...ইসলাম নিয়ে বিদ্রূপের ভয়ঙ্কর প্রবণতা...
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আশরাফ ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০২:০২:১৯ দুপুর
যে কর্মগুলো সম্পাদনের মাধ্যমে মানুষ ইসলামের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে যায় এবং জাহান্নাম হয়ে যায় তার স্থায়ী ঠিকানা, তার একটি হলো আল্লাহ, তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম), তাঁর কিতাব (কুরআন শরীফ) অথবা মুমিনদের বিদ্রূপ করা।
রাসূল সা: এর সময়েও ইসলাম নিয়ে কাফেররা বিদ্রুপ করতো...তৎকালীন নরকীট কাফেররা রাসূল সা: কে জাদুকর বলে ঠাট্টা করতো...রাসূল সা: এর বিরোদ্ধে ঠাট্টামুলক কাব্য রচনা করতো...প্রায় দেড় হাজার বছর পরেও থেমে নেই ঠাট্টাকারী/বিদ্রোপকারী নরকীটদের তৎপরতা...
ইসলাম নিয়ে বিদ্রূপের পরিণাম :ইসলামকে বিদ্রূপ করা, ব্যঙ্গ বা কটাক্ষ করা সরাসরি কুফরের নামান্তর। যে দশটি কাজের মাধ্যমে মানুষ ইসলাম থেকে বেরিয়ে যায় তার অন্যতম এ বিদ্রূপ।
‘নিশ্চয় যারা অপরাধ করেছে তারা মুমিনদেরকে নিয়ে হাসত। আর যখন তারা মুমিনদের পাশ দিয়ে যেত তখন তারা তাদেরকে নিয়ে চোখ টিপে বিদ্রূপ করত। আর যখন তারা পরিবার-পরিজনের কাছে ফিরে আসত তখন তারা উৎফুল্ল হয়ে ফিরে আসত। আর যখন তারা মুমিনদের দেখত তখন বলত, ‘নিশ্চয় এরা পথভ্রষ্ট’। {সূরা আল-মুতাফফিফীন, আয়াত : ২৯-৩২}
বিদ্রোপকারী ব্লগারদের আমি আগে থেকেই জানতাম...সামু ব্লগে প্রায়ই আস্তিক-নাস্তিক পোষ্টগুলো দেখতাম...সেখানকার আলোচনার পরিবেশ এতোটাই খারাপ লাগতো যে ঐ ব্লগে যেতেই খারাপ লাগতো...যারা কোরআন-হাদীসের জ্ঞান রাখতেন বা নাস্তিকদের যুক্তি খন্ডাতে পারতেন এমন অনেকে তাদের সাথে যুক্তিযুদ্ধ অবতীর্ন হতেন...নাস্তিকগুলো যুক্তির তুপে টিকতে না পেরে মুমিন ব্লগারদের বিদ্রোপ তাচ্ছিল্য করতেন ঠিক সুরা মুতাফফিফীনে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যেটা বলেছেন।
শায়খুল ইসলাম ইবন তাইমিয়া রহ. বলেন, আল্লাহ, তাঁর কুরআনের আয়াতসমূহ ও তাঁর রাসূলকে কটাক্ষ করা কুফুরী। এর মাধ্যমে একজন মানুষ ঈমান আনার পরও কাফের হয়ে যায়। [মাজমু‘ ফাতাওয়া : ২৭৩/৭]
এখানে স্পষ্ট যে যেই ব্লগারগন আল্লাহ, তার কোরআন ও তার রাসূল সা: সম্পর্কে বিদ্রোপ করেছে তারা ঈমান হারা কাফের...শায়খ মুহাম্মদ আবদুল ওয়াহাব রহ. তদীয় গ্রন্থ ‘আত-তাওহীদ’ এ বলেন, ‘যে আল্লাহর যিকর বা কুরআন অথবা রাসূলকে তাচ্ছিল্য করে’ : প্রথম হলো আর সেটিই সবচে বেশি ভয়াবহ : যে এসবকে বিদ্রূপ করবে সে কাফের। [আত-তাওহীদ : ৫৮]
জানাযা হচ্ছে মৃত ব্যাক্তির জন্য সর্বোত্তম দোয়া...আল্লাহর রাসূল সা: তার সবচেয়ে প্রিয় চাচা আবু-তালেবের জন্যও দোয়া করেননি...সেখানে খুবই আশ্চার্য হয়েছি শাহবাগে স্বঘোষিত নাস্তিকের জানাযা দেখে...খুবই আশ্চার্য হয়েছি মসজিদে তার জন্য দোয়ার আয়োজন করা দেখে...কি করে একজন চিহ্নিত নাস্তিকের জানাযা পড়া যায় আমার জানা নেই...যারা জেনে-বুঝে একজন নাস্তিকের জানাযা পড়ছে তাদেরই বা কি শাস্তি হবে আল্লাহই ভালো জানে...
পরিশেষে সময়ের সাহসী সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধামিশ্রিত সালাম যে নরকীট ধর্মদ্রোহীদের মুখোশ জাতির সামনে তুলে ধরেছেন।
বিষয়: বিবিধ
১১৪০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন