আমার বাংলাদেশ মিলন মেলা সমাচার {১৫}
লিখেছেন লিখেছেন মিলন মেলা ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৩:৩২:২২ রাত
আস্সালামু আলাইকুম। টুডে ব্লগের প্রতি শনিবারের আয়োজন মিলন মেলার সার সংক্ষেপ নিয়ে আয়োজনঃ মিলন মেলা সমাচার {১৫} উপস্থাপন করছি সাবাইকে অনেক অনেক প্রীতি আর শুভেচ্ছা জানিয়ে। মিলন মেলার ১৫তম আসর বসে ৩১শে আগষ্ট ২০১৩, শনিবার, বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় “প্যারিস থেকে আমি”-এর ব্লগ আঙিনায়। বিষয় ছিল অত্যন্ত ব্যতিক্রমীঃ আমার বাংলাদেশ। সমবেত হোন অনেক অনেক ব্লগার। একজন ক্যান্সার আক্রান্ত ভাইকে দেখতে গিয়ে আধা শিক্ষিত মানুষ মিলন মেলার পিক টাইমে উপস্থিত থাকতে পারেননি। ব্লগ সম্পাদক মিলন মেলাকে স্টিক করে হোন কৃতজ্ঞতার বন্ধনে আবদ্ধ। এ পর্যন্ত পোষ্টটি ৪৯৪ বার পড়া হয়েছে, মন্তব্য করা হয়েছে ১৩৫টি। যারা সেদিন বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে হাজির হতে পারেননি, তাদেরকে একবার প্যারিস থেকে আমি-এর ব্লগে টু মারতে অনুরোধ করছি।
তাহলে আর দেরী না করে শুরু করি মিলন মেলা সমাচার (১৫)।
পোষ্ট খানা শুরু হয় আশা ব্যঞ্জক বাক্য দিয়েঃ অপার সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশ। আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম, মুক্তিকামী মানুষের প্রত্যাশা, ত্যাগ আর বর্তমান দিয়ে কমকথায় অত্যন্ত চমকপ্রদ ভাবে উপস্থাপন করা হয় বাংলাদেশকে। সাথে সাথে পোষ্টকে স্বাগত জানান “আবু সাইফ” একটি চমকপ্রদ কবিতা দিয়েঃ
বাংলাদেশ, আমার প্রিয় জন্মভূমি,
অহর্নিশ তোমায় নিয়ে স্বপ্ন বুনি!!
বিস্ময়ের পূণ্যালোকে যুগান্তরে-
তোমার নাম শীর্ষে হোক জগত জুড়ে!!
ফিরদাউসের আদল গড়ি এই জমিনে;
আল্লাহ, দানো রহম বারি সকল প্রাণে!!
হাজিরা দিয়ে গেলাম!!
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন-এর সরব উপস্থিতি ছিলো প্রতিটি আসরের ন্যায় সমান তালে। তিনি এসেই বলেনঃ হে আমি চিত্কার করে বলতে চাই এই দেশ আমার দেশ ,এই দেশ আমার জন্ম ভূমি। তিনি আরো বলেনঃ বাংলাদেশের লেখক, কবি ,সাহিত্যিক, ব্লগারদের লেখার সাহায্যকারী হলো আমার দেশের সুজলা সুফলা মায়ামোহী রূপ। এই রূপ নিয়ে যতোই লিখা হবে কিন্তু মনে হবে যেন বাকি আছে অনেক ।
এবারের মিলন মেলাটাকে আমরা সাজিয়ে ছিলাম ভিন্ন এক আঙিকে। কিন্তু ব্লগের সমস্যার কারণে তা আমরা হারিয়ে ফেলি। এখন কেবলমাত্র ধারাবাহিকতা রক্ষার স্বার্থে তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্তের আলোকে যা উপস্থাপন করছিঃ
প্যারিস
সত্যিই একটা মায়ামোহী রুপ বাংলাদেশের।কিন্তু এই দেশকে নিয়ে চলছে নানা রকম চক্রান্ত। বাংলাদেশ পারবে কি এই চক্রান্তের জাল বেদ করে তার লক্ষ্যে পৌছতে।
অনেকেই যে বলে এই দেশ তাদের, তাদের দলের, কোন এক ব্যাক্তির।
আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় অনেক ভালোবাসি।বিদেশে আসার পরই বুঝতে পারলাম দেশকে কতটা ভালবাসি।
দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা না বোঝার মতো। আসলেই, বিদেশে গেলেই বোঝা যায় দেশের প্রতি ভালোবাসা কত গভীর হতে পারে। দেশের মানুষের জন্য মনটা কেমন করে।
হে ভাই প্রবাস জীবন দেশের প্রতি ভালোবাসা বেড়ে যাওয়া
আমার ডিজিটাল বাংলাদেশে কথাটা বলতে কষ্ট হলেও ডিজিটাল(!) ত্রুটির কারণে মিলন মেলায় আসতে দেরি হলেও সবাইকে সালাম ও স্বাগতম।
আমার বাংলাদেশ। আসলে কি সত্যিই আমার? আজকের পত্রিকায় দেখলাম- যুক্তরাষ্ট্রে ভুল করে একজনকে গ্রেফতারের কারণে ৬০ হাজার ডলারেরও বেশি জরিমানা দিতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু আমার দেশে?
বাংলাদেশকে আমরা সকলেই নিজের দেশ মনে করি, নিজের দেশ মনে করে ভালোবাসি।কিন্তু কিছু অমানুষ শক্তি প্রয়োগ করে আমাদেরকে নিজ দেশে পরাধীন রাখতে চায়।পত্রিকায় দেখেছেন যে বিষয়টা এটা শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয়, এই ফ্রান্সেও পুলিশ কোন মানুষকে অযথা হয়রানি করলে তাদেরকে আদালত জরিমানা করে। আমাদের দেশেতো এটা নিয়ে রীতিমত বাণিজ্য চলছে।
বিদেশে থাকলেও আমাদের মন পড়ে থাকে বাংলাদেশে। আমাদের দেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা দুর্নীতি ও সামাজিক মূল্যবোধের অভাব। প্রশাসনের রন্দ্রে রন্দ্রে দুর্নীতি ঢুকে পড়েছে। দেশের ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করে মাফিয়া সিন্ডিকেট। সামাজিক মুল্যবোধের অভাবে একজন আরেকজনকে খুন করছে। চলছে ঈভটিজিং। এসব সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা গেলে বাংলাদেশ অপার সম্ভাবনাময় দেশ হিসাবে এগিয়ে যাবে।
সামাজিক মূল্যবোধের অভাব শুধু নয় , তার থেকেও বড় অভাব ধর্মীয় মূল্যবোধের - যা না থাকলে মানুষ পশু হতে বাধ্য । সন্তান কর্তৃক পিতা-মাতা হত্যায় যা আমাদের কাছে স্পষ্ট হচ্ছে ।
এ দেশে সকল ধর্ম সকল মতের মানুষের স্থান রয়েছে ,এই দেশ ৯০ মুসলমানের দেশ ,হিন্দু খ্রিষ্টান ,বোদ্ধ সকলের দেশ ,এই দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ।আমার দেশে যারা ফেতনা লাগানোর জন্য হুত পেতে থাকে তাদের কে প্রতিহত করার সময় এসেছে। যারা মিথ্যাচারের মাধ্যমে দেশ কে সংঘাতের দিকে টেলি দিতে চায় তাদের প্রতিহত করার সময় এসেছে। আমার জন্ম ভূমি বাংলাদেশ কোন ব্যাক্তি ও দলের নয়,১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশ ।
আমাদের প্রাণ প্রিয় দেশের একটাই সফলতা দেশ স্বাধীন করা লক্ষ্যপ্রানের বিনিময়ে। আর আমাদের ব্যর্থতা সীমাহীন হে , ব্যর্থতা থাকবেই সেটা সমস্যা নয় কিন্তু আমরা বের্থ হচ্ছি প্রতিটি স্তরে ,আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যেবস্তা থেকে শুরু করে কৃষি ,সমাজ ,সংস্কৃতি সকল ক্ষেত্রে আমরা বের্থ। দেশের মধ্যে শিক্ষার ভালো পরিবেশ নেই ,কৃষকদের ফসল উত্পাদনের জন্য পরিবেশ নেই দুর্নীতি যেন তার প্রধান দুশমন হয়ে দাড়িয়েছে ,শিল্প ক্ষেত্রে একই অবস্তা ,সমাজ সংস্কৃতিতে ও ঐ একই রূপ সেখানে আরো একদাপ এগিয়ে ও বটে ,সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে কুচক্র আর অপসংস্কৃতি। দেশের যুব সমাজ নষ্ট হচ্ছে কুচক্রের খপ্পরে পরে। বাবা খুন করে সন্তান কে সন্তান খুন করে বাবা মা কে।সমাজ সম্মান দিতে জানে না যেন কাউকেই, মহান স্বাধীনতার সগ্রামের মুক্তি যোদ্ধাদের ও রাজাকার বলা হয় বঙ্গবীর কাদের সিদ্ধিকিকে ও রাজাকার বলা হচ্ছে । আজ দেশের আলেম সমাজ কে সম্মান দিতে ভুলে গেছে আমাদের সমাজ ভুলে গেছে শিক্ষকদের সম্মান দিতে উল্টো তাদের উপর চালানো হয় দমন পিরণ। দেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা বলতে কিছুই নেই ,দেশের সরকারের সমালোচনা করলেই জেল জুলুমের শিকার হতে হচ্ছে।ধর্ম পালনে ও বাধা দেওয়া হচ্ছে তা ও আবার ৯০ ভাগ মানুষের ধর্ম পালনের ক্ষেত্রে। মূলত আমাদের একটি অর্জন নাম স্বাধীনতা আর সব ক্ষেত্রেই আমরা বের্থ।
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের ছোট্ট এ রিয়ার বিস্তৃনতা নিয়ে প্রিয় বাংলাদেশ । আমার প্রিয় জন্মভূমি । সমুদ্র , নদ - নদী ,খাল - বিল-পুকুর -নালা আর সবুজের সমারোহ -কেমন যেন ষোড়শী যুবতীর নবুবধুতার লজ্জাময় অবগুণ্ঠিতার রুপের মত ১৬ কোটি মানুষের হৃদয় কেড়ে নিচ্ছে ।
কি এমন প্রয়োজন -যা এ মাটিতে আল্লাহ্ তায়ালা রাখেন্নাই ! মানুষের জীবন ধারনের সব কিছুই এখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যমান ।
কিন্তু ছোট্ট এই দেশটি আজ বহু শকুনের নজরের বিষময়তার প্রভাবে এমন কোন অস্থিরতা নেই যা বিরাজ করছেনা । এ শকুনেরা যেমন বাইরের আছে ঠিক তেমনি ভিতরেও এদের সংখ্যা মোটেই কম নয় । যদিও শেষোক্তটি বড়ই দুঃখজনক ।কেন এমন হল ! এরা তো অধিকাংশই মুসলিম , তবুও কেন এমন হল ? এর জবাব তো একটিই । তাহল - আজকে র শাসক গোষ্টী নামে মুসলিম আর কাজে পাশ্চাত্যের বিশ্বাস যোগ্য দাস । ফলে গোটা দেশটাই এখন শয়তানের মনপুত খেলার মাঠে পরিণত হয়েছে ।
বলা ই বাহুল্য, এই দেশ কারো দয়ার দান নয়। এদেশের অগ্রগতিতে আমাদের ১৬ কোটি মানুষের ৩২ কোটি হাতকে কর্মীর হাতে রুপান্তরিত করতে হবে। আমাদের যুব সমাজ ও আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতী আমাদের শত হতাশার মাঝে আশার আলো জ্বেলে আছে। তবে আধুনিকতার নামে নষ্টামী ও বেহায়াপনার মদদ দাতাদের বিরোদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। সাথে সাথে যারা ধর্মীয় উন্মোদনার সৃষ্টিকারীদের সম্পর্কেও সজাগ থাকতে হবে। রাজনৈতিক নেতৃত্বের ব্যর্থতা আমাদের সমস্ত অর্জনকে ম্লান করে দিচ্ছে।
আমার প্রিয় বাংলাদেশ আজ চরম অশান্ত। বিদেশী প্রভূদের মদদে গুটিকয়েক মানবতার দুষমন দখল করে রেখেছে মিডিয়ার মতো স্পর্শকাতর স্থানগুলো। এরই মাধ্যমে করা হচ্ছে তরুন সমাজকে পথভ্রষ্ট-বিভ্রান্ত। দেশটিকে বানানো হয়েছে ’ঐশী’ তৈরীর কারখানা। সংখ্যাগরিষ্ট ভালো মানুষের দেশে ভালো মানুষেরাই হচ্ছেন লাঞ্চিত আর অপমানিত। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য নিরপেক্ষ অভিভাক খুবই জরুরী এ দেশটির জন্য।
আসলে এখানে খুব লম্বা চওড়া লিখলে ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটার সম্ভাবনা বেশী। সংক্ষেপে কথা হলো- দেশের এই ক্রান্তিলগ্ন থেকে উত্তরণের জন্য অনেক বুদ্ধজীবি তৃতীয় শক্তির উত্থান এবং ক্ষমতা গ্রহণকে উৎসাহিত করতে চান। এমনটি হলে আবার চতুর্থ শক্তির প্রয়োজন দেখা দিতে পারে অল্প কিছুদিন পর। আমি মনে করি তৃতীয় শক্তি নয়, চাই নির্মোহ-নির্লোভ অভিভাবক, যারা ক্ষমতার স্বাধ নেবেন না, কিন্তু দেশের ক্ষমতাসীনদের উপর খবরদারী করবেন তাদের অন্যায় পদক্ষেপের বিরুদ্ধে। এমন কিছু সংখ্যক লোক যদি জনগণের বিশ্বাস অর্জন করতে পারেন। তাহলে আশার করা যায় আমাদের দেশ কিছুটা হলেও ভারসাম্যের মধ্যে আসবে। ধন্যবাদ।
এই বিষয়টা আমিও মাঝে মধ্যে চিন্তা করি, আমাদের দেশে কিছু অভিভাবক দরকার, যারা ক্ষমতার লোভ করবেনা কিন্তু জাতির ক্রান্তিকালে দিকনির্দেশনা দিবে। একটা সমস্যাও আছে এতে।যখন সরকারের বিরুদ্ধে তাদের কথা চলে যাবে তখন সরকারই তাদেরকে বিতর্কিত করে দিবে, সে যে সরকরই হোক না কেন।
আমাদের সবই আছে, শুধু নেই আমাদের সুন্দর মনমাসিকতা। সুন্দর মনমাসিকতাও যে নেই আসলে তা কিন্তু নয়, আমাদের মানসিকতাকে কিছু অমানুষ ভূতা করে দিচ্ছে এবং সে চেষ্টা তারা অব্যাহত রেখেছে।
হে আল্লাহ, এই দেশ তোমারই দান। এই দেশে তুমি শান্তি দান করো, যোগ্য নেতৃত্ব দান করো। মহা গ্রন্থ আল-কুরান ও তোমার নবীর সুন্নাহ মোতাবেক একে পরিচালিত করো।
বাংলাদেশ একটা স্বাধীন দেশ হলেও আসলে এটা একটা পরনির্ভরশীল দেশ । নিজেরা কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ডিসিশন নিতে পারে না , চেয়ে থাকে বাইরের দেশ ও সংস্থার পানে । পৃথিবীর আর কোন দেশে বিদেশীরা এত নাক গলায় না যেটা তারা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে করে থাকে । যে কোন বৈদেশিক চুক্তিতে আমার এই দেশ সবসময়ই লুজার হয় । আজ পর্যন্ত প্রতিবেশী কোন দেশের সাথে বাংলাদেশ উইন উইন সিটুয়েশন তৈরি করতে পারে নি ।সমসাময়িক যেসব দেশ বাংলাদেশের কাতারে ছিল ৭১ সালে , তারা এখন বাংলাদেশকে অনেক পেছনে ফেলে দিয়েছে । যে বীরের জাতি হিসেবে আমরা গর্ব করে থাকি স্বাধীন হবার পর কি বীরত্ব দেখিয়েছে যা বিশ্বের কোন দেশ দেখাতে পারেনি?
আপনি লিখেছেন,"নিজেরা কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ডিসিশন নিতে পারে না , চেয়ে থাকে বাইরের দেশ ও সংস্থার পানে"
সত্য কথা বলতে আমরা ডিসিশন নেইনা।আমরা সমস্যা আরো জিইয়ে রাখি। অপেক্ষা করি অন্যের জন্য। আসলে আমরা এতটাই দূর্ভাগা জাতি যে আমাদের রাজনীতিবিদরা আমাদেরকে এই অবস্হায় করে রেখেছে। আর আমরাও যেন নিজেরা রাজনীতিবিদদের কাছে আমাদের মাথা বিক্রি করে দিয়েছি।
আজকের বাংলাদেশের সৃষ্টির একমাত্র কারণ দেশের মানুষের মধ্যে হিংসা বিদ্ধেষ এবং দলীয়করণ ।
আমার কাছে মনে হয়েছে, দেশপ্রেমের ব্যাপারটা এখানে অনকেটা অনুপস্তিত বলেই মনে হচ্ছে। প্রধান দুই দলের ক্ষমতার লোভ ও হিংসাই দেশের রাজনৈতিক অস্তিরতার মুল কারণ। না হয় অন্য কোন কিছুর অভাবতো দেখছিনা, তাছাড়া আমাদের চাওয়াটা তো খুবই সামান্য। আমরাতো অল্পতে তুষ্ট হওয়ার পাবলিক।আপনি সত্যিই বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ খুবই শান্তিপ্রিয় এবং একে অপরের প্রতি সহনশীল।কিন্তু রাজনীতিকরা আমাদেরকে নিয়ে খেলছে। আর আমরা সাধারন জনগন ইচ্ছায় অনিচ্ছায় তাদের খেলার পুতুল হচ্ছি। শুধুমাত্র কিছু স্বার্থান্বেসী রাজনীতিকদের কারনে আজ বাংলাদেশ রাজনৈতিক অস্তিরতার মধ্যে অতিবাহিত হচ্ছে। এর থেকে কি উত্তরনের কোন উপায় নেই ?
পত্রিকার পাতা উল্টালেই খুনের খবর দেখতে পাই। কিন্তু সঠিক বিচারের অভাবে খুনীরা ধরাছোয়ার বাইরে চলে যায়। বড় লোকেরা টাকার বিনিময়ে খুন করেও রক্ষা পায় । খুনী সরকারী দলের হলে রাষ্টপতি মাফ করে দিয়ে জেল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে। অন্যদিকে নিরপরাধ মানুষকে/ইসলামী আন্দোলনের নেতা/কর্মীদেরকে খুনী সাজিয়ে জেলের মধ্যে আটকিয়ে রাখে-----------এর জন্য কি আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে? এর নাম কি গনতন্ত?
আমাদের দেশের বিচার বিভাগেও দুর্নিতি প্রবেশ করেছে। আইনজীবীরাও বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শে বিভক্ত। তারা তাদের পছন্দের লোকদেরকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। বিচার ব্যবস্থাকে দলীয়মুক্ত করতে হবে। নিরপেক্ষ হতে হবে। অপরাধীদেরকে দ্রুত বিচার করে শাস্তি দিতে পারলেই দেশ থেকে খুন-খারাবী কিছুটা কমে আসবে।
আমি এমন এক বাংলাদেশ দেখতে চাই, যে বাংলাদেশে ইসলামী শাসন চলবে। জ্ঞান- বিজ্ঞানের চর্চার মাধ্যমে আমরা উন্নতির চরম শিখরে আরোহন করব। রাজনীতি, সমাজ নীতি , অর্থনীতি সকল ক্ষেত্রে এ জাতি নেতৃত্ব দেবে। আর পৃথিবীর সকল জাতি আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে বলবে ইসলামের ওপর কায়েম আছে বলেই আমাদের এই সাফল্য। আমরা কি এমন দেশের স্বপ্ন দেখতে পারিনা?
আপনার আমার সকলের চাওয়া হোক এক। কিন্তু ভাই এই চাওয়া গুলো পুরনের জন্য আমাদের কি কোন করণীয় নেই?
আমার কাছে মনে হয়েছে, দেশপ্রেমের ব্যাপারটা নেতাদের মনে অনেকটা অনুপস্তিত বলেই মনে হচ্ছে। প্রধান দুই দলের ক্ষমতার লোভ ও হিংসাই দেশের রাজনৈতিক অস্তিরতার মুল কারণ। না হয় অন্য কোন কিছুর অভাবতো দেখছিনা, তাছাড়া আমাদের চাওয়াটা তো খুবই সামান্য। আমরাতো অল্পতে তুষ্ট হওয়ার পাবলিক।
আমাদের সাধারন মানুষের চাওয়াটা আসলেই খুব সামান্য। আমরা দু'বেলা খেতে পারলেই হয়।কিন্তু আমাদের যারা শাসক তাদেরতো আর চাওয়ার শেষ নেই। তাদের চাওয়া পূরন করতে গিয়ে আমাদের জীবন দিতে হয়,জীবন নিতে হয়।
"অপার সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশ"- কথাটি আমার প্রিয় জন্মভূমির ক্ষেত্রে মোটেই বাড়াবাড়ি নয় ,বরং শান্তি আর বুকের মাঝে মোচড়ে ওঠা এক কষ্ট লাগা সত্য । যখনই শুনি - "অপার সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশ"- কলিজাটা প্রশান্তিতে ভরে যায় । আর যখন দেখি হত্যা ,ধর্ষন ,চুরিডাকাতি , প্রতারনা , মিত্যা সহ সকল জঘন্য অপকর্মে প্রিয় মাতৃভূমির নির্মল আর পবিত্র মাটি বিষিয়ে কাল হয়ে যাচ্ছে তখন বুকের মধ্যে কষ্টে মোচড় মেরে ওঠে । ব্যথায় দম বন্ধ হয়ে আসে । আমার এই দেশে রয়েছেঃ
১. বিশাল মানব সম্পদ -যার অভাবে আজ পৃথিবীর বহু দেশ ভবিষ্যৎ দুশ্চিন্তায় শঙ্কিত ।
২. রয়েছে অমিত বনজ সম্পদ -যার অগণিত সামগ্রীর চাহিদা আজ বিশ্বব্যাপী ।
৩. আছে খনিজ সম্পদ -যা এক নয় ,একাধিক !
৪. আছে অতুলনীয় স্বাদের সীমাহীন মৎস সম্পদ - যা পৃথিবীর বহু দেশেই রপ্তানি হচ্ছে।
৫. আছে এমন উর্বর অতুলনীয় মাটি যা মাটি হতে জন্মায় এমন সকল খাদ্যের গাছ পয়দা করতে সক্ষম ।
এ ছাড়াও আরো বহু সম্পদ আছে । এখানে তো সব তুলে ধরবার জায়গা নয় । তাই মাত্র কয়েকটি উল্লেখ করলাম। এগুলো যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায় তাহলে শুধু বাংলাদেশ সমৃদ্ধ হবে তাই নয় , বরং আমরা দুনিয়ার আরো বহু মানব গোষ্টীকেও উপকৃত করতে পারবো ।এর জন্য প্রয়োজন এক দল দেশপ্রেমিক,যোগ্য ও এমন সৎলোকের -যাদের সততার গায়ে সামান্য আঁচড় দিতে যদি দুনিয়ার তাবৎ লোভনীয় বস্তুও সামনে এনে রেখে দেয় তবুও তারা ঐসব বস্তুকে বিষ্ঠার চেয়ে বেশী কিছু মনে করবেনা ।
একমাত্র অপরাজনীতির কারণে আমাদের দেশটা এগুতে পারছেনা, রাজনীতি ঠিক থাকলে নিশ্চিত করে বলা যায়, দেশের লোককে আর বাইরে যেতে হবেনা, নিজের দেশেই সম্ভব সবকিছু।
আমাদের প্রাণ প্রিয় দেশের একটাই সফলতা দেশ স্বাধীন করা লক্ষ্যপ্রানের বিনিময়ে। আর আমাদের ব্যর্থতা সীমাহীন হে , ব্যর্থতা থাকবেই সেটা সমস্যা নয় কিন্তু আমরা বের্থ হচ্ছি প্রতিটি স্তরে ,আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যেবস্তা থেকে শুরু করে কৃষি ,সমাজ ,সংস্কৃতি সকল ক্ষেত্রে আমরা বের্থ। দেশের মধ্যে শিক্ষার ভালো পরিবেশ নেই ,কৃষকদের ফসল উত্পাদনের জন্য পরিবেশ নেই দুর্নীতি যেন তার প্রধান দুশমন হয়ে দাড়িয়েছে ,শিল্প ক্ষেত্রে একই অবস্তা ,সমাজ সংস্কৃতিতে ও ঐ একই রূপ সেখেন আরো একদাপ এগিয়ে ও বটে ,সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে কুচক্র আর অপসংস্কৃতি। দেশের যুব সমাজ নষ্ট হচ্ছে কুচক্রের খপ্পরে পরে। বাবা খুন করে সন্তান কে সন্তান খুন করে বাবা মা কে।সমাজ সম্মান দিতে জানে না যেন কাউকেই, মহান স্বাধীনতার সগ্রামের মুক্তি যোদ্ধাদের ও রাজাকার বলা হয় বঙ্গবীর কাদের সিদ্ধিকিকে ও রাজাকার বলা হচ্ছে । আজ দেশের আলেম সমাজ কে সম্মান দিতে ভুলে গেছে আমাদের সমাজ ভুলে গেছে শিক্ষকদের সম্মান দিতে উল্টো তাদের উপর চালানো হয় দমন পিরণ। দেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা বলতে কিছুই নেই ,দেশের সরকারের সমালোচনা করলেই জেল জুলুমের শিকার হতে হচ্ছে।ধর্ম পালনে ও বাধা দেওয়া হচ্ছে তা ও আবার ৯০ ভাগ মানুষের ধর্ম পালনের ক্ষেত্রে। মূলত আমাদের একটি অর্জন নাম স্বাধীনতা আর সব খ্তেরেই আমরা বের্থ।
দেশ এগিয়েছে অনেক তাতে সন্দেহ নেই, তবে তা প্রত্যাশিত নয়, আমরা জনগণ এবং সরকার অনেক কিছু ভাবি কিন্তু ভাবিনা যাদের মাথা গুজার ঠায় নেই, রাস্তায় দিন যাপন করি, আমাদের অনেক দাবী দাওয়া থাকে, সরকারও উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দেয়, কিন্তু যাদের কোন কিছু নেই, তাদের কোন দাবী দাওয়া ও নেই, এবং আমরাও ভাবিনা তাদের নিয়ে, এটা আমাকে খুব ভাবাই।
যে দেশের রাজ্যের নীতি যতটুকু উন্নত সে দেশের পরিবেশ সে টুকুই উন্নত। আমাদের দেশের রাজনীতি এ যেন ভয়ঙ্কর কথা ,আমাদের দেশের রাজনীতিকে একটি গুষ্টি শুধু হিংসা আর হানাহানির মধ্যে নিমজ্জিত রাখতে পছন্দ করে। ওই গুষ্টির লক্ষই একটা দেশের মধ্যে হানাহানি আর রক্তের হুলি খেলা।
ভাতৃত্ব পূর্ণ আর উন্নত সংস্কৃতির পরিবেশ চাই আমার বাংলাদেশে।
কিন্তু এই পরিবেশ কারা সৃষ্টি করবে? যাদের দায়িত্ব তারাতো পরিবেশ নষ্ট করার কাজে সদা তৎপর।
বাংলাদেশের ৯০ ভাগ মানুষ মুসলিম ,আমরা কি পারিনা সকল বেদাবেদ ভুলে গিয়ে দেশের সমাজকে ,দেশের সংস্কৃতিকে ,রাজনীতিকে ,অর্থনীতিকে মুসলমানিত্ব দিয়ে সাজাতে ?আর সেটা সম্ভব হলে তখনই আমাদের দেশে শান্তি আসবে হানাহানি দূর হবে।
সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে এক জাতি এক প্রাণ হওয়ার জন্য যারা কাজ করবে তারা আছে বিপরিত কাজে ব্যাস্ত।
আমাদের সেটাই করা উচিৎ দেশে এবং ধর্মের স্বার্থে।
সুজলা সুফলা বাংলাদেশ।
প্রাকৃতিক সুন্দর্যের এক নয়নাবিরাম দেশ বাংলাদেশ।বিস্তৃর্ণ সবুজের মাঠ,মেঠো পথে রাখালিয়া বাঁশির সুর,আঁকাবাঁকা নদনদী আর কাঁশফুল, আম-জাম- কাঠাল গাছের সারিবদ্ধ দাড়িয়ে থাকা,গুলা ভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু,পুকুর ভরা মাছ আর মানুষের মাঝে প্রেম প্রীতি-ভালোবাসার অপূর্ব বন্ধন, এই সবকিছুর সমন্বয়ের নাম ছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু আজ যেন সব ইতিহাস হতে বসেছে।
কোন ব্যাক্তি ও দলের নয়,১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশ।
এত সুন্দর একটি বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে অসংখ্য প্রানের বিনিময়ে, মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত হয়। যুদ্ধ করে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। এই দেশ কারো দানের নয়।আপামর মানুষের ত্যাগের ফসল বাংলাদেশ। আজকে কিছু মানুষ, কিছু দলের আচার আচরন ও কথাবার্তায় মনে হয় এই দেশ তাদের পৈতৃক সম্পত্তি।তাদের এবং আমাদের সকলের অবগতির জন্য বলছি, এই দেশ কারো পৈতৃক সম্পত্তি নয়,এই দেশ আমাদের সকলের।
অপার সম্ভাবনার বাংলাদেশ।
আমাদেশ দেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। প্রাকৃতিক সম্পদেও ভরপুর। কি নেই আমাদের দেশে? আছে ১৬ কোটি মানুষের ৩২ কোটি হাত। সেই মানুষ ও হাতকে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারলে এবং প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ট ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে বাংলাদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্টে বিশ্বে মাথা তুলে দাড়ানো শুধু সময়ের ব্যাপার।
সফলতা ও ব্যর্থতা।
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাই আমাদের প্রধান সফলতা। আর সেই স্বাধীনতাকে ঠিকমত ভোগ করতে পারছিনা এটা আমাদের প্রধান ব্যার্থতা।
তাছাড়া দেশের সার্বিক উন্নয়নে যদিও আমরা অনেক পথ এগিয়েছি, কিন্তু একই সময়ের আরো অনেক দেশের সাথে তুলনা করলে দেখা যায় আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। সবচেয়ে বড় ব্যার্থতা হলো আমরা উন্নত মানসিকতার হয়ে বড় হতে পারছিনা। আর এজন্য দায়ি আমাদের রাজনীতি ও রাজনীতির হর্তাকর্তারা।
রাজনৈতিক অস্তিরতা ।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই আমাদের দেশে রাজনৈতিক অস্তিরতা লেগেই আছে। শেখ মুজিবকে হত্যা, জিয়াউর রহমানকে হত্যা, এরশাদের ক্ষমতা দখল, স্বৈরাচারের পতনের আন্দোলন,তত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলন, ২ বছরের অনির্বাচিত সরকারের শাসন, আবার তত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলন, বিরুধী রাজনৈতিক শক্তিকে ধ্বংসের ব্যবস্হা,নির্বাচনকালীন অস্তিরতা এসকল কারনে বাংলাদেশ যেন চরম দুর্দিন অতিবাহিত করে।
হে প্রিয় বাংলাদেশ তোমাকে খুব ভালোবাসি। প্রবাসে বসে তোমাকে খুব মিস করি।
সত্যিই আমরা প্রবাসীরা দেশকে খুব মিস করি।
সত্যিই আমরা সবাই আমাদের দেশকে খুব ভালোবাসি।
স্বদেশ প্রেম ঈমানের অঙ্গ!আফসুস আজকে আমাদের দেশের নেতা-নেত্রীদের ধর্মীর অনুভুতিই নেই যেই কারনে তারা চায় ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ।ধর্মের কথা ভেবে পরকালের কথা ভেবে নিজের ঈমানের মুল্যদিয়ে যদি এই নেতা-নেত্রীরা কাজ করত তাহলে আমাদের এই অপার সম্ভাবনার বাংলাদেশে আজকে মানুষ কতইনা স্বাধীন ভাবে বস-বাস করতে পারত।কিন্তু এখন প্রতিটাক্ষনই মনে হয় পরাধীনতা আমাদেরকে গ্রাস করতেছে।
তারা বুজে না যে আমরা বুজি, যারা ধর্ম নিরপেক্ষ মতের পক্ষে তারা আসলে ধর্মের রিতিনীতির কারনে আকাম কুকাম করতে পাড়ে না তাই ওরা ধর্ম নিরপেক্ষ মতের পক্ষে কাজ করে।
প্রশ্ন আর যারা ইসলামের রিতিনীতি মানতে রাজি না তারা কি ভাবে মুসলমান রইল?
ওরা ইসলামের নাম শুনলেই ভয় পায় ,আবার বলে নিজে নাকি মুসলমান
আমাদের একটাই অর্জন স্বাধীনতা ,তবে যে স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম হয়েছিল সেটা বাস্তবায়িত না হয়ে উল্টো হয়ে গেছে ,আজকের স্বাধীনতা খুনিদের জন্য গুমকারীদের জন্য দুর্নীতিবাজদের জন্য।
মিলন মেলার আজকের বিষয়টা ছিল ব্যতিক্রমী। তাছাড়া পোষ্টদাতা প্যারিস থেকে আমি-এর সাথেও আমার রয়েছে একটি ব্যতিক্রমী সম্পর্ক। কিন্তু আজকের মিলন মেলার আসরের সাথে হয়ে গেলো আমার ব্যতিক্রমী আচরণ। একজন একান্ত প্রিয় ভাইকে দেখতে যেতে হলো হসপিটালে। ঐ কাজটাকে কোন অবস্থায়ই ব্লগিং এর চেয়ে ছোট মনে করতে পারিনি। তাই চলে গেলাম ওখানে।
এদিকে আমাদের সোহরাব ভাই দূরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত। কেন জানি মনে হচ্ছে সে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে। কিন্তু এই সহজ সরল ভাইটিকে আল্লাহ চাইলে আমাদের মাঝে অনেক অনেক দিন রাখতে পারেন আজকের মতো দেখা হাসি মাখা মুখে।
হে মাবুদ! সত্য ও সুন্দরের সহযাত্রী এ ভাইটিকে তুমি সুস্থতা দাও, আমাদের মাঝে দীর্ঘ দিন ঈমানের সাথে সহাবস্থানের তাওফীক দাও।
আমার বাংলাদেশ। তোমার শরীরটাকে একবার দিখন্ডিত করা হয়েছিল ১৯শতকের ঘোড়ার দিকে। নাম দেয়া হয় বঙ্গ ভংগ। কাজটা দাদারা করেছিলেন।মাত্র ১বছর পর দাদারা বললেন “বাংলা মাকে দিখন্ডিত করা হয়েছে, তা মানা যায়না।” তাই আবার জোড়া দিয়ে নাম দিলেন বঙ্গভংগ রদ।তোমাকে আবার দিখন্ডিত করে দিয়ে দেয়া হলো পাকিস্তানের সাথে। নাম দেয়া হলো পূর্বপাকিস্তান। তোমাকে নিয়ে গর্ব হয় এজন্য যে, সই সময় তোমার অধিবাসীরা পাকিস্তান থেকে হাজার মাইল দূরে থেকেও কেবল মাত্র ইসলামের কারণে দাদাদের থেকে পৃথক হয়েছে। দাদারা অবশ্যেই এটাকে সুবিধা মনে করে কোন বাঁধা দেননি। তোমার ঐ অবয়বকে নাম দেয়া হয় পূর্ব পাকিস্তান।
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে তোমার সন্তানেরা ৭১ এ পৃথিবীর মানচিত্রে অংকন করলো আবার নতুন করে তোমাকে। নাম হলোআমার বাংলাদেশ।
"এই সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো লুট করে ফোকলা করে দিয়েছে। হলমার্ক গ্রুপ, বিসমিল্লাহ গ্রুপসহ বিভিন্ন গ্রুপ ব্যাংক থেকে নিয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা। এক হলমার্ক গ্রুপই নিয়েছে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা। অথচ অর্থমন্ত্রী বলে বসলেন যে, ‘সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা কোনো টাকাই না।’ ভাবখানা এমন যে, না হয় আওয়ামী লীগের লোকে মাত্র হাজার চারেক কোটি টাকা ব্যাংক থেকে নিয়ে নিয়েছে, তাতে এমনকি হয়েছে! বিদ্যুৎ খাতে লুট আরো প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার মতো। আর কী নির্লজ্জ সরকার, তারা আইন পাস করেছে যে, ভবিষ্যতে কোনো সরকার বিদ্যুৎ খাতে এই লুটের বিষয়ে কোনো প্রশ্ন তুলতে পারবে না। এ দিকে এ ছাড়া ডেসটিনির মাধ্যমে আওয়ামী লীগের মহানায়কেরা লুটে নিয়েছে সাধারণ মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকা। ৩৩ লাখ বিনিয়োগকারীকে পথে বসিয়ে অওয়ামী লীগের দরবেশরা লুটে নিয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা। ক্ষমতার শেষ সময় এসে ১০০ কোটি টাকার প্রকল্পে রাতারাতি ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়ে যাচ্ছে। আর পদ্মা সেতু নির্মাণে দুর্নীতির বিশ্বরেকর্ড সৃষ্টি করেছে শেখ হাসিনার সরকার। বিশ্বব্যাংক, জাইকা, এডিবি এই প্রকল্পে প্রায় ২০০ কোটি ডলার অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু এই প্রকল্পের একেবারে শুরুতেই তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের বিশাল দুর্নীতির কারণে পদ্মা সেতু নির্মাণ আর এক পা-ও অগ্রসর হয়নি। বিশ্বব্যাংক যাবতীয় ‘তথ্য-প্রমাণসহ’ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছিল। এতে একেবারে তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠেছিলেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং এবং তখনো তিনি একবার লোক হাসিয়েছিলেন। তিনি বিশ্বব্যাংকের কাছে তাদের বার্ষিক অডিট রিপোর্ট দাবি করে বসেছিলেন। এর চেয়ে হাস্যকর ঘটনা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে খুব কমই ঘটে। ক্রোধান্বিত প্রধানমন্ত্রী তাই আবুল হোসেনকে ‘দেশপ্রেমিক’ আখ্যায়িত করে গৌরবান্বিত করেছিলেন। একে একে বিশ্বব্যাংক, জাইকা, এডিবি সরকারকে জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা এই প্রকল্পে ঋণ দেবে না। এর পরের ঘটনা আবারো শিশুতোষ এবং নির্মল আনন্দদায়ী। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করলেন যে, ২০০ কোটি ডলারের পদ্মা সেতু স্কুলের শিশুরা তাদের টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে নির্মাণ করে দেবে। সেটি খেলনা হতে পারে, সেতু হবে না। এটি কি প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পারেননি। আর এই প্রধানমন্ত্রী বলছেন, বিএনপির দুই গুণ দুর্নীতি আর মানুষ খুন?"
এই হলো আমার আজকের দেশের চিত্র! হায় আল্লাহ কবে বদলাবে বাঙ্গালীর চরিত্র?
স্বাধীনতার ৪২ বছর পরও দেশে তেমন অগ্রগতি হয়নি শুধু কিছু লোক দেশটাকে নিজের সম্পত্তি মনে করছে বলে। তাই ঐ লোকগুলোর পরিবর্তন অত্যবশ্যক দেশের উন্নতির জন্য। ১৬কোটি মানুষের দুঃখের কারন কিছু মানুষ হতে পারেনা। আপনার চিন্তা খুবই প্রশংসিয় দেশ ভাবনায়। ভালো থাকুন এই দোয়া রইল।
মিলন মেলার সমাচার শেষ করছি আবু আশফাকের বাড়ীতে আগামী শনিবারের দাওয়াত জানিয়ে। আর হ্যাঁ! একটা বিষয় হয়তবা লক্ষ্য করবেন যে, কবিতা গুলোকে আমরা পত্রস্ত করিনি। এ নিয়ে কথা হবে অন্য দিন। ধন্যবাদ।
বিষয়: বিবিধ
২৭৩৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন