এমন কোন জনপদ নেই যা আমি কিয়ামত পূববর্তী সময়ে ধ্বংস করব না, অথবা যাকে কঠোর শাস্তি দিবনা; এটা তো কিতাবে লিপিবদ্ধ আছে। (সুরা বনী ইজরাইল: আয়াত: ৫৮)

লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ১৮ মার্চ, ২০১৬, ০৮:৩৮:১১ রাত



# তোমরা কি ভয়হীন হয়ে গেছ যে, তিনি তোমাদেরকে স্হলভাগেই জমীনের মাঝে ধ্বসিয়ে দিবেন না, কিংবা তোমাদের উপর শিলা বর্ষণকারী ঝড়ো হাওয়া পাঠাবেন না? এমতাবস্হায় তোমাদের রক্ষাকারী কাউকেই তোমরা পাবেনা।

# তোমরা কি ভয়হীন হয়ে গেছ যে, তিনি তোমাদেরকে আরেকবার সমূদ্রে নিয়ে যাবেননা আর তোমাদের উপর প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়া প্রেরণ করবেননা এবং তোমাদের অকৃতজ্ঞতার জন্য তোমাদের ডুবিয়ে দেবেননা? তখন তোমরা আমার বিরুদ্ধে কোন সাহায্যকারী পাবেনা। (সুরা ইসরা/বনী ইজরাইল, আয়াত: ৬৯-৭০)

# এ লোকালয়ের মানুষগুলো কি এতই নির্ভয় হয়ে গেছে (তারা মনে করে নিয়েছে) যে, আমার আযাব (নিঝুম) রাতে তাদের কাছে আসবে না, যখন তারা (গভীর) ঘুমে (বিভোর হয়ে) থাকবে? অথবা জনপদের মানুষগুলো কি নির্ভয় হয়ে ধরে নিয়েছে যে, আমার আযাব তাদের উপর মধ্য দিনে এসে পড়বে না- তখন তারা খেল-তামাশায় মত্ত থাকবে। কিংবা তারা কি আল্লাহ তাআলার কলা-কৌশল থেকেও নির্ভয় হয়ে গেছে, অথচ আল্লাহ তাআলার কলা-কৌশল থেকে ক্ষতিগ্রস্থ জাতি ছাড়া অন্য কেউই নিশ্চিত হতে পারে না।” (সূরা আল আ’রাফ, আয়াত: ৯৭-৯৯)

আমার লেখা সর্বশেষ ব্লগপোস্টটি ছিল- ৭ জানুয়ারি, ২০১৬ এতদিন পর ব্লগে ফেরা। উপরের আয়াতগুলো মোটেও নিছক ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে উপস্হাপন করছিনা, বাস্তবতা বোঝাতে চাইছি। জানিনা "আমি কতদূর লিখতে পারবো?", জানিনা "কেউ পড়বে কিনা বা গুরুত্ব দিবে কিনা?" তবে লেখাটাকে বাস্তবতায় রূপ দেয়ার চেষ্টা করব। (হে আল্লাহ! সাহায্য করুন)

# আইশা (রাঃ) বর্ণনা করেন, রসূল ﷺ বলেন, কিয়ামতের নিদর্শন হল- প্রচুর ভূমিকম্প/ভূমিধ্বস ও বিপর্যয়। উদ্বিগ্ন হয়ে আইশা (রাঃ) প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! তাতে কি আমাদের মধ্যকার মুমিন ব্যক্তিরাও ধ্বংস হবে? রাসূল ﷺ জবাব দিলেন: হ্যা! যখন অশ্লীলতার ব্যাপক প্রসার হবে।

প্রায় একই ধরণের দুটি হাদিস যয়নাব বিনতে জাহাশ ও উম্মে সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে যে, রসূল ﷺ খুব ভয়ার্ত ও আতঙ্কিত চেহারায় লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়তে পড়তে উম্মুল মুমিনীন যয়নাব বিনতে জাহাশ (রাঃ) এর নিকট হাজির হলেন। জীবনসঙ্গীর এমন চেহারা দেখে তিনিও উদ্বিগ্ন হয়ে পরেন এবং জানতে চান, হে আল্লাহর রসূল ﷺ কি হয়েছে? রাসূল ﷺ বললেন, অচিরেই একটি দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি হবে। এতে আরবের ধ্বংস অনিবার্য। ইয়াজুজ ও মাজুজের দেয়ালে এতটুকু পরিমাণ ছিদ্র হয়ে গিয়েছে, এ কথা বলে দু’টি আঙ্গুল গোলাকৃতি করে দেখালেন। আতঙ্কিত যায়নাব বিনতে জাহাশ (রাঃ) বিস্ময়ে ও ভয়ে প্রশ্ন করেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্যে নেক ও পুণ্যবান লোকজন বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও কি আমরা ধ্বংস হয়ে যাব? তিনি জবাব দিলেন, হ্যা! তখন পাপাচার, অশ্লীলতা অত্যাধিক মাত্রায় বেড়ে যাবে। ( অল্প সংখ্যক নেক লোক বিদ্যমান থাকবে কিন্তু পাপাচার ও সীমালঙ্ঘনে বাঁধা দেয়ার মত শক্তি-সামর্থ্য তাদের থাকবেনা ফলাফলে আযাব নেমে আসবে।)

এবং উম্মে সালামা (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূল ﷺ এর হটাৎ ঘুম ভেঙ্গে যায় এবং তিনি আসন্ন বিপদের কথা বলতে থাকেন।


# আবদুল্লাহ ইবনু উসমান (রহঃ) ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন, রসূল ﷺ বলেছেন: যখন আল্লাহ কোন কাওমের উপর আযাব নাযিল করেন, তখন সেখানে বসবাসরত (মুমিন-পাপাচারী সকলে) সকঁলের উপরই সেই আযাব সমানভাবে কার্যকর হয়। অবশ্য (কিয়ামতের দিন) প্রত্যেককে তার আমল অনুসারে উঠানো হবে।(মুমিনগণকে আল্লাহ মাফ করে দিবেন)

# রসূল ﷺ বলেন, আমার উম্মাতের মাঝে এমন এক সময় এসে উপস্হিত হবে যখন নামাজের ব্যাপারে আর কোন গুরুত্ব থাকবেনা, সুবিশাল দালানকোঠাগুলি সব জায়গা দখল করে নিবে, মানুষ আল্লাহর নামে প্রচুর কসম করবে অথচ তাদের শপথ রক্ষা করবেনা, মানুষ একে অপরকে প্রচুর অভিশাপ দিবে, ঘুষ ও ব্যাভিচারের ব্যাপক প্রসার ঘটবে, মানুষ পরকালকে অবহেলার চোখে দেখবে এবং পৃথিবীর ভোগ-বিলাসকে প্রাধান্য দিবে। রসূল ﷺ বলেন, যদি তোমরা দেখ যে, তোমাদের সামনে এমন সময় এসে উপস্হিত- তবে এর থেকে মুক্তি পাবার চেষ্টা কর। অন্য হাদিসে একজন সাহাবী প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! কিভাবে এমন অবস্হা থেকে মুক্তি কামনা করব? রসূল ﷺ উত্তর দিলেন: মুখ সংযত রাখো, জিহ্বাকে আটকে ধরো, হাতকে হারাম কাজ হতে বিরত রাখো-যতক্ষণনা মৃত্যু এসে তোমার দরবারে উপস্হিত হয়।

*** হাদিসে বর্ণিত নিদর্শনগুলি কি কোন কল্পনা, নাকি বাস্তবতা?***

# রসূল ﷺ বলেন, মানুষ লজ্জাহীনভাবে প্রকাশ্যে গাঁধার মত জেনা-ব্যাভিচারে লিপ্ত হবে। অন্যত্র বলেন, অবশ্যই অবশ্যই আমার পরে এমন কিছু লোকের (মুসলিমের মাঝে) আবির্ভাব হবে যারা জেনা, রেশম কাপড় (পুরুষদের ক্ষেত্রে), নেশার দ্রব্য, গান-বাজনা ও বাদ্যযন্ত্রকে হালাল বলে বিশ্বাস করবে, গায়িকাদের আধিক্য বেড়ে যাবে।

# রসূল ﷺ বলেন, নারীরা পোশাক পরবে তবুও তারা থাকবে নগ্ন, মুসলিম নারীরা আর পর্দা পালন করবেনা এবং মুসলিম নারীদের হিজাব হবে উটের কুঁজের ন্যায়।

***এসব হাদিসগুলির বিস্তর ব্যাখ্যার আদৌ কি কোন প্রয়োজন আছে, যখন তা বাস্তবতা?***

# রাসূল ﷺ বলেন, আমার উম্মাতের কিছু লোক কওমে লুতের মত সমকামে লিপ্ত হবে এবং কিছু লোক নিজের আপন স্ত্রীর সাথে পায়ুপথে যৌনাচারে লিপ্ত হবে। আল্লাহর লানত এদের প্রতি। মহান আল্লাহ কিয়ামতের দিন তাদের দিকে দৃষ্টিপাত করবেননা।

*ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, কোরানে কওমে লুতের কথা বর্ণনা না করা হলে আমি বিশ্বাসই করতাম না মানুষ এরূপ করতে পারে!!

***কেন তিনি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না?***

কারণ ১৪০০ বছর আগের আরবে বসবাসকারী ইহুদি, খৃষ্টান এমনকি মুশরিকদের মাঝেও সমকাম বা নিজ স্ত্রীর সাথে পায়ুপথে যৌনাচার বা অন্য কোন বিকৃত রূচির পরিচয় পাওয়া যায়না।

***আর আজ নানারকম বিকৃত যৌনাচারকেও পর্ণোশিল্প আখ্যা দিয়ে ইন্টারনেট, কম্পিউটার, মোবাইল, টিভি হলরুম বা সিনেমাহলে পৌছে দেয়া হয়েছে যা প্রবেশ করছে ৯ থেকে ৯০ প্রতিটি নারী-পুরুষের মস্তিষ্কে। তাই "হাজবেন্ড-ওয়াইফের সম্পর্ক কি হালাল?" এমন প্রশ্ন তুলতেও আমরা বাধ্য হচ্ছি, সন্তানের চোখেও বাবা-মাকে অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে।***

# নবী ﷺ বলেছেন, নিশ্চয়ই তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তীদের আচার-আচরণকে বিঘতে বিঘতে, হাতে হাতে গ্রহণ ও অনুকরণ করবে। এমনকি তারা যদি গুঁইসাপের গর্তেও প্রবেশ করে থাকে, তাহলে তোমরাও এতে তাদের অনুসরণ করবে। আমরা (সাহাবাগণ) বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! এরা কি ইহুদি-নাসারা?তিনি বললেন, আর কারা?

#রসূল ﷺ বলেন, আর ক্বিয়ামত সেই পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে না, যতদিন না আমার উম্মতের কিছু গোত্র মুশরিকদের সাথে মিশে যাবে এবং যতদিন না আমার উম্মতের কিছু গোত্র মূর্তি বা স্থানপূজা করবে।

# রসূল ﷺ বলেন, যখন দেখবে ২০ জন শাবাব (যুবক/যুবতী) একসাথে এমন কোন গর্হিত কাজে লিপ্ত হচ্ছে অথচ তাদের চোখে-মুখে বিন্দুমাত্র আল্লাহর ভয় নেই তখন কিয়ামতের জন্য অপেক্ষা করতে থাক।

মিউজিক কনসার্ট, সিনেমা হল থেকে আর উৎকৃষ্ট উদাহরণ কি বা হতে পারে?

***বাস্তবতা হল হলিউড, বলিউড, টিভি সিরিয়াল, সেলিব্রেটি এই শব্দগুলো আমাদের মস্তিষ্ককে গ্রাস করে ফেলেছে!! মঙ্গল শোভাযাত্রা, স্মৃতিসৌধে পুষ্প অর্পন ইত্যাদিকে আমরা হালাল ও পবিত্রকাজ বানিয়ে ফেলেছি। যেই নামাজী ব্যক্তি তরুণদের হলিউডি-বলিউডি কালচারকে জঘন্য বলে আখ্যা দিচ্ছেন, তিনিই আবার সন্ধা হলে বউকে নিয়ে স্টার জলসা, জি বাংলায় পুজা অর্চনা দেখছেন।***

#রসূল ﷺ বলেন, মহান আল্লাহ দ্বীনি আলিমদের ইলমসহ ক্রমশ উঠিয়ে নিবেন ফলে একদল মূর্খের আগমণ ঘটবে তারা ইলমের চর্চা করবে নির্বোধদের সাথে তর্ক-বিতর্ক ও জ্ঞানীদের হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য। তাদের পাঠ্য তাদের কন্ঠনালী ভেদ করে অন্তরে প্রবেশ করবেনা। মানুষ তাদের কাছে আসবে ফতোয়া জানার জন্য এরা মানুষকে বিভ্রান্ত করবে এবং নিজেরাও বিভ্রান্ত হয়ে পরবে।

# রসূল ﷺ বলেন, কিছু লোকের আগমণ ঘটবে যারা পরস্পরে বলাবলি করতে থাকবে (আল্লাহকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ-উপহাস হবে)আল্লাহই যদি সব কিছুর স্রষ্টা হন, তবে তাকে কে সৃষ্টি করল??

***এই দুই শ্রেণীকে আমরা আজ স্বচক্ষে দেখছি, তাই নয়কি?***

# রসূল ﷺ বলেন, হারজ ব্যাপকতর হবে। আর তা হল হত্যা, হত্যা। যাকে হত্যা করা হবে সে জানবেনা "কি তার অপরাধ?" যারা হত্যাকারী তারাও জানবেনা "কোন অপরাধে তাকে হত্যা করা হল?"

শেষের দিকে চলে এসেছি কি লিখব বুঝতে পারছিনা। ইদানিং অধিকাংশ মুসলিম প্রশ্ন তোলেন যে, মুমিনদের উপর এত অত্যাচার হচ্ছে কিন্তু আল্লাহ কেন দেখেননা?? আসুন একটি হাদিসে মুমিনদের খুঁজে বেড়াই।

# রসূল ﷺ বলেন, সকালে যে ব্যক্তির ঘুম ভাঙ্গবে মুমিন অবস্হায় সন্ধায় সে আর আদৌ মুমিন থাকবেনা, রাতে যে মুমিন থাকবে সকালে সে আদৌ মুমিন হিসেবে ঘুম থেকে জাগবেনা বরং একাকী আসমানের নীচে সব জঘন্য কাজে সে লিপ্ত হবে।

আমরা অনেক ভাল ভাল ব্লগার, ইসলামিক স্কলার, তথাকথিত ইসলামিক আন্দোলনে যুক্ত, শিরকী আকিদা মুক্ত ইত্যাদি ট্যাগ লাগানো মুসলিম। আমরা ফেসবুকে ইসলামের পক্ষে স্টাটাস দেই, ইভেন্ট খুলি, ব্লগে ইসলামের পক্ষে ঝড় তুলি, হাজার হাজার ফ্রেন্ডস-ফলোয়ার মানুষ আমাদের দেখে ঈমান তাজা করে, সাহস পায় কিন্তু "লোক চক্ষুর অন্তরালে, রাতে বা একাকী আমরা কেমন মুসলিম??????"

***হাতে মোবাইল তাতে গুগল, ল্যাপটপে হিডেন ফাইল, মাথায় হিজাব কিন্তু তা অন্যকে ধোঁকা দেয়ার জন্য, মস্তিষ্কে ফেসবুকের ঐ ছেলেটার বসবাস। আপনি মধ্যবয়ষ্ক নারী/পুরুষ বাইরে সবাইকে ইসলামের কথা, ইনসাফের কথা বলছেন অথচ সেই আপনিই আবার ঘরে আপনার স্ত্রী/হাজবেন্ডের সাথে দুর্ব্যবহার করছেন, অধিকার হরণ করছেন।***

কে অস্বীকার করবে?? এমন মুমিনকে আল্লাহ কেন দেখবেন?

অর্থাৎ, আমরা অধিকাংশ মুসলিমই আজ প্রকাশ্যে ও গোপনে দুটো ভিন্ন চরিত্রের ধারক।

আপনি সবাইকে ধোঁকা দিতে পারবেন কিন্তু আল্লাহকে?

# তিনি তার বান্দাদের ব্যাপারে পূর্ণ ওয়াকিফহাল,তিনি তাদের প্রতি সর্বদা দৃষ্টি রাখেন। (সূরা আশ শুরা, আয়াত: ২৭)

# তোমাদের উপর যে বিপদই আপতিত হয় তা তোমাদের কৃতকর্মের কারণেই হয়। (সূরা আশ শুরা, আয়াত: ৩০)

# যখন আমি কোন জনপদকে ধ্বংশ করার ইচ্ছা করি তখন তার সমৃদ্ধশালী ব্যক্তিদেরকে(সৎকর্ম করতে)আদেশ করি; কিন্তু তারা সেখানে পাপাচারে মেতে ওঠে; তখন সেই জনপদবাসীর উপর দন্ডাজ্ঞা অবধারিত হয়ে যায় এবং আমি তাকে সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত করি। (সূরা বনী ইসরাইল:আয়াত:১৬)


আজ অধিকাংশ মানুষই শাসকদের সীমালঙ্ঘনমূলক কাজের সমালোচনা করতে ভালবাসেন, তাদের কুকীর্তিগুলো জনসম্মুখে প্রকাশ করে দিতে পারলেই যেন তাদের বিজয় লাভ হয়, অথচ নিজেদের ব্যাপারে সবাই উদাস!!! এই শাস্তি অবশ্যই প্রতিশ্রুত, ও আমাদের দিকে ধাবমান। সীমালঙ্ঘন ও পাপাচারের পরিনাম সম্পর্কে পূর্বে ইয়াহুদীদেরও সতর্ক করা হয়েছিল তাদের আসমানী গ্রন্হে কিন্তু অগ্রাহ্য করে তারা অবাধ্যতা ও পাপাচারে ডুব দিয়েছিল আর পাপাচার ও সীমালঙ্ঘনের শাস্তিস্বরূপ আল্লাহ পাঠিয়েছিলেন নেবুচাঁদনেজার নেতৃত্বাধীন ব্যাবিলন আর্মি (৫৮৭ খৃষ্টপূর্বাব্দে) ও টিটাস নেতৃত্বাধীন রোমান আর্মি (70CE) যারা জেরুজালেমকে অগ্নিকুন্ডে পরিণত করেছিল, সমস্ত শহরজুড়ে চালিয়েছিল ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ আর জীবিতরা পরিণত হয়েছিল দাস/দাসীতে। আর আমরাও আজ তাদের পদাঙ্গ অনুসরণ করে শাস্তির দিকেই অগ্রসর হচ্ছি। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে আবার। আল্লাহ তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমাদের প্রাকৃতিক বিপর্যয় দিয়ে ধ্বংশ করবেন অথবা বিদেশী শত্রুকে আমাদের উপর চাপিয়ে দিবেন যেটি হয়েছিল বনী ইজরাইলের সাথে।

রেফারেন্স:

সহীহ বুখারী: অধ্যায় ৮১/ফিৎনা ও কিয়ামতের আলামত, ৮৫/কুরান সুন্নাহকে আকড়ে ধরা, ৫০/আম্বিয়া কিরাম। সহীহ মুসলিম অধ্যায়: ৫৫/ফিৎনা ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী, সুনানে আবু দাউদ: অধ্যায়:- ৩০/ফিৎনা, ৩১/মাহদী (আঃ), ৩২/যুদ্ধ বিগ্রহ, সুনানে তীরমীজী অধ্যায়: ৩৬/ফিৎনা, ইবনে মাজাহ অধ্যায় ৩০/কলহ বিপর্যয়/ফিৎনা- পাবলিশার: ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।

বিষয়: বিবিধ

২৭১২ বার পঠিত, ৪৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

362840
১৮ মার্চ ২০১৬ রাত ০৯:২৬
শেখের পোলা লিখেছেন : " আল্লাহ তাআলার কলা-কৌশল থেকে ক্ষতিগ্রস্থ জাতি ছাড়া অন্য কেউই নিশ্চিত হতে পারে না।”
নিঃসন্দেহে আমরা সেই জাতি৷ নাহলে কেন আমরা এতটা আরাম আয়েশে মগ্ন, কেন আমরা দিনের পর দিন ইসলাম বিরুদ্ধ আচরণ করে চলেছি৷ আল্লাহ, তুমি আমাদের মাফকর৷ ধন্যবাদ সুন্দর দাওয়াতি লেখনির জন্য৷
১৮ মার্চ ২০১৬ রাত ০৯:৩২
300764
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : চাচাজান, আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন আপনি?আপনাকে দেখে খুব ভাল লাগছে। বোনের ল্যাপটপটা ধার নিয়েছি দুদিনের জন্য ওর ভার্সিটির রিপোর্ট করে দেব এই শর্তে তাই একটু বসতে পারলাম। কতদিন ব্লগে আসতে পারিনা। আপনাদের অনেক মিস করি। Yawn
362859
১৯ মার্চ ২০১৬ রাত ১২:৩২
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : দেরিতে ফিরেছেন, এ কথা জানালেন,কিন্তু কেন তা জানালেন না। অনিয়মিতদের কাতারে শামিল হতে যাচ্ছেন?
ধ্বংশ নয়, হবে ধ্বংস। পুনরাবৃত্তি হয়েছে অনেকবার, এমনকি শিরোনামেও।
আপনার সবকটা কথাই এই সময়ে প্রাসঙ্গিক।
অনোন্যপায় হয়ে কিছু বিষয়কে জায়েজ করেছি কিন্তু সবসময়ের জন্য নয়! এই শিরোনামে আমার কিছুদিন আগে পোস্ট করা একটি লেখায় আপনার লেখার কিছু বিষয়ে খুব মিল খুজেঁ পাবেন।
এই অপ্রতিরোধ্য অনুকরণে স্রোতের বিপরীতে চলতে গিয়ে গোড়া সংকীর্ণ মণা বলে অনেক কথা শুনেছি।আসলে আমরা পাপাচারে এতোটাই অভ্যস্ত হয়ে গেছি যে, ইসলামের বিধিবিধানগুলো মেনে চলা চলতে পারাটা খুব অস্বাভাবিক লাগছে। আর কি বলব। আপনার লেখা ক্ষণিকের জন্য যদি পাঠকের হৃদয়ে রেখাপাত করে, তাহলে কতইনা ভালো হয়.
জাযাকাল্লাহু খাইর
১৯ মার্চ ২০১৬ সকাল ১০:৫০
300796
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ভাইয়া সালাম নিবেন।ধন্যবাদ ভাইয়া বানান ভুল টা ধরার জন্য। ভাইয়া আমার ফ্যামিলি গতানুগতিক ফ্যামিলির মত ইসলামিক মাইন্ডের না। আমাকে ব্লগ লিখতে হয় অনেকটা লুকিয়ে। আমি ফ্যামিলির ছোট ভাই-বোনের ল্যাপটপ হাতে পেলে হয়ত কিছু লেখার সুযোগ হয় কারণ আমার নিজের কোন কম্পিউটার, ল্যাপটপ কিছু নেই। এজন্য ইচ্ছা হলেও ব্লগে লেখা সম্ভব না। গত কয়েকমাস আমি বিজি ছিলাম ইন্টার্ণি নিয়ে। আপনার প্রত্যেকটা লেখাই আমি পড়েছি মোবাইল থেকে কিন্তু কমেন্ট করা হয়নি। মোবাইল থেকে আমি মোটামোটি সবার লেখা পড়ি তবে মোবাইল দিয়ে সবার লেখায় কমেন্ট করাও সম্ভব না। আপনার লেখায় কমেন্ট করলে অন্যরা বলবে ওর লেখায় ঠিকি কমেন্ট করে অথচ আমাদের লেখা পড়েইনা তাই ইচ্ছা করে এমন করা। বুঝলেন জনাব, গাজি সালাউদ্দিন ভাইয়া? বোনের কাছ থেকে ২দিনের জন্য ল্যাপটপটা ধার নিয়েছিলাম এই শর্তে ওর ভার্সিটির একটা রিপোর্ট করে দিব। এই সুযোগেই ব্লগটা লেখা। আজই শেষ দিন। Good Luck Good Luck Good Luck
১৯ মার্চ ২০১৬ সকাল ১১:৩২
300801
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : যার মানে আপনার শিক্ষা জীবন শেষ বা শেষের দিকে। অনেক বড্ডা হয়ে গেছেন!

ইসলামিক মাইন্ডের ফ্যামিলিতে বড় না হয়েও ইসলামের সবকিছু যে মেইন্টেইন করে চলেছেন, এর চেয়ে আনন্দের আর কি হতে পারে। দোয়া করি, আল্লাহ্‌ যেন আপনাকে স০বসময় এই পথে অটল অবিচল রাখেন।

ইন্টার্নির পর যদি জব পেয়ে থাকেন তাহলে শুভেচ্ছা। আর যদি এখনো চেষ্টা করছেন, তাহলে দ্রুত পেয়ে যান এই কামনা করছি। তবে একটা অনুরোধ, আপনার চিন্তা-চেতনা যেমন, কর্মক্ষেত্রটাও সেরকম বেছে নেবেন।

আমি শুনে অত্যন্ত আনন্দিত এবং কৃতজ্ঞ যে, আপনি আমার লেখা পড়েছেন, কমেন্ট করতে চেয়েও করেননি যৌক্তিক কারণে।

আমিও অফিসের বাইরে গেলে মোবাইলে চালাই, কমেন্ট করতে বেশ সময় লাগে, তবুও এক আধটু করি। উপস্থিতি জানান দেয়া আরকি।
বুঝেছি বুঝেছি বুঝেছি
ছোট ভাই বোনের যখন ল্যাপটপ আছে, নিশ্চয় আপনারও একটা কেনার সামর্থ রয়েছে। তবে হ্যাঁ, যদি ল্যাপটপ থাকাটা আপনার কাছে অসুবিধার কারণ হয় তাহলে যা মনে করেন তাই করবেন।
আর হ্যাঁ, সালামের উত্তর কিন্তু দিয়েছি।
১৯ মার্চ ২০১৬ দুপুর ০১:৩৫
300811
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ধুর!! আরে ভুল বুঝেছেন ভাইয়া। আমি বলতে চেয়েছিলাম আমি ফ্যামিলির ছোট। কিন্তু মাঝে দাড়ি,কমা না দেয়াতে আপনি ভুল বুঝেছেন উল্টা আমাকেই বড় বানিয়ে দিয়েছেন। বড় হলে তো সবগুলাকে মেরে তক্তা বানিয়ে দিতাম। আমার ভাবীরাও আমার বড় হাহা। ইন্টার্ণী করার সময়ই টের পেয়েছি কর্পোরেট কালচার কতটা মারাত্নক। তাই আসলে চাকরী বাকরী নামগুলো শুনলেই ভয় লাগে। খুশি এইজন্য যে বিবিএ নামক জঘন্য লাইফটা শেষ। টাকা জমাচ্ছি ভাইয়া টাকা পয়সা হলে একটা ল্যাপটপ কেনার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ তখন দেখবেন আমার জ্বালাতন সহ্য করতে না পেরে ব্লগ ছেড়ে পালাবেন। হে হেRolling on the Floor
১৯ মার্চ ২০১৬ দুপুর ০২:১১
300817
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আমি ছদর বদর টাইপের মানুষ, এই ধরণের মানুষদের কেউ জ্বালাতন করে মজা পায়না, আপনিও করবেন না বলেই আমার বিশ্বাস। তাই ব্লগ জুড়ে ঝড় তুললেও আমি কিন্তু পালাচ্ছিনা। তাছাড়া গাজী বলে কথা!

তা আপনি বড় হইলে সবক'টাকে তক্তা বানাতেন, এখন তো আপনি ছোট, তাই প্রতিদিন আচ্ছা মত তক্তা হচ্ছেন তাইনে!

ইন্টার্ণী করার সময়ই টের পেয়েছি কর্পোরেট কালচার কতটা মারাত্নক। তাই আসলে চাকরী বাকরী নামগুলো শুনলেই ভয় লাগে।

কিন্তু তা সত্ত্বেও একটা চাকুরী করতেই হবে! আপ্নারাতো আবার কলি কালের মানুষ। বরের গলগ্রহ হয়ে থাকতে নারাজ, হাঁটতে বস্তে খোঁটা।
362863
১৯ মার্চ ২০১৬ রাত ০৪:২১
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম।

আল্লাহ কে সঠিক ভাবে ভয় করার তৌফিক কামনা করছি! মুনাফেকী আমল ও আচরণ থেকে পানাহ চাইছি!

জাযাকাল্লাহ খাইর!
১৯ মার্চ ২০১৬ সকাল ১০:৫২
300797
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম আপি।মুনাফেকী থেকে নিজেও যেন আজকাল গা বাঁচিয়ে চলতে পারছিনা। ভয় হয় ইদানিং। Good Luck Good Luck
362872
১৯ মার্চ ২০১৬ রাত ০৪:৪৯
সন্ধাতারা লিখেছেন : Salam little api. Being a Muslim we prefer to advise but do not like to perform. Jajakallah for nice piece of writing.
১৯ মার্চ ২০১৬ সকাল ১০:৫৪
300798
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম আপি। সেটাই তো ভয় আপি জাস্ট বলছি কিন্তু নিজের বেলায় কিছুইনা। জাঝাক আল্লাহ আপি।
362875
১৯ মার্চ ২০১৬ সকাল ০৬:৪৮
পললব লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম।লেখনির সাথে আলামত অনেকটাই মিলে যাচ্ছে। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন!
১৯ মার্চ ২০১৬ সকাল ১০:৫৬
300799
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম ভাইয়া। পৃথিবী সৃষ্টির সময়েই লিখে রাখা হয়েছে তার ভাগ্যে কি কি ঘটতে যাচ্ছে। আর রাসূল সল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের জানিয়েছেন কি কি ঘটতে যাচ্ছে? সমাধানের পথেই যেন আমরা হাটি। Good Luck Good Luck
362887
১৯ মার্চ ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫
বিবর্ন সন্ধা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম
অনেক
সৎ এর মাঝে একটু অসৎ আমি, আমরা, আমরা অনেকে ই , আর মোনাফেকির বেরাজাল থেকে যেন কিছুতে ই বের হওয়া যাচ্ছে না।

আল্লাহ যেন সবাইকে সঠিক পথে রাখেন।
আমিন
১৯ মার্চ ২০১৬ দুপুর ০২:২৪
300818
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম। হুম শাইখ বিলাল আসাদ তার একটা লেকচারে এই হাদিস প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেছিলেন,
এই পৃথিবীতে ৭.১২৫ বিলিয়ন মানুষের বসবাস। এই মানুষদের নিয়েই গঠিত এক একটা দেশ। দেশ গঠিত জাতি, সমাজ, পরিবার নিয়ে। আর এক একজন ব্যক্তি হল সবচেয়ে ছোট একক। এখন সমস্ত অমুসলিমদের বাদ দিয়ে দিন শুধু ১.৬ billion মুসলিমকে রাখুন এখন হিসাব করুন এই এক একজন সিঙ্গেল মুসলিম কে। তারা প্রকাশ্যে খুব ভালো মুসলিম মানুষ তাকে ভাল মুসলিম বলেই জানে। অথচ সে সন্ধায় ঘরে প্রবেশ করল একাকী ঘরে ইন্টারনেট এর সামনে বসল অতপর এমন কোন জঘন্য কাজ নেই যা সে করছেনা। এই যদি উম্মাহ এর প্রতি সিঙ্গেল মুসলিমদের অবস্হা হয় তবে ভাবুন এমন একেকজন মানুষ নিয়েই মুসলিম পরিবার,মুসলিম সমাজ,দেশ ও দুনিয়া। তাহলে গোটা মুসলিম জাতির অবস্হা কি হবে? প্রকাশ্যে সে মুমিন কিন্তু একান্তে একজন ভন্ড। এভাবে একজন মানুষ দুটি চরিত্র নিয়ে বসবাস করছে। ব্যাপারটা সত্যি মারাত্নক।
362908
১৯ মার্চ ২০১৬ দুপুর ০৩:৩৯
আফরা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম প্রিয় বান্ধুবী ।


আমরা অধিকাংশ মুসলিমই আজ প্রকাশ্যে ও গোপনে দুটো ভিন্ন চরিত্রের ধারক। একেবারে সত্য কথা !

আপনি সবাইকে ধোঁকা দিতে পারবেন কিন্তু আল্লাহকে? এটা তো চিন্তাই আসে না----

মুনাফেকী আমল ও আচরণ থেকে াল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন । আমীন

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।
৩০ মার্চ ২০১৬ সকাল ১০:২৯
302016
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম। অনেক দেরী হল উত্তর দিতে উপায় ছিলনা। হ্যা! নিজের দিকে তাকালেই তো আমি আৎকে উঠি মানুষের কথা কি বলব!! জাঝাক আল্লাহ আফরা সাইয়ারা।
362927
১৯ মার্চ ২০১৬ বিকাল ০৫:৫৭
এ,এস,ওসমান লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম।আপনার নামের সাথে লেখা যথাযত মিলবে,যদি কারু ঘুম আসলেই ভাঙ্গে।আল্লাহ সেই সকল মানুষদের হেদায়াত দান করুন,যারা সব কিছু জেনে-শুনেও বিপথগামী হচ্ছে।আর আমাদের সকল প্রকার অশ্লীলতার হতে দূরে রাখুন।আমিন।

আপনাকে জাযাকাল্লাহু খায়েরান।
৩০ মার্চ ২০১৬ সকাল ১০:৩২
302018
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম ভাইয়া। প্রথমে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এত দেরী করার জন্য। অন্যকে বলা মানে নিজের প্রতিও চ্যালেঞ্জ জানানো, এটা ইদানিং বুঝতে পারছি। আমীন। জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া।
362952
১৯ মার্চ ২০১৬ রাত ০৮:৫৫
কুয়েত থেকে লিখেছেন : দেরীতে হলেও লেখার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো লাগলো লেখাটি ইসলামই একমাত্র আমাদের পথ চলার পাথেয়।আল্লাহ আমাদেরকে তার দ্বীনের উপর প্রতিষ্টা তাকার তাওফিক দিন।
৩০ মার্চ ২০১৬ সকাল ১০:৩৩
302019
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ভাইয়া আপনার নামটা কি বলা যাবে? হ্যা ভাইয়া! একদম ঠিক কথাই বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। জাঝাক আল্লাহ।
১০
362958
১৯ মার্চ ২০১৬ রাত ১০:৫৫
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
কি মন্তব্য লিখবো বুঝে আসছে না। নিজেকে অনেকটা অপরাধী মনে হচ্ছে। উপরে তাকওয়ার লিবাস জড়ালেও অন্তর তাকওয়া শূন্য। হে আল্লাহ! মাফ করো।

সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া। জাযাকিল্লাহ খাইর

শরীর ভালো তো!

৩০ মার্চ ২০১৬ সকাল ১০:৩৬
302021
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম প্রিয় ভাইয়া। আপনার সরলতা, মানুষিক উপলব্ধি, ইসলামকে ধারণ করার প্রচেষ্টা- এসব জিনিসগুলি আমাকে খুব আন্দোলিত করে ভাইয়া। আপনার পরিবার কে আল্লাহ মুমিনদের জন্য পথ প্রদর্শক করুন। শরীর এই ভালো, এই খারাপ। সার্জারী এর পর থেকে গত কয়েকবছর এই অবস্হা। জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া। Good Luck Good Luck
১১
362996
২০ মার্চ ২০১৬ সকাল ০৯:১৪
হতভাগা লিখেছেন : সবকিছুই চলে যাচ্ছে নষ্টদের দখলে , তাই কিয়ামত অত্যাসন্ন যার সংঘঠন কখন হবে তা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউই জানেন না ।

অনেক দিন পরে এলেন ! জেগে জেগে ঘুমালে অপরের ঘুম ভাঙ্গাবেন কি করে ?
৩০ মার্চ ২০১৬ সকাল ১০:৩৯
302023
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ভাইয়া, আসলে আমার আসার উপায় তো ছিলনা। লুকিয়ে লুকিয়ে লিখতে হয় ভাইবোনদের কম্পিউটার-ল্যাপটপ টানাটানি করে। যখন হয়ত হাতে পেতাম তখনই কিছু লিখে ফেলা। তাও খুব নিয়মিত সম্ভব ছিলনা। জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া।
৩১ মার্চ ২০১৬ সকাল ০৮:২৫
302100
হতভাগা লিখেছেন : পোস্ট তো দেন বিশাল বিশাল , মাশা আল্লাহ ! লুকিয়ে লুকিয়ে লিখলে এরকম সম্ভব ?
৩১ মার্চ ২০১৬ সকাল ১০:৪৮
302103
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : হুম লুকিয়েই লিখি ভাইয়া। আর প্রায় ৫ বছর ব্লগিং করি তাই রেফারেন্সগুলো যেন খুব সহজেই হাতের কাছে পাই, তেমন ব্যবস্হা করেই রাখি আগের থেকে।
১২
363175
২১ মার্চ ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৪১
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, প্রিয়ভাই আপনার লিখাটা খুব ভাল লেগেছে, তবে হাদিস গুলো ছিয়া চিত্তার কোন গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে তা উল্লেখ করলে আরোও ভাল হতো। ধন্যবাদ আপনাকে
৩০ মার্চ ২০১৬ সকাল ১০:৫৬
302025
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম ভাইয়া। হাদিসগুলি পাবেন সহীহ বুখারী: অধ্যায়:- ৮১/ফিৎনা ও কিয়ামতের আলামত, ৫০/আম্বিয়া কিরাম, ৯৬/ কুরআন সুন্নাহকে আকড়ে ধরা, পাবলিশার: ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। সহীহ মুসলিম: অধ্যায় ৫৪/ ফিৎনা ও কিয়ামত। পাবলিশার: ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। অধিকাংশ হাদিসই বুখারী ও মুসলিমের এই ৪ টি অধ্যায় থেকে নেয়া।
মেশকাতের আছে: মুসলিমরা মুশরিকদের কালচার গ্রহণ করবে ও মূর্তিপুজা ও স্হানপুজা করবে এটি মিশকাত শরীফ থেকে নেয়া:
(মিশকাত হা/৫৪০৬ ,বঙ্গানুবাদ মেশকাত হা/৫১৭৩)
এটি আবু দাউদ, তীরমিযী এবং বুখারী মুসলিমে অংশবিশেষ আছে।
নীচে আমি রেফারেন্স দিয়েছি।

১৩
364350
০১ এপ্রিল ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:১৭
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম।

আল্লাহ কে সঠিক ভাবে ভয় করার তৌফিক কামনা করছি! মুনাফেকী আমল ও আচরণ থেকে পানাহ চাইছি!
১২ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১২:৪১
303142
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আমিও সেই দোয়া করি ভাইয়া আল্লাহ যেন আমার দুটো চরিত্র বিদ্যমান না রাখেন। জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া। Good Luck
১৪
364548
০৩ এপ্রিল ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:০৮
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

ফেসবুকে শেয়ার করলাম

আপনার লেখনীর এবং আপনার সুস্থ দীর্ঘায়ূর জন্য রব্বুল ইয্‌যাতের কাছে দরখাস্ত পেশ করছি!!
Praying Praying Praying
১২ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১২:৪২
303143
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম আমার প্রিয় আবু সাইফ ভাইয়া। ভাইয়া দোয়া করুন আমিও যেন দুটো ভিন্ন চরিত্রের মানুষ না হয়ে যাই তবে যে সব কর্ম বৃথা। Good Luck Good Luck
১৫
364730
০৫ এপ্রিল ২০১৬ বিকাল ০৫:৪৫
তট রেখা লিখেছেন : অবশ্যই ঘুম ভাঙ্গানি মূলক চমৎকার পোস্ট। প্রত্যেক মুমিনেরই কোরানের এই আয়াত এবং হাদীস গুলো অন্তঃকরণে গেঁথে নেয়া প্রয়োজন।
তবে পোস্টের আবেদন আরো বেশী হতো যদি প্রতিটা হাদীসের নীচে তার উৎস্যের কথা লিখতেন। অবশ্য আমিও অনেক সময় এমন ভুল করে বসি বা মনে থাকেনা।

প্রিয়তে রাখলাম
১২ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১২:৪৭
303144
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : রেফারেন্স:

বুখারী: অধ্যায়:- ৮১/ফিৎনা ও কিয়ামতের আলামত, ৫০/আম্বিয়া কিরাম, ৯৬/ কুরআন সুন্নাহকে আকড়ে ধরা, পাবলিশার ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। মুসলিম: অধ্যায় ৫৪/ ফিৎনা ও কিয়ামত।
এই অধ্যায়গুলোতে সব হাদিসই আছে। শুধু দুএকটা তীরমিযী ও মেশকাত থেকে নেয়া। আর ভাইয়া সবগুলো হাদিসের সূত্র আলাদাভাবে উল্লেখ না করার কারণ হল, এর অপব্যবহার হয় বেশি। তাই মানুষ যখন জানবে এই সকল অধ্যায়গুলোতে হাদিসগুলো আছে, তখন তারা হাদিসগ্রন্হগুলি নিজেরা কষ্ট করে পড়া শুরু করবে তাতে আরো অনেক সত্যি তাদের চোখের সামনে আসবে দ্বিগুণ লাভ তাতে এজন্য ইচ্ছা করেই আমি আলাদা সূত্র উল্লেখ করিনি।
১৬
365784
১৫ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ১২:২০
saifu islam লিখেছেন : ভাল লিখেছেন তথ্যভিত্তিক, লিখার ধন্যবাদ"
১৭ জুন ২০১৬ দুপুর ০২:২২
309040
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : পড়ার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। দেরীতে উত্তর মনে কষ্ট নিয়েন না, ব্লগে নিয়মিত বসা হয়না। জাঝাক আল্লাহ। Good Luck Good Luck
১৭
375413
২৮ জুলাই ২০১৬ রাত ১২:৪৬
আসমানি লিখেছেন : ঘুম ভাঙাতে চাই!
জ্বি, ভাইয়া আপনি ঘুম ভাঙতে পারবেন ।
ইনশাআল্লাহ!
আপনার প্রত্যেক টা লিখা তাই প্রমাণ করে।
২৮ জুলাই ২০১৬ রাত ১২:৫৯
311274
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : কি জানি আপু। আগে আমার লেখায় অনেক পাঠক থাকত। আমাকে সবাই অনেক আদরও করত কিন্তু ইদানিং সবাই আমার লেখা বাদ দিয়ে আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে বেশি পছন্দ করে। অনেকেই ইচ্ছা করে আমার লেখা পড়াই বন্ধ করে দিয়েছে। তাই কিভাবে আর বলি ঘুম ভাঙ্গাব? আর ঘুম ভাঙ্গানোর কাজ মহান আল্লাহর আমার না। আমি নিজেই তো নিজের জগতে ঘুরপাক খাচ্ছি। আর পরিস্হিতি যেভাবে ভয়ানক হয়ে উঠছে তাতে কতদিন আর ব্লগে থাকতে পারি কে জানে?
২০ আগস্ট ২০১৬ রাত ০২:৪৭
312111
আসমানি লিখেছেন : "পরিস্হিতি যেভাবে ভয়ানক হয়ে উঠছে তাতে কতদিন আর ব্লগে থাকতে পারি কে জানে?"

একথা দ্বারা আপনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন?
আপনি কি কোন চাপে আছেন?
২০ আগস্ট ২০১৬ সকাল ১০:৩২
312118
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ব্লগ লিখছি ২০১১ থেকে মাঝে মাঝে অনেক সমস্যায় পরেছি। গালাগালি, মৃত্যু হুমকি,নাস্তিক ব্লগারদের দাবির পরিপেক্ষিতে আমার ব্লগ আইডি বাতিল হয়েছে, মাঝে ৬ মাস ব্লগ লিখা বন্ধ রেখেছিলাম কত কিছুই তো হল। এই ব্লগে অনেকদিন লিখি কিন্তু এটা বিএনপি-জামাত ঘেষা ব্লগ আগে যখন মিষ্টি ইসলাম তখন কোন সমস্যা হয়নি কিন্তু গণতন্ত্র ও মডারেট ইসলামিক মুভমেন্ট, খেলাফত, ভোট ইত্যাদি ব্যাপারগুলো নিয়ে যখন লিখেছি যা তাদের বিশ্বাসে আঁঘাত দিয়েছ তখন থেকে কিছু লোক আমাকে অনেক উল্টা পাল্টা কথা বলেছেন, সন্দেহ করেছেন, এমনকি আমার যে কোন লেখা তারা এড়িয়ে চলেছেন। আর এই কারণে আমার কোন লেখা কোনদিনই এই ব্লগে স্টিকি হয়নি, যেখানে অন্য ব্লগপোস্টে পাঠকরা স্টিকি করার দাবি না করলেও তা হয়ত কোন তরুণি লিখেছে এই অজুহাতে স্টিকি হয়ে গেছে যাতে হাজার বানান ভুল তা নিছক তার ছেলেবেলার আমপাড়ার কোন স্মৃতি হবে অথচ আমার কোন অরাজনৈতিক ব্লগ পোস্টে পাঠকরা একাধিকার স্টিকি করার দাবি করলেও ব্লগ কর্তৃপক্ষ তা মানেন নি। যেন আমার শাস্তি। আর মাঝে মাঝে আমাকে এই ব্লগেই এত বাজে কথা, জঘন্য অভিযোগ শুনতে হয়েছে যে মন খারাপ হয়ে মনে করেছি এই ব্লগই ছেড়ে দিব। আর রাজনৈতিক কারণে এই ব্লগ বাংলাদেশে ব্যান থাকে অধিকাংশ সময়, তখন ফ্রি প্রক্সি সার্ভার ছাড়া ঢোকা যায়না। এদেশে এমনিতেও কারো নিরাপত্তা নেই। তাছাড়া এখন নিজের জীবনের সমস্যা তো আছেই।
২১ আগস্ট ২০১৬ রাত ১২:৪৫
312148
আসমানি লিখেছেন : হুম! বুঝতে পারছি আপনার পরিস্থিতি।
মন খারাপ করবেন না।
লিখে যান।
আল্লাহ আপনারর সহায় হোন।
আমীন!
২১ আগস্ট ২০১৬ রাত ১২:৪৫
312149
আসমানি লিখেছেন : হুম! বুঝতে পারছি আপনার পরিস্থিতি।
মন খারাপ করবেন না।
লিখে যান।
আল্লাহ আপনারর সহায় হোন।
আমীন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File