দাজ্জাল ও ইয়াজুজ মাজুজ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত প্রতারণাপূর্ণ বিশ্বব্যবস্হা (গ্লোবাল ভিলেজ), জেরুজালেম(ইজরাইল/ফিলিস্তিন)-বনী ইজরাঈল ও খৃষ্টান এবং যুদ্ধবিদ্ধস্ত মুসলিমদের ভবিষ্যৎ! ২য় পর্ব....
লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ১৮ জুন, ২০১৬, ০৮:১৭:২২ রাত
প্রথম পর্বের লিংক
পবিত্র কুরআনে জেরুজালেম ও বনী ইজরাইল তথা ইয়াকুবের বংশধরগণ:-
অথচ এমন এক জনগোষ্ঠী (বনী ইজরাইল) যাদেরকে (অতীতে) নিম্নশ্রেণীর মনে করা হত, আমি তাদেরকে উত্তরাধিকার হিসেবে ঐ ভূমির (জেরুজালেম) পূর্ব ও পশ্চিম অংশ দান করেছিলাম যাতে আমি বরকত সন্নিহিত রেখেছি এবং বনী ইজরাইলের প্রতি তোমার প্রভূর প্রতিশ্রুত কল্যাণ পরিপূর্ণ হয়ে গেছে তাদের ধৈর্যধারণের দরুণ। (সুরা আরাফ:৭:১৩৭)
(মূসা আঃ বললেন) হে আমার সম্প্রদায়! আল্লাহ তোমাদের জন্য যে পবিত্রভূমি (জেরুজালেম- যাকে ইংরেজিতে বলা হয় হোলি ল্যান্ড) নির্ধারণ করেছেন তাতে তোমরা প্রবেশ কর এবং পেছনে ঘুরে দাড়িও না; তা করলে তোমরা ক্ষতিগ্রস্হ হয়ে পড়বে।( সূরা মায়িদা: ৫:২১)
আল্লাহর মনোনিত জাতি থেকে আল্লাহর অভিশপ্ত জাতিতে পরিণত হওয়া।
হে ইজরাঈল-সন্তানগণ! আমার সেই অনুগ্রহকে স্বরণ কর যার দ্বারা আমি তোমাদেরকে আনুগৃহীত করেছিলাম এবং তোমাদেরকে বিশ্বে সবার উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছিলাম। (সূরা বাকারা: ২:১২২)
আমি তাদেরকে (বনী ইজরাইল) সুস্পষ্ট প্রমাণ দান করেছিলাম দীন সম্পর্কে। তাদের নিকট জ্ঞান আসার পর তারা শুধু পরস্পর বিদ্বেষবশত বিরোধীতা করেছিল। তারা যে বিষয়ে মতবিরোধ করত, তোমার প্রতিপালক কিয়ামতের দিন তাদের মাঝে সে বিষয়ে ফয়সালা করে দিবেন। ( জাসিয়া ৪৫: ১৭)
আমি বনী ইজরাঈলের নিকট হতে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলাম এবং তাদের নিকট রাসূল প্রেরণ করেছিলাম। যখনই কোন রাসূল তাদের নিকট এমন কিছু (আল্লাহর আয়াতসমূহ) আনে যা তাদের মনঃপূত নয়, তখনই কতককে মিথ্যাবাদী বলে ও কতককে হত্যা করে।
তারা মনে করেছিল (অন্যায়ভাবে নবী-রাসূলগণকে হত্যা ও আল্লাহর আয়াত অস্বীকার করার পরেও) তাদের কোন শাস্তি হবেনা; ফলে তারা (সত্য অনুধাবণে) অন্ধ ও বধির হয়ে গিয়েছিল। অতঃপর আল্লাহ তাদের প্রতি ক্ষমাশীল হয়েছিলেন। পুনরায় তাদের অনেকেই অন্ধ ও বধীর হয়ে গিয়েছিল। তারা যা করে (সীমালংঘন ও পাপাচার) আল্লাহ তার সম্যক দ্রষ্টা। (সূরা মায়িদা: ৫: ৭০-৭১)
অতঃপর (বনী ইজরাইলের) অযোগ্য উত্তরপুরুষগণ একের পর এক তাদের স্হলাভিষিক্তরূপে (আল্লাহর) কিতাবের উত্তরাধীকারী হয়: তারা এই তুচ্ছ দুনিয়ার সামগ্রী (ঘুষ ও নন-ইহুদিদের সাথে সুদের লেনদেন প্রচলন) গ্রহণ ও আল্লাহর আয়াতসমূহ পরিবর্তন ও বিকৃতকরণ) গ্রহণ করে এবং বলে, আমাদেরকে ক্ষমা করা হবে। কিন্তু তার অনুরূপ সামগ্রী তাদের নিকট আসলে সেটাও তারা গ্রহণ করে। কিতাবের (দ্বারা) অঙ্গীকার কি তাদের নিকট হতে নেওয়া হয়নি যে, তারা আল্লাহ সম্পর্কে সত্য ব্যতীত (মিথ্যাকথা) বলবে না? এবং তারা তো সেটাতে (আসমানী কিতাবে) যা আছে তা অধ্যয়নও করে। যারা তাকওয়া অবলম্বন করে তাদের জন্য পরকালের আবাসই উত্তম, তোমরা কি অনুধাবন করোনা?
যারা কিতাবকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করে ও সালাত কায়েম করে, আমি তো এইরূপ সৎকর্মপরায়ণদের শ্রমফল নষ্ট করিনা। (আরাফ: ৭;১৬৬-১৭০)
দেখ তারা (বনী ইজরাঈল) আল্লাহ সম্পর্কে কিরূপ মিথ্যা উদ্ভাবন করে; এবং প্রকাশ্য পাপ হিসেবে এটিই যথেষ্ট।
তুমি কি তাদের (বনী ইজরাঈল) প্রতি লক্ষ্য করনি, যাদেরকে (আল্লাহর) কিতাবের এক অংশ দেয়া হয়েছিল, তারা অমূলক জাদু, প্রতিমা ও তাগুতে বিশ্বাস করে? তারা কাফিরদের সম্পর্কে বলে, তারা ( কাফিরগণ ) মুমিনদের তুলনায় অধিক সঠিক পথে রয়েছে।
এরাই তারা, যাদেরকে আল্লাহ লানত ( অভিশাপ) করেছিলেন এবং আল্লাহ যাদের লানত করেন তুমি কখনো তার কোন সাহায্যকারী পাবেনা।
তবে কি শাসন ক্ষমতায় তাদের কোন অংশ আছে? সে ক্ষেত্রেও ( যদি তারা শাসন ক্ষমতার অধিকারী হয় তবে হবে অত্যাচারী) তো তারা কাউকেই এক তিল পরিমাণ দিবেনা। (( নিসা: আয়াত ৫০-৫৩)
সুতরাং দুর্ভোগ তাদের (বনী ইজরাইল) জন্য যারা নিজ হাতে কিতাব রচনা করে এবং তুচ্ছ মূল্য ( নন-ইহুদিদের সাথে হারাম সুদের লেনদেনকে হালাল হিসেবে প্রমাণের জন্য আল্লাহর আয়াত পরিবর্তন করার ঘটনার দিক ইঙ্গিত করা হয়েছে) প্রাপ্তির জন্য বলে, এটাতো আল্লাহর নিকট হতে (এসেছে )। তাদের হাত যা রচনা করেছে তার জন্য শাস্তি তাদের এবং যা তারা উপার্জন করে তার জন্য শাস্তি তাদের (উপরেই বর্তাবে)।
তারা (বনী ইজরাইল) বলে, দিককতক ব্যতীত অগ্নী আমাদেরকে কখনোই স্পর্শ করবেনা। বল, তোমরা কি আল্লাহর নিকট থেকে (এই ব্যাপারে) অঙ্গীকার নিয়েছ? অতএব আল্লাহ তার অঙ্গীকার কখনও ভঙ্গ করবেন না অথবা তোমরা আল্লাহ সম্বন্ধে এমন কিছু বলছ যা তোমরা জান না? (বাকারা ৭৯-৮০)
(হে বনী ইজরাঈল! স্মরণ কর) যখন তোমরা বলেছিলে, হে মূসা! আমরা আল্লাহকে প্রত্যক্ষভাবে না দেখা পর্যন্ত তোমাকে কখনোই বিশ্বাস করবোনা; তখন তোমরা বজ্রাহত হয়েছিলে এবং তোমরা নিজেরাই দেখছিলে।
অতঃপর তোমাদের মৃত্যুর পর আমি তোমাদেরকে পুনর্জীবিত করলাম যেন তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর। (বাকারা: ৫৫-৫৬)
যখন মূসার জন্য চল্লিশ রাত্রি নির্ধারিত করেছিলাম, তার প্রস্হানের পর তোমরা তখন গো-বৎস কে উপাস্যরূপে গ্রহণ করেছিলে; আর তোমরা তো জালিম। ( বাকারা ৫১)
স্মরণ কর, যখন বনী ইজরাঈলের (নিকট হতে) অঙ্গীকার নিয়েছিলাম, তোমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদাত করবেনা, মাতাপিতা, আত্নীয়-স্বজন, এতিম ও দরিদ্রদের প্রতি সদয় ব্যবহার করবে এবং মানুষের সাথে সদালাপ করবে, সালাত কায়েম করবে, যাকাত দিবে, কিন্তু স্বল্পসংখ্যক লোক ব্যতীত তোমরা বিরুদ্ধভাবাপন্ন হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলে।
যখন তোমাদের (নিকট হতে) অঙ্গীকার নিয়েছিলাম যে, তোমরা পরস্পরের রক্তপাত করবে না এবং আপনজনদের স্বদেশ হতে বহিষ্কার করবে না, অতঃপর তোমরা তা স্বীকার করেছিলে, এই বিষয়ে তোমরাই সাক্ষী।
তোমরাই তারা যারা এরপর একে অন্যকে হত্যা করেছ, এবং তোমাদের এক দলকে স্বদেশ হতে বহিষ্কার করছ, তোমরা নিজেরা তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় ও সীমালংঘন দ্বারা পরস্পরের পৃষ্ঠপোষকতা করছ এবং তারা যখন বন্দীরূপে তোমাদের নিকট উপস্হিত হয়, তখন তোমরা মুক্তিপণ দাও; অথচ তাদের বহিষ্কার করাই তোমাদের জন্য অবৈধ ছিল। ( বাকারা ৮৩-৮৫)
যখন তোমরা (ইহুদিরা) বলেছিলে, হে মূসা! আমরা একইরকম খাদ্যে কখনও ধৈর্যধারণ করব না; সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের নিকট আমাদের জন্য প্রার্থনা কর, তিনি যেন ভূমিজাত দ্রব্য শাক-সবজি, কাঁকুড়, গম, মসুর ও পেয়াজ আমাদের জন্য উৎপাদন করেন। মূসা বলল, তোমরা কি উৎকৃষ্টতর বস্তুকে নিম্নতর বস্তু সাথে বদল করতে চাও? তবে কোন নগরে প্রবেশ কর। তোমরা যা চাও নিশ্চয়ই তা সেখানে আছে। তারা লাঞ্ছনা ও দারিদ্র্যগ্রস্হ হল এবং তারা আল্লাহর ক্রোধের পাত্র হল। এটা এজন্যই যে, তারা আল্লাহর আয়াতকে প্রত্যাখ্যান করত এবং নবীগণকে অন্যায়ভাবে হত্যা করত। অবাধ্যতা ও সীমালংঘন করার জন্যই তাদের এই পরিণতি হয়েছিল। (বাকারা: ২: ৬০-৬১)
মৃত্যুভয়ে কাঁতর চরম ভীরু, কাপুরুষ জাতি
অবশ্যই তুমি তাদেরকে (বনী ইজরাঈল) বেঁচে থাকার ব্যাপারে সকল মানুষ এমনকি মূর্তিপুজারীদের চাইতেও অধিক লোভী দেখতে পাবে। তাদের প্রত্যেকেই আকাঙ্ক্ষা করে যদি তাদেরকে হাজার বছর আয়ু দেয়া হত!! (সূরা বাকারা: ২:৯৬)
(মূসা আঃ বললেন) হে আমার সম্প্রদায়! আল্লাহ তোমাদের জন্য যে পবিত্রভূমি (জেরুজালেম যাকে ইংরেজিতে বলা হয় হোলি ল্যান্ড) নির্ধারণ করেছেন তাতে তোমরা প্রবেশ কর (আল্লাহর প্রতিশ্রুতি ছিল যুদ্ধ করলে আল্লাহ তোমাদের বিজয় দান করবেন) এবং পেছনে ঘুরে দাড়িও না; তা করলে তোমরা ক্ষতিগ্রস্হ হয়ে পড়বে।
তারা বলল, হে মূসা! সেখানে এক দুর্দান্ত জাতি অবস্হান করছে এবং তারা সেই স্হান থেকে বের না হওয়া পর্যন্ত আমরা কখনোই সেখানে কিছুতেই প্রবেশ করবোনা; তারা সেস্হান হতে বের হয়ে গেলেই ( কেবল ) আমরা প্রবেশ করব।
তারা বলল, হে মূসা! তারা যতদিন সেখানে (জেরুজালেমে) অবস্হান করবে ততদিন আমরা কক্ষনো সেখানে প্রবেশ করবো না; সুতরাং তুমি ও তোমার প্রতিপালক যাও এবং যুদ্ধ কর, আমরা এখানেই বসে থাকব। ( সূরা মায়িদা: ৫:২১-২৫)
তুমি কি সেই লোকদের (বনী ইজরাঈল) প্রতি লক্ষ্য করনি, যারা মৃত্যুভয়ে হাজারে হাজারে স্বীয় আবাসভূমি (জেরুজালেম) ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল? আল্লাহ তাদের বলেছিলেন, তোমাদের মৃত্যু হোক। তারপর আল্লাহ তাদের জীবিত করেছিলেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ মানুষের প্রতি অনুগ্রহশীল; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেনা। (সূরা বাকারা: ২:২৪৩)
তুমি কি মূসার পরবর্তী বনী ইজরাঈল প্রধানদের প্রতি লক্ষ্য করনি? তারা যখন তাদের নবীকে [শামুয়েল (আঃ)] বলল, আমাদের জন্য এক রাজা নিযুক্ত কর যেন আমরা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করতে পারি। সে (শামুয়েল আঃ) বলল, (শেষে) এমন তো হবেনা যে, তোমাদের প্রতি যুদ্ধের বিধান দেয়া হল আর তোমরা যুদ্ধ করবেনা (অস্বীকার করবে)? তারা বলল, আমরা যখন স্ব স্ব আবাসভূমি ও স্বীয় সন্তান-সন্তুতি হতে বহিষ্কৃত হয়েছি, তখন আল্লাহর পথে কেন যুদ্ধ করব না (যুদ্ধে নিজ আবাসভূমি স্বাধীন করব ও স্ত্রী-সন্তানদের শত্রুদের হাত থেকে মুক্ত করব)?? অতঃপর যখন তাদের প্রতি যুদ্ধের বিধান দেয়া হল তখন তাদের স্বল্পসংখ্যক ব্যতীত সকলেই পৃষ্ঠ প্রদর্শন করল। এবং আল্লাহ জালিমদের সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত (আল্লাহ ভালভাবেই জানতেন তারা এমনই ঘটনা ঘটাবে)।( সূরা বাকারা: ২:২৪৬)
(আল্লাহ জয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর) অতঃপর তালুত যখন সৈন্যবাহিনীসহ বের হল, তখন সে বলল, আল্লাহ এক নদী দ্বারা তোমাদের (মনের নিয়্যাত/ ইচ্ছা) পরীক্ষা করবেন (সত্যিই তোমরা যুদ্ধ করবে কিনা, নাকি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালাবে?) যে কেউ তা হতে পানি পান করবে, সে আমার দলভুক্ত নয়; আর যে কেউ তার স্বাদ গ্রহণ করবেনা সে আমার দলভুক্ত; তবে যে কেউ তার হাতে এককোষ পানি পানি পান করবে সেউ (আমার দলভুক্ত)। অতঃপর অল্পসংখ্যক ব্যতীত তারা নদী থেকে ( তারা ইচ্ছাকৃতভাবে অধিকমাত্রায় পানি পান করে যুদ্ধে না যাবার কুমৎলবে) পানি পান করল। সে এবং তার ঈমানদান সঙ্গীগণ যখন তা (নদী ও সীমালংঘনকারীদের পেছনে ফেলে) অতিক্রম করল তখন তারা বলল, জালুত ও তার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মত শক্তি (লোকবল) এখন আর আমাদের নেই। কিন্তু যাদের দৃঢ়প্রত্যয় ছিল আল্লাহর সাথে একদিন তাদের সাক্ষাৎ ঘটবে তারা বলল, আল্লাহর হুকুমে কত ক্ষুদ্রদল কত বৃহৎ দলকে পরাজিত করেছে! আল্লাহ তো ধৈর্যশীলদের সাথেই আছেন। (বাকারা; ২৪৯)
সামান্য কষ্ট দেয়া ছাড়া তারা (বনী ইজরাঈল) তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবেনা। যদি তারা তোমাদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয় তবে তারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে; অতঃপর তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হবেনা। (আল ইমরান: ১১১)
তারা সকলে (বনী ইজরাঈল) সংঘবদ্ধভাবেও তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সমর্থ হবেনা, কিন্তু কেবল সুরক্ষিত জনপদের অভ্যন্তরে অথবা দুর্গপ্রাচীরের অন্তরালে অবস্হান করে (তারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করতে সক্ষম); পরস্পরের মধ্যে তাদের যুদ্ধ প্রচন্ড। তুমি মনে কর তারা ঐক্যবদ্ধ, কিন্তু তাদের মনের মিল নেই; এটা এজন্যই যে, তারা এক নির্বোধ সম্প্রদায়। (হাশর: ৫৯:১৪)
চলবে ইনশাআল্লাহ..........................
বিষয়: বিবিধ
১৭১২ বার পঠিত, ৩৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ঐ নদীটি দুনিয়ার ভোগ-বিলাসের রূপকার্থ হতে পারে!
আল্লাহতায়ালাই ভালো জানেন!
জাযাকিল্লাহ
দেখি কালকে পড়া যায় কিনা। জাযাকিল্লাহ খাইর
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ছোট আপি।
কোরআনের আলোকে বিবেক জাগরণী বস্তুনিষ্ঠ লিখাটি পড়ে অনেক ভাল লাগলো।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
বেশি বড় করলে ব্লগাররা পড়বেনা আবার কম যুক্তি দিয়ে বোঝাতে গেলে তারা নিজেদের পালিত মতবাদ, তত্ত্বের উপর ভর করে অযথা আমার সাথে বিতর্কে লিপ্ত হবে তাই যুক্তি-প্রমাণে দূর্বলতাও রাখা যাচ্ছেনা। এজন্যই এই পথে হাটা। আল্লাহ যেন দ্রুত শেষ করার তৌফিক দান করেন।জাঝাক আল্লাহ আপি।
নিকট অতীতেও এটা প্রমানিত হয়েছে। ওরা একেবারেই ভীতু জাতি। এত আধুনিক অস্ত্র থাকা সত্তেও সাহস নেই বুকে। দারুন বিষয় আলোচনা করেছেন। জাজাকাল্লাহ
আপনার লিখার লিন্কটি দিলে সহজে ঘুরে আসতে পারতাম। ধন্যবাদ।
আপনি লিখেছেন, 'ওরা অভিশপ্ত, ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতি, কিন্তু তারা আবার ধ্বংসস্তুপ থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। পুরো পৃথিবীটাই ওদের নিয়ন্ত্রণে'।
এটা সত্য যে ওরা অভিশপ্ত জাতি, পারসিয়ালী এটা ও সত্য যে ওরা ধ্বংশপ্রাপ্ত (আদ, সামুদ নয়) জাতি। কিন্তু এটা সত্য নয় যে, 'বনী ইসরাইলী জাতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে কিংবা পুরো পৃথিবীটা ওদের নিয়ন্ত্রণে কিংবা ওদের ইশারায় চলছে'। র্যাদার এটা সত্য হবে যে একটা পারটিকুলার ইনফিল্ট্রেটেড ইয়াহুদী ভেকদারী ইয়াহুদীর নিয়ন্ত্রনে বনী ইসরাইলীরা সহ বিশ্ববাসী। আশা করি এ লিখার পরবর্তী পর্ব সমূহে গ্রাজুয়ালী তা পরিষ্কার হবে। ইনশাল্লাহ্।
আর ইসলামে ঐক্যবদ্ধতা বা ভ্রাতৃত্ব ও একতা তৈরীর পথই হল ইমারাহ তথা খিলাফত কিন্তু সেটাকে ধ্বংস করা হয়েছে ১৯২৪ সালেই। মুসলিম দেশগুলিতে গণতন্ত্র, রাজতন্ত্র, সৈরতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ইত্যাদি দিয়ে চলছে তাহলে একতা হবে কিসের ভিত্তিতে? ইসলামীক গণতান্ত্রিক দলও এই ধোঁকাবাজির বাইরের কিছুনা। যা একইসাথে আত্নঘাতী ও মুসলিম ঐক্যের অন্তরায় একইসাথে মুসলিম জাতির জন্যই সর্বগ্রাসী। জাঝাক আল্লাহ।
মা-শা আল্লাহ অনেক পরিশ্রমলব্ধ লিখা। সুন্দর সংগ্রহের জন্য অনেক অনেক শুকরিয়া।
নবী স্যামুয়েল কোন গোত্রের দেশের নবী ছিলেন? তা কি মূসা আঃ এর যুগের আগের না পরের? একটু বিস্তারীত জানাতে আগ্রহী।
জাযাকিল্লাহ খাইর
অনেক অনেক ধন্যবাদ
আমি যেভাবে জানি - নবী স্যামুয়েল মুসা ও হারুন আঃ এর পর বনী ইসরাইলী জাতির ১২ ট্রাইবের উপর নিযুক্ত ১২ জন বিচারকের এক জন ছিলেন, যাকে আল্লাহ পরবর্তিতে নবীতে আপলিপ্ট করেন।
বনী ইসরাইলীরা ওনার কাছেই আবদার করেন যে যাতে করে তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করেন যাতে আল্লাহ তাদেরকে এমন ১২টি সেপারেট ট্রাইবে ১২ জন নকিব দ্বারা শাসিত না করে একজন ইউনাইটেড রাজার আন্ডারে আনেন। নবী স্যামুয়েল এর দোয়ায় আল্লাহ তালুতকে তাদের জন্য রাজা নিযুক্ত করেন। পরবর্তিতে এই নবী স্যামুয়েল দাউদ আঃ কে তালুতের স্থলাভিষিক্ত করেন - যিনি নিজে আবার পরবর্তিতে রাজা হন এবং ওনার ছেলে সোলাইমান আঃ ও রাজা হন।
আমি ভাবছি আপনার লিখার মধ্যে মধ্যে কোরানের আয়াত সমূহের অবতারনা করলে কি অধিক এ্যাফেক্টিভ হত - না কি পাঠক এভাবেই বেশী কানেক্টেড থাকবে - যখন আপনি আপনার বিচার ও বিশ্লেষন উপস্থাপন করবেন।
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন