আমার আশা দুয়া হয়ে আসছে ঠোঁটে এ খোদা, জিবন যেন প্রদিপ এর মত উজ্জল হয়ে উঠে।
লিখেছেন লিখেছেন রিদওয়ান কবির সবুজ ২১ এপ্রিল, ২০১৫, ০৭:৫৫:৩৩ সন্ধ্যা
যখন বিশ্বব্যাপি মুসলিম উম্মা পথভ্রষ্ট। বিশেষ করে উপমহাদেশের মুসলিমদের অবস্থা কাজী নজরুল ইসলাম এর ভাষায় "খালেদ খালেদ সবার অধম মোরা হিন্দুস্থানি, হিন্দু না মোরা মুসলিম তাহা নিজেরাই নাহি জানি" তখনই এই আত্মপরিচয় হিন মুসলিম দের জন্য একটি উজ্জল প্রদিপ হয়ে আসেন এক মহান কবি আল্লামা ইকবাল। আত্মমর্যাদা হিন মুসলিম সমাজ কে তিনি তার ঐতিহ্য এবং আত্মপরিচয় সম্পর্কে সচেতন করে তুলেন। কিন্তু ইকবাল এর আবেদন কেবলমাত্র সীমাবদ্ধ নয় মুসলিম দের জন্য। একজন মহান কবির মতই তার আবেদন দেশ,জাতি ও সময় এর সিমানা পেরিয়ে গেছে।
ইকবাল তার আদর্শ ইসলাম কেই উপস্থাপন করেছিলেন বিশ্ব মানবতার মুক্তির একমাত্র পথ হিসেবে। সেই মানবতা কেবল নির্দৃষ্ট একটি জনগোষ্ঠির জন্য নয়। বরং স্থান কাল এর সিমানা অতিক্রম করে এক মহাকালের মানবতার প্রতিনিধিত্ব করে ইকবাল এর দর্শন। ইকবাল এর কলমে তাই ধ্বনিত হয়েছে সেই অমর পংক্তি।" কিষান মজুর পায়না যে মাঠে শ্রমের ফল সেই মাঠের সব শস্য করায় আগুন লাগিয়ে দাও"। ইকবাল তার এই পংক্তিকে আল্লাহর নির্দেশ বলে বলেছেন। বিপ্লবি এই চরন গুলি থেকে ইকবাল এই বিশ্বমানবতার মুক্তির জন্য তার দর্শনকে তুলে ধরেছেন। ১৯০৮ সাল থেকে ১৯৩৮ সালে তার মৃত্য পর্যন্ত ইকবাল বিশ্ব মানবতার জন্য ইসলামকেই একমাত্র সঠিক আদর্শ হিসেবে চিন্তা ও প্রচার করে গেছেন। নতুন যে মানবতার বানি তিনি পৃথিবীর সামনে তুলে ধরলেন তা কোন স্থান,কাল,পাত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সে মানবতা সর্বকালের প্রকৃত সত্যের প্রকাশ। যে কবি একদিন লিখে ছিলেন "সারে জাঁহা সে আচ্ছা হিন্দুস্তাঁ হামারা" আজ তিনি বললেন "সব দেবতার সেরা সে দেবতা যাহারে কহিছ স্বদেশ ফের,বসন তাহার বনেছে কাফন আবরি বদন ইসলামের"। ১৯১১ সারে ইকবাল লেখেন তার সেই দির্ঘ কাব্য যা সে সময় জ্ঞানহীন তথাকথিত ভারতিয় জাতিয়তাবাদে আচ্ছন্য মুসলিম সমাজ কে নাড়া দেয় প্রচন্ডভাবে। প্রকাশিত হয় "শিকওয়া" ও "জওয়াব-ই- শিকওয়ার" প্রথম অংশ "শিকওয়া"। ১৯১৩ সালে প্রকাশিত হয় "জওয়াব ই শিকওয়া"। এই কাব্য ইকবাল কে পৃথিবীর প্রতিটি কোনে মুসলিম দের কাছে করে তুলে পরিচিত এবং প্রেরনার উৎস। শিকওয়াতে ইকবাল মুসলিম জাতিকে তার ভুলে যাওয়া ঐতিহ্য সম্পর্কে সচেতন করে তুলেন্। আর "জওয়াব ই শিকওয়া' তে প্রবল আবেগ আর ভালবাসায় প্রকাশ করেন কেন তারা পতিত হয়েছে শাসকের স্থান থেকে শাসিতেরও নিন্মে। ইকবাল শুধু মুসলিম জাতি নয় মুক্তি চেয়েছেন বিশ্বমানব এর।
আজকে ২১ এ এপ্রিল,২০১৫ সাল ৭৭ তম মৃত্যবার্ষিকিতে এই মহান কবি,দার্শনিক ও মুজাদ্দিদ এর রুহ এর মাগফিরাত কামনা করছি আমরা।
বিষয়: বিবিধ
১২৭৭ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
একটানে নেটে লিখা তাই বানান সংশোধন এর সময় পাইনি। লোডশেডিং এর ভয়ে!!!
ডঃ আল্লামা ইকবাল সত্যিই একজন ক্ষণজন্মা পুরুষ যিনি আদর্শ ইসলামকেই উপস্থাপন করেছিলেন বিশ্বের দরবারে মানবতার মুক্তির একমাত্র পথ হিসেবে। সেই মানবতা কেবল নির্দিষ্ট একটি জনগোষ্ঠির জন্য নয় বরং স্থান কালের সীমানা অতিক্রম করে এক মহাকালের মানবতার প্রতিনিধিত্ব করে ইকবাল এর দর্শন।
ইকবাল এর কলমে তাই ধ্বনিত হয়েছে সেই অমর পংক্তিঃ
" কিষান মজুর পায়না যে মাঠে শ্রমের ফল
সেই মাঠের সব শস্য করায় আগুন লাগিয়ে দাও"।
কী অমূল্য আবেদনধর্মী কথা। ভীষণ ভীষণ ভালো লাগলো লিখাটি। জাজাকাল্লাহু খাইর।
এই মহৎ মানুষটির ৭৭ তম মৃত্যবার্ষিকিতে মহান রাব্বুল আলামীন জান্নাতুল ফেরদৌসের উত্তম মেহমান বানিয়ে নিন আমীন। ছুম্মা আমীন।
লেখকের জন্যও রইলো অনিঃশেষ দোয়া , শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা । মঙ্গলময় আপনাকে সর্বাবস্থায় সুস্থ রাখুন ভালো রাখুন এবং মানসিকভাবে প্রফুল্ল রাখুন এই কামনা।
লব্য ছেড়ে ইচ্ছে করে ক্ষতির ধারে পড়বো কেন?
ভবিষ্যতের চিন্তা ছেড়ে অতীত নিয়ে কাদবো কেন?
অবাক হয়ে বুলবুলিদের বিলাপগাথা শুনবো কেন?
আমরাতো আর পুষ্প নহে নিরব বসে খাকবো কেন?
উনার মুত্যুর আধাঘন্টা আগের লিখা কবিকার একটি চরণ.....
ইমানদারের নিশানিটি বলতেছি ভাই তোদের তরে
মৃত্যু কালে মৃদু হেসে মৃত্যু কে যে বরণ করে।
তখন এগুলোর উদ্দেশ্য না বুঝলেও এখন বুঝি। প্রাণভরে শ্রদ্ধা আসে মহা কবির জন্য, আল্লাহ তায়ালা উনাকে জান্নাতের মেহমান বানিয়ে নিক। আমীন।
ইসলামী পুনর্জাগরনের রেঁনেসা সাহিত্যিক বলা হয় উনাকে! অনবদ্য কবিতা এবং লিখার মাধ্যমে ঘুমন্ত মুসলিম জাতিকে অনেক উপদেশ দিয়েছেন!
আল্লাহ উনার সমস্ত ভালো কাজগুলোর উত্তম মর্যাদা দান করুন!
উনার কথা আরো একবার স্মরনে এনে দেয়ার জন্য শুকরিয়া!
লাব পে আতি হে দুআ বান কে তামান্না মেরা....।
তার লিখায় ঘুমন্ত মুসলিম জাতিকে জাগিয়ে তুলার চেষ্টা হয়েছে। আর আমরা এমনই বদনসিব যে তাকে অবজ্ঞা করাকে মনে করছি আমাদের জাতিয়তাবাদ!! কিন্ত ইকবাল সিমাবদ্ধ নন স্থান-কালের পরিসিমায়।
আল্লামা ইকবাল একজন বিশ্ময়কর প্রতিভা!
ইসলাম-মুসলিম ও বিশ্ব মানবতার চির মুক্তির জন্যে তার অমলিন কাব্য-সাহিত্য নতুন করে উপলব্ধি যোগায় বিভ্রান্ত মানুষ কে!
মহা এই কবি কে আল্লাহ জান্নাতের স্হায়ী আবাসন দান করুন!আমিন!!
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটির জন্য।
আমরা কিন্তু এখন ইকবাল কে জানছিনা।
আসলে তার মর্যাদা পৃথিবীর কাফের মুশরিকরা না দিলেও মুসলমানের হৃদয়ে তিনি কবি মহান।
আল্লাহ তাকে জান্নাতের মাকাম দান করেন।
আমিন
সুন্দর মন্ত্ব্যটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
সত্য চিরন্তন। শুধু তাকে উপস্থাপন করতে হয়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন