প্রথম বাঙ্গালি মুসলিম জেনারেল।

লিখেছেন লিখেছেন রিদওয়ান কবির সবুজ ৩০ মার্চ, ২০১৪, ০৮:০৫:০১ রাত



মেজর জেনারেল ইশফাকুল মজিদ। এই নামটি অপরিচিত বেশিরভাগ মানুষের কাছেই। অথচ এই নামটি হতে পারত ইতিহাসের অংশ। হতে পারত এই নামটি ইতিহাসের অংশ হওয়ার কারনে পাকিস্তানের করুন পরিনিতি হতোনা। ১৯৭১ সালে লক্ষ মানুষের মৃতদেহ ইতিহাসের অংশ হতোনা। এভাবে অনেক হয়তো চিন্তা করা যেতে পারে কিন্তু ইতিহাস আর পাল্টানো যাবেনা।

এই নামের পিছনের মানুষটি ছিলেন একজন আসাম নিবাসি বাঙ্গালি। যিনি ছিলেন ১৯৫১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অন্যতম প্রধান অফিসার ছিলেন এবং তিনি ছিলেন পাকিস্তান এ স্বৈরশাসন এর আমদানি কারক জেনারেল আইয়ুব খানেরও সিনিয়র একজন অফিসার। ১৯৫১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দ্বিতিয় প্রধান ও শেষ ইংরেজ প্রধান জেনারেল ডগলাস গ্রেসির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। পাকিস্তান সরকার এর সামনে আসে প্রথম পাকিস্তানি সেনা প্রধান নিয়োগ এর সুযোগ। নিয়ম অনুসারে এই জন্য তালিকা প্রস্তত এর দায়িত্ব পালন করেন তৎকালিন প্রতিরক্ষা সচিব মেজর জেনারেল ইসকান্দার মির্যা। স্যান্ডহার্স্ট থেকে প্রশিক্ষপ্রাপ্ত ইসকান্দার মির্যা প্রথম ভারতিয় গ্র্যাজুয়েট সামরিক অফিসার হলেও কয়েকবছর পর তিনি তৎকালিন ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল সার্ভিস এ যোগ দেন এবং পাকিস্তান স্বাধিন হওয়ার পর প্রতিরক্ষা সচিব হন। সে সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনিতে সবচেয়ে সিনিয়র অফিসার ছিলেন মেজর জেনারেল আকবর খান। তার সিনিয়রিটি নম্বর ছিল পিএ-০১। তিনি ছিলেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় একজন সাধারন অশ্বারোহি সৈনিক। যুদ্ধে কৃতিত্ব প্রদর্শন করার জন্য অফিসার হিসেবে ফিল্ড কমিশন লাভ করেন। দ্বিতিয় স্থানে ছিলেন তারই আপন ভাই মেজর জেনারেল ইফতিখার খান। তিনি স্যান্ডহার্ষ্ট থেকে প্রশিক্ষন ও কমিশন লাভ করেন। সিনিয়রিটির তালিকায় তৃত্বিয় নামটি ছিল মেজর জেনারেল ইশফাকুল মজিদ। তারপর ছিলেন মুহাম্মদ আকবর খান এবং এএনএম রাজা। এই সিনিয়রিটি লিস্ট অনুযায়ি আইয়ুব খানের তখন সেনা প্রধান হওয়ার কোন সুযোগ ছিলনা। কিন্তু পাকে চক্রে তিনি হয়ে পড়েন সেনাপ্রধান এবং এরপর পাকিস্তানের স্বৈরশাসক।

মেজর জেনারেল ইশফাকুল মজিদ এর জন্ম ১৭ই মার্চ ১৯০৩ সালে আসামের গুয়াহাটিতে। তার পিতা আবদুল মজিদ ছিলেন একজন ম্যাজিষ্ট্রেট এবং আসাম প্রদেশের প্রথম ভারতিয় ও মুসলিম গর্ভনরের কাউন্সিল এর সদস্য। তারা চার ভাই চার বোন ছিলেন। ইশফাকুল মজিদ গুয়াহাটির বিখ্যাত কটন কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। ১ম বিশ্বযুদ্ধে ভারতিয় সৈনিকদের সাফল্য ভারতিয়দের সেনাবাহিনিতে অফিসার পদে নিয়োগ দেওয়ার দাবি মানতে বৃটিশ সরকার কে বাধ্য করে। ১৯১৮ সালে প্রথম দুজন ভারতিয় ইংল্যান্ড এর রয়েল মিলিটারি একাডেমি স্যান্ডহার্ষ্ট এ যোগ দেন। যার একজন ইসকান্দার মির্যা প্রথম ভারতিয় অফিসার হিসেবে বৃটিশ সেনাবাহিনিতে নিয়মিত কমিশন প্রাপ্ত হয়। এর আগে অবশ্য ভারতিয় সেনাবাহিনির প্রথম ভারতিয় প্রধান জেনারেল কারিয়াপ্পা এবং জেনারেল আকবর খান ফিল্ড কমিশন প্রাপ্ত হন। ১৯২২ সালে তৃত্বিয় ব্যাচে এর জন্য ইশফাকুল মজিদ নির্বাচিত হন। এবং ২ ফ্রেব্রুয়ারি ১৯২২ সালে তিনি স্যান্ডহার্স্ট এ যোগ দেন। তিনি ছিলেন প্রথম বাঙ্গালি মুসলিম অফিসার। যদিও ইসকান্দার মির্যা মুর্শিদাবাদের নবাব পরিবারের সদস্য তথা মীরজাফরের সরাসরি বংশধর হওয়ায় কাগজে কলমে বাঙ্গালি হিসেবে পরিচয় দেয়া হতো। কিন্ত তিনি তার শৈশব ও শিক্ষা জিবন অতিবাহিত করেছিলেন বোম্বেতে। ইশফাকুল মজিদ ছিলেন একমাত্র বাংলাভাষি অফিসার যিনি স্যান্ডহার্ষ্ট থেকে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত হয়েছেন। ২৯ এ আগষ্ট ১৯২৪ সালে ইশফাকুল মজিদ কমিশন লাভ করেন। সে সময়ের নিয়ম অনুযায়ি তিনি এক বছর একটি সম্পুর্ন ইংরেজ সেনাদের নিয়ে গঠিত ব্যাটালিয়ন ২য় লিঙ্কনশায়ার রেজিমেন্ট এ সেকেন্ড লেফটেনান্ট হিসেবে সংযুক্ত হন। এরপর নিয়মিত অফিসার হিসেবে যোগ দেন ঐতিহাসিক ৪/১৯ হায়দারাবাদ রেজিমন্ট এ। এখানেই তার প্রথম সামরিক জিবনের অধিকাংশ সময় অতিবাহিত করেন তিনি। ১৯২৫ সালে লেফটেনান্ট এবং ১৯৩৩ সালে ক্যাপ্টেন পদে পদোন্নতি হয় তার। এই ব্যাটালিয়ন এর সাথে তিনি ইরাক ও সিঙ্গাপুর সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় দায়িত্ব পালন করেন। তার ব্যাটালিয়ন টির নাম পরিবর্তন করে প্রথম কুমায়ুন রেজিমেন্ট হিসেবে নামকরন করা হয়। এই ব্যাটালিয়নটি এখনও ভারতিয় সেনাবাহিনীর অংশ। এই ইউনিটে তার সহকর্মিদের মধ্যে ছিলেন পরবর্তিতে ভারতিয় সেনাবাহিনি প্রধান জেনারেল থিমাইয়া এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জেনারেল আযম খান। জেনারেল মজিদ আফগান সিমান্ত যুদ্ধে এই ব্যটালিয়ন এর সাথে অংশ নেন। দ্বিতিয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে তিনি মালয় এবং বার্মা তে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধের পর তাকে আগ্রাতে অবস্থিত কুমায়ুন রেজিমেন্টাল সেন্টার এর অধিনায়ক নিযুক্ত করা হয়। তিনি তখন ছিলেন লেফটেনান্ট কর্নেল। ১৯৪৫ সালে তিনি এসিস্টেন্ট এডজুটেন্ট জেনারেল হিসেবে কলকাতায় ইষ্টার্ন কমান্ড এ যোগ দেন। ১৯৪৬ সালের কুখ্যাত কলকাতা দাঙ্গা প্রতিরোধ এবং দাঙ্গা আক্রান্তদের উদ্ধারে সাহসি ভুমিকা রাখেন। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর তিনি পাকিস্তানের অনুকুলে অপশন দেন এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনিতে পুর্নাঙ্গ কর্নেল হিসেবে যোগ দেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনিতে তিনি ১০ম এবং ৫১ম পদাতিক ব্রিগেড গঠন ও কমান্ড করেন। এরপর কাশ্মির সিমান্তে ৯ম পদাতিক ডিভিশন গঠন এবং এর প্রথম জিওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৫১ সালে যখন পাকিস্তানি অফিসারকে সেনা প্রধান নিয়োগ এর সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রশ্ন আসে তখন ইসকান্দার মির্যা তৎকালিন প্রধানমন্ত্রি লিয়াকত আলি খানকে বুঝান যে সিনিয়রিটির দিক দিয়ে প্রথম স্থানে থাকা আকবর খান উপযুক্ত নন কারন তিনি কোন একাডেমি থেকে কমিশন লাভ করেননি। যদিও জেনারেল আকবর খান দুটি বিশ্বযুদ্ধেই অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে অংশ গ্রহন করেছিলেন। অন্যান্যদের সম্পর্কেও বিভিন্ন কারন দেখান এবং জেনারেল আইয়ুব খানকেই একমাত্র উপযুক্ত হিসেবে উপস্থাপন করেন। এর পিছনে তার উদ্দেশ্য ছিল আইয়ুব খানকে তিনি তার ইচ্ছামত চালাতে পারবেন বলে মনে করতেন। তার এই উদ্দেশ্য কিছূটা পুরন হয়েছিল যদিও শেষ পর্যন্ত তার এই প্রিয় অফিসার এর হাতেই তিনি চুড়ান্ত অপমানিত হন। তার চেষ্টা সত্বেয় তৎকালিন পাকিস্তান সরকার শেষ পর্যন্ত জেনারেল ইফতিখার খান কে সেনা প্রধান নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু দায়িত্ব নেওয়ার আগেই তিনি এক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন। তার মৃত্যু আইয়ুব খান ও ইসকান্দার মির্যাকে নতুন সুযোগ এনে দেয়। এবার ইসকান্দার মির্যা সফল হন এবং আইয়ব খান তার সিনিয়র পাঁচজন যোগ্য অফিসার কে ডিঙ্গিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনির প্রথম পাকিস্তানি প্রধান হন। জেনারেল আকবর খান চাকরি থেকে অবসর নেন। অন্যরা চাকরিতে থেকে যান। কিন্তু আইয়ুব খান তাদের উপস্তিতিকে নিজের জন্য হুমকি মনে করেন। ১৯৫২ সালে মেজর জেনারেল ইশফাকুল মজিদ এবং মেজর জেনারেল মুহাম্মদ আকবর খান কে তিনি কুখ্যাত রাওয়াল পিন্ডি ষড়যন্ত্র মামলাতে ফাঁসিয়ে দেন। যদিও শেষ পর্যন্ত এই মামলাতে ইশফাকুল মজিদ সম্পুর্ন নির্দোষ প্রমানিত হন কিন্তু তিনি সেনাবাহিনী থেকে সসম্মানে অবসর গ্রহন করেন। অবসর গ্রহন এর পর কেবল তার প্রাপ্য পেনশন ও পৈতৃক সম্পদ এর উপর নির্ভর করে জিবন নির্বাহ করতে থাকেন।কয়েকবছর করাচিতে বসবাস করার পর তিনি ১৯৬২ সালে তৎকালিন পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসেন এবং নারায়ন গঞ্জের ফতুল্লায় শিতলক্ষা নদির তিরে একটি বাড়ি কিনে বসবাস করতে থাকেন। ১৯৭১ সালের শুরুর দিকে যখন পাকিস্তান বিরোধি আন্দোলন দানা বাধতে থাকে তখন ইশফাকুল মজিদ সহ অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকরা প্রতিরোধ যুদ্ধের জন্য প্রস্ততি নেন। চট্টগ্রাম ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টার এ কর্মরত তৎকালিন ক্যাপ্টেন আমিন আহমদ চেীধুরি সেন্টারে রক্ষিত সকল অবসরপ্রাপ্ত সামরিক ব্যাক্তির তালিকা মার্চের শুরুতে জেনারেল ওসমানির কাছে পৈীছে দেন। কিন্তু তৎকালিন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এই বিষয়ে কোন গুরুত্ব দেননি। ২২ মার্চ ১৯৭১ তারিখে প্রতিরোধের জন্য সংগঠিত করার পরিবর্তে তাদের নিয়ে বায়তুল মুকাররম থেকে শহিদ মিনার পর্যন্ত নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর এর দাবিতে একটি মিছিল করা হয়। এই মিছিলে জেনারেল ইশফাকুল মজিদ নেতৃত্ব দেন। মিছিল শেষে অবসরপ্রাপ্ত সামরিক সদস্যদের প্রতিনিধি দলের সাথে তিনি শেখ মুজিবর রহমান এর সাথে দেখা করেন এবং তার অনুগত থাকার কথা দেন। কিন্তু তৎকালিন নেতৃবর্গ তাদেরকে সঠিকভাবে সংগঠিত করতে বা পরিস্থিতি অনুধাবন করতে ব্যার্থ হয়। ২৫ এ মার্চ এর অপারেশন সার্চলাইট এর পর থেকে তিনি অন্যদের মত ভারতে যেতে পারেননি। কিন্তু এই মিছিল এ অংশ নেয়ার জন্য তাকে জুলাই মাসে গ্রেফতার করা হয়। প্রথমে তাকে সেনা সদরে আটক রাখা হয় এবং পরে ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগারে পাঠান হয়। তারা তাকে জেনারেল ওসমানিকে ধরার জন্য ফাঁদ পাততে এবং শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে সাক্ষি দিতে চাপ দিলেও তিনি দৃঢ়তার সাথে এই প্রস্তাবগুলি প্রত্যাখান করেন। ব্যার্থ হয়ে আগষ্ট এর শেষে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। দেশ স্বাধিন হওয়ার পর তৎকালিন সরকার তাকে প্রাপ্য সন্মান হতে বঞ্চিত করে। গ্রেফতারের পর থেকেই তিনি বয়স ও মানসিক চাপের কারনে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ১৯৭৬ সালের ৩১ এ মার্চ ইন্তেকাল করেন। তাকে ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।

জেনারেল ইশফাকুল মজিদ তিন বার বিয়ে করেন। তার প্রথমা স্ত্রী ছিলেন স্যার আবদুর রহিম এর কন্যা। এই সুত্রে তিনি হুসাইন শহিদ সুহরাওয়ার্দির ভায়রা হন। তার প্রথম স্ত্রী ১৯৪১ সালে ইন্তেকাল করেন। তার দ্বিতিয় স্ত্রীও ইন্তেকাল করেন। এর পর তিনি ঢাকার মুহাম্মদ ইসমাইল খান সাহেবের কন্যা বেগম মরিয়ম লাডলি কে বিয়ে করেন। তার কোন সন্তান ছিলনা। তিনি সেনাবাহিনিতে একজন ভাল খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং তিনি ছিলেন একজন দক্ষ শিকারি।

তার ইন্তেকালের পর জিয়াউর রহমান তার সন্মানে শোক বার্তা দেন। তার দির্ঘদিনের সাথি জেনারেল ওসমানিও তার অবদান সম্পর্কে লিখেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় প্রথম বাঙ্গালি এই জেনারেল কে স্মরন করার জন্য গত ৩৮ বছর বাংলাদেশ সরকার বা সেনাবাহিনি কিছুই করেনি। সাধারন মানুষ দুরে থাক সশস্ত্রবাহিনির অনেকেই তার নামটি পর্যন্ত জানেনা। এভাবেই আমরা আমাদের জাতির কৃতি সন্তানদের ভূলে যাচ্ছি।



২২ মার্চ ১৯৭১ সালে ঢাকায় প্রাক্তন সামরিক সদস্যদের মিছিলে জেনারেল ওসমানির পশে কালো চশমা পরিহিত জেনারেল ইশফাকুল মজিদ

আগামি কাল ৩১শে মার্চ ২০১৪ তার ৩৭ তম মৃত্যবার্ষিকি। আমরা তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।

বিষয়: বিবিধ

২৩০২ বার পঠিত, ৫২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

200485
৩০ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:৩৫
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমি আজকেই উনার নাম এবং জীবনি জানলাম। চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
৩১ মার্চ ২০১৪ রাত ১২:০২
150302
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : একজনকেও যদি তার সম্পর্কে জানাতে পারি আমার পরিশ্রম সার্থক। তার মত অনেককেই এখন আমরা আর মনে রাখি নি।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটির জন্য।
200491
৩০ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:৫০
শারমিন হক লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
৩১ মার্চ ২০১৪ রাত ১২:০৫
150304
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
200495
৩০ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:০১
মিনার রশীদ লিখেছেন : ভালো লাগলো। অাজই তাঁর সম্পর্কে জানতে পারলাম। ধন্যবাদ।
৩১ মার্চ ২০১৪ রাত ১২:০৮
150305
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে অত্যন্ত সন্মানিত ও আনন্দিত বোধ করছি। অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যটির জন্য।
200496
৩০ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:০৫
মেঘ ভাঙা রোদ লিখেছেন : অসাধারণ তথ্য সমৃদ্ধ একটা লেখা । জীবনে এই প্রথম শুনলাম পড়ে ভালো লাগলো
৩১ মার্চ ২০১৪ রাত ১২:০৮
150306
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটির জন্য।
200499
৩০ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:১৩
জেদ্দাবাসী লিখেছেন : লোকচুক্ষুর অন্তরালের অজানা ইতিহাস অতান্ত সু্ন্দর করে তুলে আনার জন্য আপনাকে আন্তরিক মোবারকবাদ ।

পোস্টে প্লাস+++++++++++
৩১ মার্চ ২০১৪ রাত ১২:০৯
150307
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সুন্দর মন্তব্যটির জন্য ধন্যবাদ।
আমাদের ইতিহাসে এরকম অনেক অজানা অধ্যায় আর ব্যাক্তিত্ব আছেন। দুর্ভাগ্য তারা তাদের প্রাপ্য স্থান পাচ্ছেনা আমাদেরই অবহেলায়।
200506
৩০ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:০৫
আবদুল্লাহ বাংলাদেশী লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ, দরকারি তথ্য জানলাম। আল্লাহ তায়ালা যেন ওনাকে জান্নাত দান করেন। সম্মানিত লোকের সম্মান এদেশে নেই।
৩১ মার্চ ২০১৪ রাত ১২:১০
150308
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আমিন।
সুন্দর মন্তব্যটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
200526
৩০ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:২৪
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা তার জীবদশায় তার প্রাপ সম্মান টুকু দিতে পারিনি । আজ তার ৩৭ তম মৃত্যবার্ষিকি উপলক্ষে তার রূহের শান্তি কামনা করছিন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ Good Luck
৩১ মার্চ ২০১৪ রাত ১২:১২
150309
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সুন্দর মন্তব্যটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। প্রথম বাঙ্গালি জেনারেল হিসেবে অন্ততপক্ষে তার নামটি কোন সামরিক স্থাপনাতে থাকতে পারত।
৩১ মার্চ ২০১৪ রাত ১২:৪৪
150314
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : আপনার প্রস্তাবটি যুক্তিসঙ্গত ! আশা করি বিলম্ব হলেও দেশপ্রেম জনতা তাদের পূর্ণ মূল্যয়ন করবেন ।
200543
৩০ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:৪৪
চেয়ারম্যান লিখেছেন : ভাইরে মুজিব জিয়া নিয়েই কোনো কুলকিনারা করতে পারছি না। আপনি কৈত্তে করে নিয়ে পোস্ট দিলেন। Surprised

জানলাম অনেক কিছু। ধন্যবাদ
৩১ মার্চ ২০১৪ রাত ১২:১২
150310
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এটাই তো আমাদের সমস্যা। আমরা আমাদের ইতিহাসকে ১৯৭১ সালেই সিমাবদ্ধ করে ফেলেছি। ধন্যবাদ মন্তব্যটির জন্য।
200577
৩১ মার্চ ২০১৪ রাত ০৪:০৬
সাদাচোখে লিখেছেন : নেতা ও নেতৃত্বে যারা নির্মোহ অবদান রাখেন - অকৃতজ্ঞ ও বিবেক হীন নেতা হলে - সময়ের পরিক্রমায় নির্মোহ মানুষদের ভুলে - স্বার্থপরদের কোলে ও কাখে তুলে রাখেন।

বাংলা ভাষাভাষি মানুষের কাছে এমন অনেক দৃষ্টান্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে - কিন্তু তা ন্যাশানাল লাইম লাইটে নেই। এই যা।
৩১ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৭
150514
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা বিদেশি অভিনেত্রিদের নিয়ে যতটুকু স্মরন করি। দেশের জন্য অবদান যারা রেখেছেন তাদের নামটাও জানিনা। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটির জন্য।
১০
200583
৩১ মার্চ ২০১৪ রাত ০৪:৫৬
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : চমৎকার বিষয় জানলাম।
৩১ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৭
150515
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
১১
200680
৩১ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:৫২
egypt12 লিখেছেন : উনাকে পাকিস্তান সেনাবাহিনিতে এনেছিলেন পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা এম.এ.জিন্নাহ সেনা প্রধান করবেন বলে কথা দিয়েছিলেন; কিন্তু জিন্নাহর ইন্তেকালের পর পাঞ্জাবীদের ষড়যন্ত্রে উনাকে আর সেনাপ্রধান করা হয়নি।

আপনাকে অনেক ধন্যবার এমন একজন মহা-মানবকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য।
৩১ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:৪০
150517
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : তিনি ঠিক এই ধরনের শর্তে পাকিস্তান আসেননি। তার এক বোন ও দুই ভাই ভারতেই থেকে গিয়েছিলেন। সেই বোন আসাম প্রাদেশিক পরিষদ এর সভাপতি ও হয়েছিলেন। তার প্রথম শশুড় এর সুবাদে মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ এর সাথে তার ব্যাক্তিগত পরিচয় ছিল। আসলে তৎকালিন পাকিস্তানি নেতৃবৃন্দের ভুল এবং বুরোক্রেসির প্রতি অতি বিশ্বাস পাকিস্তান এ গনতন্ত্র হত্যার জন্য দায়ি। এই ষড়যন্ত্রের অন্যতম বলি তিনি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটির জন্য।
১২
200723
৩১ মার্চ ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : অপপ্রচারের ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসকে তুলে আনার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৩১ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:৪২
150519
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটির জন্য। আমাদের ইতিহাসের এত আদর্শ ব্যাক্তি থাকার পরও কেন আমরা অন্যদেশের দিকে তাকিয়ে থাকি তা বুঝতে পারিনা।
১৩
200736
৩১ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০১:১৪
গ্রাম থেকে লিখেছেন : ভালো লাগলো, ধন্যবাদ।
৩১ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:৪২
150520
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
আপনার প্রোপিক টাও মনে করিয়ে দেয় একজন মহান বির কে।
১৪
200774
৩১ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:৪৮
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : আমরা উনাকে কেন স্মরন করবো বলেনতো! কি লাভ! আমরাতো এক দেশ এক পিতায়(অনেকে নেতা বলেন আমি পিতাই বলি) বিশ্বাসী!
যাযাকাল্লাহু খাইরান ভাই।
৩১ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৩
150521
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আমাদের লাভ আমরা সেই ভুল বিশ্বাস থেকে মুক্তি পাব। ধন্যবাদ মন্ত্যব্য করার জন্য।
০১ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:১৫
150944
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : এজন্যইতো উনাদের মতো মানুষদের স্মরন খুব রিস্কি! পিতা ব্যবসা এবং পিতার চেতনা ব্যবসায় ধ্বস নামার সমূহ সম্ভাবনা আছে কি না!
১৫
200777
৩১ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:৫০
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : বরাবরের মত ব্যতিক্রমী বিষয়ে আপনার উপস্থাপনার কারণে জাতি নতুন কিছু জানতে পারছে।
৩১ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৪
150522
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : কি ব্যাপার?????
গ্যাঞ্জাম ছাড়াই মন্তব্য!!!
সুর্য কি উলটা উঠেছে?:Thinking :Thinking
০১ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:১৬
150945
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : Surprised :Thinking
১৬
200782
৩১ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:৫৬
আহমদ মুসা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। নতুন তথ্য জানতে পারলাম। আমাদের দূভার্গ্য যে রাজনৈতিক রেশারেশির কারণে দেশের প্রধান দু'টি পরস্পর প্রতিদন্ধী রাজনৈতিক শক্তি তাদের মৃত নেতাদের ঠেলে আকাশে তোলার চেষ্টা আবার অন্য পক্ষ টেনে পাতালে ফেলার চেষ্টার অসুস্থ প্রতিযোগিতার মাঝে এ জাতির প্রকৃত মেধাবী ও মহান ব্যক্তিদের চিনতে ও বুঝতে দিচ্ছে না নতুন জেনারেশনকে।
আপনাকে ধন্যবাদ একটি অজানা বিষয়কে শেয়ার করার জন্য।
৩১ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৫
150524
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটির জন্য।
আমরা এদের ভুলে যাচ্ছি বা এদেরকে ভুলিয়ে দেয়া হচ্ছে বলেই সেই অপ্রয়োজনিয় বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছি। দেশ বা স্বাধিনতা কিছুই কোন একক ব্যাক্তির সম্পদ বা অবদান নয়।
১৭
200824
৩১ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:০৮
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : পর্দার অন্তরালে রয়ে যাওয়া একজন প্রতিভাবান মানুষকে ইতিহাসের পাতা থেকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। পড়ে ভার লাগল।
৩১ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০১
150615
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটির জন্য।
এদের মত মানুষ দের পর্দার অন্তরালে রাখা হচ্ছে আমাদের ইতিহাসকে ভুলিয়ে দেয়ার জন্য।
১৮
200918
৩১ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৩
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : আমাদের নিকট কত অজানা রয়েগিয়েছিলেন তিনি!
পরিচয় করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ সবুজ ভাই।
৩১ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৩
150616
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যটির জন্য।
আমাদের নিকট তার মত অনেকেই অজ্ঞাত। কারন আমরা ইতিহাস সচেতন নই এবং এই কারনে আমাদের জাতিয়তাবোধ ও কম।
১৯
201215
০১ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:৩১
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। ব্যাতিক্রমী বিষয়ে দারুন ! জাজাকাল্লাহু খায়রান।
০১ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:১৫
150910
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ওয়ালাইকুমআস সালাম।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটির জন্য।
২০
201321
০১ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:১১
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। আপনার এই ঐতিহাসিক পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ ।
০১ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫১
151080
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ওয়ালাইকুমআস সালাম।
আবারও ধন্যবাদ আরেকটি সুন্দর মন্তব্য করারজন্য।
২১
201510
০২ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৫:২৩
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : নাম,ব্যক্তি দুজনেই অপরিচিত ছিল। ভালো লাগলো । অনেক কিছু জানলাম Good Luck Good Luck
০২ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:১৬
151221
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এরকম অনেক ব্যাক্তিত্বকেই আমাদের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার অপচেষ্টা হচ্ছে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটির জন্য।
২২
203212
০৬ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:১৪
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : সুন্দর পোষ্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ।
০৬ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৭
152731
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : দেরিতে হলেও সুন্দর মন্তব্যটির জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
২৩
206777
১৩ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:৩৩
কেলিফোরনিয়া লিখেছেন : সংগ্রহে রাখলাম। ভালো লাগলো। দয়া করে, তথ্য প্রমানের জন্য কোন ভালো বইয়ের
নাম দিলে ভালো হত।
১৩ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:৪৫
155439
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটির জন্য। তাকে নিয়ে বিশেষ কোন বই নাই। বিভিন্ন বইতে বিচ্ছিন্ন ভাবে তার নাম পরিচয় উল্লেখ্য আছে। বিশেষ করে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ইতিহাস এবং কয়েকজন অফিসারের আত্মকথাতে। পুর্নাঙ্গ তথ্য পেতে "বাংলাদেশ ডিফেন্স জার্নাল" ফেব্রুয়ারি,২০১১ সংখ্যাটি দেখতে পারেন।
২৪
210474
২০ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৯:১৫
সায়িদ মাহমুদ লিখেছেন : এমন লিখা পড়ার জন্যইতো ব্লগে ঘুরি ফিরি। কিন্তু দুঃখের বিষয় অধিকাংশ লিখাই উদ্ভট কিস্তি খেউড়ে ভরা। অনেক সঙ্গেই আছি..........
২০ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:৩৫
158932
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এতদিন ঘুরার পড় পড়লেন!!
ধন্যবাদ পড়ার ও মন্তব্য করার জন্য।
২৫
210916
২০ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:৩৭
সায়িদ মাহমুদ লিখেছেন : দেরিতে হলেওযে পড়তে পেরেছি তাতেই শুকরিয়া ভাইজান।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File