Survival of the fittest!! পরিবার প্রথা কি বিলুপ্ত হয়ে যাবে?

লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ১৮ এপ্রিল, ২০১৫, ০১:৪৪:২৫ রাত



বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের ব্যাপারটা নিয়ে প্রতিদিন দেখছি অনেক পোস্ট। অতি নারীমণা নারীরা আবেগে ফেটে পরছেন এমনকি নারীকন্ঠে এটাও বলতে শুনেছি, নারী হয়ে জন্মানোটাই অপরাধ। কেউ আবার হিজাব নিয়ে টানাটানি শুরু করেছেন। একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসীরা বিপরীত মতে বিশ্বাসীদের উপর আচ্ছামত মনের ঝাল মেটাচ্ছেন কারণ ব্যাপারটা যে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের কর্মীদের হাতেই ঘটেছে। কেউ কেউ আবার সেই নারীদেরই দোষ দিচ্ছেন, "সব জানার পরেও তারা কেন যায়?" আবার নারী-পুরুষ নির্বিশেষে অনেক প্রশ্ন তুলছেন, এত মানুষ ছিল তারা কেন প্রতিরোধে এগিয়ে আসলোনা?

সত্যি বলতে এদেশের সিষ্টেম এদেশের সবাইকেই selfish এ পরিণত করেছে। তাই এটা শুধু নারীদের বেলায় না, বরং সবার বেলাতেই একই ব্যাপার প্রযোজ্য। বিপদে নারী বা পুরুষ যেই-ই পরুক না কেন, কেউ কারো সাহায্যে এগিয়ে যায়না। বাস্তবতা হল, আপনি কোন অন্যায় দেখলেন এবং সিদ্ধান্ত নিলেন প্রতিবাদ করবেন। মনে মনে ভাববেন "আমি আগাই সম্ভবত অন্যরাও এসে আমাকে সাহায্য করবে" কিন্তু অন্যরা কখনো এগিয়ে আসবেনা। আপনি প্রতিবাদ করতে যাবেন তো দেখবেন, উল্টা আপনার উপরেই সন্ত্রাসীরা হামলে পরেছে যারা কিছুক্ষণ আগে আপনি যাকে বাঁচাতে গিয়েছিলেন, তার উপর আক্রমণ করেছিল।অর্থাৎ এখন তাদের victim দুজন,

১. আপনি

২. যাকে আপনি বাঁচাতে গিয়েছেন তিনি।

প্রশ্ন আসে, হটাৎ সবাই এত স্বার্থপর হয়ে উঠল কেন?এদেশের মানুষগুলো তো আগে এমন ছিলনা। অবশ্য যেখানে আইনের শাসন নেই, সুবিচার পাওয়ার অধিকার নেই, নিরীহ মানুষের প্রতি শাসকদের কোন দায়বন্ধতা নেই_ সেখানে কোন মানুষও মানুষের জন্য নেই। তবে সম্ভবত হতাশার প্রকৃত উত্তর খুঁজে পাওয়া যায় প্রাক-সেকুলার পশ্চিমা সমাজের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে।

ইতিহাসে আমরা দেখতে পাই, জীবদ্দশায় ঈসা (আঃ) এর চরম শত্রু গোড়া ইহুদি সেন্ট পল বা পৌল বা হিব্রু ভাষায় শৌল নামের ব্যক্তির হাতে বিকৃতরূপে প্রকাশিত খৃষ্টধর্ম ইউরোপে প্রবেশ করার পর তা ধর্মযাজকদের ধর্মপ্রচার ও রোমানদের দেশ জয়ের সাথে সাথে গোটা ইউরোপ জুড়ে ছড়িয়ে পরে। যেখানে ঈসা (আঃ) এর অনুসারীরা নাসারা নামে পরিচিত ছিল, সেখানে সেন্ট পলের বিকৃত ধর্মের অনুসারী ইউরোপীয়রা খৃষ্টান নামে পরিচিতি লাভ করে। তার পর হাজার হাজার বছর ধরে পশ্চিমা সমাজ খৃষ্ট ধর্মের উপর ভিত্তি করেই টিকে ছিল। যুগে যুগে পাদ্রিদের হাতে সেই বিকৃত খৃষ্ট ধর্মের ধর্মগ্রন্হ বাইবেলও কাটা-ছেড়া হতে হতে তা হয়েছে আরো বিকৃত, অগ্রহণযোগ্য, মূল্যহীন। শিক্ষাব্যাবস্হা, আইন, বিচারকার্য ইত্যাদি সব কিছুই ছিল গীর্জা ও পাদ্রি কেন্দ্রীক। অনেকক্ষেত্রে রাজাদের চাইতে তাদের ক্ষমতার দাপট ছিল দ্বিগুণ আবার রাজারাও তাদের উপর ছিল নির্ভরশীল। পাদ্রিরা নিজেদের ইচ্ছামত ধর্মের বিকৃতি ও নিজেদের সুবিধামত তার প্রসার ও প্রয়োগ করত এবং মানুষকে শাসন ও নিয়ন্ত্রণ করত। পাদ্রিদের বাড়াবাড়ি, অন্যায়-অত্যাচার, প্রতারণা, ধর্মের নামে সম্পদ লুন্ঠন, জীবনহানি এবং নারীর প্রতি সহিংসতার পরিমাণ ছিল ভয়াবহ। এই কারণে মানুষ হয়ে পরেছিল নিরুপায়।

ধর্মকে কেন্দ্র করে পশ্চিমা সমাজে পরপর কয়েকটি সংঘাত ও বিপ্লবের ঘটনা ঘটে যা আজ পশ্চিমা সমাজকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। মধ্যযুগে পাদ্রিরা ব্যাপক দূর্নীতিপরায়ন ও অত্যাচারী হয়ে ওঠে। তারা গরীব মানুষকে ধোঁকা দিয়ে তাদের কাছে স্বর্গের টিকিট বিক্রি করা শুরু করে যাতে লাগানো থাকত গীর্জার সীল। পাদ্রিদের এই কার্যকলাপে এবার আপত্তি ওঠে গীর্জার ভেতর থেকেই। নৈতিকতাসম্পন্ন কিছু পাদ্রি ধর্মের নামে ধোঁকাবাজি, মানুষের উপর অত্যাচার এসবের প্রতিবাদ করেন। ফলে পাদ্রি ও গীর্জা ভাগ হয়ে পরে ক্যাথলিক ও প্রোটেস্টট্যান্ট দুটি অংশে। কিন্তু এই বিভক্তি পশ্চিমা সমাজকে আরো সমস্যায় পতিত করে। পরে আবার নতুন করে শুরু হয় রাজাদের সাথে পাদ্রিদের ক্ষমতার দ্বন্দ। ধর্মের সাথে ৩য় সংঘাতটি ছিল, "শিল্প বিপ্লব ও নারী অধিকার আন্দোলন।"

শিল্প বিপ্লবের কিছুকাল আগে থেকে বিজ্ঞানীরা সহিংসতার শিকার হন কারণ বৈজ্ঞানিক বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত খৃষ্টান ধর্মের বিপক্ষে যাচ্ছিল। মানুষও ধর্মের নামে অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে চেয়েছিল।এসময় দুরখেইম, কার্লমার্কস, এঙ্গেলস, নিৎসে, ফ্রয়েড, ডারউইন, ডিডেরট, বেরন ডি হোলবাখ এর মত বিজ্ঞানী ও দার্শনিকরা পশ্চিমা সমাজকে ধর্ম থেকে মুক্ত করে নাস্তিকতাবাদ ও বিজ্ঞানের পথে পলিচালিত করেন। ধর্ম ও গীর্জা থেকে আইন ও শাসনব্যাবস্হা, শিক্ষাব্যাবস্হা ইত্যাদি সব কিছুকেই পৃ্থক করে ফেলা হয়। আইন তৈরীর জন্য বানানো হয় পার্লামেন্ট এবং আইনপ্রনেতা বা এমপি। এখন থেকে মানুষের ভাগ্য নিয়ন্ত্রক মানুষ নিজে, গড না। গড শুধু থাকবে গীর্জায় ও মানুষের মনে মনে। সমাজে, আইনে, শাসনব্যাবস্হায় ও শিক্ষায় তার কোন হস্তক্ষেপ আর মানা হবেনা। এখন থেকে জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। এটিই হল সেই তত্ত্ব যা আমরা আজ গণতন্ত্র নামে চিনি। যেহেতু ধর্মের মুলোৎপাটন করা হয়েছে কাজেই সেকুলারদের হাতে নতুন সমাজব্যাবস্হার রূপরেখা তৈরী হয়। কিন্তু সেকুলাররা ছিল কার্যত পাদ্রিদের চাইতেও নিকৃষ্ট মানষিকতার। তারা পরিবার প্রথা বিলোপ সাধনের পক্ষে মত দেয়। তাদের মতামত হল, পরিবার প্রথা হল নারীকে দাসী বানিয়ে রাখার একটি ধর্মীয় প্রক্রিয়া। হাজবেন্ড-ওয়াইফের ভালবাসা মূলত যৌনতা ব্যতীত আর কিছুইনা কাজেই তা বিলুপ্ত করে নারীদের কর্মক্ষম করে অর্থনীতিতে কাজে লাগাতে হবে। পরিবার থাকবেনা কারণ নারী তার অর্থনৈতিক চাহিদা পুরণের জন্য তার হাজবেন্ডের উপরে নির্ভর করতে পারে। তাই নারীকে পরিবার থেকে মুক্ত ও স্বাধীন করতে হবে। অর্থনীতির ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয় ডারউইনের তত্ত্ব, "survival of the fittest." তাকে বলা হল, হে নারী! শোন, তুমি পুরুষের সমান, কাজেই তোমাকে সমাজে টিকে থাকতে হলে পুরুষের সাথে অর্থনৈতিক প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হয়ে টিকতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠলো, পরিবার না থাকলে মানব শিশুর জন্ম হবে কিভাবে? তারা পরিবারের বিকল্প হিসেবে কমিউন (১০০ জন নারী ও ১০০ জন পুরুষের ছোট সমাজ) ব্যাবস্হা গড়ে তোলার পক্ষে রায় দিল যেখানে কমিউনের নারী-পুরুষ যে যার সাথে ইচ্ছা যৌনকার্যে লিপ্ত হবে, সন্তান জন্ম নিলে "কার সন্তান?" এটি কেউই জানবেনা। বাচ্চাটিকে তারা ঠিক ততদিনই লালন-পালন করবে, যতদিননা সে সাবালক-সাবালিকা হচ্ছে। তারপর প্রাপ্তবয়ষ্ক মানব সন্তানটিকে নিজের যোগ্যতায় সমাজে টিকে থাকতে হবে।

অষ্টাদশ শতাব্দীর আরেকটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, নারী অধিকার আন্দোলন। এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন সুসান বি এন্হনি, মেরি পার্কার ফলেট, মার্গারেট স্যাংগার এর মত নারীরা। তবে তা বর্তমান নারী অধিকার আন্দোলনের মত ছিলনা। তারা আন্দোলন করেছিলেন নারীর শিক্ষা, স্বাস্হ্য, সম্পত্তি, নিরাপদ মাতৃত্ব, বাক স্বাধীনতা ইত্যাদির নিশ্চয়তা, ভোটাধিকার সহ বিভিন্ন ইস্যুতে। যেহেতু ধর্মের অবসান হয়েছে এবং সমাজে সেকুলার বিজ্ঞানী ও দার্শনিকদের জয়জয়কার ফলে নারী অধিকার আন্দোলন প্রভাবিত হয় বিজ্ঞানী ও সেকুলার দার্শনিকদের চিন্তাধারা দ্বারা, পরিণত হয় সহায়ক শক্তিতে। নারী ঘর ছেড়ে বাইরে আসে পুরুষের সাথে সমানত্বের লড়াইয়ে, কিন্তু হোচট খায়। কারণ প্রকৃতিগতভাবেই পুরুষেরা নারীর চাইতে শারিরিকভাবে অধিক শক্তিশালী। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্র, চলার পথে তার উপর শুরু হয় যৌন নির্যাতন কিন্তু কেউ সাহায্যে এগিয়ে আসতে চায়না কারণ survival of the fittest. সে টিকতে না পারলে অন্যের কি করার আছে? নৈতিকতা, মনুষত্ব ইত্যাদির তাড়নায় একজন মানুষ অন্য মানুষকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। কিন্তু নৈতিকতা-মনুষত্বের ভিত্তিই হল ধর্ম অথচ এখানে ধর্ম অনুপস্হিত তাই সমাজ পরিণত হয় এক দয়ামায়াহীন, ভোগবাদী, কঠোর মনোভাবের, স্বার্থপর একদল মানুষের অভয়ারণ্যে। যেহেতু সেকুলারিজম ও গনতন্ত্রের হাত ধরে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয় পুঁজিবাদ যার ভিত্তিই হল, survival of the fittest_ তাই পুঁজিবাদিরা হয়ে ওঠে সমাজের নিয়ন্ত্রক। শাসনে-শোষণে শ্রমিকশ্রেণী হয় নিষ্পেষিত আর নারী হয়ে পরে সম্পূর্ণরূপে নিরাপত্তাহীন। নারী নিরাপদ আশ্রয় ঘর হারালো, বাইরে পুরুষের যৌন নির্যাতন, অর্থনীতিতে পুরুষের সাথে পাল্লা দিয়েও কম উপার্জন_ এসব তার নিত্য সঙ্গী। কিন্তু এখানেই শেষ না এবার শুরু হল রক্তসম্পর্কের আত্বীয় দ্বারা পারিবারিক যৌন নির্যাতন (incest)। যেই পুরুষের দায়িত্ব ছিল তার সম্ভ্রম রক্ষা করার, সে নিজেই তার সম্ভ্রম কেড়ে নিচ্ছে। ঘরে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, কর্মক্ষেত্রে, চলার পথে সবখানেই যৌন নির্যাতন। তাকে সবাই ভোগ্যপণ্যের চোখেই দেখতে লাগল। ফলে নারী হারালো পুরুষের প্রতি বিশ্বাস, ভালবাসা, শ্রদ্ধাবোধ এবং সে হয়ে উঠল পুরুষ বিদ্বেশি। পাশাপাশি পশ্চিমা সমাজ নারীকে সম্পত্তির অধিকার ও অন্যান্য কিছু বাড়তি সুবিধা দিতে গিয়ে এমন কিছু জটিল আইন তৈরী ও প্রয়োগ শুরু করল যা হাজবেন্ডের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে, এর ফলে পুরুষেরা বিয়েতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলল। আর যে সমাজে নারী-পুরুষের একে অপরের প্রতি বিশ্বাস, ভালবাসা, সহমর্মিতা, শ্রদ্ধাবোধ, নির্ভরতা নেই সেখানে সম্পর্ক টিকবে কিভাবে? এখানে নারী-পুরুষের সম্পর্ক মানে শুধুই যৌনতা। যৌনতা তো সেখানে খুবই সস্তা তার জন্য বিয়ের দরকার হবে কেন? আবার অনেকক্ষেত্রেই এই সস্তা ও সহজলভ্য যৌনতার ফলে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি অনেকেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। ফলে এই অবিশ্বাস, বিদ্বেশ, স্বার্থপরতা আর সস্তা যৌনতা ইত্যাদি থেকে সেখানে জন্ম নিল সমকামিতা ও লিভ টুগেদার। নারী যৌন সঙ্গী হিসেবে বেছে নিল নারীকে আর পুরুষ বেছে নিল পুরুষকে কিন্তু অনেকেই আবার যৌন চাহিদা মেটানোর জন্য প্রকৃতির নীতির বাইরে যেতে চাইলোনা তাই তারা শুরু করল লিভ টুগেদার। এখানে বিবাহিত হাজবেন্ড-ওয়াইফের মত কারো প্রতি কারো কোন দায়বদ্ধতা নেই, নির্ভরশীলতা নেই। তারা নিজের ব্যাপারে স্বাধীন, একে অন্য থেকে মুক্ত তারা শুধু যৌনতা নিবারণের জন্যই একে অন্যের সাথে অবস্হান করছে, সম্পর্ক শুধু এটুকুই। পশ্চিমা নারীরা "ফিগার নষ্ট হয়ে যাবে" এই ভয়ে সন্তান নিতে চায়না। সেখান থেকে জন্ম আরেক ব্যাবসার_ পিল, কনডম কত কি!!

এবার দেশে ফেরার পালা নিশ্চয়ই ভাবছেন তবে বিদেশ নিয়ে কেন এতগুলো কথা বললাম? কারণ আমাদের দেশেও আজ সেই একই ঘটনাগুলো ঘটছে। কেন ঘটছে? কারণ ঘটানো হচ্ছে। পশ্চিমা সেকুলার সমাজ তার নৈতিক অবস্হান নিয়ে আজ মোটেও লজ্জিত না কারণ secularism, democracy, capitalism, Open market তাকে সুযোগ করে দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার অন্যান্য দেশের মানুষের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে, তাদের খনিজ সম্পদ ও অর্থনীতির উপর তার মালিকানা পাকাপোক্ত করতে, যা দিয়ে তারা গড়ে তুলছে চোখঝলসানো শহর-বন্দর এবং অত্যাধুনিক সামরিক বাহিনী।

George Curzon, the british secretary of state for foreign affair (1911-1921) বলেছিলেন, "We must put an end to anything which brings about any Islamic unity between the sons of the Muslims. As we have already succeeded in finishing off the Khilafah, so we must ensure that there will never arise again unity for the Muslims, whether it be intellectual or cultural unity."

আমরা দেখেছি তুরষ্কে ওসমানী খেলাফত উচ্ছেদ করে তারা মুসলিম ভূখন্ডকে ৫৭ টি ভাগে, ৫৭ টি জাতীয়তায়, ৫৭ টি জাতীয় পতাকায় বিভক্ত করেছে। শুধু ভূখন্ডই নয় বরং তারা মুসলিমদের মাঝেও বিভক্তি সৃষ্টি করেছে । secularism, democracy, capitalism, nationalism ইত্যাদি দিয়ে মুসলিমদের টুকরো টুকরো করেছে, একের বিরুদ্ধে অন্যকে দাড় করিয়ে দিয়েছে। তারা তাতেও আশ্বস্ত হতে পারেনি কারণ তারা মুসলিমদের বিভক্ত করছে, যার নেতৃত্বে রয়েছে আলেমরা, যাদের কাছে রয়েছে ওহীর জ্ঞান। তাই তারা চেয়েছিল আলেমদের নেতৃত্বে ফাঁটল ধরাতে। এজন্যই তারা তৈরী করেছিল মডারেট ইসলামিস্ট যাদের হাতে তৈরী হয়েছে মডারেট ইসলামিক মুভমেন্ট বা গণতান্ত্রিক ইসলামি দল। এই দলগুলো না জেনে হোক বা জেনে হোক, মানুষকে আলেমদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। মানুষকে খেলাফত থেকে দূরে এনে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে উৎসাহিত করছে। আবার তাদের বিরুদ্ধেও সেকুলার রাজনৈতিক দলগুলোকে দাড় করিয়ে দেয়া হয়েছে। স্বার্থের জন্য, লোভের জন্য কিছু নামকাওয়াস্তে মুসলিম তাদের অনুসরণ করছে। টাকা খাইয়ে কিছু মিডিয়া, সুশীল, চেতনাধারীদের ভাড়া করা হয়েছে যারা ঘটা করে বর্ষবরণ, ভালবাসা দিবস, হ্যাপি নিউ এয়ার, কিস ডে, হাগ ডে ইত্যাদি ছাইপাশ পালন করার জন্য তরুণ-তরুণীদের উৎসাহিত করছে। নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশায় ঘটছে যৌন নির্যাতন। এসব অনুষ্ঠানে যৌন নির্যাতন হটাৎ কোন দূর্ঘটনা না, বরং এসবও বিভক্ত জনগোষ্ঠীকে আরো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগে বিভক্ত করার প্রক্রিয়া। সম অধিকার, নারী অধিকার ইত্যাদির দোহায় দিয়ে তারা এখন নারীকে পুরুষের বিরুদ্ধে আর পুরুষকে নারীর বিরুদ্ধে দাড় করিয়ে দিবে। সমাজ থেকে বিয়ে, নারী-পুরুষের মধ্যকার বিশ্বাস, দায়বদ্ধতা, ভালবাসা সব কিছুই একে একে বিদায় নিবে আর এর বদলে সমাজে জায়গা করে নিবে, "ব্যভিচার,সমকাম, লিভ টুগেদার, Incest." পরিবার বিলুপ্ত হবে ফলে এমন কোন মুসলিম মনীষী জন্ম নিবেনা যাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠবে মুসলিম নেতৃত্ব ও ভ্রাতৃত্ব। লাখো কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে গিয়ে যৌন হয়রাণির শিকার একজন নারীর মন্তব্য এটা:

"আমার নিজেরো কান্না পাচ্ছে যে , এতটা বর্বর হতে পারে পুরুষরা ? তাদের লালসাগুলো কি রাস্তায় মেয়েদের দেখলে ঠিকরে পড়ে ? এতবড় একটা জাতীয় অনুষ্ঠানে এসেও কি লাইনে দাঁড়ানো মেয়েদের সাইড না দিয়ে চাপ দিতে হবে শরীরের নানা স্থানে ? বিকৃত যৌনতা কি রাস্তাতেই দেখাতে হবে? হে পুরুষ! তোমার কামবাসনাগুলো কি এতটাই দূর্বলচিত্তের যে, তা সামান্য চাপাচাপি আর জিভ দিয়ে দূর থেকে চুকচুক করলেই পূরন করা যায় রাস্তাঘাটে? আজ আবারো আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, আমাকে কখনও ছেলে সন্তান দিও না । ছিঃ ছিঃ ছিঃ !_

রোকসানা কানন

এম.ফিল গবেষক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

হে মুসলিম পুরুষ! তোমার জন্ম একজন নারীর গর্ভে।হে মুসলিম নারী! তোমার জন্ম একজন পুরুষের শুক্রাণুতে।তুমি পুরুষ কিন্তু তোমার শরীরে একজন নারীর রক্ত বইছে। তুমি নারী কিন্তু তুমিও একজন পুরুষের রক্ত বহন করে চলেছ। তোমার স্বতন্ত্রতা কিসে?

আল্লাহর রাসূল বলেছিলেন, "সমস্ত মুসলিম হল একটি শরীরের মত যার একটা অংশ আঁঘাত পেলে সমস্ত অংশ ব্যাথা অনুভব করে।" আজ তোমার শরীর কেটে-ছিড়ে টুকরো টুকরো করে দেয়া হচ্ছে অথচ মুসলিম তুমি ব্যাথা পাওনা কেন?কার বিরুদ্ধে দাড়াচ্ছ তুমি? নিজের বোনের বিরুদ্ধে!! নিজের ভাইয়ের বিরুদ্ধে!! কিসের অহংকার তোমার? আল্লাহ তোমাকে নারী আকৃতিতে পাঠিয়েছেন তাই তুমি নারী, আল্লাহ তোমাকে পুরুষ আকৃতিতে পাঠিয়েছেন তাই তুমি পুরুষ। অথচ তুমি শরীরের বড়াই কর ওহে! এই শরীর কি তোমার?

বিষয়: বিবিধ

২৮০৮ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

315537
১৮ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০২:১০
শেখের পোলা লিখেছেন : অনেক মূল্যবান কথা বেরিয়ে এসেছে এ লেখায় আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ৷
১৮ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯
256598
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : শেখের পোলা ভাইয়া মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও। Good Luck Good Luck
315548
১৮ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৯:৩৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো
সম্মিলিত ভাবে যদি আমরা পতন কেই গ্রহন করি তা হলে সেটা কেউ ঠেকাবে না।
১৮ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭
256599
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : রিদোয়ান ভাইয়া আপনার কথার সাথে পরিপূর্ণভাবে আমি একমত। ধন্যবাদ ভাইয়া। Good Luck Good Luck
315553
১৮ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ১০:২৬
আফরা লিখেছেন : যদিও একটু বড় কিন্তু কথাগুলো অনেক মুল্যবান । আনেক ভাল লাগল ধন্যবাদ ঘুম ভাঙানিয়া আপু ।
১৮ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:০৯
256602
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : হ্যা! লেখাটাকে আমি অনেক কাটছাট করেও ছোট করতে পারলামনা। মনে হচ্ছে আরো কাটছাট করা দরকার কিন্তু কোনটা বাদ দিব বুঝতে পারছিনা। একটা প্যারা কেটে দিয়েছি। আসলে আগের ব্লগ পোস্টগুলো বড় হত সেটাই বৈশিষ্ট ছিল কিন্তু ইদানিং ফেসবুক, মিনি ব্লগিং টুইটার ইত্যাদির জন্য মানুষ আর বড় লেখা ধৈর্য্য নিয়ে পড়তে চায়না। ধন্যবাদ আফরা সাইয়ারা মন্তব্য প্রদানের জন্য। Good Luck Good Luck Good Luck
315570
১৮ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬
আবু জান্নাত লিখেছেন : অনেক মূল্যবান পোষ্ট, অনেক কিছু শিখলাম। ধন্যবাদ।
১৮ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:০২
256601
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আবু জান্নাত ভাইয়া মন্তব্য প্রদানের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া।Good Luck Good Luck
315613
১৮ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:১৪
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : অনেক মূল্যবান পোষ্ট!
১৮ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৩৪
256636
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম। মাহবুবা আপু মনে হয় এই প্রথম আপনি আমার কোন লেখায় মন্তব্য করছেন। জাঝাক আল্লাহ আপি।Good Luck Good Luck
315626
১৮ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০১
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : আপনার প্রতিটি লিখা গুরুত্বপূর্ণ আজকের এই লিখা মার কাছে অনেক তত্ত্ব বহুল এবং সময়উপযোগী লেগেছে ,,ধন্যবাদ
১৮ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১০
256643
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ভাইয়া আমার লেখা ধৈর্য নিয়ে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া। Good Luck Good Luck
315757
১৯ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:১৬
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম!

কিন্তু নৈতিকতা-মনুষত্বের ভিত্তিই হল ধর্ম অথচ এখানে ধর্ম অনুপস্হিত তাই সমাজ পরিণত হয় এক দয়ামায়াহীন, ভোগবাদী, কঠোর মনোভাবের, স্বার্থপর একদল মানুষের অভয়ারণ্যে। এককথায় চমৎকার!

লিখাটি পড়লাম আলহামদুলিল্লাহ! তথ্যভিত্তিক এবং বিবেক নাড়া দেয়ার মত সচেতন লিখা! সুন্দর লিখাটা শেয়ার করার জন্য শুকরিয়া!

আমার ইদানিং মনেহচ্ছে, প্রিয় মানুষদের যতই বলছি আগুনে ঝাপ দিও না তারা পতংগের মতন উড়ে সেই আগুনেই ঝাপ দিতে প্রস্তুত!

দাওয়াহর কাজে আল্লাহ আমাদের একনিষ্ঠ রাখুন! আমীন!

জাযাকাল্লাহু খাইর!
১৯ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১০:২২
256875
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম। কেমন আছ আপু তুমি? আমার খুব মন খারাপ। আমার ফ্যামিলি মেমবাররা অতি উদারমনা ঔদিন আমার ভাইরা-ভাবীরা, বোন সবাই ই খুব সেজেগুজে বের হয়েছিল রাতের বেলা ফেসবুকে সবার ছবি আপলোডের হিড়িক পরে গিয়েছিল। অথচ এই ঘটনাটা তাদের সাথেও হতে পারত। তাদের মানা করলে তারা আরো রেগে যায়, বিরক্ত হয়। অবশ্য ঢাকা শহরে বিনোদনের কোন ব্যাবস্হা নেই তাই কোন উপলক্ষ পেলেই মানুষ বের হয় একঘেয়েমী দূর করার জন্য। আপু গতকাল আমি ঐ ঘটনার কয়েকটা ভিডিও ফুটেজ দেখলাম সবটুকু দেখার সাহস হয়নি। আপু খুব কান্না পাচ্ছে। আমি বাসার লোকের কাছে এমনিতেই ইউজলেস,ভ্যালুলেস বলে বিবেচিত যার কোন ফিউচার নেই। নিজের কাছে অনেক আগেই হেরে গেছি এখন এই সমাজের কাছেও হারতে হচ্ছে। আপু একটা জিনিস দেখেছ? মডারেট ছেলে-মেয়েরা একে অপরকে গালাগলি করছে বিদ্বেশ ছড়াচ্ছে একে অন্যের বিরুদ্ধে। কিন্তু অবাক হচ্ছি এই কারণে যারা নিজেদের ইসলামিস্ট পুরুষ বলে দাবি করেন বা নিজেদের ইসলামিস্ট নারী বলে দাবি করেন এরা পর্যন্ত একজন অন্যজনকে দোষারোপে উঠে পরে লেগেছে। নারীরা নিজেকে মানুষ পরিচয়ের চাইতে বেশি নারী ভাবতে শুরু করেছে আর নারীসুলভ আবেগে অন্ধ হয়ে পরেছে আর পুরুষেরাও নিজেদের পুরুষ পরিচয়টির জন্য একরকম কতৃত্ব মনোভাব নিয়ে কথাবার্তা বলছে। দোষারোপের বেলায় বাছবিচার না করে গোটা নারী জাতের চারিত্রিক পোস্টমর্টেম শুরু করে দিয়েছে। অর্থাৎ বিদ্বেশ আরো বাড়বে। কেউ আর কাউকে সহজে বিশ্বাস করবেনা। কদিন পর মা তা ছেলে সন্তানকে শত্রু ভাববে আর মেয়েরা বাবা-ভাইকে। অর্থাৎ সবদিক দিয়েই জয়ী হল শয়তান আর তার দোসর সেকুলারেরাই। ব্লগ ছেড়ে দেব খুব তাড়াতাড়ি এসবের কোন মানে নেই।
২০ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৩:৫৩
256932
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : ভাইটির খুব মন খারাপ মনে হচ্ছে!মন্তব্য লিখতে গিয়ে লিখে ফেললাম একটি পোস্ট! একটু চোখ বুলানোর অনুরোধ রইলো!Good Luck
315935
২০ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৮:৪০
ইসলামিক রেডিও লিখেছেন : লিখতে থাকুন ভাই। জাঝাকাল্লাহ
২০ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৯:২০
256959
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আল্লহ আপনাকেও উত্তম বিনিময় প্রদান করুক।Good Luck Good Luck Good Luck
316185
২১ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৯:৫৭
সন্ধাতারা লিখেছেন : ইতিহাসের নিরিখে অনেক জ্ঞানগর্ভ, শিক্ষণীয় ও মূল্যবান পর্যালোচনা যা পাঠককে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করবে ইনশাআল্লাহ্‌। যার শেকড় একমাত্র কোরআন আর ইসলাম ধর্মের মধ্যে গ্রথিত। লিখার হাত নক্ষত্রচুম্বী হোক সর্বোত এই প্রার্থনা তোমার জন্য আপুন্মনি।


অসাধারণ লাগলো নিম্নের কথাগুলো...



হে মুসলিম পুরুষ! তোমার জন্ম একজন নারীর গর্ভে।হে মুসলিম নারী! তোমার জন্ম একজন পুরুষের শুক্রাণুতে।তুমি পুরুষ কিন্তু তোমার শরীরে একজন নারীর রক্ত বইছে। তুমি নারী কিন্তু তুমিও একজন পুরুষের রক্ত বহন করে চলেছ। তোমার স্বতন্ত্রতা কিসে?

আল্লাহর রাসূল বলেছিলেন, "সমস্ত মুসলিম হল একটি শরীরের মত যার একটা অংশ আঁঘাত পেলে সমস্ত অংশ ব্যাথা অনুভব করে।" আজ তোমার শরীর কেটে-ছিড়ে টুকরো টুকরো করে দেয়া হচ্ছে অথচ মুসলিম তুমি ব্যাথা পাওনা কেন?কার বিরুদ্ধে দাড়াচ্ছ তুমি? নিজের বোনের বিরুদ্ধে!! নিজের ভাইয়ের বিরুদ্ধে!! কিসের অহংকার তোমার? আল্লাহ তোমাকে নারী আকৃতিতে পাঠিয়েছেন তাই তুমি নারী, আল্লাহ তোমাকে পুরুষ আকৃতিতে পাঠিয়েছেন তাই তুমি পুরুষ। অথচ তুমি শরীরের বড়াই কর ওহে! এই শরীর কি তোমার
২১ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১০:৩৪
257300
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আপি তোমার অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্য আমাকে অনেক উৎসাহ যোগায়। তবে লিখার হাত নক্ষত্রচুম্বী হবার দরকার নেই। যা আছি টুকটাক। এই ব্লগে আমার পাঠক ৭-৮ জন। ঘুরেফীরে তারাই আসে যায়।সুবিধা হল তারা বেশি তর্ক প্রিয় না। সামুতে এই লেখাটাই পাঠকদের ব্যাপক তর্ক করিতে উৎসাহিত করিয়াছে। জ্বালাতনে সামুতে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। আমার জন্য দোয়া করবে সেটাই অনেক। Good Luck Good Luck
১০
316214
২২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৪:১৪
সাদাচোখে লিখেছেন : এই লিখায় আপনি সুন্দরভাবে সেক্যুলারিজম, গনতন্ত্র, ক্যাপিটালিজম এর উপর আলোচনা করেছেন। আপনার লিখায় যে চিন্তা ভাবনা ফুটে উঠেছে - তা যথার্থ। এ নিয়ে আপনি আপনার পড়ালিখা আরো চালিয়ে যায় - বিশেষ করে কেন ইংল্যান্ড কে ভ্যাটিকান/ ক্যাথলিসিজম ছেড়ে বের হয়ে এসে স্যেকুলারিজম এ ডুকতে হল, কারা তা করলো, কি তাদের উদ্দেশ্য ছিল। কিভাবে সেই স্যেকুলারিজম ঈশ্বর কিংবা আল্লাহর শাসন এর পরিবর্তে মানব ইতিহাসে সর্বপ্রথম মানুষের শাসন তথা রাজার শাসন ও তার পর লর্ড সভা ও সব শেষে পার্লামেন্ট এর শাসন এর প্রবর্তন করলো? কিভাবে সেই গণতন্ত্র ক্যাপিটালিজম আনলো বা আনতে বাধ্য করলো এবং তা কিভাবে ইউরোপ ও আমেরিকায় ছড়ালো এবং সব শেষে কেন সেই ইংল্যান্ড তা অন্যান্য দেশে এক্সপোর্ট করতে এমন উঠে পড়ে লাগলো? কেন এর জন্য দেশ ও সরকার সমূহকে বাধ্য করতে লাগলো? এই প্রসেস এর মধ্যে মানুষকে ধোকা দিতে কারা বিভিন্ন রাইটস এর নামে প্রচার প্রচারনা চালালো এবং তাতে কিভাবে মানুষরা কনটিনিউয়াস প্রতারিত হয়েছে এবং হচ্ছে এবং আগামীতেও হবে।

সো কিপ রিডিং - এতে আপনি যেমন জানবেন তেমনি অন্যদের ও জানাতে পারবেন।

ধন্যবাদ।
২২ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৮:১০
257321
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ভাইয়া আমি দেখেছি চিন্তার দিক দিয়ে আপনি অসম্ভব গুণী একজন ব্লগার। প্রতিটি বিষয়ে আপনার পদচারণা রয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এই ব্লগের ব্লগাররা অধিকাংশই নতুন ও ব্লগিংয়ে তাদের মাঝে দক্ষতার ছোয়া পাওয়া যায়না। অধিকাংশই একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সমর্থক তারা নিজেদের দলের প্রচারণাকেই ব্লগিং মনে করে ফলে ভাল ব্লগারদের মূল্যায়ন করার মানষিকতা তাদের মাঝে গড়ে ওঠেনি। ভাইয়া আপনার চিন্তাধারাগুলো নিয়মিত শেয়ার করার অনুরোধ রইল তাহলে আমিও উপকৃত হব। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
১১
316832
২৫ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৬
রাজু আহমেদ লিখেছেন : অনেক ভালো লেগেছে । আপনি আমার ফেসবুকে আসলে কিছু আলাপ হতে পারে । ব্লগে তেমন আলাপ করার সুযোগ হয় না ।
facebook.com/raju69mathbaria/ জুন মাসের পয়েলা তারিখ থেকে ফেসুবকে একটিভ হব যদি আল্লাহ হায়াতে রাখেন । শুভ কামনা জানবেন ।
২৫ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৮:০৭
257998
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম। পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া। ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য ৬মাস আগে ফেসবুক আইডিটা বন্ধ করে দিয়েছি। ব্লগে কারো সাথে পার্সোনাল যোগাযোগ আমি এড়িয়ে চলি। জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া।
১২
317604
৩০ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:৫৩
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আপনাকে অসংখ্য মোবারকবাদ।
অনেক সময় নিয়ে পড়লাম। বেশ উপকার হল।
আমরা দেখেছি তুরষ্কে ওসমানী খেলাফত উচ্ছেদ করে তারা মুসলিম ভূখন্ডকে ৫৭ টি ভাগে, ৫৭ টি জাতীয়তায়, ৫৭ টি জাতীয় পতাকায় বিভক্ত করেছে। শুধু ভূখন্ডই নয় বরং তারা মুসলিমদের মাঝেও বিভক্তি সৃষ্টি করেছে । secularism, democracy, capitalism, nationalism ইত্যাদি দিয়ে মুসলিমদের টুকরো টুকরো করেছে, একের বিরুদ্ধে অন্যকে দাড় করিয়ে দিয়েছে।
বাংলাদেশের বাস্তবতায় এই বড় সমস্যা নিযে আরো লেখার প্রয়োজন।
৩০ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৫:১২
258747
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ইবনে আহমাদ ভাইয়া আপনি বেশ পুরো ব্লগার এবং অভিজ্ঞ আপনাকে পাশে পেয়ে খুব ভাল লাগছে। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখলে লেখব আরো। Good Luck Good Luck
১৩
356020
০২ জানুয়ারি ২০১৬ রাত ০৯:৩৩
আসমানি লিখেছেন : বেসম্ভব মূল্যবান পোস্ট করেছেন।
আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান প্রদান করুন।
আমীন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File