মিলন মেলা সমাচার (০৯)
লিখেছেন লিখেছেন মিলন মেলা ১৯ জুন, ২০১৩, ০৪:১৫:০৬ বিকাল
১৫ই জুন ২০১৩, শনিবারের সন্ধ্যা ৭টা। নুর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা -এর ব্লগ বাড়ীতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল মিলন মেলা-এর ৯ম আসর। বিষয় ছিলঃ পরীক্ষা ঈমানের অনিবার্য দাবী। সমাচার লিখা অবধি পোষ্টটি পড়া হয়েছেঃ ৪৮৬বার আর মন্তব্য করা হয়েছেঃ ১১৬টি। ব্লগ কর্তৃপক্ষ মেলা শেষ হওয়ার পর পোষ্টটি স্টিকি করে রেখেছেন।
দিনটিতে ছিল ৪সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। তাই ব্লগ কর্তৃপক্ষ আর ব্লগারদের নজর ছিল ঐ দিকে। অনেকেই পুরো সময় মিলন মেলাতে থাকতে পারেননি সে কারণে। তবুও মিলন মেলাকে জমিয়ে রেখেছিলেন, যারা এসেছিলেন তারা। আর নুর আয়েশা সিদ্দিকাতো পুরো সময় জুড়ে ব্লগারদের সাথে থেকে সংগ দিয়েছেন। একজন ব্লগার এই মিলন মেলাকে তার বিষয় ভিত্তিক নোটের উপদান হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। এ লক্ষ্যে আমরা মিলন মেলার মন্তব্য গুলোকে সম্পাদিত আঁকারে সাজিয়ে প্রকাশ করলাম। ঈমানের অগ্নি পরীক্ষার মাঠের ব্লগারদের দৈনন্দিনের আলোচনায় তা হতে পারে শক্ত একটি হাতিয়ার।
পরীক্ষা সম্পর্কিত কুরআনের আয়াত
(১) ঈমানের পরীক্ষা চিরন্তনঃ
أَحَسِبَ النَّاسُ أَن يُتْرَكُوا أَن يَقُولُوا آمَنَّا وَهُمْ لَا يُفْتَنُونَ
লোকেরা কি মনে করে রেখেছে, “আমরা ঈমান এনেছি” কেবলমাত্র একথাটুকু বললেই তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হবে, আর পরীক্ষা করা হবে না? (আনকাবুতঃ ২)
(২) পরীক্ষা আল্লাহর পক্ষ হতেই আসেঃ
مَا أَصَابَ مِن مُّصِيبَةٍ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي أَنفُسِكُمْ إِلَّا فِي كِتَابٍ مِّن قَبْلِ أَن نَّبْرَأَهَا إِنَّ ذَلِكَ عَلَى اللَّهِ يَسِيرٌ
পৃথিবীতে এবং তোমাদের নিজেদের ওপর যেসব মুসিবত আসে তার একটিও এমন নয় যে, তাকে আমি সৃষ্টি করার পূর্বে একটি গ্রন্থে লিখে রাখিনি৷ এমনটি করা আল্লাহর জন্য খুবই সহজ কাজ৷ (আল হাদীদঃ ২২)
مَا أَصَابَ مِن مُّصِيبَةٍ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ وَمَن يُؤْمِن بِاللَّهِ يَهْدِ قَلْبَهُ وَاللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ
আল্লাহর অনুমোদন ছাড়া কখনো কোন মুসিবত আসে না৷ যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি ঈমান পোষণ করে আল্লাহ তার দিলকে হিদায়াত দান করেন৷ আল্লাহ সব কিছু জানেন৷ (তাগাবুনঃ১১)
(৩) পরীক্ষার ধরণ কেমন হবেঃ
وَلَنَبْلُوَنَّكُمْ بِشَيْءٍ مِّنَ الْخَوفْ وَالْجُوعِ وَنَقْصٍ مِّنَ الأَمَوَالِ وَالأنفُسِ وَالثَّمَرَاتِ وَبَشِّرِ الصَّابِرِينَ
এবং অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের। (বাকারাঃ ১৫৫)
الَّذِينَ إِذَا أَصَابَتْهُم مُّصِيبَةٌ قَالُواْ إِنَّا لِلّهِ وَإِنَّـا إِلَيْهِ رَاجِعونَ
যখন তারা বিপদে পতিত হয়, তখন বলে, নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই সান্নিধ্যে ফিরে যাবো। (বাকারাঃ ১৫৬)
أُولَـئِكَ عَلَيْهِمْ صَلَوَاتٌ مِّن رَّبِّهِمْ وَرَحْمَةٌ وَأُولَـئِكَ هُمُ الْمُهْتَدُونَ
তারা সে সমস্ত লোক, যাদের প্রতি আল্লাহর অফুরন্ত অনুগ্রহ ও রহমত রয়েছে এবং এসব লোকই হেদায়েত প্রাপ্ত। (বাকারাঃ ১৫7)
(৪) কেন এই পরীক্ষাঃ
وَلَنَبْلُوَنَّكُمْ حَتَّى نَعْلَمَ الْمُجَاهِدِينَ مِنكُمْ وَالصَّابِرِينَ وَنَبْلُوَ أَخْبَارَكُمْ
আমি তোমাদের কে অবশ্যই পরীক্ষা করবো যাতে আমি তোমাদের অবস্থা যাঁচাই করে দেখে নিতে পারি তোমাদের মধ্যে কে জিহাদকারী এবং কে ধৈর্যশীল৷(মুহাম্মদঃ 31)
أَمْ حَسِبْتُمْ أَن تُتْرَكُواْ وَلَمَّا يَعْلَمِ اللّهُ الَّذِينَ جَاهَدُواْ مِنكُمْ وَلَمْ يَتَّخِذُواْ مِن دُونِ اللّهِ وَلاَ رَسُولِهِ وَلاَ الْمُؤْمِنِينَ وَلِيجَةً وَاللّهُ خَبِيرٌ بِمَا تَعْمَلُونَ
তোমরা কি একথা মনে করে রেখেছো যে তোমাদের এমনিই ছেড়ে দেয়া হবে? অথচ আল্লাহ এখনো দেখেননি তোমাদের মধ্য থেকে কারা (তার পথে )সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালালো এবং আল্লাহ ,রসূল ও মুমিনদের ছাড়া কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধু রূপে গ্রহণ করলো না? তোমরা যা কিছু করো, আল্লাহ তা জানেন৷ (আত্ তাওবাঃ 16)
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ مَا لَكُمْ إِذَا قِيلَ لَكُمُ انفِرُواْ فِي سَبِيلِ اللّهِ اثَّاقَلْتُمْ إِلَى الأَرْضِ أَرَضِيتُم بِالْحَيَاةِ الدُّنْيَا مِنَ الآخِرَةِ فَمَا مَتَاعُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا فِي الآخِرَةِ إِلاَّ قَلِيلٌ
হে ঈমানদারগণ! তোমাদের কী হলো , যখনই তোমাদের আল্লাহর পথে বের হতে বলা হলো, অমনি তোমরা মাটি কামড়ে পড়ে থাকলে? তোমরা কি আখেরাতের মোকাবিলায় দুনিয়ার জীবন পছন্দ করে নিয়েছো? যদি তাই হয় তাহলে তোমরা মনে রেখো, দুনিয়ার জীবনের এমন সাজ সরঞ্জাম আখেরাতে খুব সামান্য বলে প্রমাণিত হবে৷ (আত্ তাওবাঃ 38)
أَمْ حَسِبْتُمْ أَن تَدْخُلُواْ الْجَنَّةَ وَلَمَّا يَعْلَمِ اللّهُ الَّذِينَ جَاهَدُواْ مِنكُمْ وَيَعْلَمَ الصَّابِرِينَ
তোমরা কি মনে করে রেখেছ তোমরা এমনিতেই জান্নাতে প্রবেশ করবে ? অথচ এখনো আল্লাহ দেখেনইনি, তোমাদের মধ্যে কে তাঁর পথে প্রাণপণ যুদ্ধ করতে প্রস্তুত এবং কে তাঁর জন্য সবরকারী৷ (আলে ইমরানঃ 142)
وَلَقَدْ فَتَنَّا الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ فَلَيَعْلَمَنَّ اللَّهُ الَّذِينَ صَدَقُوا وَلَيَعْلَمَنَّ الْكَاذِبِينَ
আমি তাদের পূর্ববর্তীদের সবাইকে পরীক্ষা করে নিয়েছি আল্লাহ অবশ্যই দেখবেন কে সত্যবাদী এবং কে মিথ্যুক। (আনকাবুত: ৩)
كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ وَنَبْلُوكُم بِالشَّرِّ وَالْخَيْرِ فِتْنَةً وَإِلَيْنَا تُرْجَعُونَ
প্রত্যেক জীবকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে ,আর আমরা ভালো ও মন্দ অবস্তায় ফেলে তোমাদেরকে পরীক্ষা করছি ।শেষ পর্যন্ত তোমাদের সকলকে আমাদের দিকেই আসতে হবে ।(সুরা আম্বিয়াঃ ৩৫ )
الَّذِي خَلَقَ الْمَوْتَ وَالْحَيَاةَ لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلاً وَهُوَ الْعَزِيزُ الْغَفُورُ
তিনিই জীবন ও মৃত্যু উদ্ভাবন করেছেন। যেন তোমাদেরকে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন যে, তোমাদের মধ্যে আমলের দিক দিয়ে সর্বোত্তম ব্যক্তি কে? (মুলকঃ ২)
قُلْ إِنَّ صَلاَتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
নিশ্চয় আমার নামাজ, আমার ইবাদত,আমার জীবন ও মৃত্যু সবই বিশ্বজগতের রব আল্লাহরই উদ্দেশ্যে।(আনআমঃ ১৬২)
وَمِنَ النَّاسِ مَن يَشْرِي نَفْسَهُ ابْتِغَاء مَرْضَاتِ اللّهِ وَاللّهُ رَؤُوفٌ بِالْعِبَادِ
আর অনেকে আছে আল্লাহর সন্তুষ্টির লাভে নিজের জীবনকে অর্পণ করে এবং আল্লাহ এ বান্দাদের প্রতি অত্যন্ত দয়াবান। (আল বাকারাঃ ২০৭)
مِنَ الْمُؤْمِنِينَ رِجَالٌ صَدَقُوا مَا عَاهَدُوا اللَّهَ عَلَيْهِ فَمِنْهُم مَّن قَضَى نَحْبَهُ وَمِنْهُم مَّن يَنتَظِرُ وَمَا بَدَّلُوا تَبْدِيلاً
ঈমানদারদের মধ্যে এমন লোক রয়েছে যারা আল্লাহর কাছে কৃত ওয়াদাকে সত্য প্রমাণ করেছে। তাদের মধ্যে কতক জীবন দিয়েছে আর কতক (জীবন দেবার জন্য প্রস্তুত হয়ে) সময়ের অপেক্ষায় আছে। তাদের আচরণ ( ওয়াদা পালনের ব্যাপারে তাদের মনোভাব ) পরিবর্তন করেনি। (আহযাবঃ ২৩)
(৫) নবী রাসূলদের মত উন্নত চরিত্রের ব্যক্তিদের জন্য ও ছিল এই পরীক্ষাঃ
أَمْ حَسِبْتُمْ أَن تَدْخُلُواْ الْجَنَّةَ وَلَمَّا يَأْتِكُم مَّثَلُ الَّذِينَ خَلَوْاْ مِن قَبْلِكُم مَّسَّتْهُمُ الْبَأْسَاء وَالضَّرَّاء وَزُلْزِلُواْ حَتَّى يَقُولَ الرَّسُولُ وَالَّذِينَ آمَنُواْ مَعَهُ مَتَى نَصْرُ اللّهِ أَلا إِنَّ نَصْرَ اللّهِ قَرِيبٌ
তোমরা কি মনে করেছো, এমনিতেই তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করে যাবে? অথচ তোমাদের আগে যারা ঈমান এনেছিল তাদের ওপর যা কিছু নেমে এসেছিল এখনও তোমাদের ওপর সেসব নেমে আসেনি ৷ তাদের ওপর নেমে এসেছিল কষ্ট-ক্লেশ ও বিপদ-মুসিবত, তাদেরকে প্রকম্পিত করা হয়েছিল ৷ এমনকি সমকালীন রসূল এবং তাঁর সাথে যারা ঈমান এনেছিল তারা চীৎকার করে বলে উঠেছিল, অবশ্যিই আল্লাহর সাহায্য নিকটেই। (বাকারাঃ 214)
وَكَأَيِّن مِّن نَّبِيٍّ قَاتَلَ مَعَهُ رِبِّيُّونَ كَثِيرٌ فَمَا وَهَنُواْ لِمَا أَصَابَهُمْ فِي سَبِيلِ اللّهِ وَمَا ضَعُفُواْ وَمَا اسْتَكَانُواْ وَاللّهُ يُحِبُّ الصَّابِرِينَ
এমন অনেক নবী চলে গেছেন যাদের সাথে মিলে বহু আল্লাহ ওয়ালা লড়াই করেছে। আল্লাহর পথে তাদের উপর যেসব মুসিবত এসেছে তাতে তারা মনমরা ও হতাশ হয়নি, তারা দূর্বলতা দেখায়নি এবং বাতিলের সামনে মাথা নত করে দেয়নি। এ ধরণের সবরকারীদের আল্লাহ ভালবাসেন। (আলে ইমরানঃ ১৪৬)
(৬) পরীক্ষার মুখে পিছুটান না দেয়াঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ مَن يَرْتَدَّ مِنكُمْ عَن دِينِهِ فَسَوْفَ يَأْتِي اللّهُ بِقَوْمٍ يُحِبُّهُمْ وَيُحِبُّونَهُ أَذِلَّةٍ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ أَعِزَّةٍ عَلَى الْكَافِرِينَ يُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللّهِ وَلاَ يَخَافُونَ لَوْمَةَ لآئِمٍ ذَلِكَ فَضْلُ اللّهِ يُؤْتِيهِ مَن يَشَاءُ وَاللّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ
হে ঈমানদারগণ ! তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি দীন থেকে ফিরে যায়, (তাহলে ফিরে যাক ), আল্লাহ এমনিতর আরো বহু লোক সৃষ্টি করে দেবেন, যাদেরকে আল্লাহ ভালবাসেন এবং তারা আল্লাহকে ভালবাসবে, যারা মুমিনদের ব্যাপারে কোমল ও কাফেরদের ব্যাপারে কঠোর হবে, যারা আল্লাহর পথে প্রচেষ্টা ও সাধনা করে যাবে এবং কোন নিন্দুকের নিন্দার ভয় করবেনা ৷ এটি আল্লাহর অনুগ্রহ, যাকে চান তাকে দান করেন৷ আল্লাহ ব্যাপক উপায় উপকরণের অধিকারী এবং তিনি সবকিছু জানেন। (মায়িদাঃ 54)
وَمِنَ النَّاسِ مَن يَقُولُ آمَنَّا بِاللَّهِ فَإِذَا أُوذِيَ فِي اللَّهِ جَعَلَ فِتْنَةَ النَّاسِ كَعَذَابِ اللَّهِ وَلَئِن جَاء نَصْرٌ مِّن رَّبِّكَ لَيَقُولُنَّ إِنَّا كُنَّا مَعَكُمْ أَوَلَيْسَ اللَّهُ بِأَعْلَمَ بِمَا فِي صُدُورِ الْعَالَمِينَ
লোকদের মধ্যে এমন কেউ আছে যে বলে, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর প্রতি কিন্তু যখন সে আল্লাহর ব্যাপারে নিগৃহীত হয়েছে তখন লোকদের চাপিয়ে দেয়া পরীক্ষাকে আল্লাহর আযাবের মতো মনে করে নিয়েছে৷ এখন যদি তোমার রবের পক্ষ থেকে বিজয় ও সাহায্য এসে যায় , তাহলে এ ব্যক্তিই বলবে, “আমরা তো তোমাদের সাথে ছিলাম”৷ বিশ্ববাসীদের মনের অবস্থা কি আল্লাহ ভালোভাবে জানেন না? (আনকাবুতঃ 10)
(৭) পরীক্ষায় যারা অবতীর্ণ, তাদের জন্য সুসংবাদঃ
وَلاَ تَهِنُوا وَلاَ تَحْزَنُوا وَأَنتُمُ الأَعْلَوْنَ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ
মনমরা হয়োনা, হতাশ হয়োনা , তোমরাই বিজয়ী হবে যদি তোমরা মুমিন হও। (আলে ইমরানঃ ১৩৯)
পরীক্ষা সম্পর্কিত হাদীসে রাসূল সা.
আনাস (রাঃ) হতে বর্নিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ “আল্লাহ যখন তাঁর কোন বান্দাহ প্রতি কল্যাণের ইচ্ছা করেন, তখন দুনিয়াতে তার জন্য তাড়াতাড়ি বিপদ-আপদ নাযিল করে দেন। আর তিনি যখন তাঁর বান্দার প্রতি অমংগলের ইচ্ছা করেন, তখন তাকে গোনাহের মধ্যে ছেড়ে দেন। অবশেষে কেয়ামতের দিনে তাকে ধরবেন।”
নবী (সাঃ) আরও বলেছেনঃ “কষ্ট বেশী হলে সওয়াবও বেশী হয়। আর আল্লাহ যখন কোন জাতিকে ভালবাসেন, তখন তাকে পরীক্ষায় ফেলে দেন। যে ব্যক্তি এ পরীক্ষায় সন্তুষ্ট থাকে তার জন্য রয়েছে আল্লাহর সন্তুষ্টি। আর যে ব্যক্তি অসন্তুষ্ট হয় তার জন্য রয়েছে আল্লাহর অসন্তুষ্টি।”
“মানুষের উপর এমন একটি সময় আসবে যখন দ্বীনদারদের জন্য দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা জ্বলন্ত অঙ্গার হাতে রাখার মতো কঠিন হবে।”
আবু আবদুল্লাহ খাব্বাব ইবনে ইরত (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসুল (সাঃ) এর কাছে মক্কার কাফরদের বিরোধিতার ব্যাপারে অভিযোগ করলাম। তিনি তখন চাদর মাথার নীচে রেখে কাবার ছায়ায় শুয়ে ছিলেন। আমরা বললাম-“আপনি কি আমাদের জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চান না? আর আমাদের জন্য দোয়া ও করেন না?” তিনি বললেন, “তোমাদের আগের জামানায় মানুষকে ধরে নিয়ে মাটিতে গর্ত করে তাতে দাঁড় করানো হত। তারপর করাত এনে তার মাথার উপর রাখা হত এবং তাকে দু’টুকরো করে দেয়া হত। কাউকে লোহার চিরুনী দিয়ে শরীরের গোশত ও হাঁড় আঁচড়িয়ে ছিন্নভিন্ন করে দেয়া হত। তবুও কোন কিছু তাকে তার দ্বীন হতে ফিরিয়ে আনতে পারেনি। আল্লাহর শপথ! এ দ্বীনকে পূর্ণভাবে তিনি কায়েম করেই দেবেন। এমনকি সে সময় একজন সওয়ার সানায়া হতে হাদরা মাউত পর্যন্ত চলে যাবে। কিন্তু আল্লাহকে আর নিজের মেষপালের জন্য নেকড়ে ছাড়া আর কিছুর ভয় করবেনা। কিন্তু তোমরা তাড়াহুড়ো করছ।”
((খাব্বাব (রাঃ) যাকে ঈমান আনার কারণে তার মনিব মরুভূমির উত্তপ্ত বালুর উপর নগ্নদেহে শুইয়ে দিত। ফলে প্রখর রোদের তাপে তার কোমরের গোশত গলে গলে পড়ে গিয়েছিল। আবার কখনো জলন্ত অঙ্গারের উপর শুইয়ে এমন ভাবে চেপে ধরে রাখা হতো যে এক সময় তার চর্বি ও রক্ত ঝরে সেই আগুন নিভতো। সেই খাব্বার (রাঃ) কে রাসূল (সাঃ) এর এই জবাব এটাই ইঙ্গিত করে যে ঈমানের পরীক্ষা কত তীব্র হতে পারে কত কঠিন হতে পারে।))
নবী রাসূল সা. দের পরীক্ষা
১. হযরত নূহ (আঃ) এর সাথে তার সময়ের সমাজপতিদের সংঘর্ষ হয়েছিল। পবিত্র কুরআনে ৯ জন সমাজপতির কথা উল্লেখ আছে। তারা নূহ (আঃ) কে পাথর মেরে হত্যার ভয় দেখায়।
২. হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর সাথে বাদশাহ নমরুদের সংঘর্ষ হয়। সে ইব্রাহিম (আঃ) কে প্রজ্জ্বলতি অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করে।
৩. হযরত সালেহ (আঃ) এর সাথে কাওমে সামুদের সমাজপতিদের সংঘর্ষ হয়।
৪. হযরত হুদ (আঃ) এর সাথে কাওমে আ'দের সমাজপতিদের দ্বন্দ্ব ও ও মতবিরোধ হয়।
৫. হযরত শোয়ায়েব (আঃ) এর সাথে আহলে মাদায়েনের সমাজপতিদের বিরোধ হয়।
৬. হযরত লুতের সাথে কাওমে লুতের সমাজপতিদের দ্বন্দ্ব ও মতবিরোধ হয়।
৭. হযরত মুসা (আঃ) এর সাথে মিশরের বাদশাহ ফেরাউনের সংঘর্ষ ও মত বিরোধ হয়।
৮. হানানী নবীর সাথে রাজা আসার দ্বন্দ্ব হয় এবং আল্লাহর নবীকে জেলখানায় পাঠায়।
৯. হযরত ইলিয়াস (আঃ) এর সাথে বাদশাহ আখীয়ারের দ্বন্দ্ব হয় এবং আল্লাহর নবীকে হত্যা করার নির্দেশ দেয়।
১০. হযরত দাউদ (আঃ) এর সাথে অত্যাচারী বাদশাহ জালুতের যুদ্ধ হয়।
১১. হযরত মিকাইয়া নবীর সাথে বাদশাহ আয়ু যাবেরের দ্বন্দ্ব হয় ও নবীকে জেলে বন্দী করে।
১২. হযরত যাকারিয়া (আঃ) এর সাথে ইউওয়াস বাদশাহর দ্বন্দ্ব হয় ও নবীকে হত্যা করে।
১৩. হযরত ইয়াহইয়া (আঃ) এর সাথে বাদশা হীরো দেশের দ্বন্দ্ব হয় এবং আল্লাহর নবীকে হত্যা করে।
১৪. হযরত ঈসা (আঃ) এ সাথে রোমীয় শাসক পীলাতীন এর সাথে মতবিরোধ হয় এবং আল্লাহর নবীকে হত্যা করার নির্দেশ দেয়া হয়।
১৫. শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সাথে মক্কার সমাজপতি, পারস্য রোমান সম্রাজ্যরে দ্বন্দ্ব ও যুদ্ধ হয়। আল্লাহর নবী ১০ বছরে ১১০টি যুদ্ধ করেন আল্লাহর দুশমনদের সাথে।
পরীক্ষা ব্যাপারে ব্লগারদের অভিমত
১. পরীক্ষার সময় টিচাররা ছাত্র/ছাত্রীদের তাই প্রশ্ন করেন, যা পড়ানো হয়েছে। আল্লাহ বান্দাকে এমন পরীক্ষার সম্মুখীন করেন, যার উত্তর সে দিতে পারবে। যদি নিজেরা ভালমতো তৈরী থাকে।
২. পরীক্ষার মাধ্যমে মান যাচাইয়ের সুযোগ তৈরী হয়। যেমনঃ স্বর্ণকে আগুনে পোড়ালে তার খাঁদ আলাদা হয়ে যায়। ঠিক তেমনি ভাবে একজন ব্যক্তির ঈমানের দাবীর সত্যতা কতটুকু সেটাও পরীক্ষার মাধ্যমে প্রকাশ হয়ে যায়। রাসূল(সাঃ) এর যুগে পরীক্ষার মুখে একদল লোক পিছূটান দিয়েছিল। যাদেরকে আমরা মুনাফিক বলে জানি।
৩. স্কুলে আমরা অনেকেই যাই। কিন্তু পড়ালেখা কতজন করি? সারা বছর শুধু ক্যাম্পাসে গিয়ে আড্ডাবাজি হয়েছে, না পড়ালেখা চলেছে-তা প্রমাণিত হয় পরীক্ষার মাধ্যমে। আপনি আমি ঈমানদার-একথা বলার সাথে সাথে বেহেশতের গেইট খোলে দেয়া হবে, এমন চিন্থা অবান্তর। বরং যুক্তি সংগত কথা হলো একটা পরীক্ষা থাকা একান্ত প্রয়োজন। তাইতো আল্লাহ তার প্রিয় বান্দা রাসূলদেরও পরীক্ষা নিয়েছেন।
৪. দুনিয়াতে আমরা অনেক পরীক্ষা দিয়ে থাকি। সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হবার জন্য কতই না পরিশ্রম করি। কিন্তু আসল পরীক্ষা হবে কেয়ামতের মাঠে। আমার কি সেই পরীক্ষায় পাশ করার জন্য প্রস্তুত আছি?
৫. সুন্দর আর মজবুত একটি বিল্ডিং তৈরী করতে শত সহস্র ইটকে চিরদিনের জন্য মাটির নিচে চলে যাওয়ার মতো ত্যাগ স্বীকার করতে হয়।
সত্য আর সুন্দরের একটি সমাজ অট্টালিকা নির্মাণে নির্মণরত একদল মানুষকে সারা জীবনের জন্য সকল স্বাদ স্বপ্ন ত্যাগ করে মাটির নিচে চলে যেতে হয়। এই ত্যাগ যখন প্রয়োজন হয়, তখন শুরু হয় আসল পরীক্ষা।
৬. ঈমানের দাবীতে পরীক্ষার মুখে কয়েকটি অবস্থা হতে পারে। (ক)ঈমানের খালেস দাবীদারদের সবাইকে না হলে ও উল্লেখ যোগ্য অংশকে শহীদ করা হবে। যেটা হযরত হোসাইন (রাঃ) ও তার সাথীদের ক্ষেত্রে ঘটেছিল। এ যুগে ও এর উদাহরণ আমাদের চোখের সামনে রয়েছে। (খ) তারা হয়তো দেশ হতে বহিষ্কৃত হতে পারেন। (গ) অথবা দেশের মাঝেই জেল ,জুলুম ,নির্যাতনের মাধ্যমে তারা আষ্টেপৃষ্টে বাধা পড়ে যেতে পারেন। আর অন্যদিকে এধরণের পরিস্থিতিতে ভয় পেয়ে (ক) কেউ হয়তো আদর্শ হতে সরে আসতে পারেন। (খ) কেউ হয়তো হতাশ হয়ে হাত পা ছেড়ে ঘরে বসে পড়তে পারেন। (গ) কারো হয়তো আদর্শিক পরাজয় আসতে পারে। (ঘ) কেউ হয়তো বাতিলের সাথে আপোষ করতে পারেন।
এই পর্যায় গুলোর প্রত্যেকটিই ঈমানী দূর্বলতার বহিঃ প্রকাশ ছাড়া আর কিছু নয়। কিন্তু যিনি জান, মাল ও সময়ের কুরবানী নিয়ে ময়দানে টিকে থাকার চেষ্টা করবেন সবর ও ইস্তেকামাতের সাথে তিনিই এই পরীক্ষায় বিজয়ী হবেন ইনশাআল্লাহ। পবিত্র কোরআনে এসেছে বলা হয়েছেঃ “তোমাদের যদিও বা কিছুটা ক্ষতি, কিছুটা বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে তাতে কি আর আসে যায়। তোমাদের প্রতিপক্ষের ও তো অনুরুপ এসেছে। এই দিন সমূহ(সুদিন বা দুর্দিন) তো আমারই হাতে। আমি মানুষের মাঝে তা আবর্তিত করে থাকি। এভাবে আল্লাহ জেনে নিতে চান কারা সত্যিকারের ঈমানদার এবং তোমাদের মধ্য থেকে কিছু লোককে শহীদ হিসেবে গ্রহণ করতে চান। আল্লাহ জালেমদের পছন্দ করেন না। তিনি আর ও চান ঈমানদারদের মধ্যে খাঁটি অখাঁটি হিসেবে ছাঁটাই বাছাই করতে এবং কুফরী শক্তির মুলোত্পাটন করতে।” (আলে ইমরানঃ ১৪০-১৪১)
৭. নবী রাসূলদের মত উন্নত চরিত্রের ব্যক্তিদের জন্যও ছিল পরীক্ষা।
৮. একদল আত্নত্যাগী মুমিনের মালের কুরবানী, সময়ের কুরবানী আর একদল শহীদের জানের কুরবানীর রক্ত পিচ্ছিল পথ মাড়িয়েই ইসলামের বিজয় এসেছে।
৯. মুমিন কখনো হতাশ হয়না। ময়দানে সফলতা বা বিফলতা তার পারকালীন সাফল্যের মানদন্ড নয়। ইতিহাস বলে অনেক নবীই দুনিয়ায় সফলতা পাননি। তাই বলে কি তারা হেরে গেলেন। মূলত আল্লাহ আমাদের কর্মপ্রচেষ্টাই পরখ করবেন।
১০. ঈমানের পরীক্ষা দিতে গিয়ে ঐ পথে যারা মরে, তাদের ব্যাপারে আল্লাহ বলেন "ওদের মৃত বলোনা, বরং ওরা জীবিত"। একদল মানুষ, চোখের সামনে যাদের দেখছি মরা লাশ, তারা যদি হয় জীবিত। তাহলে যারা মরতে পারলাম না, তারা কারা? আমার মনে হয় ঐ জীবিতরাই প্রকৃত মরা মানুষ।
১১. জাতির হে তরুণেরা ,যুবকেরা জেগে উঠো। বিশ্বের বর্তমান প্রেক্ষাপট ঘোষণা করছে আগামী শতাব্দী ইসলামের শতাব্দী।
১২. ...কষ্ট যেমন...পরীক্ষাও তেমন সহজ হবে ইনশাআল্লাহ! আর ধৈর্যশীল-সাহসী-অবিচলদের জন্যই অপেক্ষা করছে ফেরেশতাদের অভিনন্দন, দয়াময় আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পুরষ্কার!এত সব নিয়ামতের পর আমাদের কিছুতেই পরীক্ষার ময়দান হতে পিছুটান দেয়া উচিত নয়।
১৩. আমাদের গোটা জাতিই আজ ঈমানের পরীক্ষায় নিপতিত। মহান আল্লাহর দরবারে আমাদের একমাত্র কামনা 'হে আল্লাহ! আমাদের এই জাতির মাঝে ইসলামের জন্য নিবেদিত প্রাণদের তুমি এক মঞ্চে এসে বুনইয়ানুম মারসুস (বা সীসাঢালা প্রাচীর) হয়ে কাজ করার তৌফিক দাও। যাতে ৯০ ভাগ মুসলমানের এই দেশে একমাত্র তোমার দেয়া বিধান মতেই রাষ্ট্রের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা হতে পারে। আল্লাহ তুমি যাঁদেরকে ক্ববুল করেছ এই কাজে তাঁদের সারিতে এই অধমকেও একটু স্থান করে দাও, হে মহান রাব্বুল আ'লামীন।
পরীক্ষা নিয়ে ছন্দ বিলাসীদের প্রয়াস
পরীক্ষা মানেইতো ভয়,
প্রিপারেশন ভাল নয়।
রেজাল্ট কিযে হয়!
আল্লাহ ভরসা হয়ে রই।
((পরীক্ষা পাসের ভয় হতে মনে যে সংশয় তৈরী হয় তা অনেক সময় ব্যক্তির আমলী জিন্দেগীকে একটি সুন্দর অবস্থানে যেতে সাহায্য করে। রাসূলের সাহাবীদের মধ্যে এই ভীতি দেখা যেত।
একজন মুমিন কখনও পরীক্ষা দেখে ভয় পায় না বা পিছপা হয় না। আল্লাহ আমাদের সকল পরীক্ষায় সফলতা লাভ করার তাওফীক দান করুন।))
পরীক্ষা মানে-মেপে মেপে সময় ব্যয় করা,
পরীক্ষা মানে-সাদা কাগজটারে সাজিয়ে কালো করা।
পরীক্ষা মানে-প্রশ্ন মতে লিখতে হবে জবাব,
পরীক্ষা মানে-লিখা দিয়ে ফলাতে হবে প্রভাব।
পরীক্ষা মানে-লিখার পরে একটু ফিরে দেখা,
পরীক্ষা মানে-তাই লিখা যা আছে ভাই শেখা।
((মানে মুমিন তার সময়ের ব্যাপারে যত্নবান হবে। আমলের মান বাড়াতে সচেষ্ট হবে, যাতে তার আমলনামা নেকিতে ভরে যায়। সেই সাথে কবরের সওয়াল জবাবের পূর্ণ প্রস্তুতি নেয়। নিজের মানের আত্নসমালোচনা করা।
জীবনের প্রতিটি ক্ষণকে হিসাব করে ব্যয় করা। নিজ আমল নামাকে সুন্দর ভাবে সাজানো। আখেরাতের প্রশ্নের সম্ভাব্য প্রশ্নের আলোকে দুনিয়ার জীবন গড়ে তোলা। আমলে মাধ্যমে নুন্যতম এমন অবস্থা সৃষ্টি করতে হবে, যাতে কর করে আল্লাহর করুনা পাওয়ার আশা করা যায়। প্রত্যহ নিজ কাজের পর্য্যালোচনা আব আত্মসমালোচনা করা। সর্বোপরি ইলম অনুযায়ী আমল করা।))
যতই পড়ি যতই পারি, পরীক্ষা যেই আসে,
চিন্তা ব্যারাম বেড়ে যায়, ট্যানশান থাকে পাশে।
চিনচিনিয়ে পেট ব্যাথা, মাথা ধরে ঠিক,
কী পড়েছি কী পড়ি নাই, ভাবনা চারিদিক।
এই জীবনের সবখানেই, পরীক্ষাটা আছে,
পাস করিবার ভাবনা টুকু, থাকে সবার পাশে।
এই দুনিয়া পরীক্ষা ক্ষেত্র, ছাত্র মানবজাতি,
পাস-ফেলের চিন্তা নিয়ে, করছি মাতামাতি।
সত্য-ন্যায়ের পাশে থেকে, চলরে মানুষ চল,
মিথ্যা যত দে তাড়িয়ে, গায়ে আসুক বল।
আমরা মানুষ আমরা সেরা, আমরা প্রভুর দাস,
মেনে চলব প্রভুর আদেশ, পরীক্ষাতে পাস।
ঈমানের অগ্নি পরীক্ষায় সম্মুখীন এক আলেমে দ্বীন
ঈমানে পরীক্ষার ওয়াজ করতেন এক মর্দে মুজাহিদ। যার ওয়াজ শুনে মানুষ উদ্দেলিত হতো, চোঁখের পানি অগ্নিস্ফুলিংগে পরিণত হয়ে মানুষকে ময়দানে পাঠিয়ে দিতো। তিনি আর কেউ নন, আল্লামা সাঈদী। কিন্তু তিনি আজ ঈমানের অগ্নি পরীক্ষার মুখোমুখি। তাকে জামায়াতে ইসলামীর আমীর হতে প্রস্তাব করা হয়েছিল। তিনি সরকারী সে টুপে পা দেননি। ঈমানের অগ্নি পরীক্ষায় বিজয়ী হয়েছেন। তিনি বলেনঃ তার বিরুদ্ধে যে সব মিথ্যার পাহাড় দাড় করা হয়েছে, তার সাথে উনার দূরতম কোন জানা শুনাও নাই্। যিনি শহীদি আকংখা নিয়ে পার করছেন প্রতিটি মুহুর্ত। যিনি তার আত্মীয়দেরকে তার পক্ষ হয়ে ক্ষমা চাওয়ার বারণ করে দিয়েছেণ। আল্রাহ তাকে সাহায্য করুন। আবার বীর বেশে জনতার মাঝে ফিরিয়ে দিন। আমীন।
((বিশেষ জ্ঞাতব্যঃ কুরআনের আয়াত, হাদীস এবং অনুবাদ গুলো বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে কপি করা হয়েছে।বিধায় কেউ যদি মুখস্ত করেন বা রেফারেন্স হিসাবে নোট নেন, তাহলে অনুগ্রহ পূর্বক মূল কুরআনের সাথে মিলিয়ে নিতে অনুরোধ রইল))
আগামী শনিবার আবার মিলন মেলা বসবে টুডে ব্লগে সেই আগের মতো সন্ধ্যা ৭টায় নতুন কোন ব্লগ বাড়ীতে অন্য কোন এক বিষয়ে। মিলন মেলার সেই আসরে সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়ে আজ এ পর্যন্ত। আল্লাহ হাফেজ।
বিষয়: বিবিধ
২৪১৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন