ইসলাম বিদ্বেশীদের অভিযোগ: "ইসলাম যুদ্ধবন্দী নারীকে ধর্ষণের নির্দেশ দেয়" সাদাচোখে সত্যতা যাচাই। (শেষ-পর্ব )
লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ১৯ মে, ২০১৬, ১২:৩৭:৩৮ রাত
ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রাচীন সেমিটিক, গ্রীক, রোমানদের হাত ধরেই যৌনদাসীর মত জঘন্য ব্যবস্হার গোড়াপত্তন হয়। সাধারণত যখন তারা কোন দূর্বল জনগোষ্ঠীর উপর আক্রমণ পরিচালনা করত, তখন ধন-সম্পদ লুন্ঠন, ঘর-বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, গণহত্যা-ধর্ষণ, যুবকদের দাস হিসেবে বন্দী এবং যুবতী নারীদেরকে যৌনসম্ভোগের জন্য বন্দী করে নিয়ে যেত। এসব বন্দী নারীরা হাজার হাজার সৈনিকের দ্বারা ধর্ষিত হত, অনেককে যৌন নির্যাতনের দ্বারাই হত্যা করা হত, দাসী হিসেবে অনেককে বিক্রি করে দেয়া হত। দাস/দাসী হত্যা রোমানদের জন্য আনন্দদায়ক খেলা ছিল।
আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া গ্রন্হে উল্লেখ করা হয়েছে, তাতারী মঙ্গোলিয়ানরা ইরাক আক্রমণ করে তা পরাভূত করে এরপর তারা প্রতিটি মুসলিম গৃহে প্রবেশ করে এবং পরিবারের সকল সদস্যকে একজায়গায় জড়ো করে হত্যা করে এবং প্রতিটি ঘর থেকে বন্দী করে নিয়ে যাওয়া হয় হাজার হাজার সুন্দরী মুসলিম তরুণীদেরকে। তাতারী সৈন্যদের দ্বারা দিনের পর দিন তাদের উপর চলে নির্মমভাবে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের দ্বারা হত্যাযজ্ঞ।
একইভাবে, খৃষ্টান ক্রুশেডাররা যখন পবিত্র ভূমি জেরুজালেম (বর্তমান ফিলিস্তিন/ইজরাইল) দখল করে নেয়, তখন প্রায় ৭০,০০০ মুসলিম তাদের হাতে গণহত্যার শিকার হয় এবং পূর্ববর্তী ধারা অনুযায়ী যৌনসম্ভোগের জন্য জড় করা হয় যুবতী মুসলিম নারীদের এবং শুরু হয় যৌন নির্মমতা ও হত্যাযজ্ঞ। (''Kingdom of Heaven'' নামে নির্মিত হলিউড মুভিতে এর কিছু ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে)
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ-দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস কারো অজানা নয়। এই ঘটনাপ্রবাহের উপর প্রচুর মুভি নির্মিত হয়েছে যেখানে যুদ্ধে ধর্ষণের ভয়াবহতার রূপ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। জাপান, জার্মানী, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা, বৃটেন কেউ এই অভিযোগ থেকে মুক্ত না।
১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধেও পাকিস্তানী আর্মি সামরিক পতিতালয় স্হাপন করে কয়েকলাখ নারীকে ধর্ষণ ও যৌননির্যাতনে হত্যার মত জঘন্য নজির স্হাপন করে। বসনিয়ার ভয়াবহ গণহত্যা ও ধর্ষণ নিয়ে জাতিসংঘ রিপোর্টেই ভয়াবহ তথ্য বেরিয়ে আসে।১৪ বছরের ইরাকী কণ্যা শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে যখন সামরিক আদালতে মার্কিন এয়ার ফোর্সের সদস্য স্টিভেন গ্রিনের বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছিল, সে আদালতে বিষ্ময় প্রকাশ করে বলছিল, আমি তো ইরাকীদের মানুষ বলেই বিশ্বাস করিনা, আমার অবাক লাগছে তার জন্যই আমার বিচার হচ্ছে!!
বলা হয়, সামরিক বাহিনী ধর্ষণকে যুদ্ধের অন্যতম অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে শত্রুপক্ষের মনোবল ভেঙ্গে দেয়ার জন্য। এটি যুদ্ধের অন্যতম একটি কৌশল।
এবার ইসলামকেও কাঠগড়ায় দাড় করানোর পালা। ইসলামও কি এই অস্ত্র প্রয়োগ করেছে?
আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ ﷺ জীবিত থাকাকালীন সময়ে মুসলিমগণ ছোট-বড় মিলিয়ে ৯০ টি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন যার মাঝে ২৭টি যুদ্ধে রাসূল (সাঃ) নিজেই সেনাপতির দায়িত্বে ছিলেন এবং ৮ টি যুদ্ধ তিনিই সরাসরি পরিচালনা করেন। ওহুদ যুদ্ধ ব্যতীত অধিকাংশ যুদ্ধেই মুসলিমগণ ছিলেন বিজয়ী আর তার মাঝে মক্কা বিজয় ছিল সবচেয়ে বড় স্বরণীয় ঘটনা যেখানে ১০,০০০ মুসলিম সেনাবাহিনীর মোকাবেলায় মক্কার কুরাইশরা ছিল সম্পূর্ণরূপে অক্ষম।ইসলাম বিদ্বেশীদের নিকট চ্যালেঞ্জ, এইসব যুদ্ধে এমন একটি দৃষ্টান্ত দেখান যে, ''মুসলিম সৈন্যরা কোন নারীর ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করেছে, সামরিক পতিতালয় বানিয়ে অমুসলিম নারীদের উপর যৌননির্যাতন চালিয়েছে, সেনাপতি হিসেবে মুহাম্মাদ (সাঃ) সাহাবীদের নির্দেশ দিয়েছেন যে, বিধর্মী নারীদের ধর্ষণ কর!!!'' সত্যের মুখোমুখি হবার সাহস থাকলে একটা মাত্র একটা উদাহরণ দিন দয়া করে।
অর্থাৎ, যে বিষয়ের কোন ঐতিহাসিক সত্যতাই নেই, এমন একটি ভূয়া-মিথ্যা বিষয়কেই ইসলাম বিদ্বেশীরা গায়ের জোড়ে সত্য প্রমাণের প্রচেষ্টায় ব্যস্ত রাত-দিন।
ইসলাম আগমণের সময় সমাজে তিনভাবে কৃতদাস/কৃতদাসী সংগৃহীত হত।
১. যুদ্ধবন্দী
২. অপহরণ
৩. ঋণগ্রস্হ মানুষ যখন ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হত, তখন মহাজনরা তাদের দাস/দাসী বানিয়ে নিজেরা রাখত বা অন্যের নিকট বিক্রি করে দিত। অনেক দাসীর মালিক অর্থ উপার্জনের উপায় হিসেবে দাসীদের দিয়ে জোড়বশত পতিতাবৃত্তি করাত।
ইসলাম যুদ্ধবন্দী ছাড়া দাস/দাসী সংগ্রহের সকল পথ আস্তে আস্তে বন্ধ করে দেয়। যেহেতু এর মাঝে আমার আলোচনার বিষয়বস্তু শুধুমাত্র যুদ্ধবন্দী নারী বা অধিকারভূক্ত দাসী, তাই সেটি নিয়েই কথা বলব।
মানব সমাজে যুদ্ধ-বিগ্রহ, বিশৃংক্ষলা সৃষ্টি ইসলামের আদর্শ নয় বরং, মানব সমাজে তাওহিদ প্রতিষ্ঠাই ইসলামের মূল লক্ষ্য। ইসলাম যুদ্ধ করে তাওহীদে বিশ্বাসী মানুষের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য ও একইসাথে অমুসলিমদের সাথে সন্ধিচুক্তি বা শান্তিচুক্তির দ্বারা তাদেরকে বিরত রাখে তাওহীদ ভিত্তিক সমাজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা থেকে এবং তাদের ন্যায্য অধিকার প্রদানের দ্বারা সমাজে একটি স্হিতিশীল অবস্হা সৃষ্টি করে। ইসলাম যুদ্ধ করে মূলত ২টি বিষয়কে সামনে রেখে_
১. আগ্রাসন প্রতিহত করা।
২. নির্যাতিত মানুষকে রক্ষা করা।
এসকল যুদ্ধে মুসলিমরা যাদেরকে বন্দী করে, তারা মূলত আগ্রাসী বা হামলাকারী। কাজেই এদের বন্দী করার যৌক্তিক কারণ আছে এবং এই বন্দীত্বও চীরস্হায়ী নয়, বরং সাময়িক। এসব ক্ষেত্রে তাদের বন্দী করা হতো নির্দিষ্ট কিছু বিষয়কে সামনে রেখে। যেমন: মুসলিম বন্দীর সাথে বিনিময়, অর্থমূল্যে মুক্তি ( মুকাতাবা ), মুসলিম সমাজের উন্নয়নে তাদের মেধা ও শ্রম খাটাবার বিনিময়ে মুক্তি, ইসলামের প্রতি তাদের মনে অনুরাগ সৃষ্টির লক্ষ্যে নিঃশর্ত মুক্তি ও ক্ষমা প্রদান। তাছাড়া তখন কোন জেলখানার অস্তিত্বও ছিলনা যেখানে বন্দীদের আটক রাখা যায়। ফলে যুদ্ধবন্দীদেরকে যুদ্ধে অংশগ্রহনকারী কোন মুসলিম যোদ্ধার জিম্মায় বা নিরাপত্তায় ছেড়ে দেয়া ছাড়া কোন উপায় ছিলনা। আর এটাকেই ইসলাম বলছে অধিকারভুক্তি। যারা তাদের জিম্মায় বা নিরাপত্তায় থাকছে তাদেরকে বলা হচ্ছে অধিকারভুক্ত দাস/দাসী। এক্ষেত্রে, একজন যুদ্ধবন্দী নারী শুধুমাত্র যুদ্ধে অংশ নেয়া একজন মুসলিম পুরুষের জিম্মায় থাকছেন তিনি কিন্তু মোটেও শত শত পুরুষ দ্বারা ধর্ষিত হচ্ছেননা, বরং তিনি সম্পূর্ণরূপে নিরাপত্তা লাভ করছেন। ইসলামী আইন যুদ্ধবন্দী নর-নারীকে মুকাতাবা চুক্তির অপশন দেয়। যুদ্ধে বন্দী হবার পর তাদেরকে জানিয়ে দেয়া হয় মুকাতাবা চুক্তি অনুযায়ী সে তার অধিকার অর্জনকারী মালিকের সাথে আলাপ আলোচনা করে উভয়ে সম্মত একটি মুক্তিমূল্য নির্ধারণ করবে এবং দাস/দাসী সেই মুক্তিমূল্য ধীরে ধীরে বা একসাথে পরিশোধ করে নিজেকে মুক্ত করে নিবে।
উম্মুল মুমিনীন জুওয়ায়রিয়া, রায়হানা ও সাফিয়া রাযিয়াল্লাহু আনহারা কিন্তু প্রথমে যুদ্ধবন্দী নারী হিসাবেই রাসূল ﷺ কাছে এসেছিলেন এবং রাসূল ﷺ নিজেই তাদের মুকাতাবার অর্থ পরিশোধ করে দিয়েছিলেন আর পরবর্তীতে রাসূল ﷺ তাদেরকে বিয়ে করে নিজ স্ত্রীর মর্যাদা দেন। তাই আজকে আমরা হযরত জুওয়ায়রিয়া, হযরত রায়হানা ও হযরত সাফিয়া রাযিয়াল্লাহু আনহাকে উম্মুল মুমিনীন বা মুমিনদের মাতা নামে ডাকি।
যুদ্ধে অনেক নারীই নিজ পিতা, স্বামী বা ভাইকে হারান ফলাফলে, আশ্রয়হীন হয়ে পরেন। এজন্যই ইসলাম এই দিকটি মানবিক বিবেচনায় নিয়ে বিশেষভাবে মহিলা যুদ্ধবন্দীকে মুকাতাবা ছাড়াও আরো একটি অপশন দেয়। সেটি হল: অধিকারভূক্ত দাসী বা স্ত্রী হিসেবে অবস্হান করা। সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সময় দেয়া হয় এক ঋতুকাল (তাফসীরে ইবনে কাছীর, সূরা নিসার আলোচনা)। কাজেই যুদ্ধে বাবা, স্বামী বা ভাইকে হারিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পরা অবস্হান থেকে তার জন্য সুযোগ তৈরী হয় ঘর, আশ্রয়, স্বামী ও সন্তান প্রাপ্তির। এক্ষেত্রে তাকে বন্দী হিসেবেও থাকতে হয়না বরং সব ধরণের চলাফেরার স্বাধীনতাই সে ভোগ করে। তার ভরণপোষণের যাবতীয় দায়িত্ব বর্তায় তার অধিকার অর্জনকারী পুরুষের উপর। অধিকারভূক্ত দাসীর সন্তান জন্ম নিলে সেই সন্তান অধিকার অর্জনকারী পুরুষের বৈধ সন্তান হিসেবেই জন্মগ্রহণ করে এবং তার জন্মগ্রহণের দ্বারা তার মাও পূর্ণাঙ্গ স্বাধীন নারী হিসেবেই আত্নপ্রকাশ করে। এই সন্তান দাস হয়না বরং পিতার সম্পত্তির অধিকার লাভ করে। একজন স্বাধীন নারীর বিয়ের সাথে তার পার্থক্য হল, সে কোন মোহরাণা পাবেনা যেহেতু সে স্বাধীন নয়, বরং অধিকারভূক্ত। কিন্তু সে তার অধিকারভূক্ত স্বামীর নিকট থেকে একজন স্ত্রীর যাবতীয় অধিকার ভোগ করছে। এখানে জোড় করে কিছুই চাপিয়ে দেয়া হচ্ছেনা। শত্রুপক্ষের নারীর সাথে এমন মানবিক আচরণ ইসলামের মহানুভবতাকেই প্রকাশ করে।
অথচ এরপরেও ইসলাম বিদ্বেষীরা ভূয়া যৌনসম্ভোগের অভিযোগ তুলেন তাই তাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, আযলের হাদিসটি কিন্তু যুদ্ধবন্দী নারীদের সাথে যৌনমিলনের পেক্ষাপটেই রাসূল ﷺ এর মুখ থেকে বের হয়। আগেই উল্লেখ করেছি আযল হল, তৎকালীন আরবের সনাতন জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্হা যেখানে, "পুরুষেরা সন্তান না নেয়ার জন্য স্ত্রী মিলনের সময় যৌনাঙ্গের বাইরে বীর্যপাত করত" কিন্তু ইসলাম নিছক যৌনমিলনে বাঁধা দেয় এবং সন্তান নেয়ায় উৎসাহ দেয়।
যখন বনু মুস্তালিক যুদ্ধে বন্দী নারীদের সাথে সমস্ত হিসাব-নিকাশ তথা মুকাতাবা অথবা অধিকারভূক্ত স্ত্রী হিসেবে থাকা- বিষয়ে ফয়সালা হয়ে যাবার পরে যৌনমিলনের প্রশ্ন আসে, তখন কিছু মুসলিম পুরুষেরা সন্তান না নেয়ার জন্য আযল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আর এই সংবাদ রাসূল ﷺ এর নিকট পৌছালে তিনি রেগে যান এবং বিস্ময় প্রকাশ করে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে, এরূপ না করলে তোমাদের কি ক্ষতি হবে? জেনে রেখো, কেয়ামত পর্যন্ত যতগুলো প্রাণের আগমণ ঘটবার কথা আছে, ততগুলোর আগমণ ঘটবেই, যদিও পাথরের উপর বীর্যপাত করা হয় (বুখারী, হাদিস সংখ্যা: ৩৮৩২, পাবলিশার: ইফাবা, ৭ম খন্ড)।
প্রশ্ন হল, যদি সত্যিই ইসলাম যৌনসম্ভোগের জন্য যুদ্ধবন্দী নারীদের ধর্ষণের হুকুম দেয়, তবে কেন বন্দী নারীকে মুকাতাবা চুক্তির প্রস্তাব দেয়? কেনই বা অধিকারভূক্ত দাসীর ভরণপোষণের দায়িত্বের কথা উঠায়? কেন আযল নিষিদ্ধ করে সন্তান গ্রহণ করতে বলে? কেনই বা সেই সন্তানের ভরণপোষণ ও সম্পত্তিতে অধিকার দিতে বলে? কেনই বা যুদ্ধবন্দী নারীকে একাধিক পুরুষের কাছে যৌনসম্ভোগের উদ্দেশ্যে ছেড়ে দেয়না? এত কেন এর জবাব কি কোন মিথ্যাবাদি ইসলাম বিদ্বেশী দিতে পারবে???????
বিষয়: বিবিধ
৪৩৬৭ বার পঠিত, ৬৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া।
লেখায় একটু ভুল ছিল ঠিক করে দিয়েছি তাই আরেকবার প্লিজ দেখবেন। আর আমাকে জাস্ট শুভেচ্ছা দিয়ে দায়িত্ব শেষ করলে একদম চলবেনা এসব নিয়ে কথা বলতে হবে। মুফাস্সিল ইসলাম নামের একটা বদমাসকে দেখলাম ইউটিউব চ্যানেলে বেশ কিছুদিন যাবত এসব নিয়ে মিথ্যাচার করতে সম্ভবত সে পাবলিক ফিগার ফেসবুকে। তাই এদের মিথ্যাচারগুলোর জবাব দিন। জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া।
বদমাশদের কাজ বদমায়েশি করা। এরা ফেইক এবং এজেন্ট। এদেরকে মাইরের ওপরে রাখতে আমি বেশী পছন্দ করি। এরা যুক্তি এবং বিশ্বাস - কোনোটি-ই মানবে না। তাই লেখে এদের প্রতিবাদ সম্ভব নয়। আর যেহেতু ফেইক, মারার বা শক্ত ঝাঁকুনি দেবার সুযোগটাও হাতছাড়া।
এদের জাস্ট ইরেজ/রিমুভ তথা ওভারলুক করলে কেমন হয়?
সত্য প্রকাশে আপনাতেই এদের মিথ্যাচার দূর হবে, এরা পতিত হবে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে।
জাস্ট জ্ঞান পেটে ভরে হজম করে ফেললে হবে, হুম?? আপনাদের তো ফেসবুক আইডি আছে মুফাস্সিল নামক বদমাসটাকে একটু শায়েস্তা করুন। লেখাটায় একটু ভুল ছিল সেটা ঠিক করে দিয়েছি আরেকবার পড়বেন প্লিজ। জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া।
তাহারা জবাব দিতে পারুক, আর নাইবা পারুক, স্বভাবসুলভ প্যাচাল তাহারা করিবেই। সেই যুদ্ধ বন্দী নারীদের তাহাদের মাঝে বণ্টন করিয়া দিলে এতো আপত্তি আসিতনা বলিয়াই আমার বোধ হয়।
ওহে, গাল ফুলানি, এইবারের মত হাসিয়া দুই চারিটা মিষ্টি কথা বলেন
যে মানুষ সালাম শুনে ই হয়রান হয়ে যায়,
সে মানুষ এত্ত বড় হাতুড়ির দৌড়ানি খেয়ে ও বাচার জন্য আপ্রাণ চেস্টা করে যাচ্ছে ,, ,,
আপনি জানেন আমি প্রতিটাদিন কত ভয়ে কাটাই? কবরের ব্যাপারটা আমাকে মারাত্নক ভয় পাইয়ে দেয়। আমি বারবার ভাবি, পারবো তো ৩টা প্রশ্নের জবাব দিতে? আমার পরিবার, আমার চারপাশের বাজে পরিবেশের সাথে টক্কর দিয়ে আমাকে একটু হলেও ইসলামের উপর থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করে যেতে হয়। মাঝে মাঝে আমার পদলঙ্ঘনও ঘটে। আমি তেমন পরহেজগার নই। রাতের বেলা একটু চোখ বুজি আবার ভয়ে চোখ খুলি কারণ মাথায় কাজ করে, আজ রাতে যদি ভূমিকম্পে মারা যাই, তাহলে আমার কি হবে? আমার তো কোন ভাল আমলই নেই!!!চারপাশে যা ঘটে তা আমিও দেখি, তা আমাকেও স্পর্শ করে। আমি দেখি আমার অনেক কিছু করার ছিল কিন্তু আমি করতে পারছিনা আমার মৃত্যু ঘনিয়ে আসছে কিন্তু আমি কোন পাথেয়-ই জোগাড় করতে পারছিনা, আমি ইসলামকে প্রকৃতরূপে ধারণ করতে পারছিনা। আপনি কিছুদিন সিয়াহ সাত্তাহ এর কিয়ামত ও ফিৎনা সংক্রান্ত ভবিষ্যৎবাণীর হাদিসগুলি পড়বেন ও বর্তমান বাস্তবতার সাথে মিলাবেন, এই বিষয়ে নির্ভরযোগ্য প্রাচীন ও বর্তমান আলিমদের ব্যাখ্যা পড়বেন এবং আসন্ন ঘটনাগুলো নিয়ে ভাববেন। সুরা ফুরকান, মারিয়াম, তওবা, ইসরা, রূম, কাহাফ ইত্যাদি সূরাগুলোর চুলচেরা বিশ্লেষণে যান, দেখেন আপনি আর স্বস্হিতে থাকতে পারেন কিনা? চাকরীতে মন দিতে পারেন কিনা?
ভাইয়া, আমি দূর্বল মানুষ কিছুই পারিনা করতে। এক পা আগাই তো ভয়ে দুপা পিছিয়ে আসি। আমার জন্য সহজতর জিনিসটা হল ব্লগিং। একজন মানুষ হলেও আমি তার কাছে কিছু ম্যাসেজ দিতে পারি। আমার লেখা কিছু মানুষ পড়ে, তারা নতুনভাবে কিছু ভাবে, একটু ভিন্ন দৃষ্টিতে সব কিছু দেখার চেষ্টা করে আর এটুকুই আমার স্বার্থকতা। ব্লগিং থেকে এর চেয়ে বেশি আর কি বা আশা করা যায় বলেন?? জাঝাক আল্লাহ।
ব্লগে আসতে এত্ত এত্ত কাঠ খড় পোড়াতে হয় বলে , কত ভালো ভালো লিখা যে মিস হয়ে যাচ্ছে
বেশ কিছু অজানা বিষয় জানলাম,
জাঝাক আল্লাহ খাইরান।
আমার মনে হয়, যারা ইসলামের নিন্দা করে বেড়ায়, তারা জেনে বুঝে ইচ্ছে করে ই করে,
তাই তারা কোন উপদেশ, নছিহত, যুক্তি কিছু ই কানে নেয় না।
কারন তারা আগে থেকে ই জানে যে তারা ভুল। জেনে শুনে ই তারা ভুল পথে হাটছে।
মহান আল্লাহ, আমাদের সবাই কে দ্বীনের সঠিক পথে চলার তৌফিক দিন আমিন।
আর আমার এই লেখায় যতগুলো কমেন্ট তোমার লেখায় তার চেয়ে বহূগুণ বেশি কমেন্ট পরে। আমার ব্লগিং বয়স প্রায় ৫ বছর (২০১১ থেকে) একটা সময় আমার লেখা কেউ পড়তোনা। আবার একটা সময় আমার লেখায় তোমার লেখার চাইতে কয়েকগুণ বেশি কমেন্ট পরত। বিশেষ করে নাস্তিকরা আমার লেখা পেলেই গ্রুপিং করে দল বেঁধে আসত। একটা একটা লেখা নিয়ে আমাকে দিনের পর দিন তর্ক-বিতর্ক, যুক্তি উপস্হাপন করতে হত। আর আমি ততক্ষণ পর্যন্ত থামতামনা, যতক্ষণনা তারা হার মানে। তখনও কিন্তু আমাকে কেউ চিনতোনা কারণ আমি বরাবরই ছদ্বনামে ব্লগিং করি। আমি কিন্তু তখন নিজের ব্যাপারে আরো বেশি শক্ত ছিলাম। আবেগ, অনুভূতি এসবকে প্রশ্রয় দিতাম না, ব্লগে নিজের ব্যাপারে একটা কথাও বলতামনা। এটার প্রধান কারণ কিন্তু একটাই আমি সমসময় স্পর্শকাতর, বিতর্কিত জিনিসগুলো নিয়েই লিখি যেগুলোর ব্যাপারে স্বাভাবিকভাবেই সবার নজর থাকে কারণ এসব ব্যাপারগুলো অন্যরা এড়িয়ে চলে। অনেকেই উত্তর দিতে পারেনা। কিন্তু যেহেতু এসব স্পর্শকাতর, বিতর্কিত বিষয়গুলোকে নিয়েই আমি লিখি তাই স্বাভাবিকভাবেই আমার লেখাগুলো মানুষকে আকর্ষিত করবে। আফরা কিছুদিন আগেও ফেসবুকের বেশ কিছু জনপ্রিয় ইসলামিক পেজ আমার লেখাগুলো নিজেদের ওয়ালে নিয়মিত পোস্ট করত। এবার তুমিই বল এর সাথে জেন্ডারের কি সম্পর্ক?? এসব নিয়ে আমার কোন অহংকার নেই আফরা। আমি বিশ্বাস করি কি জানো? এই কাজগুলো আল্লাহ আমাকে দিয়ে করিয়ে নিচ্ছেন, যদি আমি না থাকতাম তাহলেও আল্লাহ আমার জায়গায় অন্য কাউকে স্হলাভিষিক্ত করতেন, এই কাজগুলো সেই সমাধান করত। তাই আমার মাঝে স্পেশাল কিছুই নেই আফরা। ছন্বনামে লিখি বলে আমার অনেক লেখা মানুষ চুরি করে নিজের নামে চালিয়ে দেয় ফেসবুকে। আমার লেখা সুমাইয়া নামের আরেক মেয়ের হয়ে যায় কিভাবে বল? এভাবেই চুরি হয়। কিন্তু তাও আমি চুপ থাকি।
আর কেন আমি নিজের ব্যাপারে বলিনা জানো?? একটা জিনিস বোঝার চেষ্টা কর, তুমি বিদেশ বসে যতটা স্বাচ্ছন্দে ব্লগিং কর, সেটা কিন্তু দেশে বসে আমার পক্ষে কখনো সম্ভব না। নিরাপত্তা নেই এখানে। না আছে নাস্তিকদের নিরাপত্তা, আর না আছে আমার মত নিছক লেখকদের, যারা কোন রাজনীতির সাথে পর্যন্ত যুক্ত না। আর আমি যদি নিজেকে প্রকাশ করতে শুরু করি, তখন আমি আমার মূল কাজ থেকে দূরে সরে যাবো। আমি যেসব লিখি বেশিরভাগই কিন্তু মানুষের কাজে লেগে যাচ্ছে নিছক গল্প, গুজবে শেষ হয়ে যাচ্ছেনা।
আফরা সমস্যা কি জানো? সবাই আবেগ দিয়ে দেখে কেউ এগুলো বুঝতে চায়না।
আচ্ছা আমি মেয়েই হই বা ছেলে কি এসে যায় বল? বিষয়টা কি এমন- আমি অনেক জানি, অনেক বুদ্ধি আমার তাই যদি মেয়ে হই, সেক্ষেত্রে আমাকে বউ বানাতে পারা বিশাল ভাগ্যের ব্যাপার?? তাই মানুষ আমার জেন্ডার জানতে চায়?
অথবা আমি যদি ছেলেই হই তাতে কি আমাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেলেই একটা মেয়ে ভাগ্যবতী হয়ে উঠবে?পরহেজগার হয়ে যাবে? বলেছিলাম একদিন মনে করে দেখো যে, ভার্চুয়াল জগতের মানুষগুলোকে নিয়ে আমরা একটা স্বপ্নীল অবস্হায় থাকি। তার কথাবার্তা শুনে স্বপ্নের মত মানুষ মনে হয় তাকে। কিন্তু সত্যি হল, বাস্তবে এই ভার্চুয়াল মানুষটা সামনে এলে দেখা যাবে সেও আমার মত মানুষই। হাজারটা দোষ তার মাঝে। সে কালো বা ফর্সা, লম্বা বা খাটো, সুন্দর বা অসুন্দর। অনেক ইকুয়েশান, এডুকেশনাল যোগ্যতা কম বা বেশি। চোখে আটকাবে অনেক কিছু।
সন্ধাতারা আপুর কমেন্টে দেখুন গাজি সালাহউদ্দিনের কথার জবাবে আমি কি মন্তব্য করেছি।
শুনুন আমি নিজেকে নিয়ে কখনোই ভাল কিছু ভাবতে পারিনা, খুব তুচ্ছ ভাবি নিজেকে এটা ইদানিং একটা মানুষিক রোগ হিসেবে আমার জীবনে দেখা দিয়েছে। সরি! অনেক কথা বললাম, জানি কষ্ট হবে পড়তে।
প্রিয় বান্ধুবী , আপনার কথাটা মিথ্যা না হলে ও আমার বেলায় আমি সত্য বলে স্বীকার করতে পারছি না ----- কারন আপনার চোখে শুধু আমার পোষ্টের কমেন্ট গুলো চোখে পড়ছে কিন্তু আমি যে সবার পোষ্টে কমেন্ট করি সেটা কখনো বলেন নাই ।
আসলে আপু দুনিয়াতে সবাই বিনিময় চায় আপনি অন্যদের পোষ্টে কমেন্ট করলে অন্যরাও আপনার পোষ্টে কমেন্ট করবে এটাই স্বাভাবিক ----তাই আমি পরিচিত অপরিচিত ,নতুন ,পুরাতন সব ব্লগারের পোষ্টে কমেন্ট করি তাই আমার পোষ্টেও কমেন্ট পাই আমার ধারনা যাষ্ট এটাই এখানে ছেলে মেয়ে কোন বিষয় এটা নিয়ে কখনো কোন চিন্তা করিনি ।
ও আপনাকে কালতে খোচা দিলে ও আমার ধারনা আপনি এখন অন্যদের পোষ্টে কমেন্ট করেন সে জন্য আপনার পোষ্টে ও কমেন্ট পান ।
এ ব্যাপারে সালাউদ্দীন ভাইয়ার সুরে সর মিলিয়ে বলতেই হয় আপনি সেই অবস্থান থেকেই অনেকটাই বেড়িয়ে এসেছেন তবে আমি এটাকে পজেটিভ হিসাবে দেখি ।
না প্রিয় বান্ধুবী আপনি ছেলে বা মেয়ে হন তাতে অন্য কারো কথা জানি না তবে আমার কোন সমস্যা নেই ।
আচ্ছা প্রিয় বান্ধুবী কারো কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েছেন নাকি ?
আসলে আমি একটু বোকা সোকা আর গাধা টাইপের তো কারো সাথে একটু দুষ্টামী ,বা মজা করলেই আমার মাথায় কখনো বিয়ে, প্রেম এসব চিন্তা আসে না যেটা আপনাদের ভিতরে আসে ।
আর একটা কথা আছে প্রিয় আপু আপনি আপনার জেন্ডার জানাতে চান না এটা ওকে তবে আপনি অন্যদেরটা জানতে চাবেন না এটাই হল কথা ----
জী মনে আছে ভাইয়া আমি বোকা হলে আমার ব্রেন ভালো মানে স্মরন শক্তি বেশ প্রখর - সেদিন ইচ্ছে করেই এটার উত্তর এড়িয়ে গিয়েছিলাম --
এই জিনিসটা মনে হয় বেশীর ভাগ হয় নায়ক -নায়িকা দের নিয়ে ,খেলোয়ারদের নিয়ে হয় ,আবার শুনেছি অনেক লেখকের বই পড়ে ও অনেক সময় পাঠকের মনে লেখক নিয়ে বিভিন্ন স্বপ্ন তৈরী হয়েছে ।
এখানে নায়ক-নায়িকা ,খেলোয়ার বা লিখক এর নিয়ে যাদের ভিতর স্বপ্ন তৈরী হয় বা হয়েছে তারা দর্শক বা পাঠক এরা কিন্তু একই অস্থানের লোক নন ।
বিডি ব্লগে যত ব্লগার আছে সবাই ব্লগার হয়ত সবার লিখার মান একই রকম নয় কিন্তু সবাই ব্লগার ।
আমি একজন ব্লগার ও অতি সাধারন একজন মানুষ । তাই এই বিডি ব্লগের সব ব্লগারকে আমি সেই রকমই মানুষ মনে করি সবাইকে সন্মান করি ভালবাসি এটা একমাত্র আল্লাহর জন্য কারন এখানকার বেশীর ভাগ ব্লগারই ইসলামিষ্ট শুধু সেই কারনে ।
আবার অনেকের সাথেই দুষ্টামি করি সেটা এটা ভেবেই করি ব্লগটা উপেন প্লেস এখানে কেউ সীমা অতিক্রম
করতে পারবে না । তবে অনেক সময় হয়ত সেটা নিজের অজান্তেই হয়ে যায় ।
তবে কোন ব্লগার নিয়ে অহেতুক চিন্তা মানে কোন ব্লগারের প্রতি যেমন খারাপ ধারনা রাখি না আমার কাউকে নিয়ে মনের মাঝে কোন বাজে চিন্তাও আসেনি । কারো প্রতি রাগ, হিংসাও নেই সবাইকে একই রকম দেখার চেষ্টা করি ।
জানি না যা বুঝাইতে চেয়েছিলাম কতটুকু বুজাইতে পারলাম ।
হুম! ফেসবুকে পেতাম বিয়ের প্রস্তাব। সেসব নিয়ে অনেক মজার মজার ঘটনাও আছে।হাহা!তবে এই ব্লগে তেমনটা হয়নি।বিয়ে জিনিসটা আসলে আমার জন্য না, এমনই মনে হয়।এমনিতেই ভয়ের লাগে, ভাল লাগেনা এসব নিয়ে কথা বলতে।তবে তোমার বিয়ে বিষয়ক লেখাগুলো আমার বারোটা বাজাচ্ছে। :
যাইহোক ব্লগে এসো তুমি। আর সাদিয়া আপু, সন্ধাতারা আপু এদের সাথে ইমেইল, স্কাইপে, ভাইবার যে কোন ভাবে যোগাযোগ রেখো তারাও তো দেশের বাইরে থাকে তাই ভালো হবে। ব্লগ বন্ধ হয়ে গেলেও যোগাযোগটা থেকে যাবে। সন্ধাতারা আপু তোমার কথা জিঙ্গাসা করছিল। আর তোমার কথায় তুমি করেই ডাকছি যদিও কেমন জানি লাগছে। কিন্তু তোমারও তো তুমি করেই ডাকার কথা ছিল তাইনা?? তুমি আপনি আপনি করছো কেন, হুমমম!! ভাল থেকোগো।
প্রিয় বান্ধুবী আপনি শুধু শুধু ৩য় পক্ষ টানেন কেন !!
১৯৯৭ সালের কথা আমার এক খালু মারা যায় তার একমাত্র মেয়ে সেই বছরই এইচ এস সি পাশ করে ।আমার খালু ভাল চাকরী করত আর আমার খালাত বোন খুব সুন্দুরী ছিল । কিন্তু তার বাবা মারা যাওয়াতে পরিবারের অন্য গার্জিয়ানরা চাইল মেয়েকে বিয়ে দিতে , অনেক ভাল ভাল প্রস্তাব ও আসে কিন্তু আমার খালাতবোন রাজী হয় না ,সে বলে আমি এখন বিয়ে করব না তো সবাই তার উপর একটু মন খারাপ হয় ।
তখন আমার খালাত বোন যুক্তি তুলে ধরে , আমাদের দেশে একটা ছেলের লিখাপড়া শেষ করে ভাল একটা চাকরী পেতে বয়স ২৮ বা আরো বেশি হয়ে যায় । আমার বয়স এখন ১৮ এখন যদি বিয়ে করি তাহলে আমার স্বামীর সাথে আমার বয়সের পার্থক্য হবে ১০ কিন্তু আমি যদি মাষ্টার্স ডীগ্রি পাশ করে বিয়ে করি তখন আমার এই রকম ছেলের সাথেই বিয়ে হবে কিন্তু তখন আমার বয়স হবে ২৪/২৫ ।
আরেকটা কথা বলেছিল ,সেই মূহুর্তে সে কোন ইউনিভার্সিটিতে চান্স পাচ্ছিল না তখন সে এই সব গার্জিয়ানদের বলেছিল বিয়ে, এটা আমি নিজেই পারব আমি যেটা পারছি না সেটা আপনারা করেন -----
প্রিয় বান্ধুবী আমি ২০১৬ সালে আছি সাত সমুদ্র পাড়ি দিয়ে আমি নিজেই তার কাছে পৌঁছে যাব ।
তোমার কথায় তুমি করেই ডাকছি যদিও কেমন জানি লাগছে। কিন্তু তোমারও তো তুমি করেই ডাকার কথা ছিল তাইনা?? তুমি আপনি আপনি করছো কেন, হুমমম!
প্রিয় বান্ধুবী আমি আপনাকে তুমি বলতে বলেছি এটাতে কোন সমস্যা নেই , আর আমার কথা বলেছি আমি কাউকে তুমি বলতে পারি না কথা বলার সময় হয়ত আপনি ও বলতে পারব না শুধু লিখার সময় আপনি বলতে পারি আর কথার বলার সময় তুই করে বলতে পারি ।
কারন আমি বাংলায় যাদের সাথে কথা বলি তাদের সাথে কথা হয় তুই তুই করে ।
"নবুয়্যতের ২৩ বছর জিন্দেগীতে মহান সেনাপতি হিসেবে প্রিয় রাসূল (স) সর্বমোট ৯০টি যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ২৭টি যুদ্ধে তিনি নিজেই সেনাপতি ছিলেন, এর মধ্যে ৯টি যুদ্ধে তিনি নিজ হাতে তলোয়ার ধারণ করেছিলেন, এই ২৭ টি যুদ্ধকে বলা হয় 'গজোয়া'। ৬৩টি যুদ্ধে তিনি নিজে উপস্থিত না থেকে প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলেন, এই ৬৩টি যুদ্ধকে বলা হয় 'ছরীয়াহ'।" "রাসূল (সঃ) যখন যুদ্ধের সেনাপতি...(৫০তম পোস্ট)" এই শিরোনামে আমি একটা লিখা লিখেছিলা, আমার ব্লগে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ আপনাকে
গাযওয়ার সংখ্যা:
মূসা ইবনে উকাবাহ,মুহাঃইবনে ইসহাক,ওয়াকেদী,ইবনে সা‘দ এবং ইবনে জাওযীর মতে, গাযওয়ার মোট সংখ্যা ২৭ টি ৷
হযরত যায়েদ ইবনে আরকান রাঃ এর মতে গাযওয়ার সংখ্যা ১৯টি ৷(বুখারী, মুসলিম ও তিরমিযী)
গাযওয়ার সংখ্যায় এই মতবিরোধের মূল কারণ হচ্ছে,কোন কোন জীবনীকার নিকটবর্তী সময়ে অনুষ্ঠিত কতক গাযওয়াকে এক ধরেছেন ৷ কেউবা একই সফরে অনুষ্ঠিত কতক গাযওয়াকে একই গাযওয়া গণ্য করেছেন ! ফলে মূল সংখ্যা হতে কম বেশ হয়েছে ৷ এমন হতে পারে যে,কারো কোন অভিযান সম্পর্কে অবগতির ছিল না, তাই তিনি তার অবগতির ভিত্তিতে জিহাদের সংখ্যা উল্লেখ করেছেন যা প্রকৃত সংখ্যা থেকে কম হয়েছে ৷(সূত্রঃ ফাতহুল বারী,৭ম খন্ড,২১৮ পৃষ্ঠা)
সারিয়্যার সংখ্যা:
গাযওয়ার ন্যায় একই কারণে সারিয়্যার সংখ্যা নিয়েও মতপার্থক্য হয়েছে ৷
ইবনে সা‘দ বলেছেন ৪০টি ,
ইবনে আব্দুল বার এর মতে ৩৫ টি
মুহাঃ ইবনে ইসহাকের মতে ৩৮ টি
ওয়াকেদীর মতে ৪৮ টি
এবং ইবনে জাওযীর মতে ৫৬ টি৷
আর এজন্যই আমি ৫০ এর অধিক বলেছি। তবে আপনি ভাল একটা পয়েন্ট ধরেছেন আমি এডিট করে দিচ্ছি। জাঝাক আল্লাহ।
রামাদানে আমল সংক্রান্ত ভুলভ্রান্তি, কুরআন-হাদীসের আলোকে সঠিকটি আলোচনা- ঘুম ভাঙ্গাতে চাই।
লেখাটা রেডি করে ফেলেন। আগামী কাল সন্ধ্যা সাতটায়
চমৎকার লিখেছেন। এ বিষয়ে আমার যে ব্যাখ্যা ও আন্ডারস্ট্যান্ডিং ছিল - আপনার এ লিখা পড়ে মনে হচ্ছে তা যেন পূর্নতা পেল।
জাজাক আল্লাহ খায়ের।
জনাব মোফাস্সিল এর রাগ ও ক্ষোভ প্রসূত - প্রায় উম্মাদতুল্য, একচেটিয়া কিছু বক্তব্য শুনতে বাধ্য হয়েছিলাম। মনে হয়েছিল - ভদ্রলোক কে উপযুক্ত লেভেল এর কেউ বুঝিবা সময় দিলে এমনিতেই ঠিক হবে। কিন্তু রাসুলুল্লাহ সঃ এর প্রতি তার বিদ্বেষপূর্ন কিছু স্টেইটমেন্ট শুনে মনে হল ইবনে মাসউদ রাঃ এর বর্নিত রাসুলুল্লাহ সঃ এর নিন্মোক্ত হাদীসের বুঝিবা একটা চাক্ষুষ দৃষ্টান্ত সে সেট করছে একবিংশ শতাব্দীর বাংলাভাষাভাষি মানুষের কাছে।
The Messenger of Allah, sallallahu 'alayhi wasallam, the most truthful, the most trusted, told us: "Verily the creation of any one of you takes place when he is assembled in his mother's womb; for forty days he is as a drop of fluid, then it becomes a clot for a similar period. Thereafter, it is a lump looking like it has been chewed for a similar period. Then an angel is sent to him, who breathes the ruh (spirit) into him. This Angel is commanded to write Four decrees: that he writes down his provision (rizq), his life span, his deeds, and whether he will be among the wretched or the blessed. I swear by Allah - there is no God but He - one of you may perform the deeds of the people of Paradise till there is naught but an arm's length between him and it, when that which has been written will outstrip him so that he performs the deeds of the people of the Hell Fire; one of you may perform the deeds of the people of the Hell Fire, till there is naught but an arm's length between him and it, when that which has been written will overtake him so that he performs the deeds of the people of Paradise and enters therein." [Al-Bukhari and Muslim]
মন্তব্য করতে লগইন করুন