বাংলাদেশের ইহুদি সম্প্রদায়।
লিখেছেন লিখেছেন রিদওয়ান কবির সবুজ ১২ জুন, ২০১৫, ০২:১৮:১৯ রাত
বাংলাদেশে এখনও ইহুদি ধর্মাবলম্বি আছেন অনেকেই হয়তো জানেননা। কিন্তু সত্যই আছেন! বর্তমানে ঢাকায় তারা বসবাস করছেন পুড়ান ঢাকার কিছু এলাকায়। এরা অনেকেই ১৯৪৭ সাল এর পর এখানে বসতি করেছেন আবার কোন কোন পরিবার আরো আগে মোগল আমল থেকেই আছেন। উপমহাদেশের অন্যান্য অংশের মত বাংলাদেশেও ইহুদিদের আবাস অনেক প্রাচিন। সুলতানি আমলেই বেনে ইসরাইল সম্প্রদায় এর ইহুদিরা এই ভারত এর কোনকান ও কোচিন উপকূলে বসবাস শুরু করেছিল। আর বাংলাদেশের অতি নিকটবর্তি ভারতের মিযোরাম এর একটি ছোট গোষ্ঠি “বেন মেনাশে” বনি ইসরাইল এর হারিয়ে যাওয়া দশটি গোত্রের একটি বলে স্বিকৃতি দেওয়া হয়েছে যারা স্মরনাতিত কাল থেকেই বর্তমান ভারত এর মিজোরাম ও মনিপুরে বসবাস করছে এবং তাদের বিশেষ ধরনের ধর্মিয় আচরন পালন করছে। বাংলাদেশে কখন প্রথম ইহুদিরা আসে তার রেকর্ড না থাকলেও সুলতানি আমল এর প্রথম দিকে এবং মোগল আমল এর মাঝামাঝি অনেক ইহুদি ইউরোপ ত্যাগ করে তৎকালিন মুসলিম জাহান এর অন্যান্য স্থান এর মত বাংলাদেশেও আশ্রয় গ্রহন করে থাকতে পারে। মোগল আমলে যখন ইউরোপিয় দের সাথে বানিজ্য বৃদ্ধি পায় তখন প্রধানত ব্যবসায়ি এই ইহুদি শ্রেনি মহাজন ও ব্যাবসায়ি হিসেবে খ্যাত হয়ে উঠে। এছাড়া জহুরি হিসেবে ইহুদিদের খ্যাতি ছিল এবং মুল্যবান রত্ন ব্যাবসার বড় অংশই উপমহাদেশে ইহুদিদের নিয়ন্ত্রনে ছিল।
উপমহাদেশে বসবাসকারি ইহুদিরা প্রধানত দুটি ভাগে বিভক্ত ছিলেন। বেনেইস্রাইল ও বাগদাদি ইহুদি। বাগদাদি বলা হলেও তারা মূলত ইউরোপিয় ইহুদি যারা ক্রুসেড এর সময় মুসলিম অঞ্চলে আশ্রয় গ্রহন করেছিলেন। এদের সাধারন ভাষা ছিল আরবি। বাগদাদি ইহুদিরা মোগল আমলের শেষ দিকে ব্যবসার উদ্দেশ্যে এই দেশে আগমন করেন। ১৭৫৭ এর পর থেকে উপমহাদেশের রাজধানি হিসেবে কলকাতার গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়। তাই কলকাতা ভিত্তিক ইহুদিদের সমাজ গড়ে উঠে। মোগল আমলে ঢাকায় বসতি করা অনেক ইহুদি পরিবার এই সময় কলকাতা চলে যান। তবে ব্যবসায়িক কারনে কেউ কেউ নিয়মিত ঢাকা ও চট্টগ্রাম এর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলতেন এবং এখানে সাময়িক বসবাস করতেন। কলকাতায় ইহুদিদের উদ্যোগেই গড়ে উঠে ট্রিংকা রেষ্টুরেন্ট ও গ্রান্ড হোটেল এর মত প্রতিষ্ঠান। ঢাকার বেঙ্গল ব্যাংক এর উদ্যোক্তাদের মধ্যে ও ইহুদি ছিলেন। বৃটিশ আমলের শেষ দিকে ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে চট্টগ্রাম ও ঢাকার গুরুত্ব বৃদ্ধি পেলে অনেক ইহুদি পরিবার পুনরায় এখানে বসতি করেন এবং রংপুর ও রাজশাহিতেও কয়েকটি পরিবার চলে যায়।
১৯৪৭ সালের পর তৎকালিন পূর্বপাকিস্তানের অধিবাসি অনেক ইহুদি ভারত বা ইংল্যান্ড চলে যান। এদের অনেকেই ১৯৪৮ সালে ইসরাইল এর অবৈধ প্রতিষ্ঠার পর ইসরাইল চলে যান এবং সেখানে যথেষ্ট প্রভাবশালি হন। তবে তখনও কয়েকটি পরিবার রয়ে যায়। যার মধ্যে রাজশাহির কোহেন পরিবার এবং চট্টগ্রামের বারোক পরিবার অন্যতম। ঢাকাতেও থেকে যায় কিছু পরিবার। রাজশাহির কোহেন রা একমাত্র ইহুদি পরিবার হলেও খ্যাত হয়ে নানা কারনে। এই পরিবারের একজন সদস্য মরডেকাই কোহেন রাজশাহি শহরে বিশেষ খ্যাত ব্যাক্তি ছিলেন। তিনি রাজশাহি রেডিওর ঘোষক হন এবং পরবর্তিতে ঢাকায় টেলিভিশন কেন্দ্র চালু হলে টেলিভিশন এর ঘোষক এবং ইংরেজি সংবাদ পাঠক হন। শিল্পি মনের অধিকারি এই প্রতিভাবান ব্যাক্তি খান আতাউর রহমান এর বিখ্যাত "নবাব সিরাজউদ্দেীলা" সহ আরো কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর তিনি তার পরিবার সহ কলকাতা চলে যান। সম্ভবত এখনও জিবিত আছেন এবং কলকাতাতেই আছেন। তিনি সেখানেও তপন সিংহ এর বিখ্যাত ছবি ”সাগিনা মাহাত” সহ বিভিন্ন চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার একভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় মাস্টার্স ডিগ্রি নিয়েছিলেন। তিনি পরবর্তি তে ইসরাইল এর একটি বিশ্ববিদ্যালয় এ বাংলার অধ্যাপক হয়েছিলেন।
চট্টগ্রামের বারোক পরিবারে ছিলেন দুই ভাই। রহমিম এজরা বারোক এবং রহমিম ডেভিড বারোক। এজরা বারোক চাকমা রাজপরিবারের এক রাজকন্যা কে বিয়ে করেন এবং চন্দ্রঘোনায় বসবাস করতেন। তিনি বাংলাদেশ আমলে মৃত্যবরন করেন। চন্দ্রঘোনা ক্যাথলিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। ইহুদি হলেও স্থানিয় দের কাছে তিনি খৃষ্টান বলেই পরিচিত ছিলেন। এডি এডওয়ার্ড নামে পরিচিত ছিলেন তিনি। ব্যবসায়ি এবং মহাজন হিসেবে তার সুনাম ছিল। তার কোন সন্তান ছিলনা। তার ছোট ভাই ডেভিড বারোক বসবাস করতেন চট্টগ্রাম শহরে। সম্ভবত পাথরঘাটায়। তিনিও একজন ধনি ব্যবসায়ি ছিলেন। ১৯৭৮ সালে তিনি মৃত্যুবরন করেন এবং তাকে চট্টগ্রাম ক্যাথলিক চার্চ এর কবরস্থানে কবর দেওয়া হয়। ডেভিড বারোক এর ছেলে জোসেফ বর্তমানে কানাডাতে বসবাস করছেন। এছাড়া ইউনুস দানিয়েল নামে আরেকজন ইহুদি ব্যবসায়ি ও চট্টগ্রামে বসবাস করতেন যার নামের কারনে অনেকেই তাকে ইরানি মুসলিম বা ইসমাইলি শিয়া বলে ভুল করত।
চট্টগ্রাম এবং রাজশাহিতে কেউ না থাকলেও ঢাকায় এখনও একাধিক ইহুদি পরিবার রয়ে গিয়েছে। এরা খুবই নিরব জিবনযাপন করেন। ঢাকার আরমানিটোলায় বৃটিশ আমলে একটি সিনাগগ স্থাপিত হলেও বর্তমানে তা সরকারি অফিস। চট্টগ্রামেও বর্তমান চট্টগ্রাম রাইফেল ক্লাব এর স্থানে একটি সিনাগগ থাকার কথা শুনা যায়। ঢাকায় অবস্থান কারি ইহুদিরা প্রধানত টেক্সটাইল ব্যবসা এবং আমদানি অর্থায়ন এর ব্যবসা করে থাকেন। এছাড়া তারা মহাজনি ব্যবসায়ও তারা করে থাকেন যা ই্হুদিদের মধ্যে বহুল প্রচলিত। এরা নিজেদের ইহুদির পরিবর্তে অর্থডোক্স খৃস্টান বা জেহোভাস উইটনেস গোষ্ঠির বলেও পরিচয় দিয়ে থাকেন। এই সম্প্রদায় এর কয়েকজন ইংরেজি মা্ধ্যম এর স্কুল পরিচালনার ক্ষেত্রে জড়িত। এমন একজন হচ্ছেন প্রিসিলা জ্যাকব। যদিও তার স্বামি একজন ক্যাথলিক খ্রিস্টান। ঢাকায় বসবাসকারি ইহুদি সম্প্রদায় এর সন্তানরা সবাই অল্প কিছুদিন তাদের পরিচালিত ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়েন এবং একটু বড় হলেই ভারত বা অন্য কোথাও গিয়ে লেখাপড়া করেন। এদের অনেকেই পরে অন্য দেশে গিয়ে বসতি স্থাপন করেন । তাই এই সম্প্রদায় এর বাংলাদেশে অবস্থান সম্পর্কে অনেকেই অজ্ঞাত।
* লিখাটির তথ্যগুলি ইন্টারনেট এর বিভিন্ন সুত্র বিশেষ করে জোসেফ বারোক এবং ভারতিয় ইহুদিদের ইতিহাস গবেষক ডেভিড ওয়েলির লিখা থেকে নেওয়া। বারোক দের সম্পর্কে কিছু তথ্য বয়স্ক আত্মিয়দের কাছে শুনেছি।
বিষয়: বিবিধ
৬৫৫৫ বার পঠিত, ৬৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমিও জানতাম না বাংলাদেশে ইহুদি আছে বা থাকতে পারে!
তথ্যসমৃদ্ধ পোস্টের জন্য শুকরিয়া!
ধন্যবাদ মন্তব্যটির জন্য।
ওরা নিজেদের গোপন রাখতেই পছন্দ করে এবং এই ক্ষেত্রে তারা সফল।
ই্হুদিরা সারা বিশ্বেই ছড়িয়ে ছিল এবং স্বাভাবিক ভাবেই এখনও আছে।
সম্পূর্ণ অজানা জিনিশ জানলাম। ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
চমৎকার বিষয়ে সাবলীল একটা পোষ্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আজকের বিশ্ব ও এর গতি প্রকৃতি বুঝতে, এবং আগামী দিন গুলো সম্পর্কে ধারনা পেতে - মুসলিমদের উচিত কোরান ও হাদীসের আলোকে বনী ইসরাইল ও ইয়াহুদী এ দুটোর পার্থক্য ও প্রকৃতি নির্নয় করা, বিচার বিশ্লেষন করা। কোথায় কখন কেন আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুল সঃ বনী ইসরাইলকে এ্যাড্রেস করেছেন আর কোথায় কখন ও কেন ইয়াহুদীকে এ্যাড্রেস করেছেন।
সুন্দর মন্তব্যটির জন্য ধন্যবাদ। যতটুক জানি হযরত ইউসুফ(আঃ) তার ভাই বিনইয়ামিন এবং তার দশজন সৎ ভাই এর বংশধর রা বনি ইসরাইল নামে পরিচিত। আর ই্য়াহুদি বলতে হযরত ইউসুফ আঃ এর এক সৎ ভাই ইয়াহুদ এর বংশধরদের বুঝায়। উল্লেখযোগ্য বনি ইসরাইল এ মোট ১২ গোস্ঠির মধ্যে ইয়াহুদি রাই ইসরাইল এর প্রধান নাগরিক। অন্য গোষ্ঠির মানুষেরা ইসরাইলে পূর্ন নাগরিক এর মর্যাদা পান না।
ধন্যবাদ। আপনার জানাটি শেয়ার করার জন্য।
আপনার গবেষনার জন্য কিংবা খোঁজ খবরের জন্য আমার সীমিত ও ভাসাভাসা জানাটা শেয়ার করছি - আশা করি আপনার সোর্স এর সাথে ভ্যারিফাই করবেন এবং নতুন কিছু নিয়ে অন্য একদিন হাজির হবেন।
কোরান ও হাদীসে মুসা আঃ ধর্মানুসারী সবাই কেই ইয়াহুদী সম্ভোধন করা হয়েছে। আজকের সময়ে এসে ঐ এ্যাড্রেস করা ইয়াহুদীদের - সবাই বনী ইসরাইল নয় (ডিএনএ টেস্ট এর বদৌলতে) বলে প্রমান হয়েছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে ঐ ভেজাল বনী ইসরাইলীরা - যারা নিজেদেরকে লিটারেলী জোর করে ইয়াহুদী বলে কিন্তু তৌরাহর পরিবর্তে তালমুদকে প্রাধান্য দেয় এবং অর্থোডক্স ইয়াহুদীদেরকে বিশ্বে সেকেন্ড ক্লাস এ পরিনত করেছে - তারা ১৮৯৭+/- সালে ফেরাউনের লাশ আবিষ্কারের পর পর জিয়োনিস্ট আন্দোলনের সূত্রপাত করে। এই পার্টিকুলার ইয়াহুদীরা (নন বনী ইসরাইলীরা) পশ্চিমা খৃষ্টানদের (ক্যাথলিক এবং পরবর্তী প্রোটেস্টেন্ট শাখা) সাথে বন্ধুত্ব করে (পূর্বের অর্থোডক্স খৃষ্টানদের সাথে নয়) - ঠিক যেমনটি সুরা মায়েদার ৫১ নং আয়াতে বন্ধুগ্রুপের প্রতি ইন্ডিকেইট করা হয়েছে।
অন্যদিকে ট্রু বনী ইসরাইলী জিয়ুসরা বিশ্বের প্রায় সবখানে প্রায় একই রিচ্যুয়াল পালন করে এবং তোরাহকে প্রাধান্য দেয় এবং খৃষ্টানদেরকে কোন ভাবেই বন্ধু ভাবে না, একই ভাবে অর্থোডক্স খৃষ্টানরা ও ইয়াহুদীদের বন্ধু ভাবে না বরং মনে করে তারা তাদের গডকে ক্রুশবিদ্ধ করার অপরাধে অপরাধী।
আরো মজার ব্যাপার হল এই অর্থোডক্স খৃষ্টানরা গত শতাব্দীর প্রায় পুরো সময়টাতে ভেজাল বনী ইসরাইলীদের/জিয়োনিস্ট প্রক্সিদের হাতে গণ হারে গুম ও খুনের শিকার হয়েছিল, তাদের গীর্জা ও মোনস্ট্রিগুলোকে ধ্বংশ করে দেওয়া হয়েছিল এবং ধর্ম চর্চা ব্যান্ড করে দেওয়া হয়েছিল - ঠিক যেমন করে আজকে মুসলিমদের উপর তাদের প্রক্সির মাধ্যমে ঐ গুম, খুন ও ধর্ম চর্চা ব্যান্ড করার জন্য কারসাজি চালিয়ে যাচ্ছে।
আপনি রিসার্চ করলে আরো মজার ব্যাপার পাবেন এবং তা হল খোরাসানের জনগনের এক বিরাট অংশ মূলতঃ বনী ইসরাইল এবং যারা একই রিচ্যুয়াল পালন করে যা আমেরিকান কিংবা সাউথ আমেরিকান বনী ইসরাইলীরা পালন করেন কিন্তু ধর্ম বিশ্বাসে তারা মুসলিম। ডঃ ইসরার আহমেদ এর খোরাসান চিহ্নিত করা অঞ্চল দ্রষ্টব্য ও রিসেন্ট ডিএনএ টেস্ট রেজাল্ট এর আলোকে।
আমি ব্যাক্তিগতভাবে খুব করে চাই আরবী জানা কোন ভাই যদি কোরানে বলা ইয়া বনী ইসরাইল এর আয়াত সমূহকে এক জায়গায় আনবেন এবং আর একজায়গায় ই্য়াহুদীকে এ্যাড্রেস করা আয়াত সমূহ আনবেন এবং সমরূপে হাদীস সমূহকে - তবে আমরা একটা প্যাটার্ন পাবো - যা দিয়ে আমাদের আজকের এই টালমাটালবিশ্বের সময় কে অধিকতর গ্রহনযোগ্য উপায়ে বিচার বিশ্লেষন ও উপস্থাপন করতে পারবো।
ধন্যবাদ।
সামু ব্লগের মালিক জনার স্বামী অরিল্ড ও ইহুদি। সে জার্মান থেকে এসে সামুর উদ্যোগ নেয় বিশেষ পরিকল্পনায়। সামুর মাধ্যমেই বাংলাদেশে অনেক নাস্তিকের সৃষ্টি হয়
সূরা আম্বিয়ার ৯৫ নং আয়াতে বলা - ঐ শহরবাসী যাদেরকে আল্লাহ ছড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বে এবং কন্ডিশনালী ব্যান্ড করেছেন ঐ শহরে ফিরতে (আপনাকে কোরানের কয়েকটি অনুবাদ দেখতে হবে - এ বিষয়টি অনুভব করতে) - তারা সম্ভবতঃ ঐ বনী ইসরাইলী, ইয়াহুদী - যারা বাংলাদেশে ছিল।
আর যারা বৈবাহিক সূত্রে এসেছেন তারা হল ভেজাল বনী ইসরাইলী যারা সূরা মায়েদার ৫১ নং আয়াতের ইয়াহুদী।
ধন্যবাদ।
অনেনেনেনেক তথ্য জানলাম ভাইয়া
ইহুদি আর মুশরিকরা মুসলিমদেরকে দেখতে পারে না
বনি ইসরাইল এর একটি যায়োনিস্ট মতবলম্বি নামে গোষ্ঠি আছে। এরাই প্রধানত ইসলাম বিরোধি এবং নিজেদের পৃথিবির সেরা মানুষ বলে মনে করে।
বাংলাদেশে ইহুদী আছে তা
সর্বপ্রথম জেনেছি শেখ হাসিনার
কাছে শেয়ার করলাম।
https://youtu.be/5ppIHf6AWWk
উনার কাছে শেয়ার করার দরকার কি? উনার ছেলের বউ ই তো..............
ই্হুদি সম্প্রদায় এর মানুষ নাই পৃথিবিতে এই ধরনের দেশ বিরল।
ইহুদীরা আসলেই নিজেদের পরিচয় গোপন করে। অনেকে নিজেদেরকে খ্রিস্টান বলে পরিচয় দেয়। এরা খুবই চালাক কিন্তু ভীরু স্বভাবের। ভাল মন্দ দুটোই আছে। আমি যাদেরকে চিনি তারা আচরনে বেশ অমায়িক। দেখেি এরা নিজেরা নিজেদের মধ্যে ভালো যোগাযোগ রাখে। জাজাকাল্লাহ াজানা তথ্য শেযার করার জন্য।
ইহুদিরা কিন্তু পরস্পর কে খুবই সহায়তা করে যে কারনে তাদের মধ্যে দারিদ্র একেবারেই নাই।
সামুর লিখাটি পড়িনি। কার লিখা ছিল মনে আছে কি?
মজার বিষয় হচ্ছে ইন্টার নেটে এক লিখায় দেখলাম এক মার্কিন ইহুদি সাংবাদিক ব্লিটজ পত্রিকাটি সম্পর্কে বিরুপ মন্তব্য করেছেন। সেই পত্রিকার সম্পাদক তাকে ঢাকার সিনাগগ বলে যে বিল্ডিং দেখিয়েছিলেন সেটা প্রকৃতপক্ষে ফ্রি ম্যাসন লজ ছিল।
ভারতে ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত এর সাথে কলকাতা নিবাসি ইহুদিরা। পিছনের সারির সর্ববামের ব্যাক্তিটি মডি কোহেন হতে পারেন।
চকবাজারে জয়নগরে শিখ গুরদুয়ারা অবস্থিত। তার পুরোহিত বা গ্রন্থিকে তো মাঝেমধ্যেই দেখা যায় চকবাজারে। আপনি প্রথমবার কেন দেখলেন বুঝলাম না!! বাংলাদেশে ১০০০ এর মত শিখ আছে। সবাই প্রায় ঢাকা থাকেন। কয়েকটা পরিবার শুধু চট্টগ্রামের গুরদুয়ারার মধ্যে আছেন। এখানে ভারতিয় দূতাবাস এবং বিভিন্ন কোম্পানিতে কর্মরত শিখরা নিয়মিত প্রার্থনা করতে আসেন। আপনি তাদের কাউকে দেখে থাকতে পারেন।
শিরোনাম দেখে অবাক হয়েছিলাম।
কিন্তু খুশি হলাম জেনে বিষয়টি...
ধন্যবাদ ভাই।
আমাদের দেশ আরো বৈচত্রময় সম্প্রদায় রয়েছে।
ইহুদিরা পৃথিবির প্রায় সব দেশেই আছে। কারন তারা ছিল একটি যাযাবর জাতি।
আর বেশি পান্ডিত্য চাইলে ভার্সিটি যান!
ব্লগ হলো গনমানুষের মতামত দেওয়ার জায়গা!
ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন