শফিউদ্দিন সরদার। বাংলা ভাষার নসিম হিজাজি।

লিখেছেন লিখেছেন রিদওয়ান কবির সবুজ ০১ মে, ২০১৪, ০৪:২৫:১৫ বিকাল

দৈনিক ইনকিলাবে প্রতি শুক্রবার প্রকাশিত হত সাহিত্যপাতা। একদিন সেই পাতায় চোখ বুলাতে গিয়ে গিয়ে সুন্দর অক্ষরে লিখা একটি শিরোনাম চোখে পড়ল। ”বারো পাইকার দুর্গ"”। নামটার অভিনব্ত্ব আকর্ষন করল। পড়তে শুরু করলাম ধারাবাহিক উপন্যাসটির সেই কিস্তি। সেই কিস্তিতে ছিল একটি ষড়যন্ত্রের কাহিনি। বাংলার সুলতান রুকুনউদ্দিন বারবক শাহ এর আমলের কথা। কিছু হিন্দু সভাসদ ষড়যন্ত্র করছেন সুলতানের বিরুদ্ধে। এই উপন্যাসটি পড়ার আগে রুকুনউদ্দিন বারবক শাহ এর নাম শুনিনি। মনে করেছিলাম এটাও উপন্যাসের একটি রাজা রানির মত কাল্পনিক চরিত্র। প্রথম পড়াতেই যে আকর্ষন পেয়েছিলাম তাতে সবসময় অপেক্ষায় থাকতাম পরবর্তি কিস্তির জন্য। এই উপন্যাস এর মাধ্যমে পরিচয় হলো বাংলার ইতিহাসের এক অজানা অধ্যায় সুলতান রুকুনউদ্দিন এর শাসন কাল এবং বির মুজাহিদ শহিদ শাহ ইসমাইল গাজির কথা। নসিম হিজাজির কয়েকটি বই পড়েছিলাম আগেই। কিন্তু বাংলায় এই মানের ঐতিহাসিক উপন্যাস রচনা হয়েছে তা জানতে পেরে আরো পড়ার জন্য নেশা জেগে উঠল। লেখকের নামটিও মনের মধ্যে গেঁথে গেল। শফিউদ্দিন সরদার।

বাংলাভাষায় গত পঞ্চাশ বছরে ঐতিহাসিক উপন্যাস খুব কমই লিখা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের কেউকেউ লিখেছেন কিন্তু তাদের বেশিরভাগ লিখাই বিকৃত তথ্য আর মুসলিম বিদ্বেষ এ ভর্তি। সেই বিকৃত ইতিহাসের বিপরিতে সঠিক ইতিহাস নিয়ে ঐতিহাসিক উপন্যাস রচনায় কলম হাতে নেন এই শিকড় সন্ধানি সুসাহিত্যিক। এক অতি কঠিন সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বাংলাদেশে মুসলিম শাসনের আটশত বছরের ইতিহাস কে উপন্যাসে রুপ দিয়ে পরবর্তি প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করবেন। আল্লাহর অশেষ রহমতে তার সেই সপ্ন সফল হয়েছে।

শফিউদ্দিন সরদার এর জন্ম নাটোর এর হাটবিলা গ্রামে। অল্প বয়সেই পিতৃহারা হন। পিতৃ সম্পদথেকেও বঞ্চিত হন অসৎ কিছু মানুষের ষড়যন্ত্রে। কিন্তু কোন কিছুই তার প্রতিভাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। কঠোর জিবন সংগ্রামে দিন মজুরের কাজ করে তিনি চালিয়ে গিয়েছেন তার লিখাপড়া।অষ্টম শ্রেনিতে পড়ার সময় মাকেও হারান তিনি। কিন্তু তাতেও দমে না গিয়ে ১৯৫০ সালে মেট্রিক পাশ করেন। এসময় ভাল ছাত্র হওয়ায় তাকে সাহাজ্য করার ইচ্ছায় একজন অবস্থাপন্ন ব্যাক্তি তার সাথে তার মেয়েকে বিয়ে দেন কিন্তু বন্যা ও অন্যান্য করনে সেখান থেকেও বেশি সাহাজ্য পাননি তিনি। রংপুর কারমাইকেল কলেজে থেকে আই,এ পাশ করেন শিক্ষকতা এবং দিনমজুর এর কাজ করে। এরপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। আইএ পরিক্ষায় বৃত্তি লাভ করায় তার পক্ষে তা সম্ভব হয়। প্রথমে ইতিহাসে এবং তারপর ইংরেজি সাহিত্যে মাষ্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। শিক্ষকতাকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন। সেই সঙ্গে যুক্ত থাকেন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এর সাথে। লন্ডন থেকে ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। নাটোর সরকারি কলেজ,রাজশাহি ক্যাডেট কলেজ সহ বিভিন্ন কলেজে অধ্যাপনা করেন তিনি। অধ্যক্ষের দায়িত্বও পালন করেছেন বিভিন্ন কলেজে। প্রথম শ্রেনির ম্যাজিষ্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ছয় বছর। মাঝে কিছুদিন রাজনিতির সাথেও জড়িত ছিলেন এবং ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে প্রার্থি হয়েছিলেন। তার জিবন সংগ্রাম ও সংঘাতে মুখরিত এবং বিচিত্র বর্নিল অভিজ্ঞতায় সম্বৃদ্ধ। যার ছাপ তার লিখায় এসেছে বারবার। আদর্শ আর মুল্যোবোধ এর ব্যাপারে কখনও আপোষ করেননি বলে লন্ডন থেকে ডিগ্রি নিয়ে আসার পরও সেচ্ছায় কিছুদিন কৃষক এর জিবন যাপন করেছিলেন তিনি।

শফিউদ্দিন সরদার তার ছাত্র জিবন থেকেই সাহিত্যের সাথে সংযুক্ত। সেই সঙ্গে একজন দক্ষ অভিনেতা ও ছিলেন। মঞ্চনাটকের নিয়মিত শিল্পি ছিলেন তিনি। বাংলাদেশে বেতারের তালিকাভুক্ত নাট্যকার এবং অভিনেতা ও উপস্থাপকও ছিলেন। তার লিখা নাটকগুলি এখনও জনপ্রিয়। তার আরেকটি বড় কাজ রাজশাহির চলনবিল অঞ্চলের প্রায় হারিয়ে যাওয়া লোকগিতি কে উদ্ধার করা।

সাহিত্যে শফিউদ্দিন সরদার প্রধানত পরিচিত তার ঐতিহাসিক উপন্যাসগুলির জন্য। যদিও তার নাটক এবং বেশ কিছু রম্য রচনাও আছে জনপ্রিয় এবং অত্যন্ত উন্নতমানের। তার রচনার অন্যতম বৈশিষ্ট যে শব্দগুলি কলকাতার ভাষার চাপে আমাদের সাহিত্য থেকে হারিয়ে যাচ্ছিল সেই মুসুলমানি শব্দগুলির প্রয়োগ। গল্পকার শাহেদ আলি ছাড়া আর কেউ বাংলাদেশে এই কাজ করতে সাহস পাননি। বাংলার আটশত বছরের ইতিহাসকে তিনি তার উপন্যাস গুলির মাধ্যমে যেভাবে তুলে ধরেছেন শুধু সে জন্য হলেও তিনি থাকবেন চিরস্মরনিয়।

২০০৬ সালে তাকে চট্টগ্রামে মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা এবং চাদের হাটের উদ্যোগে একটি সম্বর্ধনা দেয়া হয়। সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি ছিলেন মরহুম বিজ্ঞানি ডঃ জামাল নজরুল ইসলাম। তিনি তার বক্তব্যে বলেছিলেন যে তার কোন লিখা ঐই অনুষ্ঠানে দাওয়াত পাওয়ার আগে তিনি পড়েননি কিন্তু এখন পড়ে তিনি বুঝেছেন বাংলায় তার মত ভাষার প্রয়োগ খুব কমই আছে। তিনি তার কয়েকটি রচনা থেকে উদ্ধৃত করে এই রচনার মুল্য যে অনেক তা বলেন।

আজকে ১লা মে তার ৮৯ তম জন্মদিনে আমরা তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি এবং তার জন্য আল্লাহতায়লার কাছে হায়াত কামনা করছি।

তার প্রধান প্রকাশিত রচনা গুলি হচ্ছে

১.বখতিয়ারের তলোয়ার (ইখতিয়ারউদ্দিন বিন বখতিয়ার এর বঙ্গ বিজয় এর উপর)।

২.গেীড় থেকে সোনারগাঁ(বাংলায় স্বাধিন মুসলিম সালতানাত এর উদ্ভব)।

৩.যায় বেলা অবেলায়(ইলিয়াস শাহি বংশের আমলে বাংলার উন্নতি এবং রাজা গনেশের ষড়যন্ত্র)।

৪.বিদ্রোহি জাতক (রাজা গনেশের আমল এবং মুসলিম শাসনের পুনপ্রতিষ্ঠা)।

৫.বর পাইকার দুর্গ( ইলিয়াস শাহি বংশের দ্বিতিয় শাসনকাল এবং শাহ ইসমাইল গাজির নেতৃত্বে বাংলায় জনসেবা এবং বাইরের আক্রমন এর বিরুদ্ধে জিহাদ)।

৬.রাজ বিহঙ্গ( আলাউদ্দিন হুসেন শাহ এর শাসন কাল)।

৭.শেষ প্রহরী( কররানি বংশের ইতিহাস এবং কালাপাহাড় সঠিক ইতিহাস)।

৮.প্রেম ও পুর্ণিমা( নবাব শায়েস্তা খানের আমল এবং বাংলায় ইউরোপিয় ষড়যন্ত্রের উদ্ভব)।

৯.বিপন্ন প্রহর ( বাংলায় স্বাধিন নবাবির আমল এবং ইংরেজদের সাহাজ্যে হিন্দু অভিজাত শ্রেনির ষড়যন্ত্র)।

১০.সূর্যাস্ত ( নবাব সিরাজউদ্দেীলা এবং পলাশি)।

১১.পথহারা পাখি (মিরকাশিম এবং ফকির মজনু শাহ এর স্বাধিনতা পুনউদ্ধারের চেষ্টা)।

১২.বৈরি বসতি( সাইয়েদ আহমদ বেরেলভি এর জিহাদ এবং বাংলায় তিতুমির এবং নিল বিদ্রোহ)।

১৩.অন্তরে প্রান্তরে(হাজি শরিয়তুল্লাহ এর সংগ্রাম এবং বাংলার মুসলিমদের মধ্যে নব জাগরনের উন্মেষ)।

১৪.দাবানল (১৮৫৭ সালের প্রথম স্বাধিনতা সংগ্রাম)।

১৫.ঠিকানা ( বাংলায় মুসলিম দের পুনঃউত্থান এবং পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা)।

১৬.ঝড়মুখি ঘর (বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা)।

এছাড়াও তার বেশ কয়েকটি সামাজিক উপন্যাস ও নাটক রয়েছে।

১.দখল(উপন্যাস)।

২. অপুর্ব অপেরা(উপন্যাস)।

৩.চলন বিলের পদাবলি(উপন্যাস)।

৪. পাষানি(উপন্যাস)।

৫.চারচাদের কেচ্ছা(রম্য রচনা)।

৬.রামছাগলের আব্বাজান (রম্য রচনা)।

৭.গাজি মন্ডলের দল(নাটক)।

৮.সুর্যগ্রহন(নাটক)।

৯.বনমানুষের বাসা(নাটক)।

১০.রুপ নগরের বন্দি (শিশুতোষ রচনা)।

১১. সুলতানার দেহরক্ষি (শিশুতোষ রচনা)।।

১২ পরিরাজ্যেও রাজ কন্যা(শিশুতোষ রচনা)।

আরো অনেক অপ্রকাশিত ও অগ্রন্থিত রচনাও রয়েছে তার যার মধ্যে বেশকিছু কবিতা বেতার নাটক ও আছে। বেশকিছু পাঠ্য পুস্তক এর প্রনেতাও তিনি।

বিষয়: বিবিধ

৪৩৭৮ বার পঠিত, ৪৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

216044
০১ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:২৫
ভোরের পাখি লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
০১ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:৩০
164234
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আপনি তো দেখি ভাই স্পিডিয়েষ্ট পাঠক!!!
পোষট দিয়ে আবার প্রথম পাতায় থেকে চেক করার জন্য ঢুকতে ঢুকতেই পড়ে মন্তব্য করে ফেললেন।
মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
০১ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৭
164242
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : আওণ আর আমিও কিন্তু এরম "স্পিডিয়েষ্ট পাঠক" ছিলাম আগে, এখন ভালো হয়ে গেছি। পড়ার পরেই মন্তব্য করি। @সবুজ ভাইয়া
০১ মে ২০১৪ রাত ১১:০০
164405
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
216046
০১ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:২৭
আঁধার কালো লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ । ভালো লাগলো ।
০১ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৬
164241
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : মনে হচ্ছে "ভোরের পাখি" ও "আঁধার কালো" একই ব্যক্তি না হলেও একই পিসি থেকে ব্লগিং করে।Worried
০১ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৯
164299
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ দ্রুত মন্তব্য করার জন্য।
216082
০১ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১১
ফেরারী মন লিখেছেন : ভালো লাগলো । বইগুলো সংগ্রহে রাখার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ।
০১ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৯
164300
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ধন্যবাদ। তার বইগুলি পড়ার চেষ্টা করুন।
216085
০১ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৪
সালমা লিখেছেন : আজ ৮৯ তম জন্মদিনে শফিউদ্দিন সরদার সাহেবকে জানাই হাজারো সালাম,এবং তার জন্য আল্লাহতায়লার কাছে নেক হায়াত কামনা করছি। নসিম হিজাজি আমার প্রিয় লেখক। এত সুন্দর করে একজন লেখক কে পরিচয় করানোর জন্য আপনাকে মোবারকবাদ।
০১ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১০
164301
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটির জন্য।
আমিন।
216095
০১ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩১
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আপনাকে মন থেকে মোবারকবাদ। আমি বেশ কয়েকটি বই পড়েছি। আমাদের সমাজ এই লোকটাকে কোন সম্মান দেয়নি। এরকম যদি লেখক হতেন কমিনিষ্ট তাহলে তাকে জাতীয় হিরু বানিয়ে ছাড়তো।
আমি এই মহান লেখকের রুহের মাগফিরাত কামনা করি।
০১ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১২
164302
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : তেীবাতেীবা!!!
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি আল্লাহর রহমতে জিবিত আছেন।
সুন্দর মন্তব্যটির জন্য ধন্যবাদ। আসলেই অনেক নিন্ম শ্রেনির কমিউনিষ্ট বা নাস্তিক্যবাদি লেখক তাদের ডুগডুগির জোড়ে হিরো হয়ে যান। অথচ শফিউদ্দিন সরদার এর মত একজন শিকড় সন্ধানি সাহিত্যিককে আমরা প্রাপ্য সন্মান দিতে পারিনি।
216124
০১ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৯
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। একজন সত্যিকারের ইসলামী ব্লগার তিনি, যদিও এখন পর্যন্ত উনার কোন বই পড়া হয়নি। আল্লাহ উনাকে নেক হায়াত দারাজ করুক।
০১ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৯
164326
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আস সালাম।
উনি ব্লগার না ভাই!
উনি একজন উচ্চমানের সাহিত্যিক। তার বই চট্টগ্রামের দিদার মার্কেট এর রিফা বুকস এবং আন্দরকিল্লাতে পাবেন।
০৩ মে ২০১৪ দুপুর ১২:৫১
165061
সিকদারর লিখেছেন : ভুলে ব্লগার লেখা হয়েছে । ব্লগারের জায়গায় লেখক হবে।
216153
০১ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৮
সালাম আজাদী লিখেছেন : অনেক জানতে পারলাম। এরা শুধু সাহিত্যিক না, এরা জেনারেশান বিল্ডার। আল্লাহ তাকে নেক হায়াত দান করুন
০১ মে ২০১৪ রাত ১১:১৫
164413
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটির জন্য। এরা আমাদের জন্য যা দিয়েছেন আমরা তার ব্যবহার করতে পারছিনা।
216276
০১ মে ২০১৪ রাত ১১:০৩
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : উনার সবগুলো বই পড়া না হলেও বেশিরভাগই পড়া আছে, এবং কালেকশনেও আছে। তবে পারসোনাল লাইফ সম্পর্কে এত কিছু সত্যিই জানা ছিলনা। আপনাকে ধন্যবাদ উনাকে সম্মান জানানোর জন্য। ব্রিলিয়ান্ট লেখক।
০১ মে ২০১৪ রাত ১১:১৬
164415
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অনেক ধণ্যবাদ মন্তব্য করার জন্য। উনার বিশেষ করে ঐতিহাসিক উপন্যাসগুলির আরো বহুল প্রচারনা প্রয়োজন।
০১ মে ২০১৪ রাত ১১:৪৭
164436
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : একমত
216355
০২ মে ২০১৪ রাত ০৩:৫৭
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : ভালো লাগলো ভাই পোষ্ট টি পড়ে।
০২ মে ২০১৪ দুপুর ১২:০১
164584
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
১০
216411
০২ মে ২০১৪ দুপুর ১২:০৫
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : আমার যদি ভুল না হয়ে থাকে উনার একটি বইর নাম ‘পরিবার নহে কারাগার’
বইটিতে বাংলাদেশের অনেক বাস্তব চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল ।
০২ মে ২০১৪ দুপুর ১২:২৩
164587
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আপনার একটু ভুল হয়েচে। 'পরিবার নহে কারাগার" মুহাম্মদ মুজাফফর হুসাইন এর লিখা। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১১
216413
০২ মে ২০১৪ দুপুর ১২:১১
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : বাংলাভাষায় গত পঞ্চাশ বছরে ঐতিহাসিক উপন্যাস খুব কমই লিখা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের কেউকেউ লিখেছেন কিন্তু তাদের বেশিরভাগ লিখাই বিকৃত তথ্য আর মুসলিম বিদ্বেষ এ ভর্তি। সেই বিকৃত ইতিহাসের বিপরিতে সঠিক ইতিহাস নিয়ে ঐতিহাসিক উপন্যাস রচনায় কলম হাতে নেন এই শিকড় সন্ধানি সুসাহিত্যিক। এক অতি কঠিন সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বাংলাদেশে মুসলিম শাসনের আটশত বছরের ইতিহাস কে উপন্যাসে রুপ দিয়ে পরবর্তি প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করবেন। আল্লাহর অশেষ রহমতে তার সেই সপ্ন সফল হয়েছে।

খুব ভাল লাগল একজন লেখককে আজকের এ স্মরণীয় দিনে উপস্থাপন করার জন্য। এসব ক্ষণজম্মা মানুষগুলোকে এ জাতির নতুন প্রজম্ম চেনেনা। যারা পরিচয় করিয়ে দেবার কথা, তারা তাদের বাপ দাদার চৌদ্দ গোষ্ঠীর পরিচিতি নিয়ে ব্যস্ত। একজন অকুতভয় দেশপ্রেমিক লেখক জাতির শ্রেষ্ট বিবেক। সে মানুষগুলোই আজ বড় অবহেলিত। ধনবাদ আপনাকে। ভাল লাগল পড়ে।
০২ মে ২০১৪ দুপুর ১২:২৪
164588
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটির জন্য।
১২
216463
০২ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৫৪
আহমদ মুসা লিখেছেন : সফি উদ্দিন সরদার সম্পর্কে অল্পকিছু জানতাম। তবে এতো বিস্তারিত জানতাম না। ওনার কোন বই পুস্তুকও পড়ার এখনো সুযোগ হয়নি। ইনশায়াল্লাহ ভবিষ্যতে সংগ্রহ করবো তার লেখা উপন্যাস। বাংলাভাষাতে রাষ্ট্রীয়ভাবেই আনুকুল্য পেয়ে এসেছে সব সময় বামপন্থীরা। অথচ বাম আর রামপন্থী লেখকদের চেয়েও অনেক সিনিয়র লেখক যেমন ছিলেন এদেশে তেমনি ওদের সংখ্যাও ছিল বেশী। কিন্তু বামপন্থীদের অতিরিক্ত কদর করতে ‍গিয়ে জাতির প্রকৃত মেধাবী সন্তানদের অবহেলা করা হয়ে থাকে রাষ্ট্রীয়ভাবেই। জাতীয় মনিষী সৈয়দ আলী আহসান সাহেব আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অত্যন্ত সুপরিচিত একজন সাহিত্যিক হলেও তার মৃত্যুকালে তৎকালীন সেকুলার শাসকগোষ্টী তাদের মতাদর্শের প্রচারকের ভুমিকা পালন না করার কারণে ওনাকে পর্যন্ত অভজ্ঞা করা হয়েছিল।
০২ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:০৬
164619
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এটা ডানপন্থিদের ব্যার্থতা ও হিনমন্যতার কারনে হয়েছে। সুনিল, সমরেশ দের চেয়ে শফিউদ্দিন সরদার কোন ক্রমেই খারাপ লেখক নন। কিন্তু তারা প্রয়োজনিয় সমর্থন পাননা। তার বইগুলি পড়ুন বুঝতে পারবেন তার প্রকৃত মুল্য। ধন্যবাদ মন্তব্যটির জন্য।
১৩
216742
০৩ মে ২০১৪ রাত ০৪:৪৭
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আমারও তাঁর লেখা প্রথম বই পড়া হয়েছে বারোপাইকার দুর্গ Happy একজনকে উপহার দেয়ার জন্য কিনে পরে যা পেয়েছি সবই পড়া হয়েছে ইতিহাসভিত্তিক সিরিজটির। মজা পেলাম দেখে যে আমি একাই তাঁকে নসীম হিজাজীর সাথে তুলনা করতাম না Happy
০৩ মে ২০১৪ সকাল ১০:০৭
164977
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটির জন্য। ঐতিহাসিক উপন্যাস বর্তমান বাংলাদেশে আর কেউ লিখেননি। তার লিখার দর্শন নসিম হিজাজির সাথেই তুলনিয়। উভয়ই মুসলিম জাতির ভুলে যাওয়া ইতিহাস তুলে এনেছেন।
১৪
218002
০৬ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৩৫
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : শফিউদ্দিন সরদার এর লিখা পড়েছি কিন্তু তার কোন বই আমার কাছে নেই।
তার নেক হায়াত কামনা করছি।
আর তার লিখা বই সংগ্রহ করবো ইনশাআল্লাহ।
তিনার শব্দ সিলেকশন অসাধারণ। একটু মনে আছে"রুখো রুখো ইসকো রুখো এটা ক্ষেপে গেছে বাঁচাও বাঁচাও " Thumbs Up Thumbs Up
তিনার সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
০৬ মে ২০১৪ সকাল ১০:৪৭
166138
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটির জন্য।
সত্যিই শফিউদ্দিন সরদারের শব্দ ব্যবহার বিশেষ ধরনের। ডঃ জামাল নজরুল ইসলাম ও তার প্রসংশা করেছিলেন এই জন্য।
১৫
218471
০৭ মে ২০১৪ দুপুর ০১:২১
ডঃ আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন : আমরা তো মানুষ মরে গেল হুশ ফিরে পাই এবং মরনোত্তর পুরস্কার দিয়ে কাযা করি। আসুন, বেচে থাকতেই এই সম্পদটাকে কিছু করতে পারি কি-না। উনি আবার কোন রাজনৈতিক দলের কর্মী না হলেও অনেকেই গুরুত্ব দিতে চান না।
উনার সাথে যোগাযোগ করার কোন ব্যবস্থা থাকলে আমাকে ঠিকানায় জানাবেন দয়া করে।
০৭ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:২৬
166543
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটির জন্য। আসলেই আমরা বেচে থাকতে মানুষ এর মুল্যায়ন করিনা। আমি তার ঠিকানা দিতে চেষ্টা করছি দ্রুত।
১৬
224887
২৩ মে ২০১৪ রাত ১২:১৪
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : একমত। উনার অনেক রচনা সাপ্তাহিক মুসলিম জাহানের কল্যাণে পড়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। উক্ত পত্রিকার ঈদ সংখ্যাগুলো সবসময়ই সংগ্রহ করতাম এসব ঐতিহাসিক উপন্যাস পড়ার জন্য। লেখকের ব্যাক্তি জীবনের অনেক কিছুই জানলাম আপনার পোষ্ট থেকে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
২৩ মে ২০১৪ রাত ১২:৪২
172103
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সুন্দর মন্তব্যটির জন্য ধন্যবাদ।
১৭
257544
২৩ আগস্ট ২০১৪ রাত ১১:৩৮
ইকবাল মোর্শেদ লিখেছেন : নসীম হিজাযীর মত বাংলাতেও একজন সাহিত্যিক ইতিহাসভিত্তিক উপন্যাস লিখে গিয়েছেন, অথচ আমরা তার নামই জানি না !!

এমনকি যাদের ইসলামি সহ অন্যান্য সাহিত্যের প্রতি আগ্রহ আছে তাদের কাছ থেকেও আমি তার নাম শুনলাম না !!

সত্যিই আমরা গুণির কদর করতে জানি না। ইসলামের প্রতি ভালবাসা সম্পন্ন সাহিত্যিকদের কদর করতে না পারায় আজকে ইসলামের ইতিহাস, সৌন্দর্য্য মানুষের সামনে তুলে ধরবে সেই মানের সাহত্যিক আমাদের মাঝে নেই :(

এই অসাধারণ ঔপন্যাসিকে আমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
২৪ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১০:২৮
201309
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটির জন্য।
শফিউদ্দিন সরদার বাংলাভাষার শ্রেষ্ঠ লেখকদের অন্তর্ভুক্ত। সেটা আমরা মানি আর নাই মানি। অনেকেই আছেন যারা ইসলামি সাহিত্য বলতে কেবল ধর্মিয় বই ই বুঝেন। অথচ কাব্য,উপন্যাস ইত্যাদি ও এর অন্তর্ভুক্ত। নজরুল তা একটি বিখ্যাত প্রবন্ধে বলেছিলেন বিশ্ব সাহিত্যের একটি ইসলামি ঢং আছে। সে সাজে তার সেীন্দর্যের হানি হয়না।
কিন্তু আমাদের হিনমন্যতাবোধ আমাদের কে আমাদের শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিকদের থেকে দুরে রাখছে।তার বই পড়ুন ও প্রচার করুন।
১৮
257657
২৪ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১০:৫৮
কাহাফ লিখেছেন : শুরু করলে শেষ না করে উঠা মুশকিল,এ মহান লেখকের লেখার এমন-ই।
২৪ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬
201339
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ঠিকই বলেছেন। তার ভাষা অত্যন্ত আকর্ষনিয়।
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটির জন্য।
১৯
261562
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৩৭
আবু নাইম লিখেছেন : আসসালাম। আপনার লিখাটা পড়ে আরও কিছু জানলাম। এ মানের লোকদের জন্য অন্তরের অন্তস্থল থেকে শুধু দোয়াই বের হয়। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কল্যাণ ও মঙ্গল দান করুন।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:১৮
206086
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সুন্দর মন্তব্যটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
তিনি লিখে চলেছেন আমাদের স্বিকিৃতির আশা না করেই।
২০
341583
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৯:৪৮
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : কিছু উন্নাসিক লেখক সাহিত্যে মুসলমানী জেওর সহ্য কতে রাজী নন।কোনো লেখক ভাষা ও বিষয়ে এ কাজ করে ফেললে তাকে জ্যান্ত পুতে ফেলা হয় উপেক্ষার কাদায়।যেমন হয়েছে শফিউদ্দীন সরদারের ক্ষেত্রে।তিনি ঐতিহাসিক উপন্যাসে সে সময়কার ভাষারীতির এক্সপেরিমেন্ট করেন।সাহিত্যের ক্ষেত্রে যা অবশ্যই তারিফযোগ্য।যারা বিষয়টিকে সহজে মেনে নিতে রাজি নন, তারা তারাশংকর বন্দোপাধ্যায়ের 'গন্না বেগম্ִ পড়তে পারেন।এমন বই বাংলা সাহিত্যে খুবই কম লিখিত হয়েছে।মোঘল আমলের জীবনচিত্র এঁকেছেন তিনি।বর্ণনারীতি আরবী-ফারসী বহুল এমন ভাষায়, যা মুসলমানী বাংলার আশ্চর্য নীরিক্ষা।এই রীতিতে কোনো মুসলমান লেখকও এতো বড়ো বই লিখেন নি!!সরদার বহু উপন্যাস লিখেছেন।সাহিত্য ও শিল্পমান সব গ্রন্থে সমান হয় না, শফিউদ্দীন সরদারে অসমানতার নজির প্রচুর।কিন্তু ইতিহাস, ঐতিহাসিক মানুষ, পরিবেশ ও ভাষারীতির জীবন্ত ও আধুনিক নীরিক্ষায় তিনি প্রতিভূ। একজন রাহাত খান বা মন্জু সরকারের চেয়ে কোনো ভাবেই তিনি কম নন।কিন্তু মিডিয়া তাঁর দিকে চোখ তুলে তাকাবে না। অন্ধ মিডিয়া তাঁকে না দেখুক, আমরা যেনো তাকে অবহেলা না করি!
-Musa Al Hafiz
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:৩৭
282978
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সুন্দর মন্তব্যটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। রবিন্দ্রনাথ এর বিপুল সাহিত্য ভান্ডার এর মধ্যেও সল্প মানের লিখা প্রচুর আছে। শফিউদ্দিন সরদার এর মত লেখক বাংলা সাহিত্যে বেশি নাই।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File