বাংলালিংক হিজাব প্যাকেজ। এ শুধু আপনারই জন্য। দুরে থাকুন।

লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ৩১ অক্টোবর, ২০১৫, ১২:৫৮:৫১ রাত



দীর্ঘদিন থেকে একটি অযৌক্তিক প্রচারণা চালানো হচ্ছে যে, "বোরখা পরিয়ে নারীকে রাস্তায় ছেড়ে দাও সে নিরাপদ, এটাই পর্দা, কুরআন এটাই বলে!!!"

অথচ এটা ইসলামের আংশিক বক্তব্য, পূর্ণাঙ্গ না। ইসলামে পর্দার ব্যাপারটি আদৌ এমন নয়। ইংল্যান্ডে নাহিদ আলমানিয়া হত্যার শিকার হয়েছিলেন লন্ডনের একটি পার্কে কারণ তিনি ছিলেন হিজাব পরিহিতা ও একা। যখন তাকে উগ্র ব্রিটিশ যুবকরা ১৮ বার চাকু দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়,তখনো তিনি জীবিত ছিলেন। অথচ পার্কে অবস্হানরত নারী-পুরুষ, এমনকি পুলিশও তাকে হাসপাতালে নেয়ার ক্ষেত্রে অবহেলা করে কারণ হিজাব দেখে সকলেই বুঝতে পেরেছিল তিনি মুসলিম। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি মারা যান। ইউরোপ আমেরিকায় এসব ঘটনাগুলো প্রতিনিয়ত ঘটছে কিন্তু পশ্চিমা মিডিয়াগুলি সবসময়ই খবরগুলো চেপে যায়। যেমন, আমেরিকায় কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া চ্যাপেল হিল শ্যুটিং হত্যাকান্ডটি এমন এক জলন্ত উদাহরণ। যেখানে দুজন হিজাব পরিহিতা মুসলিম বোনকে এক মুসলিম বিদ্বেশী মার্কিন ব্যক্তি খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে। অথচ পশ্চিমা মিডিয়াগুলো এমনভাবে প্রচারণা চালাচ্ছিল যেন, "নিহতরাই দোষী"। আমেরিকার শিকাগো থেকে ১৭ বছরের মারিয়াম যখন এয়ারপোর্টে আটক হয় আইএস এ যোগদানের অভিযোগে, তাকে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা আইএস এ যোগদানের কারণ জানতে চাইলে সে বলেছিল, সে সেই জায়গায় থাকতে চায়না যেখানে ঘর থেকে হিজাব নিয়ে বের হলেই রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজে তাকে হামলার ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়। তাই সে ইরাকে আইএস নিয়ন্ত্রিত জায়গাতেই চলে যেতে চায় যেখানে তাকে হিজাব নিয়ে ভয়ে ভয়ে থাকতে হবেনা।

নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি বাংলাদেশেও হিজাব পরিহিতা অনেক নারী রাস্তাঘাটে, বাসে ইভ টিজিং এমনকি যৌন হয়রানিরও শিকার হন। কাজেই যারা বলেন, "হিজাবে নারী নিরাপদ" কথাটি কতটা যৌক্তিক?

আবার বিরক্তিকর বাস্তবতা হল, যিনি হিজাব বা নেকাব পরে অন্যদের কাছ থেকে নিরাপদ থাকছেন, তিনিই কিন্তু নিজেই আবার বয়ফ্রেন্ডের কাছে নিজেকে সপে দিচ্ছেন। এমন ঘটনা ঘটিয়ে পরে আবার এর জন্য বড় সমস্যা তৈরী করে ফেলছেন, ফাঁদে পরছেন, ফ্যামিলিকেও ভয়ে বলতে পারছেননা- তাই তার এই হিজাব পালন, কতটুকু তাকে নিরাপত্তা দিচ্ছে? ঢাকার পার্কগুলোতে হাটুন- দেখবেন, বয়ফ্রেন্ড নামক বস্তুর পাশে বসে থাকা গার্লফ্রেন্ড নামক বস্তুর অনেক বড় একটা অংশই হিজাবী, এমনকি কেউ কেউ নিকাব পরিহিতা। আমার নিজের ক্লাসমেটই প্রেমের নামে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছিল বয়ফ্রেন্ড নামক এক কীটের পেছনে আর ফলাফলও ভাল হয়নি। সে নিজেও কিন্তু পাক্কা হিজাবী ছিল। তাই বাস্তবতা হল, গায়ে হিজাব জড়িয়ে একা চলার স্বাধীনতা পেয়ে একজন নারী যে নিজেকে বয়ফ্রেন্ডের বা পরপুরুষের হাতে সপে দিবেননা, তারও কোন নিশ্চয়তা নেই।

হিজাব করে পুরুষ সহকর্মীদের সাথে ব্যাংকে বা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে কোন নারী জব করছেন, মডারেট ইসলামিস্টরা বলছেন, বাহবা! দেখ দেখ, কে বলে নারীরা পারেনা? পর্দার সাথে পুরুষদের কাধে কাধ মিলিয়ে তিনি কাজ করছেন। প্রতিটি মেয়ের এমনই হওয়া উচিত। কিন্তু অমন উদাহরণ তৈরী করা উপর দিয়ে যতটা ঝকঝকে, বাস্তবে ঠিক তার বিপরীত। মনে করে দেখুন কোন এক তথাকথিত ইসলামী মূল্যবোধসম্পন্ন টিভি চ্যানেলের হিজাবী উপস্হাপিকাকে নিয়ে বেশ কিছু স্কান্ডাল বের হয়েছিল। ভুলে যান কেন, নারীরাও রক্ত মাংসের মানুষ, ফেরেশতা না।

ইসলাম বলেছে নারীকে ঘরের বাইরে বের হবার সময় হিজাবের সাথে সাথে হাজবেন্ড অথবা রক্ত সম্পর্কের কোন পুরুষকে নিরাপত্তার জন্য অথবা অভিভাবক হিসেবে সাথে রাখতে। কারণ একজন মেয়ে হিজাব করুন অথবা নাই করুন, রাস্তায় একাকি সবসময়ই তিনি অনিরাপদ। অন্যদিকে, পর্দা করে সে অন্য পুরুষের লালসার হাত থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখলেও, সেই যে আবার এই স্বাধীনতার অপব্যবহার করে নিজেকে বিপথে ঠেলে দিবেননা, তারও কোন নিশ্চয়তা নেই। তাই সাথে হাজবেন্ড বা রক্ত সম্পর্কের পুরুষ সাথে থাকলে, একদিকে যেমন বখাটেরা "চুমকি চলেছে একা পথে সঙ্গী হলে দোষ কি তাতে"- গান গাইতে যাবেনা, আবার এই নারীও একা চলার স্বাধীনতা পেয়ে নিজেকে অন্য পুরুষের হাতে বিলিয়ে দেয়ার সাহস পাবেননা।

ইসলাম সব ব্যাপারেই পূর্ণাঙ্গ আর সে পর্দার ব্যাপারেও পূর্ণাঙ্গ সমাধান দিয়েছে কিন্তু প্যাকেজ বানিয়েছি আমরা নিজেদের সুবিধার জন্য ইচ্ছামাফিক। আজ মূল ধারণাই পরিবর্তন করে ফেলার জন্য প্রচারণা চালানো হচ্ছে," বোরখা পরিয়ে নারীদের রাস্তায় ছেড়ে দাও, পুরুষের মাঝে কোন খাঁচায় ঢুকিয়ে দাও, তবুও সে নিরাপদ"। এটা নিছকই ধোঁকাবাজি। বাস্তবে এই থিওরী ব্যর্থতার মুখ দেখছে।

আর পুরুষরা তো বিশ্বাসই করে নিয়েছেন যে, পর্দা নারীরই জন্য। হালের ফ্যাশন- পুরুষরা টাইট জিন্স প্যান্ট, শরীর প্রদর্শনের জন্য বা শো অফের জন্য শর্ট টাইট টি শার্ট, নিতম্বের অনেকখানি অংশ বের করে কোমরের প্যাণ্টটা নীচে নামিয়ে পরবেন_ যেন সর্বদাই তাদের যৌনতা নামক বস্তু ঠিকরে ঠিকরে পরে। অথচ "শারিরিক কাঠামো বোঝা যাবেনা এমন ঢিলেঢোলা ও জাকজমকহীন পোশাক পরিধান"- নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য ফরজ। শরীর প্রদর্শন যেমন নারীর জন্য দোষনীয়, পুরুষের জন্যও তাই। সকল নবীদের কমন বৈশিষ্ট বা সুন্নাহ ছিল, তাদেরকে কেউ খালি গায়ে দেখতে পেতনা। খালি গায়ে না দেখার জন্য ইহুদিরা মুসা (আঃ) কে শারিরিকভাবে অক্ষম বলে অপবাদও দিয়েছিল, অথচ মুসা (আঃ) এসব থেকে মুক্ত ছিলেন। বলা হয় নারী-পুরুষ তথা মানুষের মাঝে সবচেয়ে লজ্জাশীল ব্যক্তি ছিলেন একজন পুরুষ। যিনি হলেন, উসমান (রাঃ)। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের আলেমরাও আজকাল এসব নিয়ে কথা বলা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন। সমকামীতা এসবের পথ ধরেই তো এসেছে। ইসলামকে আমরা নানান সুবিধামাফিক প্যাকেজে ভাগ করে ফেলেছি। যতটুকু ভাল লাগে ততটুকু প্রচার, বাকিটা গোপন থাকুক, কারণ ঐটুকু দিয়ে আমরাও একটু ফায়দা লুটলাম। মেয়েদের মানা করেন যে, ফেসবুকে ফটো দিওনা। ছেলেরা দেখে, চোখের দেখায় মনে কুচিন্তা শুরু করে অথচ আপনারা পুরুষরা নিজেরা সিক্স প্যাক, নুরানী বদনের হাজার ছবি আপলোড ঠিকই করছেন। কেন ভাইয়া মেয়েদের বুঝি চোখ নেই?? কুচিন্তা করার মত অন্তর নেই?

যারা এসব কথা শুনে নারীদের ঘরে বন্দী করার কথা ঠিক করে ফেলেছেন তাদের বলব, কিছু বাস্তবতাকে আপনি অস্বীকারও করতে পারবেননা তাই নারীদের জন্য আলাদা পরিবহন, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ ও কর্মক্ষেত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করুন। নারী বান্ধব ক্ষেত্রগুলোতে পুরুষদের প্রবেশ বন্ধ করুন। তারা নিরাপত্তা পাবে, বিপথে জড়ানোর সুযোগও থাকবে কম। অনেকে আগ বাড়িয়ে বলবেন, নারী ঘরে থাকলেই তো হয়, বাইরে কেন যাবে? আমিও বলব, হ্যা! দরকার না পরলে ঘরে থাকবে, সেটাই নিরাপদ। ইসলাম নারীকে পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব পালন করতে বলেনি, সেটি বর্তায় পুরুষের উপর। তাই নিছকই রোজগারের জন্য বের হয়ে নারীকে নিজের মর্যাদা বৃদ্ধির ব্যর্থ চেষ্টা করার কোন দরকার নেই। সে বাইরে গেলে অন্য নারীর জন্যই যাবে। আপনার মা, বোন, কণ্যা, স্ত্রীর প্রয়োজন মেটাতেই যাবে। কাল যখন আপনার মা, বোন, কণ্যা, স্ত্রীর হার্টের অসুখ ধরা পরবে, তখন আপনিই নারী হার্ট স্পেশালিস্ট ডাক্তার খুজবেন, পুরুষ ডাক্তার না। আপনিই পর্দার কথা উঠাবেন। আপনার মা, বোন, কণ্যা, স্ত্রীও নারী ডাক্তার কামণা করবেন, পুরুষ না। কিন্তু আপনি নারীকে ঘরে আটকে রাখলে "নারী ডাক্তার হবে কে?" নারীকে ছাড়ুন অন্য নারীর কল্যাণের জন্য, মুসলিম উম্মাহ এর জন্য কিন্তু তাকে কর্পোরেট হাউজগুলোর যৌনদাসী হিসেবে ছেড়ে দিয়েন না।

বিষয়: বিবিধ

২২২৮ বার পঠিত, ৪২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

347885
৩১ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০১:২১
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম ।

নিমিষেই পড়ে নিলাম আলহামদুলিল্লাহ! বক্তব্য পরিষ্কার।

এমন একটা সমাজের বড় বেশী প্রয়োজন আজ যেখানে মহিলাদের পণ্য হিসেবে দেখবে না, সম অধিকারের নামে বেহায়াপণায় লেলিয়ে দেবে না!

হিজাব পড়েও স্মার্ট - এই চিন্তাটাতেই গলদ আছে মনে হয় আমার! এই স্মার্টনেসের সংগাটা আমরা নিয়েছি পশ্চিমা বা অনৈসলামিক দের কাছ থেকে!

প্রায় ভাবি আজকাল মেয়েরা যেভাবে নিজেদের পড়াশোনার নামে প্রতিষ্ঠিত দেখতে চায় এটা সমাজ ধ্বংসের নামান্তর। ডাক্তার, নার্স, শিক্ষিকা লাগবে নিঃসন্দেহে এখানেই তো থেমে যাচ্ছে না বিষয়টা ! বোনেরা আজকাল ব্যাংক, সেক্রটারী, এয়ার হোস্টেস, সেলস ওম্যান যেখানে নারী-পুরুষ সম্মিলিত কাজ করে নিজেকে সেখানেই কম্পিটিশন করে নিয়ে যেতে চায়!

এখন হিজাবটাকে ছোট এক টুকরা মাথার কাপড়ে সীমাবদ্ধ করে ফেলা হয়েছে- এ থেকে মুক্তি প্রয়োজন।
লম্বা কমেন্টের জন্য দুঃখিত! আমি লিখবো ভাবছি বিষয়টা নিয়ে, তোলপাড় হয়ে থাকা কথা গুলো বের হয়ে গেলো!

শুকরিয়া! Good Luck Praying Angel
৩১ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৭:০৭
288831
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ডাক্তার, নার্স, শিক্ষিকা লাগবে নিঃসন্দেহে এখানেই তো থেমে যাচ্ছে না বিষয়টা ! বোনেরা আজকাল ব্যাংক, সেক্রটারী, এয়ার হোস্টেস, সেলস ওম্যান যেখানে নারী-পুরুষ সম্মিলিত কাজ করে নিজেকে সেখানেই কম্পিটিশন করে নিয়ে যেতে চায়!
আসলেই তাই। মিডিয়া দেখাচ্ছে, ইসলাম নারীকে ঘরে আবদ্ধ করে রাখে, এখন তারা ঘর হয়ে আসতেছে, এবং সব ক্ষেত্রেই পুরুষকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে, তার মানে তাদের যোগ্যতাকে প্রমাণ করতে দিলে পুরুষের চেয়েও কম যায় না।ইসলাম বলেছে নারী পুরুষের চাইতে কম বিচক্ষণ অথবা জ্ঞান রাখে, কিন্তু নারীরা মেধাশূন্য এই কথাতো বলেনাই। তাহলে কেন নারীকে ঘরে থাকার কথা বলা হয়েছে? আসল কথা হল, নারীরা পুরুষের চেয়ে কম মেধাসম্পন্ন, এই জন্য ঘরে থাকতে বলা হয়নি, নারীরাও সব দলে দলে কর্মক্ষেত্রে পুরুষের কাতারে শামিল হলে শৃংখলা নষ্ট হবে, বেহায়াপনা বেড়ে যাবে, এখন হচ্ছেতো! তাই তাকে মেনে চলতে ইসলাম প্রদত্ত কতগুলো নীতিমালা।
০৬ নভেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪৮
289420
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম আপি। অনেক দেরী হল উত্তর দিতে। আপি যেই সমাজের চিত্র মনে মনে আঁকছ, সেটা গড়া সম্ভব কিন্তু আমাদের মানষিকতা আর দুনিয়াবী চিন্তা আমাদের অধিকাংশেই সেই সমাজে শামিল হতে বাঁধা দিবে। না তুমি বিদেশ ছাড়তে চাইবে সন্তানের ভবিষ্যৎ ভেবে, আর না আমি আমার পজিশন ছাড়তে রাজি হব। ইশারায় কিছু বললাম বুঝে নিও। হ্যা! পুরুষের সাথে মহিলাদের কর্মক্ষেত্রে যোগদানের কোন কারণ নেই। তবে উম্মাহ এর কিছু স্বার্থ আছে। মহিলাদের সেখানে লাগবেই আর ইসলামের প্রয়োজনেই। হ্যা! আপু, ঠিকই বলেছ এখন হিজাব নিজেই ফ্যাশনের বস্তু হয়ে বসেছে। সমস্যা হচ্ছে এখনকার তরুণ-তরুণীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মিডিয়ার মাধ্যমে শিখছে পশ্চিমা জীবনাদর্শ আর ইসলাম শিখছে হয়ত কিছু ইসলামিক বই পড়ে বা নিছকই কাউকে অনুসরণ করে তাই তারা নিজেদের লাইফস্টাইলটাকে ইসলামিক দিয়ে বৈধতা আদায়ের ব্যর্থ চেষ্টা করে যাচ্ছে। সমস্যাটা এখানেই। ইসলাম ইসলামই, কারো সাথে তুলনীয় নয়।
347895
৩১ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০২:১৩
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহামাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু। সুন্দর লেখাটির জন্য ধন্যবাদ।
০৬ নভেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪৯
289421
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম ভাইয়া। উত্তর দিতে দেরী হল। ব্লগে বসা হচ্ছেনা। আপনার উপস্হিতি খুব ভাল লাগছে ভাইয়া। জাঝাক আল্লাহ। Good Luck
347900
৩১ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৩:৪২
শেখের পোলা লিখেছেন : বলার মুখ নাই৷ অস্বীকার করারও পথ নাই৷ উচিৎ কথাই বলেছেন৷আসলেই আমরা ইসলামকে প্যাকেজ ডিল করে ফেলেছি৷ ধন্যবাদ আপনাকে৷
০৬ নভেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৫১
289422
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : চাচাজান, আসসালামু আলাইকুম। আপনার মত বিজ্ঞ একজনের মন্তব্য পাওয়া আমার জন্য পরম সৌভাগ্য। জাঝাক আল্লাহ চাচাজান।
347910
৩১ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৬:৪৮
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন :
যিনি হিজাব বা নেকাব পরে অন্যদের কাছ থেকে নিরাপদ থাকছেন, তিনিই কিন্তু নিজেই আবার বয়ফ্রেন্ডের কাছে নিজেকে সপে দিচ্ছেন। পরে আবার এর জন্য বড় সমস্যা তৈরী করে ফেলছেন, ফাদে পরছেন, ফ্যামিলিকেও ভয়ে বলতে পারছেননা- তাই তার এই হিজাব পালন, কতটুকু তাকে নিরাপত্তা দিচ্ছে? ঢাকার পার্কগুলোতে হাটুন- দেখবেন, বয়ফ্রেন্ড নামক বস্তুর পাশে বসে থাকা গার্লফ্রেন্ড নামক বস্তুর অনেক বড় একটা অংশই হিজাবী, এমনকি কেউ কেউ নিকাব পরিহিতা। আমার নিজের ক্লাসমেটই প্রেমের নামে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছে বয়ফ্রেন্ড নামক এক কীটের পেছনে আর ফলাফলও ভাল হয়নি। সে নিজেও কিন্তু পাক্কা হিজাবী ছিল। তাই বাস্তবতা হল, গায়ে হিজাব জড়িয়ে একা চলার স্বাধীনতা পেয়ে সে যে নিজেকে বয়ফ্রেন্ডের হাতে সপে দিবেনা তারও কোন নিশ্চয়তা নেই।

তারা মোটেও পর্দার স্বরূপ জেনে হিজাব পড়ছে না। হয়তো ফ্যামিলি ধার্মিক, অথবা আত্মীয়স্বজন চায় বোরখা পড়ুক, অথবা মাদ্রাসায় পড়ে বলে তাই পড়তে বাধ্য অথবা সবাই পড়ে তাই সেও পড়ে, কেন পড়ে কিছুই জানে না, অন্ধ অনুকরণের প্রবণতা। সঠিক হিজাবপালনকারীরা উপরে বর্ণিত কাজগুলো করতেই পারেনা।

ইসলাম বলেছে নারীকে ঘরের বাইরে বের হবার সময় হিজাবের সাথে সাথে হাজবেন্ড অথবা রক্ত সম্পর্কের কোন পুরুষকে নিরাপত্তার জন্য অথবা অভিভাবক হিসেবে সাথে রাখতে। কারণ একজন মেয়ে হিজাব করুক বা নাই করুক, রাস্তায় একাকি সবসময়ই তিনি অনিরাপদ

এই চর্চাটাকি আমার প্রিয় পর্দানশীল অর্থাৎ যারা সত্যিকার অর্থেই পর্দা মেইনটেইন করতে চায়, তাদের মধ্যে হয়? এক জেলা থেকে অন্য জেলায় শুধুমাত্র বান্ধবীর কাছে একাকী বেড়াতে যাওয়া, অথবা ধরে নিলাম দাওয়াতী কাজে যায়, কিন্তু একজন মাহরাম
পুরুষ মানুষও নেই যাকে কিনা সাথে নেয়া যায়? ওয়াজতো করাই যায়, আমলটা করবে কে!
ঢিলেঢোলা ও জাকমকহীন পোশাক পরিধান নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য ফরজ।

শতভাগ সহমত।

পুরুষরা নিজেরা সিক্স প্যাক, নুরানী বদনের হাজার ছবি আপলোড ঠিকই করছেন। কেন ভাইয়া মেয়েদের বুঝি চোখ নেই?? কুচিন্তা করার মত অন্তর নেই?

এমনটা দেখেতো হাসিই পায়, আবেগ ছাড়া আর কি!
যারা এসব কথা শুনে নারীদের ঘরে বন্দী করার পায়তারা করছেন, তাদের বলব, নারীদের জন্য আলাদা পরিবহন, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ ও কর্মক্ষেত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করুন।

এই কাজের ফর্মূলা আল্লামা মউদুদী অনেক আগেই দিয়ে গেছেন, সে অনুযায়ী একেবারেই চেষ্টা করা হয়নি তা নয়, হয়েছে তবে বাধা এসেছে হাজারগুন বেশি। করতে দিলেইতো আপনি করবেন। যখন ক্লাসে ৫০টা মেয়ের মধ্যে একটা মেয়ের গায়ে বোরখা তাদের মাথা ব্যথার কারণ হয় সেখানে হাজারজনের একটা প্রতিষ্ঠান খুলে ফেলবেন, আর তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবে? যাই হোক, তবুও চেষ্টা অব্যাহত রাখা চাই।

পরিশেষে বলব,পর্দা রক্ষার্থে বোরখা অথবা এমন জাতীয় পোশাক কেবল অনিষ্ট থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্যই পরবে না, বরং এটা আল্লাহ্‌র অলঙ্ঘনীয় বিধান ভেবেই পরতে হবে।
০৬ নভেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৬
289423
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া। অনেকদিন পরে আপনাকে পেলাম আমার লেখায়। আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন। প্রত্যেকটা পয়েন্ট নিয়ে সুন্দর বিশ্লেষণ দিয়েছেন মাশাআল্লাহ। আমি সহজ কথায় যা স্পষ্টভাবে বুঝি, নারীদের দুনিয়াবি সুনাম,পপুলারিটি ইত্যাদির জন্য পুরুষের সাথে কর্মক্ষেত্রে লিপ্ত হবার কোন শরয়ী দরকার নেই। কিছু ব্যাপার আছে যেগুলোর সাথে শরীয়ত জড়িত। নারীরা অন্য নারীদের শরয়ী প্রয়োজন মেটাতেই বা দ্বীনের দরকারেই সেসব কাজগুলো করবে যেটার জন্য দুনিয়াবি সুনাম,খ্যাতি, টাকা,পয়সার দরকার নেই_ সেটাতেই মুসলিম নারীরা মনোনিবেশ করবে। আমি আমার লেখায় খুব সুক্ষ্ণ একটা উদাহরণও দিয়েছি। আর যখন উম্মাহ এর প্রয়োজনেই এসব করতে হবে তখন, আইইউব্যাট এর মত ইসলাম বিদ্বেশী প্রাইভেট বা পাবলিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেটের পেছনে কেন দৌড়াতেই হবে?? সেকুলার সার্টিফিকেট নাহয়, অর্জন নাই হল। বিকল্প ব্যবস্হা কিছু তো আছেই সেগুলোকে মডিফাই করাই যুক্তিসংগত মনে করি।
যারা প্রকৃত পর্দা করে তারা এসব করতে পারেনা, আমিও একমত কিন্তু এসব ইসলামিয় আবেগের কথা কিন্তু যুক্তি-তর্কে এসব অচল কারণ দৃশ্যমান যা হচ্ছে মানুষ সেটা নিয়েই কথা বলবে। তাই যেটা সঠিক সেটার প্রচার উচিত জোড়েসোরে।
347911
৩১ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৬:৫২
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আমার মন্তব্যের অনেক জায়গাতেই র এর ড় এর ব্যবহার হয়েছে বেখেয়ালবশত, তার জন্য দুঃখিত
347913
৩১ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৮:২০
নিমু মাহবুব লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

ভালো লাগল,ধন্যবাদ।

Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Rose Rose Rose Rose Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Rose Rose Rose Rose Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Rose Rose Rose Rose
০৬ নভেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৭
289424
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম প্রিয় ভাইয়া। আপনার মূল্যবান উপস্হিতি প্রেরণাদায়ক। জাঝাক আল্লাহ।
347918
৩১ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৯:৪৪
হতভাগা লিখেছেন : হিজাব করা জরুরী । কিন্তু এই হিজাব করেই মেয়েরা মনে করে যে সে অনেক ধার্মিক হয়ে গেছে । হিজাব করে সে কিন্তু অন্যসব খুল্লাম খুল্লা মেয়েদের মত কাজই করে ।

তবে পার্থক্য এই যে অন্য মেয়েদের চেহারা যেমন মানুষ দেখতে পায় হিজাব পড়ার কারণে মানুষ তার চেহারা দেখছে না

হিজাবের আড়ালে নিজের মিশন চালিয়ে যাবার মজাই কুচ অর হ্যায়
০৬ নভেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১২
289425
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আপনার মন্তব্য সবসময় একটু অন্যরকম হয়। মাঝেমাঝে তীর্যক। ভাইয়া সবাই তো একরকম না, তবে বাস্তবতার জন্য হয়ত এমনই মনে হয়। প্রত্যেকেই নিজের প্রতিনিধিত্ব করে, তার কাজের জন্য সে নিজে দায়ী, অন্যরা নয়। জবাবদিহীতাও তাই তার। জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া।
347931
৩১ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১১:১০
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ Good Luck স্বাগতম Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck
০৬ নভেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১৩
289426
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া। আপনার সরব উপস্হিতির জন্য জাঝাক আল্লাহ।
347936
৩১ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১১:৪৮
আহমদ মুসা লিখেছেন :
বোরখা পরিয়ে নারীদের রাস্তায় ছেড়ে দাও, পুরুষের মাঝে কোন খাঁচায় ঢুকিয়ে দাও, তবুও সে নিরাপদ"।

এ জাতীয় আরো অনেক চটকদার স্লোগান শুনা যায়, দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে। এই স্লোগানগুলো আসলে সেমি নাস্তিক সেকিউলারই কৌশলে প্রচার প্রচারণায় নেমেছে। কারণ সত্যিকারের ইসলামী জ্ঞানের নিম্ন স্তরের একজন মানুষও এভাবে চিন্তা করার সুযোগ নেই।
এসব প্রচার প্রচারণাকারীরা হিজাব বলতে শুধুমাত্র বুঝাচ্ছে নারীরা মাথায় পট্টি আর বোরখা পড়াকেই। তারা হিজাবের শর্ত শরায়ত নিয়ে আলোচনা করার ধার ধারেন না। হিজাবের শর্ত শরায়ত নিয়ে আলোচনা করতে গেলে নারী পুরুষের জন্য ইসলাম অনুমোদিত ড্রেসকোড নিয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি তাদের কর্মক্ষেত্র, সমাজ-সম্পর্ক ও পরিবার-সম্পর্কের আলোকে নারী-পুরুষ একে অপরের কতটুকু কাছাকাছি আসতে পারবে এবং কোন পদ্ধতিতে তা হবে বিস্তারিত ইসলাম ধর্মে দিক নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু সেদিকে না গিয়ে মুসলিম যুবক-যুবতীদের ইসলাম চর্চা থেকে দূরে সরিয়ে রাখার কৌশল হিসেবে অথবা সার্বজনিন জনকল্যাণকর ইসলামের স্বাশ্বত সৌন্দর্যকে নবীন প্রজন্মের নিকট বিকৃতভাবে উপস্থাপনের জন্য হিজাব নিয়ে এতো বিকৃত চর্চার প্রচার প্রচারণা। মুসলিম জাতিকে এসব ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে। নতুবা আমাদের পরিবর্তী প্রজন্ম ঠিক নামে মুসলিম জাতি হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠবে কিন্তু বাস্তবে ঈমানহারা হয়েই দুনিয়াবী জীবনটা অতিবাহিত করবে।
০৬ নভেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১৫
289427
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : খুব সুন্দর পর্যালোচনা ভাইয়া। সত্যিই তাই। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আসলে খুব ভয়াবহ বাস্তবতার সামানাসামনি হবে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য জাঝাক আল্লাহ
১০
347955
৩১ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০২:০১
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
আপনার পোষ্টটি মন দিয়ে পড়লাম, সত্যিগুটি যে কয়েক সংখ্যক ময়ে/মহিলারা হিজাব পরেন, তাদের মধ্যে অনেকে আবার হিজাবকে ফরজ মনে না করে ফ্যাশন মনে করেন। তাই তো এই হিজাব তাদের কোন কাজে আসছে না।

একান্ত অপারগ না হলে মেয়েদের চাকুরী করাই হারাম। বিলাসীতার জন্য মেয়েদের চাকুরী ইসলাম কখনোই সমর্থন করে না। যেখানে মাহরাম ছাড়া রাস্তায় বের হওয়া নিষেধ, সেখানে চাকুরী তো বহুত দূর কা বাত হায়।

সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া।

০৬ নভেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১৯
289428
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম প্রিয় ভাইয়া। একদম বাস্তব কথাগুলো বলেছেন। তবে আমাদের কিছু মানষিকতাও এর জন্য দায়ী। আমরা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনদের সাহায্য করতে চাইনা মোটেও ফলে তাদের দ্বীনি পোশাক-দ্বীন চর্চা ক্রমশ কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে ওঠে। তারা একসময় হাল ছেড়ে দেয় দ্বীন ছেড়ে দেয় আর্থিক কষ্ট থেকে মুক্তির জন্য। আমি এমন অনেক মেয়ে-ছেলেকে চিনি যারা এমন সমস্যার সামনাসমানি দাড়িয়ে আছেন।
১১
347975
৩১ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৪:৪৪
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

আপনার মা, বোন, কণ্যা, স্ত্রীর প্রয়োজন মেটাতেই যাবে। কাল যখন আপনার মা, বোন, কণ্যা, স্ত্রীর হার্টের অসুখ ধরা পরবে, তখন আপনিই নারী হার্ট স্পেশালিস্ট ডাক্তার খুজবেন, পুরুষ ডাক্তার না। আপনিই পর্দার কথা উঠাবেন। আপনার মা, বোন, কণ্যা, স্ত্রীও নারী ডাক্তার কামণা করবেন, পুরুষ না। কিন্তু আপনি নারীকে ঘরে আটকে রাখলে "নারী ডাক্তার হবে কে?" নারীকে ছাড়ুন অন্য নারীর কল্যাণের জন্য, মুসলিম উম্মাহ এর জন্য কিন্তু তাকে কর্পোরেট হাউজগুলোর যৌনদাসী হিসেবে ছেড়ে দিয়েন না


পুরুষের ভাবা উচিত!!

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
০৬ নভেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২১
289429
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম ওরহমাতুল্লাহ। নারী-পুরুষ উভয়কেই নিজেদের নারীবাদি বা পুরুষবাদি মনোভাব পরিহার করে দ্বীনকে সামনে এনে তার আলোকে দুনিয়াবি সমস্যাগুলির সমাধান বের করা উচিত।
১২
348022
৩১ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১০:৫৩
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : সময় মতো বিয়ে দিলে ও বিয়ে করলে এ সমস্যা দুরিভুত করা সম্ভব। বিয়ের মাধ্যমে নারির একটি বড় পর্দা হয় যেমনটি আল্লাহ বলেছেন: একে অপরের পর্দা স্বরুপ।
হিজাবে বা পর্দায় নারি নিরাপদ এরকম কথা বলা যাবে না এটিও ঠিক নয়।

০ প্রথমত জানতে হবে বুঝতে হবে পর্দা বা হিজাব কত প্রকার ও কিকি?
-চোখের হিজাব
-মুখের হিজাব
-অন্তরের হিজাব
-ত্বাকওয়ার হিজাব
-ভ্রমনের হিজাব
-কর্মের হিজাব
-বাহিরের হিজাব
-চলার হিজাব
-জিহ্ববার হিজাব
-ইত্যাদি ইত্যাদি
(পুরূষ ও মহিলা উভয়ের জন্য)

তাহলে হিজাব বা পর্দার আসল উদ্দেশ্য পূরন হবে ইনশাআল্লাহ।

বিয়ে করলে ভাই বাহিরে যাবার সময় সাথে থাকবে ফলে চিন্তা থাকবে না। এটি একটি সমাধান।
০৬ নভেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩১
289434
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আমি কিন্তু একবারও বলিনি, পর্দায় নারী নিরাপদ নয়। আমি কিন্তু ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বাস্তবতাকে সামনে এনেছি আর বোঝার দুর্বলতা এপ্লাই করে সমাজে যে একটি ভুল থিওরী দাড় করিয়ে দেয়া হয়েছে, যেটি হয়েছে আত্নঘাতী, সেটাই বলেছি ভাইয়া। পর্দা বা হিজাবের ব্যাপারে সঠিক ধারণার অভাবেই যে এসব ঘটছে সেটাই আমি বলেছি। আপনার কথা বেশ বাস্তব সম্মত। কিন্তু ভাইয়া রাগ করবেননা একটা কথা বলি। আমি এমন অনেক মেয়ের কথা জানি যারা সিরিয়াসলি ইসলাম মেনে চলে। পর্দার বিষয়গুলো খুব সিরিয়াসলি পালন করে কিন্তু তাদের বিয়ে হচ্ছেনা কেন জানেন? কারো হয়ত আর্থিক অবস্হা ভালনা, কারো বাবা নেই, কারো চেহারা সুন্দর না। দুঃখের বিষয় (ব্যতীক্রমরা আলাদা)যেসব ছেলেরা নিজেদের ইসলামিস্ট বলে পরিচয় দেয়, তারাও বিয়ের সময় সুন্দর চেহারা, অবস্হাসম্পন্ন পরিবারের দ্বীনি মেয়ে খোঁজে। তাই এসব নারী দ্বীনি হবার পরেও দ্বীনি ছেলেদের দেখা পাননা। মানষিকতায় বিরাট পরিবর্তন আনা জরুরী।
০৭ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১০:৫০
289562
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : আপনার এক্সপিরিয়েন্স সত্যি সত্য। আমিও এরকম দেখেছি। চাই দ্বীনদার, পর্দানশীল, সহিহি আকিদার কিন্তু সাথে ক্যাটরিনার মতো হতে হবে এটা মায়ের আবদার, কাশমিরি সুন্দরতা লাগবে এটি নিজের জন্য.... অনেক লম্বা ফিরিস্তি....

আমি দু:খিত....@
১৩
348039
০১ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০১:৩১
নূর আল আমিন লিখেছেন : পায়খানার মধ্যে স্প্ৰে মারলেই মাখন হয়না
০৬ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১১:২৬
289457
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ভাইয়া আপনার কথাটা ঠিক বুঝলাম না। জাঝাক আল্লাহ সরব উপস্হিতির জন্য।
১৪
348087
০১ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:৪৯
অবাক মুসাফীর লিখেছেন : ভুল সংগায়ন ম্‌যাডাম... তাদের শেখানো হয়েছে মাথায় ত্‌যানা প্‌যাচালেই তা হিজাব হয়ে যায়... তারাও তাই মেনে নিয়ে হালাল প্রেমিকা হবার চেষ্টায় আছে...
০৬ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১১:৩০
289458
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : হ্যা নারীদের যা শেখানো হচ্ছে তা ভুল। আপনি ঠিকই বলেছেন এখন একটা ত্যানা পেচিয়ে তাকে হিজাব নাম দিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু সাথে সাথে যারা প্রচার করছে বোরখা পরায়ে দিলেই সব সমস্যার সমাধান, তাদেরও চিন্তাগত পরিবর্তন আসা জরুরী। জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া। ছবিটা খুব ফানি।
১৫
348442
০৪ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:০৩
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম!
মাশাআল্লাহ্‌, আপনার লিখা দিনকে দিন বারূদের ন্যায় ঝলসে উঠছে। (দুনিয়াবী প্রশংসা করা আমার উদ্দেশ্য নয় - আমি সিম্পলী মিন করছি - আল্লাহ আপনাকে সেই শক্তি দিচ্ছেন - যার মাধ্যমে আপনি পাঠকের চিন্তাশক্তি ও ধ্যনধারনাকে ঝাঁকুনি দিতে পারছেন)।

আমার কাছে বিশেষ করে আপনার থটস্‌ প্রোবোকিং অংশগুলোর উপস্থাপনা বেশ ভাল লাগছে।

ফ্যাক্টস্‌ বেইজড, ওয়েল এ্যানালাইজড, ব্যালেন্সড এবং শিওরলী থটস্‌ প্রোবোকিং একটা আর্টিকেল হয়েছে।

-------------------

একটা হাদীস যেখানে রাসুলুল্লাহ সঃ অনেকটা এ জাতীয় কিছু বলেছিলেন যে দজ্জালের সব চাইতে বড় টার্গেট হবে মা বোন রা আর তাদের পুরুষ গার্ডিয়ানরা তাদেরকে বেঁধে ও ধরে রাখতে পারবেনা।

ভবিষ্যতে কোন এক সময়ে এর উপর কিছু লিখলে আমার মনে হয় মানুষের আন্ডারস্ট্যান্ডিং এ - ফ্যাশান, ট্রেন্ড, লিগ্যাল প্রোটেকশান ও নারী অধিকার নামক বিষয়ে এ নতুন কিছু চিন্তাভাবনা আসতে পারতো।
০৬ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১১:৩২
289459
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম ভাইয়া। ঐ লেখাগুলো ইনশাআল্লাহ ধীরে ধীরে লিখব। সমস্যা এত প্রকট কোনটা রেখে কি লিখব? তালগোল পাকিয়ে যায়। জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া।
১৬
349303
১০ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১১:৪৮
রফিক ফয়েজী লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১৪ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:১১
290245
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ভাইয়া আপনার মন্তব্য দেখে ভাল লাগছে জাঝাক আল্লাহ ।Good Luck
১৭
349778
১৫ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ০৯:১৩
নাছির আলী লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম। অনেক ভালো লাগলো, যাযাকাল্লাহ।
১৯ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:৪৬
290761
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম। নাসির ভাইয়া আপনার উপস্হিতি খুব ভাল লাগছে। জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া। Good Luck Good Luck
১৮
350308
১৯ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ০৫:৪৮
এ এম ডি লিখেছেন : সুন্দর বিশ্লেষণ ধন্যবাদ ।
১৯ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:৪৭
290762
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম। এ.এম.ডি ভাইয়া, আপনার নামের ফুল মিনিং কি? উপস্হিতির জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। Good Luck Good Luck
১৯
351033
২৩ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:১৭
ঠোঁটকাটা পাগল লিখেছেন : ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ।
০৮ ডিসেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৫
293215
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া। আপনার মতামতের জন্য জাঝাক আল্লাহ।Good Luck Good Luck
২০
352130
৩০ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:৪৩
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা এবং এক শ্রেণীর আলেম ওয়াজ করেন শুধু পর্দা নারীদেরই জন্য! ওয়াজের শুরুতে নারীদের নিয়ে ওয়াজ না করলে পেটের ভাত যেন হজম হয় না!
পর্দাকে ইসলাম কিন্তু নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য ফরয করেছেন।
এরশাদ হচ্ছে, ‍“হে নবী, মু’মিন পুরুষদের বলে দাও তারা যেন নিজেদের দৃষ্টি সংযত করে রাখে এবং নিজেদের লজ্জাস্থান সমূহের হেফাজত করে। এটি তাদের জন্য বেশী পবিত্র পদ্ধতি। যা কিছু তারা করে আল্লাহ তা জানেন।আর হে নবী, মু’মিন নারীদেরও বলে দাও তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত করে রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থান সমূহকে হেফাজত করে, আর তাদের সাজ সজ্জা না দেখায়, যা নিজে নিজে প্রকাশ হয়ে যায় তাছাড়া। আর তারা যেন তাদের ওড়নার আঁচল দিয়ে তাদের বুক ঢেকে রাখে।” (সূরা আন্ নুর :৩০-৩১)

এই আয়াতদ্বয় এত পরিষ্কার যে ব্যাখ্যা না করলেও বুঝা যে কোন কারো জন্য একদম সহজ। অনেক সুন্দর একটি নিবন্ধ লিখার জন্য ধন্যবাদ।
০৮ ডিসেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৪
293214
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভাইয়া। জি, ভাইয়া সমস্যাটাতো ঠিক এখানেই। ওয়াজ নসিহত সব কিছুই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র এক শ্রেণীর উপরে চাপিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা। সবাই বড় বড় গলায় বলে, বিয়ের জন্য মুমিন নারী, চরিত্রবান নারীকেই প্রাধান্য দিন। মুমিন স্ত্রী বড় সম্পদ ইত্যাদি ইত্যাদি। ফেসবুকে ইসলামিক পেজগুলো এসব নিয়ে তো বিরাট সাইজের পোস্ট দেন। আমাদের সমাজে সবচেয়ে লম্পট পুরুষরাও তাই বিয়ের সময় ধার্মিক নারী খোঁজেন অথচ কেউ মুখ ফুটে বলেনা যে, হে পুরুষ! মুমিন নারীকে বিয়ে করতে চাইলে তোমাকেও মুমিন হতে হবে, চরিত্রবান হতে হবে অন্যথায় তুমি তার জন্য হারাম, অযোগ্য। সব দায় শুধু নারীদের প্রতি চাপিয়ে দেয়ার চিন্তা। এতে নারীরাও আজ দ্বীনের ব্যাপারে অনাগ্রহী হয়ে উঠছে। আমার এখনও মনে পরে অজ্ঞতার সময়টাতে আমি নিজেও আগে ভাবতাম ইসলাম পুরুষঘেষা ধর্ম, নারীদের ব্যাপারে একটু বেশি কড়াকড়ি। (আল্লাহ মাফ করুন আজ সঠিকটা বুঝতে পারি)সত্য প্রচারও আজ সুবিধামাফিক হয়ে গেছে।
০৯ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:৪২
293320
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : আসলে রাসূল (সা)এর আগমনের পূর্বে নারীদের যেমন দেখা হতো বর্তমানে তাই চলছে। এজন্য একশ্রেণীর আলেম এবং সমাজপতিরা দায়ী। রাসূল (সা)এর নুবুওয়াতের পর নারীর মর্যাদা আকাশচুম্বী হয়। আল্ হামদুলিল্লাহ! (গত কাল একটা বই পড়েছি-আরব জাতির ইতিকথা-লেখক ফিলিপ কে. হিট্টি। মোটামুটি ভাবে বাগদাদের পতনের পর নারীর অবস্থা শোচনীয় হয়ে যায় এবং এখনও এধারা অব্যাহত আছে। ইনশাল্লাহ, হেরার আলো দিকে দিকে জ্বলে উঠছে। মন-মানসিকতার পরিবর্তন হচ্ছে।হবেই..

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File