কোন মুসলিম তো করেনি! তাই............
লিখেছেন লিখেছেন রিদওয়ান কবির সবুজ ১৯ জুন, ২০১৫, ০৩:২২:২৩ রাত
আজকে বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট আর প্রথম তারাবির ব্যাস্ততায় অনেকের হয়তো চোখ এড়িয়ে গেছে একটি দুঃখজনক ঘটনার কথা। ঘটনাটি বর্তমান বিশ্বের প্রধান দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলিনা রাজ্যের চার্লসটন শহরের। এই শহরের একটি বিখ্যাত ও ঐতিহ্যবাহি ইমানুয়েল আফ্রিকান মেথডিস্ট এপিসক্যোপেল চার্চ এ এক বন্দুকধারির গুলিবর্ষনে ঝড়ে গেছে নয়টি প্রান। যার একজন সাউথ ক্যারোলিনার রাজ্য সিনেট এর সদস্য ক্লিমেন্ট এইচ. পিন্কনে যিনি এই চার্চটির প্যাস্টর তথা প্রধান যাজক।
যুক্তরাষ্ট্রের এই সাউথ ক্যারোলিনা রাজ্যটি গত কিছুদিন ধরেই বর্ণবাদ এর বিষবাস্পে আচ্ছন্ন। একই শহরে গত এপ্রিল মাসে ওয়াল্টার স্কট নামে এক ৫০ বছর বয়সি কৃষ্ঞাঙ্গ কে গুলি করে হত্যা করে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার। শহরের পুলিশ বিভাগ প্রথমে এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ কে নির্দোষ ঘোষনা করে এবং বলা হয় যে সে আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়েছে। কিন্তু সেই সময় এক পথচারি সম্পুর্ন ঘটনাটি তার মোবাইল ফোনে ভিডিও করে ফেলেন। সেটা থেকে প্রমান হয় যে সেই পুলিশ অফিসার আত্মরক্ষার্থে নয় বরং ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করেছে ওয়ালটার স্কট কে। এফবিআই এই ঘটনার পূনতদন্ত করে এবং এই পুলিশ অফিসার এখন আটক ও বিচারের মুখোমুখি। এই ঘটনার পরপরই শহরটিতে বেশ দাঙ্গা হয়। সাউথ ক্যারোলিনার শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে থাকা ত্রিব্র বর্ণবাদ প্রকাশিত হয়ে পরে এর ফলে। সেই ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়অর আগেই ঘটল এই ঘটনা।
বাইবেল ক্লাসে উপস্থিত হওয়া এই নয়জন কে হত্যা কারি হচ্ছেন এফবিআই এর তথ্য অনুযায়ি ডাইলান স্টর্ম রুফ। একুশ বছর বয়সি এই সোনালিচুল এর অধিকারি শ্বেতাঙ্গ সম্পর্কে এখনও বেশি তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে তার ফেসবুক পেজ এ দেখা গেছে সে বর্নবাদি দক্ষিন আফ্রিকা এবং রোডেশিয়ার পতাকা সম্বলিত পোষাক পরে ছবি তুলেছে। এছাড়া প্রতক্ষদর্শিরা বলেছেন এই ঘটনার সময় সে বলছিল "আমাকে এটা করতেই হবে। তোমরা আমাদের মেয়েদের ধর্ষন করছ, আমাদের দেশ দখল করছ, তোমাদের চলে যেতে হবে।"
প্রাথমিক ভাবে বলা হচ্ছে সে একজন হোয়াইট সুপ্রিমিষ্ট বা শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদি বা বর্ণবাদি। যে স্থানে এই ঘটনা ঘটেছে সেই চার্চটি ১৯৯ বছরের পুড়ান এবং মার্কিন ইতিহাসে বিশেষ করে ক্রিতদাস দের মুক্তির বিষয়ে তার অনেক অবদান আছে। ওয়ালটার স্কট এর বিষয়ে এই চার্চ থেকেই প্রথম প্রতিবাদ মিছিল বের হয়েছিল এবং তা প্যাস্টর ক্লিমেন্ট এইচ. পিন্কনে এর নেতৃত্বেই। তাই শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদিরা প্রতিশোধ গ্রহন এর ইচ্ছাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে সন্দেহ। সঠিক তদন্ত হলে এই বিষয়ে আরো তথ্য পাওয়া যাবে ।
ঘটনাটি দুঃখজনক। কিন্তু তারপরও একটি বিষয় সবার সামনে নগ্ন হয়ে প্রকাশিত হয়ে গেছে। মার্কিন তথা আন্তর্জাতিক মিডিয়া একবারও বলছেনা হত্যাকারি শ্বেতাঙ্গ খৃষ্টান। তার ধর্ম পরিচয় নিয়ে কোন কথাই বলা হচ্ছেনা। অথচ এই জায়গায় যদি কোন মুসলিম হত!! নিশ্চিতভাবেই বলা যায় সেক্ষেত্রে হত্যাকারির ধর্ম পরিচয়ই বড় হয়ে দেখা দিত। যেমন ঘটেছিল শার্লি হেবডো এর ক্ষেত্রে। কিন্তু এবার তা হয়নি।
কারন সে তো মুসলিম নয়!!
বিষয়: বিবিধ
১৩৭২ বার পঠিত, ৩৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অপপ্রচার দিয়ে সত্য কে ঢাকা যায়না্।
অনেক ধন্যবাদ।
ফালতু মন্তব্যটি মুছে দিয়েছি তাই আপনার জবাবটাও মুছে গেছে।
ধন্যবাদ।
মুসলমান নামধারী অনেক ধর্মহীন সেকুলার আর নষ্ট বাম আছে, আছে মাথা মোটা গোড়া মৌলুভী।
সন্ত্রাসী সে ধর্মহীন সেকুলার, নষ্ট বাম আর গোড়া মৌলুভী যেই হোকনা কেন তারা অন্তত শান্তির ধর্ম ইসলামের অনুসারী না।
ধন্যবাদ।
কোন মুসলিম নামধারির কাজকেই তারা মুসলিম জাতির উপর চাপায়।
এখন অস্ত্রধারীরা মুসলমান নয় সেটা বুঝানোতে ফল হবে বলে মনে হয় না। তবে বেশি করে এটাই প্রচার করতে হবে যে ইসলাম এখন অপপ্রচারের শিকার হচ্ছে।
জড়ানোর আর কিই বা বাকি আছে ! ইরাক , আফগান , লাদেন , সাদ্দাম , আল-কায়েদা(এনে দেয় বহুত ফায়দা) ... এসব দেশ লুটে পুটে নিয়েছে কত আগেই ,এরা তো অনেকেই এখন নেই বা এরকম থিমে কাজও এরা চালায় না ।
এখনকার যারা আমেরিকান তারা আদতে বৃটিশ । কৃতদাস তারাই বানিয়েছিল । এখন তাদের দেশে জনসংখ্যা বাড়াতে বা ধরে রাখতে বাইরের দেশ থেকে মানুষ আনতে হয় । এতে অন্যধর্মের ও বর্ণের মানুষের আধিক্য বেড়ে যাচ্ছে বলেই বর্ণবাদী খৃষ্টানদের মাথা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ।
অন্যদের হামেশা নীতি কথার সবক শুনানো দেশের অধিবাসী(!)দের মানসিকতা খুবই জঘন্য মানের ।
ধন্যবাদ।
মিডিয়াতে ঘটনাটি এসেছে অনেক পরে। তাও এত গুরুত্ব পেতনা মনে হয় যদি একজন প্রাদেশিক সিনেটর এই ঘটনায় নিহত না হতেন।
ফালতু মন্তব্যটা মুছে দিয়েছি তাই আপনার জবাব টাও মুছে গেছে।
পোষ্টটির জন্য সবুজ ভাইকে ধন্যবাদ।
প্রাদেশিক সিনেটর নিহত না হলে এতটা নিউজ ও আসত না।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
কারন হত্যাকারী মুসলিম নয় ;
২) জোসেফ স্টাললিন, একজন নন মুসলিম। সে ২০ মিলিয়ন মানুষ হত্যা করেছে, ইনক্লুডিং ১৪. ৫ মিলিয়ন মানুষ অসুস্থ হয়ে ধুকে ধুকে মরেছে! মিডিয়া একবারও তাকে বলেনি সে খ্রিস্টান টেররিস্ট।
৩) মাও সে তুং একজন নন মুসলিম। ১৪ থেকে ২০ মিলিয়ন মানুষ হত্যা
করেছে ! মিডিয়া একবারও তাকে বলেনি সে টেররিস্ট।
৪) মুসলিনী (ইটালী) ৪০০ হাজার মানুষ হত্যা করেছে ! সে কি মুসলিম ছিল? অন্ধ মিডিয়া একবারো বলে না খ্রিস্টান টেররিস্ট !
৫) অশোকা (কালিঙ্গা বেটল) ১০০ হাজার মানুষ হত্যা করেছে ! মিডিয়া একবারও তাকে বলেনি সে খ্রিস্টান টেররিস্ট।
৬) আর জজ বুশ ইরাকে,আফগানিস্থানে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন মানুষ হত্যা করেছে ! কই ব্লাডি মিডিয়া তো বলে না খ্রিস্টান টেররিস্ট !
৭) আর হায়দ্রাবাদের কসাই নাম পরিচিত নরেন্দ মোদি শত শত মুসলিম নিধন করেছে সবাই জানে ! তবুও মিডিয়া বলে না হিন্দু টেররিস্ট।
৮) এখনো মায়ানমারে প্রতিদিন মুসলিম রোহিঙ্গাদের খুন , ধর্ষণ , লুটপাট, উচ্ছেদ করছে ! তবুও কোনো ব্লাডি মিডিয়া বলে না বৌদ্ধরা টেরোরিস্ট !
ইতিহাস সাক্ষী পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে বড় বড় গনহত্যা করেছে নন মুসলিমরা আর এরাই দিন রাত গণতন্ত্র জপ করে মুখে ফেনা তুলে ! অথচ এদের দ্বারাই মানবতা লুন্ঠিত !
মুসলিম দের মধ্যে ছোট ঘটনাকেই তারা বড় করে দেখায় আর নিজেদের গুলি চেপে যায়।
ধন্যবাদ মন্তব্যটির জন্য।
ধন্যবাদ মন্তব্যটির জন্য।
সহমত ।
একমত!! এই নিয়ে মার্কিন কিছু সংগঠন ও প্রশ্ন তুলেছে।
এর কারণ একটাই, আজ মুসলিমরা কোরান থেকে বহুদুরে, আজ তাদের কাছে ইসলামি কালচারের চেয়ে অমুসলিমদের কালচার বেশি ভাল মনে হয়।
নিজের অধিকার নিজেকেই বুঝে নিতে হবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন