মিলন মেলা সমাচার (০৮)
লিখেছেন লিখেছেন মিলন মেলা ১২ জুন, ২০১৩, ০১:১৫:২৩ দুপুর
০৮ই জুন ২০১৩, শনিবারের সন্ধ্যা। বাংলাদেশের ঘড়ির কাঁটা যখন ৭টার দিকে ছুঁই ছুঁই করছে। এমন সময় আবু আশফাক এর ব্লগ বাড়ীর দরজা খুলে গেল মিলন মেলার ৮ম আসরের ঘোষনা দিয়ে। আবু আশফাক সবাইকে নিয়ে গেলেন দূর অতীতে। জানালেন আজকের মিলন মেলার বিষয়ঃ শৈশব।
আশ্চর্য্য জনক ভাবে সকল ব্লগার নিজের অবস্থানকে ভূলে হারিয়ে গেলেন ফেলে আসা সেই দিন গুলোতে। ব্লগার আধা শিক্ষত মানুষতো আবদার জানিয়ে বসলেনঃ আংকেল আবু আশফাক@ আমি চুইনগাম খামু!!!!!!!!!!!!!!। বিষয়টা শুধু ব্লগারদের আলোড়িত করেছে তা নয়, স্বয়ং সম্পাদকেও চমক লাগিয়ে দিয়েছে। সম্পাদক সাথে সাথে পোষ্টখানা ষ্টিকি করে ঝুলিয়ে দিয়েছেন ব্লগের দরজাতে। এসবি আর টুডে ব্লগের ইতিহাসে এটাই প্রথম মিলন মেলা পোষ্ট, যা ষ্টিকি হয়েছে।
আমরা যখন মিলন মেলা সমাচার লিখছি তখনকার পরিসংখ্যান অনুযায়ী মেলাতে হাজির হোন মোট ৪২জন ব্লগার, পোষ্টটি পড়া হয়েছে মোট ১৪৮২বার আর মন্তব্য এসেছে মোট ৩১৯টি।
শৈশবের মাঝে হারিয়ে যাওয়া ব্লগারদের স্মৃতিচারণ মূলক এই মিলন মেলার সার সংক্ষেপ তৈরী করতে মনে হচ্ছে কাকে রেখে কাকে ছাড়ি। তাই আমরা স্মৃতি গুলোকে এখানে না এনে সবাইকে মূল পোষ্টে আবার বেড়িয়ে আসার অনুরোধ করছি। আর ঐ দিনের মিলন মেলা থেকে আমাদের আগামীর জন্য যা প্রয়োজন কেবল তা-ই এ পর্যায়ে উপস্থাপন করছিঃ
শিশু শিশুই-তার আচরণ হবে শিশু সুলভ। আরবীতে প্রবাদ রয়েছেঃ আচ্ছাবিইয়ু ছাবিইয়ুন, ওয়া লাও কানা নাবিয়ুন (অর্থাৎ শিশু শিশুই, যদিও তিনি হন নবী।)
অভিভাবকেরা সন্তানদেরকে পড়ালেখা করানোর জন্য কঠোরতা দেখান। সন্তানের স্বার্থেই এ কঠোরতা।
শিশুদের নামাযের তালিম দেয়ার জন্য কঠোরতা প্রদর্শণ করা যেতে পারে।
ফাঁকি দেয়া নামক কর্মটা শিশুদেরই কাজ। শৈশবে ফাঁকিবাজ উপাধি পায়নি এমনজন পাওয়া দুষ্কর।
ব্লগে থাকুন আর যে কাজেই থাকুন, নামাযের সময় হলে কোন কনসিডার নাই।
আব্বু আম্মুর কথা না শুনলে পরবর্তী জীবনের কোন এক বাঁকে পস্তাতে হয়।
শিশুদের পড়াশোনা মুখী করার জন্য ঐতিহ্য গত শিক্ষা প্রয়োজন। যেমনঃ
অ-তে>>>অহী আসে নবীর ঘরে
আ-তে>>>আজান দাও জোরে শোরে
ই-তে>>>ইসলামী জীবন ধর
ঈ-তে>>>ঈমানকে মজবুত কর
উ-তে>>>উঠ মুমিন মুসলমান
ঊ-তে>>>ঊষার আগে দাও আজান....ইত্যাদি।
নানাবিধ প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কারে শিশুরা খুশী হয়।
শৈশবে শিশুদের খেলাধুলা করা এটা একটি আকর্ষণীয় বস্তু। ওটার সুযোগ থাকতে হবে।
ছোটদের নামাযের তালিম দিয়ে বড়রা কবরে গিয়ে সওয়াবের অংশীদার এবং তদানিন্তন সময়ের শিশুদের দোয়া পেতে পারেন।
আজকের শিশুদের অপসংস্কৃতি দিয়ে ঢেকে রাখা হচ্ছে তাদের কে অপসংস্কৃতির কাছে থেকে দুরে রাখতে হবে তাদের কে বাংলাদেশের ৯০ ভাগ মুসলমানের সংস্কৃতির সাজে সজ্জিত করতে হবে।
সুস্থ আর সুন্দর ভবিষ্যতের প্রত্যাশায় আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের স্বার্থে আমাদেরকে বর্তমান শিশুদের সুন্দর মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে হবে।
বৈষয়িক জীবনের সামান্য কটি টাকার চেয়ে আমানতদারীর মূল্য অনেক বেশী।
মায়ের শিখানো পারিবারিক শিক্ষাই আসল শিক্ষা। যে জীবনের প্রতি পর্য্যায়ে পাথেয়।
আল্লাহর হক আর বান্দার হক-সকল হকের বিষয়ে শৈশবেই শিক্ষা দিতে হবে পরিবার নামক পাঠশালে।
বরফ যেমন গলে শেষ হয়ে যায়, তেমনি মানুষের জীবনে শৈশব কৈশোর যৌবন ইত্যাদি নাম দিয়ে জীবনটাই শেষ হয়ে যায়।
শৈশব হচ্ছে ভবিষ্যত জীবনের সফলতার প্রথম ধাপ। শৈশবে যে শিশুকে যেভাবে গড়ে তোলা হবে, বড় হয়ে সেটাই তার জীবনে প্রতিফলিত হবে।
বাংলাদেশে গতি অল্প হলেও বর্তমানে ইসলামের সংস্কৃতির একটা বাতাস বইতেছে যা ধরে রাখার জন্য আপনার আমার সন্তান ,ভাই বোনকে ওই বাতাসে উড়িয়ে দিতে হবে।
আমাদের সন্তানদের গড়ে তুলতে হবে নতুন আঙ্গিকে, যারা বাতাসের গতি বেগ পালটিয়ে দেবার সাহস করে। চলে দূর্নিবার, নদীর স্রোতের উল্টা চলতে হয় অভ্যস্ত।
আমরা আমাদের সন্তানদের শৈশবকে আনন্দময়, ভবিষ্যত বিনির্মানের সিড়ি হিসেবে দেখার পাশাপাশি আমাদের কাছে অন্যকারো সন্তানও যদি থাকে তাহলে তারও শৈশবকে নিজ সন্তানের মতোই আনন্দময় করি।
'যে আমাদের শিশুদের প্রতি দয়া-স্নেহ করে না সে আমাদের মধ্যে গণ্য নয়'। (বুখারি) 'তোমরা শিশুদের স্নেহ কর, তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার কর এবং সদাচরণ ও শিষ্টাচার শিক্ষা দাও।' (তিরমিজি)
'তোমাদের সন্তানদের উত্তমরূপে জ্ঞানদান কর, কেননা তারা তোমাদের পরবর্তী যুগের জন্য সৃষ্ট।' (মুসলিম)।
'ধন সম্পদ ও সন্তান-সন্তুতি হচ্ছে পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য বিশেষ।' (সুরা কাহাফ)।
ছুটির দিনগুলোতে বাসায় বসে না থেকে শিশুদেরকে নিয়ে দুরে কোথাও বেড়াতে গেলে শিশুরা অনেক খুশী হবে।অফিস থেকে এসেই শিশুদেরকে আদর করতে হবে।শিশুদের জন্য কিছু না কিছু আনতে হবে।
শিশুদের জন্য আয়োজিত রুচিশীল অনুষ্ঠানে তাদের নিয়ে যেতে হবে।
শিশু বিষয়ক ম্যাগাজিন-যেমনঃ ফুলকূঁড়ি, কিশোর কন্ঠ ইত্যাদি ঘরে রাখতে হবে।
টম এন্ড জেরী জাতীয় কাটূনের পিছনে না গিয়ে শিক্ষনীয় শিশুতোষ সিডি ভিসিডি ঘরে রাখতে হবে।
গল্পের ছলে সাহাবীদের কাহিনী শুনাতে হবে।
পাশের বাসার বাচ্ছাদের সহ মাঝে মাঝে প্রতিযোগিতা মূলক অনুষ্ঠান করতে হবে।
উপদেশ দিতে হবে। উপদেশের উপর আমল করলে উপহার দিতে হবে।
অশ্লীলতার প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি করতে হবে।
ইসলামে শিশুর অধিকারের বিষয়টিকে মৌলিক নীতিমালার অন্তর্ভুক্ত করে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
মিলন মেলার এই আসরে সীমাতিরিক্তি ছবি যোগ করাতে যাদের ইন্টারনেটের স্পীড কম, তাদের পেজ অপেন হতে সময় লেগেছে বলে অভিযোগ করেছেন। বিধায় আমরা ছবি এড করার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহ প্রদান করছি।
আজ এ পর্যন্ত। দেখা হোক আগামী শনিবার বাংলাদশে সময় সন্ধ্যায়। আগামী মিলন মেলা আয়োজিত হবে সুদূর সৌদি আরবের জেদ্দায় নুর আয়েশা সিদ্দিকার ব্লগ বাড়ীতে।
বিষয়: বিবিধ
১৯৭৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন