দাজ্জাল ও ইয়াজুজ মাজুজ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত প্রতারণাপূর্ণ বিশ্বব্যবস্হা (গ্লোবাল ভিলেজ), জেরুজালেম(ইজরাইল/ফিলিস্তিন)-বনী ইজরাঈল ও খৃষ্টান এবং যুদ্ধবিদ্ধস্ত মুসলিমদের ভবিষ্যৎ! ১ম পর্ব...
লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ১৭ জুন, ২০১৬, ০৪:২৪:২৬ বিকাল
আমরা যখন কিয়ামত সংক্রান্ত কুরআনের আয়াতগুলি ও ৬ টি বিশুদ্ধ হাদিস গ্রন্হের ''ফিৎনার প্রসার ও কিয়ামতের নিদর্শনসমূহ'' অধ্যায়গুলো নিয়ে বিস্তারিত গবেষনা করি, তখন একটি বিস্ময়কর ব্যাপার আমাদের চোখে খুব স্পষ্টভাবেই ধরা পরে আর সেটি হল:-
***কিয়ামতপূর্ব সময়ে বনী ইজরাইল তথা ইহুদি জাতিকে পুনরায় জেরুজালেম ভূমিতেই সংমিশ্রিত জাতি হিসেবে একত্রিত করা হবে।
***ইমাম মাহদি (আঃ) জীবন বাঁচাতে মদিনা থেকে মক্কায় আশ্রয়গ্রহণ করলেও তার খেলাফতের রাজধানী হবে সিরিয়ার দামেস্ক (دمشق) আর তার জীবনের প্রধান লক্ষ্য হবে দাজ্জাল নিয়ন্ত্রিত ইহুদিদের নিকট থেকে জেরুজালেম পুনরুদ্ধার।
***জেরুজালেমের গালিলী লেক (তবারিয়াহ) ও জাগার ঝর্ণার পানি সম্পূর্ণরূপে শুকিয়ে যাওয়ার পর দাজ্জালের আত্নপ্রকাশ ঘটবে এবং সে ইমাম মাহদি (আঃ) ও তার সঙ্গী-সাথীদেরকে সিরিয়ায় আবরুদ্ধ করবে।
***মুসলিমগণ কোণঠাসা হয়ে পড়বে যখন আর কোন আশাই বিদ্যমান থাকবেনা, সেই মুহূর্তে মুসলিমদের প্রতি মহান আল্লাহ অনুগ্রহ করবেন, ঈসা (আঃ) এর আগমণ ঘটবে আর পবিত্রভূমি (ফিলিস্তিন) তথা জেরুজালেমের মাটিতেই তিনি দাজ্জালকে হত্যা করবেন।
***জেরুজালেমই হল সেই ভূমি যেখানে আগমণ ঘটবে ইয়াজুজ-মাজুজ নামক দুটি ভয়ংকর মানব সম্প্রদায়ের যারা গালিলি লেকের সমস্ত পানি পান করে একে পানিশূন্য করে ছাড়বে এবং সমস্ত মানবজাতিকে পরাভূত করার পর এই ভূমিতে দাড়িয়েই আকাশের দিক তারা তীর ছুড়বে আসমানের অধিবাসীদের হত্যার জন্য।
***এই পবিত্র ভূমি জেরুজালেমের পাহাড়েই মহান আল্লাহ ঈসা (আঃ) ও মুসলিমদের রক্ষা করবেন ইয়াজুজ মাজুজের অনিষ্ট থেকে এবং নিজ অনুগ্রহে ইয়াজুজ মাজুজকে চিরতরে পৃথিবী থেকে নিঃচিহ্ন করে দিবেন।
***এটিই হবে সেই ভূমি যেখান থেকে ঈসা (আঃ) সমস্ত পৃথিবীর উপর খিলাফত ভিত্তিক শাসন পরিচালনা করবেন।
***জেরুজালেম বরকতময় ভূমি আশ-শামের অর্ন্তভুক্ত ৫ টি এলাকার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূঅঞ্চল যেখানে কিয়ামতের বিচার হবে।
"লেখাটি কিভাবে সাজানো উচিত?" জানিনা, সম্ভবত নিজের ব্যক্তিগত মতামত ও অভিব্যক্তির বিপরীতে কুরআনকে প্রাধান্য দেয়ায় শ্রেয়। মহান আল্লাহ বলেন:-
আমি মানুষের জন্য এই কুরআনে বিভিন্ন উপমার দ্বারা আমার বাণী বিশদভাবে বর্ণনা করেছি। (কিন্তু) মানুষ অধিকাংশ ব্যাপারেই বিতর্কপ্রিয় (সত্য অনুধাবনে অক্ষম) (সূরা কাহাফ: ১৮:৫৪)
ইতিহাসের শুরু যেভাবে, পবিত্র কুরআনে ইবরাহীম (আঃ):
আমি তো এর ( কুরআন ) পূর্বে ইবরাহীমকে সৎপথের জ্ঞান দিয়েছিলাম এবং আমি তার সম্বন্ধে ছিলাম সম্যক পরিজ্ঞাত। (সূরা আম্বিয়া: ২১:৫১)
তার অপেক্ষা দীনে কে উত্তম, যে সৎকর্মপরায়ণ হয়ে আল্লাহর নিকট আত্নসমর্পণ করে এবং একনিষ্ঠভাবে ইবারাহীমের মিল্লাত ( দীনি আদর্শ) অনুসরণ করে? এবং আল্লাহ ইবরাহীমকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। (সূরা নিসা: ৪:১২৫)
স্মরণ কর, যখন ইবরাহীমকে তার প্রতিপালক কতিপয় বিষয়ে পরীক্ষা (সূরা আম্বিয়া, সূরা নিসা ও সূরা ইবরাহীম পড়ুন) করেছিলেন অতঃপর সেগুলো সে পূর্ণ করল, (অতঃপর) আল্লাহ বললেন, আমি তোমাকে সমগ্র মানবজাতির ইমাম (ধর্মীয় ও আধ্যাতিক নেতা) হিসেবে মনোনিত করলাম। সে [ইবরাহিম (আঃ)] জিঙ্গেস করল, আমার বংশধরদের মধ্য থেকেও? (তারাও কি এই মর্যাদার অধিকারী হবে?) আল্লাহ বললেন, আমার এই অঙ্গীকার জালিমদের জন্য প্রযোজ্য নয়। (সূরা বাকারা: ২:১২৪)
মাতৃভূমি ইরাকের বাবেল/উর পরিত্যাগ এবং পবিত্র কুরআনে জেরুজালেমের সূচনা।
এবং আমি তাকে [ইবরাহীম (আঃ)] ও লুতকে (ভ্রাতুষ্পুত্র) উদ্ধার করে নিয়ে গেলাম সেই দেশে (জেরুজালেম, তৎকালীন কেন'আন), যেখানে আমি কল্যাণ রেখেছি বিশ্ববাসীর জন্য।(আম্বিয়া: ২১:৭১) ***এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, তার মুমিন স্ত্রী সারাহ (আঃ) ও তার সাথে ছিলেন কিন্তু তার কথা ইচ্ছাকৃতভাবে কুরআনে বলা হয়নি নারীর গোপনীয়তা রক্ষার শিষ্টাচারের প্রতি খেয়াল রেখেই যেটির ব্যাপারে হাদিসে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। আধুনিক নারীবাদিদের জন্য এর মাঝে শিক্ষা রয়েছে
ইবরাহীম (আঃ) এর বংশধরগণগণ।
আর আমি ইবরাহীমকে [ ও তার স্ত্রী সারাহ (আঃ) কে] দান করেছিলাম ইসহাক ও ইয়াকূব (ইজরাইল), তাদের প্রত্যেককে সৎপথে পরিচালিত করেছিলাম; পূর্বে নূহকেও সৎপথে পরিচালিত করেছিলাম এবং তার (ইবরাহীমের) বংশধর দাউদ, সুলাইমান ও আইউব, ইউসুফ, মূসা ও হারূনকেও; আর এভাবেই আমি ( আল্লাহ) সৎকর্মপরায়ণদের পুরস্কৃত করি;
এবং যাকারিয়া, ইয়াহইয়া, ঈসা ও ইলিয়াসকেও সৎপথে পরিচালিত করেছিলাম। তারা সকলে সজ্জনদের (একে অন্যের বংশধর) অন্তর্ভুক্ত;
আরও সৎপথে পরিচালিত করেছিলাম ইসমাঈল [ইবরাহীম (আঃ) এর মিশরীয় স্ত্রী হাজেরা (আঃ) এর পুত্র], আল-য়াসা'আ, ইউনুস ও লুতকে; এবং শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছিলাম বিশ্বজগতের উপর প্রত্যেককে-
এবং তাদের পিতৃপুরুষ, বংশধর ও ভ্রাতৃবৃন্দের কিছুলোককে। আমি তাদের মনোনীত করেছিলাম এবং সরল পথে পরিচালিত করেছিলাম। (সূরা আনআম: ৬: ৮৪-৮৭)
আমি তো বনী ইজরাঈলকে কিতাব, কর্তৃত্ব ও নবুওয়াত দান করেছিলাম এবং তাদেরকে উত্তম জীবনোপকরণ দিয়েছিলাম এবং দিয়েছিলাম শ্রেষ্ঠত্ব বিশ্বজগতের উপর। (সূরা জাসিয়া ৪৫: ১৬)
তাদেরকে আমি বারোটি গোত্রে বিভক্ত করেছি। মূসার সম্প্রদায় যখন তার নিকট পানির প্রার্থনা করল, তখন তার প্রতি প্রত্যাদেশ করলাম, তোমার লাঠি দ্বারা পাথরে আঁঘাত কর, ফলে তা হতে বারোটি প্রস্রবণ প্রবাহিত হল। প্রত্যেক গোত্র নিজ নিজ পানস্হান চিনে (নির্ধারণ করে) নিল এবং মেঘ দ্বারা তাদের উপর (তীহ মরুভূমিতে) ছায়া বিস্তার করেছিলাম। তাদের (খাদ্যের চাহিদা দূর করার জন্য) নিকট মান্না সালওয়া পাঠিয়েছিলাম এবং বলেছিলাম, উত্তম যা কিছু তোমাদেরকে দান করেছি তা হতে আহার কর। তারা আমার প্রতি কোন জুলুম করেনি, কিন্তু তারা নিজেদের প্রতিই জুলুম করেছিল। (সূরা আরাফ: ৭:১৬০)
বনী ইসমাইল/আরবগণ এবং মক্কা:
হে আমার পালনকর্তা! আমি আমার পরিবারের কিছু সদস্যকে ( ২য় স্ত্রী হাজেরাহ ও পুত্র ইসমাঈল) তোমার মর্যাদামন্ডিত গৃহের সন্নিকটে চাষাবাদহীন উপত্যকায় (তোমার নিদের্শে) বসবাসের জন্য রেখে যাচ্ছি। হে প্রভূ! যাতে তারা সালাত কায়েম করে। (অভিভাবক হলেও নিরুপায় হয়ে তাদেরকে আমার আশ্রয় থেকে মুক্ত করে তোমার নির্দেশে এই জনহীন ভূমিতে অনিশ্চিয়তায় রেখে যাচ্ছি) অতএব কিছু লোকের অন্তরকে তুমি তাদের প্রতি আকৃষ্ট দাও (দয়া, মায়া, সহমর্মিতা) এবং তাদেরকে (এই ভূমিতে উৎপাদিত) ফল-ফলাদী দ্বারা রূজি দান কর। যেন তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। ( সূরা ইবরাহীম: ১৪:৩৭)
হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের উভয়কে (ইবরাহীম (আঃ) ও ইসমাঈল আঃ) তোমার একান্ত অনুগত কর এবং আমাদের বংশধর হতে তোমার এক অনুগত উম্মাত (জাতি) করিও। আমাদেরকে ইবাদাতের নিয়ম-পদ্ধতি দেখিয়ে দাও এবং আমাদের প্রতি ক্ষমাশীল হও। তুমি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (বাকারা ১২৮)
***বস্তুত: ইবরাহীম (আঃ) এর পরবর্তী সকল নবী-রাসূল তার বংশধর ছিলেন। আলে ইমরান বলতে ইমরান পুত্র মূসা ও হারুন ও তাদের বংশধর দাউদ, সুলাইমান, ঈসা প্রমূখ নবীগণকে বুঝানো হয়েছে। যারা সবাই ছিলেন ইবরাহীম (আঃ) ও সারাহ (আঃ) এর পুত্র ইসহাকের বংশধর। অপরদিকে, শেষনবী মুহাম্মাদ (সাঃ) ছিলেন তার জেষ্ঠ পুত্র ইসমাইল (আঃ) এর বংশধর- যিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন তার ২য় স্ত্রী হাজেরাহ (আঃ) এর গর্ভে। ঘটনাপ্রবাহে হাজেরা (আঃ) এর অনুরোধে ইয়েমেনের বনু জুরহুম গোত্র মক্কায় বসতি স্হাপন করে। বড় হয়ে এই গোত্রেই ইসমাইল (আঃ) বিবাহ করেন এবং এই আত্নীয়তার বন্ধনের জন্য তারা কাবা গৃহের খাদেম হন আর এদের শাখা গোত্র কুরাইশ বংশে রাসূল (সাঃ) এর জন্ম হয়।
পাঠক, কাজেই এটি নিজেদের মস্তিষ্কে স্হায়ীভাবে গেঁথে নিন যে, ইবরাহীম (আঃ) ও সারাহ (আঃ) দুজনই ছিলেন ইরাকের অধিবাসী এবং তাদের পুত্র ইসহাক (আঃ) এর বংশধর "বনী ইজরাইল" এর সাথে সাদা চামড়ার ইউরোপিয়ানদের বিন্দুমাত্র কোনরকম বংশীয় বা জীনগত সম্পর্ক নেই ।
চলবে ইনশাআল্লাহ_____________________
বিষয়: বিবিধ
৪৪০৬ বার পঠিত, ৬১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনেক শ্রমসাধ্য লিখাটিতে ইসলামের পূর্বাপর বিষয়গুলো সুন্দর ও হৃদয়গ্রাহীভাবে উপস্থাপিত হয়েছে মাশাআল্লাহ।
তোমার জন্য শুধুই দোয়া ও শুভেচ্ছা।
আর কোরান-হাদিস দিয়ে সব সাজালে মানুষজন স্বভাবতই কেন জানি তা এড়িয়ে চলে বিশেষত তারাই যারা কুরআন-হাদিস এর কথা বলে, কুরআন ভিত্তিক সমাজের স্বপ্ন দেখায়!! জানিনা এটার ইতি কিভাবে টানতে পারব?
ইসলাম প্রিয় এ সব ভাইবোনদের এ এক অদ্ভুত ক্যামিস্ট্রির সংমিশ্রন যেন। আমি কোন সেন্স খুঁজে পাইনা এক্সেপ্ট এক্সট্রিম ঐ রেফারেন্স দুটি ছাড়া যেখানে রাসুল সঃ বলছেন আল্লাহ আদম আঃ কে আদেশ দেবেন ৯৯৯ জনকে দোযখের দিকে নিতে প্রতি ১০০০ এ। আর ঐ হাদীসটির কথাও মাথায় আসে যে প্রতিটি ইয়াজুজ ও মাজুজ মৃত্যুর আগে আরো হাজার জনকে তার কার্বন কপিতে রূপান্তর করে।
আল্লাহ ভাল জানেন।
এতততত স্ট্যাডি বর্তমানে কি খিলাফাত সম্ভব
টাকা পয়সা, ভোগ বিলাস ও ক্যারিয়ার এবং সাথে ছকছকে এই পৃথিবীর আরাম আয়েশ ও সুখ শান্তি????
ইয়াজুজ মাজুজ বনি ইসরাইল এর সাথে সম্পর্কযুক্ত না ও হতে পারে।
ভাইয়া আমি প্রথমেই বলেছি বিস্ময়করভাবে বনী ইজরাঈল, দাজ্জাল, ইয়াজুজ মাজুজ এরা সবাই একটি নির্দিষ্ট ভূমির সাথে জড়িত। সবাই এর দখল চায়। তাহলে সম্পর্ক ছাড়া হল কিভাবে বলুন?
জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া।
লিখা খুব ভাল লেগেছে চালিয়ে যান ।
ধন্যবাদ ।
সম্ভবত উনি ঈমাম মাহদীর(আঃ)সময়ে আসবেন। শাসক বা খলিফা হবেন মাহদী। কিন্তু ঈশা(আঃ) শাসক হবেন না। তার মিশন হল দাজ্জালকে সমূলে ধ্বংস করা। তার সাথীরাই প্রকৃত মুসলিম হবে। খ্রিষ্টানদের একটি দলও ইসলামে আসবে।
আর মানব সভ্যতার ইতিহাস স্পষ্ট নয়। ইব্রাহিম(আঃ)থেকে যেভাবে চিত্রায়িত করেছেন সেটাই একমাত্র মত নয়। মানুষের ইতিহাস এখনও পর্যন্ত প্রমানিত হল ৮০ হাজার বছরের পুরোনো। আমাদের কাছে অনেক তথ্যই নাই। নূহ(আঃ)এর পর অনেক গ্যাপ আছে এবং অনেক তথ্যই আল্লাহ জানাননি। ...আল্লাহই ভালো জানেন।
ইসহাক (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কসম সেই সত্তার, যার হাতে আমার প্রান, অচিরেই তোমাদের মাঝে মারিয়ামের পুত্র ঈসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম শাসক ও ন্যায় বিচারক হিসেবে অবতরণ করবেন। তিনি ‘ক্রুশ’ ভেঙ্গে ফেলবেন, শূকর মেরে ফেলবেন এবং তিনি যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটাবেন। তখন সম্পদের স্রোত বয়ে চলবে। এমনকি কেউ তা গ্রহন করতে চাইবে না। তখন আল্লাহকে একটি সিজ্দা করা সমগ্র দুনিয়া এবং তার মধ্যকার সমস্ত সম্পদ থেকে বেশী মূল্যবান বলে গণ্য হবে। এরপর আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, তোমরা ইচ্ছা করলে এর সমর্থনে এ আয়াতটি পড়তে পারঃ কিতাবীদের মধ্যে প্রত্যেকে তাঁর [ঈসাআলাইহি ওয়া সাল্লাম এর] মৃত্যুর পূর্বে তাঁকে বিশ্বাস করবেই এবং কিয়ামতের দ্বীন তিনি তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবেন।
ইবনু বুকায়র (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের অবস্থা কেমন (আনন্দের) হবে যখন তোমাদের মাঝে মারিয়াম তনয় ঈসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম অবতরণ করবেন আর তোমাদের ইমাম [ইমামুল মাহদি (আঃ)]তোমাদের মধ্য থেকেই হবে। অতঃপর ঈসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও মুসলমানদের ইমাম হবেন বটে কিন্তু তিনি কুরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক শাসনকার্য চালাবেন, ইন্জিল মতে নয়। তিনি ইসলাম ধর্মের অনুসারী হয়ে আসবেন। -(আইনী)
(সহীহ বুখারী: অধ্যায়: ৫০/আম্বিয়া কিরাম, হাদিস সংখ্যা: ৩২০৫,৩২০৬ পাবলিশার: ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ)
তার খিলাফত কাল হবে ৭ বছর যেটা মুসলিম শরীফের অধ্যায় ফিৎনা ও কিয়ামতের আলামত/৫৫, পাবলিশার: ইসলামি ফাউন্ডেশন: এই অধ্যায়ে ১৭৭ এর মত হাদিস আছে এবং এখানকার দাজ্জাল, ঈসা (আঃ), ইয়াজুজ মাজুজ ও কিয়ামত সংক্রান্ত হাদিসগুলি সুবিশাল তাই উল্লেখ করছিনা তবে এসব হাদিসে অসংখ্যবার বলা হয়েছে তার শাসন হবে ৭ বছর। এই মুহূর্তে ৭১১৪ নাম্বার হাদিসের কথা মনে পরছে।
আর হাদিসের মতে, ইমাম মাহদি (আঃ) ও মদিনা থেকে পালিয়ে মক্কায় কাবাঘরে আশ্রয় নিবেন। যাইহোক এটি অনেক বিশাল হাদিস। তিনিও ৭ মতান্তরে ৮ বছর খেলাফত পরিচালনা করবেন। শেষ বছরটিতে ৭০,০০০ ইহুদি আর্মি তুরষ্ক দখল করে নিবে তিনি তা পুনরুদ্ধার করবেন এরপরই ৭ বছরের মাথায় দাজ্জাল স্বশরীরে বেরিয়ে আসবে। অর্থাৎ প্রথম ৩ দিন পার হবার পর ৪র্থ দিন যেদিন থেকে তার দিন হবে পৃথিবীর সময়ের।
ভাইয়া আমার কেন জানি মনে হচ্ছে আপনি আমার লেখাটায় জাস্ট চোখ বুলিয়ে শেষ করেছেন পুরোটি পড়েননি, নাহলে মানুষের বংশানুক্রম নিয়ে দ্বিমত করতেন না। আমি সব মানুষের বংশতালিকা নিয়ে মোটেও কোন কথা বলিনি। আমি বনী ইজরাইল বা ইহুদি জাতি নিয়ে কথা বলেছি আর কুরআন নিজেই স্পষ্টভাবে তাদের বংশতালিকা আয়াত দ্বারা ব্যক্ত করেছে। আর আপনি হয়ত জানেন ইহুদিরা নিজেদের ব্যতীত অন্য কোন ধর্মে বা অন্য জাতির মানুষের সাথে বিবাহ এর মত সম্পর্কে কখনো জড়াতোনা। তারা নিজেদের স্বাতন্ত্র বজায় রেখেছে সবসময়ই। আর তারা গত দুহাজার বছরও যেখানেই বসতি স্হাপন করেছে সেখানেই মানুষ তাদের উপর অত্যাচার চালিয়েছে, তাদেরকে একঘরে করে রেখেছে, তাদের সাথে কোন সম্পর্কে যায়নি আর তারাও এব্যাপারগুলো সিরিয়াসলি মেইনটেইন করে। এমনকি আজো। আপনি হয়ত বলবেন, কেন জুকারবার্গ চায়নিজ বিয়ে করেছে, অমুকে তাকে ইত্যাদি। কিন্তু আপনি তো জানেন পরিসংখ্যানে বলা হয়, ব্যতিক্রম কখনোই উদাহরণ হতে পারেনা। আমি সেই জিনিসটিই তুলে ধরেছি। সম্ভবত আলোচনা আগালে ইনশাআল্লাহ অনেক প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া। আশা করি আপনি মোটেও রাগ করবেননা।
আর বনি ইস্রাইলের বিষয়ে যা বলেছেন সেটা ঠিক। ইয়াকুব(আঃ)এর থেকে.......তারা স্বতন্ত্র বজায় রাখত। তবে তাদের উপর অত্যাচারের পেছনে তাদের কর্মই দায়ী। জাজাকাল্লাহ খায়রান। সুন্নাহ অনুযায়ী ভুল ধরলে আমার মাইন্ড করার কানো কারন নেই।
ইয়াহুদী রাবাই রা জেরুজালেম এ যখন ঈসা আঃ কে ক্রুশবিদ্ধ করার পরিকল্পনা করেছিল তখন তারা এ মর্মে প্রায় নিশ্চিত ছিল যে ঈসা আঃ ই প্রমিজড মসীহ (এক্সেপ্ট পিতৃহীনতার বিষয়টি ছাড়া) - যার জন্য তারা তাওরাতের নির্দেশানুযায়ী - ব্যাবিলনের নির্বাসিত জীবন হতে ফিরে সোলেমন টেম্পল তৈরী করে পশু বলিদান এর ব্যবস্থা করেছিল।
সো তারা টেস্ট করতে চাইছিল যেহেতু তাওরাতে বলা হয়েছে যে, মসীহ আসলে সে জেরুজালেম হতে পৃথিবী শাসন করবে এবং পৃথিবীতে শান্তি নিশ্চিত করবে - সেহেতু সব চেয়ে হীনতমভাবে, চক্রান্ত করে রোমান শাসকদের দিয়ে তাকে হত্যা করাতে পারলে - প্রমান হবে সে মসীহ নয়। আর হত্যা করাতে না পারলে আমরা মেনে নিতে কোন সমস্যা নেই যে - সে মসীহ। কিন্তু আল্লাহ তাদের ঐ চক্রান্তের জন্য মসীহকে চিনতে দেয়নি - যে কিনা তাদেরকে পাপ মুক্ত করার কথা ছিল। এবং এর পরিনতিতে আল্লাহ তাদেরকে পরের দুই হাজার বছরের জন্য সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিয়ে ব্যান্ড করে দিয়েছিল - যাতে তারা ফিরতে না পারে জেরুজালেম এ।
Islamic Eschatology [শেষ জামানার ভবিষ্যৎবাণী ও বর্তমান দুনিয়া] নামক ফেইসবুকে আমাদের একটা পেইজ রয়েছে এটা একমাত্র বাংলাই এস্কেটলোজি তে গবেষণাধর্মী পেইজ। এখানে আবারো আপনাকে আমন্ত্রণ জানালাম।
সময় অনেক ফুড়িয়ে আসছে বিশ্ব এখন মহাযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে। মধ্যপ্রাচ্য জ্বলে পুরে ছাই হচ্ছে। রুম এর সাথে এলায়েন্স হতে চলছে। এই সব নিয়ে অসংখ্য চিন্তা গবেষণার প্রয়োজন আছে। বিশেষ করে রুম বলতে রাসিয়া কে চিহ্নিত করতে গিয়ে অনেক বেশি প্রতিবন্ধকতা এসেছে। আর এই বল্গ তো এরোডগান কে মূলত মুসলিম জাতির প্রধান রক্ষাকর্তা মনে করছে। তাই এখানে এই নিয়ে আরো আলোচনার প্রয়োজন আছে। ওয়াসসালাম
শুরুটা অনেক চমৎকার হয়েছে যেহেতু পয়েন্টগুলো সংক্ষেপে দেয় আহয়েছে,মূল কথা সহজেই বোঝা গেছে আলহামদুলিল্লাহ।
জাস্ট কিউরিসিটি, তোমার বেশীর ভাগ লিখা দাজ্জাল ফোকাসড কেনো আপু? আমি কিন্তু অনেকটা ভয়েই কম পড়ি এ টপিক ! আল্লাহ আমাকে মাফ করুন ।
কষ্টসাধ্য লিখার জন্য শুকরিয়া। শরীর কেমন ? শুভকামনা রইলো ।
আপনার প্রশ্নের জবাবটি আমারও জানতে ইচ্ছে হয়! অপেক্ষায় থাকি!
রাসূল (সাঃ) বলেন, কিয়ামতের অন্যতম নিদর্শন দাজ্জালের আগমণের নিদর্শন হল, মানুষ দাজ্জালের কথা ভুলে যাবে, মসজিদের মিম্বর (খুৎবায়) থেকে দাজ্জালের আলোচনা হারিয়ে যাবে, আলিমরা আর তার ব্যাপারে আলোচনা করবেনা, যাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে তারাও দাজ্জালকে চিনতে পারবেনা, দূর্বল ঈমানের মুসলিমরাও তাকে অনুসরণ করবে। রাসূল (সাঃ) পরবর্তী সময়ে জুমআর নামাজের খুৎবায় দাজ্জালকে নিয়ে আলোচনা করা হত কিন্তু আজ কি কোন মসজিদে দাজ্জালের ব্যাপারে কোন
আজ কি কোন মসজিদের খুৎবায় তাকে নিয়ে কোন আলোচনা হয়?? আলিমরা তার ব্যাপারে কোন আলোচনা করে? উপরন্তু কিছু কিছু মডারেট ইসলামিস্ট যেমন ইবনে খালদুন, আল্লামা ইকবাল তারা ইমাম মাহদি, দাজ্জাল ইত্যাদি ব্যাপারগুলিগে নাকোচ করে দিয়েছেন। তারা এই বিষয়ে গবেষণা করতে গিয়ে উল্টো বিভ্রান্ত হয়েছেন তাই শুধু তারাই নয় তাদের মত বেশ কিছু বিক্ষাত মুসলিম ব্যক্তিত্বও এসবকে শিয়াদের বানানো কল্পকাহিনী বলে মতামত পেশ করেছেন। দাজ্জালের কথা এলে আমাদের সবসময় কমন ডায়ালগ থাকে, আরে তার কপালে কাফির লেখা থাকবে, এক চোখ কানা, সে ইহুদি যুবক হবে দেখেই তো চিনে ফেলব। বিষয়টা কি সত্যিই এত সহজ? যদি ব্যাপারটি এতই সহজ বিষয় হয়, তবে ১,২৪,০০০ হাজার নবী রাসূল এত লাখ লাখ বছর আগে থেকে লাখ লাখ বছর ধরে মানুষকে কেন সতর্ক করবে?? রাসূল (সাঃ) বারবার সূরা কাহাফ পড়তে বললেন দাজ্জালকে চিনার জন্য। আমরা এতবার পড়লাম কিন্তু কিছুই বুঝতে পারছিনা তাহলে সমস্যাটা কোথায়? মুসলিমরা আজ নানান সমস্যায় জর্জরিত
মুসলিমদের একেকদল ইসলামকে ভিত্তি করে সামাজিক, রাজনৈতিক একেক স্তরের মতবাদ তৈরী করেছে এবং দাবি করছে, সেটিই সঠিক, সেটিই সমাধান। কিন্তু আমরা গত করে কয়েশত বছরের ইতিহাস ও নিজেদের চোখেই দেখছি এসব তাদের আদৌ কোন সমাধানে পৌছে দেয়নি বরং তারা নিজেরাই নিজেদের মতবাদ দ্বারা নিজেদের কবর খুড়েছেন। আপি, আমরা বলছি ইসলাম পরিপূর্ণ জীবনবিধান অথচ বাস্তবে আমি দেখছি আমরা আমাদের পরিচিতদের মাঝে, সমাজে বিদ্যমান নানান মতবাদের মাঝে যেসব ইসলাম পাচ্ছি সেসব মডারেট ইসলাম বা নতুনভাবে তৈরী করা মতবাদ মোটেও বর্তমান বাস্তবতাকে কুরআন-হাদিস দিয়ে বিশ্লেষণ করতে সক্ষম নয়, কোন সমাধানের রাস্তা দেখাতেও ব্যর্থ। তা শুধুই আমাকে শিখাচ্ছে, নিজের রক্ত ঝড়াও কাজে দিবে কিন্তু আমি কেন রক্ত দিচ্ছি? কার জন্য দিচ্ছি? আমি নিজেও জানিনা। এই ইসলাম জাস্ট একটা নিছক বিশ্বাসের পর্যায়ে এসে ঠেকেছে, বিশ্বাস থাকলে আমি আস্তিক না থাকলে নাস্তিক। কিন্তু যুক্তি-প্রমাণ, সমস্যা সমাধানের রাস্তা না থাকলে মানুষ কতদিন নিছক একটা বিশ্বাসের উপর নির্ভর করবে??
তাই সম্ভবত যা আমরা এতদিন হিমঘরে রেখে দিয়েছিলাম সেই ইসলামকে নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণের সময় এসেছে। যদি এই ইসলাম আমাকে সমাধানের রাস্তায় আনতে পারে তবে অবশ্যই তা আল্লাহর পক্ষ থেকে অন্যথায়??
আমি সেটাই করছি। এখানে আমাকে কারো এজেন্ট, পেইড এসব ভাবার কিছু নেই। শরীর ইদানিং তেমন ভালোনা অনেকগুলি অসুখ বাঁধিয়ে বসে আছি। জাঝাক আল্লাহ আপি। মাঝে মাঝে এসো প্লিজ।
মুসলমানদের সামহাউ 'রব' এর কনসেপ্টটিতে আর ডিফলী ঢুকা দরকার আর তার জন্য দরকার দজ্জাল, ইয়াজুজ মাজুজ ও খেলাফতের ধারনা সমূহে আরো স্বচ্ছতা, আরো গবেষনা ও ভাবনা।
কিয়ামতের পূর্বে পশ্চিম দিক হতে একটি অদ্ভুত জন্তুর আগমন ঘটবে , সে নাকি কে কাফির আর কে মুসলিম এটা কপালে ষ্পর্শ করে জানান দিয়ে যাবে ।
কুরআন থেকে ধারণা/জ্ঞানলাভ এবং পূর্বধারণার সপক্ষে দলিল অনুসন্ধানে কুরআন অধ্যয়ন দুটো সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়!
আপনার লেখায়/মন্তব্যে প্রায়শঃই আমি এমন দ্বিধায় পড়ে যাই- আপনি কোন পথের যাত্রী!
দুঃখিত, আমার অনুভূতিটা বললাম!
জাযাকিল্লাহ..
আমার বাবার কাছে ছোট থাকতেই আমি দুপারা কুরআন মুখস্ত করেছি। ৩০ পারাটা সম্পূর্ণ আমার মুখস্ত এছাড়া ইয়াসিন, রহমান এবং বিভিন্ন প্রয়জনীয় আয়াত আমার মুখস্ত আলহামদুলিল্লাহ। আরবি গ্রামার, আরবি ভাষার অল্প কিছু আমি বুঝি। আলহামদুলিল্লাহ। আমার নানা আলিম ছিলেন এবং নানিও ইসলাম এর ব্যাপারে অনেক জানতেন আমার জীবনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ছিল তাদের। মরহুম আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর সম্পর্কে আমার খালু ছিলেন, আমার বাসায় ছোটকালে আমি এত বেশি পরিমান নির্ভরযোগ্য ইসলামী বই-পুস্তক পেয়েছি বলার বাইরে। কাজেই বুঝতে পারছেন যদিও আমি মাদ্রাসা পড়ুয়া আলিম নই তবুও ছোটকাল থেকেই আমি একটা ইসলামী পরিবেশে বড় হয়েছি তাই ব্যাপারটা এমন না যে আমি দুদিন ধরে কোরানের বাংলা অনুবাদ পড়ছি আর নিজের মত ব্যাখ্যা দাড় করাচ্ছি। আপনি দেখেছেন কিনা জানিনা যেহেতু আমি আলিম না, তাই আমি কখনো মাসালা বিষয়ে কোন কথা বলিনা কারন সেটা আমার টপিক হতে পারেনা।জাঝাক আল্লাহ
দয়া করে আমার প্রতি বিরুপ হবেন না। আমি একটা প্রশ্নের যথার্থ ও ডেটেইল উত্তর খুঁজছি অনেক অনেক দিন ধরে - কিন্তু পরিতৃপ্তির সাথে পাচ্ছিনা। উপরের কমেন্ট এ আপনি বললেন আপনার আনুভূতিটি উল্লেখ করেছেন এবং আমার মনে হয়েছে হয়তো আপনি অকপটে কিছু কথা বললে আমার মনের ভিতরে থাকা কোয়ারি টির একটি দিক নির্দেশনা পাব।
ব্যাক্তিগতভাবে আমি দেখিছি আখেরি জামানা নিয়ে কেউ আলাপ আলোচনা কিংবা লিখালিখি করলে - ইসলামপ্রিয় ভাইরা কেন যেনঃ
- হাদীস কোরান ও ফ্যাক্টস ফিগার এর প্রতি অমনোযোগীতা দেখান।
- ক্ষেত্র বিশেষে অস্বীকার করেন, নেগলেক্ট করেন, এ্যাভয়েড করেন।
- ষঢ়যন্ত্র ত্বত্ত বলে শুনতে চান না, পড়তে চান না, দেখতে চান না।
- হাজার কিংবা শত বছরের পুরোনো কোন একজন আলেম কিংবা ওলামার ব্যাখ্যা বিশ্লেষন দিয়ে কাউন্টার দিতে যান এবং আলোচনায় কিংবা বিচার বিশ্লেষনে নিয়োজিত হতে চান না, বাই পাস করেন।
- এবং সব শেষে আলোচ্য ইস্যু ছেড়ে ব্যাক্তির চরিত্র, ব্যাক্তির ধর্মে বিশ্বাস, নলেজ এর অভাব, সার্টিফিকেট কতটুকু, জানাশোনা কোন লেভেল এর, কোন সেক্ট কিংবা মাজহাব ইত্যাদির অবতারনা করেন।
আপনার কাছে আমার কোয়ারিজ হলঃ যদি আপনার নিজস্ব অভিজ্ঞতা দিয়ে আমাকে বলেন কেন ইসলাম প্রিয় ভাই বোন রা এ বিষয়টিকে এভাবে হেলা ফেলা করে? ঠিক কি মনে উদয় হয় আপনার মত মানুষদের যখন আপনারা এ নিয়ে পড়েন, কিংবা আলোচনা শুনেন? ঠিক কি হয় একজন পড়ালিখা করা আলেম এর? টিভি ব্যাক্তিত্বের? ঠিক কি কারনে আলেম রা মুসলিমদের বিরুদ্ধের দুনিয়ায় সংঘঠিত এ সব বিষয়ের কোরান ও হাদীসের আলোকে গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যা বিশ্লেষন সামনে আনতে ব্যার্থ হয় কিংবা হচ্ছে? আর যারা আনার চেষ্টা করছে তাদেরকে গ্রসলি ক্রুশবিদ্ধ করার চেষ্টা করে?
আমি অনেস্টলী এ প্রশ্ন সমূহের উত্তর খুঁজছি - যদি দয়া করে কিছুটা সময় নিয়ে কনভিন্সিংলী আলোক পাত করেন - উপকৃত হব।
পেশাগত ব্যস্ততায় ব্লগে খুবই অনিয়মিত হয়ে যাওয়াতে আপনার মন্তব্য / প্রশ্ন গুলো আমার দেখা হয়নি! যাহোক, আমি সময় সুযোগ করে জবাব দিতে চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
পেশাগত কারণে ইমেইলে থাকতে হয় ১২-১৫ঘণ্টা, সেটাতে আলাপ করা আমার জন্য সুবিধাজনক, আলাদা সময় বের করতে হয়না! আপনার যদি আপত্তি না থাকে-
@সাদাচোখে: আপনার প্রশ্ন গুলোর জবাব
*আখেরি জামানা নিয়ে কেউ আলাপ আলোচনা কিংবা লিখালিখি করলে -
কেন ইসলাম প্রিয় ভাই বোনরা এ বিষয়টিকে এভাবে হেলা ফেলা করে?
জবাবঃ যে বিষয়ে জ্ঞান নেই সেটার পিছে লাগতে (সেটা নিয়ে কথা বলতে) আল্লাহতায়ালা নিষেধ করেছেন (সূরা ইসরা আয়াত ৩৬)! আবার মুতাসাবেহাতের পিছে লাগাকেও ভর্তসনা করা হয়েছে (সূরা আলেইমরান আয়াত ৭)!
কোন বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে যদি আমার অজ্ঞতাই প্রকাশ পায় তবে সেটাতে জড়াতে চাইবো কেন?
আখেরী জামানা প্রসঙ্গে বর্ণনাগুলো সকলের বোধগম্য হবার বিষয় নয়! তাই পাঠক থাকলেও মন্তব্য করতে অনেকেই পারঙ্গম নয!
সুতরাং বিষয়টিকে "এভাবে হেলা ফেলা করে?" এ ধারণা সঠিক নয়!
*ঠিক কি মনে উদয় হয় আপনার মত মানুষদের যখন আপনারা এ নিয়ে পড়েন, কিংবা আলোচনা শুনেন?
জবাবঃ আমার কথা বলি- অন্যদেরগুলো তো জানিনা, কারো সাথে আলাপও হয়নি! আমার মনে হয়- কিছু অনুসন্ধিৎসু মানুষ দ্বীনের একটা বিষয় নিয়ে গবেষণা করছেন, তাঁদের উতসাহিত করা উচিত! আর এজন্য তাদেরকে এমনভাবে খোঁচানো প্রয়োজন যেন আড়ালে থাকা প্রসংগও তাঁরা সামনে নিয়ে ভাবতে ও লিখতে পারেন!
*ঠিক কি হয় একজন পড়ালিখা করা আলেম এর? টিভি ব্যাক্তিত্বের?
জবাবঃ সবার সব বিষয়ে আগ্রহ থাকা জরুরী নয়, এটাও তেমনি! এর বেশী কিছু মনে করিনা!
*ঠিক কি কারনে আলেমরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে দুনিয়ায় সংঘঠিত এ সব বিষয়ের কোরান ও হাদীসের আলোকে গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যা বিশ্লেষন সামনে আনতে ব্যর্থ হয় কিংবা হচ্ছে?
জবাবঃ আপনি যেভাবে মনে করছেন তার সাথে আমি একমত না-ও হতে পারি! সেক্ষেত্রে আপনি যেটাকে জরুরী ভেবে আমার ব্যর্থতা বলছেন আমি তার সাথে একমত নই বলেই ওটা নিয়ে কিছু করছিনা বা বলছিনা, আপনি এটাকে ব্যর্থতা বললেও আমি তা মানিনা!
*আর যারা আনার চেষ্টা করছে তাদেরকে গ্রসলি ক্রুশবিদ্ধ করার চেষ্টা করে?
জবাবঃ এটা আপনার অনুচিত ধারণা মাত্র (বরং কুধারণা বলা যায়)!
আরো কথা হতে পারে...
***কিয়ামতপূর্ব সময়ে বনী ইজরাইল তথা ইহুদি জাতিকে পুনরায় জেরুজালেম ভূমিতেই সংমিশ্রিত জাতি হিসেবে একত্রিত করা হবে।
***ইমাম মাহদি (আঃ) জীবন বাঁচাতে মদিনা থেকে মক্কায় আশ্রয়গ্রহণ করলেও তার খেলাফতের রাজধানী হবে সিরিয়ার দামেস্ক (دمشق) আর তার জীবনের প্রধান লক্ষ্য হবে দাজ্জাল নিয়ন্ত্রিত ইহুদিদের নিকট থেকে জেরুজালেম পুনরুদ্ধার।
***জেরুজালেমের গালিলী লেক (তবারিয়াহ) ও জাগার ঝর্ণার পানি সম্পূর্ণরূপে শুকিয়ে যাওয়ার পর দাজ্জালের আত্নপ্রকাশ ঘটবে এবং সে ইমাম মাহদি (আঃ) ও তার সঙ্গী-সাথীদেরকে সিরিয়ায় আবরুদ্ধ করবে।
***মুসলিমগণ কোণঠাসা হয়ে পড়বে যখন আর কোন আশাই বিদ্যমান থাকবেনা, সেই মুহূর্তে মুসলিমদের প্রতি মহান আল্লাহ অনুগ্রহ করবেন, ঈসা (আঃ) এর আগমণ ঘটবে আর পবিত্রভূমি (ফিলিস্তিন) তথা জেরুজালেমের মাটিতেই তিনি দাজ্জালকে হত্যা করবেন।
***জেরুজালেমই হল সেই ভূমি যেখানে আগমণ ঘটবে ইয়াজুজ-মাজুজ নামক দুটি ভয়ংকর মানব সম্প্রদায়ের যারা গালিলি লেকের সমস্ত পানি পান করে একে পানিশূন্য করে ছাড়বে এবং সমস্ত মানবজাতিকে পরাভূত করার পর এই ভূমিতে দাড়িয়েই আকাশের দিক তারা তীর ছুড়বে আসমানের অধিবাসীদের হত্যার জন্য।
***এই পবিত্র ভূমি জেরুজালেমের পাহাড়েই মহান আল্লাহ ঈসা (আঃ) ও মুসলিমদের রক্ষা করবেন ইয়াজুজ মাজুজের অনিষ্ট থেকে এবং নিজ অনুগ্রহে ইয়াজুজ মাজুজকে চিরতরে পৃথিবী থেকে নিঃচিহ্ন করে দিবেন।
***এটিই হবে সেই ভূমি যেখান থেকে ঈসা (আঃ) সমস্ত পৃথিবীর উপর খিলাফত ভিত্তিক শাসন পরিচালনা করবেন।
***জেরুজালেম বরকতময় ভূমি আশ-শামের অর্ন্তভুক্ত ৫ টি এলাকার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূঅঞ্চল যেখানে কিয়ামতের বিচার হবে।
অনেক গবেষণার ফসল। তবে একটি কথা হলো ইয়াজুজ মাজুজ তো প্রাচির ভেঙ্গে আসার কথা, তাহলে তো জিউরজিয়া থেকে আসার কথা, কিন্তু ইসরাইল থেকে বের হওয়ার কথাটা কেমন যেন নতুন নতুন লাগছে।
আল্লাহই ভালো জানেন।
আপনার গবেষনা ও পরিশ্রমের উত্তম বিনিময় কামনা করছি। জাযাকিল্লাহ খাইর
আজকের সময়ে উম্মাহর জন্য প্রয়োজনীয় একটা বিষয়ে লিখছেন - ওভার অল মনে হচ্ছে চমৎকার শুরু হয়েছে।
আশা করবো সামহাউ এটা শেষ হবে, ইনশাল্লাহ্। আমি কয়েকবার শুরু করে ও শেষ করতে পারি নি।
পাঠকের কিছু কিছু কমেন্ট এ - আমি কমেন্ট না করে পারছিলাম না - শুধু মাত্র এ জন্য যে - সামহাউ ওনারা (যারা বিজ্ঞ এবং ক্যাপাবল) যদি বিষয়টাকে সিরিয়াসলী নেন এবং এর উপর আরো আরো বেশী আলাপ আলোচনা করেন এবং মুসলমান রা আরো সচেতন হয়, রাসুলুল্লাহ সঃ এর বানীর সত্যতা অনুভব করতে পারে এবং তারপর করনীয়কে সহজে নিতে পারে।
১৫নম্বর মন্তব্যে আপনার বক্তব্যের জবাব:
পেশাগত ব্যস্ততায় ব্লগে খুবই অনিয়মিত হয়ে যাওয়াতে আপনার মন্তব্য / প্রশ্ন গুলো আমার দেখা হয়নি! যাহোক, আমি সময় সুযোগ করে জবাব দিতে চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
পেশাগত কারণে ইমেইলে থাকতে হয় ১২-১৫ঘণ্টা, সেটাতে আলাপ করা আমার জন্য সুবিধাজনক, আলাদা সময় বের করতে হয়না! আপনার যদি আপত্তি না থাকে-
সুন্দর লেখা উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। পরের লেখাগুলোও সংগ্রহে আছে সময়নিয়ে পড়বো ইনশাআল্লাহ।
জাযাকাল্লাহ খায়ের
অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন