বোরখা পরিয়ে নারীকে রাস্তায় ছেড়ে দাও সে নিরাপদ!!
লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ১৫ এপ্রিল, ২০১৫, ১০:০৯:৫৯ রাত
ইদানিং নারীদের পর্দার ব্যাপারে কথা উঠলে ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী মুসলিম, আধা-মডারেট মুসলিম, মডারেট মুসলিম এবং যারা নিজেদের ইসলামিস্ট বলে পরিচয় দেন, সবাই এভাবেই মনোভাব পোষণ করেন। অথচ "হিজাব পরলে কোন মেয়ে ইভ টিজিং এর শিকার হবেনা", এমন কথার কোন ইসলামিক ভিত্তিও নেই।
"মেয়েদের বোরখা পরিয়ে রাস্তায় ছেড়ে দাও problem solved"
এমন ভাবেই সবাই ভাবে অথচ এটা একটা গাঁজাখুরী চিন্তাধারা। বর্তমানে আমরা দেখছি পশ্চিমা দেশগুলোতে হিজাব পরিহিতা মুসলিম নারীরাই উগ্র অমুসলিমদের দ্বারা সবচাইতে বেশি হত্যা, হটাৎ আক্রমণ, যৌন হয়রাণি সহ নানান সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। গত বছর ইংল্যান্ডে একজন হিজাব পরিহিতা সৌদি মুসলিম নারী পার্কে একাকি হাটার সময় কয়েকজন ব্রিটিশ যুবক দ্বারা আক্রমণের শিকার হন। উগ্র যুবকেরা তার শরীরে প্রায় ১৭ বার চাকু দিয়ে আঘাঁত করলে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে তিনি মারা যান। অথচ পুলিশ ও পার্কে অবস্হানরত মানুষ কেউ-ই তার সাহায্যে এগিয়ে আসেনি কারণ তার তিনি হিজাব পরিহিতা অর্থাৎ মুসলিম। কয়েকদিন আগে আমেরিকাতেও এমন হত্যার ঘটনা আমরা দেখেছি। এসব ঘটনাগুলো পশ্চিমা দেশগুলোতে নিয়মিত ঘটে চলেছে। একজন নারী, তিনি হিজাব পালন করুক অথবা নাই করুক, রাস্তায় একাকি সর্বাবস্হায় তিনি নিরাপত্তাহীনতায় থাকেন।
ইসলাম বলেছে, হিজাব করার সাথে সাথে নারীরা বাইরে বের হলে হাজবেন্ড অথবা বাবা, ভাই, চাচা, মামা অর্থাৎ রক্ত সম্পর্ক আছে এমন পুরুষকে যেন সাথে রাখেন। এর ফলে সে একা হবেনা এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হবেনা। কেউ একা পেয়ে গান গাইতে যাবেনা, "চুমকি চলেছে একা পথে সঙ্গী হলে দোষ কি তাতে?" গতকাল বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে যাকে বিবস্ত্র করা হয়েছে সেই নারীও একা ছিলেন বলেই এমন দানবীয় ঘটনা ঘটেছে। ইদানিং যে কোন কারণেই হোক সবাই বলছেন, "বোরখা পরিয়ে মেয়েদের রাস্তায় ছেড়ে দাও তারা নিরাপদ" অথচ ইসলাম এমন কথার প্রচার আদৌ করেনি। জানিনা আপনাদের এমন চিন্তা ও প্রচারণার উদ্দেশ্য বা কারণ কি?
আবার ইদানিং নতুন থিওরী দাড় করানো হচ্ছে যে, "ইসলাম একজন নারীকে বোরখা পরে বাইরে পুরুষের সাথে সকল কাজ করার অনুমতি দিয়েছে।"
অথচ এমন কথার কোরান-হাদিস ভিত্তিক কোন দলিল নেই। হ্যা! ইসলাম যেমন নারীকে ঘরের বাইরে কোন কাজ করতে বাঁধা দেয়নি, আবার একইসাথে তাকে উৎসাহিতও করেনি।
যদি কর্মক্ষেত্রে তাকে কোন পুরুষের সাথে কাজ না করতে হয়, বস ও স্টাফ সবাই নারী হন এবং ব্যাবসায়ের ক্ষেত্রে কাস্টমার নারী হন সেক্ষেত্রেই একজন নারী নিরাপত্তা পেতে পারে। ঠিক তখনই তাকে অনুমতি দেয়া যায়। কারণ "বোরখা তাকে পুরুষ সহকর্মীর যৌন হয়রাণি থেকে বাঁচাবে" এটা হাস্যকর যুক্তি।
নারীদের জন্য আলাদা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, নারী শিক্ষক নিয়োগ, নারী বান্ধব কর্মক্ষেত্র ও নারী পরিবহন এসবের নিশ্চয়তা প্রদান করা গেলেই তাকে বাইরে ছাড়া যায় কারণ সেখানে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা আছে।
আবার যারা তথাকথিত হিজাব পালন করে চলাফেরা করছেন তাদের কত শতাংশ ইসলাম বুঝার কারণে ও মানার কারণে তথাকথিত হিজাব পালন করছেন? এ প্রশ্ন তোলার কারণ হল, ঢাকার পার্কগুলোতে ডেটিংরত গার্ল ফ্রেন্ডের ৮০% ই হিজাবী।এজন্যই পর্দা বিরাট একটি ব্যাপার যেখানে বোরখা অস্হায়ী সমাধান, পরিপূর্ণ সমাধান না। কাজেই নিজেদের মনগড়া যুক্তিকে ইসলামিকরণের প্রচেষ্টা থেকে আমাদের বিরত হওয়া উচিত
বিষয়: বিবিধ
২৯০৫ বার পঠিত, ২৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দিনে দিনে মানুষ ইসলাম থেকে দুরে সরে যাচ্ছে আর আমার যারা আছি বা থাকতে চাই ,আমরাও ইসলামকে আমাদের নিজেদের সুবিধামত নিজেদের মনের মত করে বানিয়ে নিতে চাই ।
অনেক ধন্যবাদ ঘুম ভাঙানিয়া ভাইয়া অনেক সুন্দর একটা লিখার জন্য ।
খুব সুন্দর যুক্তি দিয়ে বুঝিয়েছে ভাই, জাজাকাল্লাহু খাইরান।
"পশ্চিমারা মুসলিমদের চেয়ে অনেক ভালো বলতে হয়। এদের দেশের মেয়েরা এর চেয়ে খারাপ পোশাক পড়ে রাস্তায় চললেও কেউ শকুনের মত হামলে পড়েনা। আইনের শাসন আছে, সব ধর্মের লোকেরা নিরাপদ।"
দুঃখের বিষয় কথাটা একদমই সঠিক না। সেখানে ধর্ষণের রেকর্ড সবচাইতে বেশি। https://www.youtube.com/watch?feature=player_detailpage&v=F_h03dnQuQY
এই ডকুমেন্টারী দেখবেন। সেখানে নারী সহিংসতার পরিমাণ সর্বাধিক। এমনকি রক্ত সম্পর্কের আত্বীয় দ্বারাও তারা যৌন সহিংসতার শিকার হয় ব্যাপকভাবে।
আপনার পরবর্তী দাবি সেখানে সব ধর্মের মানুষ নিরাপদ অথচ মুসলিম কমিউনিটি, মুসলিম সংগঠনগুলোর সাথে যোগাযোগ করুন আসল সত্যটা জেনে যাবেন। মুসলিমদের উপর নানান সহিংসতা সেখানে প্রতিদিন ঘটে কিন্তু মিডিয়া সেটি নিয়ে কোন কথা বলেনা। আমেরিকায় Chapel hill ঘটনায় যখন ৩মুসলিম তরুণ-তরুণী, দেহ বারাকাত তার স্ত্রী ইউসার বারাকাত ও ছোট বোন রাযান মুহাম্মাদ কে যখন একজন উগ্র আমেরিকান নির্মমভাবে হত্যা করে, পশ্চিমা মিডিয়াগুলো অধিকাংশই খবরটি চেপে যায়। ফেসবুক,টুইটার এর মত স্যোশাল মাধ্যম থেকেই মুসলিম কমিউনিটি এ ব্যাপারে জানতে পারে। আবার আরো ভয়াবহ ব্যাপার ছিল দুএকটি মিডিয়াতে তা এলেও সেসব মিডিয়ায় ব্যাপারটিকে যৌক্তিক কারণে মুসলিম হত্যা হয়েছে এমনটি প্রচার করা হয়।
https://www.youtube.com/watch?feature=player_detailpage&v=x-FnLg79q_k
এটা দেখতে পারেন। শপিংমলে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের হামলায় মানুষ নিহত, স্কুলছাত্রের বন্দুক হামলায় তার সব সহপাঠি, শিক্ষক,বাবা-মা হত্যা অতঃপর নিজের আত্নহত্যা এসব শিরোনামগুলো পশ্চিমা দেশগুলোয় খুবই কমন। নিগ্রোদের উপর গত কয়েকমাসের ব্যাবধানে আমেরিকায় বেশ কয়েকজন নিরস্ত্র নিগ্রো পুলিশের দ্বারা হত্যার শিকার হয়েছে। প্রতিনিয়তই আমেরিকাতে পুলিশের হাতে নিরীহ নিগ্রোরা হত্যার শিকার হয় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব হত্যার বিচার হয়না। আপনার নিশ্চয়ই ২০০৫ সালের আমেরিকার লুজিয়ানা উপকূলে হ্যারিকেন ক্যাটরিনার কথা মনে আছে? পুরো এলাকা লন্ডভন্ড হয়ে যায়। দুর্গত মানুষের সাহায্যে সেনাবাহিনী ও পুলিশ পাঠানো হয় কিন্তু সেনাবঝিনী ও পুলিশ দুর্গত মানুষের ঘরবাড়িতে লুটতরাজ, হত্যা,ধর্ষণ ও দমণের মত বর্বরতা চালায়। কারণ মানুষগুলো নিগ্রো।
সম্প্রতি মহানবী (সাঃ)কে নিয়ে ব্যাঙ্গকারী পত্রিকা চার্লি হেবদোতে ২মুসলিম তরুণের হামলা, আমেরিকা ও ইউরোপে জন্মগ্রহণকারী শত শত মুসলিম তরুণ-তরুণীর পালিয়ে গিয়ে ইরাক বা সিরিয়ায় আইএসআইএস- এ যোগদান, আইএসআইএসে যোগদানের উদ্দেশ্যে পালাতে গিয়ে বিমানবন্দরে বিপুল পরিমাণ মুসলিম তরুণ-তরুণী আমেরিকান ও ইউরোপিয়ান গোয়েন্দা সংস্হাগুলোর হাতে ধরা পরা_ ইত্যাদির প্রকৃত কারণ কি? যারা আমেরিকায় জন্মগ্রহণ করেছে, ভাল-ভাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়েছে যাদের অনেকেই আবার মেডিকেল স্টুডেন্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্ট তারা কেন নিরাপদ জায়গা ছেড়ে যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়ে যেসব দেশে তাদের জন্ম তাদের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করতে চাইছে??? কারণটার ব্যাখ্যা পশ্চিমা বুদ্ধিজীবীরাই দিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমা সমাজে মুসলিমদের উপর যে নিরব অত্যাচার-নির্যাতন চালালো হচ্ছে, তাদের উপর যে ঘৃণা-বিদ্বেশ ছড়ানো হচ্ছে এটা তারই বহিঃপ্রকাশ।তাই তারা পশ্চিমা সমাজকে পরামর্শ দিয়েছেন মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেশপূর্ণ আচরণ পরিহার করতে।মেধা থাকার পরেও তারা সামাজিক বঞ্চনার জন্য তারা মূল্যায়ন পাচ্ছেনা এটা বলেছেন। সিআইএ এর হাতে ধরা পরা একজন মুসলিম তরুণী বলেছিল, সে ইরাকে এজন্যই আইএসআইএসে যোগ দিতে চায় সেখানে তাকে তার মুসলিম পরিচয়, তার ইসলামি পোশাক, তার ইসলামিক লাইফস্টাইলের জন্য কোন বাঁধার সম্মুখীন হতে হবেনা। সে চায় স্বীকৃতি যা পশ্চিমা সমাজ দেয়নি। আমেরিকাতে তো তাকে সবসময় তার মুসলিম পরিচয়ের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহপাঠিদের কাছ থেকে ঘৃণাপূর্ণ ব্যাবহার পেতে হয়েছে। তাকে রাস্তায় ভয়ে ভয়ে চলতে হয় এই বুঝি কেউ এসে তার হিজাব টেনে ছিড়ে ফেলবে, জনসম্মুখে তাকে মারধোর করবে অথচ সে মুসলিম বলে কেউ তার সাহায্যে এগিয়েও আসবেনা। সবাই তাকে টেরোরিস্ট বলে ডাকে কিন্তু সে কার ক্ষতি করেছে? কাজেই দূর থেকে কাঁশবণ ঘনই দেখা যায়।
এবার আসেন ভারতের কথায়। আপনি বলেছেন "এক মেডিকেলের ছাত্রীর ধর্ষণের প্রতিবাদে পুরো ভারত গর্জে উঠেছিল। অপরাধীদের শাস্তিও আদায় করে ছেড়েছে।"
আরব বসন্ত সর্বপ্রথম কোথাও শুরু হয়? তিউনিসিয়ায়। যার শাসক ছিল বেন আলী। সে ৩০ বছর শাসন করেছে দেশটি। আযান, হিজাব, দাড়ি ইত্যাদি নানান ইসলামি অনুসঙ্গ এর উপর সে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তার প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী এতই দূর্নীতি পরায়ন ও অত্যাচারী হয়ে ওঠেছিল যে মানুষ অথিষ্ঠ হয়ে ওঠেছিল কিন্তু ভয়ে সবাই ছিল চুপ। কিন্তু এক পুলিশের নির্যাতনে ক্ষিপ্ত তরকারী আলা নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে রাস্তায় আত্নহত্যা করার সাথে সাথে মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পরে। বেন আলী মানুষ হত্যা করেও শেষ রক্ষা করতে পারেনি তার পতন হয়েছে। কিন্তু একজন তরকারী আলা মরলে মানুষে কি আসে যায়? ৩০ বছরের ক্ষোভ তারা একবারই দেখিয়েছে। ভারতের সেই ধর্ষণের ঘটনাও ব্যাতিক্রম না। মানুষ দীর্ঘদিন থেকে এসব দেখতে দেখতে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছিল। বারবার ধর্ষকরা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছিল তাই তাদের দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ গণবিষ্ফোরণে পরিণত হয় যা মিডিয়া কভারেজ পায় তাই ভারত বাধ্য হয়। ভারতে এসব কি নতুন?? আর সেই ঘটনার পরে কি ভারতে এসব কমেছে?নাহ বরং বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত রেপিস্ট কান্ট্রি বলে বিশ্বে আজ পরিচিত।প্রতিদিন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়াতে ভারতের কোন না কোন ধর্ষণের নিউজ থাকেই। সাম্পতিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত বিদেশী পর্যটকদের জন্য সবচাইতে ঝুকিপূর্ণ জায়গা। সবচেয়ে বেশি বিদেশি নারী পর্যটক ভারতে ধর্ষণের শিকার হন। ভারত আজ টিভিতে বলিউডের তারকাদের দিয়ে "অতিথি দেবতার সমান" নামে নানান জনসচেতনতামূলক তথ্যচিত্র প্রচার করছে মানুষকে সচেতন করার জন্য। এমনকি পারিবারিক যৌন নির্যাতন নিয়েও ভারতীয় মিডিয়াগুলো এখন কথা বলছে। ভারতের রাজনৈতিক নেতারা প্রকাশ্যে বলছেন, মুসলিম নারীদের ধর্ষণ কর, সেখানে আপনি তাদের মহান আকৃতিতে প্রকাশ করছেন। অথচ নির্বাচনের কিছুদিন আগেই আসামের শ-খানেক মুসলিমকে হত্যা করা হল । গত বছর মুজাফফরনগরে মুসলিমদের উপর চলেছে ভয়াবহ গণহত্যা এবং মুসলিম নারী ধর্ষণের মাত্রাটা ছিল ভয়াবহ যা কিনা আন্তর্যাতিক মিডিয়াতেও প্রচার করা হয়েছে। কাশ্মিরের মুসলিম নারীরা কি নিরাপদ? গুজরাটের কথা ভুলে গেলেন? ৩০০০ মুসলিম নারীকে ধর্ষণের পর জীবন্ত আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। আমার নানার বাড়ি ভারতের হুগলিতে আমার মা ভারতীয় বাঙ্গালী কাজেই আমি তাদের ব্যাপারগুলো খুব ভাল মতন জানি।
আর মাত্র ৩০ টা বখাটে ছেলের জন্য গোটা জাতিকে দোষারোপ করা যুক্তিযুক্ত না। সেই নারীকে আবার দুজন যুবকই বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন। একজনের হাত ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে অন্যজনের আঙ্গুল। আর সবচাইতে বড় কথা যেসব অনুষ্ঠান নোংরামির জন্যই আয়োজন করা হয়, ইসলামকে বুড়ো আঙ্গুল প্রদর্শন করা হয় সেসবে তো এসব ঘটবে এটাই স্বাভাবিক। ওখানে নিশ্চয়ই ছেলেরা নামাজ পড়তে যায়নি আর মেয়েরাও ওয়াজ শুনতে যায়নি কাজেই যা ঘটবার ছিল তাই ঘটেছে।কাজেই সবদিকই ভাবা উচিত। ধন্যবাদ বৃত্তের বাইরে অনেক কথা বলে ফেললাম রাগ করবেনানা। জাঝাক আল্লাহ।
ভারতীয়রা ধর্ষণে শীর্ষে বলে কি বাংলাদেশীদের ও ধর্ষণে রেকর্ড করতে হবে! ভারত কিভাবে তাদের দেশের ঝামেলা মিটাবে সেটা তাদের ব্যাপার। খারাপটা না জেনে আমরা বরং তাদের ভালোটাকে ফলো করিনা কেন? আইটিতে ভারত শীর্ষে, গার্মেন্টসের বাজার ভারতের দখলে যা আগে বাংলাদেশের ছিল, কানাডায় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা সার্টিফিকেটগুলোকে যেখানে গার্বেজ মনে করে সেখানে ভারত থেকে সরকারী খরচে ইঞ্জিনিয়ারদের হায়ার করে আনছে, নামকরা oil & gas কোম্পানীগুলোর বড় পজিশন গুলো বেশীরভাগ ভারতীয়দের দখলে, মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশ থেকে লেবাররা যেতে যেখানে ৭/৮ লক্ষ টাকা বা তার বেশী দালালকে দিতে হয় ভারতীয়রা সেখানে অর্ধেকও দেয়না। ভারতের মিডিয়া, নির্বাচন কমিশন সবই স্বাধীন। বাংলাদেশীরা পারে স্বাধীনভাবে নিজের অধিকার নিয়ে কথা বলতে! নিজের দেশেই তো পারেনা । বাংলাদেশীরা আর কিছু না পারুক বস্তাপচা হিন্দী সিরিয়াল আর ফেনসিডিলের বাজার দখল করতে পেরেছে।
মুসলমানদের যেহেতু পরকালে তাদের কৃত কর্মের হিসাব দিতে হবে তাই অন্যের খারাপটা উদাহরণ হিসেবে না টেনে চলেন ভালো কিছু নিজে করি এবং অন্যকেও করতে উত্সাহিত করি। ধন্যবাদ আপনাকে
http://www.monitorbd.net/blog/blogdetail/detail/3557/warrior2013/64167#.VTFn9djfSTo
আপনিও ভাল থাকবেন।
এসব ঘটনা নিয়ে সেখানের মেয়েরা এত কাহিনী করে না যতটা উপমহাদেশে হয় ।
তাই তো পাশ্চাত্যের চোঁয়া পাওয়া আধুনিক নারী ও বলিউড নায়িকা সানি লিওনি বলেছেন - Rape is not a crime , it's a surprise sex.
http://www.indiatvnews.com/entertainment/masala/rape-is-not-crime-it-is-a-surprise-sex-says-sunny-leone-1091.html
পাশ্চাত্যের সবকিছু ফলো করবেন এবং তার ইফেক্ট সহ্য করতে পারবেন না - এরকম দ্বৈত মানসিকতাই নারীদের হেনস্তার কারণ।
https://www.youtube.com/watch?feature=player_detailpage&v=F_h03dnQuQY
নাহলে বসে বসে আপনার ভগবানদের পূজা করেন যারা ছিল incest প্রিয় যা আপনাদের পবিত্র! ধর্ম গ্রন্হের পাতায় বর্ণনা দেয়া হয়েছে।
ইতিহাসের পাতায় আমারতো চোখে পড়েনি।
সূদুর ইয়েমেন থেকে পূর্ণ অলংকৃত হয়ে একবোন এসেছিলেন বাইতুল্লাহর তাওয়াফে তার মনে হয়েছিলো আমি যেনো একঘড় থেকে আরেক ঘড়ে যাচ্ছি।
সমস্ত মানুষ তাকে সম্মান দিয়েছিলেন।
হা প্রকৃত সম্মান দ্বীন মানার মধ্যে ইজ্জত আল্লাহর হুকুমের মধ্যে আর কোথাও নাই এবং থাকতেই পারেনা।
আচ্ছা এত এত বোন তারাকি দেখেনা কি হয় এই গ্যাদারিং এর মধ্যে??
প্রতিটি সময় নিউজ পড়েনা?!! তাড়পরও যায় বারবার যায়।
কি বৈশাখ, কি বইমেলা আর কি বা বিজয় দিবস?!!!
বোরকা বলতে কেমন বোরকা বুঝাচ্ছেন ফ্যাশনি বোরকাতো ডিসকো ড্রেস এর থেকে বেশি আকর্ষনীয় আর পোলাপান যত অমানুষ হোক না কেন?! বিয়ে কিন্তু একটা ভালো মেয়েই চায়।
পাক সাফ সফেদ একদম সাদাকাপড়ের মত।
যাক ওদিকে আর গেলাম না মূল কথা আল্লাহর হুকুম, সুন্নাহ, তাকাওয়া এর মধ্যেই কামিয়াবী।
জাজাকাল্লাহ
সুন্দর দৃষ্টিভঙ্গী নতুন লেখা কই?
প্রতিটি সময় নিউজ পড়েনা?!! তাড়পরও যায় বারবার যায়।
কি বৈশাখ, কি বইমেলা আর কি বা বিজয় দিবস?!!!" আসলে ঢাকার মানুষ সমসময় একটা দম বন্ধ করা পরিবেশের মাঝে বসবাস করে। ঢাকার পার্কগুলো অনেক আগেই প্রেমিক-প্রেমিকারা দখলে নিয়ে নিয়েছে, সেখানে প্রকাশ্য নোংরামো এত বেশি পরিমাণ যে কোন বিবাহিত দম্পতি পরিবার-সন্তানসহ সেখানে যাবার সাহস পায়না। সুস্হ ও নির্মল বিনোদনের জায়গাও নেই। মানুষ তাই ঘর থেকে একটু বের হবার জন্য, স্বস্হির নিশ্বাস ফেলার জন্য কোন না কোন উপলক্ষ খুঁজে বেড়ায়। তাই এসব দিবস-টিবস পেলেই তাতে বের হয়ে পরে। তখন আর এত লাভ-লোকসানের চিন্তা মাথায় কাজ করেনা। এটাই মূল ব্যাপার। সামনের বছর দেখবেন এসবে আরো বেশি লোক আসবে কারণ বললাম না পরিস্হিতির জন্যই মানুষ উপল্ক্ষ খুঁজে ঘর থেকে বের হয়ে একটু স্বস্হির নিশ্বাস ফেলার আশায়। আর ভাইয়া বোরখা নিয়েও তো টানাহেচড়া শুরু হয়ে গিয়েছে। নেকাবকে অলরেডি বিতর্কিত করে তোলা হয়েছে। তাই সেটা নিয়ে আলাদাভাবে কথা বলাটা যুক্তিসংগত কারণ সেটা নিয়ে কথা বলতে গেলে আমার মূল টপিকই ব্লগাররা চেঞ্জ করে ফেলত। আমি এখানে যে ম্যাসেজটা দিয়েছি সেটা হল ইদানিং ব্যাপকভাবে প্রচার করা হচ্ছে যে, ইসলাম বলেছে নারীকে বোরখা পরিয়ে ছেড়ে দাও তাকে কেউ হয়রাণি করতে আসবেনা অথচ ইসলাম বলেছে, পর্দার সাথে সাথে নারী যেন ঘরের বাইরে বের হলে রক্ত সম্পর্কের পুরুষ অভিভাবক অথবা হাজবেন্ডকে সাথে রাখেন। এর ফলে সে সবদিক থেকেই নিরাপদ থাকবে। আবার ঘরের বাইরে যদি সাথে বৈধ পুরুষ অভিভাবক থাকে তবে বোরখা পরে পার্কে বয়ফ্রেন্ড নিয়ে কুকাজ করার সাহসও পাবেনা কোন মেয়ে। আমি সেটাই বলেছি। এখানে বোরখা কেমন হবে তা টানলে সবাই আমার আলোচনার টপিকটাই ঘুরিয়ে দিত।
খোড়া যুক্তি এটা কোনভাবেই মানান সই নয়।আপনার কাছে অন্তত এমন খোড়া যুক্তি আশা করিনাই।
অন্যসময় যায়না অশ্লীলতার ভয়ে আর এমন অকেশনে যেয়ে সু্ন্দর পরিবেশ পাবে তাই??ধান গাছের ভেলায় নদী পাড়ি দেয়ার মত।
একদল হায়েনা আর একদল মানুষ যখন হাটবে যে কোন সময় হায়েনারা মানুষের উপর ঝাপিয়ে পড়বে যে কোন সময় একটু সুযোগ পেলেই! কারন এই হায়েনারা ক্ষুধার্থ। ইজতেমায় লাখ লাখ মুসল্লি থাকে সেখানে হঠাৎ সঠাৎ দু একজন বোন দেখা যায় তো কখনো তাদের কারো সম্মানে একটুও কলংক লাগেনি কখনও ! কারন এখানে মানুষ যায় আর যেখানে মানুষের পাশাপাশি পশুও যায় সেখানে ভালো কিছু আশা করা যায়না।
শুধু পরিচ্ছন্ন নিয়ত হলেই সুস্থ বিনোদনের যায়গা সবযায়গায় পাওয়া যাবে কম বা বেশী তবে আছে। দেখি আমার ইচ্ছা আছে কিছু ভালো স্পট নিয়ে কিছু লেখার।
ইসলামিক যুগে মুনাফিক ছিলো তারা এমন ছিলো নিজেকে মুসলমান দাবী করতো কিন্তু ইসলামের ক্ষতির জন্য এরা এদের জানকে কুরবানী দিয়ে দিবে এমন।
আর বর্তমান জামানায় বাস্তবিক মুনাফিক নাই তা ঠিক তবে অনলাইন ডিজিটাল মুনাফিক ঠিকই আছে আপনি এটা জানেন বেশ ভালো করে।
কে কি বললো আমার কিছু যায় আসেনা আমি আল্লাহ কে রব রাসুল (সল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম) কে নবী এবং ইসলাম কে দ্বীন মেনে সন্তুষ্ট।আর আখেরী জামানায় একটা ফরজ হুকুম নিয়েও মতভেদ হবে পরিস্কার হাদীস আছে তো এগুলা আমার কিছু যায় আসেনা
শেষের কথাটি মূল্যবান বলেছেন
কড়া করে বললাম কিছু কথা জাজাকাল্লাহ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন