আমাদের মাঝে খালিদ বিন ওয়ালিদ, সালাহউদ্দিন আইয়ুবীরা জন্ম নেয়না, কারণ আমাদের মাঝে ফাতিমা, আইশারা হারিয়ে গেছে!!!
লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ১৩ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:১৬:১২ রাত
গত কিছুদিন তনুর ধর্ষণ আর হত্যার ব্যাপার নিয়ে বেশ কিছু নারীর স্টাটাস পড়লাম। ঘটনার মূলে না গিয়ে ছেলে জাতকে গালাগালি করছেন অনেকেই।
একটা সত্যি কথা বলি আপিরা?
যদি নারীর নিরাপত্তার জন্য সব পুরুষকে হত্যা করে শুধুমাত্র নারীদের রাখা হয়, সম্পূর্ণ নারী সমাজ গঠন করা হয়, তবুও নারী ধর্ষণ হবেই!!!
শুনবেন কিভাবে?
কারণ তখন নারীই অন্য নারীকে ধর্ষণ করবে, যার বাস্তব উদাহরণ পশ্চিমা দেশগুলি। মানুষের জৈবিক চাহিদা প্রকৃতি প্রদত্ত, তাই প্রকৃতি বিরাজমান থাকা পর্যন্ত আপনি জৈবিক চাহিদাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেননা মোটেও। মানুষকে বৈধ পথে জৈবিক চাহিদা মেটাতে না দিলে সে অবৈধ পথ খুঁজবে। বিপরীত লিঙ্গকে সরিয়ে দিলে সে সমলিঙ্গের দিক ঝুকবে বা সমকামিতায় আকৃষ্ট হবে আর এটাই বাস্তবতা। তাই অনলি ছেলেদের গালি দিয়ে লাভ নেই।
তো আমাদের মায়েদের, বোনেদের কি অবস্হা?
ভারতীয় কালচার এদেশের প্রত্যেকটা ঘরে ঘরে স্হায়ী নিবাস গেড়েছে যার মূল কারণ নারীদের ভারতীয় সিরিয়াল ও কালচার এর প্রতি অতি আসক্তি। একটা ছোট ছেলে যখন দেখে, ঘরে তার মা, বোন সারাদিন ভারতীয় সিরিয়াল নিয়ে পরে আছে কথায়, পোশাকে ভারতীয় কালচারের ছোয়া- তখন খুব স্বাভাবিকভাবেই ছেলেটার মনে ভারতীয় কালচারের প্রতি পজিটিভ ধারণার সৃষ্টি হয়, আকর্ষণ তৈরী হয়। সে আস্তে আস্তে তখন হিন্দি সিনেমা, হিন্দি গানকে জীবনের সঙ্গী বানিয়ে নেয়, নিজেকে শাহরুখদের আবয়বে দেখতে ভালবাসে- যা অশ্লীলতায় পরিপূর্ণ কিন্তু মায়েরাও, মেয়েরাও তাদের বাধা দেননা, বরং স্বাভাবিক ভাবেই মেনে নিতে বাধ্য হন। কারণ নিজেরাই যে ভারতীয় সিরিয়ালে, কালচারে আসক্ত!! তাই বাঁধা দেয়ার মত নৈতিক অবস্হান আগেই তারা হারিয়ে বসেন। এভাবেই একটা ছেলের সকাল থেকে রাত কাটে ছোট পোশাক পরা ইন্ডিয়ান নায়িকাদের নগ্ন শরীর দেখে। আবার এই পথেই ইন্ডিয়া প্রীতির হাত ধরে পরিচয় হয় সানি লিওনদের সাথে আর চিনতে অসুবিধা হলে বোনাস হিসেবে বন্ধুবান্ধব তো আছেই দিকনির্দেশনা দেয়ার জন্য। তারপর আবার এখন কম্বাইন্ড শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া পড়াশুনাই হয়না। সারারাত কাটে সানি লিওন দের সাথে যেই স্মার্ট তরুণদের, তাদের দিন কাটে স্কুল, কলেজে মেয়ে বন্ধুদের সাথে। আর স্কুল-কলেজ-ভার্সিটির ছেলে বন্ধুদের আড্ডায় তো ক্লাসমেট মেয়েদের নিয়ে কত অশ্লীল চর্চাই না হয়!!
আমার ভার্সিটিতে ছেলে মেয়ে সবাই ছিল কিন্তু আলাদা আলাদা ক্লাস হত এটা নিয়ে অধিকাংশ মেয়েদের মুখেই হতাশার কথা শুনতাম। কমন অভিযোগ ছিল, যখন একই ভার্সিটিতে পড়ি তখন আবার সেপারেশন কেন? আমরা কি স্কুল কলেজে পড়ি নাকি? এই ভার্সিটির অথরিটি আসলেই খুব ন্যারো মাইন্ডের। ফেসবুক, টুইটার থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা সোশ্যাল ওয়েবসাইট ইউজ করার অভিজ্ঞতা আমার আছে। সব খানেই কমন একটা ব্যাপার ছিল, "মেয়েরা মেয়েদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট এক্সেপ্ট করতোনা। তাদের ফ্রেন্ডলিস্টে ৪০০ জন থাকলে ৩৮০ জনই হবে ছেলে বাকি ২০ জন মেয়ে আবার এই ২০ জনের সাথেও তার কথাবার্তা খুব কম।
এই যে "ছেলেদের সাথে পড়তে হবে, ফ্রেন্ড হিসাবে ছেলেদেরকেই বেছে নিতে হবে" এই মানষিকতাটা মেয়েদের কিভাবে তৈরী হল?
প্রেমের গান, জাফর উপন্যাস, তাহসান নামক ভদ্র লুইচ্চাদের কাছে আসার গল্প ইত্যাদি অনুষঙ্গের প্রভাবই মূল কারণ যা এখন মেয়েদের মানষিকতাকেও নষ্ট করে দিয়েছে।
আমরা ভালবাসা মানে আজ বুঝি: একটু বয়স হলেই পাশ্চাত্যের অনুকরনে গার্ল ফ্রেন্ড বয় ফ্রেন্ড জুটানো, ভালবাসার নাম দিয়ে অবিবাহিত নারী পুরুষের মাঝে জেনা,ব্যভিচারের সম্পর্ক তৈরী করা- এটাই হল ভালবাসা। এটাকে ভালবাসা বলেনা, বলে শয়তানের ধোঁকা। ডাক্তারি ভাষায় বললে: you are not in love, you are hormonal. ভালবাসা এমন এক অনুভব বা রিলেশন যা আল্লাহ প্রদত্ত মহান নেয়ামত যা মুখের কথায় বা গায়ের জোড়ে কোন মানুষের পক্ষে আদৌ সম্ভব না তৈরী করা।
কুরআনে আল্লাহ জানাচ্ছেন, আল্লাহই মা বাবার মনে সন্তানের প্রতি মায়া-মমতা-ভালবাসা সৃষ্টি করে দেন।
ভাবুন তো, আপনার বাবা মায়ের কিসের ঠেকা পরেছে যে আপনার হাজারটা খারাপ ব্যবহার পাবার পরেও আপনার জন্য লাখ লাখ টাকা ব্যয় করার? আপনার হাজারটা আবদার পুরণ করার?? আপনার পেছনে ব্যয় করে কি লাভ? ভবিষ্যৎে বৃদ্ধ বয়সে আপনি যে তাদের দেখাশুনা করবেন, তার কি কোন নিশ্চয়তা আছে? এই টাকা ব্যাংকে ফেলে রাখলেও প্রতি মাসে বড় অংকের এমাউন্ট তারা মুনাফা পেতেন। সেই মুনাফার টাকায় গাড়ি, বাড়ি, বিদেশ ভ্রমণ আরো কত শখ পুরণ করতে পারতেন!! কিন্তু তারা সেটা না করে পুরোই লস প্রজেক্ট আপনার পেছনে ব্যয় করছেন। এটা কি বোকামি না? আর এই বোকামিটাই হল ভালবাসা যা আল্লাহ প্রদত্ত টান। মুখের কথায় এসব প্রতিষ্ঠা করা যায়না। গায়ের জোড়ে বা মুখের কথায় আপনার মত আনাড়ির জন্য কেউ একটা টাকাও ব্যয় করবেনা। রাস্তায় ফকিরগুলো যখন দুই টাকার জন্য হাত পাতে, আপনি কয়জনকে দান করেন? এজন্যই ইসলাম এসব মুখের জোড়ে বানানো প্রেমের ভালবাসায় বিশ্বাস করেনা, বলে, বিয়ের কথা কারণ হাজবেন্ড ওয়াইফের মাঝে ভালবাসা আল্লাহই সৃষ্টি করে দেন, তার জন্য ৫ বছর প্রেম করে ভালবাসা জন্মানো লাগেনা, চরিত্রকে বিসর্জন দিতে হয়না।
যাইহোক, স্মার্ট ছেলে মেয়েরা স্মার্ট way তে খুঁজে নেয় বয় ফ্রেন্ড, গার্ল ফ্রেন্ড। স্মার্ট পোশাকে ঘুরে বেড়ায় পার্ক,শপিং মল, রেস্তোরা। আর ইট কাঠের খাঁচার ভেতরে, আড়ালে আবডালে কত কিছুই হয়!!! তা না হয় নাই মুখে আনি। তো উপরে বর্ণিত সমস্ত কাজকর্ম গুলো প্রত্যক্ষ করে আরেকদল তরুণ। এরা আসলে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণী। গরীব, নেশাগ্রস্ত,হতাশ। মূলত রাজনৈতিক নেতাদের কামলা খেটে এদের পেট চলে, জোটে নেশার খোড়াক। এদের না আছে গার্ল ফ্রেন্ড জোটানোর মত শিক্ষাগত যোগ্যতা আর না আছে অর্থনৈতিক সক্ষমতা। কিন্তু সব রকম অশ্লীলতা দ্বারা এরাও আচ্ছন্ন। এদের সামনে দিয়ে যখন স্মার্ট তরুণেরা স্মার্ট গার্লফ্রেন্ড নিয়ে ঘুরেফীরে তখন এদেরও মনে সুপ্ত বাসনা জেগে ওঠে কিন্তু মেয়েরা কেন এদের দিকে তাকাবে? কোন যোগ্যতা দেখে পাত্তা দিবে? তাই এদের নজর থাকে তনুর মত নীরিহ মেয়েগুলোর প্রতি। এরা সব গায়ের জোড়ে পেতে চায় তনুদের। দীর্ঘদিন রাজনৈতিক কামলা খাটার জন্য এরা কোন অপরাধকে আর অপরাধ ভাবেনা। তাই সুযোগ পেলেই তনুদের উপর ঝাপিয়ে পরে, গলাটা কেটে ফেলে দিতেও এদের বিবেকে লাগেনা। তনুদের খবরে আবার মিডিয়ার লাভ কারণ পত্রিকার কাটতি বাড়ে, মিডিয়ায় শুরু হয় সুশীল নামক অমানুষগুলোর আনাগোনা। আর ফেসবুকে স্মার্ট বয়ফ্রেন্ডরাই আবার তার প্রতিবাদে ফেসবুকে তারই ছবি দিয়ে বিচার চেয়ে দুচারটা লাইক, কিছু মেয়েদের সিমপ্যাথি ইনকাম করে। ভালই হয় কারণ এই ভালমানুষী দিয়ে আবার যদি দুচারটা গার্লফ্রেন্ড জোটানো যায়, মন্দ কি?
ঘটনার সূত্রপাত কিন্তু ঐ ঘর থেকেই তাই ঘরগুলোকে মানুষের বসবাস যোগ্য করুন মানুষ তৈরী হবে, রেপিস্ট না।
তনু,''তুমি কেমন ছিলে?'' তা না জানলেও আমার চলবে, তোমার হত্যার বিচার আল্লাহর উপরই ছেড়ে দিলাম। সেসব মানুষের কাছে বিচার চাওয়ার কোন কারণ দেখিনা যারা নিজেরাই এই সামাজিক অনাচারের জনক।
যখন দেহের সাথে আত্নাগুলোকে আবার জুড়ে দেয়া হবে
যখন (নির্মমভাবে)জীবন্ত পুঁতে ফেলা কণ্যা-শিশুকে প্রশ্ন করা হবে,কোন অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছিলো?
যখন আমলনামাগুলো খুলে ধরা হবে,
যখন আসমানের পর্দা সরিয়ে ফেলা হবে,
যখন জাহান্নামকে উসকে দেয়া হবে আর জান্নাতকে নিকটবর্তী করা হবে
তখন প্রত্যেক ব্যক্তি জানতে পারবে সে কি (আমল)সাথে করে নিয়ে এসেছে(সূরা আত-তাকভীর,আয়াত: ৭-১৪)
বিষয়: বিবিধ
২৩৪৯ বার পঠিত, ৪২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমার কেন জানি মনে হচ্ছে আপনি মানারাতের স্টুডেন্ট। তবে আরও দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলে এবং মেয়েদের শাখা আলাদা: BIU & In. Islamic University। এই দুইটার যেকোন একটাও হতে পারেন।
আমি অনেক দিন ঢাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় তাদেরই বিপদের সময়ে থেকেছি। দেখেছি বাচ্চারা কিভাবে স্কুল, টিউটরের কাছে পড়ার সময়টা বাদ দিয়ে বাকি সারা সময় হিন্দি কার্টুন, সিরিয়াল, মুভি গিলে থাকে। খাওয়ানোর জন্য জোর করেও টিভির সামনে থেকে উঠানো যায়না।
যথার্থই বলেছেন, আগে ঘর ঠিক করা দরকার।
কানাদের তো হাতে একটা লাঠি থাকে,
সেটা আমাদের হাত থেকে লম্বা হয়,
তাই তারা ফাস্টু হয়ে যায়।
হুম এটা শুধু আপনার আত্নীয় না,প্রতিটি ঘরেরই অবস্হা। কি হুজুরবাড়ি আর কি সাধারণ বাড়ি ঘুরেফীরে একই অবস্হা। ইসলামি ব্যাংকে যখন ইন্টার্ণি করছিলাম তখন দেখতাম ব্যাংক কর্মকর্তা ও বউ বাচ্চারাও ভারতীয় সিরিয়ালে কি পরিমাণ আসক্ত। মনে আছে আমাদের পাশের ফ্ল্যাটে হটাৎই নতুন এক পরিবার আসল বাবা, মেয়ে আর তার হাজবেন্ড। লক্ষীপুরে বাড়ি। আমাকে একদিন সেই আপু বললেন, লক্ষীপুরের বেশিরভাগ মানুষই খুব ধার্মিক কিন্তু অবাক করা ব্যাপার কি জানেন? দেখবেন সন্ধা হলেই লম্ব লম্বা দাড়ির হুজুররাও স্টার জলসা নিয়ে বসে পরে। তো ভাইয়া এই হল আমাদের তথাকথিত ইসলামী মতাদর্শের লোকজন যারা মুখে ভারতীয় কালচারের বিরোধীতা করলেও ঘরে বসে ঠিকই আরামে জলসা, জি বাংলায় চোখ শীতল করে।
২০১০ দেশে গিয়ে ছিলাম আমার খালাত ভাই বোনদের ও মামাতু ভাই বোনদের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা সব হিন্দিতে কথা বলে । আর বড়রা আলোচনা করে কি সিরিয়ালে কোন নায়িকা কে কি করল কে কোন ড্রেস পড়ল এসব নিয়ে । ঘটনা কি আমি তো বুজি না দুইদিন পর বুঝলাম দিনে ছেলে মেয়েরা দেখি হিন্দি কার্টুন আর আর রাতে চলে সিরিয়াল ।
লিখাটা খুব ভাল হয়েছে অবশ্যি আপনি ভাল ই লিখেন ।ধন্যবাদ ভাইয়া
জাজাকিল্লাহ খায়রান।
০ পুরাই অস্থির ! কেমনে কি ? যদি একটু ব্যাখ্যা করতেন (সমস্যা হলে থাক )।
ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা ধর্মের (ইসলামের)প্রতি বেশী উদাসীন কারণ তারা মনে করে যে ইসলাম তাদেরকে ঠকিয়েছে ( নাউজুবিল্লাহ ) এবং এটা তাদের কাজ কর্মেই বোঝা যায় । আল্লাহর আইনের বাইরে মনুষ্য আইন বানিয়ে সুবিধা ভোগ করতে মেয়েরা স্বচ্ছন্দই বোধ করে । মেয়েদের মধ্যে সাজগোজ করার প্রবনতা পুরুষের চেয়ে লক্ষগুন বেশী এবং এটা তারা করে পর পুরুষকে আকর্ষন করার জন্য , স্বামীকে নয় ।
আর দুনিয়াবী চাকচিক্যের সে সমারহ আমরা চারপাশে দেখতে পাই সেখানে দেখবেন মেয়েদের স্বতঃষ্ফুর্ত , হাস্যোজ্জল অংশগ্রহন - যেটা ধর্মীয় বিষয়ে কল্পনা করাই যায় না ।
তাই আমি জানি আমি জানি পার্সেন্ট হিসাব করে আমি সমাজ পরিবর্তন করে ফেলতে পারবোনা। আমি কিছু লোককেই শুনাতে পারবো, মানাতে পারবো তারা হয়ত নারী অথবা পুরুষ। তারা নিজেদের শুধরে নিবেন। অন্যের অপকর্মে আমি যেমন দোষীনা, তেমনি আমার ভালো কাজেও অন্যেরা সাধু না। হাদিস থেকে জানা যায়, রাসূল সল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন বলছিলেন, আমি জাহান্নামের অধিবাসীদের অধিকাংশই পেয়েছি নারী, তখন তিনি খুব ইমোশনাল ছিলেন, তার কন্ঠ কষ্টমিশ্রিত ছিল তিনি সাথে সাথে বললেন, হে মুসলিম নারীরা তোমরা অধিক পরিমাণে সদাকা, দান খয়রাত করতে থাকো। অর্থাৎ,তিনি মুসলিম নারীদের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন, শঙ্কিত ছিলেন। এই কথা দ্বারা বোঝা যায় তিনি নারীদের কল্যাণ চিন্তা নিয়ে তাদের আসন্ন বিপদের হাত থেকে রক্ষার জন্য এসব বলেছিলেন, জাহান্নামে নারীদের শতকরা হার পুরুষদের চেয়ে বেশি- একথা বলে নারীদের অপমান করার মানষিকতা মোটেও ছিলনা।
কিন্তু আমরা যখন এগুলো বলি, তখন কেন জানি আমরা নারীদের দিকে আঙ্গুল তুলে বোঝাতে চাই, তোমরা নারী তোমরা খারাপ আর হাদিসও বলে তোমরাই বেশি জাহান্নামী। এটার মাঝে কোন কল্যাণ চিন্তা, নারীদের প্রতি সহমর্মিতার ব্যাপার আদৌ থাকেনা। ভাইয়া আমার কথাগুলো পজিটিভ ওয়েতে নিবেন প্লিজ।
আর আমি তো ব্যাখ্যা দিয়েছি ভাইয়া। যদি নারী সমাজ গঠন করা হয়, পুরুষদের হত্যা করা হয় তখন সমাজে শুধুই নারীরা থাকবে। কিন্তু সমস্যা হল জৈবিক চাহিদা আল্লাহ প্রদত্ত। এটা মানবীয় দুর্বলতা। কাজেই পুরুষ জাত শেষ করে দিলেও তো জৈবিক চাহিদা বাষ্প হয়ে উড়ে যাবেনা। তাই নারীরা নারীর দিকেই ঝুকবে। অপরাধ তখন নারীকেন্দ্রীক হয়ে যাবে। কেউ যৌনতায় রাজিনা হলে জোড় করে ধর্ষণ করবে।
আর নারীদের ক্ষেত্রে বিভিন্নতা ছিল ।
প্রচন্ড ভীড়ে কোন পুরুষ যদি কোন নারীকে টাচ করে তাহলে সেটার রিয়েকশন আর কোন নারী যদি কোন পুরুষকে টাচ্ করে উভয়টাতে কি একই রিয়েকশন হয় ?
একজন পুরুষ একজন নারীর দিকে তাকালে সেটাকে চোখের দ্বারা ধর্ষনের কালার দেওয়া হয় , কিন্তু একজন নারী যদি একজন পুরুষের দিকে তাকায় সেটাকে কি একই ভাবে রঙ দেওয়া হয় ?
আপনারা যারা নারীরা আছেন তারা বলেই থাকেন যে , আপনার স্বামী/প্রেমিক যদি কোন মহিলার দিকে তাকায় আপনি পাশে থাকা অবস্থায় - সে তাকানোর মধ্যে সেই নারীকে পাবার কামনা থাকে । আর আপনারা যদি আপনাদের স্বামী/প্রেমিকের পাশে থেকে আরেকজন পুরুষের দিকে তাকান তখন সেটাকে বলে বুঝাতে চান যে এটা কোন কামুক দৃষ্টি নয় । ঐ পুরুষের পার্সোনালিটি তাকে তাকাতে বাধ্য করেছে !তার মানে একজন মেয়ে একজন ছেলের দিকে তাকাতে পারে সেটাতে সমস্যা খোঁজা মেয়েটাকে অবমূল্যায়ন করা । আর একজন ছেলেকে মেয়েরা লুচ্ছা ভাবতেই পারে/বলতে পারে - এটা মেয়েটার রাইট , এবং সত্য মিথ্যা যাই হোক - মেয়েটাই সঠিক !
দৈহিক মিলনে ছেলেরা একটিভ আর মেয়েরা হয় প্যাসিভ পাটনার । ছেলেদের যৌনাকাঙ্্খা মেয়েদের চেয়ে বেশী ।
মেয়েরা যেখানে অপজিট সেক্সের সাথে সেক্স করতে নানা বাহানা করে সেখানে একই সেক্সের সাথে কিভাবে জোর করে সেক্স করবে ?
বাস্তবতা অন্য খানে । মেয়েদের যত চাওয়া সব পুরুষের কাছে , মেয়েরা কখনও স্বগোত্রীয়দের কাছে কিছু চায় না - ইগো সমস্যা থেকে । না হলে আজকে গত দুই দশক ধরে নারীশাসিত বাংলাদেশে নারীরা এতটা নির্যাতনের স্বীকার হত না ।
দুনিয়াতে কোন পুরুষ যদি না থাকে তাহলে নারীরা নিজেরাই নিজেদের অশ্লীল গালি গালাজ করে সমাজটাকে দূর্গন্ধময় করে তুলবে , কামড়া-কামড়ি চুলোচুলি করে নিজেদের শেষ করে ফেলবে ।
ইসসসিরেএ
পড়তে দেরি হয়ে গেলো
এখন আসল কথায় আসি,
সিংহের কানে সুড়সুড়ি দিলে, সিংহ ক্ষেপে আসবে ই,
বাঘের খাচার ভিতর হাত ঢুকিয়ে নাড়াচাড়া করলে, বাঘ কামড় দিতে আসবে ই,
এই কথা গুলো ই যেন আমরা মানতে নারাজ,
ছেলেরা বলবে , মেয়েরা আগে পরদা করো,
মেয়েরা বলে আগে, দৃষ্টি ভংগি পাল্টাও।
আচ্ছা, মহান আল্লাহ কি কাউকে আগে পরে করতে বলেছেন???
আমরা একসাথে ইসলামি আঈন মনতে রাজী নই কেন??
তবে হিজাব করলে ই যথেস্ট নয়, পরিপুরন পরদা করতে হবে, যে ভাবে ইসলাম করতে বলেছে।
কারন হিজাবের উপর যখন আমরা দোষ দেই, তখন তা ইসলাম কে ঈঙ্গিত করে ই দেই, ইসলাম শুধু চুল ঢেকে রাখতে ই বলে নি, বুক, পিঠ, বাহুর সেপ যেন বুঝা না যায়, সেই দিকে ও সতর্ক করেছে।
আজকালকার ছেলে মেয়েদের কাছে বফ / গফ
না থাকাটা যেন, নিজেকে হিজরা বানিয়ে রাখা,
কেউ কেউ অনেকটা বাধ্য হয়ে ই যেন এই পথে পা বাড়ায়।
আমি ও মনে করি ঘর ই হলো, মুল জায়গা, তবে বাইরের ব্যাপারে ও বাবা মা কে সজাগ থাকা জরুরি।
আরো কিছু বলার ছিল, কিন্তু মোবাইলে লিখতে এত্ত সময় লাগে, তাছাড়া সংসারের টুকিটাকি তাড়া তো আছে ই
খুব সুন্দর একটা লিখার জন্য,
জাঝাক আল্লাহ খাইরান।
যারা নেক পথে চলতে চায়, মহান আল্লাহ
যেন তাদের পথ চলা সহজ করে দেন,
আমিন
তবে হিজাব করলে ই যথেস্ট নয়, পরিপুরন পরদা করতে হবে, যে ভাবে ইসলাম করতে বলেছে।
কারন হিজাবের উপর যখন আমরা দোষ দেই, তখন তা ইসলাম কে ঈঙ্গিত করে ই দেই, ইসলাম শুধু চুল ঢেকে রাখতে ই বলে নি, বুক, পিঠ, বাহুর সেপ যেন বুঝা না যায়, সেই দিকে ও সতর্ক করেছে।
আমার কাছে এই কমন চিন্তাটাকেই শুভঙ্করের ফাঁকি মনে হয়। এটা নিয়ে ৩ টা লিখাও লিখেছিলাম।
http://www.bdnow.net/blog/blogdetail/detail/3557/warrior2013/70976#.Vw3X3UXRbR0
http://www.bdnow.net/blog/blogdetail/detail/3557/warrior2013/68839#.Vw3YEUXRbR0
http://www.bdnow.net/blog/blogdetail/detail/3557/warrior2013/64084#.Vw3YREXRbR0
একজন নারী বোরখা পরুক আর নাই পরুক, রাস্তায় একাকি সে সর্বাবস্হায় অসহায়, নিরাপত্তাহীন। ইসলাম নারীকে একা বাইরে বের হতে মানা করে। হাজবেন্ড, বাবা, ছেলে, মামা, চাচা, দাদা, নানা, ভাগ্নে,ভাতিজা, শ্বশুর এসব পুরুষকে সাথে রাখতে বলে। কারণ চুমকিদের একা পেলেই তো দস্যুরা গান ধরে, চুমকি চলেছে একা পথে, সঙ্গী হলে দোষ কি তাতে? সুন্দরী চলেছে একা পথে... তাই আমাদের চিন্তারও পরিবর্তন জরুরী।
আর এটা তো কালচার হয়ে দাড়িয়েছে, নারীরা বলবে, পুরুষকে আগে পর্দা করতে বলা হয়েছে, আমি যাই পরি পুরুষ কেন দেখবে? আর পুরুষের অমিয়বাণী তুই ভাল পোষাক পরিসনা কেন? বাহ! দুই ভন্ডের সমাহার কেউ মানবেনা এটাই আসল কথা। আর আপু একটা কাজ কর এখন খুব দামে ট্যাবলেট পিসি পাওয়া যায় এগুলোতে কিবোর্ড মাউস লাগিয়ে একদম কম্পিিউটারের মত ব্যবহার করা যায়। আমি তো তাই করেছি।
পড়লাম লিখাগুলো,
কিন্তু এখনো সব পড়া হয় নি, আমার একটা বদভ্যাস আছে, কোন লিখা ভালো হলে, তার মন্তব্য, পালটা মন্তব্য গুলো ও আমাকে পড়তে হবে।
ব্লগের কয়েকজন লেখকের সব গুলো লিখা ই পড়ার ইচ্ছা আছে ক্রমান্নয়ে, তার মধ্যে তুমি ও একজন।
পড়ে নিবো ইন শাহ আল্লাহ
কারন এই লিখা গুলোতে জানার আছে অনেক কিছু।
হি হি
আপুনিরে ঘরে ল্যাপটপ, ডেস্কটপ দুটুই আছে, কিন্তু দুটু ই ওর দখলে, তাছড়া এগুলো দুই দিন পর পর ই দেখি এটা সেটা নস্ট হয়, তাই আমার মোবাইল ই সম্বল
যেমন দুদিকের লিখালিখি, একে অন্যকে উপদেশ দিতেই থাকা, ব্লগে, ফেবুতে লিখালিখি সবই প্রশ্নের উদ্রেক করে। আপনার লিখাটি মনে হলঃ সব সমস্যার মাঝে সমাধানের বাতি।
কোরআনের উদ্ধৃতি লিখাটিকে পূর্ণতা দিয়েছে।
আপনার অনুমতি ছাড়াই কিছু অংশ ফেবুতে শেয়ার করেছি, অবশ্য সূত্র হিসেবে "টুডে ব্লগ" উল্লেখ করেছি।
সুন্দর লিখাটি উপহার দেওয়ার জন্য অনেক অনেক শুকরিয়া, এ ধরনের লিখা সব সময়ই চাই।
এখনতো কিবোর্ড যোগে টেব ব্যবহার করছেন, আশাকরি "নিজের কম্পিউটার নাই" এ অসুবিধা মুক্ত হয়েছেন।
জাযাকিল্লাহ খাইরান।
আর মাশাআল্লাহ কোন কিছু লিখতে ফেলেই কোরান-হাদিস থেকে রেফারেন্স পেয়ে যাই তখন সেটা দিয়ে যাঁচাই করি আমার ধারণা সঠিক কিনা? যদি দেখি হ্যা ! তখন সামনে আগাই।
আর ভাইয়া ব্লগ লিখা সত্যিই খুব কষ্টের কাজ আগের মত সেভাবে ছ্বন্দগুলো আনতে পারিনা হয়না আসলে। সাথে তো ব্যক্তিজীবনের কিছু হতাশা, সমস্যা আছেই যেগুলো দূরে সরিয়ে রাখে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার হৃদয়ছোয়া মন্তব্য প্রদানের জন্য।
কিছু মন্তব্য ও জবাব এখনো পড়তে পারিনি, কিন্তু উঠতে হচ্ছে! পরে যদি মন্তব্য করতে ভুলে যাই- তাই হাজিরা দিলাম!
বড় মন্তব্য প্রয়োজন/সুযোগমত করা যাবে ইনশাআল্লাহ!
আপনার ও আপনার কলমের জন্য দোয়া করি জাযাকুমুল্লাহ
লিখা এবং মন্তব্য উভয় পড়লাম। মাশা আল্লাহ, জাযাকিল্লাহ মূল্যবান উপলব্ধি শেয়ার এর জন্য!
আপনি মেয়েতে মেয়েত যা বলেছেন তা তো তসলিমারই স্বপ্ন। আজ ঘরে ঘরে কত শত তসলিমারা আছে-শাহবাগের নর্দন-কুর্তন দেখলেই বুঝা যায়।
যখন আসমানের পর্দা সরিয়ে ফেলা হবে,
যখন জাহান্নামকে উসকে দেয়া হবে আর জান্নাতকে নিকটবর্তী করা হবে
তখন প্রত্যেক ব্যক্তি জানতে পারবে সে কি (আমল)সাথে করে নিয়ে এসেছে(সূরা আত-তাকভীর,আয়াত: ৭-১৪) ভালো লাগলো অনেক অনেক ধন্যবাদ Assalamualaikum
ব্লগ সম্পর্কে আমার ভালো ধারণা নেই।
তবে আপনার লিখা গুলো যত পড়ছি তত ই আমাকে আকর্ষণ করছে।
গুরুত্ব পূর্ন লিখাটা পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
যাইহোক কিন্তু আমার দেখা অন্যসব ব্লগ থেকে এটা সম্পূর্ণই ভিন্ন। ভাল মানুষিকতার লোক বলতে গেলে সবাই। কোন গালগালি নেই, মেয়েরা যথেষ্ট সন্মান পায়, তাদেরকে সুযোগ অনেক বেশি দেয়া হয়। আপনার মাসাআল্লাহ জানার আগ্রহ আছে। আমি টুকটাক জানি কিন্তু মানতে পারি খুবই কম আর নিজের ব্যক্তিজীবনের সমস্যার জন্য খালি হায় হুতাশ করি অবশ্য তা মানুষকে বলতে যাইনা নিজের মাঝেই রাখি।কম জানুন কিন্তু আমলে বেশি হওয়াটাই জরুরী যা আমার মাঝে নেই।
আপনি এই ব্লগ পোস্টগুলো পড়ুন লিংক দিচ্ছি। আপনার দাজ্জাল নিয়ে জানার আগ্রহ আছে। এই ৩টা লিংকের লেখা পড়ুন।
https://eu1.proxysite.com/process.php?d=joV9rFmPUFxXlMOSV1OdgMFSeHkMhWw9rMm4xy6OqPOvGyqkbX07TmYDuEW0mqWaHErlkiMuyaFD%2BzTE9pjFog%3D%3D&b=1
https://eu1.proxysite.com/process.php?d=joV9rFmPUFxXlMOSV1OdgMFSeHkMhWw9rMm4xy6OqPOvGyqkbX07TmYDuEW0mqWaHErlkiMuyaFD%2BzTE95vIpA%3D%3D&b=1
https://eu1.proxysite.com/process.php?d=joV9rFmPUFxXlMOSV1OdgMFSeHkMhWw9rMm4xy6OqPOvGyqkbX07TmYDuEW0mqWaHErlkiMuyaFD%2BzTF%2Fp%2FGoQ%3D%3D&b=1
https://eu1.proxysite.com/process.php?d=joV9rFmPUFxXlMOSV1OdgMFSeHkMhWw9rMm4xy6OqPOvGyqkbX07TmYDuEW0mqWaHErlkiMuyaFD%2BzTF85zGpQ%3D%3D&b=1
যদি লিংকে কাজ না করে তবে আমার পাতার ২য় পেজে "প্যারিস এট্যাক ও হলিউড মুভি "দ্যা ম্যাটরিক্স" অতঃপর ইলিমুনাতি-দাজ্জাল ও আধুনিক গ্লোবাল ভিলেজ বিশ্লেষণ।" শিরোনামের লেখাটা পড়ুন।
হাদিস: তখন তোমরা কি করবে যখন ইরাক, আশ-শাম, মিশর তার অর্থব্যবস্হাকে প্রত্যাখ্যান করবে এবং যুদ্ধ ও দারিদ্রতায় ধ্বংশ হবে??
খিলাফাহ আর কোনদিনই ফীরবেনা!! ব্লগার মোহাম্মাদ ফখরুল ইসলামের মিথ্যাচারের জবাব।
এই ৩টি লেখাই পড়বেন।
৩য় পেজে "আমার ভোট আমি দিব, যাকে খুশি তাকেই ক্ষমতায় আনব!"
ইসলামী গণতন্ত্র! আমরা কি নিজেরাই নিজেদের ধোঁকা দিচ্ছিনা? ৩ পর্বের লেখাটা পড়বেন।
Survival of the fittest!! পরিবার প্রথা কি বিলুপ্ত হয়ে যাবে?
এই লেখাটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ দাজ্জাল বিষয়ক ব্যাপারটা বোঝার জন্য।
আর সাধারণভাবে ২টা সিরিজ বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
২য় পেজের
সাদাচোখে বিশ্লেষণ: "যয়নাব বিনতে জাহাশ (রাঃ) এর সাথে মুহাম্মাদ ﷺ এর বিয়ে কি অজাচার (Incest) ছিল, নাকি ইতিহাস নিয়ে ইসলাম বিদ্বেশী মহলের চরম মিথ্যাচার?" এটা ৩টা পর্ব আছে।
১ম পেজের বনু মুস্তালিক যুদ্ধ ও জুওয়ায়রিয়া বিনতে হারিস (রাঃ) এর সাথে রাসূল ﷺ এর বিয়ে নিয়ে ইসলাম বিদ্বেশীদের মিথ্যাচার আর কতদিন?
ইসলাম বিদ্বেশীদের অভিযোগ: "ইসলাম যুদ্ধবন্দী নারীকে ধর্ষণের নির্দেশ দেয়" সাদাচোখে সত্যতা যাচাই। ১ম পর্ব ও ২য় পর্ব গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো পড়তে পারেন। অনেক ভাল থাকেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন