সাজসজ্জা যদি উম্মুল মুমিনীনদের মত হয়, তবে সেই সাজসজ্জায় দোষ কোথায়? এসো সাজি আল্লাহর রঙে।
লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ২৩ অক্টোবর, ২০১৫, ০৭:৫৮:০১ সন্ধ্যা
"শিরোনাম কি দিব?" বুঝতেই পারছিলাম না। মাথায় একবার এটা আসে, তো আবার অন্যটা। আজ সত্যলিখন আপুর অসাধারণ একটা লেখা পড়লাম। শিরোনাম, "ইসলাম নারীদের সাজসজ্জার অন্তরায় নয়।" এটা আপুর লেখার লিংক Click this linkআপুর লেখায় ছোট একটা কমেন্ট করতে গিয়ে একটা ব্লগই লিখে ফেলেছি। আপু বললেন, এটা আরেকটু এডিট করে একটা ব্লগ লিখে ফেল। প্রিয় ভাইয়া আর আপুরা দোয়া করুন যেন কিছু একটা লিখতে পারি। :(
কয়েকদিন আগে আমার এক বোনের সাথে কথা হচ্ছিল সাজসজ্জা নিয়ে। সে লিপস্টিক মেখে-সাজুগুজু করে অনলাইনে একটা ছবি আপলোড করেছে। (নাহ! অন্য কিছু কল্পনা করবেননা। আমাদের ব্লগার মুফতি ফখরুল সাহেবের দৃষ্টিতে সব ঠিক, কারণ বোনের মাথায় একটা হিজাব বসানো ছিল )আমি তো আবার মৌলবাদি তাই সব কিছুর মাঝেই মৌলবাদের ভাইরাস ঢুকিয়ে দেই। তাই চিন্তা করলাম বোনের মাথাতেও মৌলবাদের ভাইরাস ঢুকাই। দেন অপারেশন শুরু। (বি কেয়ারফুল ভাইয়া-আপুরা, Otherwise আপনাদের মাথাতেও কিন্তু মৌলবাদ ঢুকিয়ে দিব বলে দিলাম )
বোনকে বললাম, এটা কি দিয়েছ??
বোন: মানে কি! চোখ নেই তোমার? আমার ফটো, সুন্দর না??
আমি: নাহ! তোমাকে তো ফিমেল এলিয়েন মনে হচ্ছে।
বোন: এলিয়েন!! ছি! ই! ই!
আমি: আচ্ছা তোমাকে একটু সাজসজ্জার ব্যাপারে টিপস দেই আরো সুন্দর লাগবে তোমাকে।
বোন: ইয়া টিপস! বল বল।
আমি: তোমাকে সাজতে হবে উম্মুল মুমিনীনদের মত, তাহলে দেখবে অনেক সুন্দর হয়ে যাবে তুমি।
বোন: উম্মুল মুমিনীন! মানে রাসূল ﷺ এর স্ত্রীগণের কথা বলছ? উনারা সা"আ"আ"জ তো??
আমি: কেন উনারা কি দেখতে খারাপ ছিল নাকি? সাজবেনা কেন?
বোন: হ্যা! তাওতো ঠিক।
আমি: আচ্ছা উম্মুল মুমিনীনদের সাজসজ্জার ব্যাপারে কথা বলার আগে তোমাকে একটা প্রশ্ন করব। তোমার বার্ষিক কসমেটিসক এর পেছনে কত টাকা খরচ হয়?
বোন: হুম! তাতো হিসাব করিনি।
আমি: তুমি কি জান শুধুমাত্র আমেরিকাতেই ২০১৬ সালে কসমেটিকস পণ্যের উপরই বার্ষিক মুনাফা ৬২.৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে?
বোন: হায় আল্লাহ! বল কি? এতো টাকা?
আমি: হ্যা! এবার সারা বিশ্বের কথা চিন্তা কর। বিশ্বব্যাপী কসমেটিসক পণ্যের একচেটিয়া আধিপত্য মূলত ইহুদি কোম্পানিগুলোর হাতে। এই বিপুল পরিমাণ টাকার অনেক বড় একটা অংশই কিন্তু চলে যাবে ইজরাইলের হাতে। যা দিয়ে ইজরাইল সরকার নতুন নতুন অত্যাধুনিক অস্ত্রের যোগান বৃদ্ধি করবে আর ফিলিস্তিনিদের হত্যা, নির্যাতন, গ্রেফতার, তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংশ এবং নতুন ইহুদি বসতি স্হাপনের কাজে লাগাবে। আফ্রিকা, মিডল ইস্ট, এশিয়ার লাখ লাখ মানুষ যুদ্ধ-দারিদ্রতা, অর্থাভাব ও খাদ্যাভাবের মাঝে দিন কাটাচ্ছে। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্হান, শিক্ষা, চিকিৎসা সহ প্রতিটি মৌলিক অধিকার থেকে তারা বঞ্চিত। অথচ আমরা কত বিপুল পরিমাণ টাকা নিজেদের মুখ-ঠোট ঘষামাজার জন্য ব্যয় করছি। সুরা ইসরায় দেখ কি বলা হচ্ছে,
আর আত্বীয়-স্বজনকে তাদের প্রাপ্য অধিকার দাও এবং মিসকীন (যাদের কিছুই নেই) ও মুসাফিরদেরকেও, আর অপব্যয়ে অপচয় করোনা।
অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই আর শয়তান তো তার প্রতিপালকের প্রতি নাখোশ। (সুরা ইসরা/বনী ইজরাইল: ২৬-২৭)
পরবর্তী ২৮ থেকে ৩৯ আয়াত পর্যন্ত যা যা করতে মানা করা হয়েছে আমরা তার সবই করছি অথবা পরোক্ষভাবে সাহায্য করছি। তোমার কি মনে হয় আল্লাহ আমদের ছেড়ে দিবেন?? যেখানে আল্লাহ বলছেন: কান, চোখ আর অন্তর- এগুলোর সকল বিষয়ে অবশ্যই জিঙ্গাসাবাদ করা হবে। (সূরা ইসরা: ৩৬)
বোন: হ্যা! আসলেই ভয়ের ব্যাপার।
আমি: আচ্ছা এবার টপিক ঘুরাই। তুমি দেখবে মেয়েরা কখনো নিজের সৌন্দর্য নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেনা। আপন দুই বোনের মাঝেও দেখবে বিয়ের আগে এবং বিয়ের পরেও সৌন্দর্য নিয়ে প্রতিযোগীতা বা ঈর্ষার সম্পর্ক থাকে। তোমার বান্ধবীকে যদি একটু বেশি সুন্দর লাগে, বা তোমার সামনেই অন্য কেউ বলে বসে, তাকে সুন্দর লাগছে, তুমি একটু ঈর্ষা অনুভব করবেই। যৌথ ফ্যামিলির এক বাড়িতে দুই ভাইয়ের দুই বউ। সৌন্দর্যের ব্যাপারে এই দুই বউ সবসময় একজন অন্যজনকে ঈর্ষা করবে। শ্বশূর-শাশুড়ির কাছে বেশি সুন্দরী বউ বেশি প্রাধান্য পাবে। আবার বাড়িতে ননদ থাকলে সেউ ভাবীদের সাথে সুন্দরী প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হবে। এসব আমাদের দেশের চিরাচরিত প্রথা।
বোন: হুম!
আমি: কিন্তু রাসূল ﷺ এর ঘরের দিকে তাকাও। একই বাড়িতে একই ছাদের নীচে ১১ জন নারী। তুমি কি এমন কোন হাদিস পেয়েছ যেটা বলছে, এই ১১ জন নারী সৌন্দর্য নিয়ে একে অপরের সাথে প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হতেন? আয়েশা (রাঃ) যয়নাব (রাঃ) থেকে বেশি সুন্দরী তাই যয়নাব (রাঃ) তাকে ঈর্ষা করতেন, বা আয়েশা (রাঃ) নিজের সৌন্দর্যের বড়াই করতেন? যাকে বেশি সুন্দরী মনে হবে তাকে রাসূল ﷺ বেশি প্রাধান্য দিবেন, এই আশায় তার ১১ জন স্ত্রী সারাদিন হাত-মুখ-ঠোট ঘষাঘষি বা রূপচর্চায় ব্যস্ত থাকতেন? অথবা ১১ জন নারীর এমন রূপচর্চা দেখে রাসূল ﷺ এর মেয়ে ফাতিমা (রাঃ) ঈর্ষা অনুভব করতেন তাই তাদের সাথে সৌন্দর্য প্রতিযোগীতায় তিনিও লিপ্ত হতেন?
বোন: নাহ! এমন তো ছিলনা।
আমি: হ্যা! তারা প্রতিযোগীতা করতেন আল্লাহর ইবাদাতের ক্ষেত্রে, রাসূল ﷺ এর উম্মাত হিসেবে তার আদেশ-নিষেধ মেনে চলার ক্ষেত্রে, দান-দাক্ষিণ্যে কে কার চেয়ে বেশি অগ্রগামী হতে পারেন_ এই ব্যাপারে। কুরআন-হাদিসের জ্ঞান প্রচারে-প্রসারে। এসবই ছিল তাদের মধ্যকার প্রতিযোগীতার বিষয়। দীনের ক্ষেত্রে উৎকর্ষে, তাকওয়ায়, সত্যবাদিতায়,আত্বীয়তার সম্পর্ক অটুট রাখার ব্যাপারে, আমানতদারী ও দান-খয়রাতের ক্ষেত্রেই ছিল তাদের মধ্যকার অধিকাংশ প্রতিযোগীতা।
আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল ﷺ বলতেন, পরকালে তোমাদের মাঝে তাই সাথেই আমার সর্বপ্রথম সাক্ষাৎ হবে, যার হাত অধিক লম্বা। তাই আমরা উম্মুল মুমিনীনরা নিজেদের হাত মিলিয়ে দেখতাম এটা জানার জন্য "কার হাত অধিক লম্বা?" অবশেষে আমরা নবী ﷺ এর কথার আসল অর্থ বুঝলাম, আসলে আমাদের মাঝে যয়নাব (রাঃ) এর অধিক লম্বা। কারণ তিনি নিজ হাতে নিজের সকল কাজ করতেন এবং প্রচুর পরিমাণ দান-খয়রাত করতেন।(বুখারী-মুসলিম) যখন উমার (রাঃ) রাসূল ﷺ এর বিধবা স্ত্রীদের জন্য ভাতা নির্ধারণ করলেন এবং সেই হিসাবে ১২০০০ দিরহাম যয়নাব (রাঃ) এর নিকট পাঠালেন যয়নাব (রাঃ) তার সমস্ত কিছুই গরীবদের মাঝে দান করে দিলেন।
ফুফু আয়েশা (রাঃ) এর আর্থিক কষ্টের খবর জেনে ভাতিজা আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়ের (রাঃ) ১ লক্ষ দিরহাম উপহার হিসেবে নিয়ে আসেন। সেদিনটি আয়েশা (রাঃ) রোজা ছিলেন। সারাদিন ভরে তিনি ১ লাখ দিরহাম গরীবদের মাঝে বিলিয়ে দিলেন সন্ধায় ইফতারীর সময় দেখা গেল তার ঘরে কোন খাবার নেই।
বোন: সুবহানআল্লাহ! ঘুম! এরা কি আসলেই মানুষ!!
আমি: হ্যা! এরা মানুষ ছিল, এরাই ছিল মুসলিম। আমরাও মুসলিম কিন্তু আজ আমাদের আদর্শ কারা? লেডি গাগা, টেইলর সুইফট, শাকিরা। আফসোস! তাইনা?
বোন: হ্যা!
আমি: আল্লাহ কুরআনে বলেছেন, তিনি মানুষকে সবচেয়ে উত্তম আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন এবং দান করেছেন পোশাক-পরিচ্ছদ, দিয়েছেন ভাষার জ্ঞান, শিখিয়েছেন জ্ঞান-বিজ্ঞান।
হ্যা! পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ। আল্লাহ বলেছেন: তোমরা অশ্লীলতার ধারে কাছেও যেওনা।
সাহাবীগণ সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন, ভাল কাপড়টাই ব্যবহার করতেন নামাজ পড়ার জন্য। আমি সবসময় ওযু, গোসল, নামাজ, রোজার মাঝে থাকি। আমার পোশাক-পরিচ্ছদ হোক পরিচ্ছন্ন-মার্জিত, চরিত্র হোক সুন্দর। এটাই হয়ত প্রকৃত সৌন্দর্য। সূরা বাকারায় আল্লাহ বলেছেন, পৃথিবীর সবকিছু তিনি তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন ( আয়াত: ২৯) অর্থাৎ, ইসলাম প্রাকৃতিক জিনিস দিয়ে স্বাভাবিক রূপচর্চা ও সাজসজ্জায় নিষেধ করেনি তবে কৃত্রিম রূপচর্চায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
ব্রুফ্লাক বা ভ্রুর পশম উঠিয়ে তা চিকন করা, পরচুলা লাগানো, ট্যাটু করা বা শরীরে উল্কি করা, দাঁত কেটে সরু করা এসবই হল কৃত্রিম রূপচর্চা, যা আজ আমাদের নারীদের মাঝে বিউটি পার্লার নামক কালচারের মাধ্যমে ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। যে সকল নারী এসব রূপচর্চায় জড়িত ও যারা এতে সাহায্যকারী, সকলকে রাসূল ﷺ আল্লাহর দৃষ্টিতে অভিশপ্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন। যখন থেকে বনূ ইজরাইলের নারীরা এসবে জড়িয়ে পরে তখনই তাদের ধ্বংশের দ্বার উন্মুক্ত হয়।
বোন: হুম! আচ্ছা ঘুম! লিপস্টিক কি হারাম?
আমি: লিপস্টিকের ব্যাপারে অনেক বিতর্ক আছে। অধিকাংশ আলেমই হারাম বলেছেন, তবে কেউ কেউ শর্তসাপেক্ষে হালাল বলেছেন। এসব শর্ত পুরণ করেও আবার লিপিস্টিক বানানো কঠিন।
# গবেষণায় দেখা গেছে লিপিস্টিক ঠোটের ত্বকের সুরক্ষাস্তর রিমুভ করে ফলাফলস্বরূপ ঠোটের ত্বক শুকিয়ে যায়, ফাটল ধরায়, ঠোট ফুলে যায়। তাই এটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর জিনিস। আর শরীরের জন্য সমস্ত ক্ষতিকারণ জিনিসই আল্লাহ পবিত্র কোরানে হারাম করেছেন।
# লিপিস্টিক তৈরীর অন্যতম উপাদান শুকরের চর্বি, যা হারাম। যদি কেউ দাবি করে তারা শুকরের চর্বি ব্যবহার করেনা, তবে সেটিও সন্দেহজনক কারণ আমরা দেখছিনা আর সন্দেহজনক জিনিস মুমিনরা এড়িয়ে চলে।
# সবচেয়ে কথা এটা সুন্নাহ সম্মত না, ইহুদি-খৃষ্টানদের কালচার। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, তোমরা বিধর্মীদের কৃষ্টি-কালচার অনুসরণ করোনা, প্রতিটা ব্যাপারে তাদের বিরোধীতা কর। কিয়ামতের অন্যতম আলামত হল আমরা তাদের কৃষ্টি-কালচারের প্রত্যেকটি জিনিস অন্ধভাবে গ্রহণ করব, এমনকি তারা গুঁইসাপের গর্তে প্রবেশ করলে আমরাও তার অনুসরণ করব, কাজেই এটাও হারাম নিঃসন্দেহে।
বোন: হ্যা! ঠিকই বলেছ এসব আসলে আমরা শো অফের জন্যই করছি। নিজেকে ফেৎনা হিসেবে উপস্হাপন করছি।
আমি: দেখ, সবচেয়ে সুন্দর হচ্ছেন আল্লাহ! আর তিনি নিজেই কিন্তু ৭০ টি পর্দা দ্বারা নিজের সৌন্দর্য আড়াল করে রাখেন। তাই যদি সাজি উম্মুল মুমিনীনদের মত, যদি সাজাই নিজেকে আল্লাহর রঙে, তাতে ক্ষতি কি????
চলুক তবে এই সাজ যতদিননা মৃত্যু আলাদা করে।
জাঝাক আল্লাহ
আসসালামু আলাইকুম।
বিষয়: বিবিধ
৪২০৬ বার পঠিত, ৪৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ।
এত চমৎকার একটা পোস্ট পড়লাম যে কাজ হাতে থাকা সত্ত্বেও অনলাইন না হয়ে পারলাম না! অ সা ধা র ণ ! মাশা আল্লাহ!
কথোপথণটি অনেক গঠনমূলক হয়েছে।
আমাদের মহিলা সমাজ এতোই বোকা(? )আক্কেল-বুদ্ধিহীনা রুপ প্রদর্শণের প্রতিযোগিতায় তারা যে সময়, শ্রম এবং অর্থ ব্যয় -নষ্ট করছে তার খানিকটাও যদি সঠিক দ্বীন শিক্ষার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতো তবে তাঁরাই সঠিক অর্থে আদর্শ মুসলিমাহ হতে পারতো!
পাশ্চাত্য সভ্যতা ও অনুসরণ এর মূল কারণ! টিভি-বিজ্ঞাপন-সিনেমা তো আছেই!
আল্লাহ আমাদের হিফাজত করুণ!
পরিশেষে একটি আয়ত দিয়ে সমাপ্তি টানছি-
"আমরা আল্লাহর রং গ্রহণ করেছি। আল্লাহর রং এর চাইতে উত্তম রং আর কার হতে পারে? আমরা তাঁরই এবাদত করি।"
---- সুরা বাকারাঃ ১৩৮
আবার তো হারিয়ে যাবেন। জাঝাক আল্লাহ আপি।
পড়লাম, যথার্থ বলেছেন, সহমত
দোয়া করি, জাযাকুমুল্লাহ..
আল্লাহুম্মাজআলনী ফী আইনান না-সি কাবীরাওঁ ওয়া ফী আইনী সগীরা
[হে আল্লাহ, মানুষের চোখে আমাকে বড় দেখাও এবং আমার নিজের চোখে ছোট-ই রাখো]
এটি রসূলুল্লাহ সঃﷺ এর কোন হাদীসের/ দোয়ার অংশ কিনা মনে করতে পারছিনা
ইসলাম সহজ তাই সহজটি গ্রহন করুন।
যে পাবে তার জন্য আল্লাহর রহমত-বরকত হিসেবে আপনি হয়ে উঠুন এই একটু দুআ করলাম।
পারেসোনার স্পা কাহিনীও মহিলাদের পারলারে যাওয়া ঠেকাতে পারে নি ।
বিয়ের আগে সব মহিলারাই এরকম গুডি গুডি ইমেজ আনে । বিয়ের পর সব খুল্লাম খুল্লা । বিয়ের জন্য সাজতেই ঘন্টা চারেক সময় নেয় ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ করে।
আমাদের সমস্যা হল মেয়েদের কোন বিপথে যাওয়া নিয়ে পুরুষদের দোষারোপ না করলে স্ট্যাটাস বজায় থাকে না । উল্টো দিকে ছেলেদের সাফল্যে মেয়েদের অবদান আছে বলে প্রচার করা হয় ।
ফ্যাশন জাতীয় জিনিসের প্রতি নারীদের আকর্ষন অন্য সব কিছুর চেয়ে বেশী এবং স্বামীর কাছ থেকে তারা যে পরিমান খসায় তার ৮০% এই রিলেটেড । এটার জন্য নারীরা কি করতে পারে তা আমরা আশে পাশে তাকালেই দেখি বা বুঝতে পারি ,জানতে পারি ।
আমি যে নারী বিদ্বেষী (একটা বিশেষ স্টেজের) এটা মনে হয় আপনিই সবার শেষে জানলেন ।
আল্লাহ আপনার লিখনী শক্তিকে আরো বাড়িয়ে দিক। আসসালামুআলাইকুম।
জাজাকুম আল্লাহ খাইরান
আপনার লিখাটি পড়ে অনেক উপকৃত হলাম। এ সমস্ত প্রয়োজনীয় লিখাগুলি স্টিকি হওয়া খুবই দরকার। জানি না, মডুরা কোন মনমানসিকতার।
সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া। জাযাকিল্লাহ খাইর।
তিরমিযী: ২৭১৯
উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা রা: বর্ণনা করেন, এক আনসারী মহিলা তাঁর মেয়ে বিয়ে দিল। অতঃপর সে রোগাক্রান্ত হলে তার চুল পড়ে যায়। মহিলাটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে আরজ করল, তার স্বামী চুল খুবই পছন্দ করে। আমি কি তাঁর মাথায় কৃত্রিম চুল লাগিয়ে দিব? রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: যে কৃত্রিম চুল লাগায় তাকে অভিশাপ দেয়া হয়েছে।
মুসলিম: ৫৪০৬
ইসলাম কখনোই মিথ্যাকে প্রশ্রয় দেয় না। তাতে পারস্পরিক বিশ্বাস ও নির্ভরতার ঘাটতি দেখা যায়। আজ সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য পার্লারে যেয়ে যেভাবে শরীরকে সতর ছাড়া করা হয় তা একজন নারীর কাছেও লজ্জাজনক মনে হয়। শালীনতা থাকে না বললেই চলে। আয়েশা রা: যেমন ছিলেন স্লীম ফিগারের তেমনি ছিলেন দুধে আলতা রঙধারিণী। কিন্তু সম্মানীতা উম্মুল মু’মিনীন পবিত্র ও শালীনতার জীবন যাপন করেছেন। যেদিন রাসূল সা: তাঁর সঙ্গে রাত্রি যাপন করতে আসতেন তিঁনি সেদিন নববধূর মত পরিপাটি হয়ে থাকতেন।
আমাদের এই দুনিয়ার জীবনে সে আদর্শকে আমলে নেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ পরিবার ব্যবস্থাতে যেভাবে কোন্দল চলে আসছে তার একটি কারণ দাম্পত্য জীবনে ইসলামের অনুসরণ না করা, পর্দার নীতি না মেনে চলা।
জাযাকাল্লাহী খাইরান। খুব সুন্দর ও সময়োপযুগী বিষয় হয়েছে। সময় কত দ্রুত চলে যাচ্ছে জীবন থেকে,এখনও কত কাজ বাকী,এত সময় কিভাবে নষ্ট করতে মন চায় বোনদের যেটা জাহান্নামের রাস্তা সুগম করে দিতে পারে?
মন্তব্য করতে লগইন করুন