বোরখা পরিয়ে নারীকে রাস্তায় ছেড়ে দাও সে নিরাপদ!!

লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ১৫ এপ্রিল, ২০১৫, ১০:০৯:৫৯ রাত



ইদানিং নারীদের পর্দার ব্যাপারে কথা উঠলে ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী মুসলিম, আধা-মডারেট মুসলিম, মডারেট মুসলিম এবং যারা নিজেদের ইসলামিস্ট বলে পরিচয় দেন, সবাই এভাবেই মনোভাব পোষণ করেন। অথচ "হিজাব পরলে কোন মেয়ে ইভ টিজিং এর শিকার হবেনা", এমন কথার কোন ইসলামিক ভিত্তিও নেই।

"মেয়েদের বোরখা পরিয়ে রাস্তায় ছেড়ে দাও problem solved"

এমন ভাবেই সবাই ভাবে অথচ এটা একটা গাঁজাখুরী চিন্তাধারা। বর্তমানে আমরা দেখছি পশ্চিমা দেশগুলোতে হিজাব পরিহিতা মুসলিম নারীরাই উগ্র অমুসলিমদের দ্বারা সবচাইতে বেশি হত্যা, হটাৎ আক্রমণ, যৌন হয়রাণি সহ নানান সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। গত বছর ইংল্যান্ডে একজন হিজাব পরিহিতা সৌদি মুসলিম নারী পার্কে একাকি হাটার সময় কয়েকজন ব্রিটিশ যুবক দ্বারা আক্রমণের শিকার হন। উগ্র যুবকেরা তার শরীরে প্রায় ১৭ বার চাকু দিয়ে আঘাঁত করলে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে তিনি মারা যান। অথচ পুলিশ ও পার্কে অবস্হানরত মানুষ কেউ-ই তার সাহায্যে এগিয়ে আসেনি কারণ তার তিনি হিজাব পরিহিতা অর্থাৎ মুসলিম। কয়েকদিন আগে আমেরিকাতেও এমন হত্যার ঘটনা আমরা দেখেছি। এসব ঘটনাগুলো পশ্চিমা দেশগুলোতে নিয়মিত ঘটে চলেছে। একজন নারী, তিনি হিজাব পালন করুক অথবা নাই করুক, রাস্তায় একাকি সর্বাবস্হায় তিনি নিরাপত্তাহীনতায় থাকেন।

ইসলাম বলেছে, হিজাব করার সাথে সাথে নারীরা বাইরে বের হলে হাজবেন্ড অথবা বাবা, ভাই, চাচা, মামা অর্থাৎ রক্ত সম্পর্ক আছে এমন পুরুষকে যেন সাথে রাখেন। এর ফলে সে একা হবেনা এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হবেনা। কেউ একা পেয়ে গান গাইতে যাবেনা, "চুমকি চলেছে একা পথে সঙ্গী হলে দোষ কি তাতে?" গতকাল বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে যাকে বিবস্ত্র করা হয়েছে সেই নারীও একা ছিলেন বলেই এমন দানবীয় ঘটনা ঘটেছে। ইদানিং যে কোন কারণেই হোক সবাই বলছেন, "বোরখা পরিয়ে মেয়েদের রাস্তায় ছেড়ে দাও তারা নিরাপদ" অথচ ইসলাম এমন কথার প্রচার আদৌ করেনি। জানিনা আপনাদের এমন চিন্তা ও প্রচারণার উদ্দেশ্য বা কারণ কি?

আবার ইদানিং নতুন থিওরী দাড় করানো হচ্ছে যে, "ইসলাম একজন নারীকে বোরখা পরে বাইরে পুরুষের সাথে সকল কাজ করার অনুমতি দিয়েছে।"

অথচ এমন কথার কোরান-হাদিস ভিত্তিক কোন দলিল নেই। হ্যা! ইসলাম যেমন নারীকে ঘরের বাইরে কোন কাজ করতে বাঁধা দেয়নি, আবার একইসাথে তাকে উৎসাহিতও করেনি।

যদি কর্মক্ষেত্রে তাকে কোন পুরুষের সাথে কাজ না করতে হয়, বস ও স্টাফ সবাই নারী হন এবং ব্যাবসায়ের ক্ষেত্রে কাস্টমার নারী হন সেক্ষেত্রেই একজন নারী নিরাপত্তা পেতে পারে। ঠিক তখনই তাকে অনুমতি দেয়া যায়। কারণ "বোরখা তাকে পুরুষ সহকর্মীর যৌন হয়রাণি থেকে বাঁচাবে" এটা হাস্যকর যুক্তি।

নারীদের জন্য আলাদা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, নারী শিক্ষক নিয়োগ, নারী বান্ধব কর্মক্ষেত্র ও নারী পরিবহন এসবের নিশ্চয়তা প্রদান করা গেলেই তাকে বাইরে ছাড়া যায় কারণ সেখানে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা আছে।

আবার যারা তথাকথিত হিজাব পালন করে চলাফেরা করছেন তাদের কত শতাংশ ইসলাম বুঝার কারণে ও মানার কারণে তথাকথিত হিজাব পালন করছেন? এ প্রশ্ন তোলার কারণ হল, ঢাকার পার্কগুলোতে ডেটিংরত গার্ল ফ্রেন্ডের ৮০% ই হিজাবী।এজন্যই পর্দা বিরাট একটি ব্যাপার যেখানে বোরখা অস্হায়ী সমাধান, পরিপূর্ণ সমাধান না। কাজেই নিজেদের মনগড়া যুক্তিকে ইসলামিকরণের প্রচেষ্টা থেকে আমাদের বিরত হওয়া উচিত

বিষয়: বিবিধ

২৯২০ বার পঠিত, ২৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

315156
১৫ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১০:৪৬
আফরা লিখেছেন : ভাইয়া আপনি এত সুন্দর করে লিখেছেন আমি কমেন্ট করার জন্য আমার ভাষাকে গুছাতে পারছি না ।

দিনে দিনে মানুষ ইসলাম থেকে দুরে সরে যাচ্ছে আর আমার যারা আছি বা থাকতে চাই ,আমরাও ইসলামকে আমাদের নিজেদের সুবিধামত নিজেদের মনের মত করে বানিয়ে নিতে চাই ।

অনেক ধন্যবাদ ঘুম ভাঙানিয়া ভাইয়া অনেক সুন্দর একটা লিখার জন্য ।
১৫ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:১৬
256245
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : হাহা! পারার মধ্যে পারিই একটু লিখালিখি অন্য কোন গুণ নেই।Worried হুম! আমি নিজেও তো একইরকম। আমিও তো ইসলাম থেকে অনেক দূরেই সরে গেছি। আগে যতটা ঈমান-আমল মজবুত ছিল এখন তার কিছুই নেই। ধন্যবাদ আফরা সাইয়ারা আপনার মূল্যবান সময় প্রদান ও সুন্দর মন্তব্যের জন্য। জাঝাক আল্লাহ। Praying Good Luck
315170
১৫ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:৩৬
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতু ছোট আপি। Cheer Cheerপর্দার গুঢ় তত্ত্ব অনেক আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করেছো মাশাআল্লাহ্‌। পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। জাজাকাল্লাহু খাইর। Rose Rose Rose Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up
১৬ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১২:০৬
256259
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আস-সালাম আপি। আমিও আমার আপিকে আমার লেখায় পেয়ে অনেক খুশি। আল্লাহ তোমাকেও উত্তম বিনিময় প্রদান করুক দুনিয়া ও আখিরাতে আপি। Good Luck Good Luck
315181
১৬ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১২:০৪
মাজহারুল ইসলাম লিখেছেন : এরা চায় মেয়েদেরকে কোন না কোন ভাবে রাস্তায় নামাতে আর ঐ সব মেয়েরাও বুঝে না। আর এর পিছনে কাজ করতেছে ঐ সব হুজুরেরা যারা টাকা পেলে কোরআনের আয়াতের অর্থ নিজের মত করে না জানা ব্যাক্তিকে বলে দেয়।

খুব সুন্দর যুক্তি দিয়ে বুঝিয়েছে ভাই, জাজাকাল্লাহু খাইরান।
১৬ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১২:১৫
256260
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ভাইয়া আপনিও অল্প কথায় সত্যিটা তুলে ধরেছেন। আপনাকেও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া।Praying Good Luck
১৬ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১২:৪৬
256266
মাজহারুল ইসলাম লিখেছেন : ওয়া ইয়্যাকা ভাই।
315210
১৬ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০১:৫১
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : ব্লগে এবং পত্রিকায় যতটুকু দেখলাম মেয়েটার পরনে কি ছিল জানিনা শাড়ি বা সালোয়ার কামিজ হতে পারে। সবার কথামত বোরখা পরিহিতা নয় বলে সে এই ঘটনার শিকার। পর্দা যদি এই হামলার একমাত্র কারণ হয়ে থাকে তাহলে পশ্চিমারা মুসলিমদের চেয়ে অনেক ভালো বলতে হয়। এদের দেশের মেয়েরা এর চেয়ে খারাপ পোশাক পড়ে রাস্তায় চললেও কেউ শকুনের মত হামলে পড়েনা। আইনের শাসন আছে, সব ধর্মের লোকেরা নিরাপদ। ভারতের হিন্দুরাও এর চেয়ে ভালো। এক মেডিকেলের ছাত্রীর ধর্ষণের প্রতিবাদে পুরো ভারত গর্জে উঠেছিল। অপরাধীদের শাস্তিও আদায় করে ছেড়েছে। আমাদের মুসলমান ভাই বোনেরা কেন জানি মেয়েদের নিরাপত্তার কারণ হিসেবে শুধু পর্দা আর মেয়েরা বাইরে বের হতে পারবেনা এ নিয়ে ওয়াজ নসিহত করা ছাড়া আর কিছু করতে পারেননা। আপনাকে ধন্যবাদ যে অন্তত ভেবে দেখার মত কিছু যুক্তি দেখিয়েছেন। Good Luck Good Luck
১৬ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৪:৪৮
256376
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে আপনি নারী আর নারীসুলভ আবেগের জন্য এসব কথা বলছেন। আপনি বলেছেন,
"পশ্চিমারা মুসলিমদের চেয়ে অনেক ভালো বলতে হয়। এদের দেশের মেয়েরা এর চেয়ে খারাপ পোশাক পড়ে রাস্তায় চললেও কেউ শকুনের মত হামলে পড়েনা। আইনের শাসন আছে, সব ধর্মের লোকেরা নিরাপদ।"
দুঃখের বিষয় কথাটা একদমই সঠিক না। সেখানে ধর্ষণের রেকর্ড সবচাইতে বেশি। https://www.youtube.com/watch?feature=player_detailpage&v=F_h03dnQuQY
এই ডকুমেন্টারী দেখবেন। সেখানে নারী সহিংসতার পরিমাণ সর্বাধিক। এমনকি রক্ত সম্পর্কের আত্বীয় দ্বারাও তারা যৌন সহিংসতার শিকার হয় ব্যাপকভাবে।
আপনার পরবর্তী দাবি সেখানে সব ধর্মের মানুষ নিরাপদ অথচ মুসলিম কমিউনিটি, মুসলিম সংগঠনগুলোর সাথে যোগাযোগ করুন আসল সত্যটা জেনে যাবেন। মুসলিমদের উপর নানান সহিংসতা সেখানে প্রতিদিন ঘটে কিন্তু মিডিয়া সেটি নিয়ে কোন কথা বলেনা। আমেরিকায় Chapel hill ঘটনায় যখন ৩মুসলিম তরুণ-তরুণী, দেহ বারাকাত তার স্ত্রী ইউসার বারাকাত ও ছোট বোন রাযান মুহাম্মাদ কে যখন একজন উগ্র আমেরিকান নির্মমভাবে হত্যা করে, পশ্চিমা মিডিয়াগুলো অধিকাংশই খবরটি চেপে যায়। ফেসবুক,টুইটার এর মত স্যোশাল মাধ্যম থেকেই মুসলিম কমিউনিটি এ ব্যাপারে জানতে পারে। আবার আরো ভয়াবহ ব্যাপার ছিল দুএকটি মিডিয়াতে তা এলেও সেসব মিডিয়ায় ব্যাপারটিকে যৌক্তিক কারণে মুসলিম হত্যা হয়েছে এমনটি প্রচার করা হয়।
https://www.youtube.com/watch?feature=player_detailpage&v=x-FnLg79q_k
এটা দেখতে পারেন। শপিংমলে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের হামলায় মানুষ নিহত, স্কুলছাত্রের বন্দুক হামলায় তার সব সহপাঠি, শিক্ষক,বাবা-মা হত্যা অতঃপর নিজের আত্নহত্যা এসব শিরোনামগুলো পশ্চিমা দেশগুলোয় খুবই কমন। নিগ্রোদের উপর গত কয়েকমাসের ব্যাবধানে আমেরিকায় বেশ কয়েকজন নিরস্ত্র নিগ্রো পুলিশের দ্বারা হত্যার শিকার হয়েছে। প্রতিনিয়তই আমেরিকাতে পুলিশের হাতে নিরীহ নিগ্রোরা হত্যার শিকার হয় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব হত্যার বিচার হয়না। আপনার নিশ্চয়ই ২০০৫ সালের আমেরিকার লুজিয়ানা উপকূলে হ্যারিকেন ক্যাটরিনার কথা মনে আছে? পুরো এলাকা লন্ডভন্ড হয়ে যায়। দুর্গত মানুষের সাহায্যে সেনাবাহিনী ও পুলিশ পাঠানো হয় কিন্তু সেনাবঝিনী ও পুলিশ দুর্গত মানুষের ঘরবাড়িতে লুটতরাজ, হত্যা,ধর্ষণ ও দমণের মত বর্বরতা চালায়। কারণ মানুষগুলো নিগ্রো।
সম্প্রতি মহানবী (সাঃ)কে নিয়ে ব্যাঙ্গকারী পত্রিকা চার্লি হেবদোতে ২মুসলিম তরুণের হামলা, আমেরিকা ও ইউরোপে জন্মগ্রহণকারী শত শত মুসলিম তরুণ-তরুণীর পালিয়ে গিয়ে ইরাক বা সিরিয়ায় আইএসআইএস- এ যোগদান, আইএসআইএসে যোগদানের উদ্দেশ্যে পালাতে গিয়ে বিমানবন্দরে বিপুল পরিমাণ মুসলিম তরুণ-তরুণী আমেরিকান ও ইউরোপিয়ান গোয়েন্দা সংস্হাগুলোর হাতে ধরা পরা_ ইত্যাদির প্রকৃত কারণ কি? যারা আমেরিকায় জন্মগ্রহণ করেছে, ভাল-ভাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়েছে যাদের অনেকেই আবার মেডিকেল স্টুডেন্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্ট তারা কেন নিরাপদ জায়গা ছেড়ে যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়ে যেসব দেশে তাদের জন্ম তাদের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করতে চাইছে??? কারণটার ব্যাখ্যা পশ্চিমা বুদ্ধিজীবীরাই দিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমা সমাজে মুসলিমদের উপর যে নিরব অত্যাচার-নির্যাতন চালালো হচ্ছে, তাদের উপর যে ঘৃণা-বিদ্বেশ ছড়ানো হচ্ছে এটা তারই বহিঃপ্রকাশ।তাই তারা পশ্চিমা সমাজকে পরামর্শ দিয়েছেন মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেশপূর্ণ আচরণ পরিহার করতে।মেধা থাকার পরেও তারা সামাজিক বঞ্চনার জন্য তারা মূল্যায়ন পাচ্ছেনা এটা বলেছেন। সিআইএ এর হাতে ধরা পরা একজন মুসলিম তরুণী বলেছিল, সে ইরাকে এজন্যই আইএসআইএসে যোগ দিতে চায় সেখানে তাকে তার মুসলিম পরিচয়, তার ইসলামি পোশাক, তার ইসলামিক লাইফস্টাইলের জন্য কোন বাঁধার সম্মুখীন হতে হবেনা। সে চায় স্বীকৃতি যা পশ্চিমা সমাজ দেয়নি। আমেরিকাতে তো তাকে সবসময় তার মুসলিম পরিচয়ের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহপাঠিদের কাছ থেকে ঘৃণাপূর্ণ ব্যাবহার পেতে হয়েছে। তাকে রাস্তায় ভয়ে ভয়ে চলতে হয় এই বুঝি কেউ এসে তার হিজাব টেনে ছিড়ে ফেলবে, জনসম্মুখে তাকে মারধোর করবে অথচ সে মুসলিম বলে কেউ তার সাহায্যে এগিয়েও আসবেনা। সবাই তাকে টেরোরিস্ট বলে ডাকে কিন্তু সে কার ক্ষতি করেছে? কাজেই দূর থেকে কাঁশবণ ঘনই দেখা যায়।
এবার আসেন ভারতের কথায়। আপনি বলেছেন "এক মেডিকেলের ছাত্রীর ধর্ষণের প্রতিবাদে পুরো ভারত গর্জে উঠেছিল। অপরাধীদের শাস্তিও আদায় করে ছেড়েছে।"
আরব বসন্ত সর্বপ্রথম কোথাও শুরু হয়? তিউনিসিয়ায়। যার শাসক ছিল বেন আলী। সে ৩০ বছর শাসন করেছে দেশটি। আযান, হিজাব, দাড়ি ইত্যাদি নানান ইসলামি অনুসঙ্গ এর উপর সে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তার প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী এতই দূর্নীতি পরায়ন ও অত্যাচারী হয়ে ওঠেছিল যে মানুষ অথিষ্ঠ হয়ে ওঠেছিল কিন্তু ভয়ে সবাই ছিল চুপ। কিন্তু এক পুলিশের নির্যাতনে ক্ষিপ্ত তরকারী আলা নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে রাস্তায় আত্নহত্যা করার সাথে সাথে মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পরে। বেন আলী মানুষ হত্যা করেও শেষ রক্ষা করতে পারেনি তার পতন হয়েছে। কিন্তু একজন তরকারী আলা মরলে মানুষে কি আসে যায়? ৩০ বছরের ক্ষোভ তারা একবারই দেখিয়েছে। ভারতের সেই ধর্ষণের ঘটনাও ব্যাতিক্রম না। মানুষ দীর্ঘদিন থেকে এসব দেখতে দেখতে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছিল। বারবার ধর্ষকরা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছিল তাই তাদের দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ গণবিষ্ফোরণে পরিণত হয় যা মিডিয়া কভারেজ পায় তাই ভারত বাধ্য হয়। ভারতে এসব কি নতুন?? আর সেই ঘটনার পরে কি ভারতে এসব কমেছে?নাহ বরং বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত রেপিস্ট কান্ট্রি বলে বিশ্বে আজ পরিচিত।প্রতিদিন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়াতে ভারতের কোন না কোন ধর্ষণের নিউজ থাকেই। সাম্পতিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত বিদেশী পর্যটকদের জন্য সবচাইতে ঝুকিপূর্ণ জায়গা। সবচেয়ে বেশি বিদেশি নারী পর্যটক ভারতে ধর্ষণের শিকার হন। ভারত আজ টিভিতে বলিউডের তারকাদের দিয়ে "অতিথি দেবতার সমান" নামে নানান জনসচেতনতামূলক তথ্যচিত্র প্রচার করছে মানুষকে সচেতন করার জন্য। এমনকি পারিবারিক যৌন নির্যাতন নিয়েও ভারতীয় মিডিয়াগুলো এখন কথা বলছে। ভারতের রাজনৈতিক নেতারা প্রকাশ্যে বলছেন, মুসলিম নারীদের ধর্ষণ কর, সেখানে আপনি তাদের মহান আকৃতিতে প্রকাশ করছেন। অথচ নির্বাচনের কিছুদিন আগেই আসামের শ-খানেক মুসলিমকে হত্যা করা হল । গত বছর মুজাফফরনগরে মুসলিমদের উপর চলেছে ভয়াবহ গণহত্যা এবং মুসলিম নারী ধর্ষণের মাত্রাটা ছিল ভয়াবহ যা কিনা আন্তর্যাতিক মিডিয়াতেও প্রচার করা হয়েছে। কাশ্মিরের মুসলিম নারীরা কি নিরাপদ? গুজরাটের কথা ভুলে গেলেন? ৩০০০ মুসলিম নারীকে ধর্ষণের পর জীবন্ত আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। আমার নানার বাড়ি ভারতের হুগলিতে আমার মা ভারতীয় বাঙ্গালী কাজেই আমি তাদের ব্যাপারগুলো খুব ভাল মতন জানি।
আর মাত্র ৩০ টা বখাটে ছেলের জন্য গোটা জাতিকে দোষারোপ করা যুক্তিযুক্ত না। সেই নারীকে আবার দুজন যুবকই বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন। একজনের হাত ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে অন্যজনের আঙ্গুল। আর সবচাইতে বড় কথা যেসব অনুষ্ঠান নোংরামির জন্যই আয়োজন করা হয়, ইসলামকে বুড়ো আঙ্গুল প্রদর্শন করা হয় সেসবে তো এসব ঘটবে এটাই স্বাভাবিক। ওখানে নিশ্চয়ই ছেলেরা নামাজ পড়তে যায়নি আর মেয়েরাও ওয়াজ শুনতে যায়নি কাজেই যা ঘটবার ছিল তাই ঘটেছে।কাজেই সবদিকই ভাবা উচিত। ধন্যবাদ বৃত্তের বাইরে অনেক কথা বলে ফেললাম রাগ করবেনানা। জাঝাক আল্লাহ।
১৬ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১০:২৯
256417
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : আপনি রাগ করার মত কিছু বলেননি, শুধু শুধু রাগ করব কেন? যারা বৈশাখে লাঞ্চিত হয়েছে তারাও নারী,বোরখা পরিহিত যাদেরকে গত রমজানে কোরআনের আসর থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তারাও নারী। কাজেই একজন নারী হিসেবে নারীর প্রতি সমবেদনা জানানো এবং এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করাটা খুবই স্বাভাবিক। মুসলিম প্রধান দেশে হিসেবে বাংলাদেশে ইসলামী দলের সংখ্যাও তো কম নয়। অন্যায়ের প্রতিবাদ না করলে কি আলেম সমাজ পরকালে জিজ্ঞাসিত হবেনা? নাকি বৈশাখের অনুষ্ঠান ইসলামের অন্তর্ভুক্ত নয় বলে এখানে আলেমদের কিছু বলতে মানা। এই আপনারাই বলেন বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলো বসে শুধু মাছি মারে। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করে তাদেরকেও নড়াচড়া করার সুযোগ দিন। আমেরিকায়,কানাডায় আজকে আমি বা আমার মত যে কোনো নাগরিক বিপদে পড়লে কল করার সাথে সাথে পুলিশ চলে আসে। বাংলাদেশে তো আজকাল পুলিশের সামনেই এসব ঘটছে।

ভারতীয়রা ধর্ষণে শীর্ষে বলে কি বাংলাদেশীদের ও ধর্ষণে রেকর্ড করতে হবে! ভারত কিভাবে তাদের দেশের ঝামেলা মিটাবে সেটা তাদের ব্যাপার। খারাপটা না জেনে আমরা বরং তাদের ভালোটাকে ফলো করিনা কেন? আইটিতে ভারত শীর্ষে, গার্মেন্টসের বাজার ভারতের দখলে যা আগে বাংলাদেশের ছিল, কানাডায় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা সার্টিফিকেটগুলোকে যেখানে গার্বেজ মনে করে সেখানে ভারত থেকে সরকারী খরচে ইঞ্জিনিয়ারদের হায়ার করে আনছে, নামকরা oil & gas কোম্পানীগুলোর বড় পজিশন গুলো বেশীরভাগ ভারতীয়দের দখলে, মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশ থেকে লেবাররা যেতে যেখানে ৭/৮ লক্ষ টাকা বা তার বেশী দালালকে দিতে হয় ভারতীয়রা সেখানে অর্ধেকও দেয়না। ভারতের মিডিয়া, নির্বাচন কমিশন সবই স্বাধীন। বাংলাদেশীরা পারে স্বাধীনভাবে নিজের অধিকার নিয়ে কথা বলতে! নিজের দেশেই তো পারেনা । বাংলাদেশীরা আর কিছু না পারুক বস্তাপচা হিন্দী সিরিয়াল আর ফেনসিডিলের বাজার দখল করতে পেরেছে।

মুসলমানদের যেহেতু পরকালে তাদের কৃত কর্মের হিসাব দিতে হবে তাই অন্যের খারাপটা উদাহরণ হিসেবে না টেনে চলেন ভালো কিছু নিজে করি এবং অন্যকেও করতে উত্সাহিত করি। ধন্যবাদ আপনাকে Good Luck
১৭ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১২:১৪
256424
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে তবে আপনি যেসব বিষয় নিয়ে কথা বলছেন সেসব আমার টপিকের অন্তর্ভূক্ত ছিলনা। আপনি বলেছেন ভারত আমাদের চাইতে উত্তম আমি কয়েকটা উদাহরণ টেনেছি বোঝানোর জন্য তারা কেমন? তাদের ব্যাবসা-বানিজ্য, আইটি, রাজনীতি এসব আমার টপিক না সেটা আমার লেখার সাথে সংশ্লিষ্ট না। আমি আলেম সমাজের কেউ না আর কোন তথাকথিত ইসলামী দলের কর্মীও না। আমার রাজনৈতিক আদর্শ গণতন্ত্র না বরং খিলাফাত। আমি আমার লিঙ্গের ব্যাপারে কাউকে কিছু বলিনা। যার ইচ্ছা হয় আপু ডাকে যার ইচ্ছা হয় ভাইয়া ডাকে। যাইহোক নিজেকে মানুষ থেকে বেশি নারী ভাবাটা একটা মানষিক বিকারগ্রস্হতা। সেদিনকার নারীরা বাইরের কেউনা আমার মতই কারো না কারো বোন। আমার ফ্যামিলি মেমবাররা অতি উদারমণা আমি মানা করার পরেও আমার ভাবীরা-বোন সবাই সেজেগুজে ঢাকা শহর সেদিন চষে বেড়িয়েছে। কাজেই যা ঘটেছে তা আমার ভাবীদের সাথে ও বোনের সাথেও ঘটতে পারত। কাজেই আপনি নারী তাই অন্য নারীর প্রতি সহানুভূতি জেগেছে, পুরুষ হলে জাগতোনা এটা হাস্যকর যুক্তি। আলেমদের কথায় কথায় দোষারোপ বাঙ্গালির চারিত্রিক দূর্বলতা। আর আলেমদের রাস্তায় নামতে দেয়া হয়?? কোন কথা বলতে দেয়া হয়?তারা বলতে চাইলেই কি মিডিয়া তাদের কোন কথা শোনে? তাদের কথা আমরা শুনি? আর যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তারা একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের কর্মী এজন্য কয়জনই বা তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস রাখে?? কওমী মাদ্রাসা জঙ্গি প্রমাণে মিডিয়া সর্বদা তৎপর, কওমী মাদ্রাসা বন্ধে প্রতিদিন পত্র-পত্রিকাগুলোতে ৫-৬টা করে কলাম লেখা হয় সেখানে তারা কতখানি অসহায় সেটা বোঝাই যায়। আপনি কখনো জানার চেষ্টা করেছেন, এই কওমী মাদ্রাসা যেখানে মূলত গরীব-এতিমরাই পড়াশুনা করে এই মাদ্রাসাগুলো টিকে আছে কত কষ্টে?? দোষ ধরা খুব সহজ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সাথে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণকারী দেশের স্বাধীনতার তুলনা করা কি মানায়, যেখানে এদেশ পরাধীন? এদেশ এত ইথিক্স মেনে চলেনা। এখানে পুলিশ-প্রশাসন সব নিয়োগই হয় রাজনৈতিক বিবেচনায়। কাজেই তারা দলীয় হুকুম তামিলে ব্যাস্ত থাকবে সেটাই স্বাভাবিক, তারা দায়বদ্ধ নিয়োগ দেয়া রাজনৈতিক দলের প্রতি, জনগণের প্রতি না। কাজেই এখানে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে নিজেকেই ভাবতে হবে। আর এসব ঘটনা কি নতুন? প্রতিবার হচ্ছে এসব। গতবার, তার আগের বার কোনবার বাদ যায়নি। আপনি বলেছেন মিডিয়া স্বাধীন না। মিডিয়া তো রাজনৈতিক দলগুলোর দালাল এবং তাদের জন্মও রাজনীতিবিদদের হাতে ও টাকায় কাজেই তারা প্রভূদের তাবেদারী করবে সত্য তুলে ধরবেনা এটাই স্বাভাবিক। এখানে তো মিডিয়ার স্বাধীনভাবে খবর প্রচার করার মনমানষিকতাই নেই। এবার লাখো কন্ঠে জাতীয় গান গাইতে গিয়েও অনেক নারী শ্রীলতাহানির শিকার হয়েছেন, তাদের বাঁচাতে গিয়ে অনেকে আহতও হয়েছেন কিন্তু মিডিয়ায় কি তার খবর এসেছে? এখানকার পরিবেশটাই এমন। এখানে নিজেই নিজেকে বাঁচাতে হবে। এজন্যই যাদের প্রতি আপনার ক্ষোভ তারা বলছেন, এসব অনুষ্ঠান বর্জন করুন। নিজেকে বাঁচান। কিন্তু তারা আবার যখন দেখছে এমন কিছু দুর্ঘটনা তখন তারা অনেকটা ক্ষোভেই দুষছেন ভিকটিমকেই কারণ দূর্বলকেই সবাই লাথি মারে সবলকে কিছু বলতে গেলে যে আবার বিপদ। আমি জাস্ট পরিস্হিতিটা বর্ণনা করলাম। কারো পক্ষে-বিপক্ষে অবস্হান নেইনি। ধন্যবাদ।
১৭ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৩:১২
256455
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : নারীর প্রতি সহানুভুতি দেখানো মানে কি পুরুষ বিদ্বেষী বুঝায়!Happyনারীসুলভ আবেগের কথা বললেন তাই নারীর প্রতি সহানুভুতির কথা বললাম। এই ঘটনায় দুজন ভাই এগিয়ে এসেছেন বললেন, সংখ্যাটা দুজন না হয়ে যদি দু হাজার হত বা সবাই মিলে গনধোলাই দিয়ে সাথে সাথে পুলিশের হাতে দিত তাহলে আরো খুশি হতাম। আমি নিজেও কোনো রাজনৈতিক দল বা ইসলামী সংগঠনের সাথে জড়িত না বা তাদের হয়েও কিছু বলছিনা। কারো প্রতি বিদ্বেষ ও নেই। বাংলাদেশ যেহেতু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ তাই ইসলামী দলগুলোর কথা বললাম। উদাহরণগুলো দিলাম কারণ,আমাদের দেশের মানুষ এতটা অসহায় যে নুন্যতম নাগরিক অধিকার থেকেও বন্চিত। একটা নির্দিষ্ট দল বাংলাদেশে মানবাধিকার হরণ করে অন্যায় ভাবে ক্ষমতায় আছে সেটা আমিও জানি। আপনি,আমি,আমরা সবাই তাদের শিকার। একজন সু নাগরিক হিসেবে আপনি যেমন অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন মতামত জানিয়েছেন আমিও জানালাম। আপনার মন্তব্যে আমার কোনো দ্বিমত নেই বরং অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনার পোস্ট এবং সুচিন্তিত মতামতের জন্য। ভালো থাকবেনGood Luck Good Luck
১৮ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০২:০৭
256578
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আপু আমি কি বলব জানিনা। আমার যা বলার ছিল এই লেখাটায় বলেছি পারলে পড়বেন।
http://www.monitorbd.net/blog/blogdetail/detail/3557/warrior2013/64167#.VTFn9djfSTo
আপনিও ভাল থাকবেন।
২৪ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ১০:৫০
257751
হতভাগা লিখেছেন : পাশ্চাত্যে এসব ঘটনা হরহামেশাই হয় ।

এসব ঘটনা নিয়ে সেখানের মেয়েরা এত কাহিনী করে না যতটা উপমহাদেশে হয় ।

তাই তো পাশ্চাত্যের চোঁয়া পাওয়া আধুনিক নারী ও বলিউড নায়িকা সানি লিওনি বলেছেন - Rape is not a crime , it's a surprise sex.

http://www.indiatvnews.com/entertainment/masala/rape-is-not-crime-it-is-a-surprise-sex-says-sunny-leone-1091.html



পাশ্চাত্যের সবকিছু ফলো করবেন এবং তার ইফেক্ট সহ্য করতে পারবেন না - এরকম দ্বৈত মানসিকতাই নারীদের হেনস্তার কারণ।
315227
১৬ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৪:২৭
মায়াবন বিহারিণী হরিণী লিখেছেন : মুমিন পুরুষরা সম্ভবত খুব ধর্ষন প্রবন, মেয়ে দেখলে নিজেকে সামাল দিতে পারে না। এজন্যই ইসলাম ধর্ম সম্প্রাদয়ের মেয়েদের কালো কাপরে ঢেকে রাখতে হয়।
১৬ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৮:৩৩
256314
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ইসলাম নারী পুরুষ উভইকেই এমন কাপড় পরতে বলেছে যা হবে ঢিলাঢালা, শারিরিক কাঠামো বোঝা যাবেনা, জাকজকমপূর্ণ হবেনা যা বিপরীত লিঙ্গকে আকর্ষিত করে। আর মুমিন পুরুষ মানে কি? যারা পরশু খারাপ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা কি মৌলবাদি? আল্লাহ-রাসূল নিয়ে গালাগালির পরেও এই ব্লগে ভদ্র ব্যাবহার পান তার কারণ কি? কারণ মৌলবাদিদের আধিক্য বেশি এজন্যই পান। নাহলে কত রকম গালি যে হজম করতে হত তার!! আপনি মুমিনদের পেছনে না লেগে আপনার পশ্চিমা ড্যাড আর ভারতীয় দাদাদের ধর্ষণ কান্ড গেলেন। এই ভিডিও ডকুমেন্টারীতে তা উল্লেখ করা আছে।
https://www.youtube.com/watch?feature=player_detailpage&v=F_h03dnQuQY
নাহলে বসে বসে আপনার ভগবানদের পূজা করেন যারা ছিল incest প্রিয় যা আপনাদের পবিত্র! ধর্ম গ্রন্হের পাতায় বর্ণনা দেয়া হয়েছে।
315242
১৬ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৭:৪৮
শেখের পোলা লিখেছেন : রমনা পার্কের বোরখা পরিহতারা ঐ কাজটি নির্বিঘ্নে সমাধা করার জন্যই বোরখা পরে, যেমন ঢাকায় নাকি হুকাররা বোরখা পরে খরিদ্দার ধরে৷ আমাদের অঞ্চলে এক সময় গ্রামথেকে দুধ বেচতে আসত, তাদের প্রায় সবারই দাড়ি থাকত,অথচ এদের দুধের অর্ধেকই হত পানি৷ এমনই এক চ্ঁপ দাড়ি ওয়ালাকে দুধে পানি মেশাতে নিজেই দেখেছি৷ ধন্যবাদ৷
১৬ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৪:৫১
256377
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ভাইয়া মন্তব্য প্রদানের জন্য অনেক ধন্যবাদ। Good Luck Good Luck
315399
১৭ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৩:০৪
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : ধন্যবাদ সময় উপযোগী পোস্ট দেয়ার জন্য।
১৭ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৮:০৩
256473
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ। Good Luck Good Luck
315610
১৮ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:০৯
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : কিছুই বলার নেই! যা হচ্ছে তা আমাদের হাতের কামাই!
১৮ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪৩
256637
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : হ্যা! আপু ঠিক বলেছেন। আপু আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে অনেক ভাল লাগছে। Praying Good Luck
317894
০৩ মে ২০১৫ দুপুর ০৩:২৫
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : আচ্ছা প্রায় ১৪০০ বছরের হজ্বের ইতিহাসে এমন কোন ঘটনাতো দেখিনি আমি!
ইতিহাসের পাতায় আমারতো চোখে পড়েনি।
সূদুর ইয়েমেন থেকে পূর্ণ অলংকৃত হয়ে একবোন এসেছিলেন বাইতুল্লাহর তাওয়াফে তার মনে হয়েছিলো আমি যেনো একঘড় থেকে আরেক ঘড়ে যাচ্ছি।
সমস্ত মানুষ তাকে সম্মান দিয়েছিলেন।
হা প্রকৃত সম্মান দ্বীন মানার মধ্যে ইজ্জত আল্লাহর হুকুমের মধ্যে আর কোথাও নাই এবং থাকতেই পারেনা।
আচ্ছা এত এত বোন তারাকি দেখেনা কি হয় এই গ্যাদারিং এর মধ্যে??
প্রতিটি সময় নিউজ পড়েনা?!! তাড়পরও যায় বারবার যায়।
কি বৈশাখ, কি বইমেলা আর কি বা বিজয় দিবস?!!!
বোরকা বলতে কেমন বোরকা বুঝাচ্ছেন ফ্যাশনি বোরকাতো ডিসকো ড্রেস এর থেকে বেশি আকর্ষনীয় আর পোলাপান যত অমানুষ হোক না কেন?! বিয়ে কিন্তু একটা ভালো মেয়েই চায়।
পাক সাফ সফেদ একদম সাদাকাপড়ের মত।
যাক ওদিকে আর গেলাম না মূল কথা আল্লাহর হুকুম, সুন্নাহ, তাকাওয়া এর মধ্যেই কামিয়াবী।
জাজাকাল্লাহ
সুন্দর দৃষ্টিভঙ্গী নতুন লেখা কই?
০৩ মে ২০১৫ রাত ০৮:৪৬
259165
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম। ভাইয়া প্রথমেই চমৎকার মনকাড়া মন্তব্যের জন্য জাঝাক আল্লাহ। আসলে ভাইয়া মূল সমস্যাটা অন্য জায়গায়। আমার ফ্যামিলি মেমবাররা একটু উদারমণা টাইপ সেদিন আমার ভাইয়েরা, ভাবীরা, বোনেরাও সাজগোজে বের হয়েছিল। আপনি বলেছেন, " আচ্ছা এত এত বোন তারাকি দেখেনা কি হয় এই গ্যাদারিং এর মধ্যে??
প্রতিটি সময় নিউজ পড়েনা?!! তাড়পরও যায় বারবার যায়।
কি বৈশাখ, কি বইমেলা আর কি বা বিজয় দিবস?!!!" আসলে ঢাকার মানুষ সমসময় একটা দম বন্ধ করা পরিবেশের মাঝে বসবাস করে। ঢাকার পার্কগুলো অনেক আগেই প্রেমিক-প্রেমিকারা দখলে নিয়ে নিয়েছে, সেখানে প্রকাশ্য নোংরামো এত বেশি পরিমাণ যে কোন বিবাহিত দম্পতি পরিবার-সন্তানসহ সেখানে যাবার সাহস পায়না। সুস্হ ও নির্মল বিনোদনের জায়গাও নেই। মানুষ তাই ঘর থেকে একটু বের হবার জন্য, স্বস্হির নিশ্বাস ফেলার জন্য কোন না কোন উপলক্ষ খুঁজে বেড়ায়। তাই এসব দিবস-টিবস পেলেই তাতে বের হয়ে পরে। তখন আর এত লাভ-লোকসানের চিন্তা মাথায় কাজ করেনা। এটাই মূল ব্যাপার। সামনের বছর দেখবেন এসবে আরো বেশি লোক আসবে কারণ বললাম না পরিস্হিতির জন্যই মানুষ উপল্ক্ষ খুঁজে ঘর থেকে বের হয়ে একটু স্বস্হির নিশ্বাস ফেলার আশায়। আর ভাইয়া বোরখা নিয়েও তো টানাহেচড়া শুরু হয়ে গিয়েছে। নেকাবকে অলরেডি বিতর্কিত করে তোলা হয়েছে। তাই সেটা নিয়ে আলাদাভাবে কথা বলাটা যুক্তিসংগত কারণ সেটা নিয়ে কথা বলতে গেলে আমার মূল টপিকই ব্লগাররা চেঞ্জ করে ফেলত। আমি এখানে যে ম্যাসেজটা দিয়েছি সেটা হল ইদানিং ব্যাপকভাবে প্রচার করা হচ্ছে যে, ইসলাম বলেছে নারীকে বোরখা পরিয়ে ছেড়ে দাও তাকে কেউ হয়রাণি করতে আসবেনা অথচ ইসলাম বলেছে, পর্দার সাথে সাথে নারী যেন ঘরের বাইরে বের হলে রক্ত সম্পর্কের পুরুষ অভিভাবক অথবা হাজবেন্ডকে সাথে রাখেন। এর ফলে সে সবদিক থেকেই নিরাপদ থাকবে। আবার ঘরের বাইরে যদি সাথে বৈধ পুরুষ অভিভাবক থাকে তবে বোরখা পরে পার্কে বয়ফ্রেন্ড নিয়ে কুকাজ করার সাহসও পাবেনা কোন মেয়ে। আমি সেটাই বলেছি। এখানে বোরখা কেমন হবে তা টানলে সবাই আমার আলোচনার টপিকটাই ঘুরিয়ে দিত। Good Luck Good Luck
১০
317896
০৩ মে ২০১৫ দুপুর ০৩:৩১
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : নতুন পোষ্ট কই Time Out Time Out Time Out Love Struck
০৩ মে ২০১৫ রাত ০৮:৫০
259166
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ভাইয়া আসলে লুকিয়ে লুকিয়ে ব্লগিং করি। কম্পিউটার হাতে পাইনা লিখব কিভাবে? ছোটবোনের ল্যাপটপ দিয়ে ব্লগিং করছিলাম কিছুদিন কিন্তু ও ওর ল্যাপটপটা নিজের কতৃত্বে নিয়ে নিয়েছে। বড় ভাইয়ার ল্যাপটপ ধরার সাহস নেই। আর বাসার কম্পিউটারটা সারাদিন ছোটদের হাতে থাকে সেখানে বসা সম্ভব না। আর আমার মোবাইলটাও কিছুদিন আগে চুরি হয়ে গেছে। তার পর আবার এটা ভার্সিটির লাস্ট সেমিষ্টার তাই পড়ার চাপ বেড়ে গেছে। এখন আল্লাহই জানেন আদৌ ব্লগে ফীরতে পারবো কিনা? দোয়া করবেন ভাইয়া। Good Luck Good Luck
১১
317951
০৩ মে ২০১৫ রাত ১১:০৮
আওণ রাহ'বার লিখেছেন :
আসলে ঢাকার মানুষ সমসময় একটা দম বন্ধ করা পরিবেশের মাঝে বসবাস করে। ঢাকার পার্কগুলো অনেক আগেই প্রেমিক-প্রেমিকারা দখলে নিয়ে নিয়েছে, সেখানে প্রকাশ্য নোংরামো এত বেশি পরিমাণ যে কোন বিবাহিত দম্পতি পরিবার-সন্তানসহ সেখানে যাবার সাহস পায়না। সুস্হ ও নির্মল বিনোদনের জায়গাও নেই। মানুষ তাই ঘর থেকে একটু বের হবার জন্য, স্বস্হির নিশ্বাস ফেলার জন্য কোন না কোন উপলক্ষ খুঁজে বেড়ায়। তাই এসব দিবস-টিবস পেলেই তাতে বের হয়ে পরে। তখন আর এত লাভ-লোকসানের চিন্তা মাথায় কাজ করেনা। এটাই মূল ব্যাপার।

খোড়া যুক্তি এটা কোনভাবেই মানান সই নয়।আপনার কাছে অন্তত এমন খোড়া যুক্তি আশা করিনাই।
অন্যসময় যায়না অশ্লীলতার ভয়ে আর এমন অকেশনে যেয়ে সু্ন্দর পরিবেশ পাবে তাই??ধান গাছের ভেলায় নদী পাড়ি দেয়ার মত।
একদল হায়েনা আর একদল মানুষ যখন হাটবে যে কোন সময় হায়েনারা মানুষের উপর ঝাপিয়ে পড়বে যে কোন সময় একটু সুযোগ পেলেই! কারন এই হায়েনারা ক্ষুধার্থ। ইজতেমায় লাখ লাখ মুসল্লি থাকে সেখানে হঠাৎ সঠাৎ দু একজন বোন দেখা যায় তো কখনো তাদের কারো সম্মানে একটুও কলংক লাগেনি কখনও ! কারন এখানে মানুষ যায় আর যেখানে মানুষের পাশাপাশি পশুও যায় সেখানে ভালো কিছু আশা করা যায়না।
শুধু পরিচ্ছন্ন নিয়ত হলেই সুস্থ বিনোদনের যায়গা সবযায়গায় পাওয়া যাবে কম বা বেশী তবে আছে। দেখি আমার ইচ্ছা আছে কিছু ভালো স্পট নিয়ে কিছু লেখার।

নেকাবকে অলরেডি বিতর্কিত করে তোলা হয়েছে।

ইসলামিক যুগে মুনাফিক ছিলো তারা এমন ছিলো নিজেকে মুসলমান দাবী করতো কিন্তু ইসলামের ক্ষতির জন্য এরা এদের জানকে কুরবানী দিয়ে দিবে এমন।
আর বর্তমান জামানায় বাস্তবিক মুনাফিক নাই তা ঠিক তবে অনলাইন ডিজিটাল মুনাফিক ঠিকই আছে আপনি এটা জানেন বেশ ভালো করে।

কে কি বললো আমার কিছু যায় আসেনা আমি আল্লাহ কে রব রাসুল (সল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম) কে নবী এবং ইসলাম কে দ্বীন মেনে সন্তুষ্ট।আর আখেরী জামানায় একটা ফরজ হুকুম নিয়েও মতভেদ হবে পরিস্কার হাদীস আছে তো এগুলা আমার কিছু যায় আসেনা
ঘরের বাইরে বের হলে রক্ত সম্পর্কের পুরুষ অভিভাবক অথবা হাজবেন্ডকে সাথে রাখেন। এর ফলে সে সবদিক থেকেই নিরাপদ থাকবে। আবার ঘরের বাইরে যদি সাথে বৈধ পুরুষ অভিভাবক থাকে তবে বোরখা পরে পার্কে বয়ফ্রেন্ড নিয়ে কুকাজ করার সাহসও পাবেনা কোন মেয়ে। আমি সেটাই বলেছি।

শেষের কথাটি মূল্যবান বলেছেন
কড়া করে বললাম কিছু কথা জাজাকাল্লাহ।
Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck
০৫ মে ২০১৫ রাত ১০:০৮
259605
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : Waiting Waiting Waiting Waiting phbbbbt phbbbbt phbbbbt phbbbbt phbbbbt Waiting Waiting Waiting Waiting
০৮ মে ২০১৫ বিকাল ০৪:২৪
260047
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ভাইয়া ব্লগে বসতে পারছিনা তাই আপনার কথার জবাব দিতে দেরী হল। ভাইয়া ব্লগে আছি ২০১১ থেকে। নাস্তিক ও মডারেটদের থেকে নিজের মা-বোন তুলে গালাগালি, কটুক্তি সবই সহ্য করেছি আর একজন দ্বীনি ভাই আমার ভুল শুধরে দিচ্ছে তার জন্য রাগ করবো কেন?? রাগ শয়তানের পক্ষ থেকে আসে যার মাঝে থাকে অহংকার আর অহংকারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেনা। আমার ভুলগুলো বেশি বেশি ধরিয়ে দিবেন খুশী হব। Good Luck Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File