হাদিস: তখন তোমরা কি করবে যখন ইরাক, আশ-শাম, মিশর তার অর্থব্যবস্হাকে প্রত্যাখ্যান করবে এবং যুদ্ধ ও দারিদ্রতায় ধ্বংশ হবে??
লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ২১ অক্টোবর, ২০১৫, ০৭:৪৯:০৯ সন্ধ্যা
সত্যকে সামনে আনতে সত্যিই অনেক দেরী হয়ে গেছে। ইরাক, আশ-শাম আজ জ্বলছে। অধিকাংশ আলিমরা হাদিসের ভবিষ্যতবাণীর ব্যাপারে স্পষ্টভাবে জানার পরেও শাসকদের ভয়ে বোবা হয়ে গেছেন। একদল মডারেট ইসলামিস্ট সত্য অনুধাবনে ব্যর্থ হয়ে খেলাফতের বিকল্প হিসেবে গণতন্ত্রকে স্হলাভিষিক্ত করার প্রয়াসে কাজ করে চলেছেন। ফলাফলস্বরূপ, এই আত্নঘাতি সিদ্ধান্তের দ্বারা তারা আজ নিজেদের জীবনকে যেমন হুমকির মুখোমুখি এনে দাড় করিয়েছেন, ঠিক তেমনি একজন সাধারণ মুসলিমও আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। মুসলিম শাসকগণ ক্ষমতার লোভে পাগল হয়ে গেছেন। তাদের হৃদয়ে অন্ধত্ব চেপে বসেছে তাই সত্য অনুধাবনে তারা আজ ব্যর্থ। একথাগুলো লিখতে বসে আজ আমারো হাত কাঁপছে কিন্তু সত্য গোপনের শাস্তি হতে আমি আমার রবের কাছে চাই, আমার ভাগ্যে জুটুক শুধুই অব্যাহতি।
উবায়দ ইবনু ইয়াঈশ ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূল ﷺ বলেন: তখন তোমরা কি করবে, তোমাদের অবস্হা কি হবে? এমন এক সময় আসবে যখন ইরাক তার রৌপ্য মুদ্রা এবং (স্বর্ণমুদ্রা) কাফীয (Qafeezaha)দিতে অস্বীকার করবে। আশ-শাম তার রৌপ্যমূদ্রা এবং স্বর্ণমুদ্রা প্রদান করতে অস্বীকার করবে অনুরুপভাবে মিসরও তাদের (রৌপ্যমুদ্রা) আরদাব এবং স্বর্ণমুদ্রা প্রদান করতে অস্বীকার প্রকাশ করবে? অবশেষে তোমরা পূর্বাবস্হায় ফিরে যাবে, তোমরা পূর্বাবস্হায় ফিরে যাবে, তোমরা পূর্বাবস্হায় ফিরে যাবে। আবূ হুরায়রার রক্ত-মাংস এ সম্পর্কে সাক্ষ্য দিচ্ছে।( মুসলিম, অধ্যায়ঃ ৫৪/ ফিতনা সমূহ ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী, হাদিস নম্বরঃ ৭০১৩, পাবলিশার: ইফাবা, সহীহ বুখারীর ৮১/ফিতনা সমূহ ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী অধ্যায়তেও এ হাদিসটি একটু ভিন্নভাবে উল্লেখ করা হয়েছে)
(টিকা: ইসলামিক অর্থব্যবস্হায় মুদ্রা হিসেবে ব্যবহৃত হয়, "সোনার মুদ্রা বা দিনার এবং রূপার মুদ্রা বা দিরহাম।" মার্কিন ডলার, কাগজের টাকা বা অস্পর্শনীয় ইলেকট্রনিক মানি ইসলামী অর্থব্যবস্হার অংশ নয়।)
# তাহলে যখন ইরাক, আশ-শাম ও মিশর তার দিনার-দিরহাম অস্বীকার করবে, একথার অর্থ কি?
উত্তর: যখন একটি রাষ্ঠ্রের পতন হয় বা সেটি যুদ্ধের মাধ্যমে বিদেশী শত্রুর দখলে চলে যায় তখন সেটির রাষ্ঠ্রীয় কাঠামো তথা অর্থব্যবস্হারও পতন হয়, তাই নয়কি? প্রচলিত মুদ্রা ব্যবস্হা সরিয়ে নতুন একটি অর্থব্যবস্হা বা মুদ্রাব্যবস্হা চালু হয় এবং নতুন মুদ্রায় বিনিময় চালু করা হয়, তাইনা? তার মানে পুরাতন মুদ্রার আর কোন মূল্যমান থাকেনা। তাই খেলাফতের পতনের পর যখন ইরাক বিদেশী শত্রুদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে তখন তার মুদ্রাব্যবস্হা পরিবর্তিত হয়ে যাবে এবং দিনার ও দিরহামের পতন ঘটবে এবং কাগুজে টাকা ও ইলেকট্রনিক মানি তার জায়গায় প্রতিস্হাপিত হবে। অনুরূপভাবে আশ-শাম ও মিশরেও খেলাফতের পতন ঘটবে এবং তার উপরে আর ইসলামী শাসন আর জারী থাকবেনা ফলাফলস্বরূপ, মুদ্রাব্যবস্হায় দিনার দিরহামের বিপরীতে নতুন এক মুদ্রাব্যবস্হা চালু হবে। ইতিহাসের পাতা খুললেই আমরা দেখি, এটা ছিল ব্রিটিশ চক্রান্ত যারা তুর্কী ওসমানী খেলাফত উচ্ছেদের জন্য আরব ও তুর্কীদের একে অন্যের বিরুদ্ধে দাড় করিয়ে দেয় ফলে আরব ভূমিগুলি খেলাফতের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত হয়ে পশ্চিমা শাসকদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য এই, শামের কথা বললে আমরা বুঝি সিরিয়া। অথচ আশ-শাম হল: ফিলিস্তিন, সিরিয়া, লেবানন, জর্ডান ও তুরষ্কের কিছু অংশ যাকে ইংরেজরা বলে, Levant অথবা the great Syria. যেভাবে হিন্দ বলতে গোটা subcontinent বা উপমহাদেশকে বোঝানো হয়।
ব্রিটেন, যে কিনা সেকুলার পশ্চিমাদের রাজপুত্র।২ নভেম্বর, ১৯১৭ সালে ব্রিটিশ সরকার এমন এক রহস্যপূর্ণ ঘটনা ঘটায় যেটা ছিল মানব ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিস্ময়। তারা জন্ম দেয় balfour declaration 1917 Click this link যার মূল উদ্দেশ্য ছিল ইহুদীদের জন্য একটি আলাদা Jewish national home তৈরী করা আশ-শামের অন্যতম পবিত্রভূমি ফিলিস্তিনের আরব ভূমিতে, যা তখন উসমানী খিলাফতের অংশ ছিল। ঠিক তার দুই মাস পর General Allenby Click this link এর নেতৃত্বাধীন ব্রিটিশ আর্মি পবিত্রভূমি ফিলিস্তিনে আক্রমণ করে তুর্কী ওসমানী খেলাফতের বিরুদ্ধে এবং যুদ্ধে অটোমান ইসলামিক আর্মিকে তারা পরাস্ত করে দখল করে নেয় পবিত্রভূমি ফিলিস্তিন। নানান জায়গা থেকে ইহুদিদের এনে জড়ো করা হয় পবিত্র ভূমি ফিলিস্তিনে এবং বুঝিয়ে দেয়া হয় মালিকানা। তারা ১৯২৪ সালে ইসলামিক খেলাফত উচ্ছেদ করে, তুর্কিকে পরিণত করে এক নাস্তিক ইসলাম বিদ্বেশী রাষ্ঠ্রে। আশ-শামকে পাচ টুকরায় ভাগ করা হয় আর নজদে জন্ম নেয় কিংডম অব সৌদি আরাবিয়া। পৃথিবীর অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক নেতৃত্বে ব্রিটেনের জায়গা দখল করে আমেরিকা, ফলে মুদ্রাব্যবস্হা সহ সমস্ত ওয়াল্ড অর্ডারই পরিবর্তন হয়ে যায়। ইসলামিক খেলাফত ও মুদ্রাব্যবস্হা দিনার-দিরহাম হয় প্রত্যাখ্যাত।
এরপরের ইতিহাস কে অস্বীকার করবে? ফিলিস্তিনে ইজরাইল রাষ্ঠ্রের জন্ম এবং জায়োনিস্ট মুভমেন্টের হাতে আজ লাখ লাখ ফিলিস্তিনির রক্ত ঝরছে। ইরাকে মার্কিন বাহিনীর আক্রমণ ১৪ লাখ ইরাকি হত্যা-লাখ লাখ ধর্ষণ, অতঃপর রাশিয়া-ইরান ও আসাদ জোটের সাথে পশ্চিমা জোটের দ্বন্দের কারণে সিরিয়া যুদ্ধ এবং ৩,০০,০০০ মানুষের প্রাণহানী, রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগে হাজার হাজার নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা, নির্বিচারে নারী ধর্ষণ। খাদ্যাভাব, অর্থাভাব, ইউরোপমুখে মানুষের ঢল। আর বর্তমান মিশরের বাস্তবতা নিয়ে কোন উদাহরণ দেয়ার প্রয়োজন বোধ করছিনা। এই ব্যাপারে হাদিসে আরো বেশি স্পষ্ট বর্ণনা এসেছে নীলনদ শুকিয়ে যাওয়া, খাদ্যাভাব, দারিদ্রতা ও যুদ্ধবিগ্রহ ইত্যাদি বিষয় অবশ্যই আপনাদের চোখে পরার কথা যদি হাদিসে চোখ বুলান। ইহুদিদের দাবি আল্লাহ তাদেরকে মিশরের মালিকানাও প্রদান করেছিলেন কাজেই এ অঞ্চলেও এমন কিছু ঘটতে যাচ্ছে।
কিন্তু এসব কিসের ভিত্তিতে বলছি? মনগড়া? নাহ! কক্ষনো না! ভিত্তি হাদিস_
যুহায়র ইবনু হারব ও আলী ইবনু হুজর (রহঃ) জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূল ﷺ বলেনঃ- অচিরেই ইরাকবাসীরা না খাদ্যশস্য পাবে না দিরহাম পাবে। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! কার কারণে এ বিপদ আসবে”? তিনি বললেন- অনারবদের কারণে। তারা খাদ্য শস্য ও দিরহাম আসতে দিবে না। তিনি আবার বললেন অচিরেই শামবাসীর নিকট কোন দীনার আসবে না এবং কোন খাদ্যশস্যও আসবে না। আমরা প্রশ্ন করলাম, এ বিপদ কোন দিক থেকে আগমন করবে? তিনি বললেন, রোমের দিক থেকে। অতঃপর তিনি কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললেন, আমার উম্মাতের শেষভাগে একজন খলীফা (ইমামুল মাহদি) হবে। সে হাত ভরে ভরে অর্থ সম্পদ দান করবে, গণনা করবে না।( সহীহ মুসলিম: অধ্যায় ৫৪/ফিৎনা ও কিয়ামতের আলামত, হাদিস নং: ৭০৫১, পাবলিশার: ইফাবা। বুখারী: অধ্যায় ৮১/ ফিৎনা ও কিয়ামতের আলামত)
বুঝার অসুবিধা হবার কথা না যে, অনারব হল আজকের দিনের সাদা চামড়ার নন-সেমেটিক ইউরোপিয়ান ইহুদিরাই আর রোম বলতে পশ্চিমা সেকুলার সভ্যতাকে ইঙ্গিত বুঝানো হয়েছে।
কিন্তু কারা এই আই.এস. আই.এস বা ইসলামিক স্টেট??? এরা অন্য কেউ নয়, ইউরোপীয় ইহুদি ও পশ্চিমাজোটের হাতে তৈরী একদল সন্ত্রাসী যারা প্রাচীন শিয়া-সুন্নী দ্বন্দকে কাজে লাগিয়ে আজ ইরাক-সিরিয়াজুড়ে মুসলিমদের উপর গণহত্যা চালাচ্ছে, মুসলিমদের শহর-সভ্যতা ধ্বংস করছে। মুসলিম ও অমুসলিমদের মাঝে খিলাফত হরর তৈরী করাই এই মিশনের প্রধান উদ্দেশ্য। এরা সেই মিলিশিয়া বাহিনী যাদেরকে দিয়ে মিথ্যা জিহাদ পরিচালনা করে আমেরিকা-ইজরাইল লিবিয়ায় গাদ্দাফিকে অপসারণ করেছে। এরাই আজ আমেরিকা জোট ও রাশিয়া জোটকে সুযোগ করে দিচ্ছে ইরাক সিরিয়াজুড়ে মুসলিমদের উপর ক্ষেপনাস্ত্র, রাসায়নিক ও বিমান হামলা বা বোমাবর্ষণ অব্যাহত রাখার জন্য তথা মুসলিম গণহত্যা চালু রাখারা জন্য। দীর্ঘদিন যুদ্ধ আর হানাহানির দরুণ ইরাক-সিরিয়ায় শস্য উৎপাদন আজ বন্ধ। তাই অর্থাভাবে, খাদ্যাভাবে মানুষগুলো এখন জীবন বাঁচাতে পালাচ্ছে ইউরোপের দিকে কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হচ্ছেনা।
আমি জানি কেউ কেউ বলবেন, শিয়ারা কি মুসলিম? আইএসআইএস নিয়েও অনেক প্রশ্ন করবেন। তাদেরকে বলব শিয়া-সুন্নী, আই.এস.আই.এস আপাতত আমার টপিকের বিষয়না। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত সহীহ মুসলিমের ৬৯৯৪ ও ৬৯৯৬ নং হাদিস, অধ্যায় ৫৫/ফিৎনা ও কিয়ামতের আলামত এবং বুখারীর ৮১ নাম্বার অধ্যায় ও অন্য ৪ টি সহীহ হাদিস গ্রন্হের কিয়ামতের আলামত অধ্যায়গুলো পড়ুন এবং নিজে কোন ব্যাখ্যা বের করার চেষ্টা না করে আলিমদের সাথে আলোচনায় বসুন অনেক কিছুই পরিষ্কার হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ চাইলে এটা নিয়ে পরে কোন একদিন লিখব।
অবশ্যই যা ঘটে চলেছে তার জন্য ইসলামের শত্রুরাই দায়ী কিন্তু আমরা কি নির্দোষ? কেন আল্লাহ আমাদের উপর শত্রুদের চাপিয়ে দিচ্ছেন??
কারণ আমরা ইসলাম থেকে বের হয়ে গেছি।
#একদল পুরোপুরি কাফিরদেরকে নিজেদের অভিভাবক বানিয়ে নিয়েছে। (দেখুন হাদিস: বুখারী, অধ্যায় ৫০/আম্বিয়া কিরাম, হাদিস নং: ৩২১০)
#একদল পশ্চিমা শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজেদের ইচ্ছেমত ইসলামকে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে ইসলামের গণতান্ত্রিক বা সমাজতান্ত্রিক ফর্ম বের করে নিয়েছে এবং তার উপরে সন্তুষ্ট হয়ে গিয়েছে। (দেখুন হাদিস: মুসলিম: ৪৬৩১, বুখারী: ৬৬০৫,৩৩৫৩, আবু দাউদ ৪৬০৭, তিরমিজি ২৮১৫, মিশকাত ১৬৫)
#আর নবুয়তের দায়িত্ব পালনকারী আলিমরা শাসকদের ভয়ে আজ বোবা হয়ে গিয়েছেন। (দেখুন, বুখারী: ৬৮০৯, ৬৫৮৪, অধ্যায় ৮১/ ফিৎনা)
তাই মহান আল্লাহ আমাদের উপর কাফিরদের প্রবল করে দিয়েছেন।
আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, সর্বোত্তম কালাম হল আল্লাহর কিতাব, আর সর্বোত্তম পথ নির্দেশনা হল মুহাম্মাদ ﷺ -এর পথ নির্দেশনা। আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় হল নতুনভাবে উদ্ভাবিত পন্থাসমূহ। তোমাদের কাছে যার ও‘য়াদা দেয়া হচ্ছে তা ঘটবেই, তোমরা ব্যর্থ করতে পারবে না- (বুখারী, অধ্যায়ঃ ৯৬/ কুরআন ও সুন্নাহ্কে শক্তভাবে ধরে থাকা, হাদিস নং:৭২৭৭, আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৬৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৮১)
শিরকের মাঝে থাকাটাই মূল ফিৎনা(বুখারী ৬৬১৪, ফিৎনা অধ্যায়)
আজ আমরা রাজনৈতিক শিরক "গণতন্ত্র-সমাজতন্ত্রকে" মেনে নিয়েছি। অর্থনৈতিক শিরক "সুদকেও" হালাল বানিয়ে নিয়েছি আর আল্লাহ সমস্ত গুনাহ মাফ করলেও শিরকের গুনাহ মাফ করবেননা তাই আমাদের দোয়া কবুল হয়না।
আবূল ইয়ামান (রহঃ) যায়নাব বিনতে জাহাশ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায় ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পড়তে পড়তে তাঁর গৃহে প্রবেশ করলেন এবং বলতে লাগলেন, অচিরেই একটি দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি হবে। এতে আরবের ধ্বংস অনিবার্য। ইয়াজুজ ও মাজুজের দেয়ালে এতটুকু পরিমাণ ছিদ্র হয়ে গিয়েছে, এ কথা বলে দু’টি আঙ্গুল গোলাকৃতি করে দেখালেন। যায়নাব (রাঃ) বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি ধ্বংস হয়ে যাব? অথচ আমাদের মাঝে অনেক নেক লোক রয়েছে। নবী ﷺ বললেন, হ্যাঁ, যখন পাপাচার-অশ্লীলতা (ফিসক ও কুফর এবং ব্যাভিচার) বেড়ে যাবে। অন্য বর্ণনায় রাসূল ﷺ বলেন, এই নেক ও নিষ্পাপ লোকদের আল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন এবং কিয়ামতের দিনে তাদের নিয়তের উপর তাদের ফয়সালা করবেন। ( বুখারী, অধ্যায় ৫০/আম্বিয়া কিরাম, হাদিস নং: ৩৩৪৩)
মহান আল্লাহ ইরাক, আশ-শাম, মিশরের অধিবাসীগণকে ক্ষমা করুন এবং তাদেরকে রাকিমের অধিবাসীদের ন্যায় হেফাজত করুন। আমীন।
জাঝাক আল্লাহ,
আসসালামু আলাইকুম।
বিষয়: বিবিধ
৮০৭১ বার পঠিত, ৪৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এ ব্যাপারে ধারণা এবং জ্ঞানের দৈন্যদশা আমাকে ভোগাচ্ছে!
ব্যাপক পড়াশোনার প্রয়োজন।
রাষ্ট্রব্যবস্থা, অর্থনীতি, মুদ্রাব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক লেনদেন সম্পর্কে তাত্ত্বিক ও তূলনামূলক আলোচনা ও প্রশ্নোত্তরের সুযোগ আছে- এমন উলামা-ই-কিরাম এর নাম দিতে অনুরোধ করছি!
[আমি সৌদিতে আছি]
পড়ে ভেবে কূল পাচ্ছি না করণীয় কি হবে? আমাকে খুবই ভাবায় বিষয় গুলো তবু দ্বিধা দ্বন্দে পড়ে আছি!
জাযাকাল্লাহু খাইর। ঠিক কোন ওয়েতে এগুনো উচিত তা নিয়ে লিখার অনুরোধ রইলো!
https://youtu.be/vw44GXRSOdY
এই ভিডিওগুলি দেখতে পারেন। আর আমি আমার লেখার পাশেই উইকিপিডিয়ার লিংকও দিয়েছি। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য জাঝাক আল্লাহ।
মহান আল্লাহ ইরাক, আশ-শাম, মিশরের অধিবাসীগণকে ক্ষমা করুন এবং তাদেরকে রাকিমের অধিবাসীদের ন্যায় হেফাজত করুন। আমীন।
আপনার দোয়ায় আমীন।
সিরিয়ার অনেকের কাছে শুনতে পাই, সেখানে অনেক দল উপদল আছে। কে ভালো আর কে মন্দ বুঝাই যাচ্ছে না।
হিজবুন্নুর, হিজবুল্লাহ, ফ্রি-আর্মী, আইএস, ইয়াজদি ও আসাদের শিয়া মিলিটারি এদের অন্যতম।
যে যাকে যেখানে পায়, সেখানেই হত্যায় মেতে উঠে। তাই তো আজ দিশেহারা হয়ে সিরিয়ার মানুষ জিবনের ঝুঁকি নিয়েও ইউরোপের দিকে ছুটে বেড়াচ্ছে।
আল্লাহ হেফাজত করুক।
সুন্দর ব্যখ্যামূলক পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া আপু।
আবূ রাবী আল আতাকী ও কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ আল্লাহ সমস্ত পৃথিবীকে ভাজ করে আমার সামনে রেখে দিয়েছেন। অতঃপর আমি এর পূর্ব দিগন্ত হতে পশ্চিম দিগন্ত পর্যন্ত দেখে নিয়েছি। পৃথিবীর যে পরিমাণ অংশ গুটিয়ে আমার সম্মুখে রাখা হয়েছিল সে পর্যন্ত আমার উম্মাতের রাজত্ব পৌছবে। আমাকে লাল ও সাদা দুটি ধনাগার দেয়া হয়েছে। আমি আমার উম্মাতের জন্য আমার প্রতিপালকের নিকট এ দুআ করেছি, যেন তিনি তাদেরকে সাধারণ দুর্ভিক্ষের দ্বারা ধ্বংস না করেন এবং যেন তিনি তাদের উপর নিজেদের ব্যতীত এমন কোন শক্রকে চাপিয়ে না দেন যারা তাদের দলকে ভেঙ্গে টুক্বরা টুকরা করে দিবে। এ কথা শুনে আমার প্রতিপালক বললেন, হে মুহাম্মদ! আমি যা সিদ্ধান্ত করি তা কখনো প্রতিহত হয় না। আমি তোমার দুআ কবুল করেছি। আমি তোমার উম্মাতকে সাধারণ দুর্ভিক্ষের দ্বারা ধ্বংস করবো না এবং তাদের উপর তাদের নিজেদের ব্যতীত অন্য এমন কোন শক্রকে চাপিয়ে দেবো না যারা তাদের সমষ্টিকে বিক্ষিপ্ত ও ধ্বংস করতে সক্ষম হবে। যদিও বিভিন্ন প্রান্ত হতে লোক সমবেত হয়ে চেষ্টা করে না কেন। তবে মুসলমানগণ পরস্পর একে অপরকে ধ্বংস করবে এবং একে অপরকে বন্দী করবে। (মুসলিম: ৬৯৯৪)
আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (অন্য সনদে) ইবনু নুমায়র (রহঃ) সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একদা আলিয়া হতে এসে বনূ মু-আবিয়ায় অবস্হিত মসজিদের নিকট গেলেন। অতঃপর তিনি উক্ত মসজিদে প্রবেশ করে দুরাকআত সালাত আদায় করলেন। আমরাও তার সাথে সালাত আদায় করলাম। এ সময় তিনি তার প্রতিপালকের নিকট দীর্ঘ দুআ করলেন। এবং দুঁআ শেষে আমাদের নিকট ফিরে এলেন। এরপর তিনি বললেনঃ আমি আমার প্রতিপালকের নিকট তিনটি জিনিস কামনা করেছি। তন্মধ্যে তিনি আমাকে দুটি প্রদান করেছেন এবং একটি প্রদান করেননি। আমি আমার প্রতিপালকের নিকট কামনা করেছিলাম, যেন তিনি আমার উম্মাতকে দুর্ভিক্ষের দ্বারা ধ্বংস না করেন। তিনি আমার এ দু’আ কবুল করেছেন। তাঁর নিকট এও প্রার্থনা করেছিলাম যে, তিনি যেন আমার উম্মাতকে পানিতে ডুবিয়ে ধ্বংস না করেন। তিনি আমার এ দু’আও কবুল করেছেন। আমি তাঁর নিকট এ মর্মেও দু’আ করেছিলাম যে, যেন মুসলমান পরস্পর একে অন্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত না হয়। তিনি আমার এ দুআ কবুল করেননি।(মুসলিম:৬৯৯৬)
কাজেই কারণটা বুঝতেই পারছেন ভাইয়া। জাঝাক আল্লাহ।
আমি অনুরূপ প্রশ্নের মুখোমুখি এত বেশীবার হয়েছি যে - আমার খুব জানতে ইচ্ছা করেঃ
যে সব হাদীস ভবিষ্যতের সাথে রিলেটেড তার ব্যাখ্যা দাঁড় করাবেন ভবিষ্যতের মানুষজন, ভবিষ্যতের আলেম ওলামা মুহাদ্দীসগন। আর সেই ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষন আমরা মানুষরা মেনে নেব - যদি সে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষন
১। কোরানের (অনুবাদের সাথে নয়) কোন আয়াতের সাথে কন্ট্রাডিক্ট না করে।
২। অন্য কোন হাদীসের সাথে কন্ট্রাডিক্ট না করে।
৩। ফ্যাক্টস, ফিগার, ইতিহাস ও অন্যান্য স্টাবলিশ নলেজ এর সাথে কন্ট্রাডিক্ট না করে।
তাই নয় কি?
যদি আমরা তা করতে ইচ্ছুক না হই - তবে তো কোরান ও হাদীসকে আমরা 'সর্বযুগের' উপযোগী কিতাব ও শিক্ষা বলতে পারিনা। তাই নয় কি?
সো আমার কাছে মনে হয় আমরা বরং চেষ্টা করি লিখকের লিখার কোন অংশটির সাথে কোরান ও হাদীসের কিংবা ফ্যাক্টস ও ফিগার কন্ট্রাডিক্ট করছে তা বের করতে। তাতে উম্মাহর উপকার হবে। আমরা মানুষ অপেক্ষা মেসেজকে গুরুত্ব দিতে পারলে অনেক ভাল করবো, ইনশাল্লাহ্।
রসুল (সা) এর উম্মতের মধ্যে উত্তম কে? উত্তর: সাহাবী এর পর তাবেঈ এর পর তাবাতাবেঈ।
হাদীস গুলো মুহাদ্দিসদের নিকট সানাদ পরস্পরায় এসেছে এই তিন উম্মাহ হতে। তাই তারা হাদীস র্বননা করার পরে হাদিসের সম্পর্কে অনেক ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। এজন্য প্রথম জানা দরাকার তারা কি ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
হ্যাঁ ভবিষ্যতের হাদীসগুলো অবশ্যই একদিন ঘটবে। কিন্তু কেউ কি ১০০% শিওর দিয়ে বলতে পারবে যে ২০১৫ সালই হচ্ছে হাদীসের বর্ণিত সময়?? পারবে না। কেননা এই হাদীস আজকে মনেহচ্ছে মিলে যাচ্ছে ঠিক সেই হাদীস আবার বহু বছর পরেও হয়তো আরও স্পষ্ট ভাবে মিলে যাবে।
এজন্যই জানতে চেয়েছি হাদীস গুলো সম্মন্ধ্যে তিন যুগে কে কি বলেছেন। এর পর কোন ব্যাখ্যা কেউ দিলে সেটা মিললে ভালো না মিললেও ভালো।
আপনার লিখাটা মনোযোগ দিয়ে পড়লাম, খুব ভাল লাগলো, আজ মুসলিম শাসকেরা তাদের ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য অমুসলিমদের সাথে জোট করতেও দ্বীধা করতেছেনা, নিজ মুসলিম ভাইদের হত্যা করতেছে, যেমন আমাদের দেশের দিকে তাকালেই তো বুঝা যায় !!!
ধন্যবাদ আপনাকে
কিন্তু আমরা জানি কারবালা যুদ্ধে ইমাম হোসেনের ৬ বছর শিশু সন্তান আলী আসগর সহ পরিবারের সবাই কে হত্যা করা হয়। ৬ বছর শিশু সন্তান আলী আসগর নিশ্চয় সৈনিক ছিলেন্না।
২.জিহাদ রত (তাদের দাবী মতে) দলগুলোর মধ্যে কারা কারা হক্ক পন্থি, কারা ইমাম মাহদীর সহায়তা করবে বলে আপনি মনে করেন ?
৩. ইমাম মাহদীর সময়ের যুদ্ধগুলোকি আধুনিক সমরাস্ত্র দ্বারা হবে না ? হলে মুসলিমগণ (ইরান বাদে) সে আধুনিক সমরাস্ত্র অর্জনে অক্ষম হয়ে আছে এখনো অতএব ইমাম মাহদীর সৈন্যদলওকি কুফ্ফারদের থেকে প্রাপ্ত অস্ত্র দিয়েই জিহাদ করবেন ?
৪. ইসলামী খেলাফত ও শয়ীয়ার মাকাসিদ কি ? তা কি মানুষের মৌলিক চাহিদা (খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা) এর জোগানদান/অর্থনৈতিক স্বাবলম্বি করে দেয় এবং আইনের শাসন ও সুশাসন কায়েম করা নয়, পাশ্চাত্যের গণতন্ত্র কি সেটা বাস্তবায়ন করে দেখাতে সক্ষম হয় নি ? তবে গণতন্ত্রে আমাদের এত এলার্জি কেন ?
৪. আধিুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান কি মানবাতর কল্যানে ব্যায় হচ্ছেনা ? ধর্ম পালনে আরো সহায়ক হচ্ছে না ? তবে আমরা কেন আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চায় পিছিয়ে আছি ? মনব কল্যানের চাইতে কি আর কোন বড় ধর্মীয় চেতনা আছে ?
৫. ইহুদী খৃষ্টানদের সবকিছুই কি খারাপ ? তাদের ভাল দিক গুলো গ্রহণ করতে আমাদের সমস্যা কোথায় ?
৬. হাদীস গ্রহণের ক্ষেত্রে হাদীসের মান যাচাই সর্বাগ্রে প্রয়োজন। বুখারী মুসলিমেও অনেক জাল হাদসি রয়েছে, সিহাহ সিত্তায় তো রয়েছে ভুরি ভুরি (কিন্তু কোন দেওবন্দী/আহলে হাদীস ই এটা মানতে নারাজ)তাই হাদীস বর্ণনার আগে আমাদেরকে সে হাদীসের ব্যাপরে সকল মুহাদ্দিসগণের সকল মতামত আগে জানতে হবে, হাদীসের মান আগে জানতে হবে।
http://www.bdfirst.net/blog/blogdetail/detail/3557/warrior2013/64167#.ViixB-xriF4
http://www.bdfirst.net/blog/blogdetail/detail/3557/warrior2013/64331
http://www.bdfirst.net/blog/blogdetail/detail/3557/warrior2013/64399#.ViiyUuxriF4
http://www.bdfirst.net/blog/blogdetail/detail/3557/warrior2013/64479#.ViiyqexriF4
http://www.bdfirst.net/blog/blogdetail/detail/3557/warrior2013/65404
http://www.bdfirst.net/blog/blogdetail/detail/3557/warrior2013/69263
এই লেখাগুলোতে চোখ বোলাতে পারেন তাহলে গণতন্ত্র এর সাথে সংঘর্ষ কোথায়? ব্যাপারগুলো কিছুটা হলেও ক্লিয়ার হবে।
আর অভিযোগ করলেই সেটা কি সত্যি হয়ে যায়? নাকি প্রমাণ হাজির করতে হয়? আপনি অভিযোগ করছেন, "সিয়াহ সাত্তা তে ভুরি ভুরি জাল হাদিস আছে" কিন্তু সেটার পক্ষে তো আপনাকে দলিল-প্রমাণ হাজির করতে হবে। আদালতে মামলা করেছেন কারো বিরুদ্ধে কিন্তু আপনি কাঠগড়ায় কোন প্রমাণ হাজির করতে পারছেন না কিন্তু চিৎকার করছেন, জজ সাহেব আমি জানি আমি যা বললি সব সত্যি কিন্তু কোন প্রমাণ দেখাতে পারবোনা" আদালত কি তা গ্রহণ করবে?? হাদিসের ৬ টি গ্রন্হে কিছু দূর্বল হাদিস আছে কিন্তু দূর্বল হাদিস মানে কি জাল হাদিস নাকি??? হয়ত বর্ণনাকারী একজন তাই দূর্বল। হয়ত যিনি হাদিসটি বলেছেন, তিনি শরীয়তের দৃষ্টিতে পুরোপুরি বিশ্বাসযোগ্য নন তাই দূর্বল। কিন্তু হাদিসের কথা তো বানোয়াট বা জাল বলা যায়না। ইমাম বুখারীর (রঃ) কয়েকলাখ হাদিস মুখস্ত ছিল এবং তিনি জানতেনও সেসব জাল না বরং সঠিক এরপরেও তিনি বেছে বেছে মাত্র কয়েকহাজার হাদিসই লিপিবন্ধ করেছেন। কাজেই আহলে হাদিস/ দেওবন্দ কেন আপনার কথা মানবে? আপনি তো যথার্থ প্রমাণ হাজির করতে পারছেননা।
আপনার একনাম্বার প্রশ্নের উত্তরে বলব সূরা কাহাফ আপনার প্রশ্নের উত্তর। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ যদি সত্যিই চান, তাহলে সেটা নিয়ে আরেকদিন লিখব।
২ নাম্বার প্রশ্নের উত্তরে বলব, আপনি আপনার একটি লেখায় ইমাম মাহদি যাকে হাদিসে আল মাহদি (আঃ)বলে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়েছে, আপনি তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। আপনি তাকে বিশ্বাসই করেননা অথচ ইমাম আবু হানিফা (র)( যিনি একজন তাবেয়ী ও তাবে-তাবেয়ী ৩ শ্রেষ্ঠ যুগের একটিতে তিনি বসবাস করতেন এবং সাহাবী ও তাবেয়ীদের কাছে শিক্ষালাভ করেছেন) ইমাম মালিক, আহমাদ বিন হাম্বল (রঃ), ইমাম শাফেয়ী (রঃ) থেকে ইমাম ইবনু তাইমিয়া (রঃ) ইমাম নববী (রঃ) সহ প্রত্যেকেই ইমাম মাহদি (আঃ) এর ব্যাপারে স্টষ্টভাবে উম্মাহকে জানিয়েছেন, প্রত্যেকটি সহীহ হাদিসে তার ব্যাপারে একাধিক স্পষ্ট বর্ণনা দেয়া হয়েছে। আনোয়ার আওলাকী যাকে আমেরিকা হত্যা করেছে তাকে আপনি প্রত্যাখ্যান করেছেন একজন নন-আলিম ঐতিহাসিকের কিছু মনগড়া বর্ণনা পড়ে। হ্যা! তাকে ডঃ ইববালও অস্বীকার করেছেন, ইবনে খালদুনও কিন্তু এই দুজন ব্যক্তি কি আলিম??? একজন সাহিত্যিক অন্যজন ঐতিহাসিক। কাজেই তাদের কথা গ্রহণযোগ্য নয়।
আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে যে ইলম দান করেছেন তা হটাৎ করে ছিনিয়ে নেবেন না বরং ইলমের বাহক উলামায়ে কিরামকে তাদের ইলেমসহ ক্রমশ তুলে নেবেন।তখন শুধুমাত্র মূর্খ লোকেরা অবশিষ্ঠ থাকবে। তাদের কাছে ফাতওয়া চাওয়া হবে।তারা মনগড়া ফাতওয়া দিবে।ফলে নিজেরাও পথভ্রষ্ঠ হবে,অন্যদেরকেও পথভ্রষ্ঠ করবে। (বুখারী:৬৮০৯)
#উবায়দুল্লাহ ইবনু মূসা (রহঃ) শাকিক থেকে বর্নিত। তিনি বলেনঃ আমি আবদুল্লাহ ও আবূ মূসা (রাঃ)-এর সাথে ছিলাম। তাঁরা বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অবশ্যই কিয়ামতের পূর্বে এমন একটি সময় আসবে যখন সর্বত্র মূর্খতা ছড়িয়ে পড়বে এবং তাতে ইল্ম উঠিয়ে নেওযা হবে। সে সময় হারজ- ব্যাপকতর হবে। আর হারজ- হল (মানুষ) হত্যা। (বুখারী: ৬৫৮৪, অধ্যায় ৮১- ফিৎনা)
এই দুটো হাদিসই তার প্রমাণ। আমি তাদের প্রতি সন্মান রেখেই বলছি তারা বিভ্রান্ত হয়েছেন কারণ তারা রেওয়ায়েত, কুরান-হাদিস আমলে নেননি। যেভাবে ঐতিহাসিক আল-ওয়াকিদীর কিতাবুসসীরাহ ও কিতাবুততারিখ ওয়াল মাজাগী ওয়াল মাবআস ইমাম শাফেয়ী ও ইমাম আহমাদের নিকট প্রত্যাখ্যাত হয়েছে, কারণ সে ভিত্তিহীন ইসলামিক ইতিহাস রচনা করেছে ঠিক তেমনি ডঃ ইকবাল ও ইবনে খালদুনও বিভ্রান্ত হয়েছেন। ডঃ ইকবাল তো ঈসা (আঃ) এর প্রত্যাবর্তন অস্বীকার করেছেন অথচ পবিত্র কোরানই বলছে তার প্রত্যাবর্ননের কথা। তাই আগে আপনি তওবা করুন ইমাম মাহদির ব্যাপারে আলেমরা কি কি বলেছেন? সহীহ হাদিসগুলোতে তার ব্যাপারে কি কি বলা আছে? সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানুন, অতঃপর আমাকে তার ব্যাপারে প্রশ্ন করবেন।
#ইরবায বিন সারিয়া (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূল (সাঃ)বলেন, আর আমার পর তোমাদের কেউ জীবিত থাকলে সে বহূ (ইসলামে) মতভেদ দেখতে পাবে। তখন আমার সুন্নাহ এবং হেদায়াতপ্রাপ্ত (৩০ বছরের ৪জন খলিফা যথাক্রমে: আবূ বকর, উমার, উসমান ও আলী রাঃ) খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাহ অনুসরণ করা হবে তোমাদের অপরিহার্য কর্তব্য। এই সুন্নাহকে খুব মজবুত করে দাঁত দিয়ে চেপে ধরবে। আর দ্বীনে নতুন উদ্ভাবিত বিষয়সমূহ থেকে বিরত থাকবে। কেননা, (দ্বীনে)প্রত্যেক নব উদ্ভাবিত জিনিসই হচ্ছে বিদ'আত।আর প্রত্যেক বিদ'আতই ভ্রষ্টতা।(আহমাদ, আবু দাউদ ৪৬০৭, তিরমিজি ২৮১৫, ইবনে মাজাহ, মিশকাত ১৬৫)
আপনি যেই পাশ্চাত্যের গণতন্ত্রের গুনগান গাইছেন, সেই পাশ্চাত্যের গণতন্ত্রের পার্লামেন্ট গুলোই কিন্তু আইন পাশ করে ইরাক, আফগনিস্তানকে আক্রমণের বৈধতা দিয়েছিল। নিজের দেশে যেই পার্লামেন্ট মৃত্যুদন্ডকে অমানবিক বলে রায় দেয়, সেই একই পার্লামেন্ট মুসলিমদের রক্ত হালাল করে দেয়। ১৪ লাখ ইরাকির রক্ত কি এতই সস্তা?? পশ্চিমা গণতন্ত্র আইনের প্রয়োগ দেখাতে পেরেছে কিন্তু অপরাধ কমাতে পেরেছে? সেখানে কি মানুষ নিরাপদ? দুদিন পরপর শপিংমল, স্কুলে হত্যাকান্ড ঘটছে।
এই ডকুমেন্টারীটা পশ্চিমা সমাজে রেপের ভয়াবহতা নিয়ে করা। https://www.youtube.com/watch?v=F_h03dnQuQY
আর আইনই বা কি সবার জন্য সমান?? নিগ্রোরা নিয়মিত পুলিশের হাতে হত্যার শিকার হচ্ছে কয়টার বিচার হয়?? হ্যারিকেন ক্যাটরিনার সময় পুলিশ-আর্মি উদ্ধারপৎপরতা চালাতে গিয়ে যে উল্টা লুটপাট, ধর্ষণ শুরু করেছিল ব্লাক পিপলদের উপর তা কি ভুলে গেছেন?? ধরে নিলাম যে, গণতন্ত্র পশ্চিমা সমাজে সফল, তাহলে প্রাচ্যে তা ব্যর্থ কেন? আলজেরিয়ায় ৯০% ভোট পেয়েও ইসলামী দল ক্ষমতায় আসতে পারেনা কেন? মিশরে ক্ষমতায় এসেও ক্ষমতাচ্যুত হয় কেন? তিউনিসিয়ায় ক্ষমতায় টিকে থেকেও ৫ বছর না যেতেই তা ব্যর্থতায় কুচকে যায় কেন? এরদোগানেরা ৪ বার ক্ষমতায় আসার পরেও একটা ইসলামি আইন বাস্তবায়ন করতে পারেনা কেন??
৪ নাম্বারের উত্তরে বলব, জ্ঞান-বিজ্ঞান কারো কুক্ষিগত সম্পত্তি না। পৃথিবীর ইতিহাসে যখন যে জাতি পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করেছে তারাই জ্ঞান-বিজ্ঞানেরও নেতৃত্বে ছিল। যেমন প্রাচীন গ্রিক, মেসোপটেমিয়া, মিশর, ব্যাবিলন, চীন। তখন কিন্তু অন্য কোন সভ্যতাকে খুঁজেও পাওয়া যায়নি এমনকি ইউরোপিয়ানদের কোন খবরই ছিলনা। আবার মধ্যযুগে মুসলিমরা সারা বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করেছে। তখন জ্ঞান-বিজ্ঞানের নেতৃত্ব ছিল তাদের হাতে তখন পশ্চিমারা ছিল অসভ্য বর্বর। জ্ঞান-বিজ্ঞানে তাদের অবদানও ছিলনা। আপনি ডিসকভারির "রেনেসা এবং মুসলিম সভ্যতা" ডকুমেন্টারী দেখতে পারেন। আবার ভারত ও আবরে মুসলিম সভ্যতা পশ্চিমারা দখল করে নেয়ার পত পৃথিবীর নিয়ন্ত্রণ এখন তাদের হাতে কাজেই জ্ঞান-বিজ্ঞানের নেতৃত্বে তারা আসীন হয়েছে। বিষয়টা খুব সহজ। কিন্তু পশ্চিমারা এই আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে আল্লাহর বিকল্প হিসেবে দাড় করিয়েছে। সমস্যা এখানেই এজন্য আল্লাহ সুরা ইসরায় বলেছেন: কিয়ামত পূর্ব সময়ে তিনি প্রত্যেকটি সভ্যতা ধ্বংশ করবেন।
৫ নাম্বারের উত্তর হল: নাহ! সবকিছুই খারাপ না। রাসূল (সাঃ) তাদের নিকট থেকে জ্ঞান-বিজ্ঞানের ব্যাপারে তথ্য আদান-প্রদান করতে অনুমতি দিয়েছেন তবে সেই জ্ঞান ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক হলে বর্জনীয়। যেমন অনেক ঐতিহাসিক ইহুদি-খৃষ্টানদের কাছ থেকে পূর্বেকার তোরাহ-বাইবেল থেকে ইতিহাসের নানান অনুসঙ্গ সংগ্রহ করেছেন। গণিত, আল কেমি বা রসায়ণ ও পদার্থবিজ্ঞান ছিল আরবরদের জ্ঞান। তারা মিশরের প্রাচীন জ্যামিতিক জ্ঞান গ্রহণ করেছেন এবং তা গবেষণার দ্বারা উম্মাহ এর কাজে লাগিয়েছেন। গ্রিক চিকিৎসাবিদ্যাকে মুসলিমগণ গ্রহণ করেছেন। কিন্তু যখন তাদের সাংষ্কৃতিক বিষয়গুলো গ্রহণ, তাদের মতবাদ গ্রহণের কথা আসে, তখন ইসলাম তা প্রত্যাখ্যান করে, কারণ আল্লাহ ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ করেছেন সুরা নিসায় ঘোষণাও দিয়েছেন। তাই তাদের কোন মতবাদ, সংষ্কৃতি ইত্যাদি আমাদের জন্য গ্রহণ হারাম। তাদের সাথে মানুষ হিসেবে উত্তম ব্যবহারের, সহঅবস্হানের কথা বলা আছে কিন্তু তারা অনুসরণীয় নয়। আপনি যদি ভালো কিছু পান সেটা ফলো করতে পারেন তবে সংষ্কৃতি ও তাদের মতবাদ নয়।
৬. হাদীস গ্রহণের ক্ষেত্রে হাদীসের মান যাচাই সর্বাগ্রে প্রয়োজন। বুখারী মুসলিমেও অনেক জাল হাদসি রয়েছে,
একটা উদাহরণ দিন বুখারী মুসলিমের জাল হাদীসের।
সিহাহ সিত্তায় জাল হাদীস আছে কিনা তা জানতে হলে পড়ুন বিশ্ব বিখ্যাত ঐতিহাসিক কায়রো বিশ্ব বিদ্যালয় এর ইসলামী ইতিহাসের প্রফেসর ড. আহমদ আমীন এর লিখিত প্রখ্যাত দেওবন্দী আলেম মাওলানা আবু তাহের মেসবাহ অনুদিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক তিন খন্ডে প্রকাশিত দুহাল ইসলাম কিতাবটি। বিখ্যাত আহলে হাদীস আলেম মাওলানা আকরাম খা তার মুস্তফা চরিত কিতাবে বুখারীর দশটি জাল হাদীস দেখিয়েছেন, যার জবাব আজ অবধি কোন আলেম ই দিতে সক্ষম হন নি। নিচের পোষ্টটিতেও কিছু দলীল পাবেন - https://www.facebook.com/permalink.php?story_fbid=1596037837329036&id=100007685058871&pnref=story
মাশা'আল্লাহ্ কমপ্লেক্স একটা বিষয়ে বেশ ভাল লিখেছেন। এ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে লিখা প্রচন্ড কঠিন। আমার খুব ভাল লাগছে - যে আপনি এ নিয়ে পড়ছেন এবং সময় বিনিয়োগ করছেন - যার রিটার্ন কাল কেয়ামতের দিন নিশ্চয়ই পাবেন ইনশাল্লাহ্। আল্লাহ আপনাকে ভুল হতে দুরে থাকায় সাহায্য করুন।
ব্লগের মত স্বল্প পরিসরে পাঠকের আন্ডারস্ট্যান্ডিং তৈরী করার মত উপযুক্ত করে ফ্যাক্টস ও দলিল উপস্থাপন করা রীতিমত কষ্টসাধ্য। তারপর ও আপনি চেষ্টা করেছেন। এ লিখাটিতে আমার কাছে মনে হয়েছে, আপনি যদি মনিটরি ইকোনোমিক্স এর ব্রিটন উডস এ্যাগ্রীমেন্ট, আই এম এফ এর সৃষ্টি ও কাজ, স্বর্নের কেন্দ্রীভূতিকরন, ডলার প্রিন্টিং মেকানিজম ও ডলার ভ্যালু এক্সপানশান, মধ্যপ্রাচ্যের তেল (ইউফ্রেতিস এর গোল্ড), জি - ৭, সারাবিশ্বের টাকা প্রিন্ট মেকানিজম ও সম্পদ পশ্চিমে পাচার মেকানিজম ইত্যদি হতে লব্ধ জ্ঞানকে এক্সপোজ করতে পারতেন - তবে ইরাক ও সিরিয়ার হাদীসটি আরো বিমূর্ত হত, আরো খোলাসা হত। ইনশাল্লাহ আগামী কোন খন্ডে আনবেন আশা করি।
সঠিক ইসলাম ভাইয়ের যুক্তিগুলোতে আরো সফট টোনে কাউন্টার যুক্তি ও কিছু দলিল পেশ করতে পারলে ভাল হত বলে আমার মনে হয়েছে। ওনার কোশ্চেনগুলো মূলতঃ মেইনস্ট্রীম, সচেতন, নলেজেবল, এক্টিভিস্ট মনা মানুষের - যারা ইসলামকে ভালবাসেন - কিন্তু সামহাউ কোরান ও হাদীসের পরিবর্তে আশপাশের জিনিস ও ঘটনাকে বিচার বিবেচনা করেন স্যেকুলার নলেজ দিয়ে। আপনি ঐ হাদীসটি ব্যাখ্যা করতে পারেন যেখানে রাসুলুল্লাহ সঃ বলেছেন ওনার উম্মত ইয়াহুদি খৃষ্টানদেরকে এমনভাবেই ফলো করবে এমনকি যদি তারা ইদুর না কিসের যেন গর্তে প্রবেশ করলে মুসলিমরা সেখানে প্রবেশ করবে।
আল্লাহ আপনার ধৈর্য বাড়িয়ে দিক। এবং প্রতিটি রিএ্যাকশানকে নিয়ন্ত্রন করতে পারলে যে সওয়াব - তা আপনার বরাবর লিখে দিক - এটাও আমার প্রার্থনা।
ধন্যবাদ।
মনিটরি ইকোনোমিক্স এর ব্রিটন উডস এ্যাগ্রীমেন্ট, আই এম এফ এর সৃষ্টি ও কাজ, স্বর্নের কেন্দ্রীভূতিকরন, ডলার প্রিন্টিং মেকানিজম ও ডলার ভ্যালু এক্সপানশান, মধ্যপ্রাচ্যের তেল (ইউফ্রেতিস এর গোল্ড), জি - ৭, সারাবিশ্বের টাকা প্রিন্ট মেকানিজম ও সম্পদ পশ্চিমে পাচার মেকানিজম ইত্যদি হতে লব্ধ জ্ঞানকে এক্সপোজ করতে পারতেন - তবে ইরাক ও সিরিয়ার হাদীসটি আরো বিমূর্ত হত, আরো খোলাসা হত। ইনশাল্লাহ আগামী কোন খন্ডে আনবেন আশা করি।
ভাইয়া আলহামদুলিল্লাহ আমি বিবিএ_ Finance and banking এর স্টুডেন্ট তাই এগুলো নিয়ে স্বচ্ছ ধারণা আছে এবং আপনার কথাটাও ঠিক কিন্তু সমস্যা হল ব্লগারদের মানষিকতায়। লেখাটাকে যতটা সম্ভব ছোট করতে হয়েছে। আমি এই লেখাটাকে আরেকটু বড় করতে গেলে কেউ লেখাটা পড়তই না, ঢুকতোই না। তাই আবছা আবছা লেখা এই বিষয়ে তাদেরকে উৎসাহিত করবে নিজেদের এই বিষয়ে পড়াশুনা করতে। আর এসব বিষয়ে লেখা এতটাই কষ্টসাধ্য ব্যাপার কারণ, সব জিনিসগুলো একটার সাথে অন্যটা এতটাই ইন্টাররিলেটেড যে আলাদা করা কষ্টসাধ্য।
সঠিক ইসলাম গোটা সমস্যা নিয়ে কথা বলতে চায়। সেটার জন্য আলাদা বিস্তর আলোচনা প্রয়োজন। আপনার কথা ঠিক।
মন্তব্য করতে লগইন করুন