বিবর্তন কি ইসলামিক মানদন্ডে সত্যি? ১ম পর্ব।

লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ০৪ এপ্রিল, ২০১৮, ০৪:১১:০৬ রাত



বেশ কয়েকবছর আগের কথা ভাইয়া একদিন দুপুর বেলায় হটাৎ বললেন, বিকালে একটা জায়গায় তোমাকে বেড়াতে নিয়ে যাবো, যাবে? বললাম, "কোথায়?" ভাইয়ার জবাব- মাসুম বেশ কদিন ধরে বলছে ওর অফিসটা ঘুরে আসতে নতুন চাকরি পেয়েছে তোমাকেও নিয়ে যেতে বলেছে, যাবে তুমি? মাসুম ভাইয়া ভাইয়ার ঘনিষ্ঠ বন্ধু খুব মেধাবী ছাত্র, নম্র-ভদ্র, নামাজ কালামী। বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন তাই পড়াশুনা শেষ করে সরকারী চাকরিতে ঢুকতে তেমন বেগ পেতে হয়নি। যাইহোক, সাত-পাচ ভেবে বললাম, আচ্ছা যাবো। বিকাল বেলায় ভাইয়ার সাথে মাসুম ভাইয়ার অফিসে হাজির হলাম কুশলাদি বিনিময়ের পর বেড়াতে আসার আসল রহস্য জানলাম। তার অফিসে একজন মধ্যবয়ষ্ক কলিগ আছেন যিনি সময় সুযোগ পেলেই আগ বাড়িয়ে কলিগদের ডারইউনের বিবর্তন মতবাদ নিয়ে বড় বড় বক্তৃতা শোনান। মাসুম ভাই ধার্মিক মানুষ তার এসব আলোচনা পছন্দ না তাই তার সাথে সেই ভদ্রলোকের কিছুদিন বিতর্ক চলছে। মাসুম ভাইয়া চান আমি যেন ভদ্রলোকের সাথে এই ব্যাপারে একটু কথা বলি। আমি তখনো ফিজিওথেরাপী মেডিকেলে পড়াশুনা শুরু করিনি সাইন্সে পাস করা ছেলেমেয়েদের বিজ্ঞানে যেমন সাধারণ কিছু জ্ঞান থাকে, আমার জ্ঞানের পরিধিও তার চেয়ে বেশি বিস্তৃত ছিলনা তবে আমি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়তে খুব ভালবাসতাম। আমার আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কুরানের বাংলা অনুবাদ, বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন বই আমার পড়া ছিল। আর থিওরী অব ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন এর ব্যাপারেও আমার টুকটাক জানা ছিল। ভাইয়া এসব দেখতেন তাই হয়ত আমাকে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু আমি একটু ইতস্তত বোধ করছিলাম একজন অচেনা মধ্যবয়ষ্ক পুরুষ মানুষের সাথে আমি কি কথা বলব!! ভদ্রলোককে ডাকা হল, পিয়ন এসে জানালো আসরের নামাজ পড়ে আসছে।মনে মনে বললাম, যাক! লোকটা অন্তত নাস্তিক না। উনি কিছুক্ষণ পর হাজির হলেন, আমাকে দেখেই বিরক্ত হয়ে মাসুম ভাইকে বলা শুরু করলেন, মাসুম তুমি এই বাচ্চাটাকে নিয়ে এসেছ আমার সাথে বিতর্ক করানোর জন্য!! তুমি জানো আমি কত বড় বড় আলেমের সাথে কথা বলেছি, ঢাকার বড় বড় কওমী মাদ্রাসার হুজুরদের সাথে বসেছি কিন্তু কেউ আমার কথার উত্তর দিতে পারেনি আর এতো বাচ্চা!! ও কি বলবে? আমি একবার লোকটার দিক তাকাচ্ছি আরেকবার আমার বয়স গণনা করছি, "আমার বয়স কত হল?" মাসুম ভাইয়া লোকটাকে বলল, আপনি বসেন ও ছোট মানুষ কিন্তু জ্ঞান খুব একটা খারাপ না।

লোকটা শান্ত হয়ে আমাকে বলা শুরু করল, শোন, আমি বিবর্তনে বিশ্বাস করি তবে সেটা পুরোপুরি ডারউইন এর মতবাদ না। আমি আল্লাহকে বিশ্বাস করি তবে কিয়ামত হবে এমনটা ভাবিনা। আমি বিশ্বাস করি মানুষ আরেকটা প্রজাতি থেকে বিবর্তিত হয়ে মানুষরূপে এসেছে। যেই প্রজাতি থেকে মানুষের উদ্ভব তারাও একসময় পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করে, সীমালংঘন করে ফলাফলে তাদেরকে ধ্বংস করে তাদের থেকেই মানুষকে বিবর্তনের মাধ্যমে সৃষ্টি করা হয় আর মানুষও যখন একটা সময়ে সীমালংঘনের মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে, তাদেরকেও ধ্বংস করে মানুষেরই আরেকটি বিবর্তিত প্রজাতিকে দুনিয়ায় পাঠানো হবে। মানুষ যেই প্রজাতি থেকে এসেছে তারাও নিশ্চয়ই কিয়ামতের বার্তা পেয়েছিল কিন্তু তাদের উপর কিন্তু কিয়ামত হয়নি, পৃথিবী ধ্বংস হয়নি এবং আমরাও কিয়ামতের বার্তা পাচ্ছি কিন্তু আমাদের ধ্বংস করে দেয়া হলে আরেকটা বিবর্তিত প্রজাতি পৃথিবীতে থেকে যাবে আমাদের উপর কিন্তু কিয়ামত আসবে না।

লোকটার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনলাম।এবার বললাম, আংকেল বিবর্তনের ব্যাপারটা বিতর্কিত।এক প্রজাতি থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে অন্য প্রজাতির উৎপত্তির অর্থ হল, মধ্যবর্তী কোন প্রজাতির অস্তিত্ব থাকা। যেহেতু বর্তমান পৃথিবীতে অসংখ্য প্রাণী আছে তাই অতীতে অসংখ্য মধ্যবর্তী প্রাণীর অস্তিত্ব ছিল বলে ধরে নিতে হবে।ডারউইন নিজেও ধারণা করেছিলেন অচিরেই এ ধরণের মধ্যবর্তী প্রাণীর জীবাশ্ন রেকর্ড পাওয়া যাবে এবং খুব শীঘ্রই যা তার দাবি সত্য প্রমাণ হবে। বাস্তবে হয়েছে তার উল্টোটা কিন্তু ইউরোপে চার্চের পতনের পর প্রতিটা সেক্টর সেকুলারদের হাতে চলে যায় "প্রচারেই প্রসার" তাই তারা মিডিয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কাজে লাগিয়ে বিবর্তন নিয়ে এত হইচই ও প্রচার শুরু করে যেন তা মানুষ সত্য বলে বিশ্বাস করতে বাধ্য হয় আর তাদের সেই প্রচার সফলও হয়। বাস্তবে বিজ্ঞানের নতুন নতুন শাখা প্রশাখার বিকাশের ফলে ডারউইন এর মতবাদ দিন দিন আরো বেশি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। আপনি ক্যামব্রিয়ান এক্সপ্লোশান নিয়ে পড়তে পারেন। আর সবচেয়ে বড় বাঁধাটাই হল ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক এসিড)। ১৯৫৩ সালে ওয়াটসন এবং ক্রিক ডিএনএ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দেয়ার আগে এই ব্যাপারে ডারইউনবাদীরা বা সাধারণ জীববিজ্ঞানীরাও খুব কম জানত বা ধারণার বাইরে ছিল। এটা নিছক নাইট্রোজেন বেস, সুগার আর ফসফেটের কেমিক্যাল স্ট্রাকচার না, এটা একটা জটিল ইনরফমেশন সিস্টেম তাই একে বলা হয় বুক অব লাইফ। আমার গায়ের রং কেমন হবে? চোখের কালার কি হবে? আমার চুল কোকড়া না সমান হবে? আমার উচ্চতা কতটুকু হবে? সব ইরফরমেশনগুলো ডিএনএ এর মাঝে থাকে এজন্য কেউ কেউ এটাকে রেসিপি বুকও বলেন। অর্থাৎ এলোমেলো ভাবে প্রাণীর জন্ম হচ্ছে, এক প্রজাতি অন্য প্রজাতিতে পরিণত হচ্ছে, আগের প্রজাতি বিলুপ্ত হচ্ছে ব্যাপারটা মোটেই এমন না।

(After all, DNA is not just a string of chemicals; it is a very complex information system. So even if DNA could have assembled itself, where did the coded language contained in the DNA come from? Without a source of information and a language code to record that information, the nucleotides in DNA really would just be a string of nonsensical chemicals. You see,information does not come from matter. Information only comes from a higher source of information. And who is the highest source of information?)

বাবা-মা থেকে সন্তান এভাবে একটা জেনারেশন থেকে আরেকটা জেনারেশনে ডিএনএ জেনেটিক ইনফরমেশন ক্যারি করছে।মানুষের বাচ্চা মানুষ হিসেবেই জন্ম নিচ্ছে তার মাঝে কোন জন্মগত ত্রুটি থাকলেও সে মানুষই থেকে যাচ্ছে আবার শারিরিক ত্রুটিযুক্ত কেউ যখন সন্তানের জন্ম দিচ্ছে- দেখা যাচ্ছে তার সন্তান সুস্হভাবেই স্বাভাবিক মানুষ হিসেবেই জন্ম নিচ্ছে নতুন কোন প্রজাতির সৃষ্টি হচ্ছেনা। একটা প্রজাতি তার বংশগতিসীমা অতিক্রম করতে পারছেনা। উনি আমাকে থামিয়ে দিলেন আর এগোতে দিলেন না। ঘর থেকে বের হয়ে খানিক বাদে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কোরানের বাংলা অনুবাদের একটা কপি নিয়ে রুমে প্রবেশ করলেন কিছু পাতা উল্টিয়ে আমার চোখের সামনে পবিত্র কোরানের ৬ নং সুরা আনআমের ১৩৩ নং আয়াত তুলে ধরলেন।

#তোমার প্রতিপালক অভাবমুক্ত, দয়াশীল। তিনি ইচ্ছা করলে তোমাদেরকে অপসারিত করতে এবং তোমাদের পরে যাকে ইচ্ছা তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করতে পারেন; যেমন তোমাদেরকে তিনি অন্য এক সম্প্রদায়ের বংশ হতে সৃষ্টি করেছেন।

আয়াতটা উনি আবার জোরে জোরে বলতে লাগলেন শেষের অংশে জোড় দিয়ে বললেন, যেমন তোমাদেরকে তিনি অন্য এক সম্প্রদায়ের বংশ হতে সৃষ্টি করেছেন।তৃপ্তির ঢেকুর তুলে বললেন, কি বলার আছে তোমার? কোরআন নিজেই বলছে মানুষকে অন্য এক সম্প্রদায়ের বংশ থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে অর্থাৎ বিবর্তনের দ্বারাই মানুষ এসেছে, বুঝলে?

আমি কিছুক্ষণ নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। আমিও তো কোরানের বাংলা অনুবাদ বেশ কবার পড়েছি কই এই আয়াতটা তো আমার চোখে তেমন বাঁধেনি!! তবে কি আমার জানা সব জিনিস ভুল? লোকটাকে জবাব দিলাম, আংকেল! সুরা বাকারায় বলা হয়েছে,

#আল্লাহ একই কুরআনের আয়াত দ্বারা অনেককেই তিনি বিভ্রান্ত করেন, আবার বহুলোককে সৎপথে পরিচালিত করেন।(সূরা বাকারা: ২:২৬)

কাজেই শুধুমাত্র শাব্দিক অর্থের উপর ভিত্তি করে আপনি নিজের মত বিবর্তনের ব্যাখ্যা দাড় করাতে পারেন না। লোকটা একটু রাগই হল মনে হয় মাসুম ভাই ও আর আলোচনা এগোতে দিলেন না। এরপর পড়াশুনা আর নিজের ব্যস্ততার জন্য আর এসব নিয়ে অত ঘাটাঘাটি করা হয়নি।আমিও অনেকদিন মনে করতে পারছিলাম না যে লোকটা আমাকে "কোরানের কোন সুরার, কোন আয়াত দেখিয়েছিল?" যাইহোক ফিজিওথেরাপি নিয়ে পড়াশুনা শুরুর পর যখন এনাটমি, ফিজিওলজি, বায়োক্যামিস্ট্রি ইত্যাদি বইগুলো চোখের সামনে আসতে লাগল। সাধারণত ফিজিওথেরাপী স্টাডিতে হিউম্যান মুভমেন্ট সাইন্স নিয়ে বেশি আলোচনা থাকে। বায়োমেকানিক্স, কাইনেসিওলজি ইত্যাদি বেশি পড়ানো হয়।হটাৎ একটা জিনিস খেয়াল করলাম, ভারতীয় রাইটারদের লেখা বইগুলিতে কেন জানি ইউরোপিয়ান বা আমেরিকান রাইটারদের তুলনায় মানুষের বিবর্তন এর ব্যাপারটা নিয়ে একটু বেশিই মাতামাতি থাকে। সাধারণভাবে দেখলে মনে হতে পারে ভারতীয়রা বুঝি বিজ্ঞানের প্রতি খুব নিবেদিত প্রাণ হয়ে গিয়েছে।কিন্তু বছর খানিক আগে একজন মুসলিম বিজ্ঞানীর লেকচার দেখে জানলাম, ব্যাপারটা সম্পূর্ণই ধর্মীয়।হিন্দু ধর্মে বানরজাতীয় প্রাণী হনুমান একজন প্রভাবশালী দেবতা এবং তার সাথে মানুষের জেনেটিক সম্পর্ক রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়। আরেক দেবতা গনেশ যিনি হাতি হবার পরেও মানুষের সন্তান। কাজেই বিবর্তন এর ধারণার সাথে হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস যখন মিলে যায়, তখন সেটাকে মেডিকেলীয় বইপুস্তকে বেশি বেশি তুলে ধরলে হিন্দু ধর্মের গুরত্ব বেড়ে যাবে এজন্যই এই ব্যাপারগুলিকে তারা এত গুরত্ব দিয়ে প্রচার করে।

২০১৫ সালে ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটিতে বিবর্তন মতবাদে বিশ্বাসি মুসলিম নারী বিজ্ঞানি প্রফেসর ডাঃ রানা দাজানী একটি লেকচার দেন সেখানে তিনি উল্লেখ করেন মধ্যযুগে মুসলিমদের স্বর্ণযুগে যখন জ্ঞান বিজ্ঞানের নেতৃত্বে মুসলিমরা ছিল, মুসলিম জীববিজ্ঞানীদের অনেকেই বিবর্তনকে সত্য বলে বিশ্বাস করতেন।শেষের দিকে এসে তিনি বিবর্তনের স্বপক্ষে সুরা আনআম এর ১৩৩ নং আয়াতটি উল্লেখ করে বলেন, কুরান নিজেই সাক্ষী দিচ্ছে বিবর্তন সত্য মানুষ অন্য প্রজাতির বিবর্তিত রূপ।সেই একই আয়াত যা বেশ কয়েকবছর আগে মাসুম ভাইয়ার সেই কলিগ আমাকে দেখিয়েছিলেন যা আমি আর পরে মনে করতে পারিনি।নতুন করে আবারো সেই প্রশ্ন, বিবর্তন কি সত্যি? হ্যা! নিম্নস্তরের এককোষী প্রাণীর কথা বলা হলে বিবর্তনের কিছুটা সত্যতা আছে।কিন্তু আমার কৌতুহল ছিল উন্নত প্রাণী বিশেষ করে হোমো সেপিয়েন্স বা মানুষও কি এর মাঝে পরে? আমি বিভ্রান্ত ছিলাম। খুঁজতে থাকি কুরান এই ব্যাপারে কি কোন স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছে কিনা? পেলামও-

#আর (স্মরন কর) তোমার পালনকর্তা যখন ফেরেস্তাদের বললেন, ‘আমি পৃথিবীতে প্রতিনিধি সৃষ্টি করতে যাচ্ছি” তারা বলল, আপনি কি তথায় এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন যারা অশান্তি ঘটাবে এবং রক্তপাত করবে? অথচ আমরাই তো আপনার প্রসংশাসহ তসবীহ ও পবিত্রতা ঘোষণা করি। তিনি বললেন, নিশ্চয়ই আমি জানি যা তোমরা জান না। (সুরা বাকারা আয়াত ৩০)

এই আয়াতটাই আমাকে নতুন করে কৌতুহলী করে তোলে কেন জানি মনে হল আমি আমার উত্তর পেয়ে গেছি।

এই আয়াতের ব্যাখ্যায় আলেমদের কেউ কেউ বলেছেন, ফেরেশতারা জ্বীন জাতির হানাহানির ব্যাপারে অভিজ্ঞ ছিল আর সেই অভিজ্ঞতার আলোকেই তারা প্রশ্ন করেছিল যে, সেখানে কি আবারো এমন সৃষ্টি প্রেরণ করা হবে যারা রক্তারক্তি করবে? دم, দিমা বা রক্ত, আচ্ছা রক্ত ব্যাপারটা কি জ্বীন জাতির সাথে যায়??? মহান আল্লাহ জানিয়েছেন, তিনি প্রাণবান সমস্ত কিছু পানি থেকে সৃষ্টি করেছেন, জ্বীনকে বিশুদ্ধ অগ্নিশিখা ও ফেরেশতাদেরকে আলো থেকে সৃষ্টি করেছেন। বিজ্ঞানও বলছে এককোষী ক্ষুদ্র জীবাণু থেকে শুরু করে মানুষ সব কিছুর আগমণই মূলত পানি থেকে।মানুষের শরীরে ৬০-৬৫% অংশই পানি।শরীরের কোষকে জীবিত রাখা, বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়া সম্পন্ন করা, প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জৈব অজৈব উপাদান পরিবহনে পানি অপরিহার্য। আর রক্ত মূলত পানি থেকে সৃষ্ট প্রাণীর বৈশিষ্ট, অগ্নি দ্বারা সৃষ্ট কোন প্রাণীর না। আমরা যদি কোন মানুষের শরীর থেকে সিরিঞ্জ দ্বারা কিছু রক্ত সংগ্রহ করি এবং একটি টেস্টটিউবে নিয়ে তা centrifugal machine দ্বারা বিশ্লেষণ করি, তবে আমরা দেখব রক্ত দুভাগে ভাগ হয়ে গেছে। এর ৫৫% অংশ পাবো ব্লাড প্লাজমা বা সহজ ভাষায় পানি ও ৪৫% কোষীয় অংশ।অর্থাৎ রক্ত পানি হতে সৃষ্ট প্রাণীর বৈশিষ্ট। সুস্হ স্বাভাবিক মানুষের শরীরে প্রায় ৫লিটার এর মত রক্ত থাকে। রক্ত তৈরী হয় কোথায়? আমাদের হাড়ের মাঝে বিশেষ করে লম্বা হাড়গুলিতে যেমন হাতের বাহুর হাড় হিউমেরাস, পায়ের হাড় ফিমার। হাড়ের মাঝে ৩৫% জৈব অংশ থাকে যেমন কোলাজেন ও ৬৫% অংশ হল অজৈব অংশ যেমন ক্যালসিয়াম ফসফেট, ক্যালসিয়াম কার্বনেট, ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড। মানব শিশু প্রায় ২৭০ টি হাড় নিয়ে জন্ম নেয় তবে বাচ্চাদের শরীরে অধিকাংশ হাড়ই থাকে নরম যাকে বলা হয় কার্টিলেজ যার ৬০-৮০% মূলত পানি আর কোলাজেন ফাইবার। পরিণত বয়সে কাটিলেজ গুলি ধীরে ধীরে শক্ত হাড়ে পরিণত হতে থাকে এবং পরিণত মানুষের শরীরে ২০৬ হাড় স্হায়ীরূপ লাভ করে।

অর্থাৎ যখন পবিত্র কুরান রক্ত নিয়ে কথা বলে, তখন মোটেও পানি দ্বারা সৃষ্ট হয়নি, এমন কোন প্রাণীর কথা আমার মাথায় আসেনা। কারণ কুরান স্পষ্ট করেই বলেছে, মহান আল্লাহ জ্বীনকে সৃষ্টি করেছেন বিশুদ্ধ অগ্নি শিখা হতে।আমি লেখাকে সুবিস্তারিত করতে চাইনা তাই জীনদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কিছু অংশ উল্লেখ করব।কারণ তাদের ব্যাপারে ভ্রান্ত ধারণাগুলিই বেশি প্রচলিত যেমন তারা হাজার হাজার বছর বাঁচে।আমরা কুরান হাদিসে তাদের ব্যাপারে যতটুকু পাই ঠিক ততটুকুকেই সত্যি বলে গ্রহণ করতে পারি। বুখারী, মুসলিম, তীরমিযী, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ ইত্যাদি হাদিস গ্রন্হের সৃষ্টির সূচনা, আম্বিয়া কিরাম, নামাজ, দোয়া, খাদ্য, চিকিৎসা প্রভৃতি অধ্যায়ে জীনেদের ব্যাপারে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে সেগুলোকে একসাথে করলে জীনেদের যে চিত্র দাড়ায় তা হল- জিন্ন শব্দের অর্থ পর্দা, আড়াল, গোপন ইত্যাদি।যেহেতু তারা মানুষের চোখের অন্তরালে থাকে তাই তাদেরকে জিন বলা হয়।একই কারণে ভ্রুণকে জানীন বলা হয় যেহেতু তা ৩ টি পর্দার আড়ালে থাকে এবং ঢালকে মিজান্ন বলে কারণ যোদ্ধা তার আড়ালে থেকে নিজেকে রক্ষা করে।তারা আগুনের বিশুদ্ধ শিখা হতে সৃষ্ট এবং ৩ ধরণের জীন বিদ্যমান। একদল সাপ ও কালো কুকুর, বেড়াল ইত্যাদি প্রাণীর রূপ ধারণ করে মানব সমাজে চলাচল করে এসময় তাদের দেখা যায়। একদল পাখার সাহায্যে উড়ে বেড়ায় ও অন্য দলটির বৈশিষ্ট হল, তারা হটাৎ হাজির হয় ও আকস্মাৎ চলে যায়। ইফরিত নামক জিনেরা সবচেয়ে শক্তিশালী যারা প্রচন্ড দ্রুতগতিতে চলাচলে সক্ষম।তাদের হাত, পা, চোখ ও কান, উপলব্ধির জন্য অন্তর আছে।কোন কোন হাদিসে শয়তান জীনেদের শারিরিক বৈশিষ্ট বর্ণনার সময় উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের শরীর কুকুরের ন্যায় কালো পশমে ঢাকা, হাত কুকুরের পায়ের ন্যায়। ইবলিস এর মাথায় দুটি শিং আছে। তারা খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করে তবে "তার ধরণ কেমন?" তারা খাবারের ঘ্রাণ নেয়, নাকি মুখ দিয়ে খায়- সে বিষয়ে আল্লাহই অধিক জ্ঞাত। হাদিসে বলা হয়েছে শয়তান জীনেরা মানুষের শরীরে পেশাব করে, আজান শুনলে বায়ু নিঃসরণ করে পালায়- এর প্রকৃত অর্থ আল্লাহ অধিক জ্ঞাত।ময়লা ফেলার জায়গা, নিচু গর্ত, বাথরুম, কবরস্হান ও শ্বশান, নির্জন পাহাড়ী এলাকা, জঙ্গল, মানবহীন পুরনো বসতি ইত্যাদি জায়গায় তারা বসবাস করে এবং ইবলিস সমূদ্রে বসবাস করে। কোন কোন আলেম বলেন বারমুডা ট্রাইএঙ্গেল ইবলিসের ঘাটি।কোরানে ইবলিসের ব্যবহার করা পশু বা বাহনের কথা বলা হয়েছে। সাধারণ জীনেরাও বাহন হিসেবে পশু ব্যবহার করে। যেমন নুসাইবিন নামক শামের জীন নগরীর জিনেদের ইসলাম গ্রহণ করার পর আল্লাহর রাসূল (সাঃ) সাহাবীদের বলেন, তোমরা গবাদিপশুর হাড় ও গোবর দিয়ে পেসাব পায়খানা পরিষ্কার করবেনা কেননা, এই হাড় তোমাদের জীন ভাইদের খাদ্য আর তোমাদের গবাদি পশুদের গোবর তাদের পশুদের খাদ্য। তিনি সাহাবীদেরকে নুসাইবিনের জীনদের সাথে মিলিত হবার জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাদের ফেলে যাওয়া পায়ের চিহ্নাদি ও তাদের পশুদের চিহ্নাদি দেখিয়েছিলেন। রাসূল (সাঃ) বলেন, তোমরা শয়তান জ্বীনদের গালি দিওনা বরং তার দ্বারা আক্রান্ত হলে আল্লাহর কাছে আশ্রয় কামনা কর কেননা, তাকে রাগে গালি দিলে সে নিজ অহংকারে দালানের ন্যায় বড় আকার ধারণ করে অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে আল্লাহর সাহায্য কামনা করলে সে ভয়ে মাছির মত ছোট আকার ধারণ করে।জীন মানুষের রক্ত শিরা ও ধমনীর মাঝ দিয়ে চলাচল করতে পারে, মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে।প্রত্যেক মানুষের শরীরের অভ্যন্তরেই কারিন নামক জীন বসাবাস করে যে মানুষকে খারাপ কাজে উৎসাহ দেয়।

অর্থাৎ এটা দ্বারা স্পষ্ট যে, জীনেদের মানুষের মত নির্দিষ্ট শারিরিক কোন কাঠামো নেই। তাই তারা ইচ্ছামত নিজের শারিরিক আকার-আকৃতি, উচ্চতা ইত্যাদি ছোট বড় বা পরিবর্তন করতে পারে যা পানি দ্বারা সৃষ্ট কোন প্রাণীর বৈশিষ্ট হতে পারেনা যাদের শরীরে রক্ত প্রবাহিত হয়।আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া গ্রন্হে সৃষ্টির সূচনা অংশে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কোন কোন আলেম বলেছেন যে, বর্তমান জীন জাতিকে সৃষ্টি করার পূর্বে হিন ও বিন নামে আরো দুটি জাতিকে আল্লাহ সৃষ্টি করেছিলেন তারাও মূলত জীন জাতিরই দুটি পৃথক প্রজাতি। অর্থাৎ তারাও অগ্নি হতে সৃষ্ট।

এজন্য কুরানের এই আয়াত আমাকে বলে, যখন ফেরেশতারা বিশেষভাবে রক্তের কথা উল্লেখ করছেন (যার ৫৫% অংশই জলীয়) যা পানি হতে সৃষ্ট জীবের বৈশিষ্ট এবং মানুষ এর কাঠামো জেনে মানুষের সাথে ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রজাতির তুলনা করছেন, তখন খুব স্বাভাবিক ভাবেই মনে হয়, পৃথিবীতে মানুষ আসার আগে মানুষের মতই কোন প্রাণী বসাবাস করত যাদেরকে আল্লাহ শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছিলেন। কুরান স্পষ্ট করেই বলেছে, আল্লাহ মানব ও জীন সব জাতির কাছেই নবী রাসূল প্রেরণ করেছেন কাজেই সেই জাতির কাছেও নিশ্চয়ই নবী রাসূল এসেছিল। কিন্তু তারা সীমালংঘন করে দুনিয়ায় হানাহানি, রক্তারক্তির ও চরম সীমালংঘনের পথ বেছে নেয় ও আল্লাহর ক্রোধের পাত্রে পরিণত হয় এজন্যই আল্লাহ তাদের ধ্বংস করে দেন। ফেরেশতারা সেই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন। কাজেই যখন মহান আল্লাহ আবারো রক্ত দ্বারা বেঁচে থাকবে, পানি হতে সৃষ্ট মানুষকে পৃথিবীতে প্রেরণ করতে চাইলেন, তখন ফেরেশতারা তাদের পূর্বের অভিজ্ঞতার কথা আল্লাহর কাছে ব্যাক্ত করলেন। কিন্তু মহান আল্লাহ বললেন, আমি যা জানি তোমরা তা জাননা।এরপর কুরানে বলা হয়, তিনি আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করলেন এবং তাকে কিছু জিনিসের নাম শিক্ষা দিলেন এবং ফেরেশতাদের কাছে গিয়ে সালাম দিতে বললেন এবং ফেরেশতাদের কিছু বিষয়ে আল্লাহ প্রশ্ন করলেন কিন্তু তারা তার উত্তর দিতে ব্যর্থ হল এবং আদম (আঃ) তার উত্তর জানিয়ে দিলেন। আল্লাহ জবাব দিলেন, আমি কি বলিনি, আমি যা জানি তোমরা তা জাননা? অর্থাৎ এই আয়াত আমাকে এই শিক্ষায় দেয় যে, পূর্বে মানুষের মত বা রক্ত মাংসের যে সৃষ্টি পৃথিবীতে বসবাস করত তারা মানুষের মত বুদ্ধিমান প্রাণী ছিলনা বরং প্রচুর শক্তিশালী ছিল তাই নিজের শ্রেষ্ঠত্ব, শৌর্য-বীর্য প্রদর্শনের জন্য সে শক্তির লড়াইকে বেছে নেয় যা থেকে রক্তারক্তি ও সংঘাতের সূচনা হয়। হয়ত সেই প্রাণীটি ডাইনোসর হতে পারে বা বানর জাতীয় কোন প্রাণীও হতে পারে। আর সাম্প্রতিক গবেষণাতেও আমরা জানি, রক্ত মাংসের প্রাণীর মাঝে মানুষই সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী, যদিও শক্তির বিচারে দূর্বল।

বিঃদ্রঃ দয়া করে কেউ আগের মত আমার লেখা চুরি করে নিজের নামে চালিয়ে দিবেন না। মনে রাখবেন আমি আপনাকে ক্ষমা করবোনা কিয়ামতের দিন আপনি বিপদে পরবেন।

চলবে--------------------------------

বিষয়: বিবিধ

১৯৯৩ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

385069
০৪ এপ্রিল ২০১৮ সকাল ০৫:৩১
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : আপু,চমৎকার লেখা, আমেরিকার বিভন্ন বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ছাএদের মতামত। ভিডু দেখুন
০৪ এপ্রিল ২০১৮ দুপুর ০১:০৩
317538
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম। জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া। ইনশাআল্লাহ সময় নিয়ে দেখব। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
385070
০৪ এপ্রিল ২০১৮ সকাল ১০:৩৬
নকীব আরসালান২ লিখেছেন : চমতকার,অসং্খ্য ধন্যবাদ।আপনি তাহলে আরবিও জানেন ভালো লাগলো।আরো লিখুন
০৪ এপ্রিল ২০১৮ দুপুর ০১:০৫
317539
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম। জী ছোটকালে আরবী ভাষা, গ্রামার টুকটাক শিখেছি, লিখতেও পারি কিন্তু কথা বলতে পারিনা। আরবী ভাষা শেখার ইচ্ছা আছে। জাঝাক আল্লাহ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
385075
০৪ এপ্রিল ২০১৮ রাত ১০:০০
শেখের পোলা লিখেছেন : অত্যন্ত মনযোগ দিয়ে পড়লাম। আল্লাহ আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন। সাথে আছি ইনশা আল্লাহ।
০৫ এপ্রিল ২০১৮ সকাল ১০:৫৮
317547
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম। কতদিন পর আপনাকে পেলাম। কেমন আছেন?
০৫ এপ্রিল ২০১৮ রাত ০৮:০২
317548
শেখের পোলা লিখেছেন : আলহামদু লিল্লাহ!
385106
১৪ এপ্রিল ২০১৮ বিকাল ০৫:৪৯
আরিফা জাহান লিখেছেন : চমৎকার লিখা ! ওয়েটিং ফর নেক্সট
১৮ এপ্রিল ২০১৮ রাত ০৮:৪৪
317580
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : এটাকে আরেকটু এডিট করা দরকার। আর পরের পর্বগুলো সাজানো ভালই মুশকিল হবে। মানুষ বেশি বড় লেখাও এখন পড়তে চায়না।
385236
০১ মে ২০১৮ রাত ১০:০০
আমি আল বদর বলছি লিখেছেন : সাথেই আছি অসম্ভব সুন্দর হয়েছে চালিয়ে জান
385250
০৩ মে ২০১৮ রাত ০৯:১৬
হতভাগা লিখেছেন : সূরা আর রা'হমানে মানুষ ও জ্বিনকে আল্লাহ তার নেয়ামতের কথা বার বার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। এই জ্বিন কি সেই জ্বিনেরা যাদের কথা বলতে চাইছিল ফেরেশতারা আল্লাহ যখন আদম(আঃ)কে সৃষ্টি করতে চাচ্ছিলেন?

রক্তারক্তি বলতে কি আমরা লাল রংয়ের তরল পদার্থের কথাই চিন্তা করবো ? এখানে সেটাকে কি হানাহানি বা মারামারি বা গ্যান্জামের রুপক কথা হিসেবে ধরতে পারি না যেটাকে মানুষের বোধগম্যের জন্য রক্তারক্তি হিসেবে বলা হয়েছে?

জ্বিনদেরকে তো আল্লাহ মানুষ সৃষ্টির আগেই সৃষ্টি করেছেন , তাই না ?

এরকম কাহিনী শুনেছি যে - মানুষ সৃষ্টির আগে জ্বিনদের মারামারি হানাহানির জন্য আল্লাহ ফেরেশতাদের পাঠান । সেখানে জ্বিনদেরকে কি একেবার নিশ্চিন্হ করে দেওয়া হয়েছিল?

এটাও শুনেছি , ইবলিশ সে সময়ে ফেরেশতাদের সঙ্গ দিয়ে স্বজাতি জ্বিনদের শায়েস্তা করতে এগিয়ে এসেছিল এবং পরে সে ফেরেশতাদের সাথে চলে আসে। আদম (আঃ)কে সৃষ্টি করলে সে আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে আদম (আঃ) কে সিজদা করতে। এবং আল্লাহর লানত প্রাপ্ত হয়ে যায় । এর আগে ইবলিস নাকি খুব ভাল বলে বিবেচিত ছিল।

এই ইবলিস কি আগের জ্বিন জাতির একমাত্র প্রতিনিধি বর্তমান জ্বিনদের তুলনায়?

(আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন ,আল্লাহই ভাল জানেন)

মানব জাতির বিবর্তনের পূর্বপুরুষ যদি বানর হয়ে থাকে তাহলে আদম (আঃ)এর ব্যাপারটি কিভাবে বিবর্তনবাদীরা ব্যাখ্যা করবে ? মানুষ যদি বানরের উত্তরাধিকারী হয়ে থাকে তাহলে এখনও তো অনেক বানর অবশিষ্ট আছে ? সেগুলোর মধ্য থেকে কোনটি কি মানুষে রুপান্তরিত হচ্ছে?

কিয়ামতে বিশ্বাস করা মুসলমানের অন্যতম পূর্বশত।
385514
১২ জুন ২০১৮ বিকাল ০৪:৫৬
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
অনেক সময় লাগিয়ে পড়লাম,
অনেক বার এসেও শেষ করতে পারিনি।
আজ আবার পড়লাম,
জাযাকিল্লাহ
পরের পর্বগুলোও চালিয়ে যান, অপেক্ষায় রইলমা।
385784
২০ আগস্ট ২০১৮ সকাল ১০:৩৪
আবু নাইম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
অনেক ধন্যবাদ ভালো লাগলো
386565
১২ মার্চ ২০১৯ দুপুর ০১:১৫
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।
শেখ ইয়াসির কাদি তার এক আলোচনায় বলেছিলেন - বিজ্ঞানের ছাত্র হিসাবে তিনি জানেন যে ''বিবর্তন'' সত্য।

এরপর তিনি আদম আঃ এর সৃষ্টি সম্পর্কে তার নিজের থিওরী দিয়েছিলেন এই বলে যে,

বানর যখন প্রায় সোজা হয়ে দাড়াচ্ছিল - তখন হয়তো আল্লাহ আকাশে আদম সৃষ্টি করেন এবং জমিনে পাঠান।

যদিও শেখ ওনার থিওরীতে বলেন নি - সোজা হওয়া বানরের পরিনতি কি হয়েছিল।

আপনার আলোচনার ডাইমেনশান ভিন্ন। এ পয্যন্ত আমি যে মেসেজ পেয়েছি - তাতে আমি এ বুঝ ই পেয়েছি আদম এর আগে পৃথিবীতে আল্লাহর যে খলিফা ছিল - তারা জীন জাতি নয়।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File