দাজ্জাল ও ইয়াজুজ মাজুজ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত প্রতারণাপূর্ণ বিশ্বব্যবস্হা (গ্লোবাল ভিলেজ), জেরুজালেম(ইজরাইল/ফিলিস্তিন)-বনী ইজরাঈল ও খৃষ্টান এবং যুদ্ধবিদ্ধস্ত মুসলিমদের ভবিষ্যৎ! ৩য় পর্ব....

লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ১৯ জুন, ২০১৬, ০৮:০৪:০০ রাত



প্রথম পর্বের লিংক২য় পর্বের লিংক

ইবরাহীম (আঃ) এর বংশধরদের জন্য জেরুজালেমের উত্তরাধিকার লাভের আল্লাহ প্রদত্ত শর্ত।

এর আগে আমি উপদেশের পর {মুসা (আঃ) এর নিকট নাজিল হওয়া তাওরাতের পর} যাবুরে { নবী দাউদ (আঃ) এর কাছে নাজিলকৃত} লিখে দিয়েছি যে, আমার সৎকর্মপরায়ন বান্দারা ঐ ভূমির ( জেরুজালেম ) উত্তরাধিকার লাভ করবে। (সুরা আম্বিয়া, ২১:১০৫)

বনী ইজরাঈলীদের শর্তভঙ্গ, ভয়ানক শাস্তি আস্বাদন ও উত্তরাধিকার প্রত্যাহার এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে বহিষ্কার:

এবং আমি কিতাবে প্রত্যাদেশ দ্বারা বনী ইজরাঈলকে জানিয়েছিলাম, নিশ্চয়ই তোমরা ভূমিতে (জেরুজালেম) দুইবার বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং তোমরা অতিশয় অহংকারী হয়ে উঠবে। (ফলাফলে আল্লাহ তোমাদের চরম শাস্তি প্রদান করবেন।

অতঃপর এই (শাস্তি) দুইয়ের প্রথমটির নির্ধারিত কাল যখন উপস্হিত হল তখন আমি তোমাদের বিরুদ্ধে (শাস্তিস্বরূপ) প্রেরণ করেছিলাম আমার বান্দাদেরকে (৫৮৭ খৃষ্টপূর্ব-নেবুচাঁদনেজার (বখতে নসর) নেতৃত্বাধীন ব্যাবিলনীয় আর্মি ), (যারা) যুদ্ধে অত্যন্ত শক্তিশালী; তারা (তোমাদের প্রতি) ঘরে ঘরে প্রবেশ করে সমস্ত কিছু ধ্বংস করেছিল। আর প্রতিশ্রুতি কার্যকর হয়েই থাকে।

অতঃপর আমি তোমাদেরকে পুনরায় তাদের উপর প্রতিষ্ঠিত করলাম, তোমাদেরকে ধন ও সন্তান-সন্ততি দ্বারা সাহায্য করলাম এবং সংখ্যাগরিষ্ঠে পরিণত করলাম। (জেরুজালেম শত্রুমুক্ত হল)

তোমরা সৎকর্ম করলে সৎকর্ম নিজেদের জন্য করবে এবং মন্দ কাজ করলে সেটাও করবে নিজেদের জন্যই। (অর্থাৎ তারা আবার পূর্বের মত মন্দ কর্মকান্ডে নিজেদের নিয়োগ করল) অতঃপর পরবর্তী (শাস্তির) নির্ধারিত কাল উপস্হিত হল আমি আমার বান্দাদেরকে (৭০ খৃষ্টাব্দে টিটাস নেতৃত্বাধীন রোমান আর্মি) প্রেরণ করলাম তোমাদের মুখমন্ডল মালিমালিপ্ত ( চূড়ান্তভাবে জেরুজালেম থেকে বহিষ্কার) করার জন্য, প্রথমবার তারা ( নেবুচাঁদনেজার নের্তৃত্বাধীন ব্যাবিলনীয় আর্মি) যেভাবে মসজিদে (মাসজিদুল আকসা) প্রবেশ করেছিল পুনরায় সেইভাবেই তাতে প্রবেশ করবার জন্য (মসজিদ ধ্বংশ করার জন্য- এর দ্বারা বোঝায় তারা মসজিদের উত্তরাধিকারী হলেও পাপাচারী, নবী হত্যাকারী ও আল্লাহর আয়াত অস্বীকারকারী তাই আল্লাহর ঘর পাপাচারীদের নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারেনা) এবং তারা ( আগ্রাসণে ) যা কিছু অধিকার করেছিল তা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার জন্য।

সম্ভবত তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের প্রতি দয়া করবেন (আবারো জেরুজালেমে ফীরিয়ে আনবেন) কিন্তু যদি তোমরা পূর্ব-আচরণেরপুনরাবৃত্তি কর তবে আমিও পুনরাবৃত্তি করব। জাহান্নামকে আমি কাফিরদের জন্য করেছি কারাগার। ( সূরা বনী ইজরাইল: ১৭: ৪-৭)

উল্লেখ্য এটিই ছিল বনী ইজরাইলীদের চুড়ান্তভাবে জেরুজালেম থেকে অপমান ও লাঞ্ছনা নিয়ে বহিষ্কার করার সর্বশেষ ঘটনা। টিটাস নেতৃত্বাধীন রোমান আর্মি ৭০ খৃষ্টাব্দে জেরুজালেমে ভয়াবহ এক আক্রমণ পরিচালনা করে। মাসজিদুল আকসা ধ্বংশ করে, জেরুজালেমের বাড়িঘর চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়, অগ্নিসংযোগ চালায়, সমস্ত শহরজুড়ে চলে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ আর বনী ইজরাঈল বহিষ্কৃত হয় জেরুজালেজ থেকে।

বিচ্ছিন্ন- বিক্ষিপ্ত, অভিশপ্ত জাতির জন্য পুনরায় মহান আল্লাহ তায়ালার ক্ষমার দরজা খুলে দেয়া।

যদি তারা (বনী ইজরাঈল) ঈমান আনত ও মুত্তাকী হত, তবে নিশ্চিতভাবে তাদের প্রতিফল আল্লাহর নিকট অধিক কল্যাণকর হত, যদি তারা জানত! ( বাকারা ১০৩)

এই বিক্ষিপ্ত জাতির একটি অংশ আরবে এসে বসতি স্হাপন করে যেহেতু এটি ছিল তাদের পিতৃপুরুষ ইবরাহীম ও ইসমাঈল (আঃ) এর স্মৃতিবিজড়িত ভূমি আর তারা জানত শেষ নবীর আগমণ এখানেই ঘটবে তাই তার আশায় এরা প্রহর গুণছিল। এরা অন্য গোত্রগুলিকে বলত, তোমরা আমাদের নীচু ভাবছ!! জেনে রাখো, শেষনবীর আগমণ ঘটলে তার অনুসারী হিসেবে আমরা শ্রেষ্ঠত্বে তোমাদের চেয়ে উচুতে অবস্হান করব। শেষ নবীর আগমণ ঘটল তিনি মক্কা ছেড়ে মদিনায় হিজরত করলেন মদিনার ইহুদিরা তাদের নিকট রক্ষিত আসমানী কিতাবের ভবিষ্যৎবাণীর দ্বারা তাকে স্পষ্টভাবে শেষ নবী হিসেবে চিনতে পারল।

কুরআনের ভাষায়:

আমি যাদেরকে ( বনী ইজরাঈল) কিতাব দিয়েছি তারা তাকে (মুহাম্মাদ সাঃ) সেইরূপ (সত্যবলেই) জানে যেইরূপ তারা নিজেদের সন্তানদের চিনে এবং তাদের একদল জেনেশুনে সত্য গোপন করে থাকে। (বাকারা ১৪৬)

কিন্তু তাদের বিশ্বাস ছিল শেষনবী আগমণ করবেন বনী ইজরাঈল বংশ থেকে কিন্তু রাসূল (সাঃ) এর আগমণ ঘটে ইসমাঈল (আঃ) এর বংশে তাই তারা জিদ, অহংকারের বশবর্তী হয়ে রাসূল (সাঃ) কে প্রত্যাখ্যান করে বসল। কুরআনের ভাষায়:

তাদের নিকট যা আছে আল্লাহর নিকট হতে (আসমানী কিতাবসমূহ) যখন তার প্রত্যয়নকারী কিতাব আসল, যদিও পূর্বে সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের বিরুদ্ধে তারা এর সাহায্যে বিজয় প্রার্থনা করত, তবুও তারা যার [মুহাম্মাদ (সাঃ)] ব্যাপারে জ্ঞাত ছিল তা [মুহাম্মাদ সাঃ] যখন তাদের নিকট আসল তখন তারা সেটা [রাসূল সাঃ কে) প্রত্যাখ্যান করল। সুতরাং কাফিরদের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ।

আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, জিদের বশবর্তী হয়ে (যেহেতু মুহাম্মাদ সাঃ ইজরাঈলী নন, আরব) তারা তাকে প্রত্যাখ্যান করত শুধুমাত্র এই কারণে যে, আল্লাহ তার বান্দাদের মধ্য হতে যাকে ইচ্ছা অনুগ্রহ করেন। সুতরাং তারা ক্রোদের উপর ক্রোধের পাত্র হল। কাফিরদের জন্য লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি রয়েছে। (বাকারা: ৮৯-৯০)

তবুও মহান আল্লাহ তাদের মন নরম করার জন্য রাসূল (সাঃ) কে মাসজিদুল আকসাকে কিবলা করে নামাজ পড়ার আদেশ দিলেন এবং মদিনায় দীর্ঘ ১৭ মাস এ ধারা অব্যাহত থাকে। কিন্তু তারা রাসূল (সাঃ) কে শুধু প্রত্যাখ্যান করেই ক্ষান্ত হলোনা, পূর্বের ন্যায় তারা তাদের নবী ও মুমিনদের সাথে যেরূপ আচরণ করত, বিদ্বেষ পোষণ করত এবারও তারা সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি করল। ফলাফলে কিবলা পরিবর্তন হয়ে গেল তথা মহান আল্লাহ তাদের নিকটথেকে মুখ ফীরিয়ে নিলেন, তওবার দরজা বন্ধ হয়ে গেল।

নির্বোধরা (বনী ইজরাঈল) অচিরেই বলবে যে, তারা এতদিন যে কিবলা (মাসজিদুল আসকা) অনুসরণ করে আসছিল সেটা হতে কিসে তাদেরকে (কাবার) ফিরীয়ে দিল? বল, পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই। তিনি যাকে ইচ্ছা সরলপথে পরিচালিত করেন। ( ১৪২ বাকারা)

জেরুজালেমে মুত্তাকী হয়ে প্রবেশের পথ তাদের জন্য চীরতরে বন্ধ হয়ে গেল। জেরুজালেমের উত্তরাধিকারী হিসেবে মহান আল্লাহ মনোনিত করলেন মুসলিমদের। রাসূল (সাঃ) কে মিরাজের মহিমান্বিত রাতে জেরুজালেমের মাসজিদুল আকসায় অভ্যর্থনা জানানো হল। ( সূরা বনী ইজরাইল/ ইসরা, আয়াত: ১)

তিনিই তোমাদেরকে (পবিত্র) ভূমির (জেরুজালেম) উত্তরাধিকারী করেছেন, এবং একে অন্যের উপর মর্যাদায় সমুন্নত করেছেন, যাতে তোমাদেরকে এই বিষয়ে পরীক্ষা করেন, যা তোমাদেরকে দিয়েছেন। তোমার প্রতিপালক দ্রুত শাস্তিদাতা, এবং তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, দয়ালু (সূরা আনআম: ৬:১৬৫)

বনী ইজরাঈল পবিত্রভূমি থেকে বহিষ্কার হওয়ার ৬০০ বছর পর হযরত উমার (রাঃ) এর খেলাফতকালে মুসলিমগণ জেরুজালেম অধিকার করেন এবং খৃষ্টানরা তাকে আমন্ত্রণ জানায় এই ভূমির মালিকানা বুঝে নেয়ার জন্য। আলোচ্য আয়াতের ভবিষ্যৎ প্রতিশ্রুতি সত্য হয়।

নতুনভাবে মুসলিমদের প্রতি শত্রুতায় উজ্জীবিত এক নির্বোধ জাতি:

তুমি কি তাদের প্রতি লক্ষ্য করনি যাদেরকে (আল্লাহর) কিতাবের এক অংশ দেয়া হয়েছিল? তারা ভ্রান্ত পথ ক্রয় করে এবং "তোমরাও (তাদের ন্যায় ) পথভ্রষ্ট হয়ে যাও" এটাই তারা কামনা করে। (সূরা নিসা: ৪:৪৪)

অবশ্যই মুমিনদের প্রতি শত্রুতায় মানুষের মধ্যে ইয়াহুদী ও মুশরিকদেরকেই তুমি সর্বাধিক উগ্র দেখবে (সূরা মায়িদা: ৫: ৮২)

রাসূল (সাঃ) তাদের সাথে মদিনায় শান্তি চুক্তি করেন, তাদের পূর্ণাঙ্গ ধর্মীয় স্বাধীনতা, যাবতীয় নাগরিক সুযোগ সুবিধা প্রদান করেন কিন্তু এরপরও তারা বারবার মক্কার কুরাইশদের গোপনে হাত মিলায়, মদিনা আক্রমণে উদ্বুদ্ধ করে, মুসলিমদের মাঝে বিভেদ ও সংঘাত সৃষ্টির চেষ্টা করে, খন্দক যুদ্ধে তারা মদিনা চুক্তি ভঙ্গ করে কুরাইশদের সাথে প্রকাশ্যে হাত মিলায়, রাসূল (সাঃ) কে হত্যার পরিকল্পনা হাতে নেয়, মদিনা শহরে একটি ব্যর্থ হামলা চালায়, তাদের কাছে এই অপকর্মের ব্যাখ্যা জানতে চাইলে তারা যুদ্ধের ঘোষণা দেয় অথচ তাদের জন্য সুযোগ ছিল রাসূল (সাঃ) কে নবী হিসেবে মেনে নিয়ে ক্ষমাপ্রাপ্তি ও শত্রুতা শেষ করার। রাসূল (সাঃ) বনী ইজরাঈলী গোত্র বনু কুরাইজার দূর্গ অবরোধ করেন। তারা দূর্গের ভিতর থেকে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে অল্প কিছু মুসলিমকে আহত ও নিহত করে। কিন্তু অবশেষে আত্বসমর্পন করে ও মদিনা থেকেও বহিষ্কৃত হয়।

সামান্য কষ্ট দেয়া ছাড়া তারা তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবেনা। যদি তারা তোমাদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয় তবে তারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে; অতঃপর তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হবেনা। (আল ইমরান: ১১১)

"বনী ইজরাইল, আল্লাহর অভিশাপ কুড়ানো জাতি:

তোমরা কি এই আশা কর যে, তারা তোমাদের কথায় ঈমান আনবে? যখন তাদের এক দল আল্লাহর বাণী শ্রবণ করে; অতঃপর তারা তারা তা হৃদয়ঙ্গম করার পরও বিকৃত করে, অথচ তারা জানে (এটা সত্য আর তারা যা করছে তা সীমালংঘন)। (বাকারা: ৭৫)

আল্লাহর অনকম্পা ও মানুষের আশ্রয় ছাড়া যেখানেই তারা অবস্হান করুক, সেখানেই তারা লাঞ্ছিত হয়েছে। তারা আল্লাহর ক্রোধের পাত্র হয়েছে এবং তাদের উপর পতিত হয়েছে দারিদ্রের কশাঘাত। এটা এজন্য যে, তারা আল্লাহর আয়াতসমূহ প্রত্যাখ্যান করত এবং অন্যায়ভাবে নবীদেরকে হত্যা করত; এটা এজন্য যে, তারা অবাধ্য হয়েছিল এবং সীমালংঘন করত। (সূরা আল ইমরান: ৩: ১১২)

স্মরণ কর, তোমার প্রতিপালক ঘোষণা করেন, তিনি তো কিয়ামত পর্যন্ত তাদের উপর এমন লোকদেরকে প্রেরণ করবেন যারা তাদেরকে কঠিন শাস্তি দিতে থাকবে, আর তোমার প্রতিপালক তো শাস্তিদানে তৎপর আর তিনি তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

দুনিয়ায় আমি তাদেরকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করি; তাদের কিছুলোক সৎকর্মপরায়ণ এবং কিছুলোক অন্যরূপের এবং মঙ্গল ও অমঙ্গল দ্বারা আমি তাদের পরীক্ষা করি, যেন তারা (আল্লাহর রাস্তায়) প্রত্যাবর্তন করে। ( আরাফ- ১৬৭-১৬৮)

ইয়াহুদীরা বলে, আল্লাহর হাত আবদ্ধ, (বরং) তাদের (ইয়াহুদীদের) হাতই আবদ্ধ এবং তারা যা বলে তার কারণেই তারা হয়েছে অভিশপ্ত, বরং আল্লাহর উভয় হস্তই প্রসারিত; যেভাবে ইচ্ছা তিনি দান করেন। তোমার প্রতিপালকের নিকট হতে যা তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তা তাদের অনেকের ধর্মদ্রোহীতা ও কুফরী বৃদ্ধি করবেই। তাদের মধ্যে আমি কিয়ামত পর্যন্ত স্হায়ী শত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চার করেছি। যতবার তারা যুদ্ধের আগুন প্রজ্বলিত করে ততবার আল্লাহ তা নিভিয়ে দেন এবং তারা দুনিয়ায় ধ্বংসাত্নক কাজ করে বেড়ায়; আল্লাহ ধ্বংসাত্নক কাজে লিপ্তদেরকে ভালবাসেন না। ( সূরা মায়িদা: ৫:৬৪)

বল, আমি কি তোমাদেরকে (বনী ইজরাঈলকে) এটা অপেক্ষা নিকৃষ্ট পরিণামের সংবাদ দিব যা আল্লাহর নিকট আছে? যাকে আল্লাহ লানত করেছেন, যার উপর তিনি ক্রোধান্বিত, যাদের কিছুলোককে তিনি বানর আর কিছুলোককে শূকর বানিয়েছেন, এবং যারা তাগূতের ইবাদত করে, মর্যাদায় তারাই নিকৃষ্ট এবং সরল পথ থেকে সর্বাধিক বিচ্যুত। ( মায়িদা ৫;৬০)

চলবে ইনশাআল্লাহ.........................

বিষয়: বিবিধ

১৭৭২ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

372503
১৯ জুন ২০১৬ রাত ০৮:২৮
সন্ধাতারা লিখেছেন :
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ছোট আপি।

নির্বোধরা (বনী ইজরাঈল) অচিরেই বলবে যে, তারা এতদিন যে কিবলা (মাসজিদুল আসকা) অনুসরণ করে আসছিল সেটা হতে কিসে তাদেরকে (কাবার) ফিরীয়ে দিল? বল, পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই। তিনি যাকে ইচ্ছা সরলপথে পরিচালিত করেন। ( ১৪২ বাকারা)


মহান প্রভু সর্বাবস্থায় তোমার মঙ্গল করুণ এবং তোমার প্রত্যাশা পূরণ করার শক্তি ও সামর্থ্য দান করুণ। আমীন।
২১ জুন ২০১৬ রাত ১২:৪৫
309388
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম আপি। "আমার যে জীবনের প্রত্যাশা বা গোল কি?" সেটাই তো জানিনা। উদ্দেশ্যহীন, এলোমেলো জীবন। জাঝাক আল্লাহ আমার জন্য দোয়া করার জন্য। বলেছিলাম, ব্লগাররা খুব তাড়াতাড়ি ঝিমিয়ে পরবে হলোও তাই। আসলে কুরআনের আয়াত দেখলে খোদ কুরআনের গুণগান গাওয়া মানুষরাই কেন পগার পার হয়ে যায়, আল্লাহ ভাল জানেন। Good Luck Good Luck
372513
১৯ জুন ২০১৬ রাত ১০:০৮
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, লিখতে থাকুন, আমি সবগুলো বুকমার্কে জমা করতেছি।

২১ জুন ২০১৬ রাত ১২:৪৬
309389
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম ভাইয়া। হুম ভাল কাজ করছেন সময় করে পড়ে নিবেন। জাঝাক আল্লাহ। Good Luck Good Luck
372528
১৯ জুন ২০১৬ রাত ১০:৪৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২১ জুন ২০১৬ রাত ১২:৪৬
309390
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : জাঝাক আল্লাহ শ্রদ্ধেয় সবুজ ভাইয়া। Good Luck Good Luck
372529
১৯ জুন ২০১৬ রাত ১০:৫০
শেখের পোলা লিখেছেন : অবশেষে এই অভিশপ্ত জাতির হাতেই দুিয়ার মসলীমদের আল্লাহ লাঞ্ছিত করছেন তাদের বদ আমলের জন্য। চলুক। জাজাকাল্লাহুখাইরান।
২১ জুন ২০১৬ রাত ১২:৪৭
309391
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ভাল বলেছেন চাচাজান। জাঝাক আল্লাহ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। Good Luck Good Luck
372561
২০ জুন ২০১৬ সকাল ০৮:৩৩
হতভাগা লিখেছেন : মদিনায় যখন দরস্হনীয় স্থান দেখতে যাই - তখন অনেক স্থানের মধ্যে মাসজিদ - কিবলাতাইন এ গিয়েছিলাম । শুনেছিলাম যে - এই মাসজিদে নামাজ পড়া অবস্থায় নাকি উক্ত আয়াতটি নাজিল হয় এবং রাসূল (সাঃ) সে সময়ে বায়তুল মোকাদ্দাস থেকে কাবার দিকে মুখ করে নামাজ পড়া শুরু করে দিয়েছিলেন।

ইহুদীদের শায়েস্তা করার জন্য হিটলারকে পেয়েছিল বিশ্ববাসী গত শতকে । এখন তো দেখি সব কিছুর তলে তলে ইহুদীরাই । হয়ত আল্লাহ তাদের জন্য আরও কঠিন কাউকে তৈরি করছেন ।
২১ জুন ২০১৬ রাত ১২:৪৯
309392
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : হ্যা ভাইয়া আপনার প্রতিটি কথাই সঠিক। কুরআনে তো আল্লাহ বলেই দিয়েছেন যদি বনী ইজরাঈল তোমরা আবারো পূর্বের ন্যায় মন্দকাজের পুনরাবৃত্তি কর, তবে আমিও শাস্তির পুনরাবৃত্তি ঘটাব। Good Luck Good Luck
০৮ জুলাই ২০১৬ সকাল ০৬:১৩
310450
সাদাচোখে লিখেছেন : মাসজিদ - কিবলাতাইন নিয়ে আপনি যা বলেছেন - তা একটা বর্ননা। কিন্তু অন্য বর্ননাটি অধিকতর স্ট্রং - যেখানে বলা হয়েছে রাসুল সঃ মদীনায় আয়াত টি পেয়েছেন এবং কয়েকজন দূত পাঠিয়েছিলেন বিভিন্ন মসজিদের উদ্দেশ্যে কেবলা পরিবর্তন এর কথা জানানোর জন্য। এই মসজিদে দূত যখন পৌছেন - তখন আসর এর নামাজ চলছিল এবং তনি ঘোষনা দিলে পর ইমাম নামাজের রো এর মধ্যে দিয়ে হেঁটে পেছন দিকে যান এবং মোক্তাদি রা ঘুরে দাড়ান।

ইয়াহুদীদের শায়েস্তা নিয়ে হিটলারের যে ভূমিকার কথা রেফার করছেন - আধুনিক ইনভেস্টিগেশান ভিত্তিক রিসার্স - মূলতঃ তার অপজিট চিত্রই দিচ্ছে - যেখানে বলা হয়েছে নিয়ন্ত্রক ইয়াহুদীরা বনী ইসরাইলীদের হত্যা করিয়েছে আর নিজেরা নীট বেনিফিট নিয়েছে - সংখ্যা বাড়িয়ে এবং পলিটিক্যাল ইনফ্লুয়েন্স খাটিয়ে এন্টিসেমিটিজমের নামে তা চাপা দিয়ে রাখছে। অনেকটা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের গাল গল্পের মত।
আল্লাহ ভাল জানেন।
374185
০৮ জুলাই ২০১৬ সকাল ০৬:১৪
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।
লিখেছেন, 'বলেছিলাম, ব্লগাররা খুব তাড়াতাড়ি ঝিমিয়ে পরবে হলোও তাই। আসলে কুরআনের আয়াত দেখলে খোদ কুরআনের গুণগান গাওয়া মানুষরাই কেন পগার পার হয়ে যায়, আল্লাহ ভাল জানেন'।

তারপর ও শেষ করতে হবে।
374578
১৩ জুলাই ২০১৬ রাত ১১:৩৪
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
পড়েছি, অনেক ভালো লেগেছে। জাযাকিল্লাহ খাইর
375398
২৭ জুলাই ২০১৬ রাত ০৮:০৮
আসমানি লিখেছেন : শেষ পর্যন্ত না পড়ে কমেন্ট করতে পারছিনা।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File