মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী এবং তার জাতিয়তাবাদ।

লিখেছেন লিখেছেন রিদওয়ান কবির সবুজ ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৮:৪৮:০৬ রাত



উপমহাদেশের উলামায়ে কেরামদের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালি এবং জ্ঞানের দিক দিয়ে উচ্চ স্থানে অবস্থান কারি আলিম ছিলেন মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী। তিনি ছিলেন শায়খুল হাদিস। দেওবন্দ এর প্রান প্রতিষ্ঠাতা শায়খুল হিন্দ মাওলানা মাহমুদুল হাসান এর যোগ্য উত্তরাধিকারি হিসেবে তিনি দেওবন্দ এর মুহতামিম হিসেবে আজিবন দায়িত্ব পালন করেন। জমিয়তে উলামা-ই-হিন্দ এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হিসেবেও তার অনেক অবদান আছে এবং বৃটিশ বিরোধি আন্দোলনে তার অবদান অপরিসীম। এই উপমহাদেশের কয়েক লক্ষ উলামার সরাসরি কিংবা আত্মিক উস্তাদ তিনি।

শায়খুল হিন্দ মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানীর জন্ম ১৮৭৯ সালে উত্তর প্রদেশের উন্নাও তে। তার পিতা সাইয়েদ হাবিবুল্লাহ ছিলেন একজন শিক্ষক। তারা ছিলেন ফয়জাবাদ এর অধিবাসি এবং সাইয়েদ বংশিয়। ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিপ্লব এর ব্যার্থতার পর মুসলিম সমাজ যখন দ্বিন ও দুনিয়া উভয় দিকেই সমস্যাগ্রস্ত সেই সময় তার জন্ম। ১৮৯২ সালে মাত্র তের বছর বয়সে তিনি তৎকালিন মুসলিম সমাজের ভারতে অবস্থিত একমাত্র উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দ এ যোগ দেন। দেওবন্দ এর প্রধান শায়খুল হিন্দ মাওলানা মাহমুদুল হাসান এর প্রিয় শিষ্য হন তিনি। এছাড়া মাওলানা রশিদ আহমদ গাঙ্গুহির কাছেও শিক্ষা লাভ করেন এবং চিশতিয়া তরিকায় সবক নেন ও খলিফা হন। দির্ঘ আঠার বছর দেওবন্দ এ শিক্ষা গ্রহন এর পর ১৯১০ সালে পরিবারের সাথে মদিনায় চলে যান। কিছুদিন পর ফিরে এসে দেওবন্দ এ শিক্ষকতায় যোগ দেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে শায়খুল হিন্দ মাওলানা মাহমুদুল হাসান বৃটিশ দের এই দেশ হতে বিতাড়িত করার উদ্দেশ্যে ”রেশমি রুমাল” ছদ্মনামে একটি গুপ্ত আন্দোলন এর প্রতিষ্ঠা করেন। এই আন্দোলন এর সাথে ঘনিষ্ট ভাবে জড়িয়ে পড়েন মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী। কিন্তু কিছু বিশ্বাসঘাতক এর জন্য এই আন্দোলন প্রকাশিত হয়ে পরে। ১৯১৬ সালে মাওলানা মাহমুদুল হাসান এই আন্দোলনে তুর্কি খিলাফত এর সহায়তা গ্রহন এর উদ্দেশ্যে পবিত্র মক্কা ও মদিনা নগরীতে যান। কিন্তু হিজাজের তৎকালিন শাসক বৃটিশদের সহযোগি শরিফ হুসাইন তাকে গ্রেফতার করে বৃটিশ কর্তৃপক্ষের কাছে স্থানান্তর করেন। বৃটিশ সরকার তাকে ভুমধ্য সাগরের মাল্টা দ্বিপে নির্বাসন দিলে উস্তাদ এর খেদমত করার জন্য সেচ্ছায় মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী তার সঙ্গি হন।

এই নির্বাসিত জিবনে একটি মজার ঘটনা ঘটেছিল। প্রথমবার রমজান মাসের শুরুতে শায়খুল হিন্দ দুঃখ করে বলেন যে তিনি কিংবা মাওলানা মাদানী কেউই হাফিজে কুরআন নন তাই জিবনে প্রথমবার রমজান মাসে তারাবীতে কুরআন শোনা থেকে তিনি বঞ্চিত হবেন। শিক্ষক এর এই আক্ষেপ দেখে মাওলানা মাদানী দুঃখ পান এবং তিনি তখনই কুরআন শরিফ হিফজ করতে শুরু করেন। প্রতিদিন একপাড়া হিফজ করে তিনি রাত্রে শুনাতেন তারাবীতে। এভাবে তিনি রমজান মাসের মধ্যেই পবিত্র কুরআন এর হাফেজ হয়ে যান। ১৯১৯ সালের শেষে তিনি নির্বাসন থেকে মুক্তি পান।

নির্বাসন থেকে ফিরে মাওলানা মাহমুদুল হাসান গোপন আন্দোলন এর পরিবর্তে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন এর মাধ্যমে বৃটিশ বিরোধি সংগ্রাম শুরু করার উদ্দেশ্যে ”জমিয়তে উলামা-ই-হিন্দ” গঠন করেন। মাওলানা মাদানী ও এই সংগঠনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। ১৯২০ সালে মাওলানা মাহমুদুল হাসান ইন্তেকাল করলে মাওলানা মাদানী তার যোগ্য ছাত্র হিসেবে দারুল উলুম দেওবন্দ এর প্রধান এবং জমিয়তে উলামা ই-হিন্দ এর নেতা নির্বাচিত দেন। এই সময় ভারতবর্ষে নতুন এক সংগ্রাম এর অধ্যায় শুরু হয়। মহাত্মা গান্থি ভারতিয় জাতিয় কংগ্রেস এর প্রধান উপদেষ্টা হন এবং অসহযোগ আন্দোলন এর ডাক দেন। দেশের স্বাধিনতার জন্য একনিষ্ঠ সেবক মাওলানা মাদানী এই আন্দোলন কে সমর্থন করেন। একই সময় খিলাফত আন্দোলন এর জন্ম ও হয় এবং এর সাথেও মাওলানা মাদানী যুক্ত ছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন কারনে ১৯২১ সালে গান্ধিজি অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করেন। এই অবস্থায় জমিয়তে উলামা-ই-হিন্দ এর নেতা হিসেবে তিনি রাজনিতিতে গুরুত্বপুর্ন ব্যাক্তি হয়ে পড়লেও দেওবন্দ এর প্রধান ও শায়খুল হাদিস হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করে যান।

রাজনৈতিক দর্শনে মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী ছিলেন একক ভারতের সমর্থক এবং কংগ্রেস এর সহযোগি। তিনি বিশ্বাস করতেন যে ভারতের সকল ধর্মিয় মানুষ একত্রিত হয়ে ভারতিয় জাতি গঠন করতে পারে এবং এতে মুসলিমদের অধিকার ও ধর্মিয় আচরনে কোন সমস্যা হবেনা। ১৯৩৭ সালে তিনি লাহোর জামে মসজিদ এ এই বিষয়ে একটি জ্ঞানগর্ভ ভাষন দেন। তৎকালিন কংগ্রেস কতৃক এই ভাষনটি পুস্তিকা আকারে ছাপিয়ে বিতরন করাও হয়। কিন্তু তখন উপমহাদেশের মুসলিম নেতৃবৃন্দ ও উলামায়ে কেরাম এর একটি বিরাট অংশই কংগ্রেস এর হিন্দু ব্রাম্মন্যবাদি নেতৃবৃন্দের মূল চরিত্র বুঝতে পেওে এই নিতির বিরোধি হয়ে উঠেন। দার্শনিক কবি আল্লামা ইকবাল মাওলানা মাদানীর এই মতামত এর বিরুদ্ধে অসুস্থ অবস্থায় শয্যা থেকে রচনা করেন তার একটি কবিতা। কিন্তু এই প্রতিবাদ এর মুখেও মাওলানা মাদানী তার মতবাদ এ অটল থাকেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভারত বিভক্ত হয় এবং মুসলিম প্রধান অঞ্চল নিয়ে সতন্ত্র মুসলিম আবাসভুমি পাকিস্তান তৈরি হয়। মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী অখন্ড ভারত এর সমর্থক হিসেবে আজিবন থেকে যান এবং ১৯৫৭ সালে ইন্তেকাল করেন।

হাদিসের উস্তাদ এবং উপমহাদেশের উলামায়ে কিরামদের মধ্যে সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারি হয়েও তিনি কেন অখন্ড ভারতে বিশ্বাস করতেন সেই প্রশ্নে জবাব দেওয়া অসম্ভব। তার জ্ঞান ও প্রজ্ঞা তাকে সেই সিদ্ধান্তে উপনিত করেছিল। তিনি তার বিশ্বাস এর উপর অটল ছিলেন। এটা তার জন্য সন্মানের। কিন্তু তার এই সিদ্ধান্ত কতটুক সঠিক ছিল সেই বিষয়ে আলোচনার অবকাশ অবশ্যই আছে। তিনি যখন অখন্ড ভারতের সমর্থন করেছিলেন তিনি এই বিশ্বাসেই করেছিলেন যে আধুনিক যুগে সকল বর্ণ,ধর্ম নির্বিশেষ ওয়াতন তথা দেশ এর উপর ভিত্তি করে জাতি গঠিত হয়। তার এই সরল বিশ্বাস ও ছিল যে বৃটিশ ভারতের শেষ দিকে যেমন মুসলিম জাতি বৃটিশদের অধিনে থেকেও নিজেদের তাহযিব-তমুদ্দুন রক্ষা করেছে সেভাবে অখন্ড ভারতেও মুসলিম জাতি সন্মান এর সাথে থাকবে। কংগ্রেস নেতৃবৃন্দের ধর্মনিরপেক্ষতার ব্যাখ্যা তিনি তাই করেছিলেন মনে হয়।

কিন্তু তিনি সম্ভবত এই কথাটি বুঝতে পারেননি যে আধুনিক গনতন্ত্রের সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিয়ম এর ফাঁকে অসম্ভব নয় যে ভারতিয় ব্রাম্মন্যবাদি নেতৃবৃন্দ মুসলিম জনতার অধিকার হরন করবে। তারা একক ভারতিয় জাতি বলতে বুঝে কেবল হিন্দু সংস্কৃতির অনুসারিদের। এই বিষয়টি কিন্তু তার সহপাঠি ও ছাত্র দের অনেকেই বুঝতে পেরেছিলেন। তার সহপাঠি মাওলানা আশরাফ আলী থানভি এবং মাওলানা সাব্বির আহমদ উসমানি ছিলেন অখন্ড ভারতিয় জাতিয়তাবাদ এর প্রবল বিরোধি এবং পাকিস্তান এর সক্রিয় সমর্থক। উস্তাদ এর প্রতি পূর্ন শ্রদ্ধা রেখেও তার ছাত্র মাওলানা শামসুল হক ফরিদপুরি ও ছিলেন পাকিস্তান এর সক্রিয় সমর্থক। মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী প্রতি বছর রমজান মাসে সিলেটে আসতেন বিভাগপূর্ব কালে। এই জন্য সেখানে তার সমর্থক বেশি ছিল। কিন্তু সিলেটে পাকিস্তান অন্তর্ভুক্তির প্রশ্নে গনভোটে পাকিস্তান এর পক্ষে প্রধান প্রচারনা কারিদের একজন ছিলেন মাওলানা শামসুল হক ফরিদপুরি। তার সঙ্গে মতবিরোধ হওয়ায় ১৯৪৫ সালে মাওলানা শাব্বির আহমদ উসমানি আরো কয়েকজন উলামায়ে কেরাম কে সাথে নিয়ে জমিয়তে উলামা-ই-ইসলাম গঠন করেন। তার আরেক প্রিয় ছাত্র সাইয়েদ আবদুল আহাদ আল মাদানী ও দির্ঘদিন তার সমর্থক ছিলেন এবং ভারতেই থেকে যান । কিন্তু ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর তার মত পরিবর্তিত হয় এবং তৎকালিন পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসেন এবং পরবর্তিতে চট্টগ্রামে আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদ এর খতিব হিসেবে জিবন অতিবাহিত করেন। তিনি চট্টগ্রামে আসার পর একবার মন্তব্য করেছিলেন যে মাওলানা আবুল কালাম আযাদ কংগ্রেস এর সভাপতি ও ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রি হয়েও শেষ জিবনে নিজের ভুল স্বিকার করেছিলেন এবং তিনিও তাই করছেন যে অখন্ড ভারতের চিন্তা তার ভুল ছিল।

মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী পাকিস্তান এর বিরোধি হলেও ছিলেন উপমহাদেশের মুসলিমদের কল্যানকামি। তার কাছে যেটা ভাল মনে হয়েছিল তিনি সেটাই করেছেন। হতে পারে তার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। এটা এখন অনেকটাই প্রমানিত বর্তমান ভারতের অবস্থা দেখে যে কেউ অনুমান করতে পারবেন। যদি তিনি আরো কিছুদিন বাঁচতেন হয়তো তার ছাত্র সাইয়েদ আবদুল আহাদ আল মাদানীর মত তার ভুল স্বিকার করতেন। কিন্তু তা হয়নি। এর জন্য তিনি দায়ি নন। কিন্তু এটা ভুল যে তার মতামত এর উপর ভিত্তি করে এখনও পাকিস্তান আন্দোলন কে ইসলাম বিরোধি ফতোওয়া দেওয়া। পাকিস্তান বা বাংলাদেশে কেন ইসলামি শাসন কায়েম হয়নি সেটা সম্পুর্ন ভিন্ন প্রসঙ্গ। আল্লাহতায়ালা এই মহান বুজুর্গ ও উস্তাদ এর উপর রহমত নাযিল করুন।

তথ্যসুত্র:-

* উপমহাদেশের ইংরেজ বিরোধি সংগ্রামের সূচনায় উলামায়ে কেরাম- আবদুল মান্নান তালিব।

* উপমহাদেশের আলেম সমাজের বিপ্লবি ঐতিহ্য-মাওলানা মুহাম্মদ মিয়া।

* মহাকবি ইকবাল- ডঃ আবু সাইদ নুরউদ্দিন।

* ইন্ডিয়া উইনস ফ্রিডম- মাওলানা আবুল কালাম আযাদ।

* ফ্রিডম এট মিডনাইট- ল্যারি কলিন্স ও ডমিনিক লাপিয়ের।

* আমার জিবন ও বিভাগপূর্ব বাংলাদেশের রাজনিতি- আবুল হাশিম।

* আমার কালের কথা-অধ্যাপক আবদুল গফুর।

* আল্লামা শামসুল হক ফরিদপুরি-নাসীম আরাফাত।

বিষয়: বিবিধ

৭৮৬১ বার পঠিত, ৫৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

341912
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:৫১
দূর্বল ঈমানদার লিখেছেন : পরে বিস্তারিত পড়ে মন্তব্য করবো । এখন বের হচ্ছি অনলাইন থেকে ।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:৫৪
283323
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : পোষ্ট তো বেশি বড় না!!!
341920
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:২৭
মাজহারুল ইসলাম লিখেছেন : প্রথম বারের মত এই বিষয় সম্পর্কে জানলাম, জাজাকাল্লাহু খাইরান।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:৩৭
283322
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : মাজহার১৩ নামের আইডিটাই যদি আপনি হোন তবে বলতে পারি আপনার মতো একজন গবেষকের পক্ষে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ লেখাতে দায় সাড়া গোছের মন্তব্য করার অর্থ হচ্ছে পাঠকদের কিছু জানা থেকে বঞ্চিত করার শামিল।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:৫৫
283324
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে পাকিস্তান এবং পরবর্তি বাংলাদেশে তিনি প্রাসঙ্গিক নন এবং ভারতে তার প্রয়োজন শেষ।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:১৫
283334
মাজহারুল ইসলাম লিখেছেন : দুঃখিত গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি ভাই মাজহার১৩ নামের আইডি আমার না। আর আমি যা বলেছি সত্যি করেই বলেছে উপরের নাম গুলার সাথে পরিচিত কিন্তু অনেক বিষয় জানতাম না তাই উপরের মন্তব্য করেছি।

যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে রিদওয়ান কবির সবুজ ভাই আমার মন্তব্য রিমুভ করতে পারেন।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:৪৬
283338
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : আমি আপনাকে মন্তব্য মুছে দিতে বলিনি। আমি ধারণা করেছিলাম মাজহার১৩ এবং আপনি একই ব্যক্তি। মাজহার১৩ নামের যিনি লেখালেখি করেন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেথামেটিক্স থেকে মাস্টার্স করেছেন এবং তিনি একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও গবেষকও বটে। এখানে আপনার কমেন্টে কেউ ভূল বলেছেন বলে তো বলেননি। বরং আমি আপনাকে আমার পূর্ব পরিচিত সেই ব্যক্তি মনে করে কিছুটা আবদারের ভঙ্গিতে প্রতি মন্তব্য করেছি। আপনি মন্তব্য মুছে দিতে বলছেন কেন?
আপনাকে ধন্যবাদ। সুস্থ্য থাকুন ভাল থাকুন।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:৩৯
283397
মাজহারুল ইসলাম লিখেছেন : আমি কিন্তু বলেছি যদিও ভুল হয় তাহলে রিমুভ করতে ভাই।

১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৫
283469
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আপনাদের খামাখা গ্যান্জাম এ পাঠকেদের কত মেগাবাইট ডাটা নষ্ট হচ্ছে সেই খেয়াল আছে কি????
341923
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:৪৪
ব্লগার শঙ্খচিল লিখেছেন : ভাল লাগলো আরো লিখবেন
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:৫৫
283325
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকেও।
341927
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১০:৩৪
আফরা লিখেছেন : নামগুলো যে কি রকম একদিয়ে পড়লাম আবার ভুলে গেলাম ।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:৫৫
283326
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আবার পড়েন!!! কোন নাম ভুলেছেন মুখস্ত করে নেন।
341928
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১০:৩৮
প্রবাসী যাযাবর লিখেছেন : সেদিন যদি তিনি কংগ্রেস ত্যাগ করে পাকিস্তান সমর্থন করে চলে আসতেন তাহলে মুসলমানদের ইতিহাস ভিন্নরকম হতে পারত।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:৫৮
283327
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সত্যিই তাই। কিন্তু তিনি ভুল করেছিলেন। মাওলানা আবুল কালাম আযাদ ও তাই কিন্তু তিনি ভুল স্বিকার করেছিলেন।
সুন্দর মন্তব্যটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
341941
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১১:৩৯
আবু জান্নাত লিখেছেন : শুনেছিলাম আন্দিমান দ্বীপে, মাল্টা দ্বীপে নয়।
রেশমী রুমাল আন্দোলন সম্পর্কে জানার আগ্রহ অনেক, বিস্তারিত জানা থাকলে কোন এক সময় পোষ্ট দেওয়ার অনুরোধ রইল।

এক সংগ্রামী মহাপুরুষের জিবন বৃত্তান্ত জানানোর জন্য জাযাকাল্লাহ খাইর
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:০৪
283328
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : মাল্টা তেই তাদের আটক রাখা হয় আমি নিশ্চিত। রেশমি রুমাল আন্দোলন সম্পর্ক আপনারা থাকতে আমি কেন লিখব!!! সবাই লিখেন না ভাই।
ধন্যবাদ আপনাকেও।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:২৭
283336
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : হযরত মাহমুদুল হক দেওবন্দী, হযরত হুসাইন আহমাদ মাদানী, হযরত ফযলে হক্ব খইরাবাদী (রহ.) সহ আরো অনেক সংগ্রামী উলামাকে মাল্টা দ্বীপে নির্বাসিত রাখা হয়েছিলো। হ্যাঁ, অপরাপর কিছু আলেমকে আন্দামানে নির্বাসিত করা হয়েছিলো। বিস্তারিত ‍"আসিরন-ই-মাল্টা" "তা'রিখে দেওবন্দ" "আযাদী কি লাড়াই" বইয়ে পাবেন ইনশাআল্লাহ।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:৫৩
283406
আবু জান্নাত লিখেছেন : আমার মনে হয়, ভারত বিভক্ত হওয়ার কারণে বর্তমান ভারতের মুসলমানদের কোন উন্নতি হয়নি। কারণ তারা সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে। বার বার তারা সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার হচ্ছে। ভারত বিভক্ত না হলে এগুলোর সম্ভাবনা ছিল না। কথাগুলো মাদানী সাহেব আগেই ভেবে ছিলেন বিধায় বিভক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ছিলেন।

তাই তার সিদ্ধান্ত কতটুকু ভুল ছিল, এই বিষয়টি বিবেচনা করলেই বুঝা যায়। শুকরিয়া।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১৪
283482
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আবু জান্নাত ভাই আমি আপনার সাথে সম্পুর্ন দ্বিমত পোষন করি। ভারত বিভক্ত না হলে বর্তমান ভারতিয় উপমহাদেশে মুসলিম জাতির অস্তিত্বই থাকত কিনা সন্দেহ। একটা বিষয় বুঝা উচিত যে ১৯৪৭ সালে সমস্ত ভারতের জনসংখ্যার ৪০ পার্ষেন্ট এর কম মুসলিম ছিল। কংগ্রেস এর যে যুক্ত নির্বাচন নিতি ছিলো তাতে স্বাধিন ভারতে কোনভাবেই মুসলিমরা রাজনৈতিক ভাবে বিশেষ ক্ষমতার অধিকারি হতে পারতনা। বর্তমান ভারতের অবস্তা দেখলে সেটাই সুষ্পষ্ট হয়ে উঠবে। ভারত বিভক্ত হওয়ার আগেই মুসলিমরা অসংখ্য সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার হয়েছে। সুতারাং ভারত বিভক্ত না হলে এটা ঘটতনা বলে যারা দাবি করছেন তারা সম্পুর্ন ভুল কথা বলছেন। মক্কায় ইসলাম কায়েম হয়নি। হয়েছিল মদিনায় যেখানে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২৫
283488
আবু জান্নাত লিখেছেন : হতে পারে, তবে শোনা থেকে বলছিলাম। তখন তো আর আমরা কেউ জীবিত ছিলাম না। ইতিহাসবিদগণ যেভাবে চিত্রায়ন করেছেন, সেভাবেই আমরা জানতে পারলাম।
আল্লাহই ভালো জানেন। অনেক শুকরিয়া সবুজ ভাই।
341943
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১২:১১
অপরিচিত লিখেছেন : চিশতিয়া তরিকাটি কি? জানতে চাই।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:০৫
283329
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সুফিদের কয়েকটি সিলসিলা বা তরিকা আছে যেমন চিশতিয়া,নকশবন্দিয়া সুহরাওয়ায়ির্দয়া,কাদেরিয়া ইত্যাদি।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:৩০
283354
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : একটু নাক গলাই,
সুফি বলতে যদি এখানে প্রচলিত সুফিজম নামক ফেরক্বাকে বোঝানো হয় তাহলে আমার মতে বেইনসাফি হবে। কেননা, প্রাথমিক ভাবে সুফি বলতে ঐ সব বুর্যুগদের বোঝানো হতো, যারা মানুষকে ইলমে দ্বীনের পাশাপাশি নফসের সাথে জিহাদের কৌশলও শেখাতেন। তাঁদের অল্পতুষ্টি, সহজ সরল জীবন যাপন ও শরীআর জ্ঞান থেকে তাঁদের স্তর অনুমান করা যেতে পারে। মোটামুটি ৬০০হি. সাল পর্যন্ত এর মধ্যে ফেরক্বা প্রবেশ করতে পারেনি। পরবর্তীতে কিছু সুফি নামধারী অযোগ্য ব্যক্তিদের শরীআ বিরোধী কর্মকান্ডে সুফিগণ যদিও বিতর্কিত হন, কিন্তু প্রকৃতার্থে যারা সুফি তাদের প্রশংসা সবসময়ই হয়েছে। আধুনিক যুগে কবর পুজারি, মাজার পুজারি, ভন্ড পীরদের নিজেদের সুফি হিসেবে পরিচয় দান ও মেডিয়াভাল ইউরোপিয়ান স্কলারদের পার্শিয়াল রিসার্চও সুফিবাদকে বির্তকিত করে তোলার কারণ।

এবার একটু চিশতিয়া তরিক্বার উপর আলোকপাত করতে চাই। চিশতিয়া শব্দটি ফার্সি শব্দ থেকে আগত, আরবী প্রতিশব্দ, যা আফগানিস্থানের হেরাথ প্রদেশের অর্ন্তগত একটি শহর । এই শহরের একজন বিখ্যাত শাইখ হযরত মাওলানা আবু ইসহাক্ব ইবনে আবু আহমাদ আল শামী আল চিশতি (মৃত্যু ৩২৯হি। এই আলেম অত্র অঞ্চলে সর্বপ্রথম মানুষকে দ্বীনী ইলমের মুযাহাদার শিক্ষা দিতেন। উনি স্বীয় সময়ের অন্যতম যোগ্য মুহাদ্দিস, মুহাক্কিব ও মুফাস্সির ছিলেন। পরবর্তীতে খুব বেশি বিখ্যাত না হলেও একেবারে মাযহুলও নন। তাঁর সনদ দেখলেই এ সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যেতে পারে-
আবু ইসহাক্ব আল শামী-> আল্লামা মামশাদ দিনওয়ারী-> আমিনুদ্দীন আবি হুবাইরা আল বসরী-> হুযাইফা আল মার'আশী-> শাইখ ইবরহীম বিন আদহাম-> শাইখ ফুযাইল ইবন আয়ায-> শাইখ আব্দুল ওয়াহিদ বিন যাইদ-> শাইখ খাজা হাসান বসরী-> হযরত আলী বিন আবি তালিব-> রাসুলুল্লাহ মুহাম্মাদ (সাঃ)
এই বুযুর্গের পরবর্তী ৬ষ্টতম পর্যায়ে রয়েছেন শাইখুল হিন্দ হযরত মুঈনুদ্দিন চিশতী সানজারী (রহ.)।
হ্যাঁ, পরবর্তীতে এই চিশতিয়া নাম ভাঙ্গিয়ে অনেকেই ব্যবসার দোকান খুলে বসেছে, সুফি নাম ধারণ করে সহজ সরল মুসলমানদের দ্বীন-দুনিয়া বরবাদ করছে, কিন্তু যারা প্রকৃত সুফি ছিলেন তাদের বিতর্কিত এবং তরীক্বতের প্রকৃত চেতনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা আমার মতে সমীচিন নয়।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮
283363
আবু জান্নাত লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ খাইরান। @চিরবিদ্রোহী।
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৬:০৫
283573
অপরিচিত লিখেছেন : এই তরিকা কেন ধরতে হবে?
341950
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০১:৪৬
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : বরাবরের মতই শিক্ষণীয় অনেক কিছু জানছি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:০৫
283330
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
341958
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৪:৪৬
কাহাফ লিখেছেন :
নাম হিসেবে অনেক পরিচিত 'হুসাইন আহমাদ মাদানী রহ:' সম্পর্কে তথ্য সমৃদ্ধ উপস্হাপনা ভাল লাগল এবং উনার সম্পর্কে আরো জানতে উৎসাহিত করল!
আমার মরহুম নানাজান মাওলানা বুরহান উদ্দিন রহ: উনার থেকে খেলাফতপ্রাপ্ত ছিলেন!
কয়েকবার দাওয়াত করে নানাজান এনেছিলেন শুনেছি!
একটা মাদ্রাসা করেছেন উনার নামে!
আসআদ মাদানী রহ: এর থেকে খেলাফত নিয়েছেন আমার খালাতো ভাই মাওলানা আনওয়ার মাহমুদ!
এতদ সত্বেও কিছুই জানি না!
ধন্যবাদ ও জাযাকাল্লাহ উপলব্ধি জাগিয়ে দেয়ায়!!
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:০৭
283331
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : চমৎকার মন্তব্যটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার কাছে তো আরো তথ্য থাকা উচিত। আপনার নানাবাড়ি কোথায়?? আপনি আশা করি কিছু মনে নিবেন না অাসাদ মাদানী সাহেব সম্পর্কে আমার ধারনা ভাল নয়।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬
283358
কাহাফ লিখেছেন : ময়মনসিংহ গফরগায়ে আমার নানাবাড়ী!
মাদানী ও থানবী সিলসিলার দ্বন্ধ আমাকেও মরহুম মাদানী সম্পর্কে জানাতে অনুৎসাহিত করেছে!
হুসাইন আহমদ মাদানী রহ:-এর বংশধর(ছেলের ছেলে) দু'এক বছর অন্তর এখনও আসেন নানার প্রতিষ্ঠিত জামেয়া হুসাইনিয়া মাদ্রাসায়!
বড় ভাই শিবির পরে জামাত সংশ্লিষ্ট হওয়ায় এবং জামাত কে পছন্দ করায় মামাদের-খালাদের সাথে মিলে না আমাদের!
গোমরাহ মনে করে আমাদের কে তারা!
প্রচলিত ভন্ড পীরদের মত নয় কিন্তু এই বংশের পীরেরা!
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২০
283486
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ। এটি ঠিক তারা এই দেশে প্রচলিত ধারায় পির নন।
১০
341985
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:০৮
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : মাওলানা হোসাইন আহমাদ মাদানী (রহ) সম্পর্কে সুন্দর বিশ্লেষণ ধর্মী পোষ্ট হয়েছে। নিরপেক্ষ রচনা। আমি একদা এর চাইতেও কম মন্তব্য করে এক কওমী ভাইকে প্রশ্ন করাতে তিনি আমার উপরে নাখোশ হয়েছিলেন। তাঁর বিশ্বাস ছিল এই মহান ব্যক্তির সমালোচনা তো দূরের কথা মন্তব্যও করা যাবেনা।

আজ দিন বদলিয়েছে, মানুষ বুঝতে শিখেছে তাদের মুরুব্বীরা কোথায় ভুল করেছে। ভুল করার মাধ্যমে সমস্যা নাই, তবে ভুল স্বীকারের মাধ্যমে প্রভুত কল্যান আছে। আল্লামা হাফেজী হুজুর (রহ) পুরো জীবনভর রাজনীতির বিরোধীতা করেছেন, কিন্তু বিছানায় গিয়ে বুঝতে পারলেন তিনি ভুল করেছেন। তিনি সকল ছাত্রদেরকে ঢেকে বললেন: 'এতদিন যা বলেছিলাম সব ভুল, আজ থেকে তোমরা সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহন করো'। আজকের দিনে সক্রিয় ইসলামী দলগুলোর মাঝে জামায়াতে ইসলামী ব্যতিত বাকী সব দুলোগুলো হাফেজী হুজুরের ছাত্রদের কল্যানে হয়েছে। তাঁর একটি ভুল স্বীকার ব্যাপক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে, তিনিও সম্মানীত হয়েছেন আমরাও দৃষ্টান্ত নিতে শিখেছি।

জানিনা বাংলাদেশের মুসলমানদের জন্য ব্যাপক অদূরদর্শী মতবাদ তথা তাবলীগ জামায়াতের মুরুব্বীরা কখন বুঝবে যে, তাবলীগের মত সুফি মতবাদ কোনদিন প্রকৃত ইসলাম প্রতিষ্টা করতে পারেনা, যতক্ষন না সমাজ পরিবর্তন না হয়। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২৪
283487
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অত্যন্ত শিক্ষনিয় মন্তব্যটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
এই তাকলিদ এর সমস্যাই আমাদের দেশে ইসলামি আন্দোলনগুলিকে আলাদা করে রেখেছে। মানুষ ভুল করতেই পারে। এই বিষয়টা কিছু অতি ভক্ত কোনভাবেই মানতে পারেনা। কওমি শিক্ষাধারাই এই মনোভাব প্রকট। অথচ দুইজন প্রধান আলেম। বায়তুল মুকাররম এর খতিব মাওলানা উবায়দুল হক এবং আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদ এর সাইয়েদ আবদুল আহাদ মাদানী উভয়ই ছিলেন মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানীর সরাসরি ছাত্র। তারা চিরকালই তাকে শ্রদ্ধা করেছেন। মাওলানা উবায়দুল হক শুনেছি তার নামে কুরবানি দিতেন। কিন্তু এরা কেউই তার রাজনৈতিক মত কে সঠিক বলেননি এবং তার অন্ধ অনুসরনেও লিপ্ত থাকেন নি।
১১
342022
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:০২
আহমদ মুসা লিখেছেন : আল্লামা সাইয়্যেদ হুসাইন আহমদ মাদানী সম্পর্কে নিরপেক্ষ দৃস্টিকোণ থেকে কিছু লিখতে গেলে ক্বাউমী ধারার আলেম ও ওলামায়ে দেওবন্দীদের উত্তরসূরী হিসেবে দাবীদার আমাদের দেশীয় বন্ধুগণ খুব বেশী আবেগ নির্ভর হয়ে পড়েন। সত্য মিথ্যা যাচাইয়ের তোয়াক্কা করাটাও যেন তারা ওস্তাদ ও মুরুব্বীদের সাথে বেআদবী ও গোস্তাখীর অভিযোগে আক্রমণাত্মক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। গত বছর তিনেক আগে হেফাজতে ইসলামের রাজপথ কাপানো তীব্র আন্দোলনের সময় দেশের দু'জন জলিলুল ক্বদর ক্বাউমী দ্বারার আলেমকুলের শিরোমনি আল্লামা শাহ আহমদ শফি এবং বসুন্ধরার ইসলামিক সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা মুফতি আব্দুর রহমানের মধ্যে দেশে চলমান দু'টি ক্বাউমী ধারার বিভিন্ন বিষয়ে মত বিরোধের কারণে হেফাজতে ইসলামের সাথে দেশের সমস্ত ক্কাউমী ধারার আলেম ওলামা ও মাদ্রাসাগুলো ঐক্যবদ্ধ হতে পারেনি। মুফতি আব্দুর রহমানের নেতৃত্বধীন অংশটি আওয়ামী সরকারবান্ধব হিসেবে তারা পর্দার আড়ালে থেকে যায়। অন্যদিকে আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বাধীন সংখ্যাগরিষ্ট অংশটি মুসলমানদের ঈমান আক্বিদার সাথে সাংঘর্ষিক আওয়ামী লীগ ও বামপন্থী নাস্তিকদের বিভিন্ন কার্যক্রমের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে সরাসরি রাজপথে সক্রিয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। মুফতি আব্দুর রহমান এবং আল্লামা শফি সাহেবের মধ্যে মনস্তাত্বিক বিরোধ নিয়ে কিছু লেখালেখি করার কারণে কয়েকজন ক্বাউমী ধারার বন্ধু আমাকে ভয়ানক বেয়াদব, গোস্তাখ এবং আকাবেরদের শানে অনুচিত কথা লিখার অপরাধে ভর্ৎসনা ও তিরস্কার করেন। অথচ আমি তাদেরকে কটুক্তি করে কিছু লিখিনি।
যাই হোক উপমহাদেশের আজাদী আন্দোলন ও মুসলমানদের মধ্যে দ্বীনি শিক্ষার অস্থিত্ব ঠিকিয়ে রেখে তা নবরূপে আলোকিত করার পেছনে হযরত মাওলানা সাইয়্যেদ হোসাইন আহমদ মাদানী (রাহ) সহ ওলামায়ে দেওবন্দের আলেম ওলামাদের ত্যাগ ও কুরবানী অশ্বীকার করার সুযোগ নেই। যারা এসব আলেমদের অবদানকে অশ্বীকার ও খাটো করে দেখার চেষ্টা করে তারা হয়তো জ্ঞানপাপী নতুবা ভিন্ন কোন মতলবে ধান্ধাবাজীতে নিয়োজিত। কিন্তু একটা কথা ভূলে গেলে চলবে না যে, এসব মহান সম্মানিত আলেম ওলামারা নবী রাসুল পর্যায়ের মান মর্যাাদার অধিকারী নয় এবং তা মনে করাটাও ঈমান আক্কিদার পক্ষে ক্ষতিকর। এরা ভূলের উর্ধ্বেও নয়। যেহেতু এরাও ইনসান তথা মানুষ, কাজেই তাদের চিন্তা-ফিকিরেও গলদ থাকতে পারে, বিশেষ করে ১৯০ বছরের ইংরেজদের উপনিবেসে গোলামীর পর্যায়ে নেমে যাওয়া উপমহাদেশের অধিকারহারা বঞ্চিত জনমানুষের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় আক্কিদা বিশ্বাস হেফাজতের জন্য গৃহীত সিদ্ধান্তসমুহ একদম ভূলের উর্ধ্বে মনে করা সটিক বিবেচনা প্রসূত নয়। নবী রাসুলরা মাসুম, বে-গুনাহ। তাদের পরে আসে রাসুল (সা)'এর সাহাবারা। তাদেরকে ইসলামের পরিভাষায় মাসুম বলা হয় না, কিন্তু তাদেরকে পবিত্র কোরআনের আয়াতের আলোকে মাহফুজ হিসেবে গবেষকেরা মনে করেন। কিন্তু ক্বাউমী ধারার মাঠ পর্যায়ের বন্ধুরা তাদের আকাবেরদের ইজ্জত ও সম্মান করতে গিয়ে অনেক সময় নবী রাসুল ও সাহাবাদের ত্ববকাটাও বেমালুম ভূলে যান।
বক্ষমান আপনার এই আর্টিক্যালটিতে খুব নিরপেক্ষভাবেই মাওলানা মাদানী সম্পর্কে অনেক সত্য কথা তুলে ধরেছেন। তার রাজনৈতিক ফলসফা অবস্থান ও দুর্দশিতা উপমহাদেশের বৃহত্তর মুসলিম জনগোষ্টীর পক্ষে এসেছে দাবী করাটাও বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে কিছুটা ভূল প্রমাণিত হয়েছে। বর্তমান ইন্ডিয়াতে মুসলমানদের অবস্থা বিবেচনায় আনলে তা বুঝতে সহজ হবে। অনেক কিছুই লিখতে ইচ্ছে ছিল কিন্তু মন্তব্যের পরিসর বড় হয়ে যাচ্ছে বিধায় এখানেই শেষ করছি।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:৪৮
283405
আবু জান্নাত লিখেছেন : ঠিকই বলেছেন, ভারত বিভক্ত হওয়ার কারণে বর্তমান ভারতের মুসলমানদের কোন উন্নতি হয়নি। কারণ তারা সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে। বার বার তারা সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার হচ্ছে। ভারত বিভক্ত না হলে এগুলোর সম্ভাবনা ছিল না। কথাগুলো মাদানী সাহেব আগেই ভেবে ছিলেন বিধায় বিভক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ছিলেন।

তাই তার সিদ্ধান্ত কতটুকু ভুল ছিল, এই বিষয়টি বিবেচনা করলেই বুঝা যায়। শুকরিয়া।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২৯
283491
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সুন্দর বিশ্লেষনি মন্তব্যটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। প্রয়োজনে এই বিষয়ে বিস্তারিত পোষ্ট দিন। আসলে আমাদের দেশে সকল ইসলামি আন্দোলন এর মধ্যেই কমবেশি তাকলিদ এর মানসিকতা বিদ্যমান। এই সমস্যাটিই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে দিচ্ছেনা। সেই কারনে কিন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সবাই। সময়ের প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত ভুল হলে সেটা পরিবর্তন করা যেতে পারে।
১২
342033
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:৩৬
ইয়াফি লিখেছেন : মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী (রহঃ) ও মওলানা সাইয়েদ মওদূদী (রহঃ) এর মধ্যে আসল বিরোধ ছিল নাকি পাকিস্তান আন্দোলন নিয়ে। আর সেই বিরোধের উত্তাধিকার বহন করছে আজ অবদি দেওবন্দী ছিলছিলার উলামাগণ। এজন্য তাঁদের কাছ থেকে মওলানা সাইয়েদ মওদূদী (রহঃ) আজীবন অপবাদের শিকার হয়েছেন, তাঁর লিখিত বইয়ে তাঁরা লাইনে লাইনে ভুল ধরেছেন! তাঁর বই পড়ে যারা ইসলামী আন্দোলনে অনুপ্রাণিত হয়েছেন, তাদের দল ইসলামী দল নয়, এমনকি তারা মুসলমানও নয়! মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী (রহঃ) এর উত্তাধিকারীরা হাকীকত জানার চেষ্টা করেছেন বলে মনে হয়না।
প্রাসংগিকভাবে একটু বলা যায়, আজকের ভারতের একজন মুসলীম নেতা আসাদউদ্দীন ওয়াইসি যাকে ঘিরে বর্তমান ভারতের মুসলমানরা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে, তাঁর মতে ভারতের সব সম্প্রদায় উন্নতি করলেও মুসলমানরা এগোতে পারেনি। ধন্যবাদ
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:৪৭
283404
আবু জান্নাত লিখেছেন : হুসাইন আহমাদ মাদানী রহঃ তো অভিবক্ত ভারতের পক্ষে ছিলেন, কিন্তু আশরাফ আলী থানভী রহঃ তো মুসলিমদের জন্য স্বতন্ত্র দেশ গড়ার পক্ষে ছিলেন। মাদানীর ইচ্ছার প্রতিফলন না গড়লেও থানভীর ইচ্ছার প্রতিপলন তো হয়েছে। দেখা যা্ছে থানভীর উত্তরসূরীরাও মাওদুদীর ভূল ধরেছেন।

মওদুদী ও দেওবন্দীদের মাঝে শুধু এই একটি বিষয় নয়, অন্য কোন মতানৈক্য ছিল। কারণ থানবী ও দেওবন্দী আলেম ছিলেন, কিন্তু এই বিষয়ে মওদুদী ও থানভী একই মতের ছিলেন।

"তাঁর মতে ভারতের সব সম্প্রদায় উন্নতি করলেও মুসলমানরা এগোতে পারেনি।"

ঠিকই বলেছেন, ভারত বিভক্ত হওয়ার কারণে বর্তমান ভারতের মুসলমানদের কোন উন্নতি হয়নি। কারণ তারা সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে। বার বার তারা সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার হচ্ছে। ভারত বিভক্ত না হলে এগুলোর সম্ভাবনা ছিল না। কথাগুলো মাদানী সাহেব আগেই ভেবে ছিলেন বিধায় বিভক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ছিলেন।

তাই তার সিদ্ধান্ত কতটুকু ভুল ছিল, এই বিষয়টি বিবেচনা করলেই বুঝা যায়। শুকরিয়া।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:০১
283454
ইয়াফি লিখেছেন : @আবু জান্নাত
অবিভক্ত ভারতের একটা কলংকিত ইতিহাসের ধারা হচ্ছে শত শত বছর ধরে হাজার হাজার বার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। হিন্দু-মুসলমান বিরোধ এ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার প্রধান উল্লেখযোগ্য বিষয়। আর এটাই ছিল ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির প্রধান কারণ। মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী (রহঃ) ভারতের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের সমর্থক ছিলেন এবং পরবর্তীতে উঁনার সুযোগ্য পুত্র মওলানা আসাদ মাদানী ঐ দল থেকে তিনবারের মত ভারতীয় পার্লামেন্টের সদস্য ছিলেন এবং কংগ্রেস তাকে একজন আদর্শ ধমনিরপেক্ষ নেতা হিসেবে বিবেচনা করতো। মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী (রহঃ) এর পরিবার রাজনৈতিকভাবে খুবই প্রভাবশালী এবং কংগ্রেসের সহযোগিতায় দেওবন্দ মাদ্রাসা নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন। উঁনার আরেক পুত্র মওলানা আরশাদ মাদানীও কংগ্রেসের এমপি নমিনেশন প্রার্থীরহ। ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের প্রধান বৈষম্যের শিকার মুসলমানরা। এখনো কোন কোনো বিদ্যালয়ের তাদের আলাদা ড্রেস পরিধান করতে হয়, চাকুরীর ইন্টারভিউতে মুসলীম প্রার্থী ার নাম দেখলে ইন্টারভিউ দেয়ার প্রয়োজন নেই বলে ফিরিয়ে দেয়া হয়। এখন বিদ্যালয়ে ইয়োগা চালু করা হচ্ছে এবং এর অংশ হিসাবে সূর্যকে প্রণাম করতে হবে সব বিদ্যার্থীকে।
ভারতের শিখ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায় সংখ্যালঘু হয়েও শিক্ষা-দীক্ষায়, চাকরী-বাকরীতে বেশ অগ্রসর। অথচ তারা সংখ্যায় মুসলমানের চাইতে অনেক অনেক কম। এখন কিভাবে বলবেন অবিভক্ত ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কোন সম্ভাবনা ছিলনা কিংবা মুসলমানরা সংখ্যালঘু হয়ে পড়ার কারণে উন্নতি করতে পারেনি!
অবিভক্ত ভারতের একটা কলংকিত ইতিহাসের ধারা হচ্ছে শত শত বছর ধরে হাজার হাজার বার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। হিন্দু-মুসলমান বিরোধ এ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার প্রধান উল্লেখযোগ্য বিষয়। আর এটাই ছিল ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির প্রধান কারণ। মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী (রহঃ) ভারতের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের সমর্থক ছিলেন এবং পরবর্তীতে উঁনার সুযোগ্য পুত্র মওলানা আসাদ মাদানী ঐ দল থেকে তিনবারের মত ভারতীয় পার্লামেন্টের সদস্য ছিলেন এবং কংগ্রেস তাকে একজন আদর্শ ধমনিরপেক্ষ নেতা হিসেবে বিবেচনা করতো। মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী (রহঃ) এর পরিবার রাজনৈতিকভাবে খুবই প্রভাবশালী এবং কংগ্রেসের সহযোগিতায় দেওবন্দ মাদ্রাসা নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন। উঁনার আরেক পুত্র মওলানা আরশাদ মাদানীও কংগ্রেসের এমপি নমিনেশন প্রার্থীরহ। ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের প্রধান বৈষম্যের শিকার মুসলমানরা। এখনো কোন কোনো বিদ্যালয়ের তাদের আলাদা ড্রেস পরিধান করতে হয়, চাকুরীর ইন্টারভিউতে মুসলীম প্রার্থী ার নাম দেখলে ইন্টারভিউ দেয়ার প্রয়োজন নেই বলে ফিরিয়ে দেয়া হয়। এখন বিদ্যালয়ে ইয়োগা চালু করা হচ্ছে এবং এর অংশ হিসাবে সূর্যকে প্রণাম করতে হবে সব বিদ্যার্থীকে।
ভারতের শিখ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায় সংখ্যালঘু হয়েও শিক্ষা-দীক্ষায়, চাকরী-বাকরীতে বেশ অগ্রসর। অথচ তারা সংখ্যায় মুসলমানের চাইতে অনেক অনেক কম। এখন কিভাবে বলবেন অবিভক্ত ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কোন সম্ভাবনা ছিলনা কিংবা মুসলমানরা সংখ্যালঘু হয়ে পড়ার কারণে উন্নতি করতে পারেনি!
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২৬
283490
আবু জান্নাত লিখেছেন : আরো কিছু কথা জানলাম, ধন্যবাদ ইয়াফি ভাই।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৭
283492
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : শুধু পাকিস্তান আন্দোলন নিয়ে দ্বিমত ছিলনা তবে সেই দ্বিমত এর কারনেই অনেকে এখনও না বুঝেই মাওলানা মওদুদির সমালোচনা করাকেই মনে করেন ইসলামের খেদমত। উল্লেখযোগ্য মাওলানা মওদুদি জমিয়তে উলামা-ই-হিন্দ এর মুখপাত্র "আল জমিয়ত" এর সম্পাদক ছিলেন দির্ঘদিন।
১৩
342064
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:৩৪
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। যদিও কিছু ব্যাপারে দ্বীমত আছে তারপরও আপনার সুন্দর ও শিক্ষনীয় পোষ্টের জন্য জাজাকাল্লাহু খায়রান।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৮
283493
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ওয়ালাইকুমআসসালাম। সুন্দর মন্তব্যটির জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
১৪
342091
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:১৭
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : অনেক কিছু শিখলাম।
ইতিহাস পড়তে ভালো লাগে,,,
অনেক কস্ট করে লেখার জন্য
শুভকামনা থাকলো।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১০:০২
283515
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটির জন্য।
১৫
342397
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১২:২২
আহমেদ রিজভী লিখেছেন : শায়খুল হিন্দ মাহমুদুল হাসান দেওবন্দের প্রতিষ্ঠাতা নন বরং প্রথম ছাত্র ছিলেন ।
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:০৩
283856
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : জি হ্যাঁ। প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবুল কাসেম নান্নুতভি ও মাওলানা মাহমুদ। পোষ্টে কোথাও তাকে প্রতিষ্ঠাতা বলে উল্লেখ করা হয়নি।
১৬
342622
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:১৫
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ।
আল্লাহর রহমতে ভালো আছি প্রচন্ডরকম অসুস্থ ছিলাম গতশনিবার থেকে।
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:০৭
283983
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ওয়ালাইকুমআসসালাম।
আশা করি এখন ভাল হয়েছেন।
১৭
342623
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:২১
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : আলী মাকামহে ও দেওবন্দওয়ালে গানে তার ছবিটা দেখেছিলাম।
আবার আপনার পোষ্টে দেখলাম।
ভালো লাগলো মহান বুযুর্গকে নিয়ে লেখা পোষ্টটি!
Good Luck ৩০দিনে কুরআন মুখস্ত করা আবার এমন বয়সে!!! আমার কাছে বিষয়টা কারামত মনে হলো।
জাজাকাল্লাহ
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:০৮
283984
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এরকম আরো কয়েকজনের কথা আমি শুনেছি।
১৮
343803
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:৪১
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : চমৎকার নিরপেক্ষ ও সুন্দর বিশ্লেষণ। মাওলানা আবুল কালাম আযাদ ও মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানীর ভুল সিদ্ধান্ত মুসলমানদের অনেক ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। কিন্তু অন্ধ আনুগত্য হতে অনেক কওমী আলেম এসব ভুলকে ভুল বলে স্বীকার করেন না, সঠিক সিদ্ধান্ত বলেই মনে করেন।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬
285214
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সুন্দর মন্তব্যটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। উনারা ভুল করেছিলেন বলে তাদের প্রতি শ্রদ্ধায় সেই ভুল কে ধরে থাকা আরো বড় ভুল।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File