ঈদের স্মৃতিঃ একাল সেকাল মিলন মেলা সমাচারঃ১৩
লিখেছেন লিখেছেন মিলন মেলা ২১ আগস্ট, ২০১৩, ০৮:১৭:৩৭ রাত
আস্সালামু আলাইকুম। সালামান্তে শুভেচ্ছা ও ঈদ মুবারক। সবার প্রতি অনেক অনেক ভালবাসা জানিয়ে উপস্থাপন করছি টুডে ব্লগের শনিবারের আসর “মিলন মেলা” এর সারসংক্ষেপ নিয়ে প্রতিবেদনঃ মিলন মেলা সমাচার (১৩)।
রাহমাত মাগফিরাত আর নাযাতের মাসঃ মাহে রামাদ্বানের বিরতির পর ঈদ উৎসব পালন করে অতীতের ন্যায় ব্লগাররা মিলিত হন মিলনের মোহনা “মিলন মেলা”তে গত শনিবার, ১৭ই আগষ্ট ২০১৩ আধা শিক্ষিত মানুষk-এর ব্লগ বাড়ীতে। নির্ধারিত সময় ৭টার ১৬মিনিট ০২সেকন্ড পর শুরু হয় মিলন মেলা। প্রতিক্ষায় ছিলেন ব্লগার আবু আশফাক। জানিয়ে দিলেন নিজের উপস্থিতির খবর ছন্দে ছন্দেঃ
“সবার আগে মিলন মেলায় ঈদ মুবারক বলি
নতুনভাবে আজকে আসুন সফল করে তুলি।”
রামাদ্বানের বিরতির পর ঈদের আমেজ তখনও ফুরিয়ে যায়নি, এমন অবস্থায় রাশভারী কোন বিষয়ের উপস্থাপন না করে নিরেট ঈদ পরবর্তী আড্ডা হিসাবে পোষ্ট দিতে আধা শিক্ষিত মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বিষয় নির্বাচন করেনঃ ঈদের স্মৃতি-একাল সেকাল। টুডে ব্লগ সম্পাদক বিষয়টা পছন্দ করে সাথে সাথে স্টিকি করেন এই পোষ্ট। ধন্যবাদ সম্পাদককে-মিলন মেলাকে সহযোগিতা প্রদানের জন্য।
কেমন কাটলো আমাদের এবারের ঈদ, শৈশব আর কৈশোরের ঈদের স্মৃতি, চলমান সময়ের ঈদের মজাদার ঘটনা, ঈদের শিক্ষা তাৎপর্য করণীয় বর্জনীয় ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করার জন্য স্বাগতম জানানো হয় সেদিনের আসরে। আবু আশফাককে আপ্যায়ন প্রশংসা কুড়ায় সবার পক্ষ থেকে। মিলন মেলার সেই আয়োজনের সারসংক্ষেপ আপনাদের সদয় অবগতির জন্য উপস্থাপন করা হলোঃ
ইকুইকবালঃ-----এবার ঈদ সিবিএফ কে নিয়ে কাটল।
কবিতাঃ ছোটবেলায় বেশীর ভাগ ঈদ করা হত নানা বাড়িতে অনেক মজা হত।তারপর বড় হওয়ার পর নিজেদের বাড়িতে মা।বাবা ভাই বোনদের সাথে সেটাও মজাই হত।প্রায় এক যুগ ধরে ঈদ করা হয় বিদেশে এখানে ঈদের কোন মজা নাই।
আধা শিক্ষিত মানুষঃ আমার জীবনে কখনো নানার বাড়ীতে কখনো ঈদ করা হয়নি।
আবু আশফাকঃ ঢাকায় আমার ছেলেদের ঈদ বা ঢাকায় প্রথম ঈদ।
মোঃ ওহিদুল ইসলামঃ ছোটবেলায় ঈদের নতুন কাপড় পড়ে যে মজা পেতাম তা এখন আর পাইনা। এখন অবশ্য পরিবার ও আত্মীয় স্বজনকে নতুন কাপড় ও ছোটদের বাড়তি হিসেবে নতুন টাকা দিয়ে মজা পাই যদি পকেটের ১২টা বেজে যায়। এখনকার মত ছোটবেলায় আমরা এত বখশিশ পেতামনা।
আবু আশফাকঃ ছোটবেলা আব্বু ১টাকা, আম্মু ১টাকা, মামা ১টাকা, মিয়া ভাই ১টাকা; এতেই খুশিতে সপ্তাকাশে উড়তে মন চাইতো। মাগার অহন বাচ্চাদের ১০০ টাকা দিলে নিতে চায় না, আবার ৫০০ দিলেও খুশি হয় না।
আধা শিক্ষিত মানুষঃ আমাদের ছোটকালে সালামের বদলে সালামী দেয়ার কালচার ছিলনা।এখন আমরা বড়। কিন্তু সে এখন সালামের বদলে সালামী দিতে হয়। আর সেজন্য সালাম দাতারা আগেই নোটিশ দিয়ে রাখে যে, কতটাকা তাদেরকে দিতে হবে।
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীনঃ আমার এবারের ঈদ চাকরিস্তলে কেটেছে ,একদিকে প্রবাস জীবন অন্যদিকে ঈদে ছুটি না পাওয়া। কারণ প্রতি বছর ঈদে একদিন ছুটি পেলে ও এবার পাইনি,পাইনি বললে ভুল হবে পেয়েছি। কিন্তু আমার একজন সহকর্মী উনি নতুন বিয়ে করেছেন এবং উনার স্ত্রী কে দেশ থেকে এখানে নিয়ে এসেছেন উনি আমার কাছে একরকম মিনতি সহকারে বললেন যাতে আমি উনা কে সাহাজ্জার্তে ঈদের ছুটিটা না করে দুদিনই কাজে আসি আর আমি ও মেনে নিলাম দুদিনই ই কাজ করলাম।
আবু আশফাকঃ আপনার বিয়ের পরে আপনাকেও কেউ এভাবে সেক্রিফাইস করুক, এই কামনা করি। প্রবাস জীবনে স্ত্রীকে কাছে পাওয়া তো নতুন বিয়ের মতোই।
আধা শিক্ষিত মানুষঃ------- “প্রবাস জীবনে স্ত্রীকে কাছে পাওয়া তো নতুন বিয়ের মতোই।”এই কথাটা আপনাকে কে বলেছে? আপনি কি আন্দাজ করে বলছেন।
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীনঃ শুকরিয়া দুয়া করার জন্য ,আর বিয়ের পরের কথা কইয়েন না লজ্জা লাগে।
হাবীবুল্লাহঃ প্রবাসে ঈদের তেমন মজা নাই।
মোঃ ওহিদুল ইসলামঃ অনেক বছর পর এবারের ঈদে দীর্ঘ ১১ দিনের ছুটি কাটিয়েছি নিজ গ্রামে পরিবারসহ। সকল চাচা-চাচী ও কাজিনরাও বেড়াতে এসেছিলেন শহর হতে। সকল ফুফু-ফুফা এবং ফুফাতো ভাই বোনেরাও এসেছিলেন। মেহমান সামলাতে বেশ ধকল গিয়েছিল। কিন্তু সবাই একসাথে যে মজা উপভোগ করেছিলাম দীর্ঘদিন পর সেটার তুলনায় ধকল ছিল নস্যি। আমার ২০ মাস বয়সী ছেলেকে অনেকেই প্রথমবারের মত দেখেছে। অনেক গিফট ও বখশিস ও পেয়েছে সে।
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীনঃভাই অনেকদিন হলো মেহমান দেখি না। ভাই আপনার ছেলের টাকা কিন্তু আপনি আনবেন না।
আধা শিক্ষিত মানুষঃ আমাদের ঈদের ছুটি কিন্তু আজ শেষ হচ্ছে। আগামী কাল থেকে ডিউটি। দোয়া করবেন।
মোহাম্মদ লোকমানঃ ঈদ দেশেই কাটালাম। আলহামদু লিল্লাহ।
আবু আশফাকঃ ঈদে গ্রামের বাড়ী যাওয়া হয়নি। নদী ভাঙনে বিলীন হতে চলেছে আমার স্বাদের গ্রাম!! বন্ধুরা ছবি পাঠিয়েছে, যেটা ঈদের দিন বিকেল বেলা তোলা-ভয় পেলে কিছু্ই করার নাই। আমার জীবনে মোট ৬ বার বাড়ীঘর নদীতে ভাঙনের মুখে পড়েছে। এ নিয়ে একটি ধারাবাহিক লিখতে চাচ্ছিলাম, কিন্তু সময় হচ্ছে না।
আধা শিক্ষিত মানুষঃ আপনাকে ৭ম বাড়ীটা বানাতে হবে আমার বাড়ীর পাশে। আপনি যদি সম্মত হোন, তাহলে ২বছর আগে কিনা জমিতে আপনাকে শেয়ার করতে পারি মাত্র ১০% প্রফিটে।কিন্তু মনে রাখবেনঃ বাড়ীটা কিন্তু নদীর ধারে না হলেও প্রায় জঙ্গলের ভিতর।
আহাম্মেদ খালিদঃ ঈদের প্রায় সারাদিন ঘুমিয়েই কেটেছে,সন্ধার পর কাটারা'য় (কাতারের একটা চমৎকার দর্শনীয় স্থান)গিয়েছিলাম বাসার সবাই মিলে। ভালই কাটলো কিন্তু শত শত গাড়ীর ভিরে নিজেদের গাড়ীটা খুজে বের করতে গিয়ে পড়ে ছিলাম মহা সমস্যায়। তবে সেটাও ছিল একটা এডভ্যান্চার টাইপের। যাইহোক আলহামদুলিল্লাহ সব মিলিয়ে ভালই কেটেছে।
আবু আশফাকঃ খারাপ না। আমার ছেলেরা ঈদের দিন বিকেলে পুরান ঢাকার লক্মীবাজারে ঘোড়ায় চড়ে খুউব আনন্দ করেছিল।
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীনঃ ঈদে বাচ্চারা অনেক মজা করে। টিক আমি যেমনটা করতাম তাদের বয়েসে।
সান বাংলাঃ এবারের মত এমন ঈদ আমার কখনও কাটে নাই,পুরো রমজান মাস সহ ঈদটা একেবারেই যেন মাটি হয়ে গেছে। ঈদের দিন সকালে ফজরের নামাজ পড়তে উঠেই একটু সেমাই পাকিয়েছিলাম হর-হামেশা প্রবাসে যেটা আমি করে থাকি। নামাজে যাওয়ার আগেই একটু মিস্টি মুখে দিয়ে নামাজ পড়তে যাই। ঈদের নামাজ পড়ে এসে কম্পু খুলে স্কাইপিতে কল করলাম বিবির কাছে ভালই কথা-বার্তা হচ্ছিল,মেয়টা এসে বলল বাবা তুমি আসনা কেন?কবে আসবা? মেয়েকে শান্তনা দিলাম কিন্তু ছেলে যখন বলল বাবা নানারে নিয়া আস..........আমি বুজলাম না কি জবাব দিব।ওদিক থেকে ভেসে আসছে কান্নার সুর,আমার শাশুরী কেদে উঠলেন আমার ছেলের এই কথা শুনে।সাথে সাথে আমার স্ত্রী ছেলে মেয়ে সবাই কান্না শুরু করল,আমার যে কি অবস্থা বলে আর কি বুজাব?
কিছুক্ষন অপেক্ষা করে সবাইকে শান্তনা দিয়ে কান্নাতো থমালাম বাট আমি তো শান্তি পাচ্ছিনা।কম্পু বন্ধ করে শুয়ে পরলাম কখন যে ঘুমিয়ে গেলাম উঠে দেখি জোহর নামাজের সময় হয়েছে।এই ছিল আমার ঈদ যার মূল কারন ছিল.....
হাবীবুল্লাহঃ উফফফ ! প্রবাসের ঈদ মানেই কষ্ট।
সিটিজি৪বিডিঃ ক. কেমন কাটলো আমাদের এবারের ঈদ। উত্তরঃ প্রবাসে এবারের ঈদটা ভাল কাটেনি। খ. শৈশব আর কৈশোরের ঈদের স্মৃতি। উত্তরঃ শেশবে আর কৈশরের ঈদের স্বৃতি কি ভূলা যায? আনন্দ আর আনন্দ---------- গ. চলমান সময়ের ঈদের মজাদার ঘটনা। উত্তরঃ প্রবাসীরা ঈদের নামায পড়েই ঘুমিয়ে পড়ে। হয়তবা মনের দুঃখে এই কাজটি করে----------- ঘ. ঈদের শিক্ষা, তাৎপর্য, করণীয়, বর্জনীয়। উত্তরঃ ঈদের সময় সবাই মান-অভিমান ভুলে কোলাকুলি করে। আনন্দ প্রকাশ করে সকল ভেদাভেদ ভুলে যায়। ঈদের পরে বাকী সময়গুলোতেও মিলেমিশে থাকা উচিত।
আইল্যান্ড স্কাইঃ চর্তুদিকে ইসলাম বিদ্বেশী নাস্তিকদের রক্তের লীলা খেলা চলছে,শহীদের রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে অল্লাহর জমীন এমনকি আল্লাহর ঘর মসজিদে নামাজরত ভাইয়েরাও রেহাই পাচ্ছেনা হায়েনাদের বুলেট থেকে নিস্তার পাচ্ছেননা নারী ও শিশুরা এত দুঃখ কষ্টের মধ্যেও অপনাদের সালাম ও ঈদ মোবারক।
আধা শিক্ষিত মানুষঃ ছোট্টকালে ঈদের দিনেঃ ঈদের জামা ছিল ঈদের মূল আকর্ষণ। আব্বু অবশ্য ঈদের রাতে শেষ সময়ে ঈদের জামা নিয়ে আসতেন। তখন সাধারণত ঘুমে থাকতাম। তাই ঈদের জামার সাথে সাক্ষাত হতো ঈদের দিন খুব ভোরে। আম্মুর ডাকা ডাকিতে প্রথম বাক্য ছিল "আমার নতুন জামা কোথায়?" আজ সেই আব্বুও নাই, আম্মু ও নাই। আল্লাহ তুমি তাদের প্রতি রহম করো।
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীনঃ আপনার আব্বা আম্মাকে আল্লাহ যেন জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করেন ,,,আমিন।
আধা শিক্ষিত মানুষঃ সেকালের ঈদঃ সকাল বেলা-খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে গোসল করে নতুন জামা গায়ে দিয়ে এ বাড়ী ও বাড়ী গিয়ে সালাম করে মিষ্টি খেয়ে সোজা ঈদগাহে। একালের ঈদঃ সকাল বেলা-ফজর নামায জামায়াতে আদায় করে গোসল করে ৩টি খেজুর খেলাম। এর পর আমাদের একজন মুরব্বী ভাইয়ের বানানো সেমাই। গাড়ী নিয়ে কাতারের রাষ্ট্রীয় মসজিদের ঈদের নামায। সাথে অনেক ছবি উঠানো। এর পর ড্রাইভ করে দুই বাসায় দাওয়াত। এর পর জোহর পর্যন্ত লম্বা একটা ঘুম। ঈদের দিনের সকালঃ সে-কালে-ঈদের দিন বলতে বাংলাদেশের ঈদের দিন বুঝাচ্ছি। আম্মুর হাতের বানানো মিষ্টি জাতীয় পিটা খেতাম। আম্মা জোর করে অনেক খাওয়াতেন। ঈদের দিনের সকালঃ এ-কালে-ঈদের দিন বলতে কাতারের ঈদের পরদিন বুঝাচ্ছি।ফজর নামায পড়েই দেশে ফোন দিলাম। সকল চাচা আর বোনদের সাথে কথা বললাম।সারাটা দিন মায়ের স্মৃতি মানসপটে ভেসে উঠলো। তাই অনেক কান্নাকাটি করলাম।
এম এম ওবায়দুর রহমানঃ যেকোন মূল্যে আমি ঈদটা দেশের বাড়িতে মা বাবা আর ভাইদের সাথে কাটাতে পছন্দ করি। তবে যত বড় হচ্ছি ঈদের মজা ততই যেন কমে যাচ্ছে।আগে উপহার পেতাম। আর এখন দিতে দিতে ফতুর হয়ে যাই। তারপরও চাই প্রতিটি দিন কাটুক ঈদের মত আনন্দময়। ভালোবাসা ভরা।
আহমদ মুসাঃ আরে ভাইজান ফতুর তো আপনি একা হননি! আপনার পেছনের কাতারে একটু নজর দেন। আমাদের মত এমন অনেক অভাগাকে দেখতে পাবেন। সেলামী দিতে দিতে পকেটের সাস্থ্য একেবারে ভঙ্গুর হয়ে গেছে। নিজে এক পয়সাও বখশীশ পেলাম না।
আধা শিক্ষিত মানুষঃ ঈদ বয়ে আনুক সবার জীবনে অফুরন্ত ভালবাসা। ঈদ হোক টেনশন মুক্ত থাকার একটা দিন। ঈদ হোক ফতুর হওয়ার টেনশনমুক্ত একটি উৎসব।
প্যারিস থেকে আমিঃ আহারে আমি ছিলাম না বলে আমার খবরটাও কেও নিলোনা। খুব যত্ন করে মন্তব্য গুলো পড়ছিলাম এজন্য যে কোথাও হয়তো কেও বলবে প্যারিসের মানুষটি কই? নাহ! কেও খবর রাখেনি। আসলে আমরা মানুষ এমনই,গানে আছেনা-চোঁখের আড়াল হলে মনেরও আড়াল হয়।
মু নূরনবীঃ সবাইকে ঈদ মুবারক...এবারের ঈদের ব্যস্ত সময় কেটেছে...সাংগঠনিক কাজ আর পারিবারিক কাজ নিয়েই। প্রায় বার দিনের ছুটি কোন দিক দিয়ে যে শেষ হয়ে গেল টেরই পেলাম না! আমাদের পুরনো বাড়ী অনেক বড়। প্রায় ত্রিশটি পরিবারের বসবাস। এখন অনেকেই নতুন বাড়ী করেছে। একবাড়ী ভেঙ্গে প্রায় ১২/১৩ বাড়ী! এবার কাজিনদের নিয়ে ঈদের নামাজের পর পুরনো বাড়ীতে গিয়ে কবর জিয়ারত করেছি। তার পর দল বেঁধে প্রায় ৩০ জনের মত নতুন পুরনো বাড়ী মিলে প্রায় সব বাড়ীতে গিয়ে চাচী/ভাবীদের সালাম করেছি। সালামীও তোলা হয়েছে,,....সেই টাকা দিয়ে পার্টি দেওয়া হবে আমি আবার ছুটিতে গেলে। তবে...মিস করেছি অন লাইন বন্ধুদের। কারণ, এবার নেটওয়ার্ক এত ডিস্টার্ব করেছে যে আমি ল্যাপটপ সাথে রাখার পরও কোন কাজ করতে পারি নাই। এই হচ্ছে ডিজিটাল!!!!
আধা শিক্ষিত মানুষঃ ঈদের দিনে কবর জিয়ারত। নতুন লাগছে। খুশীর দিনে দূঃখের কাহিনী কেন? এটা কি এলাকার রসুমাত, না রাসূলের বা সাহাবীদের আমল?
আবু আশফাক, বাকপ্রবাস, প্রবাসী আব্দুল্লা শাহীন, আবু জারীর এবং মোহাম্মদ লোকমানের কবিতা মিলন মেলাকে করে সমৃদ্ধ ও প্রাণবন্ত। সকলকে মূল পোষ্টে গিয়ে কবিতাগুলো পড়ে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে কলেবর বড় হবে ভেবে এখানে পত্রস্ত করা থেকে বিরত থাকলাম।
শেষ হয়ে গেলো মিলন মেলা সেদিনের মতো। কিন্তু আবু আশফাক মিলন মেলাকে নিয়ে লিখলেন কবিতা। শিরোনামঃ ঈদ পুনর্মিলনী মিলন মেলার বন্ধুদের নিয়ে কয়েক ছত্র।
শেষ করছি আজকের মতো মিলন মেলা সমাচার। দেখা হোক আগামী শনিবার, বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় টুডে ব্লগে জাকির হোসাঈন আযামীর-এর ব্লগে। সবার জন্য শুভ কামনা। মায়াস্সালাম।
বিষয়: বিবিধ
২৯৪৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন