বাংলা সন এর ইতিহাস
লিখেছেন লিখেছেন রিদওয়ান কবির সবুজ ১৩ এপ্রিল, ২০১৪, ০৩:২৪:১৩ দুপুর
সময় বা কাল গননা মানব সভ্যতার উন্মেষ থেকেই হয়ে আসছে। সৃষ্টির সাথে সাথেই উদ্ভব হয়েছে সময় এর। আর এর পরিমাপের জন্য বিভিন্ন একক এর। সময় হচ্ছে একটি একমুখি মাত্রা। যাকে কখনও পিছিয়ে নেয়া যায়না। সময় এর একটি প্রধান একক হচ্ছে বছর। চন্দ্র বা সূর্যের পরিক্রমন এর মাধ্যমে এই বর্ষ বা বছর নির্ধারন করা হয়্ । মানুষ প্রধানত দুই ধরনের হিসাবে বছর নির্ধারন করে। চাঁদের পরিভ্রমন এর হিসেবে এবং সূর্যের পরিভ্রমনের হিসেবে। সূর্য ভিত্তিক বা সেীর বছর এর উপর নির্ভর করে আবহাওয়া ও ঋতু। অন্যদিকে চান্দ্র বছর ঋতুর উপর কোন প্রভাব ফেলেনা। ঋতুগত কারনে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে এই সেীর বছর ব্যবহৃতহয় আঞ্চলিক ভাবে। সেভাবেই বাংলাদেশে ব্যবহৃত হয় বাংলা সন।
বাংলা নববর্ষ বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও অর্থনিতির সাথে জড়িত ওতপ্রোত ভাবে। বর্তমান বাংলা সন প্রচলিত হওয়ার আগে বাংলাদেশে মুলত ঋতু ভিত্তিক তারিখ বা বছর গননা করা হত। স্বাভাবিক ভাবেই এর মধ্যে কোন স্থিরতা ছিলনা। কারন সব এলাকাই একই দিনে বৃষ্টি হতোনা বা শিত পড়ত না। মুসলিম আমলে প্রথম সরকারি ক্ষেত্রে হিজরি সন ব্যবহার শুরু হয়। হিজরি সন চান্দ্রভিত্তিক বলে এটি ঋতু নিরেপেক্ষ একটি বছর।
উপমহাদেশে মুসলিম শাসন প্রবর্তিত হওয়ার পর থেকেই রাষ্ট্রিয় ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতো হিজরি সন। ১২০১ সালে ইখতিয়ারউদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খিলজি কর্তৃক বঙ্গ বিজয় এর পর থেকে উনিশ সতকের প্রথমার্ধ পর্যন্ত রাষ্ট্রিয় পর্যায়ে ব্যবহৃত হতো হিজরি সন। এছাড়া মুসলিম ধর্মিয় উৎসব সমুহও উদযাপিত হয় হিজরি বর্ষ অনুসারে। যতটুক জানা যায় বাংলাদেশে মুসলিম আমলের আগে শশাংক কর্তৃক প্রবর্তিত শকাব্দ ও বিক্রমাব্দ সহ বিভিন্ন ধরনের সন গননা প্রবর্তিত ছিল। যদিও তখন এমনকি ৩০-৪০ বছর আগেও সাধারন গ্রামিন জিবনে নির্দৃষ্ট সাল ও তারিখ গননা করা খুবই কম দেখা যায়। তবে মাসের ক্ষেত্রে দেখা যায় মানুষ সন মনে না রাখলেও মাসটি মনে রাখত। হিজরি সন চান্দ্র বর্ষ হওয়ায় এটির সাথে ঋতুর কোন সম্পর্ক ছিলনা। এ কারনে সেসময় কর আদায় করতে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। কারন এটাইি স্বাভাবিক যে কৃষি প্রধান সমাজে চাষিদের কাছে ফসল তুলার পরই কর আদায় করার মত যথেষ্ট অর্থ থাকত। এছাড়া একই কারনে ব্যবসায়ি ও অন্য পেশাজিবি রাও এসময় অধিক অর্থ হাতে পেতেন অর্থনিতির স্বাভাবিক তত্ব অনুযয়ি। অন্যদিকে হিজরি সন অনুযায়ি যে কোন বর্ষ শেষ হতে যখন কর আদায় এর হিসাব করা হতো তখন দেখা যেত ফসল তোলার সময় হতে কর আদায় এর সময় ভিন্ন হওয়ায় হয় ঠিক মত কর আদায় হয়নি কিংবা কৃষকেরা কর আদায় করতে গিয়ে অভাবে পতিত হতে হয়েছে। এই অবস্থার প্রেক্ষিতে সুলতানি আমলেই বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। আলাউদ্দিন হোসেন শাহ এর আমলে একটি কাব্যে বাংলাদেশে প্রচলিত সন কে যাবনি আব্দ বলার প্রমান পাওয়া যায়। যা থেকে বোঝা যায় সে সময় বাংলাদেশে প্রচলিত স্থানিয় তারিখ গননাটি মুসলিম সুলতান দের প্রচলিত ছিল। এই প্রচলিত প্রাচিন বাংলা সন কে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে সংস্কার করা হয়। দিল্লির মুঘল সম্রাট আকবরের আমলে বর্তমানে প্রচলিত বাংলা সন কে বৈজ্ঞানিক ভাবে নির্ধারন করা হয়।
”সন” ও তারিখ দুটিই আরবি শব্দ। প্রথমটির অর্থ বর্ষ,দ্বিতিয়টির অর্থ দিন। তবে তারিখ অর্থ ইতিহাস ও হয়। সাল শব্দটি ফার্সি। মুসলিম পুর্ব ভারতবর্ষে বিভিন্ন সন প্রচলিত ছিল। বাংলায় তখন যে সন প্রচলিত ছিল তার প্রথম দিন ছিল ১লা অগ্রাহায়ন। হায়ন শব্দের অর্থ বছর বা সুর্যের একটি পরিক্রমন এর সময়। একারনে সম্রাট আকবরের সময় প্রচলিত বাংলাসনের আগে বাংলাদেশে নববর্ষ উদযাপিত হতো ১লা অগ্রহায়ন। এছাড়া কার্তিক ও চৈত্র মাসকেও বিভিন্ন সময় বৎসরের প্রথম মাস হিসেবে নির্ধারনের প্রমান পাওয়া যায়। মুঘল সাম্রাজ্য তার তুর্কি ও ইরানি প্রভাবের কারনে সম্রাটগন ফারসি পঞ্জিকা ব্যবহার করতেন ব্যাক্তিগত বা পারিবারিক ক্ষেত্রে যা ছিল একটি সেীর পঞ্জিকা। তারা ফার্সি নববর্ষ বা নওরোজ ও উদযাপন করতেন। কিন্তু প্রসাশনিক ক্ষেত্রে কেবলমাত্র হিজরি সন ই ব্যবহার করা হতো। সম্রাট আকবর তার ”দিন-ই-ইলাহি” এর সাথে একটি ”তারিখে ইলাহি” নামে একটি নতুন সৈীর সাল প্রবর্তন এর চেষ্টা করেন কিন্তু ব্যার্থ হন। তবে কেন্দ্রিয় ভাবে এই সন প্রচলনের চেষ্টার পুর্বেই অঞ্চল ভিত্তিক আগে থেকে প্রচলিত সন এবং হিজরি সন এর মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে কয়েকটি সন এর প্রচলন করেন সম্রাট আকবর। এই সন গুলিকে বলা হত ফসলি সন কারন এই সনগুলির গননা ফসল উৎপাদন এর সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল। এই সন গুলির প্রর্বতন এর জন্য প্রয়োজনিয় হিসাব নিকাশ করেছিলেন সম্রাট আকবরের সভাসদ জেীর্তিবিজ্ঞানি আমির ফতেউল্লাহ সিরাজী। ১৫৮৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এই সন প্রচলিত হয় তবে এর প্রথম বছর হিসেবে নির্ধারন করা হয় সম্রাট আকবরের সিংহাসন আরোহনের বছর যা ছিল ৯৬৩ হিজরি মোতাবেক ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দ। এই নিয়মে হিজরি সালের সাথে সমন্বয় এর উদ্দেশ্যে প্রতম বাংলা সন শুন্য বা এক না হয়ে ধরা হয় ৯৬৩ বঙ্গাব্দ হিসেবে। যতটুক যানা যায় সে বছর হিজরি সনের প্রথম মাসের প্রথম দিন তথা ১লা মুহররম এবং ১লা বৈশাখ একই দিনে পরেছিল। তাই বৈশাখ কে প্রথম মাস ধরে বাংলার ফসলি সন গননা শুরু করা হয়। খাজনা আদায় ও প্রশাসনিক কাজে হিজরির সাথে সহজে সমন্বয় করা যায় এবং ঋতুভিত্তিক হওয়ার কারনে এই সন সাধারন মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্য হতে বেশি সময় লাগেনি। প্রবর্তন এর সময় বাংলা ও খ্রিস্টাব্দের মধ্যে পার্থক্য ছিল ৫৯৩ বছর। চান্দ্র বছর সেীর বছরের তুলনায় ১১-১২ দিন কম হয় প্রতি বছরে। সেই কারনে বর্তমানে আমরা বাংলা ১৪২১ সালে পা দিলে ও হিজরি সাল এগিয়ে ১৪৩৫ সালে পেীছে গেছে।
বাংলা সনের মাসগুলির নাম নেয়া হয়েছে পুর্বে প্রচলিত আঞ্চলিক মাসগুলি থেকে। যদিও জানা যায় প্রথমে ফারসি পঞ্জিকা যা শামসি পঞ্জিকা নামে প্রচলিত এবং ইরানে যা এখনও অনুসরন করা হয় তার নামগুলি নেয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তিতে পুরাতন মাসের নামগুলিই পুনঃপ্রর্বতন করা হয়। প্রথমে মাসের প্রতিটি দিনের জন্যই ভিন্ন নাম প্রচলিত ছিল পওে সম্রাট শাহজাহান এর সময় বর্তমানের সপ্তাহ এবং এই দিনগুলির নাম প্রচলিত হয়। এক্ষেত্রে আরবীর পরিবর্তে স্থানিয় ভাবে প্রচলিত নামই ব্যবহার করা হয় জনগনের মধ্যে গ্রহনযোগ্যতার জন্য। এই বাংলা সন এখনও বাংলাদেশের গ্রামিন অঞ্চলে অনেকাংশেই প্রচলিত আছে যদিও শহুরে জিবন যাত্রায় এর কোনই প্রভাব নাই। আমরা এখন আমাদের রাস্ট্রিয় এবং সামাজিক উভয় ক্ষেত্রেই প্রধানত খ্রিষ্টিয় সন ই ব্যবহার করে থাকি। তবে গ্রামিন জিবনে এখনও এর প্রভাব রয়ে গেছে প্রধানত কৃষিকাজের জন্য। প্রবর্তিত হওয়ার পর থেকে দির্ঘদিন এর কোন রকম সংস্কার করা হয়নি। এর ফলে লিপ ইয়ার সহ কিছু বিষয় গননা না করায় বাংলা সন এবং ঋতুর মধ্যে অসামঞ্জস্য সৃষ্টি হয়। ১৯৬৭ সালে জ্ঞানতাপস ডঃ মুহাম্মদ শহিদুল্লাহর নেতৃত্বে একটি বাংলা একাডেমি একটি কমিটি গঠন করে। যে কমিটি বাংলা সনের কয়েকটি সংস্কার এর সুপারিশ করে। যে সুপারিশ অনুযায়ি ১লা বৈশাখ খৃষ্টিয় সনের ১৫ই এপ্রিল এর বদলে ১৪ই এপ্রিল নির্ধারন করা হয় এবং অধিবর্ষ বা লিপ ইয়ার এর বছর চৈত্রমাস একত্রিশ দিন গননার নিয়ম করা হয়। এই সংস্কার কৃত পঞ্জিকা ১৯৮৮ সাল থেকে বাংলাদেশে জাতিয় পর্যায়ে গ্রহন করা হয়।
নববর্ষ উদযাপনের ইতিহাস নিয়ে বিভিন্ন মতপার্থক্য রয়েছে। অনেকে এই দিনটি হিন্দুরা পুজা ও অন্যান্য কাজ করে বলে এটি মুসলিমদের পরিত্যাজ্য বলে মনে করেন। কিন্ত প্রকৃতপক্ষে বাংলা নববর্ষ কোন ধর্মিয় নয় বরং একটি সামাজিক উৎসব হিসেবেই প্রচলিত ছিল। নববর্ষের প্রদান যে দুটি অনুষঙ্গ প্রচলিত ছিল এবং এখনও আছে তা হলো মেলা এবং হালখাতা। হালখাতা বলতে সরল ভাবেই বুঝা যায় একটি বর্ষের সমাপ্তি তে সেই বর্ষের হিসাব শেষ করে নতুন বছরের জন্য নতুন হিসাবের খাতা খোলা। বাংলা সন যেহেতু প্রধানত খাজনা আদায় এর জন্য প্রচলন করা হয়েছিল তাই নতুন বছরের শুরুতেই পুর্বের বছরের হিসাব মিটিয়ে ফেলাই স্বাভাবিক। আর যেহেতু সরকারি ভাবে নতুন করে হিসাব শুরু হতো তাই সাধারন ব্যবসায়ি রাও নতুনকরে হিসাব করতেন এবং এই উপলক্ষে আপ্যায়ন করতেন। অন্যদিকে মেলাও একটি ব্যবসায়িক ব্যাপার। এখানে কোন ক্ষেত্রেই ধর্মের বিশেষ কোন স্থান নাই। কিন্তু বর্তমানে শহুরে তথাকথিত কিছু সাংস্কৃতিক ব্যক্তি বাংলা নববর্ষকে যে হাজার বছরের ঐতিহ্য দাবি করছেন এবং বিকৃতভাবে এটি পালন করার চেষ্টা করছেন তার সাথে বাংলার আবহমান প্রকৃত ঐতিহ্যের কোন সম্পর্ক নাই। ১লা বৈশাখের ভোরে সূর্যকে আবাহন এমনকি হিন্দুদের মধ্যেও প্রচলিত নয় কারন সূর্য বাংলাদেশে আলাদা দেবতা হিসেবে পুজিত হননা। অন্যদিকে নববর্ষের মিছিল এর নামে বিকৃত মুখোশ নিয়ে মিছিল করা এবং আবহমান বাঙ্গালি ঐতিহ্য এর নামে পান্তা-ইলিশ খাওয়া মুলত সাংস্কৃতিক দৈন্যতা ও বিকৃতির পরিচয়। প্রকৃত পক্ষে গ্রামিন জনগন সেই দিন কিছুটা অর্থ আদায় হতো বলে(যেহেতু পুর্বের বৎসরের হিসাব নিকাশ যতটা সম্ভব চুকিয়ে ফেলা হতো) একটু ভাল খাবারের বিশেষ করে মিষ্টি ও পিঠার আয়োজন করত বলেই জানা যায়। অন্যদিকে অনেকেই এই নববর্ষের সাথে মিলিয়ে ফেলেন হিন্দু সংস্কৃতিকে এবং একে মুসলিমদের জন্য নিষিদ্ধ বলে দাবি করেন। এমনকি বাংলা সনকেও হিন্দু ধর্মিয় সন বলে দাবি করেন অনেকে।যারা এই দাবি করছেন তারা তাদের দাবির পক্ষে তারা বলতে চান হিন্দুধর্মাবলম্বিরা এই দিনে বিভিন্ন পুজা করে এবং পরবর্তিতেও তাদের পুজা বাংলা সন অনুসারে অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে হিন্দু গন যে পঞ্জিকা অনুসারে পুজা করে থাকেন তা হলো সম্বত পঞ্জিকা। আরো একটি বিষয় হচ্ছে পুজার লগ্ন ও অন্যান্য বিষয় নির্ধারিত হয় মুলত চান্দ্র মাসের অনুসরনে। উল্লেখযোগ্য বর্তমানেও হিন্দুরা যে পঞ্জিকা ব্যবহার করেন তাতে ১লা বৈশাখ ধরা হয় ১৫ই এপ্রিল কে।
বাংলা নববর্ষ কোন ধর্মিয় উৎসব নয় বরং একটি সামাজিক উৎসব এমনকি সঠিকভাবে চিন্তা করলে একটি ব্যবসায়িক উৎসব মাত্র। একে এড়িয়ে গিয়ে আমরা বরং একটি ভুল এবং ইসলাম বিরোধি সংস্কৃতিকে সুযোগ করে দিচ্ছি। এই ভ্রান্ত ধারনা পরিত্যাগ করে আমাদের উচিত বরং এই দিনটিতে একটি প্রকৃত ইসলামি সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করা। হিজরি সন ভিত্তি করে প্রচলিত বিজ্ঞান সম্মত এই বাংলা সন নিঃসন্দেহে আমাদের গেীরব।
বিষয়: বিবিধ
১৮৭৬ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটির জন্য।
এখন জানতে শিখলাম এসব নাকি বাঙ্গালীর উৎসব, হাজার বছরের উৎসব। তার মধ্যে বাঙ্গালী বলতে চরৎ, বঙ্কিমেরা শুধুমাত্র হিন্দুদের বুঝিয়ে থাকেন। সে হিসেবে বাঙ্গালী তথা হিন্দুদের উৎসব।
এটার সাথে বাংলার মুসলমানদের কি সম্পর্ক আজো জানা গেলনা। মূলত বাংলাদেশের মানুষেরা একটু নাটক প্রিয় জাতি। বাস্তবতার উপরে তারা সঙ্গ, নাটিয়াল, ঘটিয়াল, এসবকে অনেক গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও তাদের জ্ঞান অর্জনের ব্রত ভুলে গিয়ে, পেঁচা, কাক ইত্যাদি বানানোতে মনোনিবেশ করেছে। কিছুদিন পরে তাদের কল্যাণে শুনতে পাব 'ফ্লাশ মব' ও বাঙ্গালী কালচার।
আসল কথা হল, 'যারা কোন উন্নত সাংস্কৃতির মর্ম বুঝেনা, তারা পুরো দুনিয়ার কদাচারকে সাংস্কৃতি বানিয়ে নেয়'। যেমননি আমাদের দেশে চলছে।
সংস্কৃতির ব্যাপারে অজ্ঞানতা এবং আত্মবিশ্বাসহিনতা এবং ইতিহাস বিমুখিতা এর জন্য দায়ি।
বিনোদন মানুষের মনের স্বাভাবিক চাহিদা। যদি সুস্থ বিনোদন না থাকে তা শয়তানি সংস্কৃতির দিকে যাবে তা নিশ্চিত।
কিন্তু মডুমামা কারে ঝুলাইব????
বছরের প্রথম দিনেই ঝুলে যাব।
মন্তব্য করতে লগইন করুন