প্রথম বাঙ্গালি মুসলিম জেনারেল।
লিখেছেন লিখেছেন রিদওয়ান কবির সবুজ ৩০ মার্চ, ২০১৪, ০৮:০৫:০১ রাত
মেজর জেনারেল ইশফাকুল মজিদ। এই নামটি অপরিচিত বেশিরভাগ মানুষের কাছেই। অথচ এই নামটি হতে পারত ইতিহাসের অংশ। হতে পারত এই নামটি ইতিহাসের অংশ হওয়ার কারনে পাকিস্তানের করুন পরিনিতি হতোনা। ১৯৭১ সালে লক্ষ মানুষের মৃতদেহ ইতিহাসের অংশ হতোনা। এভাবে অনেক হয়তো চিন্তা করা যেতে পারে কিন্তু ইতিহাস আর পাল্টানো যাবেনা।
এই নামের পিছনের মানুষটি ছিলেন একজন আসাম নিবাসি বাঙ্গালি। যিনি ছিলেন ১৯৫১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অন্যতম প্রধান অফিসার ছিলেন এবং তিনি ছিলেন পাকিস্তান এ স্বৈরশাসন এর আমদানি কারক জেনারেল আইয়ুব খানেরও সিনিয়র একজন অফিসার। ১৯৫১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দ্বিতিয় প্রধান ও শেষ ইংরেজ প্রধান জেনারেল ডগলাস গ্রেসির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। পাকিস্তান সরকার এর সামনে আসে প্রথম পাকিস্তানি সেনা প্রধান নিয়োগ এর সুযোগ। নিয়ম অনুসারে এই জন্য তালিকা প্রস্তত এর দায়িত্ব পালন করেন তৎকালিন প্রতিরক্ষা সচিব মেজর জেনারেল ইসকান্দার মির্যা। স্যান্ডহার্স্ট থেকে প্রশিক্ষপ্রাপ্ত ইসকান্দার মির্যা প্রথম ভারতিয় গ্র্যাজুয়েট সামরিক অফিসার হলেও কয়েকবছর পর তিনি তৎকালিন ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল সার্ভিস এ যোগ দেন এবং পাকিস্তান স্বাধিন হওয়ার পর প্রতিরক্ষা সচিব হন। সে সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনিতে সবচেয়ে সিনিয়র অফিসার ছিলেন মেজর জেনারেল আকবর খান। তার সিনিয়রিটি নম্বর ছিল পিএ-০১। তিনি ছিলেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় একজন সাধারন অশ্বারোহি সৈনিক। যুদ্ধে কৃতিত্ব প্রদর্শন করার জন্য অফিসার হিসেবে ফিল্ড কমিশন লাভ করেন। দ্বিতিয় স্থানে ছিলেন তারই আপন ভাই মেজর জেনারেল ইফতিখার খান। তিনি স্যান্ডহার্ষ্ট থেকে প্রশিক্ষন ও কমিশন লাভ করেন। সিনিয়রিটির তালিকায় তৃত্বিয় নামটি ছিল মেজর জেনারেল ইশফাকুল মজিদ। তারপর ছিলেন মুহাম্মদ আকবর খান এবং এএনএম রাজা। এই সিনিয়রিটি লিস্ট অনুযায়ি আইয়ুব খানের তখন সেনা প্রধান হওয়ার কোন সুযোগ ছিলনা। কিন্তু পাকে চক্রে তিনি হয়ে পড়েন সেনাপ্রধান এবং এরপর পাকিস্তানের স্বৈরশাসক।
মেজর জেনারেল ইশফাকুল মজিদ এর জন্ম ১৭ই মার্চ ১৯০৩ সালে আসামের গুয়াহাটিতে। তার পিতা আবদুল মজিদ ছিলেন একজন ম্যাজিষ্ট্রেট এবং আসাম প্রদেশের প্রথম ভারতিয় ও মুসলিম গর্ভনরের কাউন্সিল এর সদস্য। তারা চার ভাই চার বোন ছিলেন। ইশফাকুল মজিদ গুয়াহাটির বিখ্যাত কটন কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। ১ম বিশ্বযুদ্ধে ভারতিয় সৈনিকদের সাফল্য ভারতিয়দের সেনাবাহিনিতে অফিসার পদে নিয়োগ দেওয়ার দাবি মানতে বৃটিশ সরকার কে বাধ্য করে। ১৯১৮ সালে প্রথম দুজন ভারতিয় ইংল্যান্ড এর রয়েল মিলিটারি একাডেমি স্যান্ডহার্ষ্ট এ যোগ দেন। যার একজন ইসকান্দার মির্যা প্রথম ভারতিয় অফিসার হিসেবে বৃটিশ সেনাবাহিনিতে নিয়মিত কমিশন প্রাপ্ত হয়। এর আগে অবশ্য ভারতিয় সেনাবাহিনির প্রথম ভারতিয় প্রধান জেনারেল কারিয়াপ্পা এবং জেনারেল আকবর খান ফিল্ড কমিশন প্রাপ্ত হন। ১৯২২ সালে তৃত্বিয় ব্যাচে এর জন্য ইশফাকুল মজিদ নির্বাচিত হন। এবং ২ ফ্রেব্রুয়ারি ১৯২২ সালে তিনি স্যান্ডহার্স্ট এ যোগ দেন। তিনি ছিলেন প্রথম বাঙ্গালি মুসলিম অফিসার। যদিও ইসকান্দার মির্যা মুর্শিদাবাদের নবাব পরিবারের সদস্য তথা মীরজাফরের সরাসরি বংশধর হওয়ায় কাগজে কলমে বাঙ্গালি হিসেবে পরিচয় দেয়া হতো। কিন্ত তিনি তার শৈশব ও শিক্ষা জিবন অতিবাহিত করেছিলেন বোম্বেতে। ইশফাকুল মজিদ ছিলেন একমাত্র বাংলাভাষি অফিসার যিনি স্যান্ডহার্ষ্ট থেকে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত হয়েছেন। ২৯ এ আগষ্ট ১৯২৪ সালে ইশফাকুল মজিদ কমিশন লাভ করেন। সে সময়ের নিয়ম অনুযায়ি তিনি এক বছর একটি সম্পুর্ন ইংরেজ সেনাদের নিয়ে গঠিত ব্যাটালিয়ন ২য় লিঙ্কনশায়ার রেজিমেন্ট এ সেকেন্ড লেফটেনান্ট হিসেবে সংযুক্ত হন। এরপর নিয়মিত অফিসার হিসেবে যোগ দেন ঐতিহাসিক ৪/১৯ হায়দারাবাদ রেজিমন্ট এ। এখানেই তার প্রথম সামরিক জিবনের অধিকাংশ সময় অতিবাহিত করেন তিনি। ১৯২৫ সালে লেফটেনান্ট এবং ১৯৩৩ সালে ক্যাপ্টেন পদে পদোন্নতি হয় তার। এই ব্যাটালিয়ন এর সাথে তিনি ইরাক ও সিঙ্গাপুর সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় দায়িত্ব পালন করেন। তার ব্যাটালিয়ন টির নাম পরিবর্তন করে প্রথম কুমায়ুন রেজিমেন্ট হিসেবে নামকরন করা হয়। এই ব্যাটালিয়নটি এখনও ভারতিয় সেনাবাহিনীর অংশ। এই ইউনিটে তার সহকর্মিদের মধ্যে ছিলেন পরবর্তিতে ভারতিয় সেনাবাহিনি প্রধান জেনারেল থিমাইয়া এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জেনারেল আযম খান। জেনারেল মজিদ আফগান সিমান্ত যুদ্ধে এই ব্যটালিয়ন এর সাথে অংশ নেন। দ্বিতিয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে তিনি মালয় এবং বার্মা তে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধের পর তাকে আগ্রাতে অবস্থিত কুমায়ুন রেজিমেন্টাল সেন্টার এর অধিনায়ক নিযুক্ত করা হয়। তিনি তখন ছিলেন লেফটেনান্ট কর্নেল। ১৯৪৫ সালে তিনি এসিস্টেন্ট এডজুটেন্ট জেনারেল হিসেবে কলকাতায় ইষ্টার্ন কমান্ড এ যোগ দেন। ১৯৪৬ সালের কুখ্যাত কলকাতা দাঙ্গা প্রতিরোধ এবং দাঙ্গা আক্রান্তদের উদ্ধারে সাহসি ভুমিকা রাখেন। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর তিনি পাকিস্তানের অনুকুলে অপশন দেন এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনিতে পুর্নাঙ্গ কর্নেল হিসেবে যোগ দেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনিতে তিনি ১০ম এবং ৫১ম পদাতিক ব্রিগেড গঠন ও কমান্ড করেন। এরপর কাশ্মির সিমান্তে ৯ম পদাতিক ডিভিশন গঠন এবং এর প্রথম জিওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৫১ সালে যখন পাকিস্তানি অফিসারকে সেনা প্রধান নিয়োগ এর সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রশ্ন আসে তখন ইসকান্দার মির্যা তৎকালিন প্রধানমন্ত্রি লিয়াকত আলি খানকে বুঝান যে সিনিয়রিটির দিক দিয়ে প্রথম স্থানে থাকা আকবর খান উপযুক্ত নন কারন তিনি কোন একাডেমি থেকে কমিশন লাভ করেননি। যদিও জেনারেল আকবর খান দুটি বিশ্বযুদ্ধেই অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে অংশ গ্রহন করেছিলেন। অন্যান্যদের সম্পর্কেও বিভিন্ন কারন দেখান এবং জেনারেল আইয়ুব খানকেই একমাত্র উপযুক্ত হিসেবে উপস্থাপন করেন। এর পিছনে তার উদ্দেশ্য ছিল আইয়ুব খানকে তিনি তার ইচ্ছামত চালাতে পারবেন বলে মনে করতেন। তার এই উদ্দেশ্য কিছূটা পুরন হয়েছিল যদিও শেষ পর্যন্ত তার এই প্রিয় অফিসার এর হাতেই তিনি চুড়ান্ত অপমানিত হন। তার চেষ্টা সত্বেয় তৎকালিন পাকিস্তান সরকার শেষ পর্যন্ত জেনারেল ইফতিখার খান কে সেনা প্রধান নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু দায়িত্ব নেওয়ার আগেই তিনি এক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন। তার মৃত্যু আইয়ুব খান ও ইসকান্দার মির্যাকে নতুন সুযোগ এনে দেয়। এবার ইসকান্দার মির্যা সফল হন এবং আইয়ব খান তার সিনিয়র পাঁচজন যোগ্য অফিসার কে ডিঙ্গিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনির প্রথম পাকিস্তানি প্রধান হন। জেনারেল আকবর খান চাকরি থেকে অবসর নেন। অন্যরা চাকরিতে থেকে যান। কিন্তু আইয়ুব খান তাদের উপস্তিতিকে নিজের জন্য হুমকি মনে করেন। ১৯৫২ সালে মেজর জেনারেল ইশফাকুল মজিদ এবং মেজর জেনারেল মুহাম্মদ আকবর খান কে তিনি কুখ্যাত রাওয়াল পিন্ডি ষড়যন্ত্র মামলাতে ফাঁসিয়ে দেন। যদিও শেষ পর্যন্ত এই মামলাতে ইশফাকুল মজিদ সম্পুর্ন নির্দোষ প্রমানিত হন কিন্তু তিনি সেনাবাহিনী থেকে সসম্মানে অবসর গ্রহন করেন। অবসর গ্রহন এর পর কেবল তার প্রাপ্য পেনশন ও পৈতৃক সম্পদ এর উপর নির্ভর করে জিবন নির্বাহ করতে থাকেন।কয়েকবছর করাচিতে বসবাস করার পর তিনি ১৯৬২ সালে তৎকালিন পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসেন এবং নারায়ন গঞ্জের ফতুল্লায় শিতলক্ষা নদির তিরে একটি বাড়ি কিনে বসবাস করতে থাকেন। ১৯৭১ সালের শুরুর দিকে যখন পাকিস্তান বিরোধি আন্দোলন দানা বাধতে থাকে তখন ইশফাকুল মজিদ সহ অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকরা প্রতিরোধ যুদ্ধের জন্য প্রস্ততি নেন। চট্টগ্রাম ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টার এ কর্মরত তৎকালিন ক্যাপ্টেন আমিন আহমদ চেীধুরি সেন্টারে রক্ষিত সকল অবসরপ্রাপ্ত সামরিক ব্যাক্তির তালিকা মার্চের শুরুতে জেনারেল ওসমানির কাছে পৈীছে দেন। কিন্তু তৎকালিন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এই বিষয়ে কোন গুরুত্ব দেননি। ২২ মার্চ ১৯৭১ তারিখে প্রতিরোধের জন্য সংগঠিত করার পরিবর্তে তাদের নিয়ে বায়তুল মুকাররম থেকে শহিদ মিনার পর্যন্ত নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর এর দাবিতে একটি মিছিল করা হয়। এই মিছিলে জেনারেল ইশফাকুল মজিদ নেতৃত্ব দেন। মিছিল শেষে অবসরপ্রাপ্ত সামরিক সদস্যদের প্রতিনিধি দলের সাথে তিনি শেখ মুজিবর রহমান এর সাথে দেখা করেন এবং তার অনুগত থাকার কথা দেন। কিন্তু তৎকালিন নেতৃবর্গ তাদেরকে সঠিকভাবে সংগঠিত করতে বা পরিস্থিতি অনুধাবন করতে ব্যার্থ হয়। ২৫ এ মার্চ এর অপারেশন সার্চলাইট এর পর থেকে তিনি অন্যদের মত ভারতে যেতে পারেননি। কিন্তু এই মিছিল এ অংশ নেয়ার জন্য তাকে জুলাই মাসে গ্রেফতার করা হয়। প্রথমে তাকে সেনা সদরে আটক রাখা হয় এবং পরে ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগারে পাঠান হয়। তারা তাকে জেনারেল ওসমানিকে ধরার জন্য ফাঁদ পাততে এবং শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে সাক্ষি দিতে চাপ দিলেও তিনি দৃঢ়তার সাথে এই প্রস্তাবগুলি প্রত্যাখান করেন। ব্যার্থ হয়ে আগষ্ট এর শেষে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। দেশ স্বাধিন হওয়ার পর তৎকালিন সরকার তাকে প্রাপ্য সন্মান হতে বঞ্চিত করে। গ্রেফতারের পর থেকেই তিনি বয়স ও মানসিক চাপের কারনে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ১৯৭৬ সালের ৩১ এ মার্চ ইন্তেকাল করেন। তাকে ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জেনারেল ইশফাকুল মজিদ তিন বার বিয়ে করেন। তার প্রথমা স্ত্রী ছিলেন স্যার আবদুর রহিম এর কন্যা। এই সুত্রে তিনি হুসাইন শহিদ সুহরাওয়ার্দির ভায়রা হন। তার প্রথম স্ত্রী ১৯৪১ সালে ইন্তেকাল করেন। তার দ্বিতিয় স্ত্রীও ইন্তেকাল করেন। এর পর তিনি ঢাকার মুহাম্মদ ইসমাইল খান সাহেবের কন্যা বেগম মরিয়ম লাডলি কে বিয়ে করেন। তার কোন সন্তান ছিলনা। তিনি সেনাবাহিনিতে একজন ভাল খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং তিনি ছিলেন একজন দক্ষ শিকারি।
তার ইন্তেকালের পর জিয়াউর রহমান তার সন্মানে শোক বার্তা দেন। তার দির্ঘদিনের সাথি জেনারেল ওসমানিও তার অবদান সম্পর্কে লিখেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় প্রথম বাঙ্গালি এই জেনারেল কে স্মরন করার জন্য গত ৩৮ বছর বাংলাদেশ সরকার বা সেনাবাহিনি কিছুই করেনি। সাধারন মানুষ দুরে থাক সশস্ত্রবাহিনির অনেকেই তার নামটি পর্যন্ত জানেনা। এভাবেই আমরা আমাদের জাতির কৃতি সন্তানদের ভূলে যাচ্ছি।
২২ মার্চ ১৯৭১ সালে ঢাকায় প্রাক্তন সামরিক সদস্যদের মিছিলে জেনারেল ওসমানির পশে কালো চশমা পরিহিত জেনারেল ইশফাকুল মজিদ
আগামি কাল ৩১শে মার্চ ২০১৪ তার ৩৭ তম মৃত্যবার্ষিকি। আমরা তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
বিষয়: বিবিধ
২৩০৬ বার পঠিত, ৫২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটির জন্য।
পোস্টে প্লাস+++++++++++
আমাদের ইতিহাসে এরকম অনেক অজানা অধ্যায় আর ব্যাক্তিত্ব আছেন। দুর্ভাগ্য তারা তাদের প্রাপ্য স্থান পাচ্ছেনা আমাদেরই অবহেলায়।
সুন্দর মন্তব্যটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
জানলাম অনেক কিছু। ধন্যবাদ
বাংলা ভাষাভাষি মানুষের কাছে এমন অনেক দৃষ্টান্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে - কিন্তু তা ন্যাশানাল লাইম লাইটে নেই। এই যা।
আপনাকে অনেক ধন্যবার এমন একজন মহা-মানবকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য।
আপনার প্রোপিক টাও মনে করিয়ে দেয় একজন মহান বির কে।
যাযাকাল্লাহু খাইরান ভাই।
গ্যাঞ্জাম ছাড়াই মন্তব্য!!!
সুর্য কি উলটা উঠেছে?: :
আপনাকে ধন্যবাদ একটি অজানা বিষয়কে শেয়ার করার জন্য।
আমরা এদের ভুলে যাচ্ছি বা এদেরকে ভুলিয়ে দেয়া হচ্ছে বলেই সেই অপ্রয়োজনিয় বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছি। দেশ বা স্বাধিনতা কিছুই কোন একক ব্যাক্তির সম্পদ বা অবদান নয়।
এদের মত মানুষ দের পর্দার অন্তরালে রাখা হচ্ছে আমাদের ইতিহাসকে ভুলিয়ে দেয়ার জন্য।
পরিচয় করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ সবুজ ভাই।
আমাদের নিকট তার মত অনেকেই অজ্ঞাত। কারন আমরা ইতিহাস সচেতন নই এবং এই কারনে আমাদের জাতিয়তাবোধ ও কম।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটির জন্য।
আবারও ধন্যবাদ আরেকটি সুন্দর মন্তব্য করারজন্য।
নাম দিলে ভালো হত।
ধন্যবাদ পড়ার ও মন্তব্য করার জন্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন