চট্টগ্রামে আযাদি আন্দোলন ১৮৫৭ এবং হাবিলদার রজব আলি
লিখেছেন লিখেছেন রিদওয়ান কবির সবুজ ১৬ নভেম্বর, ২০১৪, ০১:২৮:৩৬ দুপুর
১৭৫৭ সালের ২৩ এ জুন পলাশিতে এই উপমহাদেশ এর স্বাধিনতার যে সমাপ্তি ঘটেছিল তার পর থেকেই তা পুনর্উদ্ধার এর জন্য তার কয়েক বছর এর ভিতরেই গড়ে উঠছিল বিভিন্ন আন্দোলন। ১৭৯৯ সালে টিপু সুলতান এর শাহাদাত এর পরই এই উপমহাদেশ সম্পুর্ন ইংরেজ দের নিয়ন্ত্রনে চলে যায়। যদিও তখনও মোগল সম্রাট উপমহাদেশের সম্রাট হিসেবে স্বিকৃতি পেতেন। মারাঠা রাজ্যগুলি, হায়দারাবাদ,অযোধ্যা সহ বিভিন্ন স্বাধিন রাজ্য থাকলেও সেগুলি সামরিক দিক দিয়ে ছিল সম্পুর্ন হীনবল। পলাশির শতবর্ষ পরে ইংরেজদের শোষন এর বিরুদ্ধে সমগ্র উপমহাদেশে একটি বিরাট আন্দোলন গড়ে উঠে। এই আন্দোলন এর মুল শক্তি ছিল ইংরেজ বাহিনির দেশিয় সৈনিকরা। যে কারনে একে ইতিহাসে সিপাহি বিদ্রোহ বলা হয়। যদিও এই আন্দোলন এর পিছনে প্রভুত প্রভাব আছে সৈয়দ আহমদ শহিদ এর সংগ্রাম সহ তার তৈরি মুজাহিদ বৃন্দের প্রচার এর। এই সিপাহি বিপ্লব হয়েছিল ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে। যার মধ্যে দিল্লি ও রায়বেরেলি প্রধান। এখন যদিও ব্যাারাকপুরের বিদ্রোহ কেই বিশেষ ভাবে প্রচার করা হয় কিন্তু প্রকৃত পক্ষে ব্যারাকপুরের বিদ্রোহ ছিল সবচেয়ে সল্প স্থায়ি। ইংরেজ শাসনাধিন উপমহাদেশের শেষ বড় শহর চট্টগ্রাম ও এই বিপ্লব এর অন্যতম অংশিদার হয়েছিল।
১৮৫৭ সালে ৩৪ নং নেটিভ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট তথা দেশিয় পদাতিক বাহিনির সদর ছিল কলকাতার কাছেই ব্যারাকপুরে। ২৯ এ মার্চ এখানে মঙ্গল পান্ডে বিদ্রোহ করার চেষ্টায় নিহত হন এবং অন্যান্য কয়েকজন গ্রেফতার হন। এই ৩৪ নং রেজিমেন্ট এর একটি কোম্পানির অবস্থান ছিল চট্টগ্রামে। যতটুক জানা যায় এই সৈনিকেরা অবস্থান করতেন বর্তমান সরকারি মহসিন কলেজ এর পর্তুগিজ ভবনে। তারা কুচকাওয়াজ ও শরিরচর্চার জন্য ব্যবহার করতেন নিকটবর্তি মাঠ যা এখনও প্যারেড ময়দান হিসেবে বিখ্যাত। বর্তমান চট্টগ্রাম কলেজ এলাকায় কিছু অস্থায়ি ছাউনিতেও অবস্থান করতেন তারা। চট্টগ্রাম এর নগর দুর্গ ছিল বর্তমান চট্টগ্রাম কারাগার। কারাগার ও ট্রেজারি ও ছিল সেখানেই অবস্থিত। নগর দুর্গে সল্প সংখ্যক ইউরোপিয় সৈনিক ছিল। এই সিপাহিরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংগঠিত বিপ্লব এর খবর জানতেন। তারাও এই বিপ্লবের অংশিদার হওয়ার জন্য প্রস্তত হচ্ছিলেন।
১৭-১৮ ই নভেম্বর ১৮৫৭ সালে তারা ঢাকায় অবস্থিত ৭৩ নং দেশিয় পদাতিক রেজিমেন্ট এর সাথে তাল মিলিয়ে বিদ্রোহের ঘোষনা দেওয়ার জন্য প্রস্তত হন। এরই মধ্যে ১৭ ই নভেম্বর এই বাহিনির ইংরেজ অধিনায়ক পুরা বাহিনিকে প্যারেড ময়দানে জড়ো করে নিরস্ত্র করার চেষ্টা করেন। এই অবস্থায় তাৎক্ষনিক ভাবে বিদ্রোহ করার সিদ্ধান্ত নেন সৈনিকেরা। এই বিপ্লবে নেতৃত্ব দেন হাবিলদার রজব আলি খান। প্যারেড ময়দান এর অস্থায়ি ছাউনিতে গোলা বিস্ফোরন ঘটিয়ে সংকেত দেওয়া হয় এবং বিভিন্ন জায়গায় থাকা সকল সিপাহি একতা বদ্ধ হয়ে হাবিলদার রজব আলির নেতৃত্বে প্রথমে ইংরেজ দের মুল অবস্থান নগরদুর্গে আক্রমন করে। সল্প সংখ্যক ইউরোপিয় সৈনিক কে পরাজিত করে কারাগার এবং ট্রেজারি দখল করতে সক্ষম হয় বিপ্লবি সিপাহিরা। জিবিত ইংরেজরা বন্দরে গিয়ে জাহাজে আশ্রয় নেয়। সিপাহিরা কারাগারে আটক দেশিয় বন্দিদের মুক্ত করে এবং ট্রেজারি থেকে বিপুল অর্থ সম্পদ ছাড়াও অস্ত্রাগার ভেঙ্গে সকল অস্ত্র ও গোলাবারুদ দখল করে।
এই বিপ্লবের বিশেষত্ব ছিল কোন বেসামরিক লোকের উপর আক্রমন করা হয়নি। সম্ভবত বন্দর চট্টগ্রামে সম্পুর্ন ইংরেজ সৈনিক দ্বারা গঠিত নৈীবাহিনির অবস্থান এবং নেীপথে চট্টগ্রামে দ্রুত সৈন্য সমাবেশ এর সম্ভাবনার ব্যাপারে হাবিলদার রজব আলি অবহিত ছিলেন। তাই তিনি শহর দখল এর চেষ্টা না করে সিপাহি এবং তাদের সাথে যোগদানকারি মুজাহিদ দের নিয়ে উত্তর দিকে সরে যান। বিপ্লবিরা শহরে বিপুল সমর্থন পায়। চট্টগ্রাম পুর্নদখল এর পর এখানকার ম্যাজিস্ট্রেট রিপোর্ট পাঠান যে সাধারন মানুষ তো দুরের কথা জমিদার শ্রেনিও এই বিপদে ইংরেজদের কোন সহায়তা করেনি। একদিন পর সম্ভবত পুর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক হাবিলদার রজব আলি সকল সিপাহি ও দখলকৃত অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সম্ভবত বিপ্লবিদের ঢাকাকে কেন্দ্র করে যুদ্ধ করার পরিকল্পনা ছিল।
কিন্তু ঢাকায় অবস্থিত ৭৩ নং দেশিয় পদাতিক রেজিমেন্ট লালবাগ দুর্গে ২২ এ নভেম্বর কলকাতা থেকে ”জেনোবিয়া” নামক জাহাজে করে আসা বৃটিশ আক্রমনে পরাজিত হয়। লালবাগ এর যুদ্ধে অনেকে শহিদ হন। বিপ্লবের মূল নেতা সুবেদার আমির হাবিবুল্লাহ এবং তার স্ত্রিকেও গ্রেফতার করে ফাঁসি দেওয়া হয়। যে সকল আহত সৈনিক ছিলেন তাদের সহ সকল আটক বিপ্লবি সৈনিক কে বর্তমান বাহাদুর শাহ পার্ক এর গাছগুলিতে ঝুলিয়ে ফাঁসি দেওয়া হয়। ঢাকার অবস্থা যেনে হাবিলদার রজব আলি তৎকালিন স্বাধিন রাজ্য ত্রিপুরার দিকে রওয়ানা দেন। কিন্তু ত্রিপুরা রাজ ইংরেজ ভক্তির প্রমান দেখিয়ে তাদের বাধা দেন। এখানের যুদ্ধে বেশ কিছু সিপাহি শহিদ হন। শেষ পর্যন্ত বর্তমান কুমিল্লা ও ব্রাম্মনবাড়িয়ার মধ্যদিয়ে সিপাহিদের নিয়ে রজব আলি সিলেটের দক্ষিনে লাতু অঞ্চলে উপস্থিত হন। ঢাকা থেকে পালিয়ে আসা অনেক সৈনিক ও তাদের সাথে যোগ দেন। সিলেটের স্থানিয় বাসিন্দা ও কয়েকজন জমিদারও তাদের সহায়তা করেন। কিন্তু জয়ন্তিয়া এবং মনিপুর এর রাজা তাদের সহায়তা করতে অস্বিকৃতি জানান।
পরবর্তি কর্তব্য নির্ধারন এর জন্য অপেক্ষা করার সময়ই মেজর বাইং নামে একজন অফিসার এর নেতৃত্বে একটি ইংরেজ বাহিনি ঢাকা থেকে নৈীপথে তাদের উপর আক্রমন চালান। সিপাহিরা বিপুল বিক্রমে যুদ্ধ করেন। মেজর বাইঙ নিহত এবং ইংরেজ বাহিনি পরাজিত হলেও সিপাহিদের ও বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়। এই অবস্থায় কিছু হিন্দু জমিদার এর সহায়তায় ইংরেজ বাহিনি বর্তমান মেীলভিবাজার এর বন জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা সিপাহিদের উপর আক্রমন ও হত্যা করতে থাকে। এক পর্যায়ে তাদের প্রতিরোধ ভেঙ্গে যায় এবং অবশিষ্ট জিবিত সিপাহিরা পাহাড়ি পথে নেপাল ও ভুটান এর আশ্রয় নেন। হাবিলদার রজব আলির আর খবর পাওয়া যায়নি। যতটুক মনে হয় তিনি সিলেটেই ইন্তেকাল করেন।
চট্টগ্রামে হাবিলদার রজব আলি খান যে সংগ্রাম এর সূচনা করেছিলেন সেটা সফল হয়নি। কিন্তু রেখে গিয়েছে আমাদের জন্য সংগ্রাম এবং আত্মদানের শিক্ষা। দুর্ভাগ্য আমরা এখন এই মহান বির যোদ্ধা এবং তার সাথি আত্মদানকারি সিপাহিদের ভুলে গিয়েছি। ভুলে গিয়েছি আমাদের ইতিহাসের এক মহান সময় কে।
তথ্যসুত্র:-
*১৮৫৭ সালের আযাদি আন্দোলন প্রেক্ষিত বাংলাদেশ- মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশিত।
* হাবিলদার রজব আলি-এ.কে.এম মহিউদ্দিন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশিত।
* সিপাহি যুদ্ধের ট্র্যাজেডি-আনিস সিদ্দিকী। নওরোজ সাহিত্য সংসদ প্রকাশিত।
*শতাব্দি পরিক্রমা-ডঃ হাসান জামান সম্পাদিত সিপাহি বিপ্লবের শতবার্ষিকি স্মারক ১৯৫৭ সালে নওরোজ কিতাবিস্তান প্রকাশিত।
* আমাদের স্বাধিনতা সংগ্রাম- আবদুল গফুর সম্পাদিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশিত।
*The History of Indian Mutiny -Charles Ball. London Printing and Publishing Company.
বিষয়: বিবিধ
২৩৪৫ বার পঠিত, ৭১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
হাবিলদার রজব আলি এবং ঢাকার সুবেদার হাবিবুল্লাহ সম্পর্কে বিস্তারিত গবেষনা প্রয়োজন।
ভাইয়া আপনার এই ধরনের লেখাগুলো আমার কাছে খুব ভাল লাগে ভাইয়া আরো বেশি বেশি লিখবেন । যদি বুঝি এরকম একটা লেখার জন্য অনেক সময় ও শ্রমের দরকার তবু লিখবেন আমার জন্য আমি দেশের এসব বিষয় গুলি জানতে চাই ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটির জন্য।
আপনার দোয়া আল্লাহতায়লা কবুল করুন।
আমাদের নতুন প্রজন্ম জানুক,শিখুক।
ইতিহাস কে যদি নতুন প্রজন্ম এর সামনে উপস্থাপন করা না হয় তাহলে তারা জানবে না ঠিক ভাবে।
আমাদের ইতিহাসের অনেক সত্যই এখনও আমাদের অজানা।
ফুলের জন্য আরো ধন্যবাদ।
তবে নতুন ফুলের জন্য ধন্যবাদ।
আমি আমার জ্ঞান ও জানা মোতাবেক লিখলাম। আপনাদের দায়িত্ব এই সত্য প্রচার করা এবং প্রয়োজনিয় তথ্য দিয়ে একে আরো সম্বৃদ্ধ করা।
রিদওয়ান কবির সবুজ ভাইয়া।
অনেক ভালো লাগা রেখে গেলাম।
আর স্টীকী পোষ্টের জন্য অভিনন্দন!
এই বিষয়ে এখনও পুর্নাঙ্গ গবেষনা হয়নি। প্রাপ্ত তথ্য থেকে যতটুক জানা গিয়েছে সেটাই লিখার চেষ্টা করেছি।
আর মডারেটর ভাইদের ধন্যবাদ জানাই নিয়মিত ব্লগ স্টিকি করার জন্য।
এই বিষয়ে এখনও পুর্নাঙ্গ গবেষনা হয়নি। প্রাপ্ত তথ্য থেকে যতটুক জানা গিয়েছে সেটাই লিখার চেষ্টা করেছি।
আমনের এই সেরা পোষ্টটি তো গত কাল পইড়া নিছিলাম। ঐ যে লগ ইন করিতে মন চায় না তাই মন্তব্য করি নাই। আমনের এই লেখার আশে পাশের বহু লেখা পড়িলাম, কুন লেখাকে আমনের কাছাকাছি পাইলাম না।
ভাবতাছিলাম মন্তব্য কইরা বলিব নাকি পোষ্ট খানা ষ্টিক হউক। পরে ভাবিলাম আমার মত বেআক্কেল মানুষের কথা কি কেউ দেখবে? তাই আর লগ ইন করিনাই। যাউকগ্যা আমনেরে এবং মডুদের ধন্যবাদ না দিয়া পারিলাম না। আরো লেখেন ভাল থাকেন।
পড়িয়া মন্তব্য করাই বুদ্ধিমানের কাজ। অতিরিক্ত ষ্টিকি হইলে ব্লগটা আঠাল হইয়া যাইবে!!
অসাধারণ লেখা। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
স্টিকি হওয়াতে শুভেচ্ছা।
সুন্দর ও অতি গুরুত্বপূর্ন পোষ্টের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। বর্তমানে মানুষ হৃদয় মরে গেছে, কোন বিষয়টি নিয়ে গর্ব করবে, কোনটাকে ধারণ করবে সেই কর্তব্য বোধ হারিয়ে ফেলেছে। পত্রিকাতে এসব এখন লেখা হয়না। একজন নষ্টা নায়িকার ভ্রষ্টা কাহিনী পত্রিকায় যতটুকু কভারেজ পায় একজন দেশপ্রেমিক বীর ততটুকু কভারেজ পায় না।
আপনার সুন্দর লেখনী ও মুল্যবান প্রবন্ধের জন্য আবারো ধন্যবাদ। লিখাটি ষ্টিকি হওয়াতে মডুদের ধন্যবাদ।
সিপাহি বিপ্লব এর গেীরবপূর্ন ইতিহাস আমাদের পাঠ্য তালিকায় কখনই অন্তর্ভুক্ত ছিলনা। আর মিডিয়াগুলি এখন আমাদের জাতিসত্বা কে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত।
ইতিহাস হারিয়ে যায় আমাদের উদাসিনতার জন্য। আমরা আমাদের ইতিহাস এর প্রতি যতদিন যত্নবান হতে পারবোনা ততদিন জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন হতে পারবোনা।
নজরুল ইসলাম টিপু বলেছেন:বর্তমানে মানুষ হৃদয় মরে গেছে, কোন বিষয়টি নিয়ে গর্ব করবে, কোনটাকে ধারণ করবে সেই কর্তব্য বোধ হারিয়ে ফেলেছে। পত্রিকাতে এসব এখন লেখা হয়না। একজন নষ্টা নায়িকার ভ্রষ্টা কাহিনী পত্রিকায় যতটুকু কভারেজ পায় একজন দেশপ্রেমিক বীর ততটুকু কভারেজ পায় না।
আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ লেখাটি ব্লগে পোষ্ট করার জন্য ।
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটির জন্য।
আফরা লিখেছেন : আমার কি যে খুশী লাগছে ভাইয়া আপনার পোষ্ট ষ্টীকি হওয়াতে ।মটারেটরবৃন্দকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি ।আর ভাইয়া আপনাকে আন্তরিক আভিনন্দন ...
সূর্যের পাশে হারিকেনলিখেছেন : এখানে আমার কোন দোষ নেই! আমি যে কথাটা বলতে চাই, সেটা আফরামণি আামর আগেই বলে দেয়! তাই সব দোষ আফরামণির ।
হা পড়লাম খুব খুব ভালো লাগ্লো ইতিহাস কথা কয়।
শুকরিয়া শুকরান।
তাহলেও ধন্যবাদ!!!
আমদের ইতিহাস থেকে অনেক কিছুই পরিকল্পিত ভাবে মুছে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
আমরাও একই দাবি জানাই।
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটির জন্য।
ধন্যবাদ মন্তব্যটির জন্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন