একটি মিথ্যাকে দীর্ঘদিন চতুরতায় প্রচার করতে থাকলে একদিন তা সত্য হিসেবেই আত্নপ্রকাশ করে!
লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ২৫ জুন, ২০১৬, ০৯:০৩:১৮ রাত
বিবিএ মার্কেটিং মেজরে একটি জিনিস খুব যত্ন সহকারে শেখানো হয় তা হল, "প্রচারেই প্রসার।" বিবিএ-তে আমার মেজর ছিল ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং তাই আমি মার্কেটিং স্টুডেন্টদের মত এক্সপার্ট নই তবুও সীমিত জ্ঞান দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করব।
প্রচারেই প্রসার কথাটির ব্যাপক অর্থ হল, আপনার উৎপাদনকৃত পণ্যের বিক্রয় বাড়ানোর জন্য আপনাকে পণ্যের ব্যাপারে প্রচুর বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা চালাতে হবে। আপনার উৎপাদনকৃত পণ্যের মাঝে অনেক দুর্বল দিক থাকতেই পারে কিন্তু সেটিকে কখনোই প্রকাশ হতে দেয়া যাবেনা বরং, বিজ্ঞাপন দ্বারা পণ্যের ব্যাপারে মানুষের মনকে এতটাই মোহাবিষ্ট করে ফেলতে হবে যেন, মানুষ আপনার প্রকাশিত তথ্যকেই চিরন্তন সত্য হিসেবে ধরে নেয় এবং চুড়ান্ত ক্রেতায় পরিণত হয়। তাই পণ্য ও সেবাদানকারী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলি তার মোট খরচের অনেক বড় একটি অংশ ব্যয় করে শুধুমাত্র পণ্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা বাবদ। আমরা যদি হরলিক্স, লাইফবয়, ম্যাগি নুডুলস, শিশুদের গুড়ো দুধ, রং ফর্সাকারী ক্রিম ইত্যাদির বিজ্ঞাপন ও প্রচার এবং ভোক্তাদের দিক তাকাই তখন এটার বাস্তবতা উপলব্ধি করি। যেসব পণ্যগুলির কথা উল্লেখ করেছি তা বিগত কয়েক বছরে অনেক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। পণ্যের মান, পণ্যের গুণাগুণ, উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল ইত্যাদি নিয়ে এসব প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে অনেকরকম প্রতারণার তথ্য বেরিয়ে এসেছে যা আমাদেরকে নিজ ও পরিবারের স্বাস্হ্যের কথা ভেবে আতঙ্কিত করে তোলে। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণার দ্বারা মানুষকে মিথ্যা তথ্য দ্বারা এতটাই মোহাবিষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে যে, আমাদের মস্তিষ্কে এটা গেঁথে গেছে- হরলিক্স মানেই টলার, স্ট্রংগার আর শার্পার, লাইফবয় মানেই জীবন, ম্যাগি মানেই হেলদি পুষ্টি ও টেস্টি, শিশুদের গুড়ো দুধে মায়ের দুধের মতই DHA বিদ্যমান, ক্রিম মানুষের মুখের ত্বক ফর্সা করার ক্ষমতা রাখে- অথচ এসবের প্রতিটিই ধোঁকাবাজী, নির্জলা মিথ্যাচার। অর্থাৎ বিজ্ঞাপনের দ্বারা মানুষের মনে প্রভাব সৃষ্টি করতে সক্ষম এমন কিছু লোক যেমন, অভিনেতা/ অভিনেত্রী, বিজ্ঞাপন মডেল, খেলোয়ার ইত্যাদি সেলিব্রেটি ভাড়া করে তাদের দ্বারা আপনি একটা মিথ্যাকে সুন্দরভাবে দীর্ঘদিন, বারবার প্রচার ও উপস্হাপনের দ্বারা সত্যে রূপান্তর করতে সক্ষম।
অথচ যখন বাস্তবতা হল এই,
১. ম্যাগি নুডুলসে মাত্রাতিরিক্ত মনোসোডিয়াম গ্লুমেট এবং সীসা পাওয়ার অভিযোগে ভারতের আদালত ম্যাগী নুডুলস এর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এটি বাচ্চাদের খাদ্য হিসেবে বাংলাদেশে খুব জনপ্রিয় তাই আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে এদেশেও আর এই সুযোগটাকে কাজে লাগায় প্রাণ, মিঃ নুডুলস, সজীব ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান।
২. একমাত্র মানব শিশুর জন্য মায়ের দুধেই DHA (Docosa Hexaenoic Acid) বিদ্যমান। গরু, ছাগল, ভেড়া বা গুড়ো দুধে DHA থাকেনা। এজন্যই চতুষ্পদী স্তন্যপায়ী প্রাণী হয় বিবেক বুদ্ধিহীন অন্যদিকে, মায়ের দুধে DHA বিদ্যমান থাকে বলেই মানুষ এত বুদ্ধিমান প্রাণী হিসেবে বেড়ে ওঠে। এজন্যই ইসলাম মা হারা শিশুকে অন্য মায়ের দ্বারা হলেও দুধ পান করানোর প্রতি এত গুরুত্ব আরোপ করে। আর এই কারণেই ইসলামের দৃষ্টিতে দুধ সম্পর্ক ও রক্তসম্পর্ক একই সমান। অথচ গুড়ো দুধের প্রতিষ্ঠানগুলি বিজ্ঞাপনে সুন্দর সুন্দর নিঃপাপ বাচ্চা আর ডাক্তার মায়েদের উপস্হাপন করে মানুষের কাছে সূক্ষ্ণ মিথ্যাচার করে যাচ্ছে যে, তাদের উৎপাদনকৃত গুড়ো দুধে মায়ের দুধের মতই DHA যোগ করা হয়। আর কয়েকবছর আগে আমরাই দেখলাম শিশুদের গুড়ো দুধের মাঝে মেলানিন (melanin) নামক বিষাক্ত পদার্থের ছড়াছড়ি। জন আতঙ্গে এদেশেও বেশ কটি গুড়ো দুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
৩. লাইফবয় উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল, পণ্যের মান নিয়ে এই কদিন আগেই পত্র-পত্রিকাগুলোকে অনেক লেখালেখি হল।
সিরিয়াস হয়ে যাচ্ছে??? একটু মজা করি। ছোটকালে আমার আম্মু আমাকে হরলিক্স, ল্যাকটোজেন থেকে শুরু করে কোনটা খাওয়ানো বাদ রাখেনি কিন্তু কপাল!! টলার, স্ট্রংগার, শার্পার কোনটাই হলাম না সেই কলেজ লাইফ থেকে একটার পর একটা বড় অসুখ, মেডিকেল সার্জারী পেছনে লেগেই আছে। বাবা-মায়ের উচ্চতার অনুপাতে ছেলে-মেয়েরা যে উচ্চতা পায়, আমি সেই উচ্চতা থেকেও ৩ ইঞ্চি কম। আমি নাকি আমার দাদির জীন-ভূত বহণ করছি তাই এই হাল
"প্রেমে মরা জলে ডোবেনা" বাউল গানটিকে নিয়ে কথা বলা যায়। এই গানের কয়েকটি কলি হল, "প্রেম কইরাছেন ইউসুফ নবী তার প্রেম জুলেখা বিবি গো...... প্রেম কইরাছেন আইয়ুব নবী.....।"
এই জনপ্রিয় বেশ পুরনো গানটির দ্বারা আমাদের দেশের অধিকাংশ সাধারণ মানুষই এই গানটির তথ্যকে সত্য বলে জানেন। এমনকি আমদের নাটক-ছিনেমায় এটিকে উদাহরণ হিসেবে পেশ করাও হয়। কিন্তু আমরা পবিত্র কুরআনের সূরা ইউসুফে বা অন্য কোন আয়াতে বা হাদিসেও নবী ইউসুফ (আঃ) এর এমন কোন প্রেমের ঘটনাই পাইনা। জুলেখা বিবি চরিত্রটি যে সম্পূর্ণরূপে কাল্পনিক ও অবাস্তব, মিথ্যা সেটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। কুরআন বলে, আইয়ুব (আঃ) নারী ফেৎনা হতে মুক্ত, উত্তম চরিত্রের অধিকারী ও আল্লাহর মর্যাদাপ্রাপ্ত একজন নবী। তাহলে বাউল গানে যে তথ্য পরিবেশন করা হচ্ছে- তা সুস্পষ্ট মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয় কিন্তু ব্যাপক প্রচারে সেই মিথ্যাই মানব মনে সত্যে রূপ নিয়েছে।
***আমরা দেখি, ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও এমন মিথ্যাকে বারবার প্রচারের দ্বারা সত্যিতে রূপান্তর করার তীব্র প্রচেষ্টা চলে। আমরা কুরআনের আয়াত দ্বারা এটা প্রমাণ করতে সক্ষম হই যে, ইউরোপিয়ান ইহুদিরা মূলত বনী ইজরাঈল নয়। তারা ইবরাহিম ও সারাহ পুত্র ইসহাক (আঃ) এর বংশধর নয়, এদের সাথে বনী ইজরাঈলের ১২ টি গোত্রের কোনরূপ বংশীয়, জাতিগত বা রক্তসম্পর্ক নেই। এরা মূলত বহিরাগত, ভিন্ন উদ্দেশ্যে তারা ইহুদি ধর্ম গ্রহণ করেছে আর তারাই ১৯১৮ সালে বৃটেনের সহায়তায় ফিলিস্তিনে হামলা চালিয়ে তা দখল করে নেয় এবং ১৯৪৮ সালে ইজরাঈল রাষ্ঠ্র ও যায়োনিজম মতবাদের জন্ম দেয়। সংখ্যালঘু মূল ভীরু-কাপুরুষ বনী ইজরাঈল জাতিকে এরাই জেরুজালেমে জড়ো করেছে এবং গোটা পৃথিবীর মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করছে। মোট ইহুদি জনসংখ্যার ৮০% -ই হল এই ইউরোপীয় ইহুদি জনগোষ্ঠী যারা ১৯৪৮ সালে ইজরাঈল রাষ্ঠ্র প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া পরবর্তীতে তাদের নিয়ন্ত্রিত ইন্টারন্যাশনাল স্যাটেলাইট টিভি, ইউটিউব চ্যানেল, ওয়েবসাইট ইত্যাদি কাজে লাগিয়ে তার দ্বারা ব্যাপক প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে সমস্ত বিশ্ববাসীকে এটা বিশ্বাস করাতে সক্ষম হয়েছে যে, তারা মূলত বনী ইজরাইলের অংশ। আজকের ইজরাঈল রাষ্ঠ্র তাদের ২০০০ বছরের আত্নত্যাগের ফসল, তাদের উপর প্রচুর অত্যাচার-নির্যাতন হলেও তাদের সেই রক্ত বৃথা যায়নি তারা দখলদার মুসলিমদের নিকট থেকে জেরুজালেম স্বাধীন করতে সক্ষম হয়েছে এবং সেখানে বসবাস করার স্হায়ী অধিকার লাভ করেছে। আর তারা এখানে জোড় করে আসেনি বরং আবরাই তাদেরকে সেধে আশ্রয় দিয়েছিল। আর আমরাও আজ মিথ্যাকে সত্য জেনে বলছি, দোষ তো আরবদেরই তারা কেন ইহুদীদের সেধে সেধে ফিলিস্তিনে আশ্রয় দিয়েছিল??
***সবশেষে দাজ্জাল শব্দের অর্থই ধরুন, একে ইংরেজীতে অনুবাদ করলে অর্থ দাড়ায়: Deceiver বাংলা হল, ঠগ। অর্থাৎ সে যা বলে, যা করে, তার প্রতিটিই মিথ্যা, ধোঁকাবাজি। কিন্তু তাকে মোটেও ধোঁকা, মিথ্যা বলে মনে হয়না, বরং সত্য হিসেবেই সেটি প্রকাশিত হয় এবং মানুষ তা বিশ্বাস করে।
উদাহরণ হিসেবে ড্রামা/নাটক বা মুভিগুলোর কথাই ধরুন। একজন মানুষ তথা অভিনেতা-অভিনেত্রী যা করছে, বলছে, দেখাচ্ছে- তাকে আমরা বলছি Acting, অভিনয়। মানে- দেখতে বাস্তব ও সত্যির মত মনে হলেও তা আসলে সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা। এই শিল্প মিথ্যা হলেও মানুষ এগুলোর দ্বারা চরমভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। হটাৎ আবেগের কোন দৃশ্য এলো- দর্শকদের চোখ দিয়ে পানি ঝড়ছে, আবার কখনো তারা হেসে উঠছে। আর বাস্তবে মানুষের চিন্তা-চেতনা, আচার-অভ্যাস, পোশাক-পরিচ্ছদ সব কিছুতেই এর প্রবল অনুকরণ। এটাকে যদি বলা হয়, "deceive বা ছলনা (of a person) cause (someone) to believe something that is not true, typically in order to gain some personal advantage." তাহলে ব্যাপারটায় কেমন জানি দাজ্জালীয় একটা ব্যাপার চলে আসে, তাইনা?
আবার মিডিয়ার কথাতেই আসুন। ওয়ার অন টেরর নামে দীর্ঘদিন ধরেই ফিলিস্তিন, আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন, লিবিয়া সহ নানাপ্রান্তে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছে। মিডিয়াগুলো দাবি করছে, চাক্ষুস প্রমাণ দেখাচ্ছে তারা সন্ত্রাসবাদ দমণ করছে, এটি কোন নিদিষ্ট ধর্মের মানুষের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা নয়। আমরাও দেখছি পাকিস্তান, আফগানিস্তান, সিরিয়া, লিবিয়া, ইরাক, ইয়েমেন, নাইজেরিয়া এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপ আমেরিকাতেও প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষকে হত্যার জন্য প্রচুর বোমা হামলা চালানো হচ্ছে এবং আর তদন্তে এর পেছনে সত্যি সত্যিই মুসলিমদেরই সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাচ্ছে। অর্থাৎ বিস্ময়করভাবে এসব সন্ত্রাসী কাজগুলি যারা করছে তারা ধার্মিক মুসলিম। মিডিয়াই আমাদের চাক্ষুস তথ্য-প্রমাণ দেখাচ্ছে!! "কাজেই সুস্হ পৃথিবীর জন্য মার্কিন বা ইউরোপিয়ান জোটের ওয়ার অন টেররের যৌক্তিকতা আছে" আমরা এটাই ভাবছি- এটাই বলছি। কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখছি ওয়ার অন টেররে ১৪ লাখ ইরাকী পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে, আবু গারিব কারাগারে নিরপরাধ আয়েশারা ধর্ষিত হচ্ছে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইয়েমেনে নিয়মিত মার্কিন ড্রোন হামলায় নারী-শিশু-বৃদ্ধরা হত্যার শিকার হচ্ছে। ইজরাঈল দাবি করে, তাদের যুদ্ধ শুধুমাত্র হামাসকে দমণ করার লক্ষে, আর মিডিয়াতেও আমরা দেখছি তারা হামাসের সামরিক স্হাপনায় বিমান ও স্হল হামলা চালিয়ে তা ধ্বংস করছে। অথচ যুদ্ধশেষে আমরা দেখছি ২০০০ হাজার নিরস্ত্র ফিলিস্তিনী পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে। তাহলে প্রশ্ন হল, সন্ত্রাসীর বিপরীতে এই মানুষগুলো কিভাবে মারা যাচ্ছে? কারা মারছে? এসব মানুষ কি সন্ত্রাসী?
মিডিয়া শুধু এইটুকুই দেখাচ্ছে যে, পরিচ্ছন্ন রাস্তাঘাট, সুন্দর পরিপাটি করে সাজানো গোছানো ফাইভস্টার হোটেল, শপিংমল, গীর্জা, নাইট ক্লাবে হটাৎই উগ্র কোন মুসলিম প্রবেশ করছে তারপর আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে গায়ে বেঁধে রাখা বোমা ফাটিয়ে শত শত সাধারণ মানুষকে উড়িয়ে দিচ্ছে। এরপর স্বজন হারানো মানুষের আর্তনাত, ইসলামের প্রতি ঘৃণা ও বিষবাষ্প ছড়ানো ইত্যাদি নিয়ে প্রচার প্রচারণা আর নতুন করে আবার ওয়ার অন টেররের ছক আঁকার পরিকল্পনা- মিডিয়ার খবর শুধু এটুকুতেই সীমাবদ্ধ। অর্থাৎ মানুষকে দৃশ্যমান সত্য দেখিয়ে পেছনের প্রতারণাটিকে আড়াল করে ফেলা আর মানুষের দৃষ্টি ও চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণ করাই এসবের মূল লক্ষ্য। দৃশ্যমান সত্যের পেছনের প্রতারণার খবরটি আমরা কখনো জানতেও পারছিনা, চাইছিওনা। তাই হয় আমরা বিভ্রান্ত হচ্ছি অথবা যা দেখছি তাকেই সত্য বলে বিশ্বাস করছি। সত্যের দ্বারা কি দারুণ প্রতারণা, তাইনা?
হে মুমিনগণ! যখন তোমাদের কাছে কোন ফাসিক (পাপাচারী/ সত্যপথ-পরিত্যাগকারী) ব্যক্তি সংবাদ নিয়ে আসে, তখন তা অনুসন্ধান কর। যদি তোমরা না জেনে কোন জাতির উপর ঝাঁপিয়ে পড় তাহলে পরবর্তীতে তোমরা যা করেছো, তার উপর লজ্জিত হবে। (সূরা হুজুরাত: আয়াত: ৬)
বিষয়: বিবিধ
১৮৫৩ বার পঠিত, ৩২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এত কাছের চাঁদে যাবার দাবী করে এখন মহাশূন্যে কয়েকটা ঘুরপাক দিয়েই খুব মুড নিয়ে ল্যান্ড করে হেটে আসে।
এ যেন মাস্টার্স ডিগ্রীধারীর এস.এস.সি. পাশ করে বুক ফুলিয়ে হাঁটার মত অবস্থা।
এ্যাপোলো চন্দ্র অভিযান > ৯/১১ > ডব্লিউ এম ডি > ওয়ার অন টেরর > আই এস
সবই এক সূত্রে গাঁথা।
....খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা পেশ করেছেন, মুসলিম উম্মাহর কতিপয় রোগ, দুর্বলতা, অপপ্রচারে বিশ্বাস করা এবং দৈন্যতার চিত্র সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। আশাকরি পাঠক সঠিক মেসেজ অনুধাবন করতে পারবেন..
তারপরও চেষ্টা করি। আপনার পোষ্টগুলোও পড়া হয় হচ্ছে না।সবারটা জমতে জমতে ১১৫ টা জমেছে।
এতগুলো তো সম্ভবও না।তাই কিছু কিছু পড়তে পারব।
আশা করি সুস্থ হয়ে ব্লগে আসেন।
আমার পন্হাটা বলে দিই। আমি দেখি কে কতগুলো করে ব্লগ পোস্টের আমন্ত্রণ পাঠিয়েছেন? হয়ত একজন ৫ টা লেখা পড়ার আমন্ত্রণ দিয়েছেন তখন তার ৫ টা লেখার মধ্য থেকে যেটিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে হবে, সেটিই আমি পড়ি। এরপর নেক্সট লেখকের বেলাতেও তাই করি। এভাবে লেখা কমে যায়। এরপর যেগুলি অপঠিত থাকে, সেগুলির নোটিফিকেশন ডিলিট করে দেই। আপনি এটা ফলো করতে পারেন। আমাকে মনে রেখেছেন সেটাই অনেক রে আপু। জাঝাক আল্লাহ
দিকভ্রান্ত, প্রাকটিসিং, সচেতন - খোলামনের মুসলিম দের জন্য সময়োপযোগী বিষয়াদির উপর লিখছেন দেখে ভাল লাগলো।
ঘুমন্ত, প্রতারিত মুসলিমদের কনসাস ফিরিয়ে আনতে হবে এবং আনা জরূরি।
ধন্যবাদ।
অনেক দিন পর এলাম,
কেমন আছেন আপুনি?
সুস্থতা যে কত বড় নিয়ামত, তা সামান্য একটু অসুস্থ হলে ই বোঝা যায়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন