ইসলামী গণতন্ত্র! আমরা কি নিজেরাই নিজেদের ধোঁকা দিচ্ছিনা? শেষ পর্ব।
লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ২৫ এপ্রিল, ২০১৫, ১১:৫১:৩৬ রাত
প্রথম পর্বের লিংক
Click this link
২য় পর্বের লিংক Click this link
যারা নিজেদের দ্বীনে মতভেদ সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে। প্রত্যেক দলই নিজ নিজ মতবাদ নিয়ে উৎফুল্ল। (সূরা: রূম, আয়াত: ৩২)
সত্যি বলতে ব্লগ, ফেসবুক ইত্যাদি জায়গায় ক্রমাগত আপত্তি, কটুকথা ইত্যাদির জন্য এই বিষয়ে লেখার প্রতি আমি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। আসলে প্রত্যেকেই নিজ নিজ মতবাদ নিয়ে সন্তুষ্ট কাজেই তারা নিজেদের মতবাদের চুলচেরা বিশ্লেষণে মোটেও আগ্রহী না বরং বিপক্ষে গেলেই বিপদ। তাই বাধ্য হয়েই লেখাটার ইতি টানছি। তবে কিছু প্রশ্ন রেখে যাব যার উত্তর খোঁজার চেষ্টা করলে হয়ত আল্লাহ সঠিক পথের সন্ধান দিবেন।
মনযোগ দিয়ে শোন, ইসলাম বোঝার জন্য কুরআন, রাসূল ﷺ রেখে যাওয়া সুন্নাহ, হেদায়েতপ্রাপ্ত সাহাবীদের সুন্নাহ আর আলেমদের কর্মপন্হার উপরে দৃষ্টি রাখলেই চলবে। মনে রেখ আবু বকর (রাঃ), ওমার (রাঃ), উসমান (রাঃ), আলী (রাঃ) তোমার চাইতে অনেক ভাল ইসলাম বুঝতেন, কিন্তু তারা তোমাকে ইসলাম বুঝানোর জন্য এক বা একাধিক ইসলামিক বই-পুস্তক লিখে যাননি, বরং তারা নিজেরাই ইসলামের অনুসরণ করেছেন.....এই কথাটি একজন আলেমের যিনি তার সত্যবাদিতার জন্য হত্যার শিকার হয়েছিলেন।
হ্যা! এটাই আল্লাহর প্রতিশ্রুত সেই কেয়ামতপূর্ণ সময় আর আজ আমরা হাদিসে বর্ণিত ভবিষ্যৎবাণী সত্যি প্রমাণ করছি, আমরা গুইসাপের গর্তেও প্রবেশে আগ্রহী!!!
আহমাদ ইবনে ইউনুস(রঃ)...আবু হুরায়রা (রাঃ) নবী ﷺ হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, কেয়ামত কায়েম হবেনা যতক্ষণনা আমার উম্মাত পূর্বযুগীয়দের আচার-অভ্যাসকে বিঘতে বিঘতে হাতে হাতে গ্রহণ না করবে। জিঙ্গাসা করা হল, হে আল্লাহর রাসূল! পারস্য ও রোমকদের মত কি? তিনি বললেন, লোকদের মধ্যে আর কারা? এরাই তো। (বুখারী:৬৮২০)
মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল আযীয (রঃ).. আবু সাইদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন, নবী ﷺ বলেছেন, নিশ্চয়ই তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তীদের আচার-আচরণকে বিঘতে বিঘতে হাতে হাতে গ্রহণ অনুকরণ করবে। এমনকি তারা যদি গুঁইসাপের গর্তেও প্রবেশ করে থাকে, তাহলে তোমরাও এতে তাদের অনুসরণ করবে। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! এরা কি ইহুদি-নাসারা?তিনি বললেন, আর কারা?(বুখারী:৬৮২১, ইফাবা:১০ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৫০৬-৫০৭, পিডিএফ পেজ: ৪৫২ মান সহীহ)
আমরা সেইসব আলেমদের অপ্রয়োজনীয় ভাবছি যারা দ্বীনের জ্ঞান আহরণ ও প্রচারে সাহাবীদের সাথে সম্পর্কযুক্ত ছিলেন কারণ আমরা এখন অনেক জ্ঞান অর্জন করে ফেলেছি??
কাব ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি উলামাদের সাথে তর্ক করার জন্য, অথবা নির্বোধদের (মুর্খ) সাথে বাক বিতন্ডা করার জন্য, অথবা মানুষকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করার উদ্দেশ্যে ইলম অধ্যয়ন করেছে, আল্লাহ তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।(সহীহ আত তিরমিযি, হাদিস# ২৬৫৪, হাদিসঃ হাসান)
সাঈদ ইবনে তালীদ (রঃ)...উরওয়া(রঃ)থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ)আমাদের এদিক দিয়ে হজ্জ্বে যাচ্ছিলেন।আমি শুনতে পেলাম,তিনি বলছেন যে,আমি নবী (সাঃ)কে বলতে শুনেছি,আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে যে ইলম দান করেছেন তা হটাৎ করে ছিনিয়ে নেবেন না বরং ইলমের বাহক উলামায়ে কিরামকে তাদের ইলেমসহ ক্রমশ তুলে নেবেন।তখন শুধুমাত্র মূর্খ লোকেরা অবশিষ্ঠ থাকবে। তাদের কাছে ফাতওয়া চাওয়া হবে।তারা মনগড়া ফাতওয়া দিবে।ফলে নিজেরাও পথভ্রষ্ঠ হবে,অন্যদেরকেও পথভ্রষ্ঠ করবে। (বুখারী:৬৮০৯, ১০ম খন্ড, মান সহীহ)
আমরা আজ কোরানে অনেক আয়াত দেখেও না দেখার ভান করি!!
১. হে! মুমিনগণ, তোমরা আমার শত্রু ও তোমাদের শত্রুকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করিও না,তোমরা কি উহাদের প্রতি বন্ধুত্বের বার্তা প্রেরণ করিতেছ, অথচ উহারা, তোমাদের নিকট যে সত্য আসিয়াছে,তাহা প্রত্যাখ্যান করিয়াছে, রাসূলকে এবং তোমাদিগকে বহিষ্কার করিয়াছে এ কারণে যে,তোমরা তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহতে বিশ্বাস কর।যদি তোমরা আমার পথে জিহাদের উদ্দেশ্যে এবং আমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য বাহির হইয়া থাক, তবে কেন তোমরা উহাদের সহিত গোপনে বন্ধুত্ব করিতেছ? তোমরা যাহা গোপন কর এবং যাহা প্রকাশ কর তাহা আমি সম্যক অবগত। তোমাদের মধ্যে যে কেহ ইহা করে সেতো বিচ্যুত হয় সরল পথ হইতে।
২. তোমাদিগকে কাবু করিতে পারিলে উহারা হইবে তোমাদের শত্রু এবং হস্ত ও রসনা দ্বারা তোমাদের অনিষ্ট সাধন করিবে এবং কামনা করিবে যে, তোমরাও কুফরী কর। (মুমতাহিনা)
আমরা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য কুরআনে বর্ণিত: إِنِّي جَاعِلٌ فِي الْأَرْضِ خَلِيفَةً_ আয়াতের খলিফার সংজ্ঞাটাই পরিবর্তন করে ফেলেছি। অথচ মানুষ আল্লাহর খলিফা না, বরং পৃথিবীতে জিন জাতির জায়গায় স্হলাভিষিক্ত বা তাদের পরবর্তী খলিফা।
চোখের সামনে বুখারী,মুসলিম, তীরমিযী, নাসায়ী, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ যাতে, "ভবিষ্যতে কি কি ঘটবে?" আর এ অবস্হায় "আমাদের করণীয় কি?" তা স্পষ্টভাবে বর্ণিত, কিন্তু আমরা দায়িত্ব বুঝে নিতেই অনাগ্রহী তাই নানান মতবাদ আর এনালাইসিসের পেছনে সময় ব্যায় করি।
আল্লাহ সিরাতল মুস্তাকিম বা সরল-সোজা পথের সন্ধান দিয়েছেন কিন্তু আমরা ডানে বা বামে হাটতেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করি আর বিপদে পড়লে আল্লাহকে দোষারোপ করি আল্লাহ কেন সাহায্য করেনা??
যে ইসলাম ছাড়া অন্য কোন জীবন ব্যবস্থা খোজে, তা কস্মিণকালেও গ্রহণ করা হবে না। [সুরা আলে ইমরান:৮৫]
আজ আমরা উপেক্ষিত কারণ.....
হে মুমিনগণ! তোমাদের মধ্যে যে স্বীয় ধর্ম থেকে ফিরে যাবে, অচিরেই আল্লাহ এমন সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন, যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং তারা তাঁকে ভালবাসবে। (সূরা মায়েদা, আয়াত:৫৪)
উবায়দুল্লাহ ইবন মূসা (র)....মুগিরা ইবন শুবা(রাঃ)থেকে বর্ণিত। নবী(সাঃ)বলেছেন,আল্লাহর হুকুম অর্থাৎ কিয়ামত আসা পর্যন্ত আমার উম্মতের এক জামায়াত সর্বদাই বিজয়ী থাকবে। আর তারা হলেন(সেই দল যারা প্রতিপক্ষের উপর)প্রভাবশালী।(বুখারী:৬৮১৩)
জীবন যাচ্ছে গণতন্ত্রের জন্য, নেতাদের জন্য কিন্তু দাবি শাহাদাতের!!
আর যারা আল্লাহর পথে নিহত হয় , তাদেরকে তোমরা মৃত বলোনা । তারা আসলে জীবিত কিন্তু তোমরা তা অনুধাবন করতে পারনা। (সূরা আল- বাকারা : ১৫৪)
উম্মাহকে ৩ দিনের বেশি খলিফাবিহীন থাকাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে( আত তাবারী, তারিখে মদিনা,আত তাবাকাত আল কুবরা) অথচ আমরা ১৯২৪ সালের পর থেকে খলিফাবিহীন এটি নিয়ে আমাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই, আমরা কাঁদছি আমরা গণতান্ত্রিক সরকার থেকে দূরে এজন্য।
আমরা বিদাতকে গ্রহণ করে ইসলামিকরণের চেষ্টা করছি অথচ....
ইরবায বিন সারিয়া (রাঃ)হতে বর্ণিত। রাসূল (সাঃ)বলেন, আর আমার পর তোমাদের কেউ জীবিত থাকলে সে বহূ(ইসলামে)মতভেদ দেখতে পাবে। তখন আমার সুন্নাত এবং হেদায়াতপ্রাপ্ত( ৩০ বছরের ৪জন খলিফা, আবূ বকর, উমার, উসমান ও আলী রাঃ) খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নত অনুসরণ করা হবে তোমাদের অপরিহার্য কর্তব্য।এই সুন্নতকে খুব মজবুত করে দাঁত দিয়ে চেপে ধরবে। আর দ্বীনে নতুন উদ্ভাবিত বিষয়সমূহ থেকে বিরত থাকবে। কেননা, (দ্বীনে)প্রত্যেক নব উদ্ভাবিত জিনিসই হচ্ছে বিদ'আত।আর প্রত্যেক বিদ'আতই ভ্রষ্টতা।(আহমাদ, আবু দাউদ ৪৬০৭, তিরমিজি ২৮১৫, ইবনে মাজাহ, মিশকাত ১৬৫)
তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, তিনি তাদেরকে অবশ্যই খিলাফত দান করবেন, যেমন তিনি দান করেছিলেন পূর্ববর্তীদেরকে এবং অবশ্যই তিনি তাদের জন্য সুদৃঢ় করবেন তাদের দ্বীনকে যা তিনি তাদের জন্য মনোনীত করেছেন এবং তাদের ভয় ভীতির পরিবর্তে তাদের অবশ্যই নিরাপত্তা প্রদান করবেন; তারা শুধু আমার ইবাদত করবে, আমার সাথে কাউকে শরীক করবেনা।অতঃপর যারা অকৃতজ্ঞ তারা তো ফাসিক। (সুরা নূর, আয়াত: ৫৫)
দুঃখিত সমাধানে গেলাম না শুধু আপনাদের বিশ্বাস প্রশ্নবিদ্ধ করে গেলাম কষ্ট পেলে আমাকে ক্ষমা করবেন।
বিষয়: বিবিধ
১৭৮৭ বার পঠিত, ২৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
১৯২৪ সালের পর থেকে খলিফাবিহীন এটি নিয়ে আমাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই ইসলামী ইতিহাসের এই অংশটি আমার জানা নেই! কে ছিলেন তখন খলিফা? কোন বইতে ইনফরমেশন পাওয়া যাবে?
বিশাল কুইজ দিয়ে যে ভাই লিখা শেষ করলে এর উত্তর দেয়া যে দুষ্কর! তবু সমাধানের পথেই রইলাম!
জাযাকাল্লাহু খাইর! আল্লাহ তোমার মেহনতের উত্তম প্রতিদান দান করুন!
https://www.youtube.com/watch?v=qh9awD5KwNY
ধন্যবাদ।
আবারো ধন্যবাদ এ বিষয়ে কষ্ট করে রেফারেন্স সহ লিখার জন্য।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> ফুয়াদ পাশা লিখেছেন : দুনিয়া একজন মুসলিম এর জন্য লিটারেলী জাহান্নাম স্বরূপ - সো আমরা মুসলিমরা নিশ্চয়ই পরকালকে সামনে আনবো এবং পরকালের বিজয় কে প্রাধান্য দিব ইনশাল্লাহ্।তাহলে ইহ দুনিয়ায় গনতন্ত্র, খলিফাতন্ত্র নিয়ে এত ক্যাচালের কি দরকার। তারচেয়ে বরং কবরের পাশে বসে নফল এবাদতি করেন। আল্লা সেটাই পছন্দ করেন। ধন্যবাদ।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
তাহলে ইহ দুনিয়ায় গনতন্ত্র, খলিফাতন্ত্র নিয়ে এত ক্যাচালের কি দরকার। তারচেয়ে বরং কবরের পাশে বসে নফল এবাদতি করেন। আল্লা সেটাই পছন্দ করেন। ধন্যবাদ।
যদি তাদের জন্য আকাশের দুয়ার উন্মুক্ত করে দেই এবং তারা সারাদিন তাতে আরোহণ করতে তাকে, তবুও তারা বলবে,আমাদের দৃষ্টি সম্মোহিত করা হয়েছে, না, বরং আমরা জাদুগ্রস্হ হয়ে পরেছি। (সুরা হিজর, আয়াত:১৩,১৪,১৫)
হে মুহাম্মাদ! যদি আমি কাগজের উপর লিখিত কোন কিতাব তোমার প্রতি অবতীর্ণ করতাম, অতঃপর তারা তা নিজেদের হাত দ্বারা স্পর্শও করতো; তবুও কাফির ও অবিশ্বাসী লোকেরা বলত যে, এটা প্রকাশ্য যাদু ছাড়া আর কিছুই নয়। (আনআম:৭)
এবং তোমার প্রতিপালক ক্ষমাশীল, দয়াবান। তাদের (অবিশ্বাসী) কৃতকর্মের জন্য তিনি তাদেরকে শাস্তি দিতে চাইলে তিনি তাদের জন্য শাস্তি খুব তাড়াতাড়ি পাঠাতেন, কিন্তু তাদের জন্য রয়েছে এক প্রতিশ্রুত মুহূর্ত, যা হতে তাদের পরিত্রাণ নেই।(কাহাফ:৫৮)
অতএব কাফিরদেরকে অবকাশ দাও, তাদেরকে অবকাশ দাও কিছুকালের জন্য।(সুরা আলা:১৭)
অনন্তর যেদিন আমি তাদেরকে একত্রিত করব-যাতে কোন সন্দেহ নেই, তখন তাদের কি দশা হবে? এবং প্রত্যেক ব্যক্তি যা অর্জন করেছে, তা সম্যকরূপে প্রদত্ত হবে এবং কারো প্রতি অত্যাচার করা হবেনা (সুরা আল ইমরান, আয়াত:২৫)
যখন আপনার কাজের সমালোচনা হবে তখন ই মনে করবেন আপনি কিছু করছেন সমালোচনা না হলে মনে করবেন আপনি কিছু করছেন না ।
তাই ভাইয়া আপনি আপনার লেখাটা পুড়াপুড়ি শেষ করলেই পারতেন আমি ও কিছু জানতে পারতাম অনেকের হয়ত ভুলও ভাঙত ।
অনেক ধন্যবাদ ঘুম ভাঙানিয়া ভাইয়া ।
এটা বুখারী শরীফের ডাউনলোড লিংক সবগুলো খন্ডের পিডিএফ ভার্সন।
যদিও আমার মতে কুরআনের বাংলা অর্থের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বাংলা অনুবাদটাই সবচেয়ে বেস্ট কারণ প্রচুর আলেম এর পেছনে সময় ব্যায় করেছেন তবুও http://www.quraneralo.com/translation-of-quran-in-bangla-language/ লিংকের বাংলা অর্থ আল কুরআন মোটামোটি ভাল মানের। পড়েন বেশি বেশি অনেক জানতে পারবেন তবে এসব ব্যাপারে পড়ার সাথে সাথে আলেমদের সাথে এসব ব্যাপারে পরামর্শ করবেন নিজে নিজে ব্যাক্ষা-বিশ্লেষণ করতে যাবেননা তবে বিভ্রান্ত হতে পারেন কারণ আল্লাহ নিজেই কোরানে বলেছেন, আল্লাহ একই আয়াত দিয়ে কাউকে সঠিক পথ প্রদান করেন এবং কাউকে বিভ্রান্ত করেন কাজেই আলেমদের বোঝার জ্ঞান, ক্লিয়ার ভিউ আর আমাদের বোঝার ব্যাপার এক হবেনা তাই আলেম জরুরী। যদি পারেন মুসলিম শরীফের ৪১ অধ্যায় পড়বেন এবং বুখারী শরীফের ১০ম খন্ড বর্তমানকে নিজের চোখে দেখতে পাবেন, অনেক কিছুই ক্লিয়ার হয়ে যাবে। আয়েশা (রাঃ) এর একটা হাদিস মনে পরছে তবে রেফারেন্স আর সম্পূর্ণ বক্তব্যটি মনে নেই। উনি বলেছিলেন, যদি প্রথমদিনই আল্লাহ মদ সহ বেশ কয়েকটি খারাপ বিষয় হারাম করে দিতেন তবে মুসলিম খুঁজে পাওয়া যেতনা অর্থাৎ কেউ আর ইসলাম ধর্ম গ্রহণই করতোনা। তাই ইসলাম ধাপে ধাপে মানুষের চিন্তা চেতনায় পরিবর্তন এনেছে। মদ-ব্যভিচার, সুদ ইত্যাদিকে সমাজে অপ্রয়োজনীয় করে তুলেছে। দীর্ঘদিন ধরে যা সমাজে চর্চা হচ্ছে তা একদিনেই মুছে ফেলা সম্ভব না।
আমি নিজেও তাই মনে করি এসব বিষয় নিয়ে অনেকের সাথে তর্ক-বিতর্ক হয়েছে এমনকি এসব দলের নীতি-নির্ধারণী দায়িত্বপ্রাপ্তদের সাথে তারা তর্কে হেরেছে কিন্তু যা তারা এতদিন লালন করছে তা ছাড়া সম্ভব না তাই তারা পারেওনি। আজ আমি বিতর্ক উঠালাম কাল হয়ত অন্যকেউ উঠাবে এভাবেই একদিন অনেকলোক। আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখলে, সুযোগ দিলে ভবিষ্যতে হয়ত লিখতেও পারি। আমি ব্যক্তিগতভাবে খুব একটা ভাল অবস্হায় নেই, মানুষিকভাবে চরম একটা মুহূর্ত পার করছি তাই ইদানিং ধৈর্যও কম।
সুন্দর লিখাটির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
বিশাল থিসিস লিখেও মুসলিমদেরকে এর চে’ বেশী কিছু বুঝানো সম্ভব নয়।
সত্যি, বিশ্ব মুসলিম আজ দিশেহারা!
ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি আফরা সাইয়ারার কমেন্টের জবাবে লিখেছেন,’আমি নিজেও তাই মনে করি এসব বিষয় নিয়ে অনেকের সাথে তর্ক-বিতর্ক হয়েছে এমনকি এসব দলের নীতি-নির্ধারণী দায়িত্বপ্রাপ্তদের সাথে তারা তর্কে হেরেছে কিন্তু যা তারা এতদিন লালন করছে তা ছাড়া সম্ভব না তাই তারা পারেওনি। আজ আমি বিতর্ক উঠালাম কাল হয়ত অন্যকেউ উঠাবে এভাবেই একদিন অনেকলোক। আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখলে, সুযোগ দিলে ভবিষ্যতে হয়ত লিখতেও পারি। আমি ব্যক্তিগতভাবে খুব একটা ভাল অবস্হায় নেই, মানুষিকভাবে চরম একটা মুহূর্ত পার করছি তাই ইদানিং ধৈর্যও কম।’
জানতে আগ্রহী কোন দলের নীতি নির্ধারণী দায়িত্ব প্রাপ্তরা আপনার সাথে হেরেছেন এবং তারা কি লালন করে আসছে যা থেকে সরে আসতে পারছেন না?
আর ভাইয়া কিছু মনে না করলে জানতে চাই- অধৈর্য্য,মানসিক অশান্তি এবং ব্যক্তিগত সমস্যার মধ্যে ডুবে থেকে এমন একটি কঠিন বিষয়ে হাত দেয়া কি আপাতত ঠিক হয়েছে?
আপনার লেখার আশায় থাকলাম।
জানতে আগ্রহী কোন দলের নীতি নির্ধারণী দায়িত্ব প্রাপ্তরা আপনার সাথে হেরেছেন এবং তারা কি লালন করে আসছে যা থেকে সরে আসতে পারছেন না?
এটা ব্যাখ্যা করতে চাইনা কারণ বুদ্ধিমানের জন্য ইশারাই যথেষ্ট। ইদানিং ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে যে, রাসূল (সাঃ) এর যেই খেলাফত ছিল আসলে সেটাই হল ইসলামী গণতন্ত্র, গণতন্ত্র খারাপ তবে ইসলামী গণতন্ত্র ভাল। সম্প্রতি আমি আইআইউসির বায়োগ্রাফি অফ মুহাম্মাদ (সাঃ) বই যা ক্লাস পাঠ্য বই, তাতেও এমন বক্তব্য দেখলাম। আমি ইসলামি গণতন্ত্র বলতে তাদের সেই প্রচারণার প্রতি ইঙ্গিত করেছি। জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া।
জাজাকাল্লাহু খাইরান
মন্তব্য করতে লগইন করুন