হে আল্লাহ্‌ তুমি ছাড়া কেউ কল্যাণ দিতে পারে না, তুমি ছাড়া কেউ অকল্যাণ ও দুরবস্থা দূর করতে পারে না। ক্ষমতা ও শক্তির আধার একমাত্র তুমিই। (আবু দাউদঃ ৩৯১৯)

লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ১৩ এপ্রিল, ২০১৫, ০৭:১৫:৩৯ সন্ধ্যা



"যখন আমি কোন জনপদকে ধ্বংশ করার ইচ্ছা করি তখন তার সমৃদ্ধশালী ব্যক্তিদেরকে(সৎকর্ম করতে)আদেশ করি;কিন্তু তারা সেখানে পাপাচারে মেতে ওঠে;তখন সেই জনপদবাসীর উপর দন্ডাজ্ঞা অবধারিত হয়ে যায় এবং আমি তাকে সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত করি।(সূরা বনী ইসরাইল:আয়াত:১৬, অধ্যায়:১৫)"

কারা‬ আমাদের এই জনপদের সমৃদ্ধশালী?

*হ্যা! ঠিক ধরেছেন, সেসব স্বচ্ছল অবিবাহিত/বিবাহিত তরুণ-তরুণী/যুবক-যুবতী যারা আজ তথাকথিত বাংলা বর্ষবরণ, মঙ্গল প্রদীপ, মঙ্গল শোভাযাত্রা নামক নোংরামির জন্য আল্লাহ প্রদত্ত শারিরিক সৌন্দর্য-সক্ষমতা, ধন-সম্পদ, মূল্যবান সময় পাপাচারের পেছনে ব্যায় করছে। সেসব সম্পদশালী ব্যক্তি, চেতনাধারী, মিডিয়া,কর্পোরেট জগৎ যারা আজ উলঙ্গপনা আর পহেলা বৈশাখ বা বর্ষবরণের নামে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা, মঙ্গল প্রদীপ-মঙ্গল শোভাযাত্রা নামক বেহায়াপনায় তরুণ-তরুণীদের উৎসাহিত করছে এবং এসবের পেছনে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে, logistics support দিচ্ছে নিজেদের পকেটে বিশাল অংকের টাকা মুনাফা হিসেবে ভরার জন্য।

‎চোখ‬ বন্ধ করে স্বরণ করুন "আদ,সামুদ,সাদুম,তুব্বা" নামক জনপদগুলোর কথা। কি দেখতে পাচ্ছেন? বিধ্বস্ত দালানকোঠা-রাস্তাঘাট-মাটির নীচে চাপা পরা জনশূন্য নগরী আর যেখানে-সেখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পরে থাকা চূর্ণ-বিচূর্ণ মানুষের হাড়-কঙ্কাল__ কি তাইনা? যারা ছিল একসময় উচু-উচু দালানকোঠা, বিপুল ধন-সম্পত্তির মালিক। কিন্তু আজ তারা কোথায়?

"শ্রেষ্ঠ কি উহারা, নাকি তুব্বা সম্প্রদায় ও উহাদের পূর্ববর্তীরা? আমি উহাদিগকে ধ্বংশ করিয়াছিলাম, অবশ্যই উহারা ছিল জালিম(দুখান -৪৪: আয়াত ৩৭,অধ্যায়:২৫)"

আমাদের‬ জনপদও কি এমন কোন ধ্বংশযজ্ঞের দিকেই এগিয়ে চলেছে????_হয়ত হ্যা!‎তবুও‬ আমরা আমরা টিকে আছি কিভাবে?

"আকাশমন্ডলী উধ্বদেশ হইতে ভাঙ্গিয়া পড়িবার উপক্রম(পৃথিবীবাসীর পাপাচারের দরুণ)হয় এবং ফেরেশতাগণ তাহাদের প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে এবং জমিনবাসীদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে, জানিয়া রাখ,আল্লাহ তিনি তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু(সুরা শুরা:আয়াত:৫,অধ্যায়:২৫)"

হ্যা‬!আল্লাহ সত্যিই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। মিশরের সমৃদ্ধশালী ফেরাউন ও তার প্রতাপশালী সম্প্রদায় জনসম্মুখে অভিজ্ঞ জাদুকরদের নিয়ে এসেও আল্লাহ প্রদত্ত সাহায্যের বলে মুসা(আঃ)এর কাছে হেরে যায়। জনসম্মুখে আল্লাহর অস্তিত্ব ও মুসা(আঃ)এর নবুয়তের কথা প্রমাণ হয়ে যায়। কিন্তু এরপরেও তারা চরম অবাধ্যতা ও পাপাচারে লিপ্ত থাকে। গরীব ইহুদী মুমিনদের উপর নির্মম নির্যাতন, ইহুহিদের ছেলে শিশুদের হত্যা, মসজিদ ধ্বংশ ইত্যাদি সীমালঙ্ঘনমূলক কার্যাবলি তারা চালিয়ে যেতেই থাকে। অথচ তার পরেও আল্লাহ তাদের উপর দয়া করেছিলেন। তাদের দোয়া কবুল করেছেন, প্রয়োজন মিটিয়েছেন। তাদের দীর্ঘ ২০ পর্যন্ত বছর সময় দিয়েছিলেন তওবা করার জন্য। যখন তাদের নির্যাতনে মুমিনরা ভীত ও দিশেহারা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তাদের প্রতি আল্লাহর শান্তনা ছিল_

হে মুমিনগণ! তোমরা ধৈর্য্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে রয়েছেন।(সূরা বাকারা, আয়াত:১৫৩)

কারণ‬ কি? সূরা কাহাফের দুটি আয়াতে আল্লাহ উত্তর দিয়েছেন___

৫৮. এবং তোমার প্রতিপালক ক্ষমাশীল, দয়াবান। তাদের (অবিশ্বাসী) কৃতকর্মের জন্য তিনি তাদেরকে শাস্তি দিতে চাইলে তিনি তাদের জন্য শাস্তি খুব তাড়াতাড়ি পাঠাতেন, কিন্তু তাদের জন্য রয়েছে এক প্রতিশ্রুত মুহূর্ত, যা হতে তাদের পরিত্রাণ নেই।

৫৯.ঐসব জনপদ তাদের অধিবাসীবৃন্দকে আমি ধ্বংশ করেছিলাম যখন তারা সীমালঙ্ঘন করেছিল এবং তাদের জন্য আমি স্হির করেছিলাম এক নির্দিষ্ট মুহূর্ত।

হ্যা! ‎আল্লাহ‬ শুধু মুমিন নয়, বরং অপরাধীদেরও প্রভূ। তাই তিনি তাদেরকেও ভালবাসেন, সহজে শাস্তি দিতে চাননা। তিনি চান তারা ফীরে আসুক তার পথে।নিশ্চয়ই মুমিনরা ধৈর্যধারণ করেছিল কিন্তু এত সুদীর্ঘ সময় পেয়েও অপরাধীরা ফীরে আসেনি। পাপাচারে লিপ্ত থেকেছে, মুমিনদের উপর নির্যাতনের মাত্রা আরো বাড়িয়েছে, তাদের উপহাস করেছে এই বলে: আমরা তো আমাদের বিশ্বাস, আমাদের গোল সমাজে প্রতিষ্ঠাই করে ফেললাম। আমরা যেভাবে চাই সেভাবেই তো সব চালাচ্ছি। ব্যাকডেটেড মোমিন, ক্ষাত, মুল্লাহ তোমাদের আল্লাহ কিছু করেনা কেন?? কোথায় শাস্তি?? ঠিক এভাবেই আদ, সামূদ, সাদূম প্রতিটি জনপদের সমৃদ্ধশালীরাই এক ও অভিন্ন আচরণ করেছিল অসহায় মুমিন ও আল্লাহর নবীদের সাথে। কারণ আল্লাহ তাদের সুযোগ দিয়েছেন_

"এইভাবে আমি অপরাধীদের অন্তরে উহা(অবাধ্যতা)সঞ্চার করি।( হিজর-১৫,আয়াত:১২,অধ্যায়:১৩)"

মুমিনরা‬ অপরাধীদের চরম দাপটে, নির্যাতনে ভীত-সন্ত্রস্ত, ধৈর্যহারা এমনকি সংশয়েও পতিত হয়ে পড়েছে। নবীদের কাছে ছুটে গিয়ে প্রশ্ন করেছে: আল্লাহর সাহায্য কখন আসবে?? এবার উত্তর এসেছে_

"মানুষ সৃষ্টিগতভাবেই ত্বরাপ্রবণ, শীঘ্রই আমি তোমাদেরকে আমার নিদর্শনাবলী দেখাব;সুতরাং তোমরা আমাকে তারাহুড়ো করতে বলো না।(আম্বিয়া:৩৭)"

মুমিদের মন শান্ত হয়েছে, পরিপূর্ণভাবেই তারা আল্লাহর উপরে ভরসা করেছে, ধৈর্য ও ইবাদতে আরো দৃঢ় হয়েছে।মুমিনদের‬ এত কষ্টের পরেও আল্লাহ এভাবেই প্রতিটি অপরাধী সম্প্রদায়কে তওবার সময় দিয়েছিলেন দিনের পর দিন,মাসের পর মাস আর বছরের পর বছর। যখন নির্যাতনে দিশেহারা অসহায় মুমিনেরা ও এমনকি আল্লাহর নবীরা দোয়া করছিলেন:

" হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমাদিগকে কাফিরদের পীড়নের পাত্র করিও না। হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমাদিগকে ক্ষমা কর; তুমি তো পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (মুমতাহিনা-৬০,আয়াত:৫,অধ্যায়:২৮)"

আল্লাহ এবার মুমিনদের কথা ফেলতে পারেননি উত্তর দিয়েছেন_ সুতরাং, তাদের সামান্য হাঁসতে দাও, অতঃপর তারা অনেক বেশি কাঁদবে, এটা হল তাদের (কৃতকর্মের) পুরস্কার যা তারা উপার্জন করতো। (সুরাহ তওবাহ, ৮২)"

কিন্তু‬ অপরাধীরা তবুও থেমে থাকেনি। পাপাচার,অবাধ্যতা ও মুমিনদের উপর নির্মম নির্যাতনের মাত্রা বেড়েই চলছিল। অতঃপর সত্যিই একদিন আল্লাহর গযব নেমে এসেছে তাদের উপর। পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে প্রতাপশালীরা, সুপার পাওয়ারেরা। অবাধ্যতায় আল্লাহ তাদের ধ্বংশ করে দিয়েছেন, তাদের অহংকারকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছেন। আর মুমিনদের রক্ষা করেছেন যারা শুধুমাত্র তার উপরেই পরিপূর্ণভাবে নির্ভর করেছিল। কে জানে, হয়ত আমরাও এমন কোন ধ্বংশযজ্ঞ (যুদ্ধবিগ্রহ, ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়), মহাবিপর্যয়ের শাস্তি উপভোগ করার জন্যই এগিয়ে চলেছি!! বলা হয় ইরাকে হামলার জন্য মার্কিনিরা যখন সেনাবাহিনী, যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান প্রস্তুত করছিল, ইরাকীরা তখন ফুটবল নিয়ে মহাব্যাস্ত ছিল কিন্তু একদিন ঘুম ভাঙ্গল মার্কিন বোমারু বিমানের বিকট শব্দে। আসলে আল্লাহ এসব দিনগুলোর আবর্তন ঘটান যখন মানুষ ভুলে যায়, "তার সৃষ্টিকর্তা কে?"

বিষয়: বিবিধ

২৪০৪ বার পঠিত, ৩৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

314644
১৩ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২৩
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : আজকের সমাজে অপসংস্কৃতির জয়জয়কার হচ্ছে যার প্রধান কারণ আমাদের মূল সংস্কৃতি থেকে দুরে শুধু নয় মূল সংক্সৃতি কি তা ও অনেকে জানিনা।
ধনবাদ অনেক গুরুত্বপূর্ণ লিখনির জন্য।
১৩ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২৮
255536
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : শাহীন ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। কথা খুব অল্প কিন্তু মূল মেসেজটা তুলে ধরেছেন। Good Luck Good Luck
314647
১৩ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩২
শেখের পোলা লিখেছেন : বেশ সুন্দর করে আয়াতগুলো সাজিয়ে অত্যন্ত মূল্যবান লেখাটি তৈরী করেছেন৷ হাঁ, হয়তোবা আমরা এমনই একটা ধ্বংসের দিকে এগিয়ে চলেছি৷ মনে রাখতে হবে পাড়ায় আগুন লাগলে মসজিদ ঘরও বাঁচে না৷ তাই এমন হেদায়েতের বাণী এখন বেশী বেশী প্রয়োজন৷ ধন্যবাদ৷
১৩ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৮
255539
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : লেখাটা পুরনো গত বছর ফেসবুকে দিয়েছিলাম আজ একটু এডিট করে ব্লগে দিলাম। মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ। জাঝাক আল্লাহGood Luck Good Luck
314653
১৩ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৬
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : সুন্দর পোষ্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১৩ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৮:০০
255540
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য প্রদানের জন্য। জাঝাক আল্লাহGood Luck Good Luck Good Luck
314662
১৩ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৮:২৫
আশাবাদী যুবক লিখেছেন : মাশাআল্লাহ
সুন্দর অকটি লেখার জন্য মুবারকবাদ
১৩ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৮:৪০
255548
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আশাবাদী ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকেও জাঝাক আল্লাহ। Good Luck Good Luck
314664
১৩ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৮:৩৭
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। কোরানিক দলীলের আলোকে লিখা মূল্যবান লিখাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। অপসংস্কৃতির প্রহেলিকাময় ঘন অন্ধকারে ছেয়ে আছে গোটা জাতি। এই তমাচ্ছন্ন তিমিরে জাতিকে কিছুটা হলেও আশান্বিত করবে আপনার লিখাটি।
১৩ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৮:৫৬
255552
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম আপি। আমি তেমন ভাল ব্লগার না আর বিশেষ করে এই ব্লগে তেমন একটা জনপ্রিয়ও না। জাস্ট কোরানের কিছু আয়াতকে পাশাপাশি সাজিয়েছি তা দিয়ে একটা লেখার কাঠামো দাড়ালো এতটুকুই। সমাজ সম্ভবত যুদ্ধাবস্হার দিক মোড় নিবে। আমার কাছে সেটাই মনে হয়। হাদিসে এই দিকেই ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। আল্লাহ ভাল জানেন। জাঝাক আল্লাহ আপি তোমার মন্তব্যের জন্য। আমার জন্য দোয়া করবে কেমন? Good Luck Good Luck
১৩ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:২২
255617
মায়াবন বিহারিণী হরিণী লিখেছেন : এইসব আল্লা/টাল্লার ফালতু চাপাবাজির দিন শেষ। সাহস থাকলে চীন, ভারত, ইসরাইল, আমেরিকার...... গায়ে একটা টোকা দিয়ে দেখতে বলেন।
১৪ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১২:০৯
255636
সন্ধাতারা লিখেছেন : এই হতভাগী মরলেই কেবল সোজা হবে! তার আগে সোজা হবে না।
১৪ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২৭
255909
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : মু হাহাহাহা.. তোমার দিনও ফুরিয়ে আসতেছে হরিণী। ৪০ বছর, ৫০বছর, ৬০ বছর ওকে বাড়িয়ে দিলাম ১০০ বছর তারপর তো মাটির তলেই যাবা। নাকি মেডিকেলে বডি দান করবা? ওহ শোন! নাস্তিকগুলার মরার রেকর্ড একটারো ভালোনা। এইগুলা হয় ক্যান্সারে মরে, নাহয় দূর্ঘনায় মরে। একটারেও দেখলাম না শান্তিতে মরলো। বিজ্ঞানীরা এত্তগুলা বিজ্ঞান দিয়েও তাদের সুস্হ্য করতে পারলোনা। বেটা স্টিফেন হকিং এত্তবড় বিজ্ঞানী বিশাল বিশাল গর্ত টর্ত আইমিন ব্লাক হোক আবিষ্কার টাবিষ্কার করল কিন্তু নিজে অলটাইম কেলায়ে পইরা থাকে।তার দৃষ্টিকে আল্লাহ বলিয়া কেউ নাই যে তাকে রক্ষা করবে। সবই বায়বীয় ওয়েল বিজ্ঞানীরা তো বাস্তব তারা হেরে টাইনা টুইনা সুস্হ্য করতে পারেনা? ওকে যে কয়দিন বাঁচো মুরগির ঠ্যাং চিবাও, সুরা-মদ গিলো আর ঘুমাও তারপরে তো মাটির তলেই যাবা।
314682
১৩ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৯:৪২
আফরা লিখেছেন : একেবারে ঘুম ভাংগিয়েই দিলেন ভাইয়া আর কারো না ভাংলে ও অনন্ত আমার ভেংগেছে ।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ঘুম ভাংগানিয়া ভাইয়া অ----নে----ক সুন্দর ও অর্থবহ লেখার জন্য ।
১৩ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১০:০৪
255573
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আফরা সাইয়ারা ঘুম থেকে কখন উঠলেন? Winking) Winking)সকাল হলে তো ঘুম ভাঙ্গার ই কথা। Happy আপনাকেও এত্তগুলো ধন্যবাদ। জাঝাক আল্লাহ আফরা সাইয়ারা Good Luck Good Luck
314704
১৩ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১০:১৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আমাদের আচরনই আমাদের বর্তমান অবস্থায় উপনিত করেছে।
১৩ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১০:২১
255580
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : হ্যা ভাইয়া! ঠিকই বলেছেন। আমাদের কপালে ভাল কিছু জুটবেওনা। Good Luck
১৪ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০২:৫১
255686
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : মায়াবন বিহারিণী হরিণী এর মন্তব্য গুলো মুছেদিন ওনি যুক্তিতে আসবেনা!
১৪ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:২০
255779
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : নুর আয়েশা ভাইয়া/ভাবী যেহেতু আমি শুরু করেছি তখন আমাকেই তো তা শেষ করতে হবে। ভাইয়া/ভাবী গত ৪ বছরের ব্লগিং লাইফে কখনো এদের এড়িয়ে যাইনি। দিনের পর দিন তর্ক চালিয়েছি আর এ তো হাবাগোবা ভং ধরা নাস্তিক। আল্লাহ আমাকে সবসময়ই হেল্প করেছেন। হয়ত আমার বয়স কম তাই জিদ বেশি কিন্তু তর্কে ইস্তফা দেয়ার মানুষ আমি না।
314726
১৩ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:১৯
মায়াবন বিহারিণী হরিণী লিখেছেন : আপনার আল্লার ফালতু চাপাবাজির দিন শেষ। সাহস থাকলে চীন, ভারত, ইসরাইল, আমেরিকার...... গায়ে একটা টোকা দিয়ে দেখতে বলেন।
১৩ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:৪৪
255624
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : বলদ পারলে তুমি নিজের মৃত্যু ঠেকাও, অমর হয়ে যাও। আর ভারত তো কাশ্মিরে ৮,০০,০০০ আর্মি নিয়েও মাত্র ৫,০০০ হাজার জঙ্গির সাথে পারেনা। আম্রিকা আফগানিস্তান থেকে তালেবানদের ভয়ে পালাচ্ছে। চীন উইঘুরে তো দীর্ঘদিন থেকেই পেদানির উপরেই আছে। ইসরাইল কি হামাসকে শেষ করতে পেরেছে? তারা তো হামাসের ফাকা রকেট দেখেই গর্তে পালায়। আপনার সাধের আম্রিকা, ইজরাইল, চীন আর গরুর মুত খাওয়া ভারতের যত বাহাদুরী নিরীহ-নিরস্ত্র মানুষের উপরেই। অস্ত্রধারীদের সাথে মোকাবেলায় তারা সর্বদাই অচল। আমার আল্লাহ তো নাস্তিক জাপানরে ২০১১ সালে একবার ৬ মিনিটের ভূমিকম্প আর সুনামি দিয়েই নাজেহাল করে দিয়েছে। আপনার বাপ আম্রিকার বিজ্ঞানীরা অচিরেই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে নিজেদের ভূখন্ড ধ্বংশের আশংকা করিতেছে। মুত্রমণায় আইছে আমারে জ্ঞান দিতে।
১৪ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১২:০৭
255635
সন্ধাতারা লিখেছেন : আপু তুমি এতো সুন্দর করে ঝাড়ি দিতে পারো জানা ছিল নাতো ...!!!!!
১৪ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:৩৬
255781
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : সম্ভবত এইটারে এর আগেও অনেকবার তর্কে হারিয়েছি তাই প্রতিশোধ নেয়ার জন্য কমেন্ট করতে এসেছে। এদের তো নামও ঠিক নেই আজকেই হরিণী তো কাল কালবিলাই নাম। বিশাল আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগে বেচারী।
314754
১৪ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০১:৩৪
মায়াবন বিহারিণী হরিণী লিখেছেন : কুত্তা, বিলাই, মশা, মাছি.........সবই মরে। আমরা থাপর দিয়ে কত মশা মারি। কিন্তু আপনার আল্যা তাও পারে না। একজন ইহুদী পাইলট যখন F-16 দিয়ে গাজায় মুমিনদের উপর বোমা মারে, আল্যার জিবরাইল তখন শতশত গাজাবাসীর জান কবজ করার জন্য ব্যাস্ত হয়ে পরেন। কিন্তু আক্ষেপ!! F-16 পাইলটের টিকিটাও স্পর্স করতে পারে না। এতেই আপনার আল্লার দৌড় বুঝা যায়।

তা ছাড়া, আল্লার পেয়ারা দোস্ত মোহাম্মদ নিজেও খাইবারে জনৈক ইহুদী মহিলার বিষ মিশ্রিত মাংস খেয়ে যন্ত্রনায় ছটফট করে অকালে মৃত্যু বরন করেন।

(Narrated ‘Aisha: The Prophet in his ailment in which he died, used to say, “O ‘Aisha! I still feel the pain caused by the food I ate at Khaibar, and at this time, I feel as if my aorta is being cut from that poison.”)

Sahih Bukhari 5:59:713


সুতরাং আপনার আল্লা কি কচু করতে পারেন তা বুঝতে বাকি নেই।
১৪ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৪:১০
255847
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, তাদের মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা বুঝ না। অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের। যাদের উপরে কোন বিপদ আপতিত হলে তারা বলে, নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয়ই আমরা তার দিকেই প্রত্যাবর্তনকারী।(সুরা বাকারা:১৫৪- ১৫৫-১৫৬)
আর মুহাম্মাদ কেবল একজন রাসূল। তার পূর্বে নিশ্চয় অনেক রাসূল বিগত হয়েছে। যদি সে মারা যায় অথবা তাকে হত্যা করা হয়, তবে তোমরা কি তোমাদের পেছনে ফিরে যাবে ? আর যে ব্যক্তি পেছনে ফিরে যায়, সে কখনো আল্লাহর কোন ক্ষতি করতে পারে না। আর আল্লাহ অচিরেই কৃতজ্ঞদের প্রতিদান দেবেন। (আল ইমরান, আয়াত:১৪৫)
কাজেই পৃথিবী কোন চিরস্হায়ী জায়গা না। এখানে মুসলিম-অমুসলিম সবাইকেই মরতে হবে এটাই বাস্তবতা। আবার পৃথিবীর নিজের ধ্বংশও অনিবার্য যাকে আমরা বলি কিয়ামাত আর আপনারা যাদের উপর ঈমান এনেছেন সেই cosmologist -রা বলেন: পৃথিবীর অনিবার্য পরিণতি হল ১.Endless expansion অথবা ২. Big crunch কাজেই এখানে পাওয়া বা না পাওয়া নিয়ে এত হিসাব করে কি লাভ? আমরা জানি পৃথিবীটা জাস্ট পরীক্ষার হল এখানে আমরা পরীক্ষা দিচ্ছি। কোরানে আল্লাহ জানিয়েছেন: আপনারা কামণা করেন, ইস! যদি আমাদেরকে ১০০০ বছর আয়ু দেয়া হত! কারণ আপনারা পরীক্ষা দিতেই রাজিনা জাস্ট টাইম পেছানোতে ব্যাস্ত। কিন্তু আমরা এটা কামণা করিনা কারণ আমরা জানি পৃথিবী ধ্বংশশীল। তার নিজেরই মৃত্যু অনিবার্য কারণ সে শুধু একটা পরীক্ষার হল ছাড়া আর কিছুইনা। পরীক্ষার সময় শেষ হয়ে গেলে আমাকে পরীক্ষাহল ত্যাগ করে ভাইভার জন্য বা আল্লাহর সামনে উপস্হিত হতে হবে বা মৃত্যুকে বরণ করতে হবে। তাই আমাদের আসল লক্ষ জান্নাত যা চিরস্হায়ী, অস্হায়ী পৃথিবী না। আধ্যাতিকতা আপনার মাথায় ঢুকবেনা তাই যুক্তিতেই আসি।
এখানে কোন সভ্যতাও চীরস্হায়ী ভাবে জেঁকে বসতে পারেনি। একবার তারা অন্যান্যদের শাসন করেছে তো কিছুদিন পরে তারাই আবার অন্যের দ্বারা শাসিত-শোষিত হয়েছে। পৃথিবীতে একটি সভ্যতা ১০০-২০০ বছর পৃথিবীর জনগোষ্ঠিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ-শাসন করছে, ইচ্ছা হলে মারছে_ কাজেই "তারাই পরাক্রমশালী, চীরস্হায়ী" এটা বিরাট হাস্যকর চিন্তাধারা কারণ পৃথিবীতে অতীতে অনেক উন্নত সভ্যতা ও জনগোষ্ঠী পৃথিবী শাসন করেছে, পৃথিবীবাসীকে নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং তাদের মোকাবেলা করার মত সাহস ও শক্তি কোন জাতির ছিলনা, কিন্তু তারা বা তাদের বংশধরেরা কেউ কি আজ চীরস্হায়ী হয়ে টিকে আছে?? ধ্বংশ হয়ে গেছে। তাদের আকাশছোয়া ঘরবাড়ি এখন মাটির স্তুপের নীচে চাপা পরেছে, তাদের বিচ্ছিন্ন হাড় কঙ্কালগুলো এখন ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে আছে। এখনকার মানুষ সেখানে যায় বিনোদনের জন্য, আর তাদের ব্যাপারে গবেষণার জন্য। পৃথিবীতে কখনো গ্রীকরা কর্তৃত্ব স্হাপন করেছে আবার কখনো রোমানরা। মুসলিমরা হাজার বছরের বেশি পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করেছে। ইহুদি-খৃষ্টানরা মুসলিম ভূমিতে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ না করার শর্তে জিজিয়া কর দিয়ে বসবাস করত। মধ্যযুগে জ্ঞান-বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রাও ছিল মুসলিমদের হাতে। পশ্চিমাদের কাছে মধ্যযুগ ছিল "অন্ধকার যুগ" কারণ তারা ছিল অন্ধকারে নিমজ্জিত। জ্ঞান-বিজ্ঞান থেকে অনেক দূরে, কূসংষ্কারাচ্ছন্ন এক সম্প্রদায়। ক্রুশেডাররা মুসলিমদের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেয়ার পর তাদের অগ্রযাত্রা দেখে মনে হচ্ছিল মুসলিমরা বুঝি এই শেষ। কিন্তু তা কি হয়েছে? সালাহউদ্দিনরা ইতিহাস পাল্টে দিয়েছে। বৃটিশরাও একদিন গোটা পৃথিবী শাসন করেছে কিন্তু আজ? একদিন ইহুদিরা খৃষ্টানদের হাতে কচুকাটা হয়েছে, হিটলার তাদের প্রায় শেষ করেই দিয়েছিল যখন মুসলিমরা তাদের রক্ষা করেছে কিন্তু আজ সেই পরক্রমশালী হিটলার আর তার নাজি বাহিনীর অস্তিত্বটাও নেই। আবার আজ পৃথিবী ইহুদীদের নিয়ন্ত্রণে। মুসলিমরা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে তাদের দ্বারা। হত্যা-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তাদের সক্ষমতা দেখে মনে হচ্ছে তারা চীরস্হায়ী কিন্তু তারা কি চীরস্হায়ী হবে? এককালে ভারতে দ্রাবিড়দের সভ্যতা ধ্বংশ করে আর্যরা ভারত দখল করেছিল কারণ সে সময়ের পেক্ষাপটে তারা ছিল পরাক্রমশালী কিন্তু পরে তারাও হাজার বছর মুসলিমদের শাসনে থাকতে বাধ্য হয়নি? আজ তারা আবার মুসলিমদের উপর নিয়ন্ত্রণ চালাচ্ছে। কিন্তু কতদিন? কাজেই কোন জাতিগোষ্ঠী ১০০-২০০ বছর দুর্দান্ত প্রতাপ দেখালেই, সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করলেই তারা চীরস্হায়ী হয়ে যায়না। ইহুদি সভ্যতাও খুব তাড়াতাড়ি ধ্বসে পরবে তারাও মুসলিমদের দ্বারাই কচুকাটা হবে। আপনি প্রশ্ন তুলেছেন আল্লাহ করেটা কি??
আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত।
রাসুল (সঃ) বলেছেন, কিয়ামত সংগঠিত হবেনা ততক্ষন পর্যন্ত, যতক্ষন না মুসলমানরা ইহুদীদের সাথে যুদ্ধ করবে, তারা (মুসলমানরা) ইহুদীদেরকে হত্যা করবে, ইহুদীরা পাথর খন্ড ও গাছের আড়ালে লুকাবে, তখন পাথর ও গাছগুলো বলবে; হে মুসলমান! এই যে ইহুদী আমার পিছনে!! এসো,তাকে হত্যা কর [সহীহ মুসলিম, অধ্যায় ৪১, হাদিস সংখ্যা:৬৯৮৫)
আপনি প্রশ্ন তুলেছেন আল্লাহ করেন কি? এসব আল্লাহর পক্ষ থেকেই। সব নিয়ন্ত্রণ আল্লাহর হাতেই।
আর তোমরা দুর্বল হয়ো না এবং দুঃখিত হয়ো না, আর তোমরাই বিজয়ী যদি মুমিন হয়ে থাক।
যদি তোমাদেরকে কোন আঘাত স্পর্শ করে থাকে তবে তার অনুরূপ আঘাত উক্ত সম্প্রদায়কেও স্পর্শ করেছে। আর এইসব দিন আমি মানুষের মধ্যে পালাক্রমে আবর্তন করি এবং যাতে আল্লাহ ঈমানদারদেরকে জেনে নেন এবং তোমাদের মধ্য থেকে কিছু লোককে শহীদরূপে গ্রহণ করেন। আর আল্লাহ যালিমদেরকে ভালবাসেন না।(সুরা আল ইমরান, আয়াত: ১৩৯ ও ১৪০)

তিনি ইচ্ছা করলে তোমাদের অপসারণ (ধ্বংশ) করে নতুন সৃষ্টি আনয়ন করতে পারেন এটা আল্লাহর জন্য কঠিন নয়( সুরা ফাতির, আয়াত:১৬-১৭)
আজ আপানদের বিজ্ঞানীরা ডাইনোসর, এলিয়েন ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়ে কত গবেষনাই না করছেন।
আমি জানি আবারো আপনার মাথায় মুত্রমণার চিন্তাধারা কিলবিল করবে কারণ আল্লাহ নিজেই বলেছেন:
তারা কোরানের প্রতি বিশ্বাস স্হাপন করবেনা এবং অতীতে তাদের পূর্ববর্তীগণেরও আচরণ এরূপই ছিল।
যদি তাদের জন্য আকাশের দুয়ার উন্মুক্ত করে দেই এবং তারা সারাদিন তাতে আরোহণ করতে তাকে, তবুও তারা বলবে,আমাদের দৃষ্টি সম্মোহিত করা হয়েছে, না, বরং আমরা জাদুগ্রস্হ হয়ে পরেছি। (সুরা হিজর, আয়াত:১৩,১৪,১৫)
যাইহোক সাইন্সেই আসি আই মিন প্রকৃতির কোলে। নিউটনের গতির ৩য় সূত্র: প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া আছে। সহজভাবে Action=Reaction. শক্তির নিক্ততা সূত্র বলে: কোন বস্তু যে পরিমাণ শক্তি হারায় অন্য বস্তু ঠিক সেই পরিমাণ শক্তি অর্জন করে। কাজেই আপনার প্রকৃতি মাতাই বলছেন: কোন কিছু চীরস্হায়ী না। পৃথিবীর ইতিহাস বলছে কেউ তার শক্তিবলে চীরস্হায়ী হতে পারেনি। কাজেই আপনি যেই সভ্যতার শক্তি-সামর্থ্য নিয়ে বড়াই করছেন তাও একদিন ভেঙ্গে পরবে। আপনার সাথে ফাউ প্যাচাল পারার টাইম আমার মোটেও নেই আপনি আমার দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চেয়েছেন আমি জানিয়েছি। আপনাদের বিজ্ঞানীরা আজ বলছেন, তাদের ধারণা পৃথিবীতে এমন একটা প্রক্রিয়া সচল আছে যার জন্য পৃথিবীর সকল মানুষ "কে কোন কথা বলেছেন?" সব কিছুই এতে আটকে রয়েছে। এটা বের করার চেষ্টাও নাকি তারা করছেন। এটাই হয়ত আল্লাহর রেকর্ড কাজেই সব কিছুর বিচার একদিন হবে। পৃথিবীরটা হয়ত আমরা দেখে নাও যেতে পারি কিন্তু সেদিন???
অনন্তর যেদিন আমি তাদেরকে একত্রিত করব-যাতে কোন সন্দেহ নেই, তখন তাদের কি দশা হবে? এবং প্রত্যেক ব্যক্তি যা অর্জন করেছে, তা সম্যকরূপে প্রদত্ত হবে এবং কারো প্রতি অত্যাচার করা হবেনা (সুরা আল ইমরান, আয়াত:২৫)
১০
314768
১৪ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০২:৫৬
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : সংস্কৃতির দোহাই দিয়ে মুর্তিপুজা করিয়ে নিতে পারলেই ওসব পুজা চেতনাধারীরা শয়তান রূপে খুশি!!

ঐ শয়তানদের খুশি করার জন্য কিছু বাঙ্গালী লেবাসদারী মুর্তিপুজারী শয়তান যোগ দেয়।

মুসলিম যোগদানকারীর প্রতি নিন্দা ছাড়া আর কিছুই দেবার নেই।
১৪ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৮:২৫
255706
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : রাসূল (সাঃ) নিজেই কেয়ামতের আলামতের মাঝে একটি আলামতের কথা বলেছেন, "কেয়ামত ততদিন পর্যন্ত হবেনা, যতদিননা আমার উম্মাতের কিছু লোক মূর্তি পুজায় লিপ্ত না হবে।" রেফারেন্স এই মুহূর্তে দিতে পারছিনা কারণ হাদিসটা অনেকদিন আগে পড়েছিলাম।
১৪ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২৫
255908
মায়াবন বিহারিণী হরিণী লিখেছেন : মুর্ত্তিপূজা করবে না তো কি করবে? আল্যার মুমিন'দের মত দা/কুড়াল নিয়ে নিজেদের মধ্যে খুনাখুনি করবে নাকি?????
১১
314781
১৪ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৩:৪৬
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম !

চমৎকার ঈমান জাগানিয়া আয়াতগুলোর সমন্বয়ে লিখা পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগছে আলহামদুলিল্লাহ!

জাযাকাল্লাহু খাইর! বেশি বেশি লিখার আহবান রইলো! Good Luck
১৪ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৮:৩৪
255708
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম আপু। হ্যা! তুমিই আসল ব্যাপারটা বুঝেছ আসলে আমি শুধু আয়াতগুলোকে পাশাপাশি সাজিয়েছি যা দিয়ে বাস্তবতা ফুটে উঠেছে। বেশি বেশি কি লিখব? আমি তো তোমার মত সুন্দর করে সাজিয়ে-গুছিয়ে নানান বি্ষয় নিয়ে মোহিত করা ব্লগ লিখতে লিখতে পারিনা। creativity বলে কিছু নেই আমার মাঝে :( । যখন মাথায় যেটা আসে লিখে ফেলি। জাঝাকাল্লাহ আপু। Good Luck Good Luck Good Luck
১৪ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩০
255912
মায়াবন বিহারিণী হরিণী লিখেছেন : এসব রাগাম্বর পুথি/কিচ্ছার দুই পয়সার মুল্যই নেই আজকের দুনিয়ায়। আল্যা/টাল্যার দিন শেষ, এটা বুঝেন তো??
১২
314814
১৪ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ১০:৩৫
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : মান্যবর মুসলিম ভাই-বোনেরা । বাংলাদেশের জনগণের ৯১% মুসলিম । কিন্তু মুসলিমরা অমুসলিম ও নাস্তিকদের সুদুর প্রসারী ষড়যন্ত্র ও কর্মকান্ডের কারণে আজ হিন্দুয়ানী শিরকী-কুফরী-শালীনতাবর্জিত ও ঈমানবিধ্বংষী বাংলা নববর্ষ পালন করছে । মুসলিমদের এই অবস্হা হতে বের হয়ে আসতে হবে । আর এই লক্ষ্যে মুসলিমদের ইসলামী নববর্ষ পালন করতে হবে । সারা বিশ্বে মুসলিমরা ইসলামী নববর্ষ পালন করে (সৌদি আরব ব্যতিক্রম ) । আমি ধারাবাহিকভাবে কীভাবে ইসলামী নববর্ষ সারা বিশ্বে পালিত হয় তা তুলে ধরবো । আজ আমি মালয়েশিয়ায় কীভাবে ইসলামী নববর্ষ পালিত হয় তা তুলে ধরেছি ।

আমরা কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে ইসলামী নববর্ষ পালন করছি । এবার আমরা ১৫ অক্টোবর ২০১৫ খৃস্টাব্দ মোতাবেক ১ লা মহররম ১৪৩৭ হিজরী তারিখ ইসলামী নববর্ষ পালন করবো । আশা করি আপনারাও আমাদরে সাথে একাত্মতা ঘোষনা করে নিজেদের ইমান ও আমলকে সুদৃঢ় করার পাশাপাশি দুনিয়া ও আখিরাতের কামিয়াবী হাসিল করবেন । বিস্তারিত জানার জন্য আমার এই লেখাটা পড়ুন : http://www.today-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/63998#.VSySy_D4bCA
১৪ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮
255773
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ইনশাআল্লাহ ভাই সময় করে পড়ব। আপনার মূল্যবান সময় প্রদান ও উপস্হিতির জন্য জাঝাক আল্লাহ। Good Luck Good Luck Praying
১৩
320057
১৪ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪৩
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের সঠিক কথা বলার এবং সঠিক কথা বুঝার তৌফিক দিন। আমিন। অনেক ধন্যবাদ।
১৫ মে ২০১৫ বিকাল ০৪:৩৭
261291
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আমীন। আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া। মন্তব্য প্রদানের জন্য জাঝাক আল্লাহ। Good Luck Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File