সুন্দর জীবনের জন্য চাই স্রষ্টার দাসত্ব%%মিলন মেলা সমাচার {১৪}
লিখেছেন লিখেছেন মিলন মেলা ২৮ আগস্ট, ২০১৩, ০২:১২:৫৬ দুপুর
আস্সালামু আলাইকুম। সবাইকে অনেক অনেক প্রীতি আর শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি টুডে ব্লগের প্রতি শনিবারের আড্ডাধর্মী পোষ্ট “মিলন মেলা” এর সার সংক্ষেপ নিয়ে উপস্থাপনা “মিলন মেলা সমাচার”। বিষয়ঃ সুন্দর জীবনের জন্য চাই স্রষ্টার দাসত্ব।
২৪শে আগষ্ট ২০১৩, শনিবার, ঘড়ির কাঁটা সন্ধ্যা ৭টায়। ব্লগার জাকির হোসাঈন আজামীর ব্লগ বাড়ীতে আয়োজন করা হয় মিলন মেলা-এর ১৪তম আসর। অত্যন্ত চমকপ্রদ এবং মানব জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পোষ্ট প্রদান করা হয়। কিন্তু সত্য কথা যে অনেক নিয়মিত ব্লগার সেদিন অজ্ঞাত করণে সঙ্গ দিতে পারেননি। আমরা যখন এই পোষ্ট নিয়ে মিলন মেলা সমাচার গ্রন্থনা করছি, তখন এর পাঠক সংখ্যাঃ৩২৮ আর মন্তব্য করা হয়েছেঃ১১১টি। যারা নানামূখী সমস্যায় সেদিন হাজির হতে পারেননি তারা মিলন মেলা পোষ্ট {১৪) একবার দেখে নিতে পারেন।
সকলের সদয় অবগতির জন্য সেদিনের মিলন মেলায় ব্লগারদের মতামত সমূহের সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করছিঃ
# মানুষ আর পশু এক নয়। পশু জ্ঞানার্জন করতে পারেনা, মানুষ পারে। মানুষের মতো বিবেক বুদ্ধিও পশুর নেই। মানুষ নিজের মেধা ও প্রতিভার বিকাশ সাধন করতে পারে, পশু পারেনা। মানুষ গবেষণা, উদ্ভাবন ও আবিষ্কার করতে পারে, বিরাট বিরাট কাজ সম্পাদন করতে পারে। কিন্তু পশু এগুলো পারেনা। মানুষ উন্নতি সাধন করতে পারে, পশু পারেনা। মানুষ বুদ্ধি ও যুক্তি দেয়ে বিচার বিবেচনা করে সত্য-মিথ্যা, ভালো-মন্দ ও ন্যায় অন্যায় নির্ধারণ করতে পারে। পশু তা পারেনা। তাই মানুষ আর পশু এক নয়।
# মানুষকে ভাবতে হবে, কে তাকে সৃষ্টি করেছেন? সৃষ্টিকর্তা কেন তাকে পশু না বানিয়ে মানুষ বানিয়েছেন? কেন তাকে বুদ্ধি, বিবেক ও যোগ্যতা দান করেছেন ? এর পেছনে কি কোন উদ্দেশ্য নেই?
# যুক্তি ও বিবেক বলে এবং নবুয়্যতের নির্ভুল সূত্র থেকেও আমরা জানতে পারি, মানুষকে বিশেষ উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করা হয়েছে। সেই উদ্দেশ্যেই তাকে জ্ঞান, বুদ্ধি ও বিবেক দেয়া হয়েছে। সে উদ্দেশ্যটা হলো, মানুষ যেনো তার সৃষ্টিকর্তার সঠিক পরিচয় জেনে জীবন যাপন করে। সে যেনো কেবল তাঁরই দাসত্ব করে।
# দাসত্ব করা মানুষের জন্মগত স্বভাব ‘দাসত্ব’ কথাটা শুনলে অনেকেরই গা জ্বলে উঠে। রাগে গোস্বায় রক্ত টগবগ করে। ঘৃণায় গতর ঘিন্ ঘিন্ করে। করবেই তো। কারণ, দাসত্বের জিঞ্জির থেকে মুক্তি পাবার জন্যে মানুষ সব সময়ই সংগ্রাম করেছে, এখনো করছে, ভবিষ্যতেও করবে। কার ইচ্ছে হয় মুক্ত পৃথিবীতে দাসত্ব করবার? দাস হয়ে জীবন যাপন করবার? বন্দী জীবনের গন্ডিতে আবদ্ধ থাকবার ? হ্যাঁ ঠিকই, মানুষ দাসত্ব করতে চায়না। দাসত্বকে সে ঘৃণা করে। সে মুক্তি পাগল। সে চায় মুক্ত স্বাধীন জীবন । কিন্তু চাইলেই কি সব হয় ? হয় না, হতে পারেনা। কারণ, মানুষ তো নিজের স্রষ্টা নিজে নয়। সে অন্যের সৃষ্টি। তার স্রষ্টা তাকে যেভাবে সৃষ্টি করেছেন, সে ঠিক সেরকম। তার স্রষ্টা তার মধ্যে যে স্বভাব প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য অন্তরগত করে দিয়েছেন, সে কিছুতেই সে স্বভাব প্রকৃতি থেকে মুক্ত ও স্বাধীন হতে পারেনা। মানুষের স্রষ্টা তাকে সৃষ্টি করবার সময়ই তার মধ্যে দাসত্ব করবার স্বভাব প্রকৃতি অন্তরগত করে দিয়েছেন।
# ‘দাসত্ব’ শব্দটি ব্যাপক অর্থবহ। এর আরবি প্রতিশব্দ হলো ‘আবদ’ এবং ‘ইবাদত’। এর প্রকৃত অর্থ হলো : কারো দাসত্ব করা, শৃংখলাবদ্ধ থাকা, হুকুম পালন করা, আনুগত্য করা, পূজা ও উপাসনা করা, তার নিকট বিনয়ী হয়ে থাকা, তাকে সম্মান ও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা এবং তার কাছে আরাধনা করা। মানুষের মহান স্রষ্টা দাসত্বের এই গুণবৈশিষ্ট্যগুলো মানুষের স্বভাবগত করে দিয়েছেন। মানুষ কিছুতেই তার এই স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য থেকে মুক্ত ও স্বাধীন থাকতে পারেনা। তাই দাসত্ব তাকে করতেই হবে। এ থেকে কিছুতেই তার মুক্ত নাই, নিস্তার নাই।
# দাসত্ব কি?
১. মালিকের দাসত্ব স্বীকার করা-এর মানেঃ মালিক বা আল্লাহকে একমাত্র রব বা মালিক বলে স্বীকার করা, তাঁর সাথে কাউকে শরীক না করা।
২. মালিকের আনুগত্য করা-এর মানেঃ মালিকের তথা আল্লাহর নির্দেশ জানা ও মানা। আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নির্দেশ না মানা। গোলাম সব সময়ই গোলাম। ২৪ ঘন্টাই গোলামীতে থাকা। জীবনের সকল কাজকে গোলামীর অধীনে নিয়ে আসা। জীবনের প্রতিটি অধ্যায় তথা শিশুকাল, কৈশোর কাল, যৌবন কাল,বৃদ্ধকাল, চাকুরী জীবন, দাম্পত্য জীবন, সমাজ জীবন, রাষ্ট্রীয় জীবন ইত্যাদি সকল অধ্যায়কে গোলামীর অধীনে নিয়ে আসা।
৩. মালিকের সম্মাণ ও সম্ভ্রম রক্ষা করা-এর মানেঃ সম্মাণ প্রদর্শণ আর আদর দেখানোর জন্য মালিকের দেয়া কিছু নিয়ম আছে, সময়সূচী আছে। ঠিক সে সময়ে তার বলা নিয়মে সম্মান প্রদর্শনের জন্য উপস্থিত হওয়া ও সম্মান দেখানোই হলো গোলামী। যেমনঃ প্রতিদিন তার ঘর থেকে ৫বার আওয়াজ আসে হাজিরা দেয়ার। সাথে সাথে হাজিরা দিতে হয় লাইন ধরে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। বছরে একটা মাস হালাল বস্তু গুলো একটা নির্দিষ্ট সময় গ্রহণ না করার নিরদেশ আসে। তা মানতে হয়। টাকা পয়সা থাকলে তার ঘরের সামনে গিয়ে হাজির হয়ে বলতে হয়-দাস হাজির। ইত্যাদি।
# আল্লাহ্ তাঁর সকল সৃষ্টিরাজীর জন্য দূ’ধরনের আইন তৈরী করেছেন । একটি মানুষ ও জিনের জন্য, অপরটি অন্যসব সৃষ্টির জন্য । মানুষ ও জিনের জন্য তৈরী আইনটি তাদের জানানো হয়েছে যে সব মাধ্যমেঃ (১)সৃষ্টিগতভাবে। (২) নবী ও রাসূল। (৩) আসমানী কিতাব।
# মানুষ ও জিনকে এসব আইন মানতে বাধ্য করা হয়নি । দেয়া হয়েছে আনুগত্য ও নাফরমানীর পূর্ণ স্বাধীনতা। কিন্তু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, মানলে এপার-ওপার দুপারেই কল্যাণময় জীবন লাভ করবে। নচেৎ দূ’কুলেই শামিল হবে দূর্ভাগাদের কাতারে।
# অপর আইন। যা সৃষ্টিজগতের অপরাপর সৃষ্টির উপর আল্লাহ নিজেই জারী করে দিয়েছেন। যা তারা স্বেচ্ছায়ই পূর্ণ রুপে তা মেনে চলছে। আর ওটা মেনে চলতে তারা বাধ্য। অবাধ্য হওয়ার কোন ক্ষমতা বা স্বাধীনতা তাদের নেই।
# চাঁদ, সূর্য, গ্রহ, তারা-এই বসুন্ধরার সব কিছু স্রষ্টার নিয়মের গোলামী করছে যথাযথ ভাবে। আর তাই বলেই পৃথিবীর এসব অংগনে নাই অশান্তি এবং বিশৃংখলা। কিন্তু যেখানেই মানুষের আবাস আর পদচারণা, সেখানে অশান্তি, অবনতি আর বিশৃংখলা। বিশ্বের ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, যে জাতি তাদের স্রষ্টার আইন অনুযায়ী চলেছে, স্রষ্টার আইনের কাছে নতি স্বীকার করে স্রষ্টার গোলামী করেছে, তারা সর্বকালে ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনে উন্নতির চরম শিখরে আরোহন করেছে। আজকের অশান্ত পৃথিবীকে শান্তিময় করতে আর বিশৃংখল বনি আদমকে উন্নতির শিখরে পৌছাতে হলে চাই স্রষ্টার যথাযথ গোলামী। এজন্য এগিয়ে আসতে হবে বিশ্ব মানবতাকে।
# বাংলাদেশের একজন প্রথিতজশা রাজনীতিবীদ বলেছিলেনঃ পাখি গান গায়, নদীরা বয়ে চলে যায়, গাছ গাছালী আর পাহাড় পর্বতে সুবিন্যস্ত এই ধরণে অবলোকন করে সকল সৃষ্টি। কিন্তু বলে কেবল মানুষ। এই সব সৃষ্টির সৃষ্টার প্রশংসা করে হয় অনুগত। সেই প্রকৃত মানুষ। কিন্তু যে এতো সুন্দর সৃষ্টি দেখেও বলেনা, প্রশংসা করেনা, কৃতজ্ঞ হয়না, আনুগত্য করেনা-সে দেখতে মানুষ হলেও সে শুধু পশু না, পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট।
# আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তার গোলামী করার জন্য-----। ----এখন আমাদেরকে যা যা করতে-
- খাটি মুসলিম হতে হবে।
- নামায পড়তে হবে, রোযা রাখতে হবে, যাকাত দিতে হবে, হজ্ব করতে হবে।
- কোরআন ও হাদিস পড়তে হবে।
- হালাল ইনকাম করতে হবে।
- হারাম থেকে দুরে থাকতে হবে।
- ভাল কাজ করতে হবে, মন্দ কাজ থেকে দুরে থাকতে হবে।
- আল্লাহর আইন প্রতিষ্টা করতে হবে।
- সত্য আর সুন্দরের প্রসার আর অসত্য আর অসুন্দরের নির্মূল করতে হবে।
# আল্লাহর দাসত্ব পূর্ণ রূপে করতে পারলে যেমন জীবন সুন্দর হবে তেমনি সমাজকে ও একটি সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির ক্ষেত্রে মুখ্য হওয়া যাবে।
# আমরা জানি সমাজের অনেক আছেন যারা বলে আমরা এক আল্লাহর দাসত্ব করি ,কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি আবার এরাই মাজারে গিয়ে সন্তান চাচ্ছে সম্পদ চাচ্ছে ,তাহলে কি করে এক আল্লাহর দাসত্ব হলো ?
# স্রষ্টা। যাকে আরবীতে বলে খালিক। কুরআন শরীফে আমার জানামতে মোট ৮টি স্থানে খালিক শব্দটি এসেছে-
আল-আনআম(১০২); আর-রা'দ (১৬); আল হিজর (২৮); ফাতির (০৩); ছোয়াদ (৭১); আল যুমার (৬২); গাফির (৬২); আল হাশর (২৪)।
# দাসত্ব শব্দটার উত্পত্তি দাস শব্দ থেকে। যাকে আরবীতে বলে আবদ। আবদ শব্দটা কুরআনে এসেছে (১১) বার। যেমনঃত বাকারা (১৭৮-২বার), ২২১; আল মায়িদা (৬০); মারিয়াম (৩০); সাবা (০৯); ছোয়াদ (৩০,৪৪); আয যুখরুফ (৫৯); ক্বাফ (০৮);আল জীন (১৯)
# আসলে দুনিয়া ও আখেরাতে লাভবান হতে চাইলে জীবনের সকল দিকে আল্লাহর হুকুম মানতে হবে ।এটাই সফলতা। আর জীবনের সকল দিক বলতে ব্যক্তি পরিবার সমাজ রাষ্ট সবদিকই কিন্তু বুঝায়।
# সুন্দর জীবনের জন্য স্রষ্টার দাসত্ব, কথাটা আমাদের পরম করুনাময় আল্লাহ্ তাআলার জন্য একদমই খাটি কথা। যেমন ধরুন দুনিয়াবী কাজ-কর্মের ক্ষেত্রেই আপনি যদি আপনার মনিব/বসের সকল কাজ কর্ম ঠিকমত না করেন,মনিব/বসের আনুগত্য না করেন,মনিব/বসের সম্মাণ রক্ষা না করে চলেন তাহলে আপনার মনিব/বস আপনার প্রতি কখনঐ খুশি হবেনা।এমন কি মনিব/বসের কাজগুলো যদি আপনি ঠিক মত না করেন মনিব/বস আপনাকে চাকুরীচ্যুতও করতে পাড়েন তাই না?
তাহলে যেই রহমাতাল্লীল আলামীন আমাদের কে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে দুনিয়াতে পাঠালেন সুন্দর জীবন যাপনের জন্য,ওনাকে রাজি-খুশি রাখার জন্য ওনার জন্য নিশ্চই আমাদেরও কিছু করনিয় আছে।যা কিনা উনি আমাদের সুবিধার জন্য যুগে যুগে বিভিন্ন নবী রাসুল প্রেরন করে এবং স্রেষ্ট আসমানী কিতাব দিয়ে সুন্দর ভাবে বুজিয়ে দিয়েছেন যেন আমরা তা সহজেই পালন করতে পাড়ি,এবং কিছু কিছু জিনিষ নিষেধ করে দিয়েছেন যেন তা আমরা বর্জন করি কারন দুনিয়াতে এমন কিছু কাজ আছে যা আমরা করতে গেলে আমাদের জীবনে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।তাই মহান রাব্বুল আলামিন সতর্ক করেই দিয়েছেন আমরা কি করব আর কি করব না ।যেন আমাদের জীবনের সৌন্দর্যটা সৃষ্টির সেরা জীবের মতই হয়।
যেই মহান রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে সৃষ্টির সেরা জীব এবং সুন্দর জীবন -যাপনের জন্য এত কিছু করলেন আমরা কি করে ওনার দাসত্ব থেকে বিরত থাকব?
তাই আসুন আমরা সকলে কোরআন ও হাদিস অনুসারে চলার চেষ্টা করি এবং প্রার্থনা করি মহান আল্লাহর কাছে হে আল্লাহ্ আপনি আমাদেরকে খাটি মুসলনাম করে দিন যেন আমরা ঠিক মত নামায পড়তে পাড়ি, রোযা রাখতে পাড়ি, যাকাত দিতে পাড়ি, হজ্ব করতে পাড়ি।
ছহিহ্-শুদ্ধ ভাবে কোরআন ও হাদিস পড়তে পাড়ি। হালাল ইনকাম করতে পাড়ি। হারাম থেকে দুরে থাকতে পাড়ি। ভাল কাজ করতে পাড়ি, মন্দ কাজ থেকে দুরে থাকতে পাড়ি,এবং আল্লাহ্-র আইন যেন প্রতিষ্টা করতে পাড়ি এই দুনিয়ায়। সেই তৌফিক আল্লাহ্ আপনি আমাদের কে দান করুন।
সকলের জন্য বিশেষ জ্ঞাতব্যঃ "মান আরাফা নাফসাহু ফাক্বাদ আরাফা রাব্বাহু” অর্থাৎ যে তার নিজকে চিনতে পারবে সে তার রবকে চিনতে পারবে।" বাক্যটি হাদীস নয় -আরবী প্রবাদ বাক্য ।
আজ এ পর্যন্ত। আবার দেখা হবে আগামী শনিবারে টুডে ব্লগে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায়। মিলন মেলা আয়োজিত হবে ব্লগার প্যারিস থেকে আমি-এর ব্লগ বাড়ীতে। সবাই ভাল থাকুন সে প্রত্যাশায়।
বিষয়: বিবিধ
২৩৪৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন