বিস্মৃত এক বীরযোদ্ধা
লিখেছেন লিখেছেন রিদওয়ান কবির সবুজ ০৬ মে, ২০১৫, ১১:০২:১৮ রাত
আমরা যারা চট্টগ্রামের অধিবাসি কিংবা কাজের জন্য চট্টগ্রাম থাকি তাদের একটি বড় অংশই জানিনা এই চট্টগ্রামের মাটিতে জন্ম ও মৃত্যু বরন করেছেন এক মহান বিপ্লবি যোদ্ধা। বালাকোট এর যুদ্ধে সাইয়েদ আহমদ শহিদ এর অন্যতম সাথি সেই মুজাহিদ হচ্ছেন শাহ সুফি নূর মুহাম্মদ নিজামপুরি গাজি।
এই মহান ব্যাক্তিত্ব ১২০৫ হিজরি তথা ১৭৯০ সালে চট্টগ্রামের নিজামপুর পরগনার (বর্তমানে মিরসরাই উপজেলার অন্তর্ভুক্ত) মিঠানালা গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতা শেখ মুহাম্মদ পানাহ ছিলেন একজন শ্রেষ্ঠ আলিম। তার পরিবার এর পূর্ব নিবাস ছিল গজনি ও দিল্লি। তার পূর্বপুরষ তৎকালিন গেীড় থেকে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামে বসতি স্থাপন করেন।
পিতার তত্বাবধানেই তার শিক্ষার শুরু। তিনি কলিকাতা মাদ্রসায় ও শিক্ষা লাভ করেন এবং কিছুদিন সেখানে শিক্ষকতাও করেন। সাইয়েদ আহমদ বেরিলভি যখন হজ্জে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কলিকাতায় আসেন তখন সুফি নূর মুহাম্মদ তার সাথে পরিচিত হন। তিনি তার হাতে বাইয়াত হন। ১৮২৬ সালে সাইয়েদ আহমদ যখন জিহাদের ডাক দেন তখন তাঁর আহব্বানে সারা দিয়ে সুফি নূর মুহাম্মদ বর্তমান পাকিস্তান এর উত্তর-পশ্চিম সিমান্ত প্রদেশ এ যান এবং মুজাহিদ বাহিনির অন্যতম সেনাপতি হিসেবে জিহাদে অংশ গ্রহন করেন। ১৮৩১ সালে বালাকোট এর বিখ্যাত যুদ্ধে তিনি পায়ের হাঁটু তে গুলি লেগে আহত হন। বালাকোট এর বিপর্যয় এর পর তিনি প্রথমে কোলকাতা এবং পরে তার জন্মভুমি চট্টগ্রামের নিজামপুরে চলে আসেন। বাকি জিবন তিনি নিজ এলাকায় ইসলাম প্রচার এবং মানব সেবায় অতিবাহিত করেন। ১৮৫৮ সালে তিনি ইন্তেকাল করেন। তাকে মিরসরাই এর মলিয়াইশ গ্রামে তার নিজের প্রতিষ্ঠিত মসজিদ ও মাদ্রাসার পাশে কবর দেয়া হয়।
এই মুজাহিদ দির্ঘদিন আমাদের অনেকের কাছেই অপরিচিত ছিলেন। এই ব্যাক্তিত্ব সহ চট্টগ্রামের আরো কয়েকজন বিশিস্ট মুসলিম ব্যাক্তিত্ব সম্পর্কে জানতে এই বইটি সংগ্রহ করতে পারেন।
"চট্টগ্রামের একশ মুসলিম মনীষা ১ম ও ২য় খন্ড" (আরো দুটি খন্ড প্রকাশনা প্রস্তুতিতে রয়েছে)
লেখক-রায়হান আযাদ
প্রকাশক-সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ
প্রাপ্তিস্থান-এবিসি পাবলিকেশন্স,৪৩ শাহি জামে মসজিদ মার্কেট,আন্দরকিল্লা,চট্টগ্রাম।
বিষয়: বিবিধ
১১৭৯ বার পঠিত, ৩০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সুন্দর মন্তব্যটির জন্য ধন্যবাদ।
শুধু চাপা পড়ছে না বরং আমাদের ইতিহাস থেকে তাদের অবদান মুছে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে।
এরকম অনেক বুজুর্গানের কথাই আমাদের এখনো অজানা রয়ে গেছে ! ইতিহাস পড়ায় অনাগ্রহতা বা সঠিক ইতিহাস বিলুপ্তির কারনে এটি হয়েছে ।
চট্রগ্রামের মানুষ ছাড়া অন্য এলাকার মানুষদের জানলে কি ক্ষতি পূরন দিতে হবে ভাইয়া ?
ইতিহাসের প্রতি আমাদের উদাসিনতাই আমাদের সাতন্ত্রবোধ ও দেশপ্রেম কে নস্ট করছে।
আমাকে কিছু দিতে হবেনা!! অন্য এলাকার মানুষ দের তাদের এলাকার বিস্মৃত এই ইতিহাস খুজে বের করার উদ্যোগ নেয়া উচিত্।
এখন লিখুন জাতির জনক শেখ মুজিবের নাম
তবেই পাবেন সম্মান আর বড় বড় ইনাম।
অভাব আর থাকবে না।
দেখেন না বার্ন ইউনিটে তার ফটোসেশন?
মন্তব্য করতে লগইন করুন