বাংলালিংক হিজাব প্যাকেজ। এ শুধু আপনারই জন্য। দুরে থাকুন।
লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ৩১ অক্টোবর, ২০১৫, ১২:৫৮:৫১ রাত
দীর্ঘদিন থেকে একটি অযৌক্তিক প্রচারণা চালানো হচ্ছে যে, "বোরখা পরিয়ে নারীকে রাস্তায় ছেড়ে দাও সে নিরাপদ, এটাই পর্দা, কুরআন এটাই বলে!!!"
অথচ এটা ইসলামের আংশিক বক্তব্য, পূর্ণাঙ্গ না। ইসলামে পর্দার ব্যাপারটি আদৌ এমন নয়। ইংল্যান্ডে নাহিদ আলমানিয়া হত্যার শিকার হয়েছিলেন লন্ডনের একটি পার্কে কারণ তিনি ছিলেন হিজাব পরিহিতা ও একা। যখন তাকে উগ্র ব্রিটিশ যুবকরা ১৮ বার চাকু দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়,তখনো তিনি জীবিত ছিলেন। অথচ পার্কে অবস্হানরত নারী-পুরুষ, এমনকি পুলিশও তাকে হাসপাতালে নেয়ার ক্ষেত্রে অবহেলা করে কারণ হিজাব দেখে সকলেই বুঝতে পেরেছিল তিনি মুসলিম। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি মারা যান। ইউরোপ আমেরিকায় এসব ঘটনাগুলো প্রতিনিয়ত ঘটছে কিন্তু পশ্চিমা মিডিয়াগুলি সবসময়ই খবরগুলো চেপে যায়। যেমন, আমেরিকায় কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া চ্যাপেল হিল শ্যুটিং হত্যাকান্ডটি এমন এক জলন্ত উদাহরণ। যেখানে দুজন হিজাব পরিহিতা মুসলিম বোনকে এক মুসলিম বিদ্বেশী মার্কিন ব্যক্তি খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে। অথচ পশ্চিমা মিডিয়াগুলো এমনভাবে প্রচারণা চালাচ্ছিল যেন, "নিহতরাই দোষী"। আমেরিকার শিকাগো থেকে ১৭ বছরের মারিয়াম যখন এয়ারপোর্টে আটক হয় আইএস এ যোগদানের অভিযোগে, তাকে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা আইএস এ যোগদানের কারণ জানতে চাইলে সে বলেছিল, সে সেই জায়গায় থাকতে চায়না যেখানে ঘর থেকে হিজাব নিয়ে বের হলেই রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজে তাকে হামলার ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়। তাই সে ইরাকে আইএস নিয়ন্ত্রিত জায়গাতেই চলে যেতে চায় যেখানে তাকে হিজাব নিয়ে ভয়ে ভয়ে থাকতে হবেনা।
নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি বাংলাদেশেও হিজাব পরিহিতা অনেক নারী রাস্তাঘাটে, বাসে ইভ টিজিং এমনকি যৌন হয়রানিরও শিকার হন। কাজেই যারা বলেন, "হিজাবে নারী নিরাপদ" কথাটি কতটা যৌক্তিক?
আবার বিরক্তিকর বাস্তবতা হল, যিনি হিজাব বা নেকাব পরে অন্যদের কাছ থেকে নিরাপদ থাকছেন, তিনিই কিন্তু নিজেই আবার বয়ফ্রেন্ডের কাছে নিজেকে সপে দিচ্ছেন। এমন ঘটনা ঘটিয়ে পরে আবার এর জন্য বড় সমস্যা তৈরী করে ফেলছেন, ফাঁদে পরছেন, ফ্যামিলিকেও ভয়ে বলতে পারছেননা- তাই তার এই হিজাব পালন, কতটুকু তাকে নিরাপত্তা দিচ্ছে? ঢাকার পার্কগুলোতে হাটুন- দেখবেন, বয়ফ্রেন্ড নামক বস্তুর পাশে বসে থাকা গার্লফ্রেন্ড নামক বস্তুর অনেক বড় একটা অংশই হিজাবী, এমনকি কেউ কেউ নিকাব পরিহিতা। আমার নিজের ক্লাসমেটই প্রেমের নামে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছিল বয়ফ্রেন্ড নামক এক কীটের পেছনে আর ফলাফলও ভাল হয়নি। সে নিজেও কিন্তু পাক্কা হিজাবী ছিল। তাই বাস্তবতা হল, গায়ে হিজাব জড়িয়ে একা চলার স্বাধীনতা পেয়ে একজন নারী যে নিজেকে বয়ফ্রেন্ডের বা পরপুরুষের হাতে সপে দিবেননা, তারও কোন নিশ্চয়তা নেই।
হিজাব করে পুরুষ সহকর্মীদের সাথে ব্যাংকে বা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে কোন নারী জব করছেন, মডারেট ইসলামিস্টরা বলছেন, বাহবা! দেখ দেখ, কে বলে নারীরা পারেনা? পর্দার সাথে পুরুষদের কাধে কাধ মিলিয়ে তিনি কাজ করছেন। প্রতিটি মেয়ের এমনই হওয়া উচিত। কিন্তু অমন উদাহরণ তৈরী করা উপর দিয়ে যতটা ঝকঝকে, বাস্তবে ঠিক তার বিপরীত। মনে করে দেখুন কোন এক তথাকথিত ইসলামী মূল্যবোধসম্পন্ন টিভি চ্যানেলের হিজাবী উপস্হাপিকাকে নিয়ে বেশ কিছু স্কান্ডাল বের হয়েছিল। ভুলে যান কেন, নারীরাও রক্ত মাংসের মানুষ, ফেরেশতা না।
ইসলাম বলেছে নারীকে ঘরের বাইরে বের হবার সময় হিজাবের সাথে সাথে হাজবেন্ড অথবা রক্ত সম্পর্কের কোন পুরুষকে নিরাপত্তার জন্য অথবা অভিভাবক হিসেবে সাথে রাখতে। কারণ একজন মেয়ে হিজাব করুন অথবা নাই করুন, রাস্তায় একাকি সবসময়ই তিনি অনিরাপদ। অন্যদিকে, পর্দা করে সে অন্য পুরুষের লালসার হাত থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখলেও, সেই যে আবার এই স্বাধীনতার অপব্যবহার করে নিজেকে বিপথে ঠেলে দিবেননা, তারও কোন নিশ্চয়তা নেই। তাই সাথে হাজবেন্ড বা রক্ত সম্পর্কের পুরুষ সাথে থাকলে, একদিকে যেমন বখাটেরা "চুমকি চলেছে একা পথে সঙ্গী হলে দোষ কি তাতে"- গান গাইতে যাবেনা, আবার এই নারীও একা চলার স্বাধীনতা পেয়ে নিজেকে অন্য পুরুষের হাতে বিলিয়ে দেয়ার সাহস পাবেননা।
ইসলাম সব ব্যাপারেই পূর্ণাঙ্গ আর সে পর্দার ব্যাপারেও পূর্ণাঙ্গ সমাধান দিয়েছে কিন্তু প্যাকেজ বানিয়েছি আমরা নিজেদের সুবিধার জন্য ইচ্ছামাফিক। আজ মূল ধারণাই পরিবর্তন করে ফেলার জন্য প্রচারণা চালানো হচ্ছে," বোরখা পরিয়ে নারীদের রাস্তায় ছেড়ে দাও, পুরুষের মাঝে কোন খাঁচায় ঢুকিয়ে দাও, তবুও সে নিরাপদ"। এটা নিছকই ধোঁকাবাজি। বাস্তবে এই থিওরী ব্যর্থতার মুখ দেখছে।
আর পুরুষরা তো বিশ্বাসই করে নিয়েছেন যে, পর্দা নারীরই জন্য। হালের ফ্যাশন- পুরুষরা টাইট জিন্স প্যান্ট, শরীর প্রদর্শনের জন্য বা শো অফের জন্য শর্ট টাইট টি শার্ট, নিতম্বের অনেকখানি অংশ বের করে কোমরের প্যাণ্টটা নীচে নামিয়ে পরবেন_ যেন সর্বদাই তাদের যৌনতা নামক বস্তু ঠিকরে ঠিকরে পরে। অথচ "শারিরিক কাঠামো বোঝা যাবেনা এমন ঢিলেঢোলা ও জাকজমকহীন পোশাক পরিধান"- নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য ফরজ। শরীর প্রদর্শন যেমন নারীর জন্য দোষনীয়, পুরুষের জন্যও তাই। সকল নবীদের কমন বৈশিষ্ট বা সুন্নাহ ছিল, তাদেরকে কেউ খালি গায়ে দেখতে পেতনা। খালি গায়ে না দেখার জন্য ইহুদিরা মুসা (আঃ) কে শারিরিকভাবে অক্ষম বলে অপবাদও দিয়েছিল, অথচ মুসা (আঃ) এসব থেকে মুক্ত ছিলেন। বলা হয় নারী-পুরুষ তথা মানুষের মাঝে সবচেয়ে লজ্জাশীল ব্যক্তি ছিলেন একজন পুরুষ। যিনি হলেন, উসমান (রাঃ)। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের আলেমরাও আজকাল এসব নিয়ে কথা বলা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন। সমকামীতা এসবের পথ ধরেই তো এসেছে। ইসলামকে আমরা নানান সুবিধামাফিক প্যাকেজে ভাগ করে ফেলেছি। যতটুকু ভাল লাগে ততটুকু প্রচার, বাকিটা গোপন থাকুক, কারণ ঐটুকু দিয়ে আমরাও একটু ফায়দা লুটলাম। মেয়েদের মানা করেন যে, ফেসবুকে ফটো দিওনা। ছেলেরা দেখে, চোখের দেখায় মনে কুচিন্তা শুরু করে অথচ আপনারা পুরুষরা নিজেরা সিক্স প্যাক, নুরানী বদনের হাজার ছবি আপলোড ঠিকই করছেন। কেন ভাইয়া মেয়েদের বুঝি চোখ নেই?? কুচিন্তা করার মত অন্তর নেই?
যারা এসব কথা শুনে নারীদের ঘরে বন্দী করার কথা ঠিক করে ফেলেছেন তাদের বলব, কিছু বাস্তবতাকে আপনি অস্বীকারও করতে পারবেননা তাই নারীদের জন্য আলাদা পরিবহন, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ ও কর্মক্ষেত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করুন। নারী বান্ধব ক্ষেত্রগুলোতে পুরুষদের প্রবেশ বন্ধ করুন। তারা নিরাপত্তা পাবে, বিপথে জড়ানোর সুযোগও থাকবে কম। অনেকে আগ বাড়িয়ে বলবেন, নারী ঘরে থাকলেই তো হয়, বাইরে কেন যাবে? আমিও বলব, হ্যা! দরকার না পরলে ঘরে থাকবে, সেটাই নিরাপদ। ইসলাম নারীকে পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব পালন করতে বলেনি, সেটি বর্তায় পুরুষের উপর। তাই নিছকই রোজগারের জন্য বের হয়ে নারীকে নিজের মর্যাদা বৃদ্ধির ব্যর্থ চেষ্টা করার কোন দরকার নেই। সে বাইরে গেলে অন্য নারীর জন্যই যাবে। আপনার মা, বোন, কণ্যা, স্ত্রীর প্রয়োজন মেটাতেই যাবে। কাল যখন আপনার মা, বোন, কণ্যা, স্ত্রীর হার্টের অসুখ ধরা পরবে, তখন আপনিই নারী হার্ট স্পেশালিস্ট ডাক্তার খুজবেন, পুরুষ ডাক্তার না। আপনিই পর্দার কথা উঠাবেন। আপনার মা, বোন, কণ্যা, স্ত্রীও নারী ডাক্তার কামণা করবেন, পুরুষ না। কিন্তু আপনি নারীকে ঘরে আটকে রাখলে "নারী ডাক্তার হবে কে?" নারীকে ছাড়ুন অন্য নারীর কল্যাণের জন্য, মুসলিম উম্মাহ এর জন্য কিন্তু তাকে কর্পোরেট হাউজগুলোর যৌনদাসী হিসেবে ছেড়ে দিয়েন না।
বিষয়: বিবিধ
২২৩৫ বার পঠিত, ৪২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
নিমিষেই পড়ে নিলাম আলহামদুলিল্লাহ! বক্তব্য পরিষ্কার।
এমন একটা সমাজের বড় বেশী প্রয়োজন আজ যেখানে মহিলাদের পণ্য হিসেবে দেখবে না, সম অধিকারের নামে বেহায়াপণায় লেলিয়ে দেবে না!
হিজাব পড়েও স্মার্ট - এই চিন্তাটাতেই গলদ আছে মনে হয় আমার! এই স্মার্টনেসের সংগাটা আমরা নিয়েছি পশ্চিমা বা অনৈসলামিক দের কাছ থেকে!
প্রায় ভাবি আজকাল মেয়েরা যেভাবে নিজেদের পড়াশোনার নামে প্রতিষ্ঠিত দেখতে চায় এটা সমাজ ধ্বংসের নামান্তর। ডাক্তার, নার্স, শিক্ষিকা লাগবে নিঃসন্দেহে এখানেই তো থেমে যাচ্ছে না বিষয়টা ! বোনেরা আজকাল ব্যাংক, সেক্রটারী, এয়ার হোস্টেস, সেলস ওম্যান যেখানে নারী-পুরুষ সম্মিলিত কাজ করে নিজেকে সেখানেই কম্পিটিশন করে নিয়ে যেতে চায়!
এখন হিজাবটাকে ছোট এক টুকরা মাথার কাপড়ে সীমাবদ্ধ করে ফেলা হয়েছে- এ থেকে মুক্তি প্রয়োজন।
লম্বা কমেন্টের জন্য দুঃখিত! আমি লিখবো ভাবছি বিষয়টা নিয়ে, তোলপাড় হয়ে থাকা কথা গুলো বের হয়ে গেলো!
শুকরিয়া!
আসলেই তাই। মিডিয়া দেখাচ্ছে, ইসলাম নারীকে ঘরে আবদ্ধ করে রাখে, এখন তারা ঘর হয়ে আসতেছে, এবং সব ক্ষেত্রেই পুরুষকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে, তার মানে তাদের যোগ্যতাকে প্রমাণ করতে দিলে পুরুষের চেয়েও কম যায় না।ইসলাম বলেছে নারী পুরুষের চাইতে কম বিচক্ষণ অথবা জ্ঞান রাখে, কিন্তু নারীরা মেধাশূন্য এই কথাতো বলেনাই। তাহলে কেন নারীকে ঘরে থাকার কথা বলা হয়েছে? আসল কথা হল, নারীরা পুরুষের চেয়ে কম মেধাসম্পন্ন, এই জন্য ঘরে থাকতে বলা হয়নি, নারীরাও সব দলে দলে কর্মক্ষেত্রে পুরুষের কাতারে শামিল হলে শৃংখলা নষ্ট হবে, বেহায়াপনা বেড়ে যাবে, এখন হচ্ছেতো! তাই তাকে মেনে চলতে ইসলাম প্রদত্ত কতগুলো নীতিমালা।
তারা মোটেও পর্দার স্বরূপ জেনে হিজাব পড়ছে না। হয়তো ফ্যামিলি ধার্মিক, অথবা আত্মীয়স্বজন চায় বোরখা পড়ুক, অথবা মাদ্রাসায় পড়ে বলে তাই পড়তে বাধ্য অথবা সবাই পড়ে তাই সেও পড়ে, কেন পড়ে কিছুই জানে না, অন্ধ অনুকরণের প্রবণতা। সঠিক হিজাবপালনকারীরা উপরে বর্ণিত কাজগুলো করতেই পারেনা।
এই চর্চাটাকি আমার প্রিয় পর্দানশীল অর্থাৎ যারা সত্যিকার অর্থেই পর্দা মেইনটেইন করতে চায়, তাদের মধ্যে হয়? এক জেলা থেকে অন্য জেলায় শুধুমাত্র বান্ধবীর কাছে একাকী বেড়াতে যাওয়া, অথবা ধরে নিলাম দাওয়াতী কাজে যায়, কিন্তু একজন মাহরাম
পুরুষ মানুষও নেই যাকে কিনা সাথে নেয়া যায়? ওয়াজতো করাই যায়, আমলটা করবে কে!
শতভাগ সহমত।
এমনটা দেখেতো হাসিই পায়, আবেগ ছাড়া আর কি!
এই কাজের ফর্মূলা আল্লামা মউদুদী অনেক আগেই দিয়ে গেছেন, সে অনুযায়ী একেবারেই চেষ্টা করা হয়নি তা নয়, হয়েছে তবে বাধা এসেছে হাজারগুন বেশি। করতে দিলেইতো আপনি করবেন। যখন ক্লাসে ৫০টা মেয়ের মধ্যে একটা মেয়ের গায়ে বোরখা তাদের মাথা ব্যথার কারণ হয় সেখানে হাজারজনের একটা প্রতিষ্ঠান খুলে ফেলবেন, আর তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবে? যাই হোক, তবুও চেষ্টা অব্যাহত রাখা চাই।
পরিশেষে বলব,পর্দা রক্ষার্থে বোরখা অথবা এমন জাতীয় পোশাক কেবল অনিষ্ট থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্যই পরবে না, বরং এটা আল্লাহ্র অলঙ্ঘনীয় বিধান ভেবেই পরতে হবে।
যারা প্রকৃত পর্দা করে তারা এসব করতে পারেনা, আমিও একমত কিন্তু এসব ইসলামিয় আবেগের কথা কিন্তু যুক্তি-তর্কে এসব অচল কারণ দৃশ্যমান যা হচ্ছে মানুষ সেটা নিয়েই কথা বলবে। তাই যেটা সঠিক সেটার প্রচার উচিত জোড়েসোরে।
ভালো লাগল,ধন্যবাদ।
তবে পার্থক্য এই যে অন্য মেয়েদের চেহারা যেমন মানুষ দেখতে পায় হিজাব পড়ার কারণে মানুষ তার চেহারা দেখছে না
হিজাবের আড়ালে নিজের মিশন চালিয়ে যাবার মজাই কুচ অর হ্যায়
এ জাতীয় আরো অনেক চটকদার স্লোগান শুনা যায়, দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে। এই স্লোগানগুলো আসলে সেমি নাস্তিক সেকিউলারই কৌশলে প্রচার প্রচারণায় নেমেছে। কারণ সত্যিকারের ইসলামী জ্ঞানের নিম্ন স্তরের একজন মানুষও এভাবে চিন্তা করার সুযোগ নেই।
এসব প্রচার প্রচারণাকারীরা হিজাব বলতে শুধুমাত্র বুঝাচ্ছে নারীরা মাথায় পট্টি আর বোরখা পড়াকেই। তারা হিজাবের শর্ত শরায়ত নিয়ে আলোচনা করার ধার ধারেন না। হিজাবের শর্ত শরায়ত নিয়ে আলোচনা করতে গেলে নারী পুরুষের জন্য ইসলাম অনুমোদিত ড্রেসকোড নিয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি তাদের কর্মক্ষেত্র, সমাজ-সম্পর্ক ও পরিবার-সম্পর্কের আলোকে নারী-পুরুষ একে অপরের কতটুকু কাছাকাছি আসতে পারবে এবং কোন পদ্ধতিতে তা হবে বিস্তারিত ইসলাম ধর্মে দিক নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু সেদিকে না গিয়ে মুসলিম যুবক-যুবতীদের ইসলাম চর্চা থেকে দূরে সরিয়ে রাখার কৌশল হিসেবে অথবা সার্বজনিন জনকল্যাণকর ইসলামের স্বাশ্বত সৌন্দর্যকে নবীন প্রজন্মের নিকট বিকৃতভাবে উপস্থাপনের জন্য হিজাব নিয়ে এতো বিকৃত চর্চার প্রচার প্রচারণা। মুসলিম জাতিকে এসব ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে। নতুবা আমাদের পরিবর্তী প্রজন্ম ঠিক নামে মুসলিম জাতি হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠবে কিন্তু বাস্তবে ঈমানহারা হয়েই দুনিয়াবী জীবনটা অতিবাহিত করবে।
আপনার পোষ্টটি মন দিয়ে পড়লাম, সত্যিগুটি যে কয়েক সংখ্যক ময়ে/মহিলারা হিজাব পরেন, তাদের মধ্যে অনেকে আবার হিজাবকে ফরজ মনে না করে ফ্যাশন মনে করেন। তাই তো এই হিজাব তাদের কোন কাজে আসছে না।
একান্ত অপারগ না হলে মেয়েদের চাকুরী করাই হারাম। বিলাসীতার জন্য মেয়েদের চাকুরী ইসলাম কখনোই সমর্থন করে না। যেখানে মাহরাম ছাড়া রাস্তায় বের হওয়া নিষেধ, সেখানে চাকুরী তো বহুত দূর কা বাত হায়।
সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া।
পুরুষের ভাবা উচিত!!
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
হিজাবে বা পর্দায় নারি নিরাপদ এরকম কথা বলা যাবে না এটিও ঠিক নয়।
০ প্রথমত জানতে হবে বুঝতে হবে পর্দা বা হিজাব কত প্রকার ও কিকি?
-চোখের হিজাব
-মুখের হিজাব
-অন্তরের হিজাব
-ত্বাকওয়ার হিজাব
-ভ্রমনের হিজাব
-কর্মের হিজাব
-বাহিরের হিজাব
-চলার হিজাব
-জিহ্ববার হিজাব
-ইত্যাদি ইত্যাদি
(পুরূষ ও মহিলা উভয়ের জন্য)
তাহলে হিজাব বা পর্দার আসল উদ্দেশ্য পূরন হবে ইনশাআল্লাহ।
বিয়ে করলে ভাই বাহিরে যাবার সময় সাথে থাকবে ফলে চিন্তা থাকবে না। এটি একটি সমাধান।
আমি দু:খিত....@
মাশাআল্লাহ্, আপনার লিখা দিনকে দিন বারূদের ন্যায় ঝলসে উঠছে। (দুনিয়াবী প্রশংসা করা আমার উদ্দেশ্য নয় - আমি সিম্পলী মিন করছি - আল্লাহ আপনাকে সেই শক্তি দিচ্ছেন - যার মাধ্যমে আপনি পাঠকের চিন্তাশক্তি ও ধ্যনধারনাকে ঝাঁকুনি দিতে পারছেন)।
আমার কাছে বিশেষ করে আপনার থটস্ প্রোবোকিং অংশগুলোর উপস্থাপনা বেশ ভাল লাগছে।
ফ্যাক্টস্ বেইজড, ওয়েল এ্যানালাইজড, ব্যালেন্সড এবং শিওরলী থটস্ প্রোবোকিং একটা আর্টিকেল হয়েছে।
-------------------
একটা হাদীস যেখানে রাসুলুল্লাহ সঃ অনেকটা এ জাতীয় কিছু বলেছিলেন যে দজ্জালের সব চাইতে বড় টার্গেট হবে মা বোন রা আর তাদের পুরুষ গার্ডিয়ানরা তাদেরকে বেঁধে ও ধরে রাখতে পারবেনা।
ভবিষ্যতে কোন এক সময়ে এর উপর কিছু লিখলে আমার মনে হয় মানুষের আন্ডারস্ট্যান্ডিং এ - ফ্যাশান, ট্রেন্ড, লিগ্যাল প্রোটেকশান ও নারী অধিকার নামক বিষয়ে এ নতুন কিছু চিন্তাভাবনা আসতে পারতো।
পর্দাকে ইসলাম কিন্তু নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য ফরয করেছেন।
এই আয়াতদ্বয় এত পরিষ্কার যে ব্যাখ্যা না করলেও বুঝা যে কোন কারো জন্য একদম সহজ। অনেক সুন্দর একটি নিবন্ধ লিখার জন্য ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন