বিজ্ঞানের কিছু ভাল লাগা খবর
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আশরাফ ২৮ অক্টোবর, ২০১৪, ০২:০৮:২৭ দুপুর
চিকিৎসকদের জন্য রোবট অ্যাভাটারের অনুমোদন দিল অ্যামেরিকা
অ্যামেরিকার ফুড এন্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন হসপিটালে ব্যাবহার উপযোগি আরপি-ভিটা নামে এই রোবট অ্যাভাটারটির অনুমোদন দেয়। চিকিৎসকদের জন্য তৈরী এই রোবটটি হাজার মাইল দূর থেকেও নিয়ন্ত্রন করা যাবে। এই রোবট দ্বারা চিকিৎসকরা স-শরীরে না থেকেও খুব সহজে রোগিদের তত্বাবধান করতে পারবে। আই-রোবট কম্পানির ‘ব্রেইনস’ এই রোবটটির জন্য সফটওয়ার তৈরী করেছে, এতে রোবটটি সরাসরি কোন মানুষের নিয়ন্ত্রন ছাড়াই নিজের চলাফেরা ও মুভমেন্ট নিয়ন্ত্রন করতে পারবে।
চিকিৎসকরা তাদের আই-প্যাডে রোবটটির অ্যাপ্লিকেশন চালু করতে পারবে, এতে তারা হসপিটালের ম্যাপ, রোগিদের অবস্থান এবং রোগিদের ইলেক্ট্রনিক মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখতে পারবে। এই আরপি-ভিটা রোবটটিতে আছে ক্যামেরা, সেন্সর, একটি টাচ স্কিন ডিসপ্লে এবং এর মাথায় একটি এলসিডি স্ক্রিন আছে, যেখানে এই রোবট নিয়ন্ত্রনকারী ডাক্তারকে দেখা যাবে।
অ্যামেরিকার ফুড এন্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এই রোবটটিকে কোন রোগীর সার্জিক্যাল অপারেশনের পূর্বে এবং পরে পর্যবেক্ষন করা ও জরুরী ক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করার অনুমোদন প্রদান করেছে
*****************************************************
এবার অন্ধরাও দেখতে পাবে আর্টিফিশিয়াল আই বা নকল চোখ দ্বারা
কারনেজি মেলোন ইউনিভার্সিটি- এর সিনিয়র সিস্টেম বিজ্ঞানী শয়ান ক্যালি, একটি কম্পিউটার চিপ ডেভেলপ করেছেন যা ক্যামেরার ছবিকে ইলেক্ট্রিক্যাল পালসে রূপান্তরিত করবে যা মস্তিস্ক বুঝতে পারবে, অর্থাৎ মানুষ দেখতে পাবে।
আর্টিফিশিয়াল আইটি খুবই ক্ষুদ্র। এই আইটি ক্যামেরার থেকে ডিজিটাল ইনফরমেশন সংগ্রহ করে তা এনালগ ওয়ারের মাধ্যমে মানুষের মস্তিস্কে পাঠাবে, যা সার্জারির মাধ্যমে রোগীর চোখের পেছনে ইমপ্ল্যান্ট করা থাকবে। ইলেক্ট্রিক্যাল সিগন্যাল চোখের রেটিনার স্নায়ু সিমুল্যাট করবে এবং দেখতে সাহায্য করবে।
************************************************
বুদ্ধির কমে যাচ্ছে মানুষের,বিজ্ঞানীদের গবেষণায় দাবি
সেই কোন ছোটবেলা থেকেই কানের কাছে বড়দের ঘ্যান ঘ্যান। যত অঙ্ক কষবে, মাথা খুলবে। বাড়বে বুদ্ধি। তখন পাত্তা না দিলেও এ বার বিজ্ঞানীরাও কথাটির সারবত্তা মেনে নিচ্ছেন। কারণ যে বুদ্ধির গর্বে গর্বিত মানুষ অন্য প্রাণীদের থেকে নিজেদের অনেকটাই উন্নত মনে করে সেই বুদ্ধিরই নাকি কমে যাচ্ছে। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিবর্তনের পথে মিউটেশনের ফলে মানুষের দেহের বেশ কয়েকটি জিনে রকমফের দেখা গিয়েছে। আর তারই ফলে মানুষের বুদ্ধি কমে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। তবে প্রযুক্তির উন্নতিতে সেই বুদ্ধির ঘাটতি খুব একটা বোঝা যাচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
*************************************************
টমেটো মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি কমায়
ডেক্স রিপোর্ট: দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় যারা নিয়মিত টমেটো রাখেন, তাদের জন্য সুখবর রয়েছে। আর তাহল তাদের স্ট্রোক বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি কম। সম্প্রতি ফিনল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা এক গবেষণা শেষে এ তথ্য দেন।
নিউরোলজি জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে গবেষকরা জানিয়েছেন, তারা এক হাজারের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে নিয়ে গবেষণা করেন, যাদের উচ্চ রক্তচাপ এবং রক্তে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান লাইকোপেন কম ছিল।
গবেষকরা দেখেছেন, যারা নিয়মিত টমেটো খেয়েছেন, তাদের স্ট্রোকের আশঙ্কা অন্যদের তুলনায় ৫৫ শতাংশ কমে গেছে।
গবেষণাটিতে ফলমূল ও শাকসবজি জাতীয় খাবারের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। টমেটো, তরমুজ, পেঁপেতে লাইকোপেন নামে এই রাসায়নিক উপাদানটি পাওয়া যায়। তবে তা সবচেয়ে বেশি পরিমাণে থাকে টমেটোতে, যা শরীরের কোষগুলোকে সুরক্ষা দেয় এবং রোগ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
২৫৮ ব্যক্তিকে নিয়ে চালানো গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের রক্তে লাইকোপেন সবচেয়ে কম, তাদের প্রায় ১০ জনের মধ্যে একজনের স্ট্রোকের আশঙ্কা থাকে। আর রক্তে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বেশি রয়েছে এমন ২৫৯ ব্যক্তিকে নিয়ে চালানো গবেষণায় দেখা যায়, তাদের প্রায় ২৫ জনের মধ্যে একজনের স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিজ্ঞানীরা জানান, টমেটোয় থাকা লাইকোপেন অন্যান্য অ্যান্টি অক্সিডেন্টের তুলনায় প্রদাহ ও রক্ত জমে যাওয়ার মতো বিষয়গুলো কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করতে পারে।
*********************************************
চুলকানির কারণ সনাক্ত করছেন বিজ্ঞানীরা
চুলকানির কারণ আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। চুলকানির অনুভূতি সৃষ্টির জন্য দায়ী স্নায়ুকোষ বা নিউরন শনাক্ত করেছেন তারা। এ আবিষ্কারের ফলে চুলকানি নিরোধ ওষুধ তৈরিতে যুগান্তকারী উন্নয়ন ঘটবে বলে আশাবাদ স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের। আগে ধারণা করা হতো, ব্যথার অনুভূতি এবং চুলকানির জন্য একই নিউরন কাজ করে। নতুন গবেষণায় জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা দেখেন, এমআরজিপিআরএ৩ নামে এক ধরনের স্নায়ুকোষ বা নিউরন বিশেষভাবে চুলকানির অনুভূতি সৃষ্টি করে। এ স্নায়ুকোষ ব্যথার অনুভূতি তৈরি করে না।
নেচার নিউরোসায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধে তারা বলেন, এক দশকের বেশি সময় ধরে গবেষণা শেষে এ নিউরন শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোসায়েন্টিস্ট শিন জং দং একটি ইঁদুরের জিনগত বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ওই নিউরন শনাক্ত করেন। গবেষকদের আশা, এ নিউরন আবিষ্কারের ফলে চুলকানিরোধক ওষুধ তৈরিতে অসামান্য অগ্রগতি হবে।
**************************************************
পিএইচ১ নামে পিএইচ১ নামে ৪ সূর্য বিশিষ্ট নতুন গ্রহের সন্ধান পেলেন
বিজ্ঞানীরা পিএইচ১ নামে আরো একটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন। নতুন এ গ্রহের আকাশে চারটি সূর্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন আমেরিকার নেভাদা অঙ্গরাজ্যের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল জ্যোতির্বিদ। চার সূর্য বিশিষ্ট এ ধরনের গ্রহের এই প্রথম সন্ধান পাওয়া গেল।
পৃথিবী থেকে গ্রহটির অবস্থান হচ্ছে পাঁচ হাজার আলোক-বর্ষ দূরে। গ্রহ অনুসন্ধানকারীদের সম্মানার্থে বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন পিএইচ১।
নতুন গ্রহ পিএইচ১ দু’টি সূর্যকে কেন্দ্র করে নিজ কক্ষপথে আবর্তিত হচ্ছে। এ ছাড়া কিছু দূরত্বে রয়েছে আরো দু’টি নক্ষত্র। পিএইচ থেকে এ দু’টি নক্ষত্রের দূরত্ব পৃথিবী ও সূর্যের দূরত্বের চেয়ে অন্তত এক হাজার গুণ বেশি।
গতকাল (সোমবার) নেভাদার ডিভিশন ফর প্লানেটারি সায়েন্স অব দ্য আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির বার্ষিক বৈঠকে এ বিষয়ে গবেষণাপত্র জমা উপস্থাপন করা হয়।
এর আগে, এ ধরনের কোনো গ্রহ আবিষ্কৃত হয়নি যার আকাশে চারটি সূর্য আছে। এর আগে ছয়টি গ্রহ পাওয়া গেছে যাদের আকাশে আছে দু’টি করে সূর্য। মার্কিন বিজ্ঞানী কিয়ান জেক এবং রবার্ট গ্যাগলিয়ানো সর্বপ্রথম পিএইচ১-এর সন্ধান পান। পরে তাদের এ দাবিকে সমর্থন করেন হাওয়াইয়ে কর্মরত একদল ব্রিটিশ ও মার্কিন গবেষক।
পৃথিবীর চেয়ে ৬.২ গুণ বড় ব্যাসার্ধ রয়েছে নতুন এ গ্রহের আর নেপচুনের চেয়ে সামান্য বড় পিএইচ১।
*********************************************
বি.দ্র: সবগুলোই পুরনো খবর। যারা আগে থেকেই জানতেন তাদের হয়তো খুব একটা ভাল লাগবেনা। আর যারা জানতেন না তারাও জেনে নিলেন মজার কিছু বিজ্ঞানের খবরাখবর।
বিষয়: বিবিধ
১৩০০ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এ ধরণের খবর শুনতেও অনেক ভাল লাগে!
কত এগিয়ে যাচ্ছে পৃথিবী!
আল্লাহ কত শক্তিময় তা অনুধাবনে সেজদাবনত হয় তনোমন!
সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন