অগ্নি ডানা। এপিজে আবদুল কালাম।
লিখেছেন লিখেছেন রিদওয়ান কবির সবুজ ২৮ জুলাই, ২০১৫, ১২:২১:৫৯ রাত
ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এবং ভারতকে মহাকাশ যুগে পেীছে দেওয়া বিজ্ঞানি আবুল পাকির জয়নুল আবেদিন আবদুল কালাম আজকে ২৭ শে জুলাই ইন্তেকাল করেছেন। স্বাধিন ভারতের ইতিহাসে যে কয়জন বিজ্ঞানি ভারতের মাটিতে বসেই উচ্চতর সন্মান ও জ্ঞান অর্জন করেছেন তিনি তাদের সর্বাগ্রে। ভারতের সর্বোচ্চ সন্মান ভারতরত্ন উপাধি লাভ এবং রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরও তিনি জ্ঞান চর্চা কখনও ত্যাগ করেননি। আজিবন অবিবাহিত এই ব্যাক্তি বিজ্ঞান সাধনাতেই নিয়োজিত ছিলেন সারাজিবন।
এপিজে আবদুল কালাম এর জন্ম ভারতের নামকরা তির্থস্থান তামিলনারুর রামেশ্বরম এ ১৯৩১ সালে। ভারত ও শ্রিলংকার সংযোগকারি প্রাকৃতিক ক্ষুদ্র দ্বিপমালা যা আদম সেতু বা রাম সেতু নামে পরিচিত সেই দ্বিপমালার ভারতিয় অংশের শুরু হয়েছে রামেশ্বরম থেকে। তার পিতা জয়নুল আবেদিন ছিলেন সেই সময় রামেশ্বরম এর একমাত্র (সম্ভবত এখনও তাই) মসজিদ এর ইমাম। সংসার চালানর জন্য তিনি মাছ ধরা ও কৃষিকাজ করতেন। পিতার তত্বাবধানে তার শিক্ষার শুরু। দ্বিতিয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পারিবারিক চাহিদা মিটাতে তিনি বাজারে তেঁতুল বিচি বিক্রি করতেন ও তার চাচাত ভাই এর সংবাদ পত্র হকার এর ব্যবসাতে সাহাজ্য করতেন। তার জিবনে বিশেষ প্রভাব রেখে ছিলেন তার বড় বোন জোহরার স্বামি আহমদ জালালুদ্দিন। ছোট বেলা থেকেই বই পড়ার খুবই শখ ছিল তার। স্থানিয় স্বাধিনতা সংগ্রামি এসটিআর মানিকাম তার অনুসন্ধিচ্ছা দেখে তার ব্যাক্তিগত লাইব্রেরি ব্যবহার এর সুযোগ দেন তাকে। শৈশবে একটি ঘটনা তার মনে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে। তার সহপাঠি বন্ধু ছিলেন তৎকালিন রামেশ্বরম এর তির্থ মন্দির এর প্রধান পুরোহিত পক্ষি লক্ষনা শাস্ত্রির পুত্র রামনাধা শাস্ত্রি। একদিন স্কুলে টুপি পরা মুসলিম আবদুল কালাম পুরোহিত পুত্র ব্রাম্মন রামনাধা শাস্ত্রির পাশে বসায় একজন শিক্ষক তাকে উঠে পিছনে যেতে বলেন। ঘটনা জানতে পেরে লক্ষনা শাস্ত্রি সেই শিক্ষককে তার কাছে ক্ষমা চাইতে অথবা স্কুল ত্যাগ করার নির্দেশ দেন। রামেশ্বরম এর সাম্প্রদায়িক পরিস্তিতি তখন এমনই উদার ছিল।
মেধাবি আবদুল কালাম কে তার পিতা একটু দুরে রামনাথপুরম এর শোয়ার্টজ হাই স্কুল এ ভর্তি করিয়ে দেন। এই স্কুল টি ছিল এলাকার সেরা স্কুল এবং এর দক্ষ এবং উদার শিক্ষকরা তার মেধার সঠিক মুল্যায়ন করেন। মেট্রিক পরিক্ষার পর তিনি ত্রিচিনপল্লি বা তিরুচ্চিরাপল্লির সেন্ট জোসেফ কলেজ এ ভর্তি হন। এখান থেকে ইন্টারমিডিয়েট ও বিএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। অতি মেধাবি না হলেও তার বইপড়া এবং জ্ঞানঅর্জন এর ত্রিব্র ইচ্ছা সবারই দৃষ্টি আকর্ষন করত। বিশেষ করে তাকে খুবই আকর্ষন করে পদার্থবিদ্যা। কিন্তু বিএসসি ডিগ্রি অর্জন এর পর তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সিদ্ধান্ত নেন। এই জন্য তিনি ভারতের অন্যতম বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান মাদ্রাজ ইন্সটিটিউট অফ টেকনলজি তে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করেন এবং নির্বাচিত হন। এই বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান টিতে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রয়োজনিয় অর্থ তার পিতা যোগাড় করতে না পারলে তার বোন জোহরা তার সোনার বালা ও চেন বন্ধক দিয়ে প্রয়োজনিয় অর্থ যোগাড় করে দেয়। মাদ্রাজ ইন্সটিটিউট অফ টেকনলজিতে তিনি এরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার শিক্ষক দের মধ্যে ছিলেন ডঃ কুর্ট ট্যাংক নামের একজন জার্মান। যিনি দ্বিতিয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির জঙ্গি বিমান তৈরির প্রকল্পে কর্মরত ছিলেনএবং বিমান ও ক্ষেপনাস্ত্র তৈরিতে যাকে অন্যতম অথিরিটি গন্য করা হত। এই প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে গ্র্যাজুয়েশন লাভ করেন। বিদায় অনুষ্ঠানে তাকে বিশেষ সন্মান প্রদর্শন করে অধ্যাপক দের সাথে বসান হয়।
গ্র্যাজুয়েশন এর পর তিনি দুটি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করেন। একটি ভারতিয় বিমান বাহিনি এবং ভারতিয় প্রতিরক্ষা গবেষনা বিষয়ক সংস্খা। উভয় প্রতিষ্ঠানে ইন্টারভিউ দিতে তিনি জিবনের প্রথম বারের মত উত্তরভারতের দিল্লি ও দেরাদুন এ যান। বিমানবাহিনির পরিক্ষায় ভাল করলেও তাকে বাদ দেওয়া হয় এই যুক্তিতে যে তিনি যথেষ্ট স্মার্ট নন! তিনি গবেষনা সংস্খায় যোগদেন সিনিয়র সায়েন্টিফিক এসিস্টেন্ট পদে। এখানে তিনি প্রথমে ন্যাট বিমান এর ভারতিয় সংস্করন এর উন্নয়ন এর কাজে যোগ দেন। এরপর বাঙ্গালোর এ তার নেতৃত্বে ভারতে প্রথম হোভারক্রাফট নির্মান এর প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এই প্রকল্পে ভারতিয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রি কৃষ্ন মেনন এর সাথে তার পরিচয় হয়। এর পর তিনি ভারতিয় মহাকাশ গবেষনা সংস্খা ইন্ডিয়ান কমিটি ফর স্পেস রিসার্চ সংক্ষেপে ইনসকপার এ যোগ দেন।
এই সংস্থায় যোগ দেওয়া তার জিবনের নতুন দিগন্তের উন্মোচন করে। সংস্থার প্রধান ছিলেন ভারতিয় মহাকাশ গবেষনার পথিকৃত ডঃ বিক্রম সারাভাই। ডঃ সারাভাই অাবদুল কালাম এর মেধা ও যোগ্যতায় আকৃষ্ট হন এবং ভারতের প্রথম স্পেস লঞ্চিং ষ্টেশন তৈরির জন্য প্রশিক্ষন এর উদ্দেশ্যে প্রেরন করেন আমেরিকাতে। আমেরিকা থেকে ফিরে তিনি কেরল এর থুমবা এলাকায় প্রথম ভারতিয় স্যাটেলাইট লঞ্চিং ষ্টেশন এবং ভারতিয় প্রযুক্তিতে নির্মিতব্য প্রথম স্যাটেলাইটবাহি রকেট এসএলভি-৩ এর প্রকল্প পরিচালক এর দায়িত্ব গ্রহন করেন। একাধিক বার ব্যার্থতা এবং সংবাদপত্র সহ সরকারি আমলা দের ব্যাঙ্গ ও বিরোধিতার মুখে ১৯৮০ সালের ১৭ ই জুলাই ভারত নিজের মাটি থেকে প্রথমবারের মত সফল স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন এর সমর্থ হয়। আর আবুল কালাম হয়ে উঠেন ভারতের জাতিয় বীর।
আরো কয়েকটি মহাকাশ বিষয়ক প্রকল্পে সফল নেতৃত্ব দেওয়ার পর তাকে ভারতের প্রধান প্রতিরক্ষা গবেষনা সংস্থা ডিফেন্স রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট অরগনাইযেশন এ নিযুক্ত করা হয়। এখানে তার নেতৃত্বে ভারতের বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম ও ক্ষেপনাস্ত্র এর উদ্ভাবন ও পরিক্ষা চলে। বিশেষ করে ভারতের প্রথম দূর পাল্লার মিসাইল অগ্নি-২ এর নির্মান ও সফল উৎক্ষেপন এর জন্য তিনি বিশেষ ভাবে খ্যাতি লাভ করেন। ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি বিভিন্ন মিসাইল যথা অগ্নি,পৃথ্বি, নাগ,আকাশ ইত্যাদি এর নির্মান ও গবেষনা কাজে নেতৃত্ব দেন তিনি। ১৯৯২ সালে তিনি ভারতিয় প্রধান মন্ত্রির বিজ্ঞান বিষয়ক উপদেষ্টা পদে যোগ দেন এবং পোখরানে ভারতের দ্বিতিয় পারমানবিক পরিক্ষার কাজে সক্রিয় অংশগ্রহন করেন। ২০০২ সালে তিনি বিজেপির নেতৃত্বে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক এলায়েন্স এর প্রার্থি হিসেবে ভারতিয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেন। প্রধান বিরোধি দল কংগ্রেস ও তাকে সমর্থন করলে তিনি নির্বাচিত হন এবং ২৫ এ জুলাই ২০০২ সালে ভারতের ১১ তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। ২০০৭ সালে রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার মেয়াদ শেষ হলে দ্বিতিয়বার প্রস্তাব থাকা সত্বেয় রাজি হননি এবং বাকি জিবন তার প্রতিষ্ঠিত ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে দরিদ্রদের মধ্যে সাস্থ সেবা এবং উন্নত প্রযুক্তি শিক্ষা পেীছে দেওয়া এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার মাধ্যমে অতিবাহিত করেন। তিনি ভারতিয় যুবকদের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন কাজ করেন। এছাড়াও ভারতিয় নিজস্ব প্রযুক্তি নির্মান এর মাধ্যমে বিদেশ নির্ভরতা হ্রাস এর জন্যও তিনি সবাই উদ্বুদ্ধ করতেন। একজন পরিবেশবাদি এবং পরিবেশ এর সাথে সম্মন্বিত প্রযুক্তি নির্মানের উদ্বুদ্ধকারি বিজ্ঞানি হিসেবেও তার বিশেষ অবদান আছে। বেশ কিছু বই ও রচনা করেছেন তিনি। যার মধ্যে তার আত্মজিবনি ”উইংস অফ ফায়ার” একটি অত্যন্ত সুপাঠ্য ও গুরুত্বপূর্ন বই।
আজকে ২৭ শে জুলাই ২০১৬ সালে তিনি মেঘালয় এর শিলংএ ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট এ বক্তৃতা দেওয়ার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন।
জন্মসুত্রে মুসলিম এই বিজ্ঞানি সম্পর্কে আমাদের অনেকের মধ্যে এই ভুল ধারনা প্রচলিত আছে যে তিনি নাস্তিক। তিনি নিরামিষভোজি ছিলেন বলে অনেকে এটাও ধারনা করেন তিনি হিন্দু। এছাড়া ভারতের মত একটি ব্রাম্মন্যবাদি সাম্প্রদায়িক দেশের হয়ে অত্যাধুনিক যুদ্ধের প্রযুক্তি নির্মান করায় তাকে অনেকে ইসলাম বিরোধি ও মনে করেন। প্রকৃতপক্ষে কলেজে পড়ার সময় অর্থের অভাবে তিনি নিরামিষ মেস এ যোগ দিতে বাধ্য হন এবং নিরামিষ খাবারে অভ্যস্ত হয়ে যান। অন্যদিকে রামেশ্বরম এর শান্ত সাম্প্রদায়িকতাহিন পরিবেশ ও তার উপর প্রভাব ফেলে। এছাড়া জন্মসুত্রে ভারতিয় নাগরিক হওয়ায় তার পক্ষে ভারতের হয়ে এই ক্ষেপনাস্ত্র তৈরির প্রকল্পে অংশগ্রহনে বিস্ময় এর কিছু আছে বলে মনে হয়না। তার লিখা ও বক্তৃতাতে সুস্পষ্ট দেখা যায় তিনি অত্যন্ত বিশ্বাসি একজন ব্যাক্তি এবং তাকে নামাজ আদায় করতেও দেখা গেছে। তিনি ভারতিয় হতে পারেন কিন্তু তার জিবনে আমাদের জন্য শিক্ষা গ্রহন ও শ্রদ্ধার মত অনেক বিষয় আছে।
তার ছাত্র জিবনের একটি ছবি সুপরিচিত চুল তখনও ছিল তার
বিষয়: বিবিধ
২২৫২ বার পঠিত, ৬০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ।
আমাদের রাসুল (সাঃ) বইলাছেন, 'কোন মুসলমান যদি অমুসলিম দেশের প্রতিনিধি হইয়া তুমাদের সাথে চুক্তি ও দেন দরবার করিতে চায়, তাইলে জানিবা তিনি সেই দেশের তোমাগো কেই না'।
অর্থাৎ তার দ্বারা তুমাদর কুন উপকার নাই, তাদের উপকারীই হইবে। যাক, তিনি চইলা গেছেন, হিন্দু মালাউনের দেশে আনবিক বোমা দিয়া গেছে। আল্লাহ তাঁরে স্বর্গ বাসি করুন।
তার লিখা ও বক্তৃতাগুলি অত্যন্ত শিক্ষনিয় ও উৎসাহমুলক।
আপনি ওনার প্রতি আপনার আন্ডারস্ট্যান্ডিং অনুযায়ী যথাযথ সন্মান প্রদর্শন করেছেন - আল্লাহ আপনার এই নিষ্কুলুষ, নিরহংকার মনোবৃত্তি পোষন করার জন্য উত্তম জাজা দিন - এই কামনা করি। আল্লাহ আমাদেরকে দিয়ে সঠিক কথা বলার ও সঠিক কাজ করার সুযোগ দিক - কখনো ইসলামের সাথে কন্ট্রাডিকটরী কোন কিছু না বলাক, না লিখাক - এটাই প্রার্থনা সবসময়।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটির জন্য।
জ্ঞানি শ্রদ্ধা করা এবং তার জ্ঞান এর সহায়তা নেওয়ার মধ্যে ইসলামে কি বাধা আছে কুঝতে পারছিনা। অনেকে কেন তার প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে আপত্তি করছেন সেটাই বুঝছি না।
আমার কথা হলো, নিজে কোন ব্যাপারে শিউর না হয়ে কিছু বলে বা লিখে অন্যকে বিভ্রান্ত করলে তার জন্য কি আপনিই দায়ী থাকবেন না? আপনি জবাবে বলেছেলেন, আপনি তার অনেক বই পড়েছিলেন। কেউ কি তার বইয়ে তার এই সমস্ত দিকগুলো তুলে ধরে যার দ্বারা আপনি তার সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেতে পারেন?
মনে রাখবেন, নিজে বিভ্রান্ত হলে তার দায় শুধুমাত্র আপনার উপরে। কিন্তু ভুল কথা বলে, বা ভুল পরিচয় তুলে ধরার কারণে অনেকে বিভ্রান্ত হতে পারে, যা পরকালে আপনার কৃত নেক কাজগুলোকে খেয়ে ফেলতে পারে। তাই আমাদের সবার সাবধান হওয়া উচিত। ধন্যবাদ।
যে নিউজ এর কথা বলেছেন সেই নিউজ এর উৎস সম্পর্কে দেখেছেন কি?
একজন মুসলিম কে মুর্তাদ এর ন্যায় আচরন না করলে কখনই অমুসলিম বলা যাবেনা।
ধন্যবাদ।
এটা আমার ফর্মূলা নয়।
আগে ভাল করে মুসলমান আর নন মুসলমান কারা তা ভাল করে জানা দরকার।
দুঃখিত! আপনার সম্পর্কে আমার ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
আমি আপনার লিখাটি দেখিনি, এ ব্যাপারে আমি একটি পোষ্ট দিয়েছি, সেটাতে আহমেদ মুসা মন্তব্য করেছে। তখন আপনার পোষ্ট সর্ম্পকে জানতে পারি। তাই খুঁজে আপনার পোষ্টটি বের করলাম। উপরের কথাটি আমার পোষ্টেরই একটি কথা। অনেক ধন্যবাদ
কারো জিবন সম্পর্কে বিস্তারিত না জেনে আমরা এক্সট্রিম পর্যায়ে মন্তব্য করে ফেলছি।
অন্যদিকে রয়েছে আরেকজন আব্দুল যার কামই হলো সংখ্যার বিচারে দেড়শ কোটিরও বেশী, মুল্লুকের তুলনায় বায়ান্নাটি দেশ- স্বজাতীর হাতে দিল্লী কা লা্ড্ডু তুলে দেয়ার কারণে তামাম দুনিয়ার সমস্ত মোড়ল-মাতুব্বুর তার উপর রেড এলার্ট জারি করলো। এমনকি স্ব-জাতির মোসাহেবজাদা বুশাররফ মশাই অনেকটা রাস্তার বাশ নিয়ে নিজের পশ্চাতে ডুকানোর মতো মহৎ! কর্মটি করতে দ্বিধা করলেন না!!! শুনেছিলাম কুদরতওয়ালার গোলাম মশাই সে সময়ে কুদরতওয়ার দিদার লাভের আশায় তার ঘর জিয়ারতের উমীদ করেছিল লেকীন খাদেমুল হারামাইন আশ শরীফাইন এবং বুশারারফ মশাই তার মতো একটা অপযাচকের! হাত পায়ে লাগানো বন্ধী শিকলের তালার চাবি নাকি মহা মাতাব্বর আমেরিকা এবং তার লোকাল খাদেম সেই কথার গোলামের সুবিধাভোগী চাণক্যের সূর্যসন্তানদের হেফাজতে রেখেছিলেন।
যেহেতু উনার সম্পর্কে বিভিন্ন প্রকার কথা রয়েছে, কেউ বলছেন ইসলাম বিদ্ধেশী কেউ বলছেন: ভাল লোক ও ইসলামী মাইন্ডের ছিলেন।
তাই ব্যপারটি আল্লাহর উপর ছেড়ে দেওয়া উচিৎ
আল্লাহই তার কৃতকর্ম সম্পর্কে ভালো জানেন।
সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া।
সুন্দর যুক্তিযুক্ত মন্তব্যটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। উনি ইসলাম বা কোন ধর্মই বিদ্বেষি ছিলেন না।
কিন্তু আমরা তো তাকে অগ্নিপুজারি ও বানিয়ে ফেলছি।
ধন্যবাদ মন্তব্যটির জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।
একজন জ্ঞানির অর্জিত জ্ঞান সবার উপকারেই আসে। উনার প্রচুর লিখা পড়ে ও বক্তৃতা শুনে এই বিষয়ে আমি নিশ্চিত যে তিনি মানসিকভাবে হিন্দু ছিলেন না। সুফিদের মত সর্বেশ্বরবাদি ছিলেন। হতে পারে তিনি পূর্নাঙ্গ মুসলিম ছিলেন না কিন্তু তাকে অমুসলিম বলার সুযোগ আমাদের নাই। লতিফ,গাফফার চেীধুরি কিংবা তসলিমার মত ইসলাম বিরোধি উক্তি তিনি কখনও করেননি যে তাকে মুরতাদ ঘোষনা করা যাবে।
নজরুল ইসলাম টিপু ভাই মরহুম কে নিয়ে একটা পোস্ট লিখেছেন, দয়া করে উনার লিখাটা একটু পড়বেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন