প্যাকআপ। এখন ফিরে যাও।
লিখেছেন লিখেছেন রিদওয়ান কবির সবুজ ০৫ মে, ২০১৫, ০৭:৫৬:৪৬ সন্ধ্যা
"দেশি মিডিয়া! হায় হায়! মুর্দাবাদ..."
উক্তিটি ভারতের প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও কলামিস্ট শোভা দে'র। শোভা দে ভারতের বিখ্যাত সিনে ম্যাগাজিন স্টারডাস্ট এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও ছিলেন। ভারতিয় টিভি মিডিয়ার সাথেও প্রথম থেকে জড়িত এর ব্যাক্তিত তিনি। সাম্প্রতিক একটি কলামে এই শিরোনাম দিয়েছেন তিনি। নেপাল এর সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিধ্বংসি ভুমিকম্প নিয়ে ভারতিয় মিডিয়ার আচরন কে এভাবেই সমালোচনা করেছেন শোভা দে।
নেপালের এই ভুমিকম্প এর পরপরই ভারতিয় মিডিয়ার বিশাল দল ভুমিকম্প পরবর্তি উদ্ধারকার্য নিয়ে রিপোর্ট এর উদ্দেশ্যে নেপাল উপস্থিত হয়। এর উল্লেখযোগ্য অংশই টিভি মিডিয়া। এই টিভি মিডিয়ার কার্যক্রম নিয়ে নেপালে সৃষ্টি হয়েছে প্রচন্ড বিতর্কের। এদের আচরন দেখে নেপালে অধিবাসিরা টুইট করেছে "শকুনের দল! তোমাদের মরার হাড় যোগার শেষ হলে ফিরে যাও"। ফেসবুক টুইটার এর মত সামাজিক মাধ্যম এর পাশাপাশি নেপালের গনমাধ্যমগুলিতেও চলছে ভারতিয় মিডিয়ার ত্রিব্র সমালোচনা। অতি চাঞ্চল্যকর স্কুপ নিউজ এর লোভে যখন কোন ভারতিয় সাংবাদিক সন্তানের মৃতদেহ আগলে ধরে এক মায়ের কাছে যখন তার অনুভুতি জিজ্ঞেস করেন তখন সেই সাংবাদিক কে মানুষ বলে মনে হয় কিনা সেই প্রশ্ন তুলেছেন শোভা দে। এছাড়া নেপালে ভারতিয় সাহাজ্যকে অতি প্রচারনা এবং নেপালবাসির উপর প্রভাব বিস্তার এর প্রচেষ্টা হিসেবে মন্তব্য করেছে নেপালের মিডিয়া। এই প্রেক্ষিতে ভারতিয় টিভি সাংবাদিকতার মানের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শোভা দে। পরামর্শ দিয়েছেন নেপাল বাসির কাছে ক্ষমা চাওয়ার।
পাঠক-পাঠিকআ! ভারতিয় টিভি মিডিয়ার এই আচরন এর সাথে বাংলাদেশের কোন মিল খুজে পাচ্ছেন কি আপনারা?
রানাপ্লাজার ভেঙ্গে যাওয়া ধ্বংসস্তুপ থেকে সদ্য উদ্ধারকৃত মানুষদের অনুভুতি জানতে চাওয়া সেই অতি পন্ডিত! নারি সাংবাদিক এর সাথে কি এই ভারতিয় সাংবাদিক এর আচরন একনয়? কিংবা বিডিআর এর বিদ্রোহের পর বের হয়ে আসা সেনা অফিসার দের পরিবারদের সাংবাদিকতার নামে প্রশ্ন করতে থাকা সেই সাংবাদিকদের কথা। যাদের প্রিয়জন তখনও বন্দি প্রকৃতপক্ষে নিহত।
কিংবা আজকের দিনে ঘটে যাওয়া সেই গনহত্যার পূর্বের কথা। যখন বায়তুল মুকাররম এর পাশে পুড়তে থাকা কুরআন শরিফ দেখিয়ে মিথ্যা দোষারোপ করছিল তারা। অন্যদিকে এক মহিলা সাংবাদিক শাপলাচত্তরের লাখো মানুষ কে সম্বোধন করছিল হাজার খানেক! বলে। এই ঘটনার মাসখানেক আগে লংমার্চ এর দিন চট্টগ্রামে আমার সামনে পরিচিত এক সাংবাদিক যখন সভাস্থল এর বিপরিত দিকে দেখিয়ে পঞ্চাশ হাজারের বেশি উপস্থিতিতে শদুয়েক বলে মন্তব্য করছিল।
আমি যখন এই বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করি হেসে জবাব দেয় চ্যানেল এর নিতি এটা!
আমাদের দেশে শোভা দে'র মত কোন বুদ্ধিজিবিকে এর প্রতিবাদ করতে দেখলাম না। দেখলাম না দ্বিধাহিন চিত্তে এই তথাকথিত সাংবাদিক দের বলতে প্যাকআপ।
টিআরপির লোভ আর সরকারের লেজুর বৃত্তি করে ভারতিয় গনমাধ্যম নেপালের সাধারন মানুষের কাছে ঘৃনিত হয়েছে। আমাদের দেশের তথাকথিত টিভি চ্যানেল গুলির এই লজ্জাবোধ টুক ও নাই।
আমরা এই মিথ্যাবাদি মিডিয়াগুলি কোনদিন বলতে পারব
প্যাকআপ! তোমাদের মিথ্যাচার এর সুযোগ শেষ।
বিষয়: বিবিধ
১১২৫ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সেদিনের সেই শুভ মুহূর্তের অপেক্ষায়। আপনার গুরুত্বপূর্ণ লিখাটির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
এই মিডিয়াগুলি শুধু মিথ্যাবাদিই নয় অমানবিক ধরনের অসভ্যও।
পাকিস্তান কর্তৃক গরুর মাংস পাঠানর খবরও ভারতীয় মিডিয়ার উর্বর প্রডাক্ট কিনা কে জানে?
ধন্যবাদ।
ঘটনা আসলেই ভারতিয় মিডিয়ার প্রোডাক্ট! নেপাল গরুর গোস্ত ফেরত দেয়নি। পাকিস্তানি ফিল্ড হসপিটাল বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছে।
ধন্যবাদ।
শুকরিয়া আপনাকে।
এই জন্যই মিডিয়া তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে।
আমরা ব্লগিং মিড়িয়া কাজে লাগিয়ে সংস্কৃতিক পরিবর্তন আনহবোই ইনশাআল্লাহ! ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ মন্তব্যটির জন্য।
কথাটা ১০০% সঠিক।
মন্তব্য করতে লগইন করুন