William Gladstone এর উত্তরসূরী ব্লগার মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম!!!
লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ২৭ এপ্রিল, ২০১৫, ১০:৪২:৪১ সকাল
এটা ছিল নব্য ক্রুশেডার ব্রিটিশ প্রাইম মিনিষ্টারের দম্ভোক্তি ও ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা।
আমরা দেখছি পশ্চিমা সমাজ আজ নিজেদের সেই কাজে সফল হয়েছে। সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ায় হিজাবী মুসলিমা সুন্দরী প্রতিযোগীতার আয়োজন, হিজাবী ফ্যাশন সো আর হালের শর্ট-টাইট ফিটিং বোরখা, টাইট জিন্স প্যান্টের সাথে শর্ট-টাইট বোরখা ইত্যাদির ব্যাপক প্রচলন এবং ব্যাপক নেকাব বিরোধী প্রচারণা ইত্যাদি চলছে বেশ জোড়েসোড়ে। এই কাজে দেখছি কোথাকার কোন ব্লগার মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম নামক ব্যক্তিও যুক্ত হয়েছেন, যার আবার আধ্যাতিক গুরু আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের সাবেক শিবির সভাপতি লোকমান বিন ইউসুপ এটা তার ফেসবুক আইডি Click this link
আমি এই ব্যক্তির একাধিক লেখায় চোখ বুলিয়েছি এবং খুব অবাক হয়েছি তার কর্মকান্ড দেখে। কথা হচ্ছে একজন সাধারণ ব্যক্তি কি ইসলামের ব্যাপারে রীতিমত এত স্পর্শকাতর বিষয়গুলোতে ফতোয়া প্রদানের অধিকার রাখেন, যিনি আলেমনা?? হাদিস কি বলে??
#সাঈদ ইবনে তালীদ (রঃ)...উরওয়া(রঃ)থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ)আমাদের এদিক দিয়ে হজ্জ্বে যাচ্ছিলেন।আমি শুনতে পেলাম,তিনি বলছেন যে,আমি নবী (সাঃ)কে বলতে শুনেছি,আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে যে ইলম দান করেছেন তা হটাৎ করে ছিনিয়ে নেবেন না বরং ইলমের বাহক উলামায়ে কিরামকে তাদের ইলেমসহ ক্রমশ তুলে নেবেন।তখন শুধুমাত্র মূর্খ লোকেরা অবশিষ্ঠ থাকবে। তাদের কাছে ফাতওয়া চাওয়া হবে।তারা মনগড়া ফাতওয়া দিবে।ফলে নিজেরাও পথভ্রষ্ঠ হবে,অন্যদেরকেও পথভ্রষ্ঠ করবে। (বুখারী:৬৮০৯, ১০ম খন্ড, ইফাবা, পৃষ্ঠা: ৫০০-৫০১)
তার লেটেস্ট ব্লগপোস্ট যার শিরোনাম, "মুসলিম মেয়েরা প্রকাশ্য স্হানে মুখ খুলে চলাফেরা করবে এবং ছেলেদের সাথে অবাদে মেলামেশা করবে (১ম পর্ব )" এটি শুধু দ্বীনি ব্যাপার নয়, বরং রীতিমত আমাদের জাতিগত মুল্যবোধ, বিশ্বাস ও নৈতিকতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তিনি নাকি নিয়মিত বই-পুস্তক লিখছেন এসবের বিরুদ্ধে এবং দরকার হলে আদালতে গিয়ে তিনি এসব বন্ধে আইনি লড়াইয়ে যাবেন। এই ব্যক্তি এবং তার আধ্যাতিক গুরুর মূল উদ্দেশ্য কি??
কুরআন এই ব্যাপারে কি বলছে??
#যখন তারা কোন অশ্লীল আচরণ করে তখন বলে, আমরা আমাদের পূর্বপুরুষকে এটা করতে দেখেছি এবং আল্লাহও আমাদের এসব করার আদেশ দিয়েছেন। বল, আল্লাহ এমন আচরণের নির্দেশ দেননা। তোমরা কি আল্লাহ সম্পর্কে এমন কিছু বলছ যা তোমরা জান না??
#বল, আমার প্রতিপালক নির্দেশ দিয়েছেন ন্যায়বিচারের। প্রত্যেক সালাতে তোমাদের লক্ষ্য স্হির রাখবে এবং তার আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হয়ে একনিষ্ঠভাবে তাকে ডাকবে। তিনি যেভাবে প্রথমে তোমাদেরকে সৃষ্টি করিছেন, তোমরা সেভাবেই ফীরে আসবে।
#একদলকে তিনি সৎপথে পরিচালিত করেছেন এবং অপর দলের পথভ্রান্তি নির্ধারিত হয়েছে। তারা আল্লাহকে ছেড়ে শয়তানকে নিজেদের অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং বিশ্বাস করত তারাই সৎপথপ্রাপ্ত। (সূরা আরাফ, ক্রমিক ৭, আয়াত:২৮,২৯,৩০)
#সুতরাং দুর্ভোগ তাদের জন্য যারা নিজ হাতে কিতাব রচনা করে এবং তুচ্ছ মূল্য প্রাপ্তির জন্য বলে, এটা আল্লাহর নিকট হতে (ওহীর জ্ঞান)। তাদের হাত যা রচনা করেছে তার জন্য শাস্তি তাদের এবং তারা যা উপার্জন করে তার জন্য শাস্তি তাদের।
#তারা বলে, দিনকতক ব্যতীত আগ্নি আমাদের কখনো স্পর্শ করবেনা। বল, তোমরা কি আল্লাহর নিকট হতে অঙ্গিকার নিয়েছ;অতএব আল্লাহ তার অঙ্গীকার কখনো ভঙ্গ করবেন না কিংবা আল্লাহ সম্বন্ধে এমন কিছু বলছ যা তোমরা জাননা?(বাকারা, আয়াত ৭৯-৮০)
#(হে নবী) আপনি মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত হবেন না যারা দ্বীনের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে এবং দলে দলে বিভক্ত হয়ে যায়, যারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ মতবাদ নিয়ে সন্তুষ্ট। [সূরা রুম-৩২]
এবিষয়ে বিতর্কের কারণ কি যেখানে কুরআনের স্পষ্ট আয়াত বিদ্যমান??
#ঈমানদার পুরুষদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে এবং তাদের গুপ্তাঙ্গের হেফাজত করে। এতে তাদের জন্য মঙ্গল আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ সে সম্পর্কে অবহিত আছেন।
#ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং তাদের গুপ্তাঙ্গের হেফাজত করে। তারা যেন যা সাধারণত: প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুষ্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাদি, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পাদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।” (সূরা নুর, ক্রমিক নং:২৪, আয়াত: ৩০-৩১)
নাকি আপনারা ইসলামে সন্তুষ্ট নন বরং মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত?
#তিনিই তার রাসূল কে প্রেরণ করেছেন হিদায়াত ও সত্য দ্বীনসহ সকল দ্বীনের উপর তাকে বিজয়ী করবার জন্য। যদিও মুশরিকগণ তা অপছন্দ করে। (সূরা আস্ সাফঃ ৯)
সাবধান হোন ফখরুল সাহেব!
#তারা কি জানেনা যে, তারা যা গোপন রাখে এবং যা ঘোষণা করে নিশ্চিতভাবেই আল্লাহ তা জানেন? (বাকারা, আয়াত: ৭৭)
আশা করব ব্লগ কর্তৃপক্ষ ব্যাপারটায় দৃষ্টি দিবেন ও ব্লগাররাও ব্যাপারটায় সচেতন হবেন।
(বিঃদ্রঃ এই ব্যক্তিকে আলোচনায় এনে তাকে বিক্ষাত বানানোর মোটেও ইচ্ছা নেই শুধু সতর্ক করার জন্যই লেখা)
বিষয়: বিবিধ
১৪৮২ বার পঠিত, ৪২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমার সাথে একবার কথা হয়েছিলো এবং তার বিকৃত কথার জবাব দিয়েছিলাম তাড়পর যতরকম উল্টাপাল্টা ব্যাখ্যা দাড় করে পালিয়েছিলো।
এ লেখকের কোন লেখা বর্তমানে খুলে দেখিনা।
আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন। আমীন
ফখরুল নামের এই ব্লগার 'অল্প বিদ্যা ভয়ংকরি,জুতা রে কয় আলমারি,সাইকেল রে কয় রেলগাড়ি' টাইপের!
ব্যাটা শয়তানের প্রতিনিধি!!
আর আরেকজন মনে হয় বুদ্ধিজীবি-টিবির খাতায় নাম লেখানোর ধান্ধায় আছেন।
তার লেখা পড়া থেকে বিরত থাকায় শ্রেয়।
আমি ব্যাক্তিগতভাবে ওনার লিখনীর ক্যাপাসিটিকে পছন্দ করতাম - কিন্তু ডজনখানেক লিখা পড়ার পর - পড়া ছেড়ে দিয়েছি।
আমার কাছে অদ্ভুত লেগেছে এই দেখে যে ওনার লিখাগুলো সামহাউ মেয়ে ও হিজাব ও কালচার কেন্দ্রিক। এমন রেফারেন্স নির্ভর লিখার ক্যাপাসিটি সম্পন্ন মানুষ ইনিয়ে বিনিয়ে তা করাটাকে আমার কাছে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত বলে মনে হয়েছে।
জাজাকাল্লাহু খাইরান আপনার ভালোলাগা বইয়ের নাম আমাকে দেয়ার জন্য।
আলোর পরশ এবং আফ্রিকার দুলহান বই দুটি পড়লাম আলহামদুলিল্লাহ।
গ্রন্থকার বাংলা একাডেমী পুরস্কার পাওয়া মানুষও বটে।
ভালো লাগলো আপনাকেও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
তবে দু এক যায়গায় ইমান ধ্বংসকারী কথাও ছিলো জানিনা এটা লেখকে অনিচ্ছাকৃত ভুল হতে পারে।
যেমন একজন মুসলমানের মুখ থেকে এই কথাটি লেখক কৌতুকের স্বরে বের করেছেন
তাড়পরও বইটি অনবদ্য জাজাকাল্লাহু খাইরান ভাপু।
আরো কিছু বইয়ের নাম দিবেন আশা করি।
জাজাকাল্লাহ।
রাগ করব কেন।
আমিও অনেক দিন যাবত আসিনা।সময়ও পাইনা।আপনি সুস্থ থাকেন।আরামে ব্লগে আসেন তাই ই চাই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন