বনু মুস্তালিক যুদ্ধ ও জুওয়ায়রিয়া বিনতে হারিস (রাঃ) এর সাথে রাসূল ﷺ এর বিয়ে নিয়ে ইসলাম বিদ্বেশীদের মিথ্যাচার আর কতদিন?

লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ১৮ এপ্রিল, ২০১৬, ০৭:৫৬:৪৭ সন্ধ্যা



গাযওয়া মুরাইসি ও বনু মুস্তালিক গোত্র:

বনু মুস্তালিক ছিল খুজায়া আযদিয়া ইয়ামানিয়া গ্রোত্রের একটি শাখা। মক্কার অন্যান্য গোত্রের মত রাসূল ﷺ তাদের নিকটেও ইসলামের দাওয়াত পৌছে দেন। ৩য় হিজরীর ওহুদ যুদ্ধের ইতিহাস কারোরই অজানা নয়। ৩০০০ সৈন্যের শক্তিশালী কুরাইশ ও তার মিত্র বাহিনী মাত্র ৭০০ সৈন্যের ক্ষুদ্র মুসলিম বাহিনীকে পর্যুদস্ত করে। অসম এই যুদ্ধে তারা মুসলিমদের উপর ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায় ও রাসূল ﷺ কে মারাত্নকভাবে আহত, রক্তাক্ত করে। রাসূল (সাঃ) এর দাঁত ভেঙ্গে যায় ও শিরস্ত্রাণের কিছু অংশ তার মাথায় গেঁথে যায়, বহু সাহাবী আহত হন। এই যুদ্ধে কুরাইশদের বড় শক্তি ছিল বনু মুস্তালিক গোত্র। তারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এবং বিভিন্ন দলকে একত্রিত করে।যুদ্ধে তারা দূর্বল মুসলিমদের সাথে ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ করে। ব্যাপক প্রাণনাশ ও ক্ষয় ক্ষতি নিয়ে মুসলিমগণ মদিনায় প্রত্যাবর্তন করেন। ক্ষতের দাগ না শুকাতেই ৫ম হিজরীতে রাসূল ﷺ সংবাদ পেলেন, বনু মুস্তলিক সর্দার হারিস ইবনে আবূ দারার অস্ত্রশস্ত্র ও লোকবল ও পার্শ্ববর্তী গোত্রসমূহকে একত্রিত করে মদিনা আক্রমণের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। উদ্বিগ্ন হয়ে ঘটনার সত্যতা যাঁচাইয়ের জন্য রাসূল ﷺ একজন সাহাবীকে গুপ্তচর হিসাবে পাঠান। গুপ্তচর ঘটনার সত্যতা নিয়ে ফেরত আসেন এবং জানান তারা মদিনা আক্রমণের ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। অতীতের ওহুদ যুদ্ধের দুঃখস্মৃতি ও অভিজ্ঞতা বলে, ক্ষুদ্র মুসলিম বাহিনী নিয়ে তাদেরকে মদিনায় ঢুকতে বাঁধা দেয়া ও সম্মুখযুদ্ধের ফলাফল হতে পারে আরেকটি ওহুদ যুদ্ধের পরিণাম। এই ভুলের ক্ষমা নেই কারণ তারা মুসলিম বাহিনীকে যুদ্ধক্ষেত্রে মাটি চাঁপা দিতে পারলেই মদিনায় প্রবেশ করবে এবং অসহায় নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধকে নির্বিচারে হত্যা করবে, লুন্ঠন করবে ও জীবিতদের দাস দাসী বানিয়ে নিয়ে যাবে। তাই রাসূল ﷺ একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিলেন। তিনি ঠিক করলেন বনু মুস্তালিক গোত্রের উপর গেরিলা আক্রমণ পরিচালনা করবেন। ৫ম হিজরীর শাবান মাসের কোন এক সোমবারে ৭০০ পতাতিক ও ৩০ জন অশ্বারোহীর একটি ছোট বাহিনীকে নিয়ে তিনি রওনা দিলেন বনু মুস্তালিক পানে। গোপনে মুসলিম সেনাবাহিনী সুবিধাজনক জায়গায় তাদের অবস্হান গ্রহণ করে এবং বনু মুস্তালিক গোত্রের উপর অতর্কিত গেলিরা আক্রমণ চালায় যখন তাদের পশুগুলি পানি পান করছিল। হটাৎ এমন অভিনব আক্রমণে বনু মুস্তালিক দিশেহারা হয়ে যায়। অস্ত্র হাতে তাদের যোদ্ধারা পাল্টা আক্রমণ হানতে এগিয়ে আসে এবং যুদ্ধে দশজন নিহত হয়। কাজেই এই দশজন মোটেও সিভিলিয়ান ছিলনা, তারা ছিল যোদ্ধা। মুসলিমগণ তাদের ধনসম্পদ বাজেয়াপ্ত করেন এবং তাদের নারী-পুরুষদের বন্দী করেন। বন্দী, নিহতের সংখ্যা, গণীমত ইত্যাদি ব্যাপারে ইবনে ইসহাক ব্যতীত অন্যদের যেসব বর্ণনা রয়েছে, তার প্রায় অধিকাংশই ভুল বর্ণনা। তার মতে, যুদ্ধের পর বনু মুস্তালিকের ১০০ জন লোককে মুক্তি দেয়া হয় যারা যুদ্ধে বন্দী হয়েছিলেন। ৫ম হিজরীর ২৯ রমজান মুসলিমগণ মদিনায় ফেরত আসেন।

জুওয়ায়রিয়া বিনতে হারিস (রাঃ):

এই যুদ্ধে মুসলিমদের হাতে বনু মুস্তালিকের যেসকল নর-নারী বন্দী হন, তাদের মাঝে জুওয়ায়রিয়া বিনতে হারিস (রাঃ) ছিলেন অন্যতম। জুওয়ায়রিয়া বিনতে হারিস (রাঃ) ছিলেন বনু মুস্তালিক গোত্রের সর্দার হারিস ইবনে আবূ দারার এর কণ্যা। মুসাফী ইবনে সাফওয়ান ছিল তার পূর্ব স্বামী যে বনু মুস্তালিকের পক্ষে যুদ্ধরত অবস্হায় নিহত হয়। এ যুদ্ধে জুওয়ায়রিয়া (রাঃ) বন্দি হয়ে সাবিত ইবনে কায়েস ইবনে সাম্মাত আনসারী (রাঃ) এর দাসীতে পরিণত হন।

ইসলামী আইন যুদ্ধবন্দী নর-নারীকে মুকাতাবা চুক্তির অপশন দেয়। যুদ্ধে বন্দী হবার পর তাদেরকে জানিয়ে দেয়া হয় মুকাতাবা চুক্তি অনুযায়ী সে তার অধিকার অর্জনকারী মালিকের সাথে আলাপ আলোচনা করে উভয়ে সম্মত একটি মুক্তিমূল্য নির্ধারণ করবে এবং দাস/দাসী সেই মুক্তিমূল্য ধীরে ধীরে বা একসাথে পরিশোধ করে নিজেকে মুক্ত করে নিবে।

জুওয়ায়রিয়া বিনতে হারিস (রাঃ) সাবিত (রাঃ) এর সাথে নয় উকিয়া স্বর্ণের বিনিময়ে দাসীত্ব থেকে মুক্তির চুক্তি করেন এবং তিনি স্বীয় মুক্তিপণের ব্যাপারে সাহায্য লাভের আশায় স্বয়ং রাসূল (স) এর নিকট উপস্হিত হন এবং বলেন, হে আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ ﷺ ! আমি মুস্তালিক অধিপতি হারিসের কণ্যা জুওয়ায়রিয়া। আমি বিপদে পরেছি, যা দুর করা আপনার জন্য কঠিন নয়। আপনি আমাকে আমার মুক্তিমূল্য পরিশোধে সাহায্য করুন। জবাবে রাসূল (সাঃ) বললেন, হে জুওয়ায়রিয়া! এটা কি উত্তম নয় যে, আমি আপনার মুক্তিমূল্য পরিশোধ করে দেই এবং আমি আপনাকে বিয়ে করি? জুওয়ায়রিয়া (রাঃ) জবাবে বললেন, হ্যা! এটাই উত্তম।রাসূল ﷺ সাবিত (রাঃ) এর নয় উকিয়া স্বর্ণ পরিশোধ করে দিলেন এবং উম্মুল মুমিনীন হিসেবে নিজ গৃহে জুওয়ায়রিয়া (রাঃ) কে জায়গা দিলেন। যখন এই খবর মুসলিমদের কাছে পৌছালো যে রাসূল (সাঃ) জুওয়ায়রিয়া (রাঃ) কে বিবাহ করেছেন, তখন মুসলিমরা অনুশোচনা করে বলতে লাগল, এরা তো এখন আমাদের আত্নীয়, এরা রাসূলের শ্বশুরপক্ষের লোক, এদের কিভাবে আটক রাখা যায়? তারা বিনাশর্তে সকলকে মুক্তি দেন এবং তাদের ফীরে যাবার বন্দোবস্ত করে দিলেন। মুক্তিপ্রাপ্ত লোকজন যখন বনু মুস্তালিক গোত্রে ফীরে গেল তখন তারা গোত্রপতি হারিস ও অন্যান্য মানুষজনের কাছে জুওয়ায়রিয়া (রাঃ) এর সাথে রাসূল ﷺ এর বিবাহ এবং তাদের প্রতি মুসলিমদের মহানুভবতার কথা বলতে লাগলেন।এমন দৃষ্টান্ত আরবে ছিল অবিশ্বাস্য ও বিরল। মুগ্ধতা ছড়িয়ে পরে গোটা গোত্রের মাঝে। গোত্রপতি হারিস সহ গোটা গোত্রটিই ইসলাম গ্রহণ করে মুসলিম হয়ে যায়। ফলে কুরাইশরা হারায় তাদের একটি বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু গোত্র এবং মুসলিমরা পায় নতুন একটি ভ্রাতৃপ্রতিম গোত্র। এটাই ছিল প্রকৃত ইতিহাস যাকে হাজার মিথ্যাচার দিয়ে মাটিচাঁপা দেয়া যায়না।

চলবে______________________( ইনশাআল্লাহ)

বিষয়: বিবিধ

২২৭০ বার পঠিত, ৩০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

366135
১৮ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৮:২৭
শেখের পোলা লিখেছেন : চলতে থাকুক৷ রসুল সঃ এর প্রায় সবকটি বিয়ের পিছনে এমনই কারণ রয়েছে যা নিন্দুকেরা মানেনা বরং অযথা তর্ক করে৷ ধন্যবাদ৷
১৮ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১১:৪৯
303776
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : হুম চাচাজান! আমি যখন আগে ইসলাম বিদ্বেশীদের বস্তাপঁচা লেখাগুলো পড়তাম, সত্যি বলতে তখন আমার নিজেরও মনে হত, আসলেই কি এমন? কিন্তু বলতাম নিজেকে, এসব কেন ভাবছ? উল্টোটাও তো হতে পারে। আমি গত পাচ বছরে সবথেকে বেশি কৃতজ্ঞ এসব ইসলাম বিদ্বেশী কুলাঙ্গার গুলোর কাছেই কারণ তারাই অনেক বিতর্ক তুলে আমাকে সত্য জানার ব্যাপারে জেদ উঠিয়ে দিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ।
366143
১৮ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৯:১৭
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু প্রাণপ্রিয় ছোট বোন।

আবারো প্রিয় নবীজির স্বর্ণময় ত্যাগের ইতিহাসগুলো যেন ছবির মত হৃদয়পটে ভেসে উঠলো। তোমার লিখাটি পড়ে।

আমাদের রাসূল (সাঃ) এর বহু বিবাহের অনেক কারণগুলির মধ্যে দ্বীন প্রতিষ্ঠার দাবী ও প্রয়োজনীয়তা ছিল অন্যতম।

সুন্দর বিষয়টি নিয়ে ধারাবাহিক লিখার জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
১৮ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১১:৫৫
303777
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম আপি। আমি তেমন খুশিনা কারণ তেমন আকর্ষণীয় করে তুলতে পারিনি যেটা পেরেছিলাম জয়নাব বিনতে জাহাশ (রাঃ) এর ঘটনাটা নিয়ে।আগের মত আর হাত চলেনা। বেশ কদিন ধরে এটা লেখার চেষ্টা করে যাচ্ছি কিন্তু যখনই বসি তখনই দেখি কোন না কোন কাজ এসে হাজির হয়, আপত্তি ঘটে মনে হয় সবকিছু আমার বিরুদ্ধে কাজ করছে যেন আমি লিখতে না পারি। আজকে যেই লেখাটা শেষ পর্যায়ে প্রায় এনে ফেলেছি হটাৎ আমার ট্যাবটা বন্ধ হয়ে গেল চার্জ নেই আমি খেয়ালই করিনি আর সেভও করিনি। আবার নতুন করে লিখতে হল। তবুও অল্প একটু লিখতে পেরেছি তাতেই আল্লাহর শুকরিয়া। Good Luck Good Luck
366152
১৮ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১০:০৩
সন্ধাতারা লিখেছেন : ব্লগে ইদানীং তোমার উপস্থিতি সত্যিই প্রশংসনীয়। যদিও ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সময়াভাবে তোমার লিখাগুলোতে মন্তব্য করা হয়ে উঠে না। অনেক অপরাধবোধে ভুগতে হয় বৈকি! তবে তোমার জন্য সবসময় দোয়া করি।
১৯ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১২:০১
303780
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ইদানিং একটু ফ্রি আছি। আর এখন আর ভাই-বোনদের ল্যাপটপ টানাটানি করে লুকিয়ে ব্লগ লিখতে হয়না। একটা ইউন্ডোজ ট্যাবলেট কিনেছি- এটাতে মাউস কিবোর্ড লাগিয়ে দিব্বি ল্যাপটপ হিসেবে ইউজ করা যায়। যদিও ভয়ে আছি কারণ টাকা ধার করে কেনা টাকা কিভাবে পরিশোধ করব আল্লাহ ভাল জানেন!! এই হল ব্যাপার বুঝলে আমার প্রিয় বড় বোন?Good Luck Good Luck
366159
১৮ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১০:২৫
তট রেখা লিখেছেন : খুব ভালো লাগলো। জাজাকিল্লাহ খায়রান। তবে একটি খটকা লাগছে উম্মুল মুমিনীন জুওয়ায়রিয়া বিনতে হারিস (রাঃ) কি হারুন (আঃ) এর বংশধর? আমি যতদুর জানি এটি উম্মুল মুমিনীন সাফিয়া (রাঃ) এর বেলায় প্রযোজ্য।
খোজায়া গোত্র হলো জোরহাম গোত্রের উপগোত্র আর তার উপগোত্র হলো বনু মুস্তালাক , এদের কাহতানি আরব বলে, ইহুদীদের সাথে এদের সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই।
১৯ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১২:০৫
303781
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : হুম ভাইয়া দেখেছি তখনই কিন্তু তখন একটা কাজে তাড়াহুরো করে চলে যেতে হয়েছিল তাই ওটা আর ঠিক করা হয়নি। এজন্য অন্য ব্লগে তখন পোস্টও করিনি। আপনি ঠিকই ধরেছেন ভাইয়া। আপনার লেখা বেশি বুদ্ধিদীপ্ত আমি অনেক কাঁচা। আর আপনার জ্ঞান সত্যিই মাসাআল্লাহ শাণিত। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য প্রদানের জন্য।Good Luck Good Luck
১৯ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ০৯:২৩
303796
তট রেখা লিখেছেন : আমার লেখায় আমি প্রচুর ভুল করি, বিশেষ করে বানানে। আর আমি অনেক সময় অন্ধের মত আচরণ করি, বারবার পড়লেও ভুল গুলো চখে পড়েনা, কিন্তু চোখে পড়ে ব্লগ প্রকাশের পর। দোয়া করবেন। Good Luck Good Luck Good Luck
366164
১৮ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১০:৫৯
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ আপি।
বহুদিন আবারো গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে লিখা শুরু করেছেন, যা বছরখানিক আগে আমি আবেদন করে রেখেছিলাম।

আজ সত্যিই আমি আনন্দিত ও পুলোকিত। ধারাবাহিক লিখে যান। অনেক অনেক শুকরিয়া। জাযাকিল্লাহ খাইর
১৯ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১২:০৭
303782
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম। হ্যা আমার মনে আছে ভাইয়া। শুধু শুধু এতগুলো দিন নষ্ট হল। যখন শুরু করেছি ভূমিকম্পে বিল্ডিংচাপা না পরলে ইনশাআল্লাহ লিখতে থাকবো। দেখি আল্লাহ কতদূর নেন!Good Luck Good Luck
366166
১৮ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১১:০২
আফরা লিখেছেন : ধন্যবাদ,ধন্যবাদ অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয়বান্ধুবী রাসুল (সাঃ) এর জীবনের একটা ঘটনা শেয়ার করার জন্য ।
১৯ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১২:১০
303783
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : এসব স্পর্শকাতর বিষয়ে লিখালিখি অনেক কঠিন কাজ গো! আর ইচ্ছা ছিল একবারে পুরোটা শেষ করার কিন্তু হলনা। আর এই ব্লগের ব্লগাররা কেমন জানি ফেসবুক ইউজারদের মতই, বড় লেখা দেখলে আর পড়তেই চায়না সেটা যতই গুরুত্বপূর্ণ হৈক না এন?Good Luck Good Luck
১৯ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১২:২১
303784
আফরা লিখেছেন : এটাই ঠিক আছে প্রিয় বান্দুবী বড় লিখা পড়তে আমার ধৈর্য থাকে না । দুইবারে দেন কোন সমশ্যা নাই ।
366203
১৯ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ০৮:৩৭
চেতনাবিলাস লিখেছেন : চোখের পানি আটকাতে পারলামনা! !! সত্যিই ইসলামের এ এক মহান দৃষ্টান্ত! !! তথ্য সমৃদ্ধ পোস্টের জন্য ধন্যবাদ |
২০ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ১১:৪৩
303961
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ইসলামের প্রতিটি দৃষ্টান্তই মহান কিন্তু ইসলাম বিদ্বেশীদের কাছে মিথ্যাচার ছাড়া কোন পথ নেই। জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া সুন্দর হৃদয়স্পর্শী মন্তব্যের জন্য।
366242
১৯ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০১:৩১
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : রাসুল (সা)এর সীরাত পাঠের লোভ আমি সম্বরণ করতে পারি না।
আল্ হামদুলিল্লাহ! আমার কালেকশানে অনেক সীরাত গ্রন্থ আছে-যত পড়ি বারবার পড়তে ইচ্ছে করে।
পুরোটা এক সাথে পোস্টের পক্ষে আমি। ধন্যবাদ..লিখতে থাকুন।
২০ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ১১:৪৪
303962
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : জ্ঞানী ও গুণী ব্যক্তি মিনহাজুল ইসলাম ভাইয়া আমার ব্লগে এসেছেন আমি খুবই খুশী। কিন্তু আপনারা এসব ব্যাপারে লিখেন না কেন, হুম?? এসব ব্যাপরে লিখা উচিত। Good Luck Good Luck
২০ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০২:০৯
303976
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : ১। আপনি হচ্ছে আপনি-প্রতিটি মানুষই স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে ও ব্যক্তিত্বের অধিকারী। লেখার মধ্যেও তেমন। আপনার লেখা সবার থেকে স্বতন্ত্র-এক্ষেত্রে আপনি হচ্ছে ইউনিক এবং পাইওনিয়ার।
২। আপনি জেনে খুশী হবেন "রাসূল ( সা) আমার ভালবাসা" নামের একটি প্রবন্ধ সংকলনও আমার প্রকাশিত হয়েছে। প্রচ্ছদ নিচে দেয়া হল (আগেও দেখেছেন)


আর আমার অন্যতম স্বপ্ন একটা সীরাত গ্রন্থ লিখার,কাজ অলরেডি শুরু হয়েছে। নাম-সীরাতে রাহমাতুল্লীল আলামিন। দোয়া করবেন, কামিয়াবীর জন্য।
৩। আর একটু সীমাবদ্ধতা আছে-এই ব্লগে আরেকটি আইডি আছে তাতে লিখি এবং জবাব দিই-দেখি ধরতে পারেন কিনা?
ধন্যবাদ আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শের জন্য।
366429
২০ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০১:৫৮
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম প্রিয়ভাই সুন্দর লিখাটির জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
১০
366540
২০ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১১:৫৪
বিবর্ন সন্ধা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম,
আপুনিটা, কেমন আছেন?? Love Struck

ব্লগে আসা হয়নি কয়েক দিন,
কত্ত লিখা যে মিস হয়ে যাচ্ছে Crying

একটা কথা কি আপু,
নিন্দুকের কাজ ই হলো, সমালোচনা করা,
আর তোমার মত গুণীরা সেটাকে পর্যালোচনা করে,
আলোচনার মোড় ঘুরিয়ে দাও,, Applause

২২ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ১০:৩৮
304252
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম ভাইয়া/আপু। আপনি তুমি আপনি তুমি এসব না বলে তুমিই বলেন আমি তো এমনিতেই আপনার অনেক ছোট। নিন্দুক তো তেমন ভয়াবহ হয়না সে লোক বুঝে জাস্ট নিন্দা করে যখন দেখে এখানে নিন্দা করতে গেলে ধরা খাবে কারণ তারা সত্যিটা জানে- তখন সে আর তাদের মুখো হবেনা, কম জানা লোককে ভুল ভাল বুঝিয়ে বিভ্রান্ত করবে। কিন্তু এরা তো নিছক নিন্দুক না এরা একটা মিশনের অংশ, পেইড ভাড়াটে দালাল। আর এদের প্রধান হাতিয়ার মিথ্যাচার। তারা মুখের জোড়ে, গায়ের জোড়ে মিথ্যাচারকেই সত্যি বলে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এদেরকে থামানো সম্ভব না কারণ এটাই তাদের রুজি। তারা সারাদিন সব কাজ কর্ম ফেলে কম্পিউটার হাতে মিথ্যাচারে মেতে থাকে অথচ প্রত্যেকেই খুব জাকজকমপূর্ণ জীবন যাপন করে এই বেকাররা এত টাকা পায় কোথায়? বিদেশে গিয়ে নিঃকর্মা লোকগুলো জীবন কাটিয়ে দেয় কোন সংগ্রাম ছাড়াই- এসব কিভাবে সম্ভব? এসব মিথ্যাচারের জবাবে এর আগেও নানান ব্লগে আমার থেকে অনেক ভাল ব্লগারেরা একাধিক লেখা লিখেছেন, তারা যে নিছক মিথ্যাচার করছে-এটাও প্রমাণ করে দেখিয়েছেন কিন্তু সবসময়ই এদেরকে নানান উপায়ে ব্লগ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে, আইডি বাতিল, ব্যক্তিগত জুলুম-হয়রাণি কিছুই বাদ যায়নি। তাই এসব আলোচনায় তাদের মুখ বন্ধ হবেনা। কিন্তু আমার সাধ্যের মধ্যে যতটুকু সম্ভব- আমি সেটাই করব ইনশাআল্লাহ Good Luck Good Luck
১১
366575
২১ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৪:১৯
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : সত্যি চমতকার।
২২ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ১০:৩৯
304253
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : জী ভাইয়া, সত্যিই চমৎকার একটা দৃষ্টান্ত। জাঝাক আল্লাহ। Good Luck Good Luck
১২
366698
২২ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১২:৪৩
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..
পড়লাম, দোয়া করি, জাযাকুমুল্লাহ..
২২ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ১০:৪০
304254
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ ভাইয়া। আপনারা না এলে কেন জানি ব্লগবাড়িটা ফাঁকা ফাঁকা মনে হয়। জী দোয়া করুন ভাইয়া। জাঝাক আল্লাহ Good Luck Good Luck
১৩
366917
২৪ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ১২:১৯
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান। অনেক দারুন বিশ্লেষন। কাফিররা সমালোজনার ক্ষেত্রে একটা সুযোগ পায়,তা হল আমরা পড়াশুনা করিনা তাই জানিনা। নইলে অঅমাদের গোমরাহ করতে পারত না
০৪ মে ২০১৬ দুপুর ০৩:১৪
305342
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : সেটাই তো প্রধান সমস্যা। এমনকি এসব ব্যাপারগুলো আমি যখন জানতামনা, ইসলাম বিদ্বেশীদের লেখাগুলো পড়ে মাঝে মাঝে আমি নিজেই বিভ্রান্ত হয়ে নিজে নিজে বলতাম, আসলেই কি তাই? ইসলাম কি তাহলে এমনই? কিন্তু এখন নিজের সেদিনগুলোর মূর্খ্যতার কথা ভেবে আফসোস হয়।Good Luck Good Luck
১৪
367477
২৯ এপ্রিল ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৫২
অয়েজ কুরুনী আল বিরুনী লিখেছেন : শুকরান জাঝাকাল্লাহ, ভাইজানের লেখায় হাত আছে
০৪ মে ২০১৬ দুপুর ০৩:১৬
305343
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আমার লেখায় কোন বিশেষ কোন কিছুই নেই আমি জাস্ট সত্য ইতিহাসটা তুলে ধরেছি এর বেশি কিছুই না। জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া। Good Luck Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File