দাদাদের হারামির কিছু নমুনা
লিখেছেন লিখেছেন সোনালী সুদিন ০৬ মে, ২০১৫, ১১:৪৭:১৬ সকাল
১। ব্যবসায়িক কাজে ১ বড় ভাই সহ ৩ সফরসঙ্গী উনাদের লাইফে প্রথম কলকাতা গিয়েছিলেন।ট্যাক্সি ড্রাইভার কে কাছাকাছি কম খরচে থাকার হোটেলের সন্ধান দিতে বলেন যথারীতি ড্রাইভার তাদের হোটেলে নামিয়ে দিলো ৪৫ মিনিট অলিতে গলিতে ঘুড়িয়ে পড়ে উনারা আবিষ্কার করলেন হোটেলটির পায়ে হেটে যাবার দূরত্ব ছিলো মাত্র ৫ মিনিটের।আর হোটেলটি ছিলো অনেক ব্যয়বহুল।ড্রাইভার ৫ মিনিটে হোটেলে নিয়ে গেলে বাড়তি ভাড়া পাবেনা আর হোটেলে অন্য দেশী লোকের বেশী টাকা খরচ হলে আলটিমেটলি নিজের দেশের পকেটেই বাড়তি টাকা এলো।
২। কলকাতার এক রেষ্টুরেন্টে দেখা গেলো এক দাদা একটা জুস মেকার দিয়ে মাল্টার জুস বিক্রি করছিলেন এই বলে "খুবি সুস্বাদু মিষ্টি মাল্টার জুস খান প্রান জুরান"...ভোজন রসিক বাংলাদেশীরা জুস খেতে গিয়ে আবিষ্কার করলেন চোখের সামনে বানানো জুস আর সেম্পল হিসেবে বানানো জুস আকাশ পাতাল তফাৎ! সেম্পল্টা খেতে যথেষ্ট মিষ্টি হলেও অর্ডার করাটা সামান্যও মিষ্টি ছিলোনা।কমপ্লিন করাতে দাদা বলে উঠেন তোমরা বাঙ্গালী ঠিক আছে তবে বাংলাদেশের বাঙ্গালীতো তাই মুখের স্বাধে ভিন্নতা থাকাই স্বাভাবিক ! অবাক বিস্ময়ে উনারা দেখতে পেলেন জুস মেকারের দুটি লাইন আছে একটা দিয়ে সুমিষ্ট জুস হিডেন পাত্রে চলে যাচ্ছে আরেকটা দিয়ে ডুপ্লিকেট জুস গ্লাসে জমা হচ্ছে ,যেটা তাদের খেতে দেয়া হয়েছিলো।
৩। দাদাদের এক মিষ্টি দোকানে গিয়ে ৩ জন বাংলাদেশী ২ কেজি রসগোল্লা অর্ডার করে হালুম হুলুম করে খাচ্ছিলেন,পাশে ৫০ বছর বয়সের এক দাদাবাবু উনাদের রসগোল্লা খাওয়া দেখে মিটি মিটি হেঁসে সামনে এগিয়ে এলেন আর বললেন "তোমরা, বাবুরা বাংলাদেশ থেকে এসেছো?" "জি,ঢাকা থেকে কেন বলেনতো? আর কিভাবে বুঝলেন আমরা বাংলাদেশ থেকে এসেছি" ধুতি চুলকাতে চুলকাতে বলেন "তোমাদের রসগোল্লা খেতে দেখেই বুঝতে পেরেছি,বাংলাদেশী ছাড়া কেজি কেজি মিষ্টি আর কে খাবে বাবু" "হুম আমরা ভোজন রসিকতো তাই,আপনিও কয়েকটা খান,উনি মিষ্টি দোকানের পাশে দোতলা বাড়ি দেখিয়ে বলেন না না বাবু আমি বাসায় গিয়ে খাবো তাই গুনে গুনে ৩ পিস মিষ্টি নিয়েছি।আমার স্ত্রী আর মেয়ে মিষ্টি খেতে চেয়েছেতো তাই" বাংলাদেশীদের একজন অবাক হয়ে মুখ ফসকে বলেই ফেলেন "আমাদের দেশে কেউ ২-৩ পিস মিষ্টি কিনেনা,আর কিনলে কেজিতেই কিনে,আপনি আমাদের সাথে একটা খান" দাদা বাবু অবাক হয়ে "উমা তাই" বলে টপাটপ ৩ টে রসগোল্লা গিলে ফেলেন !
বিষয়: বিবিধ
১৭৩৫ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জবাব হলো, তারা জানে না কত ধানে কত চাল; যতক্ষণ তাদের সামনে গুনে গুনে না দেখানো হয়। অর্থাৎ নিজেকে যতক্ষণ পর্যন্ত সমস্যার মধ্যে না দেখবে, ততক্ষণ মানবে না।
দ্বিতিয় অভিজ্ঞতা বিখ্যাত আলবার্ট স্ট্রিট কফি হাউস এ। সাথে থাকা ভারতিয় বন্ধু পকেীড়া অর্ডার দিল। আমি যখন স্যান্ডউইচ সহ আরো কিছু অর্ডার দিলাম চারদিকের টেবিল থেকে আমার দিকে দেখছিল!
মন্তব্য করতে লগইন করুন