মুমিন নারী পৃথিবীর সর্বোৎকৃষ্ট সম্পদ, তাদেরকে বিয়ের স্বপ্ন তাদেরই দেখা সাজে, যারা মুমিন পুরুষ।

লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ২৬ আগস্ট, ২০১৬, ০৮:২৭:০১ রাত



আজ হটাৎ আমার লেখা ব্লগপোস্টে হতভাগা ভাইয়ার একটা মন্তব্য দেখলাম।

"বিয়ের আগে মেয়েরা নিজেদের মধ্যে বেশ দ্বীনি একটা লুক আনে । হাব ভাবে এমন যে, তার মত দ্বীনি খুব কমই আছে । কিন্তু বিয়ের পর সব খুল্লাম-খুল্লা । তার ডিমান্ড আধুনিক মেয়েদের চাইতে কোন অংশে কম হয় না । প্রতারিত হয় ছেলে এবং ছেলের অভিভাবকেরা। একজন ২৫/২৬ বছরের সদ্য চাকুরীতে জয়েন করা যুবকের পক্ষে কি ১০ লাখ টাকা দেনমোহর এক শটেই দিয়ে দিতে পারার কথা?" আমি বিরাট প্রতিমন্তব্য করেছি, কিন্তু কেন জানিনা, লোড হচ্ছেনা। তাই আলাদাভাবে এর একটা উত্তর সাজালাম।

একটা কথা বলি ভাইয়ারা, রাগ করবেননা।

হ্যা! এটা হয়ত অনেকাংশে ঠিক। বিয়ের সময় দেখা যায় মেয়ে খুব দ্বীনি, পরহেজগার, সেই মাপের ধার্মিক-অথচ বিয়ের পরই আপনাদের ভাষায়, "খুল্লাম, খুল্লা"। কিন্তু এর কারণ কি জানেন ভাইয়ারা? আমাদের মধ্যকার টিনএজ থেকে শুরু করে ২৫-২৬ বছরের অধিকাংশ ছেলেই নিজে ধার্মিক না, নামাজ কালামী না, পরহেজগার না। আজ এক গার্লফ্রেন্ড তো কাল আরেকজন। হ্যা! অনেক কষ্ট করেই অবশেষে একটা চাকরী জুটিয়ে যখন বিয়ের বাজারে তাকানোর সময় হয়, পরিস্হিতি দেখে তারা বাস্তবতায় মারাত্নক একটা ধাক্কা খায়- গার্ল ফ্রেন্ড বা চোখে নেশা জাগানো ঝকঝকে নারীদের দাম ১০ লাখ টাকা দেনমোহর!! তাই তাদেরও এবার দাবি হয়ে দাড়ায়- "ধার্মিক বউ চাই, ধার্মিক বিবি চাই" আধুনিক মেয়েরা সব সস্তা, পরপুরুষের চোখে নেশা জাগিয়ে বেড়ায়, এরা বিয়ের যোগ্য না। তো এবার হাফ ধার্মিক, নামে মাত্র মুসলিম ছেলে আর তার পরিবার ধার্মিক মেয়ে খোঁজার মিশনে বের হয়। প্রথম মিশন ব্যর্থ, ২য় মিশন অপ্লের জন্য মিস, ৩য় মিশন সফল হয়েও হলনা..... অঃতপর সত্যিই মিশন সাকসেসফুল হয়। চোখের সামনে আনতনয়না, লজ্জাবতী একজন ধার্মিক মেয়ে। ছেলের পছন্দ, বাবা-মায়ের পছন্দ- ধুমধাম করে বিয়ে। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন যাওয়ার পর আস্তে আস্তে আপনাদের ভাষায়, তার অবস্হা এসে দাড়ায় "খুল্লাম, খুল্লা।" তার ডিমান্ড আধুনিক মেয়েদের চাইতে কোন অংশে কম হয় না। এর কারণ কি জানেন, ভাইয়ারা? কুরআনে তো উত্তর দেয়া হয়েছে:- মুমিন পুরুষ মুমিন নারীদের জন্য, মুমিন নারী মুমিন পুরুষদের জন্য, সচ্চরিত্রা নারী সচ্চরিত্র পুরুষের জন্য, সচ্চরিত্র পুরুষ সচ্চরিত্রা নারীর জন্য... আর মুনাফিক পুরুষ মুনাফিক নারীদের জন্য, মিথ্যাবাদী পুরুষ মিথ্যাবাদী নারীদের জন্য, মিথ্যাবাদী নারী মিথ্যাবাদি পুরুষের জন্য, ওয়াদা খেলাপকারী নারী ওয়াদা খেলাপকারী পুরুষের জন্য, ওয়াদা খেলাপকারী পুরুষ ওয়াদা খেলাপকারী নারীর জন্য, .......... এভাবে সিরিয়ালি যে যেমন তার সঙ্গীও তেমন তার জন্য। অর্থাৎ সারাজীবন হারাম আনন্দ-ফুর্তি, অশ্লীলতায় গা ভাসিয়ে দিয়ে বিয়ের সময় নিজের স্বার্থে ছেলেরা যখন ধার্মিক মেয়ে খোঁজার মিশনে নামে, সেই একই সময়ে তারই মত কিছু মিথ্যাবাদী, ভন্ড মেয়েরাও একই কায়দায় বিয়ের জন্য, ছেলে ও তার পরিবারের মন জয়ের জন্য কিছুদিন ধার্মিকতার অভিনয় শিখে নেয়। চুড়ান্ত মঞ্চায়ণে পাত্র ও তার পরিবারের সামনে সেই অভিনয় ব্যাপক প্রসংসা পায়, তাকেই সত্য হিসেবে ধরে নেয়া হয়। মিয়া-বিবি রাজি তো কি কারেগা কাজি??? Big Hug Big Hug Big Hug

কিন্তু ভাইয়ারা অভিনয় কি আর সত্যি হয়, বলেন? তাই বিয়ের পর আস্তে আস্তে ধার্মিকতা ছুটে যায় বেরিয়ে আসে বউয়ের আসল চেহারা, আপনাদের ভাষায়: "খুল্লাম খুল্লা।" কি অসাধারণ মিল দেখেন? মারহাবা! তো মহান আল্লাহ তার জন্য তারই চরিত্রের নারী মিলিয়ে দিলেন তার জন্য, তাইনা? যেমন আল্লাহ বলেন, মুনাফিক নারী পুরুষ আসলে একই রকম চরিত্রের। এজন্য বলি, মুমিন নারীর স্বপ্ন দেখার আগে নিজের স্বপ্নকেও পরিশুদ্ধ করুন। মুমিন নারীর ভুল ত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন তোলার আগে নিজের ভুলগুলিকেও দুর করুন। সর্বোপরি, মুমিন নারীর জীবন সঙ্গী হতে চাইলে আগে নিজে মুমিন হোন।

রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোষণা দিয়েছেন, গোটা দুনিয়াই হলো সম্পদ। আর দুনিয়ার মধ্যে পুণ্যবতী স্ত্রীলোকের চেয়ে অধিক উত্তম কোন সম্পদ নেই। [সুনানে ইবনে মাজাহ, অধ্যায়ঃ ৯/ বিবাহ, পরিচ্ছদঃ ৯/৫. সর্বোত্তম মহিলা, হাদিস নং:১/১৮৫৫, পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস)

কাজেই এই সম্পদের ভাগিদার হতে হলে আগে তো তা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিজেকে উপযুক্ত করে তুলতে হবে, তাইনা ভাইয়ারা?

জাঝাক আল্লাহ।

বিষয়: বিবিধ

৩৫৮৬ বার পঠিত, ৩০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

376815
২৬ আগস্ট ২০১৬ রাত ০৮:৩৬
আফরা লিখেছেন :
মেয়ে তার মা কে প্রশ্ন করল
'' মা ,
আমি কিভাবে একজন সৎ
পুরুষ কে খুঁজবো ?
'' মা বললেন '' সৎ পুরুষ কে খোঁজার
চিন্তা বাদ দাও , নিজেকে সৎ
নারী হিসেবে গড়ে তুলো
পবিত্র কুরানেই আছে '' সৎ
নারীগণ সৎ
পুরুষদের জন্য এবং সৎ পুরুষগণ
সৎ নারীদের জন্য '' আল্লাহ্
কারো সাথেই অবিচার করেন না ]

২৬ আগস্ট ২০১৬ রাত ০৮:৪৩
312408
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আফরা?? কেমন আছ? কোন খোঁজ নেই। কতদিন পর আসলে!! যাক আল্লাহর কাছে শুকরিয়া যে অবশেষে তীরে নোঙ্গর পরল। হ্যা! হুম! মা ঠিকই বলেছেন। সত্যি কথাটাই। যারা আল্লাহকে অভিভাবক হিসেবে বেছে নেয়, আল্লাহকে ভালবাসে- আল্লাহও তাদের এমন কোন ভালবাসার মানুষকে বৈধভাবে জীবনে এনে দেন, যাকে আল্লাহ ভালবাসেন আর সেও আল্লাহকে ভালবাসে। অনেক অনেক খুশি হয়েছি আফরা।
২৬ আগস্ট ২০১৬ রাত ০৯:০১
312410
আফরা লিখেছেন : আলহামদুল্লিলাহ ! ভাল আছি ঘুম । আপনি কেমন আছেন ঘুম ভাঙানি ।
২৬ আগস্ট ২০১৬ রাত ০৯:৫২
312413
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ডাক্তার সাহেবা, ভাল থাকার পথ খুঁজছি।
376816
২৬ আগস্ট ২০১৬ রাত ০৮:৫৯
আফরা লিখেছেন : মুমিন নারী পৃথিবীর সর্বোৎকৃষ্ট সম্পদ, তাদেরকে বিয়ের স্বপ্ন তাদেরই দেখা সাজে, যারা মুমিন পুরুষ ।

না স্বপ্ন সবাই দেখতে পারে এটা দেখতে পয়সা ও লাগে না কষ্ট ও করতে হয় না আর স্বপ্ন ই যখন দেখব আমি যেমন ই ভালটাই দেখব ।

আর সব সময় ই মুমিন পুরুষ ই মুমীন স্ত্রী পায় বা মুনীন নারী মুমিন স্বামী পায় এমন নয় ।
অনেক মুমিন নারী বা স্বামী আছে তাদের স্বামী বা স্ত্রী বদ ।

তার মানে এটা নয় কোরানের কথাকে আমি অবিস্বাস করছি , আমি অবশ্যই বিস্বাস করি আল্লাহ যা বলেছেন অবশ্যই সত্য বলেছেন, তবে মুমিনের জীবনে কোন হতাশা নেই দুনিয়ার এই ক্ষনস্থায়ী জীবনে একজন বদ স্বামী বা স্ত্রীর মাধ্যমে পাওয়া কষ্ট যন্ত্রনার বিনিময়ে তার অনন্ত জীবনের জান্নাতের বা সুখের রাস্তাকে আল্লাহ সুগম করে দিবেন ।

অনেক ধন্যবাদ ঘুম ভাঙানি ।
২৬ আগস্ট ২০১৬ রাত ০৯:৪৮
312411
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আফরা এটা জাস্ট একটা প্রতিক্রিয়া। যে আয়াতের কথা বলেছি তা সুবিশাল।তার ব্যাখ্যাও বেশ কটি। আমি বেশ কিছুদিন আগ পর্যন্তও বিয়ে নিয়ে কোন কথা কানেই নিতে চাইতামনা। আমার কাছে আসহ্য লাগত। কিন্তু ইদানিং আশেপাশের পরিচিত কিছু দ্বীনি ভাই বোনের বিশেষ করে দ্বীনি বোনদের দুরাবস্হার চিত্র দেখে কেমন জানি মানতে পারছিনা। মনে হচ্ছে এতদিন বাস্তবতা থেকে কত দূরেই আমি ছিলাম। আর মুমিন নারীরা মুমিন ছেলে পাচ্ছেন না, বা মুমিন পুরুষের ভাগ্যে বদ স্ত্রী জুটছে। এসব সামগ্রিক অব্যবস্হাপনার ফল। সবাই শুধু ধর্মের ব্যাপারে লেকচার দিতেই ভালবাসে কিন্তু যারা ধর্মকে আকড়ে ধরে নানান সমস্যায় আটকে যায়, তাদেরকে সাহায্যের জন্য কোন দ্বীনি ভাই বোনেরা এগিয়ে আসেননা। শুধু কিছু মুখস্ত ঈমানী বুলি শুনিয়ে নিজেদের দায়িত্ব শেষ করে দেন। ধার্মিক মেয়েরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আধুনিক মেয়েদের চেয়ে অধিক নরম, কম স্বাধীনচেতা ও বাবা মার অনুগত হন। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিয়ের সময় বাবা মায়েরা এদের মতামতের কোন মূল্যায়ন করেনা, জোড় করে, বা বাধ্য করে কোন বেদ্বীন পাত্রের সাথে বিয়ে দেন। এই ধরণের বিয়ে ইসলামে বাতিল কিন্তু কে বিচার নেবে? রাসূল (সাঃ) তো জীবিত নেই যে এই মেয়েরা তার কাছে ছুটবে। এখানে ২য় বিয়ে এতটাই কঠিন তাই বেদ্বীন স্বামীর বিছানাসঙ্গী হয়েই তাদের জীবনটা পার হয়। আবার অনেক সময় পাত্রের হান্ডসাম চেহারা, যোগ্যতা ইত্যাদির ধোঁকায় পরে অনেক মেয়ে বিয়েতে রাজি হয়ে যান কিন্তু বিয়ের পর যখন স্বামীর লাইফস্টাইল আর নিজের উদাসীনতা দেখে বুঝতে পারে যে, তার বিরাট একটা ভুল হয়ে গেছে, তখন আর কিছু করার থাকেনা, আস্তে আস্তে স্বামীর পছন্দমত পরিবর্তন হতে হতে দ্বীনী জীবনটাই তারা হারান, ফেরার আর রাস্তা থাকেনা। এক ভাইয়ের কথা জেনেছি কয়েক বছর হল তাকে তার স্ত্রী ডিভোর্স দিয়েছে তার অতি ধার্মিকতা সহ্য না হওয়ায়। সেই ভাই আর বিয়ে করেননি। এখন নাকি খুব চুপচাপ। দ্বীনি ছেলেরা এমন পরিস্হিতিতে এখন বেশি পরছে। এরা না পারে নিজের স্ত্রীকে বোঝাতে আর না পারে নিজেকে অপরাধী ভাবা ছাড়তে। সবচেয়ে ভয়ানক ব্যাপার হল যখন সন্তান আসে আর বড় হতে শুরু করে। এই সন্তান পরিপূর্ণ দ্বীনি পরিবেশ পাবেনা। যাইহোক লিখতে ইচ্ছা হচ্ছেনা।
তবে আল্লাহ কোথাও বলেননি যে, বদ স্ত্রী বা বেদ্বীন স্বামীর সাথে compromise করে চল, বা তাদের দ্বার সৃষ্ট কষ্ট ভোগ কর আমি তোমাদের জান্নাত দিব। মক্কার যেসব নারী মুসলিম হয়েছেন তাদের স্বামীর কথা অমান্য করে, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) তাদেরকে আর তাদের স্বামীর সাথে রাখেননি, মদিনায় আশ্রয়ের ব্যবস্হা করে দিয়েছেন, বেদ্বীন স্বামীদের কাছে ফীরিয়ে দেননি। খোদ রাসূল (সাঃ) এর নিজ কণ্যাকে ৬ বছর নিজের কাছে রাখেন কারন তার স্বামী ছিল কাফির যখন তার স্বামী ইসলাম কবুল করে শুধুমাত্র তখনই রাসূল (সাঃ) তাকে ফীরিয়ে দেন। আল্লাহই জানেন, আমার জন্য কি দূর্গতি অপেক্ষা করছে?
২৬ আগস্ট ২০১৬ রাত ১০:০৯
312414
আফরা লিখেছেন : আল্লাহ কোথাও বলেননি যে, বদ স্ত্রী বা বেদ্বীন স্বামীর সাথে compromise করে চল, বা তাদের দ্বার সৃষ্ট কষ্ট ভোগ কর আমি তোমাদের জান্নাত দিব।
জী আল্লাহ সরাসরি এটা বলেন নাই কিন্তু আমরা তো এটা জানি বান্দার পায়ে যখন একটা কাটা ফুটে সেই কষ্টের বিনিময়ে ও আল্লাহ বান্দার গুনাহ মাফ করেন তাই না -------আপনার আবার দূর্গতি কিসের আপনি তো বিয়েই করবেন না ।
২৬ আগস্ট ২০১৬ রাত ১১:১৫
312416
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আমি বিয়ে করতে চাইলেই কি মানুষ এসে হাজির হবে? মানুষ এখন বিয়ে করে টাকা পয়সা, ডাক্তারী, ইঞ্চিনিয়ারী, ব্যাংকিং ডিগ্রি, ক্ষমতা, কর্পোরেট হাউজগুলোর বড় বড় পোস্ট। মেয়েরা ছয় ফূট লম্বা শরীর,যার হাত দুটো এটিএম বুথ। আর ছেলেরা বড়লোক শ্বশুর আর ক্যাট ফিগারের ফর্সা দেহ। তাই নিজেকে ভাল দামে বিক্রি করা এত সহজ নাকি?
২৭ আগস্ট ২০১৬ দুপুর ০১:৪৯
312428
আফরা লিখেছেন : আসলে কথাগুলো ঘুরে ফিরে কিন্ত আপনার ঘারেই এসে পড়ল । মানে আপনি ও এরকমই চান তাই পাচ্ছেন না ।

আসলে শুধু আপনি না আমরা সবাই ই চাই উপরে উঠতে কেউই নিজের চেয়ে নীচে নামতে চাই না । শুধু এই টুকুর জন্য অনেক ছেলে মেয়ের বিয়ে আটকে আছে ।

এই আমাকে আবার এর মধ্যেই ফেলবেন না আমার বর ঠিক হয়েই আছে শুধু একটু সময়ের অপেক্ষায় আছি ।

২৭ আগস্ট ২০১৬ রাত ০৯:৩৬
312444
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আমি যে চিন্তাধারা উল্লেখ করেছি সেই দৃষ্টিতে আমি বিয়ের জন্য যোগ্য না অর্থাৎ আমার আলোচ্য এসব গুণাবলি নেই যার জন্য কারো মনে হতে পারে আমি কোনভাবে যোগ্য। মানে আমার অবস্থান এমনিতেই নীচে, উপরে না। আর আপনি ডাক্তার যতদুর দেখেছি ডাক্তাররাই কখনো নীচে নামার কথা কল্পনাতেও ভাবতে পারেনা। মারাত্নক ইগো প্রবলেম এ ভুগে এরা। নিজেদের মানুষ থেকে এক কাতার উপরে ভাবে এরা। রক্ত মাংসের মানুষ থেকে বেশি নিজেদের ডাক্তার বলেই বিশ্বাস করে এরা। তাই নিজেদের জন্য ডাক্তার, এরচেয়ে নীচে নামলে ইঞ্জিনিয়ার বা ব্যবসায়ী ছাড়া এরা কাউকে নিজেদের যোগ্য হিসেবে মানতেই পারেনা। আপনার পাত্রের ব্যাপারে আপনিও যে এরচেয়ে নীচে নামতে পারবেন না, সেটাই স্বাভাবিক,কারণ ডাক্তার আপনি। ইন্টার্ন করতে গিয়ে এমন পাত্রের সন্ধান ও পারিবারিকভাবে বিয়ে পাকাপোক্ত করা মোটেও অস্বাভাবিক না, তাই নয়কি? আমিতো এমনিতেই তলানীতে আছি। রাবেয়া বসরী, হাসান বসরী, ওয়াইস আল কুরুনী (রাঃ), ইমাম তাইমিয়া, ইমাম নববী সহ ইসলাম এর ইতিহাসে অনেক নাম জড়িয়ে আছে যারা অবিবাহিত ছিলেন। সেসময় মানুষ এতটা দুনিয়ালোভীও ছিলনা। তাই আমার জীবনও তাদের মত কেটে গেলে তাতে তো অভিমানের কিছুই নেই। আমি কতদিন বাঁঁচবো, আল্লাহ জানেন কিন্তু হিসাব ধরলে বাংলাদেশের হিসাব অনুযায়ী একজন মানুষ ৬০ বছর গড় আয়ু পেলে আমি তো তার তিন ভাগের একভাগ শেষ করেই দিয়েছি, বাকি দিনগুলোতে এত পাওনা না পাওয়ার হিসাব কষে চোখের পানি ফেলে নষ্ট করতে চাইনা,দীনি জীবনটা পরিশুদ্ধ করতে চাই,মানুষকে সন্তুষ্ট করা অনেক কঠিন, আর সবচেয়ে সহজ আল্লাহকে সন্তুষ্ট করা। আপনার বিয়ের খবর জেনে ভাল লাগল। দোয়া করি আল্লাহ তাতে বরকত দান করুন।
376817
২৬ আগস্ট ২০১৬ রাত ০৯:০১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এটা তো স্রেফ দোষ চাপিয়ে দেওয়া হলো। পরিবেশ পরিস্থিতি এবং যুক্তি দিয়ে বিশ্লেষন হলোনা।
২৬ আগস্ট ২০১৬ রাত ০৯:৫০
312412
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : হতভাগা ভাইয়ার মন্তব্যের জবাব এটা। উনিও সবসময় কোননা কোনভাবে মেয়েদের দোষ ত্রুটি খুঁজে বের করেন একতরফা। তাই আমাকেও সে পথে হাটতে হয়েছে। ঠিকই বলেছেন, আমাদের কাজ সমাধানের রাস্তা নিয়ে কথা বলা মানুষের চিন্তাকে একদিকে প্রবাহিত করা নয়। জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া।
376818
২৭ আগস্ট ২০১৬ রাত ০৩:৪৯
কুয়েত থেকে লিখেছেন : মুমিন নারী পৃথিবীর সর্বোৎকৃষ্ট সম্পদ, তাদেরকে বিয়ের স্বপ্ন তাদেরই দেখা সাজে, যারা মুমিন পুরুষ ভালো লাগলো অনেক অনেক ধন্যবাদ
১০ অক্টোবর ২০১৬ সকাল ১০:৩৬
313596
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। Good Luck Good Luck
376825
২৭ আগস্ট ২০১৬ সকাল ০৯:২৪
হতভাগা লিখেছেন : সর্বোৎকৃষ্ট লোকেরাই সর্বোৎকৃষ্ট সম্পদ লাভের হকদার । এই সর্বোৎকৃষ্ট লোকেরা হচ্ছেন আমাদের নবী ও রাসূলেরা ।

নবী ও রাসুললেরা আর আসবেন না । পরম শূন্য তাপমাত্রা হল -২৭৩ ডিগ্রী সেন্টিগ্রড যেটা আসলেই এক্সিস্ট করে না , অন্তত এই দুনিয়াতে।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ বিকাল ০৫:৫০
312602
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : নবী-রাসূলেরা আমাদের জন্যই, মানুষের জন্যই এসেছিলেন, নিজেদের প্রয়োজনে না। তাদের কথা-শিক্ষা, প্রচার আমাদের জন্যই ছিল যা আমাদের কাছে রেখেও গেছেন নিজেদের জন্য সাথে করে নিয়ে যাননি। মুদ্রার এক পাশ দেখার অভ্যাস বর্জন করাই ভাল কারণ আরো একপাশ থেকে যায়।
376829
২৭ আগস্ট ২০১৬ দুপুর ১২:১৫
মিশু লিখেছেন : বারাকাল্লাহি ফিকি আপু। খুব সুন্দর একটি বিষয়। এই পৃথিবীতে নারী পুরুষকে পাঠানোর মূল উদ্দেশ্য কি, তা আমরা প্রায় প্রতিটি পরিবারে ছেলে বা মেয়েকে শিক্ষা দেই না। তাই পরিবারের কাজ দেখে তারাও ধরে নেয় সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সুখ শান্তি লাভই হলো লক্ষ্য। আর স্বা্মী বা স্ত্রী পেতেও সেই দৃষ্টি ভংগী কাজ করে, আর তাই আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে মনে হয় নানান জনে নানান মতামত দিয়ে ও নিয়ে আত্মতৃপ্তি লাভ করেন। প্রতিটি মানুষ যদি যার যার এই দুনিয়াতে আসার পিছনের মূল লক্ষ্য নিয়ে অগ্রসর হতো তাহলে একটি ঐক্যে উপনীত হয়ে সমাধান করা যেতো। আল্লাহই ভালো জানেন। জীবনের একটি অংশ বিয়ে। বিয়ের জন্য জীবন নয়। তাই আমরা আসল লক্ষ্যে কাজ করে যাবার পথে এই সম্পর্কগুলো প্রয়োজন। আল্লাহ আমাদের বুঝার তাওফিক দান করুন। আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও আল্লাহর বান্দা ও খলিফা হিসেবে কাজ করে যাওয়াতেই শান্তি থাকতে পারে, সেটা যেকোন মানুষই এই লক্ষ্যে পেতে পারেন।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ বিকাল ০৫:৫৫
312603
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : মনছোয়া একটা মন্তব্য পড়লাম। কিন্তু আজকাল অধিকাংশের মাঝেই চরম বিদ্বেশী মনোভাব গড়ে উঠেছে দেখলেই অবাক লাগে। আপু একটা কথায় আপত্তি আছে। কুরআন হাদিসের কোথাও মানুষকে আল্লাহর প্রতিনিধি বা খলিফা বলা হয়নি। মানুষ আল্লাহর খলিফা নয়, পৃথিবীতে জীনজাতির জায়গায় স্হলাভিষিক্ত নতুন জাতি। যেমন কুরানে বলা হয়েছে, যখন আদ জাতিকে ধ্বংস করলাম সামুষকে তাদের স্হলাভিষিক্ত করলাম। জাঝাক আল্লাহ।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাত ০৩:০৮
312620
আফরা লিখেছেন : ঘুম ভাঙানি আপনার কাছে তাহলে আমার একটা প্রশ্ন আছে ।

"লিল-- মালা----য়িকাতী ইন্নী জ্বা-ইলুন ফিল আরদ্বি খালিফাহ ( সূরা বাকারা :৩০)

এটুকুর অর্থ বা ব্যাখ্যা আপনার কাছে জানতে চাই ।

কারন এত দিন যত তাফসীর আমি পড়েছি সব গুলো পড়েই আমি এটাই বুঝেছি মানুষ দুনিয়াতে আল্লাহর খলিফা বা প্রতিনিধি ।

আমি জানতে চাই আমি শিখতে চাই এতে আমি কোন লজ্জাবোধ করি না ।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৩০
312638
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আফরা আপু আমি বেশ কিছুদিন যাবত খুবই অসুস্হ ছিলাম এখন সুস্হ হলেও শারিরিকভাবে খুব দূর্বল তাই বিস্তারিত লিখতে পারবোনা। আমি সারাদিন বেশ কয়েকবার আপনার উত্তর দিতে গিয়েও পারিনি কারণ কারেন্ট আসছে আর যাচ্ছে। শেষবারে আমার ল্যাপটপের চার্জও শেষ হয়ে গেল। সম্ভবত কৃত্রিম সংকট তৈরী করা হচ্ছে যেহেতু মানুষজন রামপাল বিদ্যৎকেন্দ্র নিয়ে বিরোধীতা করছে তাই একটু ভোগান্তি দেয়া। যাইহোক। প্রথমেই বলে নেই, আমি আরবি ভাষা ও আরবী গ্রামার দুটিই জানি মোটামোটি মাসাআল্লাহ।
إِنِّي جَاعِلٌ فِي الْأَرْضِ خَلِيفَةً ۖ
আয়াতের অর্থ খুবই স্পষ্ট। নিশ্চয়ই আমি পৃথিবীতে খলিফা বা প্রতিনিধি প্রেরণ করব। আমরা খলিফা বলে কোন শব্দ কোথাও যুক্ত করা হয়নি। এবং প্রাচীন সব তাফসীর গ্রন্গগুলি পড়ুন। তাফসীরে ইবনে কাসির, জারীর বা সহীহ বুখারীর কুরআনের তাফসীর অধ্যায় পড়ুন- সেখানেও কোথাও বলা হয়নি যে, আল্লাহ বলেছেন: নিশ্চয়ই আমি মানুষকে আমার খলিফা বা প্রতিনিধি হিসেবে প্রেরণ করতে চাই। তাফসীরে ইবনে কাসিরে বলা হয়েছে যে: খলিফা এর অর্থ যুগের পর যুগ ধরে পরস্পর স্হলাভিষিক্ত হওয়া। আল্লাহ ফেরেশতাদের সামনে বললেন, যেহেতু জীনজাতিকে ধ্বংস করা হয়েছে তাই আমি মানুষ জাতিকে পৃথিবীতে তাদের স্হলাভিষিক্ত করতে চাই। ফেরেশতারা জীনজাতির অভিজ্ঞতা থেকে বলল, হে আল্লাহ এরাও তো পৃথিবীতে তাদের ন্যায় রক্তপাত, হানাহানি ঘটাবে, বরং আমাদেরকেই তাদের স্হলাভিষিক্ত করুন। আল্লাহ বললেন, আমি যা জানি, তোমরা তা জাননা।
অর্থাৎ মানুষ জাতি জীনজাতির খলিফা বা তাদের জায়গায় স্হলাভিষিক্ত। মানুষ আল্লাহর সমকক্ষ নয়, তাই আল্লাহর খলিফা বা আল্লাহর জায়গায় স্হলাভিষিক্ত হওয়ার প্রশ্নই হাস্যকর। খিলাফত অর্থ হল স্হলাভিষিক্তকরণ আর যিনি পূর্বের জনের জায়গায় স্হলাভিষিক্ত হন তিনি হলেন খলিফা বা তার পূর্ববর্তী জনের প্রতিনিধি যিনি একই দায়িত্ব পালন করবেন।
যেমন ধরেন: আপনার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আপনাকে একজন রুগীর তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দিল। কিন্তু আপনার কোন গাফিলাতির জন্য রুগীর অবস্হার আরো অবণতি ঘটল অথবা কোন দুর্ঘটনায় আপনি নিজেই অসুস্হ হয়ে পরলেন যার জন্য সেই রুগীর দেখভাল করা আর আপনার পক্ষে সম্ভব না, তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আপনাকে অপসারণ করে অন্য আরেকজন ডাক্তারকে সেই কাজে নিয়োগ দেবে। যদি এমন হয় হটাৎ কোন দুর্ঘটনায় নতু নিয়োগ পাওয়া ডাক্তার মারা গেলেন তখন এই দায়িত্ব পালনের জন্য আরেকজন বিজ্ঞ ডাক্তারকে নিয়োগ দেয়া হবে। অর্থাৎ এখানে একজন ডাক্তারের জায়গায় আরেকজন ডাক্তার স্হলাভিষিক্ত হচ্ছেন, তার দায়িত্ব পালন করছেন। এখানে বা এই কাজে পরবর্তী হলেন পূববর্তী ডাক্তারের খলিফা বা প্রতিনিধি। এখানে এক ডাক্তার আরেক ডাক্তারের জায়গায় স্হলাভিষিক্ত হচ্ছেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জায়গা নিয়ে নিচ্ছেন না। এটাই হল খিলাফত। মানুষ কি আল্লাহর সমকক্ষ যে আল্লাহর জায়গায় মানুষ স্হলাভিষিক্ত হবে? জীন জাতিকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল দায়িত্ব দিয়ে তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে তাই মানুষকে তাদের জায়গায় স্হলাভিষিক্ত করা হয়েছে। মানুষ জীন জাতির খলিফা।
এই হাদিসটা পড়ুন-
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বনি ইসরাঈলদের উপর রাজত্ব করতেন নবীগণ। তাদের মধ্যকার একজন নবী মৃত্যুবরণ করলে অপর একজন নবী তাঁর স্হলাভিষিক্ত হতেন। আমার পরে আর কোন নবী নেই বরং খলীফাগণ স্হলাভিষিক্ত হবেন এবং তারা সংখ্যায় প্রচুর হবেন। ( বুখারী: অধ্যায় ৫০: আম্বিয়া কিরাম, হাদিস নং: ৪৬২১, ইফাঃ)
আবু বকর (রাঃ) কে বলা হত, খলিফাতুর রাসুল, উমার (রাঃ) কে বলা হত, খলিফাতুল আবু বকর।
কুরআনের দিকে তাকালে বুঝবেন: যেমন: وَهُوَ الَّذِي جَعَلَكُمْ خَلَائِفَ الْأَرْضِ وَرَفَعَ بَعْضَكُمْ فَوْقَ بَعْضٍ دَرَجَاتٍ لِيَبْلُوَكُمْ فِي مَا آتَاكُمْ
তিনিই তোমাদেরকে ভূমিতে পরস্পরের স্হলাভিষিক্ত করেছেন। দেখেন এখানেও খলিফা শব্দ।
তাছাড়া যখন আদলে ধ্বংস করলেন সাদুমকে তাদের স্হলাভিষিক্ত করলেন।
আল্লাহ ইচ্ছা করলে মানুষকে সরিয়ে নতুন সৃষ্টিকে আনতে পারেন।
যারা নিজ থেকে ফীরে যাবে আল্লাহ তাদের বদলে এমন সম্প্রদায়কে স্হলাভিষিক্ত করবেন যারা আল্লাহর রাস্তায় অবিচল থাকতে অন্য কাউকে পরোয়া করবেনা।
এমনসব প্রতিটি জায়গাতেই দেখবেন খলিফা শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে স্হলাভিষিক্ত অর্থে। যদি আল্লাহ আরেকটু সুস্হতা দেন ইনশাআল্লাহ আমি এটা নিয়ে বিস্তারিত পোস্ট দেয়ার চেষ্টা করব।
এখন প্রশ্ন হল, আমি পৃথিবীতে মানুষকে আমার খলিফা হিসেবে প্রেরণ করব- এই তত্ত্ব এলো কিভাবে? কারাই বা আনল?
আমি আগেই বলেছি আপনি প্রাচীন তাফসীরগ্রন্হগুলি পড়লে এসব পাবেননা। এসবের উৎসই হল আধুনিক বা বর্তমানকালের কিছু তাফসীর ও তরজমার বই পুস্তক। যেগুলি লিখেছে মূলত মডারেট ইসলামিস্টরা।
"আমি পৃথিবীতে মানুষকে আমার খলিফা হিসেবে প্রেরণ করব" এটাই মডারেট ইসলামিক মুভমেন্ট বা আধুনিক ইসলামী রাজনীতির মূলভিত্তি। অর্থাৎ রাজনৈতিক স্বার্থেই প্রতিনিধি বা খলিফার সাথে আমার শব্দটাকে যুক্ত করা হয় আর রাজনৈতিক কারণে সেটার গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে নন-আলিম মডারেট ইসলামিস্ট ও ইসলামিক মুভমেন্ট কর্মীদের মাঝে। আপনি তেমনই কোন তাফসীর পড়েছেন। আফরা মূলে ফীরুন। আপনার ডাক্তার বরের ব্যাপারে তো আর মুখ খুললেন না। হাহা।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দুপুর ০২:৫৪
312658
আফরা লিখেছেন : আমি জানি আপনি অনেক জানেন আপনার তুলনায় আমি কিছুই জানি না ।ইবনে কাসির, ফী জিলালিল কোরআন, মারেফুল কোরআন ও তাফহীমুল কোরআন এই তাফসীর গুলো আমি পড়ি তবে তাফহীমুল কোরআন পড়ে আমি যে মজা পাই অন্যগুলোতে সেটা পাই না ।তাই এটাই বেশী পড়া হয় ।

আপনার সাথে আমি তর্ক নয় শুধু আমি জানার জন্য কিছু প্রশ্ন রাখছি সময় মত উত্তর দিবেন ।

আমরা যে তাফসীর গুলো পড়ি কোরআনের সরল অর্থ গুলো ঠিক আছে ,মানে তো কেউ হাত দেওয়ার প্রশ্নই আসে না । কিন্ত ব্যাখ্যায় তাফসীর কারকগন নিজের মত ব্যাখ্যা করেছেন এবং সবাই নিজের মতের পক্ষে কোরআন -হাদীসের রেফারেন্স ও দিয়েছেন । তবে ব্যাখ্যাও খুব বেশী গড়মিল তাও নয় । যাষ্ট সাভার থেকে এয়ারপোর্ট আপনি এক রাস্তায় যান আমি আরেক রাস্তায় । তবু আমি জানতে চাই কোন তাফসীরটা আপনার বেষ্ট মনে হয় ?

নিশ্চয়ই আমি পৃথিবীতে খলিফা বা প্রতিনিধি প্রেরণ করব। আমরা খলিফা বলে কোন শব্দ কোথাও যুক্ত করা হয়নি।


জী এখানে যেমন আমার খলিফা বলা হয়নি তেমনি জ্বীন জাতির খলিফাও বলা হয় নি ।

কিন্ত আমরা জানি খলিফা মানে প্রতিনিধি যেমন ধরেন আপনার বাবার কোন জরুরী আছে খুলনাতে সেখানে যাওয়া তার দরকার কোন কারনে আপনার বাবা সেখানে যেতে পারছে না আপনার বড় ভাইকে সেখানে যেতে বলল মাঝখানে সে গাড়ী এস্কিডেন্ট করল আপনার বাবা এবার আপনাকে পাঠালো আপনি ওখানে গেলেন এখন বলেন আপনি কার খলিফা বা প্রতিনিধি হয়ে ওখানে গেলেন ------ এবং দায়িত্ব ও পালন করবেন আপনার বাবার ।

এখন আপনি বলেন এখানে আপনি কার প্রতিনিধি আর কার স্হলাভিষিক্ত হলেন ?

আল্লাহ ফেরেশতাদের সামনে বললেন, যেহেতু জীনজাতিকে ধ্বংস করা হয়েছে তাই আমি মানুষ জাতিকে পৃথিবীতে তাদের স্হলাভিষিক্ত করতে চাই।


জী আল্লাহ অবশ্যই ঠিক বলেছেন

স্থলাভিষিক্ত অর্থ (অন্যের) পদে বা স্থানে অধিষ্ঠিত বা কোনো পদের পরবর্তী অধিকারী ।জী এখন আপনার দেওয়া উদাহরন থেকেই দেখুন ।



যেমন ধরেন: আপনার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আপনাকে একজন রুগীর তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দিল। কিন্তু আপনার কোন গাফিলাতির জন্য রুগীর অবস্হার আরো অবণতি ঘটল অথবা কোন দুর্ঘটনায় আপনি নিজেই অসুস্হ হয়ে পরলেন যার জন্য সেই রুগীর দেখভাল করা আর আপনার পক্ষে সম্ভব না, তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আপনাকে অপসারণ করে অন্য আরেকজন ডাক্তারকে সেই কাজে নিয়োগ দেবে। যদি এমন হয় হটাৎ কোন দুর্ঘটনায় নতু নিয়োগ পাওয়া ডাক্তার মারা গেলেন তখন এই দায়িত্ব পালনের জন্য আরেকজন বিজ্ঞ ডাক্তারকে নিয়োগ দেয়া হবে। অর্থাৎ এখানে একজন ডাক্তারের জায়গায় আরেকজন ডাক্তার স্হলাভিষিক্ত হচ্ছেন, তার দায়িত্ব পালন করছেন।


জী এখন আমি যেটা এখন থেকে বুঝতে পারলাম সেটা হল ,দায়িত্ব ও কাজের মাঝে একটু পার্থক্য আছে ।

আমার পরিবর্তে এখানে যে আসল সে আমি যে কাজটা করতাম সে ও সেই কাজটাই করবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ।

এখানে আমি কিন্ত কোন কিছুই না আমার স্থালাভিষিক্ত আরেক জন এসেছেন আমি শেষ এমন কি সে আমার সম্পর্কে তেমন কিছু জানে ও না । এখন তার সব কিছু ড্রিল হবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে এবং তার কাজের ভাল মন্দের জবাবদীহি করতে হবে কর্তৃপক্ষের কাছে ।

তেমনি আমি মনে করি মানুষ জ্বীনদের পরিবর্তে দুনিয়ায় এসেছেন আল্লাহর নির্দেশে । জ্বীনদের সাথে মানুষদের কোন সম্পর্ক নেই ।

খলিফা বা প্রতিনিধি মানেই হল তার কিছু কাজ করা ।দুনিয়ায় চলার জন্য মানুষ যত হুকুম -আহকাম , আদেশ-নির্দেশ পেয়েছেন সবই রাসুলের মাধ্যমে আল্লাহর কাছ থকে এবং কাজের ভাল-মন্দের হিসাব নিবেন আল্লাহ ও প্রতিদান ও দিবেন তিনি ।

তাহলে মানুষ জ্বীনদের প্রতিনিধি হবে কি ভাবে ?

জী আমি অবশ্যই স্বীকার করি মানুষ জ্বীনদের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তবে প্রতিনিধি আল্লাহর । তার মানে আমি এটা বলছি না মানুষ আল্লাহর সমকক্ষ।(নাউজুবিল্লাহ ) একজন শ্রষ্টা মানুষ তার সৃষ্টি ।


আমার মনে হয় খলিফা আর স্হলাভিষিক্ত এর মানে এক নয় ।

কারন সে আমার পরিবর্তে আমার কাজ করছে সে আমার দায়িত্ব পালন করছে না সে দায়িত্ব পালন করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ।

হয়ত আমার বুঝার ভুল আছে তাই আপনার কাছ থেকে আরো একটু পরিস্কার ভাবে জানতে চাচ্ছি ।


আফরা মূলে ফীরুন। কি ভাবে ফিরব ?

সবাই তার মতটাকেই সঠিক মনে করে ।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাত ০১:২১
312671
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আপনার কথা শুনেই বুঝেছিলাম আপনি তাফহীমুল কুরান দ্বারা প্রভাবিত হয়েই এই প্রশ্ন তুলেছেন এখন সেটা আপনি নিজেও উল্লেখ করলেন। শরীয়াহ,ইমারাহ,খিলাফাহ ইত্যাদি জিনিসগুলি ইসলাম এর মূলভিত্তি। এর সাথে গণতন্ত্র এর বিরোধ ছিল সুস্পষ্ট। তখনই আল্লামা ইকবাল মতামত দেন যে, খিলাফত এর বিকল্প হিসেবে গণতন্ত্রকে প্রতিস্হাপিত করা যেতে পারে। তিনি ইমাম মাহদির আগমণের ব্যাপারটি উড়িয়ে দেন। এটা নিয়ে সমালোচনা হয়। তাই দরকার ছিল কুরানিক সমর্থন। আবুল আলা মওদুদী তখন গণতন্ত্রকে সামনে রেখে মডারেট ইসলামিক মুভমেন্ট মতবাদের সমর্থনে ইন্নি জায়িলুন ফিল আরদি ফালিফাহ আয়াতের ভিন্ন অনুবাদ ও ব্যাখ্যা নিয়ে আসেন যে,আল্লাহ মানুষকে তার খলিফা হিসেবে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। আলেমদের কাছে এটা গ্রহণযোগ্য ছিলনা এবং তিনিও আলেম ছিলেন না তাই ব্যাপারটা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। তিনি পশ্চিমা গণতন্ত্র এর সাথে ইসলামের একটা মেলবন্ধন তৈরি করতে চেয়েছিলেন। পশ্চিমারা ব্যাপারটাকে পজিটিভভাবে নেয়, এতে সমর্থন দেয়। সৌদি আরবের জন্যও এমন মতবাদ পজিটিভ যেহেতু তারাও রাজতন্ত্র চালু করেছিল। মিশর, আলজেরিয়া,তিউনিসিয়া,তুরষ্ক,পাকিস্তান,ইন্দোনেশিয়া ইত্যাদি জায়গায় মডারেট ইসলামিক মুভমেন্ট জনপ্রিয় হয়ে ওঠে সাথে সাথে নতুন ধ্যান ধারণা ও তত্ত্ব। যাইহোক আমি এটা নিয়ে ইনশাআল্লাহ বিস্তারিত লিখব। দেখেন আপনার আমার কি মনে হল,তার উপর ইসলামের ব্যাখ্যা চলেনা। কুরানের একটা আয়াতের সাথে তার শানে নুযুল বা নাজিলের পেক্ষাপট, হাদিসে সেই আয়াতের ব্যাপারে কি বলা হয়েছে, সাহাবীরা এর ব্যাখ্যা কিভাবে দিয়েছেন, কিভাবে কাজে লাগিয়েছেন,মুজতাহিদ ও ফকীহরা কি বলেছেন? ইত্যাদি ব্যাপার জড়িত। তাই আমার কথা যতই যুক্তিযুক্ত বলে মনে হোক না কেন, তা যদি শরীয়তের একটি শর্তকেও লঙ্ঘন করে, তা আর গ্রহণযোগ্য থাকেনা। আর আপনি যেই বাবা ও তার দুই পুত্রের উদাহরণ দিয়েছেন তারা ৩ জনই সমগোত্রীয়,মানুষ কিন্তু আল্লাহর সাথে মানুষের তুলনা চলেনা। মানুষ তার সমগোত্রীয় না আর আল্লাহর রাজত্বও শুধুমাত্র দুনিয়াকেন্দ্রীক না।
376906
২৮ আগস্ট ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৪৯
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : পোস্ট আর কমেন্টস দেখে আজ ব্লগে আসাটা স্বার্থক হলো।
নিজেকে কষ্টিপাথরে যাচাই করলেই; সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ বিকাল ০৫:৫৭
312604
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : এটা লেখা ঠিক হয়েছে কিনা জানিনা ভাইয়া। কিন্তু কেউ যখন সমাধান নিয়ে না ভেবে সারাক্ষণ দোষ-ত্রুটি বের করে তা নিজে সমালোচনা করে রাত দিন পার করতে থাকেন তখন সত্যই খুব খারাপ লাগে। হয়ত এমন কিছু প্রকাশখয়ে যায় যা বলা অনুচিৎ। আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক রাস্তাটির দিকে পরিচালিত করুক।
376925
২৯ আগস্ট ২০১৬ দুপুর ০১:২৬
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক অনেক ধন্যবাদ
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ বিকাল ০৫:৫৮
312605
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
377284
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাত ১২:০৭
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ দুপুর ০১:৩১
313049
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
১০
382437
২৬ মার্চ ২০১৭ সকাল ০৯:৫৬
বিবর্ন সন্ধা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম,,

ধাওয়া -পালটা ধাওয়া মন্তব্য Rolling on the Floor
তবে হতভাগা ভাই মনে হয়ে, ঘরে কিছু বলতে পারে না, তাই ভার্চুয়াল এ এসে ই ক্ষোভ ঝাড়ে Tongue
২৯ মার্চ ২০১৭ রাত ০৮:১১
316093
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম। আমি অনেক পুরুষ বিদ্বেষী নারী এবং নারী বিদ্বেষি পুরুষ দেখেছি এবং ব্যক্তিগতভাবে আমার যা মনে হয় তা হল, যখন নারী পুরুষকে তার ইচ্ছামাফিক যেভাবে ইচ্ছা চালাতে চায় কিন্তু পারেনা, বা যেসব পুরুষ নারীদের যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে চায় কিন্তু নারী এখানে নিজের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেয়, সমস্যাটা ঠিক তখনই বাঁধে আর এটাই বিদ্বেষের মূল কারণ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File