুকে একটি মুসলিম রাষ্ট্রের নেতাই ছিলেন না। ছিলেন একজন উচ্চস্তরের ইসলামি চিন্তাবিদ ও দার্শনিক। তার ”ইসলামিক ডিক্লারেশন” এবং ”ইসলাম বিটুইন ইষ্ট এন্ড ওয়েষ্ট” গ্রন্থদুটির জন্য তিনি বিশেষভাবে খ্যাত ছিলেন। ”ইসলাম বিটুইন ইষ্ট এন্ড ওয়েষ্ট” বইতে তিনি অত্যন্ত যুক্তির সাথে এটা প্রমান করেন যে ইসলাম পাশ্চাত্য দৃষ্টিতে প্রচলিত ধর্মের মত কোন ধর্ম নয় বরং একটি পুর্নাঙ্গ জিবন ব্যবস্থা। ইসলাম বর্তমান আধুনিক বিশ্বের উপযোগি নয় বলে যে মিথ্যা পাশ্চাত্য মিডিয়া প্রচার করে থাকে তার যুক্তি পূর্ন জবাব দিয়েছিলেন এই বইতে তিনি। একজন ইউরোপিয় মানুষের এই লিখা সেই সময় খুবই প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছিল। ”ইসলামিক ডিক্লারেশন” বইটিতে তিনি ইসলামি শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রচলিত ভুল ধারনাগুলির জবাব দিয়েছিলেন এবং এটা প্রমান করেছিলেন যে একটি ইসলামি রাষ্ট্র সর্বাংশে আধুনিক। তার এই যুক্তিপুর্ন মতামত এর জন্য অনেক পাশ্চাত্যপন্থির কাছে তিনি এখনও মেীলবাদি নেতা!
আগামি কাল ১৯ এ অক্টোবর তার ১২তম মৃত্যুবার্ষিকিতে আমরা তার রুহ এর মাগফিরাত কামনা করছি।
সারায়েভো তে অবস্থিতত তার কবর।
* "ইসলাম বিটুইন ইষ্ট এন্ড ওয়েষ্ট" বইতি "প্রাচ্য পাশ্চাত্য ও ইসলাম" নামে বাংলায় অনূদিত হয়েছে। অনুবাদ করেছেন ইফতেখার ইকবাল।
বিষয়: বিবিধ
৪৭৬৪ বার পঠিত, ১১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আরেকজন মহান ইসলামী সিপাহসালারের কথা আমাদের জানা উচিত - চেচনিয়ার স্বাধীনতার রূপকার শহীদ জোখার (জওহর) দুদায়েভ (দাউদ) ।
তিনি তথাকথিত অনেক আলেম থেকে ইসলাম কে বুঝেছিলেন গভির ভাবে এবং সম্পুর্ন বৈরি পরিবেশে।
রিদওয়ান ভাইয়া, সাম্প্রতিক সময়ের এই মুসলিম বীরেদের নিয়ে একটা সিরিজ করতে পারেন...!
http://www.pdf-archive.com/2014/03/12/allahar-soinik-subahesadiq-wordpress-com/allahar-soinik-subahesadiq-wordpress-com.pdf
রাশিয়ার ঘুম হারাম করে দেয়া শামিল বাসায়েভ , জেনারেল আসলাম মাসখাদভ , কিংবা মুজাহিদ খাত্তাব এদের সম্পর্কেও কিন্তু জানা দরকার
ঠিক তখন বসনিয়ার নির্যাতিত মহিলাদের কথা মনে পড়ে যায়। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যেভাবেই হোক তার প্রত্যাশা মত কাজটি করে দিব। লজ্জাজনক ঘটনা হলেও সেটি করে দিয়েছিলাম, তবে এই ঘটনার বিনিময়ে আমি আরেক দিন মৃত্যু থেকে বেঁচে এসেছিলাম...... হঠাৎ মনে পড়ে গেল ঘটনাটি।
সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ন পোষ্টের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
@নজরুল ইসলাম টিপু্:
কৌতূহল জাগিয়ে দিলেন!
আপনার "নরকে ভ্রমন" এর মধ্যে তো এমন কোন ঘটনা মনে পড়েনা!
মাশায়াল্লাহ, আল্লাহ আপনাকে যথেষ্ট স্মরণ শক্তি দিয়েছেন! নরক ভ্রমনের সেই ভয়ঙ্কর ঘটনায় এক পাহাড়ী আমাদের জীবন বাঁচিয়েছিল, সেই পাহাড়ির সাথে পরিচয় হয়েছিল, এই বসনিয়া-হার্জেগবিনার অনুপ্রেরণার মাধ্যমে। ঘটনাটা ছিল গহীন বনে কিন্তু সম্পর্কটা ইউরোপের এই মুসলিম দেশটির সাথে! আপনাকে আবারো ধন্যবাদ, আল্লাহ আপনাকে উত্তম জীবন ও সুস্বাস্থ্য দান করুন। আমিন।
ঘটনাটি বিশেষ ব্যাক্তিগত না হলে শেয়ার এর অনুরোধ থাকল।
সুন্দর মন্তব্যটির জন্য ধন্যবাদ আপনাকেও।
ছোট বেলায়ই সাইমুম পড়ে জেনেছি ওখানকার মুসলিমদের দূরাবস্থা এবং বড় হয়ে জেনেছি বসনিয়ার মুসলিমদের বীরত্বগাঁথা, এবং ত্যাগের নিদর্শন।
অসাধারণ একটি পোষ্ট মডারেটরদের অনুরোধ করব পোস্টটি ষ্টিকি করার জন্য।
পোস্ট ঝুলে যাওয়ার জন্য অভিনন্দন
অনেক মূল্যবান মন্তব্যে পোস্ট আরো সমৃদ্ধ হয়েছে
মহান নেতার জন্য বিশেষ দোয়া
সাথে অন্যদের জন্যও
ঝুলে নাই তো!! আঠা দিয়ে লেগেছে।
ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
স্টিকি হওয়াতে মনে হচ্ছে মামুদের ঘুম ভাংছে।
<:-P <:-P
চমৎকার লিখনী! ইতিহাসের এই দিকটা আমাদের অনেকের কাছেই অজানা। আপনার লিখনীর মাধ্যমে জানছি অনেক ভালো লাগছে!
বই লিখার অপরাধে ১৪ বছর জেল? যুগে যুগে ইসলামী ব্যক্তিত্বগন এভাবেই জুলুমের স্বীকা র হয়েছেন! আল্লাহ উনাদের উত্তম প্রতিদান দান করুণ! আমিন।
স্টিকি পোস্টে অভিনন্দন। মডারেটরদেরকেও আন্তরিক শুভেচ্ছা!
সুন্দর মন্তব্যটির জন্য ধন্যবাদ। ওরা জ্ঞান ও সত্য কেই বড় শত্রু বলে মনে করে। কারন তারা বসবাস করে মিথ্যার উপর।
আপনার পোষ্টটি পড়ে অনেক কিছুই জানলাম। জাযাকাল্লাহ খাইর। সেই সাথে এই মহান সিপাহসালারের আত্মার শান্তি কামনা করছি।
চেচনিয়ার স্বাধীনতার রূপকার শহীদ জোখার দুদায়েভ সম্পর্কেও জানতে অপেক্ষায় রইলাম।
বসনিয়ার নির্মম ইতিহাস থেকে শিক্ষার অনেক কিছুই আছে আমাদের জন্য। সুন্দর মন্তব্যটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
http://www.pdf-archive.com/2014/03/12/allahar-soinik-subahesadiq-wordpress-com/allahar-soinik-subahesadiq-wordpress-com.pdf
রাশিয়ার ঘুম হারাম করে দেয়া শামিল বাসায়েভ , জেনারেল আসলাম মাসখাদভ , কিংবা মুজাহিদ খাত্তাব এদের সম্পর্কেও কিন্তু জানা দরকার
সুন্দর মন্তব্যটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটির জন্য। সেই ইতিহাস যেন আমরা ভুলে না যাই।
ধন্যবাদ।
রাব্বি জিদনি ইলমা, রাব্বিশরাহলি চাদরী ওয়াইয়াসসিরলি আমরি....
অনেক ধন্যবাদ রইলো গুরুত্বপূর্ণ লেখাটির জন্য
কিন্তু আমরা যত বেশি জানি তত বেশি ভুলি। আর তাই আমাদের শিক্ষা হচ্ছে জানার কোন শেষ নাই জানার চেষ্টা বৃথ্া তাই!!!
মহান আল্লাহ আলিজা ইযতবিগোভি-কে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন, আমিন।
মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।
সুন্দর মন্তব্যটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটির জন্য।
আমিন। আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
উনার সারনেইম অনেক কষ্টে মনে রাখলাম- ইযতবিগোভিচ
আপনি আমাদের ব্লগ আকাশের উজ্জল নক্ষত্র । চমৎকার লিখা দিয়ে আমাদের সকলের আত্নিক দীনতা দূর করবেন এই কামনা!
আমার নিজের পোস্ট স্টিকি হলে বা এতো কমেন্ট পেলেও এতো আনন্দ লাগে না যতটুকু লাগছে আপনার পোস্টের জন্য!
মাশা আল্লাহ! শুকরিয়া! জাযাকাল্লাহ!
সুন্দর মন্তব্যটির জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু বেশি প্রসংশা তোষামদি হয়ে যায়!!!
ধন্যবাদ।
@সাদিয়া মুকিম আপু বলেছেন, "আপনি আমাদের ব্লগ আকাশের উজ্জল নক্ষত্র । চমৎকার লিখা দিয়ে আমাদের সকলের আত্নিক দীনতা দূর করবেন এই কামনা!" সহমত ১০০%
আমি ভাই মডারেটর না!
মন্তব্য করতে লগইন করুন