মধ্যপ্রাচ্যে দিশেহারা সুন্নী, শিয়া ইরানী জোটের বর্বরতা আর এদেশের মডারেট ইসলামিক মুভমেন্টের কর্মীদের শিয়া ইরানপ্রীতি।
লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ২৩ মার্চ, ২০১৫, ১২:১৩:০১ রাত
উপরের ছবিটা সিরিয়ার। সেসব হতভাগ্য সুন্নীদের মরা লাশ, যারা শিয়া বাশার আল আসাদের রাসায়নিক অস্ত্র হামলায় পরপারে পাড়ি জমিয়েছে।
২০১১ সালে আরব বসন্তের ছোয়া লেগেছিল সিরিয়াতেও। তবে এখানে ব্যাপারটি অন্যরকম। শিয়া অধ্যুষিত ও শিয়া শাসিত দেশটিতে দীর্ঘদিন থেকে সুন্নীরা নির্মম অত্যাচার-নির্যাতন, হত্যা, বঞ্চনা সহ নানা রাষ্ঠ্রীয় ও সামাজিক অবিচার দ্বারা আক্রান্ত। তাই তাদের দাবি শিয়া বাশার আল আসাদের পদত্যাগ। উত্তাল রাজপথ কিন্তু হটাৎ পরিস্হিতি পাল্টে গেল। বাশার আল আসাদ সেনাবাহিনীকে লেলিয়ে দিল নিরস্ত্র, নিরীহ মানুষের উপর, শুরু হল সুন্নী গণহত্যা। ঘটনার আকস্মিকতায় সুন্নীরা হতবাক, দিশেহারা। বাশার আল আসাদ ছিল ইরান-রাশিয়া জোটের বসানো পুতুল শাসক। যে ইসরাইলের জন্যেও ছিল বড় হুমকি তাই তাকে হটিয়ে পশ্চিমা মদদপুষ্ট কাউকে ক্ষমতায় আনাই ছিল পশ্চিমাদের প্রধান লক্ষ্য, যেভাবে তারা কিছুদিন আগে লিবিয়ায় গাদ্দাফীকে সরিয়ে দিয়েছে। তাই দেখা গেল যেখানে বিবিসি, সিএনএন সারাদিন মুসলিমদের সন্ত্রাসী প্রমাণ করতে আদা জল খেয়ে মাঠে নামে, সেখানে তারা সিরিয়ান সুন্নীদের প্রতি সহানুভূতিমূলক খবর প্রচার করতে লাগল, জেমস ফলির মত সাংবাদিকেরা সত্যিটা তুলে ধরতে লাগল। অন্যদিকে সিরিয়ান সুন্নীদের এমন দুরাবস্হা তুরস্ক ও সৌদি আরব জোটের পক্ষে মেনে নেয়াও কোনভাবেই সম্ভব ছিলনা কারণ ব্যাপারটি তাদের সন্মানের সাথেও জড়িত, এবং শিয়া নেতৃত্ব তাদের অস্তিত্বের জন্যও ছিল বড় হুমকি। এমন সময় পশ্চিমারা সুন্নীদের হাতে তুলে দেয় অস্ত্র, গড়ে তোলে ফ্রি সিরিয়ান আর্মি। এয়ার স্ট্রাইক সাপোর্ট দিতে শুরু করে আসাদ বিরোধী যুদ্ধে। সৌদি আরব ও তুরস্ক বিদ্রোহীদের সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দিতে শুরু করে। আরব আলেমরা আরব তরুণদের আহবান জানায় সিরিয়ায় জিহাদে শরীক হবার জন্য কারণ ইতিহাস বলে সিরিয়ান সুন্নীরা খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ) সহ বড় বড় সাহাবীদের বংশধর। আরব দেশগুলো থেকে হাজার হাজার আরব তরুণ পাড়ি জমায় সিরিয়ায়। আর পশ্চিমা মিডিয়াগুলো আসাদবিরোধী অবস্হান নেয়ায় পশ্চিমা সমাজে সিরিয়ার প্রকৃত চিত্র ফুটে ওঠে। এর ফলে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটে যায়, পশ্চিমা সমাজ যা আগে কখনো অবলোকন করেনি তা হল, হাজার হাজার পশ্চিমা তরুণ-তরুণী সিরিয়ার পথে পাড়ি জমায়। আবার সদ্য খৃষ্টান ধর্ম বা নাস্তিকতা ত্যাগ করে মুসলিম হয়েছে এমন তরুণ-তরুণীদের সংখ্যাই ছিল বেশি। কিন্তু ইরান তার সর্বশক্তি দিয়ে এবার আসাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে। নিজের সেনাবাহিনী, বিমান ও নৌ বাহিনীকে বাশার বাহিনীর সাহায্যে সিরিয়ায় পাঠায় এবং নিজ মিলিশিয়া বাহিনী লেবাননের হিজবুল্লাহকে সিরিয়ায় ডেকে আনে। সমুদ্রে রাশিয়া ও ইরানি নৌবাহিনী পশ্চিমা হামলা ঠেকাতে অবস্হান নেয়। ফলে পশ্চিমারা সিরিয়া থেকে পিছু হটে। মাত্র ৫০০০ ফ্রি সিরিয়ান আর্মি বিদ্রোহীদের পক্ষে এতবড় আসাদবাহিনী, ইরানী সেনাবাহিনী, হিজবুল্লাহকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব ছিলনা। ফলে সুন্নীরা ব্যাপকভাবে গণহত্যা, ধর্ষণের শিকার হয়। জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্যাতিক মানবাধিকার সংগঠনের মতে, ২০১১ সালে শুরু হওয়া যুদ্ধে ৩,০০,০০০ অধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে যা এখনো চলমান। শিয়া জোট বাশার, ইরান, হিজবুল্লাহ রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যাবহার করে হাজার হাজার সুন্নী শিশু হত্যায় মেতে ওঠে। সিরিয়ায় প্রতিদিন গড়ে ৭ জন শিশু হত্যার শিকার হচ্ছে।
মধ্য প্রাচ্যের কুকুর সিরিয়ার বাশার আল আসাদের মিলিটারি কারাগারে রিহাব আলালাওয়ি নামের এই মুসলিম বোনকে আমৃত্যু নির্যাতন করে হত্যা করে । তিনি একজন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।
হ্যা! হাজার হাজার সুন্নী নারীর উপরে চলে গণধর্ষণ, নির্মম নির্যাতনে হত্যা, জীবন্ত কবর, মসজিদে ধর্ষণ এমন সব বর্বরতা।
একজন সিরিয়ান সুন্নী নারীকে পায়ের বুটের নীচে ফেলে তার দিকে পিস্তল তাক করে রেখেছে হিজবুল্লাহ সৈনিক।
সেকুলার ফ্রি সিরিয়ান আর্মি দুর্বল হয়ে পরলে সেখানে জন্ম নেয় সিরিয়ান আল কায়েদার শাখা জাবহাত আন নুসরাহ, ব্রাদারহুডের আদর্শে বিশ্বাসী ইসলামিক ফ্রন্ট ও আহরার আশ শাম, খোরাসান সহ ছোট বড় মিলিশিয়া গ্রুপ। আনবার সহ ইরাকের বেশ কিছু এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেয়া আইএসআইএল (Islamic state of Iraq and Levant) বর্ডার পার করে সিরিয়ান যুদ্ধে অংশগ্রহণ করলে যোগ হয় নতুন মাত্রা। বাশার বিরোধী অভিযানে সবচাইতে সফল ছিল এই গ্রুপটি। বাশার আল আসাদ ও ইরান দুর্বল হয়ে পরে এবং সিরিয়ার অনেক বড় এলাকার নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতছাড়া হয়ে যায়। শিয়া ইরান মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে তথাকথিত যৌন জিহাদের তকমা লাগায় বিদ্রোহীদের মনোবল ভেঙ্গে দেয়ার জন্য। কিন্তু তাতে বেশি লাভ হয়না। শিয়া জোটের বিরুদ্ধে সবচাইতে সফল ছিল জাবহাত আন নুসরাহ ও আইএসআইএল। তবে আইএসআইএল গ্রুপটির আচরণ ছিল সবসময়েই রহস্যজনক। আর প্রথমথেকেই তাদের ব্যাপারে আমেরিকার আচরণরও ছিল সন্দেহজনক। আইএসআইএল যেমন বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, ঠিক তেমনি তারা নানান খোড়া যুক্তিতে ফ্রি সিরিয়ান আর্মি, ইসলামিক ফ্রন্ট, আহরার আশ শাম ও জাবহাত আন নুসরাহ এর সাথেও যুদ্ধে জড়িয়ে পরে। আইএসের সাথে এসব যুদ্ধে বিদ্রোহী গ্রুপগুলো ৩০০০ এর অধিক সদস্যকে হারায়, যাদের অধিকাংশই ছিল জাবহাত আন নুসরাহ ফ্রন্টের সদস্য। তারা ফ্রি সিরিয়ান আর্মি, ইসলামিক ফ্রন্টকে কাফির-মুরতাদ বলে আখ্যা দেয়। জাবহাত আন নুসরাহ ফ্রন্টকে তারা নির্দেশ দেয় আল কায়েদার নেতৃত্ব থেকে বের হয়ে এসে করে আবু বকর বাগদাদিকে নেতা হিসেবে মেনে নেয়ার জন্য। আল কায়েদার নেতাদেরকে তারা পাগল-মুরতাদ ইত্যাদি আখ্যা দেয়। কিন্তু নুসরাহ ফ্রন্ট এর বিরোধীতা করলে আইএসআইএল নুসরাহ ফ্রন্টের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয় তাদের কয়েক হাজার সদস্যকে হত্যা এবং তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা নিজ দখলে নিয়ে নেয়। গত বছর হটাৎ তারা ইরাকের মসুল দখল করে নেয় মাত্র ৮০০ সৈন্য নিয়ে। ব্যাপারটি ছিল চরম রহস্যজনক। কারণ টেলিভিশন ডকুমেন্টারিতে ইরাকি এক সৈন্যের বর্ণনামতে, আগেরদিন হটাৎ করেই ইরাকি সৈন্যদের কাছ থেকে মোবাইলগুলো নিয়ে নেয়া হয়। পরেরদিন সবাইকে সামরিক পোশাক ছেড়ে সিভিল ড্রেস পরতে বলা হয়, সবার কাছ থেকে অস্ত্র নিয়ে নেয়া হয় এবং সামরিক যানের বদলে পায়ে হেটে চলতে বাধ্য করা হয়। তাদেরকে বলা হয় সরকারী লরি তাদেরকে বাগদাদ ও সামারায় পৌছে দিবে। তারা যখন লরিতে ওঠে তাদের বাগদাদ, সামারায় না নিয়ে সরকারী লরিগুলো তাদেরকে নিয়ে আইএস এর হাতে তুলে দেয়। আইএস তাদেরকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তাদের উপরে গণহত্যা চালায়। "৩০,০০০ সৈন্যকে নিরস্ত্র করে কেন মসুল আইএসের হাতে ছেড়ে দেয়া হল?" ব্যাপারটি রহস্যজনক বটে। পরের ঘটনা সবারই জানা। এক ব্যাক্তি যার নাম আবুবকর বাগদাদি তিনি মসুলে তাদের দখলকৃত এলাকায় খেলাফত ঘোষণা করেন, নামকরণ করেন isis (islamic state of iraq and syria) নিজে হন যার খলিফা। এই ব্যাক্তি খুবই সন্দেহজনক।
আমেরিকা যেখানে যুদ্ধচলাকালীন সময়ে AQI (Al qayeda in Iraq) নেতা Abu Musab al-Zarqawi সহ আটককৃত কাউকেই জীবিত ছাড়েনি, সেখানে হটাৎ মার্কিনিদের হাতে আটক আবু বকর বাগদাদিকে স্বশরীরে ছেড়ে দেয়া হয় এবং তিনি এসেই AQI এর প্রধান হন ও নাম পরিবর্তন করে রাখেন আইএস/ISIL। এবং কিছুদিন যাবার পরই আল কায়েদার নেতৃত্ব অস্বীকার করেন এবং তাকে না মানায় সিরিয়ায় নুসরাহ ফ্রন্টের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে তাদের কয়েক হাজার সদস্য হত্যা করেন। আল কায়েদা নেতৃত্ব তাদেরকে খারেজি বলে আখ্যা দেয়। একজন খলিফা হবার জন্য যেসব যোগ্যতা থাকা জরুরী তার কোনটিই তার মাঝে নেই। যাইহোক আইএস কর্তৃক মসুল দখলের পর ইরান আবারো ইরাকে সক্রিয় হয়ে ওঠে। এইএস হুমকি দেয় বাগদাদ দখলের ইরান তার সেনাবাহিনী পাঠায় ইরাকের শিয়া মালিকি সরকার ও তার শিয়া সেনাবাহিনীকে রক্ষায়। আজ তারা আইএসআইএস বিরোধী যুদ্ধে শিয়া মিলিশিয়াদের সামরিক প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ও অর্থ প্রদান করছে। ইরাকি সেনাবাহিনীকে সামরিক পরামর্শ দেয়ার জন্য ইরাকে ইরানের বড় বড় সামরিক অফিসাররা অবস্হান করছে। আইএসআইএসের অবস্হান যাইহোক, বাস্তবতা হল "ইরাকের সুন্নীরা দীর্ঘদিন থেকেই মার্কিন ও পরবর্তীতে শিয়াদের দ্বারা গণহত্যা, ধর্ষণসহ সব রকম সহিংসতার শিকার হয়েই যাচ্ছে। তারা আজ দিশেহারা তাদের পাশে কেউ নেই। এই ভিডিওটি অবশ্যই দেখা উচিত কারণ দেখলেই বোঝা যায় "ইরাকে সুন্নীরা কতটা বর্বরতার শিকার?
Click this link
ইয়েমেনে চলছে শিয়া হুতিদের তান্ডব তাদের বর্ণনামতেই তাদের সামরিক সহায়তা দিচ্ছে ইরান। ব্যাপারটা পরিষ্কার ইরান তার শিয়া নেতৃত্বকে মধ্যপ্রাচ্যে যে কোন মূল্যে প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাতে যদি সমস্ত সুন্নী মেরে শেষ করে দিতে হয়, তবে ইরান সেটা করতেও ভাববেনা। বর্তমান পরিস্হিতিটা আরো জটিল হয়ে উঠেছে। আলরেডি ইরান আমেরিকার সাথে আলোচনায় বসে তাদের দ্বন্দ মিটানোর চেষ্টা করছে, এদিকে জন কেরি বলেছেন, তারা বাশার আল আসাদের সাথে আর যুদ্ধ নিয়ে ভাবছেনা বরং সমঝোতার কথা চিন্তা করছে। আমেরিকার কাছ থেকে এমন গ্রীন সিগনাল পাবার পরেরদিনই বাশার আল আসাদ সিরিয়ার ইদলিবে আবারো রাসায়নিক অস্ত্রের আক্রমণ চালিয়ে নারী-শিশুসহ বেশ কিছু মানুষকে হত্যা করেছে। বিমান হামলা আগের থেকে আরো বেশি বেড়ে গেছে।
অবাক করা বিষয় এত কিছু দেখেও বাংলাদেশের তথাকথিত মডারেট ডেমোক্রাটিক ইসলামিক দলের নেতারা এখনো ইরানের অন্ধ ভক্ত হয়েই বসে আছেন। ইরানের বিরুদ্ধে কোন কথা তারা সহ্য করতে পারেননা। তাদের একজনের মন্তব্য: ইরান হল ইসলামের পতাকাবাহী, হিজবুল্লাহ হল প্রকৃত মুজাহিদ। সত্যি তাজ্জব ব্যাপার! পূর্বের ও পরের সকল আলেম তাদেরকে ইসলামের মূল বিশ্বাস থেকে বিচ্যুত বলেছেন। যেই গাজি সালাহউদ্দিনকে নিয়ে গর্ব করেন সেই ব্যক্তিকে তার জীবনের অনেক বড় একটা অংশ এই শিয়াদের সাথে লড়তে হয়েছিল কারণ শিয়ারা ছিল ক্রুশেডারদের অন্যতম সহযোগী। আপনারা শিয়া প্রেমে অন্ধ অথচ মজার ব্যাপার শিয়াদের মাঝেও রয়েছে বেশ কিছু গ্রুপ, যাদের এক গ্রুপ অন্য গ্রুপকে কাফির মনে করে। আর আপনাদের চোখে শিয়ারা ইসলামের পতাকাবাহী!! ধর্ষক হিজবুল্লাহ মুজাহিদ।
বিষয়: বিবিধ
৫৭৮৩ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এজন্য ইমাম ইবনে তাইমিয়া(রঃ)সহ বড় বড় সকল আলেম এব্যাপারে একমত ছিলেন খারেজীরা হল ইসলাম থেকে বের হয়ে যাওয়া সম্প্রদায়। সেখানে শিয়ারা তো বহূ দুরে। সুন্নী বা আহলে সুন্নাহ কারা? যারা রাসূল (সাঃ), তার পরিবার ও সাহাবীদের ব্যাপারে কোন খারাপ ধারণা পোষণ করেনা। আর শিয়া? আর ইসলামের ইতিহাসের দিকে তাকালে শিয়াদের কখনো ইসলামের উপরে থাকতে দেখা যায়নি। তাদের সুন্নী বিদ্বেশ নতুন কোন ঘটনা না। এই বিদ্বেষ তারা পেয়েছে বংশ পরম্পরায়। ক্রুশেডাররা যখন মধ্যপ্রাচ্যের ভূখন্ডগুলি একের পর এক দখল করে নিচ্ছিল, মুসলিমদের উপর গহহত্যা, শিশু হত্যা, ধর্ষণ ইত্যাদি চালিয়ে যাচ্ছিল তখন এই শিয়ারাই ছিল তাদের সাহায্যকারী। সালাহউদ্দিন আইয়ুবী (রঃ)তার জীবনের প্রথম ১০ বছর এসব শিয়া ও ক্রুশেডারদের সহযোগীদের সাথে যুদ্ধ করে কাটাতে হয়েছে। তিনি নিজেই ছিলেন কোরানের হাফেজ এবং শাফেয়ী মাজহাবের বড় আলেম, নুরুদ্দীন (রঃ)মত আলেম ছিলেন তার শিক্ষক। শিয়ারাই ক্রুশেডারদের সেনাপতি Reginald de chatillon কে তারাই সাহায্য করেছিল। আর ইসলাম টিকে আছে আলেমদের নেতৃত্বে আলেমরা। প্রাচীন আলেম ও পরবর্তীকালের কোন আলেমই শিয়াদের মুসলিম বলেননি। এমনকি জাকির নায়েক এর মত মডারেট ব্যক্তিও শিয়াদের কাদিয়ানিদের সাথে তুলনা করেছেন। অর্থাৎ তারা ইসলাম থেকে বিচ্যুত এক উগ্র জনগোষ্ঠি। আপনি কোন শিয়ার সাথে কথা বললেও বুঝতে পারবেন তারা আয়েশা (রাঃ)সহ অন্যান্য সাহাবী ও ইসলামের মৌলিক ব্যাপারগুলো নিয়ে কেমন মনোভাব দেখায়। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। জাঝাক আল্লাহ
আপনার লেখা পড়ে অনেক কিছু জানলাম যা আমি আগে জানতাম না । অনেক ধন্যবাদ
ঘুম ভাঙানিয়া ভাইয়া ।
এসব পৈশাচিক ঘটনা সহ্য করা খুবই কষ্টের। মুসলমানদের কবে হুঁশ হবে...!!!
গুরুত্বপূর্ণ লিখাটির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
অনেকে যেটা মনে করেন এটা মিথ্যাও না ভাইয়া এই ডকুমেন্টারিটা দেখেন অনেককিছুই স্সষ্ট হয়ে যাবে। আর আপনার কথাও ঠিক ইরান-আমেরিকা পাবলিক এনেমি কিন্তু প্রাইভেট ফ্রেন্ড। https://www.youtube.com/watch?feature=player_detailpage&v=Lq6bB3NTZbE
জাঝাক আল্লাহ ভাইয়া।
মাযহাব অন্য বিধায় এরকম গ্যাঞ্জাম ,বোমাহামলা ,বন্দুক হামলা আর সহ্য হচ্ছেনা ।তাই শিয়াদের কাছে পবিত্র কোরআনের সূরা আল ইমরানের ৩ নং আয়াত কৌট করতে চাই:
তাঁরা মহান আল্লাহ্'র নিষেধ কে উপেক্ষা করে যেহেতু গোত্রে গোত্রে বিভক্ত হয়েছে সেহেতু তাঁরা সমস্যায় পতিত হবে ,গণহত্যা পতিত হবে এটা স্বয়ং আল্লাহ্'র কাছ থেকে লানত স্বরুপ ও হতে পারে ।
ইরান ক্রুসেডদের অন্যতম সহযোগী কিনা তা এখনো কোন গবেষনায় বের হয়ে আসেনি তাই এ সম্বন্ধে আমি মন্তব্য করতে চাইনা ।
তবে "মাযহাব অন্য বিধায় এরকম গ্যাঞ্জাম ,বোমাহামলা ,বন্দুক হামলা আর সহ্য হচ্ছেনা ।" আমার জানামতে এমন কোন কাহিনী তো দেখছিনা যে, মাজহাব নিয়ে এমন কিছু হচ্ছে। আপনি পেলেন কিভাবে জানিনা।
মজা পেলাম পড়ে "ইরান ক্রুসেডারদের অন্যতম সহযোগী কিনা তা এখনো কোন গবেষনায় বের হয়ে আসেনি তাই এ সম্বন্ধে আমি মন্তব্য করতে চাইনা।"
গবেষণার ব্যাপারটা বুঝলামনা যেটা স্পষ্ট সেটা নিয়ে আবার এত গবেষণার কি আছে? ইরাকে হামলায় আমেরিকাকে কারা সাহায্য করেছিল? শিয়া মালিকি সরকার ও শিয়া অথরিটির হাতে ইরাকের ক্ষমতা আমেরিকা কার কথায় ছেড়েছিল?শিয়া মুকতাদা আল সদরের মিলিশিয়া বাহিনী কার কথায় আমেরিকার সাথে যুদ্ধ বন্ধ করে দেয়? আজ ইরাকের সুন্নী মিলিশিয়া এইএসের সাথে যুদ্ধে আমেরিকা-ইরান কেন একসাথে কাজ করছে?সিরিয়া ইস্যুতে আমেরিকা এখন সুর নরম করছে কেন? কার চাপে আসাদের সাথে সমঝোতার কথা ভাবছে? এসব বোঝার জন্য তো এত তত্ত্বকথার দরকার হয়না। ইরান রাশিয়ার বন্ধু এই হিসেবে আমেরিকার কৌশলগত শত্রু। কিন্তু এই শত্রুতা বাস্তবে কতটা?
তার প্রমাণ পাওয়া যায় ,ফেসবুক প্রোফাইল গুলোতে তাঁরা ধর্মীয় পরিচয়ের পাশাপাশা মুসলমান এর সাথে সুন্নিহ্ কিংবা শিয়া বসায় ।বিশেষ অবস্থা ছাড়া তাঁরা সুন্নিহ্ পরিচয় দেননা এর আসল রুপ দেখা যায় ISIS,TALIBAN,Rajib Khaja,দস্তার ,Des wa দের ফেসবুক ,টুইটার পেজগুলো ভ্রমণ করলে ।আপনার কথিত এই ওয়াহাবিরাও একটা মাযহাব এ কথা অস্বীকার করবেন ?
নিজেই একটা যুদ্ধের বর্ণনা দিয়েছেন ,ইরাক-ইরান যুদ্ধ ।এই যুদ্ধের আসল রহস্য কি ?
মজা পেলুম ,ইতিহাসে মাযহাব ভিত্তিক যুদ্ধ নেই বলে নিজেই একটা যুদ্ধের বর্ণনা দিলেন সেটার তলের রহস্য হল মাযহাব ।ইরানে শিয়া ইরাকে সুন্নিহ্ ।নিজেই উপরে ছবি দিলেন শিয়া সরকার কর্তৃক সুন্নিহ্ নিহত আর নিজেই অস্বীকার করলেন যে মাযহাব ভিত্তিক কোন গ্যাঞ্জাম হয় হাঃ হাঃ হাঃ !ইরাকে এখনো শিয়া সুন্নিহ্ দ্বন্দ হয় যার স্বীকার আমাদের বাংলাদেশী একজন মুসলমান ।তাঁকে নিয়ে অসংখ্য লেখা লেখি হয়েছে ব্লগ ফেইসবুকে ।তাছাড়া ISIS নিজেদের সুন্নিহ্ পরিচয় দিয়ে কয়েকশ শিয়া শিশু ,শিয়া সৈন্যকে হত্যা করেছে ।এ বিষয়ে আপনার মতামত কি ?
এই যুদ্ধের রহস্য কি ?
আমেরিকা বরাবরই ইরাকের প্রতি।
ক্ষুব্ধ কাজেই ইরাক হামলায় শিয়া বামদের সাহায্য করতেই পারে তাই বলে তাঁদেরকে ক্রুসেডদের দালাল বলাটা কতটা যৌক্তিক ?
ফিলিস্তিন হামলায় রাশিয়া তো ফিলিস্তিন কে পূর্ণ সমার্থন দিয়েছিল তো তাতেই কি ফিলিস্তিনিরা নাস্তিক্যবাদীদের দালাল হয়ে গেল ?
১৯৭১ এ পাকিকে যুক্তরাষ্ট্র মদদ যুগিয়েছিল ।
আমাদের পক্ষে ছিল রাশিয়া ,ভারত ভুটান(ভারত বিভিন্ন ভাবে হেল্প ও করেছিল) ।তো তাতেই কি আমরা রাশিয়া কিংবা ভারতের দালাল হয়ে গেলাম ?
মাজহাব হল ইসলাম পালনের ব্যাপারে আলেমদের নিদের্শিত পথ। আবু হানিফা (রঃ),ইমাম শাফেয়ী (রঃ), ইমাম মালিক(রঃ), আহমাদ বিন হাম্বল(রঃ), ইমাম ইউসুফ(রঃ), ইমাম মুহাম্মাদ(রঃ),ইমাম নববী(রঃ), ইমাম ইবনে তাইমিয়া(রঃ) এরা হলেন ইসলামের প্রাচীন যুগের আলেম। দ্বীনের ব্যাপারে তারা একে অপরের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। রাসূল (সাঃ)থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান সাহাবী, তাবেয়ী, তাবে তাবেয়ীদের মাধ্যমে তাদের নিকট পৌছেছে সাথে কোরান-হাদিস থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান, এসবের উপর তারা বিস্তর গবেষণা করেছেন এবং ইসলামের ইবাদত সংক্রান্ত মাসলা-মাসায়েল,ইসলামি আইন-কানুন ইত্যাদি প্রত্যেকটি বিষয়ের চুলচেরা বিশ্লেষণ করে তা মুসলিমদের সামনে উপস্হাপন করেছেন যেন মুসলিমদের দ্বীন পালন সহজ হয়ে ওঠে। অতি সাধারণ মসুলিমও শরিয়তের ব্যাপারগুলো পালনে কোন সমস্যার সম্মুখীন না হয়। এটাই হল মাজহাব। তারা নতুন কোন ধর্ম-মতবাদের জন্ম দেননি। হাজার বছর ধরে মসুলিমরা তাদের গবেষণা থেকে প্রাপ্ত দ্বীনি পথগুলোর উপরেই আমল করে আসছেন। হ্যা! তাদের মাঝে নানান বিষয়ে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে তার কারণ তারা একেকজন একেক সাহাবীদের আমল ও চিন্তাধারা বা একি বিষয়ে নানান হাদিসকে গ্রহন করেছেন। ফলে এই মতভিন্নতা। তবে এই মতভিন্নতা ছিল শরীয়তের ভীতরে। ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস, আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত ফরজ কোন কিছুর মাঝেই পরিবর্তন আসেনি। ১৭০০ সালে মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহাবের অনুসারীরা মাজহাবের বিরোধীতা করলেও তারা নিজেরাও মাজহাব থেকে বের হতে পারেনি। তারা অন্যান্য প্রাচীন আলেমের মতামত বা মাজহাবের বিপরীতে সহীহ হাদিসকেই অনুসরণের কথা বলেন তবে তারাও ইমাম ইবনু তাইমিয়াকে অনুসরণের উপর জোড় দেয়। ইমাম আবনে তাইমিয়া(রঃ)নিজেই ছিলেন তাতারীদের সময়কার হাম্বলি মাজহাবের একজন বড় আলেম। বর্তমানে তারা বলছেন সহিহ হাদিস দিয়ে এসব প্রাচীন আলেমের বক্তব্যকে যাঁচাই করার কথা। হাদিস অনুযায়ী ঠিক হলে মানবো আর ভুল হলে তা মানবোনা। কাজেই এই মতপার্থক্য ইসলামে ছিল, আছে, থাকবে কারণ এটা নিতান্তই মতপার্থক্যের ব্যাপার। কার মাজহাব মানবেন? ইমাম আবু হানিফা, নাকি শাফেয়ী, নাকি আহমাদ বিন হাম্বল নাকি মাজহাব মানবেননা, এটা আপনার নিজের ব্যাপার। এটাই হল মাজহাব। না মানলে আপনি কাফের হয়ে যাচ্ছেননা, আবার মানলেও আপনি ইসলাম বিরুদ্ধ কোন কাজও করছেননা। কিন্তু শিয়া কি কোন মাজহাব??? শিয়া হচ্ছে এমন এক সম্প্রদায়ের নাম যারা ইসলামের মূল বিশ্বাস থেকে বিচ্যূত এক সম্পদায়ের নাম। যারা খিলাফতকে অস্বিকার করেছে। ১২ ইমাম, ৪০ পারা কোরান, আল্লাহর রাসুল (সাঃ),আলী (রাঃ), হাসান-হুসাইন (রাঃ) ও ফাতিমা (রাঃ)ব্যতীত ৩ খলিফা সহ অধিকাংশ সাহাবীই জাহান্নামী-কাফির, আয়েশা (রাঃ) ব্যাভিচারী (আল্লাহ এমন বলা থেকে মাফ কর) এটা হল তাদের তত্ত্ব যার সমর্থনে কোরান-হাদিসে কোন দলিল নেই। খারেজিদের মতই তারা ইসলাম থেকে বিচ্যুত এক সম্প্রদায় এটাই পূর্ববর্তী ও পরবর্তী আলেমদের মত। তবে তাদের সবাইকে কাফিরও বলেননি। জাকির নায়েক তাদের তুলনা করেছিলেন কাদিয়ানিদের সাথে। কাজেই আপনার মন্তব্য: "মাযহাব অন্য বিধায় এরকম গ্যাঞ্জাম ,বোমাহামলা ,বন্দুক হামলা আর সহ্য হচ্ছেনা।" এটা হাস্যকর একটা যুক্তি।
আপনার কথা "টুইটার পেজগুলো ভ্রমণ করলে.. ISIS,TALIBAN... পেজগুলো ভ্রমণ করলে ।"
উত্তর: আপনার কাছে কি মনে হয় শিয়ারা এসে ISIS,TALIBAN, আলকায়েদার পেজগুলোতে লাইক মারবে? সুন্নী শব্দটা এসেছে কোথা থেকে? আল্লাহর রাসূল মুসলিমদের বলেছেন, আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াত (আল্লাহর রাসূল, তার পরিবারের সদস্য, ৪ খলিফা এবং সাহাবীগণ আর তাদের সুন্নাহ বা আদর্শ এবং তারা সবাই মিলে হল জামায়াত)এর সুন্নাহ বা আদর্শ কে অনুসরণ করতে এবং সেই জামাতে অন্তর্ভুক্ত হতে। কারণ তারাই সঠিক পথের উপর প্রতিষ্ঠিত।
ইরবায বিন সারিয়া (রাঃ)হতে বর্ণিত। রাসূল (সাঃ)বলেন, আর আমার পর তোমাদের কেউ জীবিত থাকলে সে বহূ(ইসলামে)মতভেদ দেখতে পাবে। তখন আমার সুন্নাত এবং হেদায়াতপ্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নত অনুসরণ করা হবে তোমাদের অপরিহার্য কর্তব্য।এই সুন্নতকে খুব মজবুত করে দাঁত দিয়ে চেপে ধরবে। আর দ্বীনে নতুন উদ্ভাবিত বিষয়সমূহ থেকে বিরত থাকবে। কেননা, (দ্বীনে)প্রত্যেক নব উদ্ভাবিত জিনিসই হচ্ছে বিদ'আত।আর প্রত্যেক বিদ'আতই ভ্রষ্টতা। (তীরমিযী, নাসায়ী, আহমাদ, আবু দাউদ (আহমাদ, আবু দাউদ ৪৬০৭, তিরমিজি ২৮১৫, ইবনে মাজাহ, মিশকাত ১৬৫)"
কাজেই মুসলিমদের মাঝে যারা এই জামায়াতের বা দলের অনুসরণ করেন তারাই হল আহলে সুন্নাহ বা সংক্ষেপে সুন্নী অথচ শিয়াদের চোখে ইসলামের ৫ ব্যক্তি ব্যতীত এই জামায়াতের ৩ খলিফা সহ অধিকাংশই কাফির, জাহান্নামি, ব্যভিচারী। কাজেই যারা এটা ব্যাবহার করেন তারা হয়ত এটাকেই প্রাধান্য দেয় কিন্তু আপনি বুঝেননা কারণ আপনার জানার স্বল্পতা।
আপনি বলেছেন:" তাছাড়া ISIS নিজেদের সুন্নিহ্ পরিচয় দিয়ে কয়েকশ শিয়া শিশু ,শিয়া সৈন্যকে হত্যা করেছে ।এ বিষয়ে আপনার মতামত কি ?"
আমার মন্তব্য:ISIS কারা? তারা তো ইরাকের সুন্নী মিলিশিয়া তারা কেন নিজেকে শিয়া বলে পরিচয় দিবে? আর "আইএস এর চরিত্র কেমন?"সেটা তো আমি আমার লেখাতে স্পষ্ট করেই লিখেছি। আরে আজব কথা! এতদিন এই শিয়ারা হাজার হাজার সুন্নী হত্যা করেছে, সুন্নী শিশুদের জীবন্ত আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে, কারাগারে ফাতিমার মত হাজার হাজার সুন্নী নারীকে ধর্ষণ করে নির্মম নির্যাতনে হত্যা করেছে এবং ইরাকি শিয়া সৈন্যরা অস্ত্র নিয়ে ISIS এর নিয়ন্ত্রিত এলাকায় হামলা চালাতে গিয়ে, যুদ্ধ করতে গিয়ে ISIS এর হাতে ধরা পরেছে, এটা যুদ্ধ ISIS কি তাদের না মেরে গালে চুমু খাবে?? শিয়া সৈন্যরা কি নিঃপাপ ছিল নাকি? শিয়া শিশু হত্যা!! মেবি এটা বিবিসির ক্যামেরার সামনে সুটিং করা হয়েছিল। আর হলেই বা কি? শিয়ারাও তো সুন্নী শিশুদের জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে কাজেই তারাও যদি এখই আচরণ করে শিয়াদের সাথে সেখানে কিই বা বলার থাকতে পারে??
আর সুরা আল ইমরানের ১০৩,১০৪,১০৫ তিনটা আয়াত নিয়ে কথা বলতে গেলে তো আপনারাও ফেঁসে যাবেন।
"১০৩: তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়োনা। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্বরণ কর: তোমরা ছিলে পরস্পর শত্রু এবং তিনি তোমাদের হৃদয়ে প্রীতির সঞ্চার করেন, ফলে তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে। তোমরা তো অগ্নিকুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হইতে তোমাদিগকে রক্ষা করিয়াছেন। এইরূপে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাহার নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃত করেন যাহাতে তোমরা সৎ পথ পাইতে পার। ১০৪: তোমাদের মধ্যে এমন একদল হউক যাহারা কল্যাণের দিকে আহবান করিবে এবং সৎকার্যের নির্দেশ দিবে ও অসৎকার্যে নিষেধ করিবে, ইহারাই সফলকাম। ১০৫: তোমরা তাহাদের মত হইও না যাহারা তাহাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শন আসিবার পর বিচ্ছিন্ন হইয়াছে ও নিজেদের মধ্যে মতান্তর সৃষ্টি করিয়াছে। তাহাদের জন্য মহাশাস্তি রহিয়াছে।"
দলাদলি করে গণতান্ত্রিক পার্টি বানিয়ে আপনারাও তো মুসলিম জনগন বিভক্ত করে ফেলেছেন। হারাম গণতন্ত্রকে হেকমাহ নাম দিয়ে ইসলামিকরণের চেষ্টা করছেন। মানুষকে ইসলামী শাসন ব্যাবস্হা সম্পর্কে ভুল বোঝাচ্ছেন। তাই সেটা নিয়ে আর মন্তব্যে নাই যাই। আপনি তো রীতিমত গোটা দুনিয়ার যত প্রশ্ন আছে সবই জানতে চাইছেন।
আর আমি আমার লেখার কোথাও বলিনি বর্তমান ইরান ক্রুশেডারদের দালাল। এই কথাটা আপনিই এনেছেন আপনার মন্তব্যে।আমি যেটা বলেছিলাম সেটা হল কোরানের হাফেজ এবং শাফেয়ী মাজহাবের আলেম সালাহউদ্দিন আইয়ুবী (রঃ) কেও তার জীবনের প্রথম দশ বছর এসব শিয়াদের সাথে যুদ্ধ করতে হয়েছিল কারণ সেসময়েও এসব শিয়ারা ছিল ক্রুশেডারদের সহযোগী। যেই ক্রুশেডাররা শুধুমাত্র ফিলিস্তিনেই ৭০,০০০ মুসলিমকে হত্যা করেছিল, মুসলিম নারীদের ধর্ষণ, মুসলিম শিশুদের হত্যা, মুসলিম ভূখন্ডগুলি দখল, লুটপাট সব কিছুই করেছিল। যেই চরিত্র শিয়ারা আজো বদলায়নি।যাইহোক আসল কথায় আসি। ইরানের প্রধান লক্ষ্য নিজেদের শক্তিশালী সেনাবাহিনী, সিরিয়ার বাশার আল আসাদ আর্মি, লেবাননের মিলিশিয়া হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের শিয়া হুতি মিলিশিয়া, ইরাকের শিয়া সেনাবাহিনীকে দিয়ে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে শিয়া নেতৃত্বে নিয়ে নেয়া। শিয়াইজম কায়েম করা। তারা বিশ্বাস করে ইমাম মেহেদি এসে তাদের নেতৃত্ব গ্রহণ করবে। তাই তারা মধ্যপ্রাচ্যের গোটা শিয়া সম্পদায়কে একত্র করে ইমাম মেহেদির আর্মি প্রস্তুত করছে। সাম্প্রতিক সময়কার ইয়েমেন, সিরিয়া, ইরাক বিষয়ক ডকুমেন্টারীগুলো দেখলেই ব্যাপারটি স্পষ্ট হয়ে যাবে। তারা জানে খৃষ্টান, ইহুদি থেকে তাদের জন্য বড় হুমকি হল সুন্নী সম্প্রদায় এজন্য যদি সব সুন্নীকে হত্যা করতে হয় তবে তারা তাই করবে। তারা নিজেদের স্বার্থে কখনো নাস্তিক রাশিয়া বা ক্রুশেডার আমেরিকার সহযোগী। দরকার হলে ইহুদীদের সাথেও তারা জোট বাঁধবে। আমরা তো জানিই ইরানের ইস্পাহান শহর থেকেই দাজ্জালের ৭০,০০০ ইহুদি সমর্থক বের হবে। কাজেই নিজেদের লক্ষ্যে তারা স্হির। কাজেই মন্তব্য করার সময় জ্ঞান আরেকটু ঝালাই করে নেয়াটাই ভাল।
তবে আপনার দেওয়া সংজ্ঞায় মাযহাবের অর্থ ভুল দিয়েছেন(আমিও বিতর্কে মাযহাবকে দল বলেছিলাম আমার ও ভুল হয়েছিল) মাযহাব অর্থ "চলার পথ" সে অর্থে আপনার আলোচনার যুক্তি অনুযায়ী শিয়ারাও তাদের ইমামের নির্দেশ মোতাবেক চলে তাদের মাযহাব বলা চলে।
শিয়ারাও তাদের ইমামদের দেখানো পথ অনুযায়ী চলে।কাজেই তাদের মাযহাব বল্লে ভুল তো হবেনা ।মাযহাব অর্থ চলার পথ ,ইমামদের দেখানো পথ অর্থ মাযহাব নয়।তাদের ও ইমাম আছে রাফেজি শিয়ার ইমামের নাম আমার জানা তার নাম "আব্দুল্লাহ্ আল শাবা"।
হ্যা শিয়াদের সম্বন্ধে আমি আপনার চেয়ে কম জানলেও কিছুটা জানি ।শিয়াদের ভুল আকিদা নিয়ে আমার গোটা দুয়েক লেখাও ছিল যা আমি এই ব্লগ থেকে মুছে ফেলেছি ,আমার পার্সোনাল ব্লগে এখনো তাদের ভুল আকিদাগুলো কোট করে লেখা আছে আপনি প্রমাণ চাইলে খুঁজে দিতে পারি।তাঁরা যে হযরত আলী রাঃ,ইমাম হাসান রাঃ,হোসেন রাঃ ,হযরত ফাতিমা রাঃ এবং ঐসময়কার হযরত আলীর পক্ষপাতি কিছু সাহাবাদের ছাড়া সবাইকে কাফির এবং হযরত আয়েশা রাঃ কে জেনাহকারী(নাউযুবিল্লাহ্) বলেন তাও আমার জানা ।এগুলো তাদের ভুল এ বিষয়ে আল্লাহ্ ভাল জানেন যে তাদের শাস্তি হবে কিনা।
আপনিও একটি বিষয় স্বীকার করেছেন(যদিও এ বিষয়ে নিজেকেও বিজয়ী আমি দাবী করিনা) যে ইরাকে ISIS এবং শিয়ারা মাজহাব ভিত্তিক গোলাগুলি বোমাহামলা করে থাকেন অথচ আপনি প্রথমে এ বিষয়ে বলেছিলেন যে এখন পর্যন্ত মাযহাবের জন্য কোন গ্যাঞ্জাম হয়নি বা ইতিহাসেও নেই।
আমার সম্বন্ধে আপনার ধারনা কি ?
আগে আমি কি চাই সেটা জানুন,
আমি নই কোন পার্টি ,নই কোন দল ।আপনি আশ্চর্য হবেন যে আমি ইমাম আবু হানিফা রহঃ গবেষনার হাদীসকেই বেশি প্রাধান্য দেই ।আমি চাই মুসলমানদের মধ্যে একতা ।আমি চাই মুসলমানরা একই প্লাটফর্মে আসুক দলাদলি না করে কাফেরদের বিরুদ্ধে এক হয়ে যুদ্ধ করুক।মুসলমানরা শুধু আল্লাহ্'র কোরআন নবীর সুন্নাহ্ মানবে এর গবেষনায় যে ফল বের হবে তা বিশ্বাস করবে । এর বাইরে কারো বাড়িয়ে বলা কোন নীতি মুসলমানরা অনুসরণ করবেনা ।আমি ইসলামি গবেষকদের সম্মান করি ,আমার চোখে ইমাম আবু হানিফা রহ. একজন ইসলামী গবেষক এবং আধুনিক ডাঃ জাকির নায়েক ও ইসলামী গবেষক ।আমি তাদের সাহাবায়ে কেরামগণের পরবর্তী সম্মানিত স্থানে দেখি ।ইমাম আবু ।আমি চাই পৃথিবী চালু হবে খেলাফতি গণতন্ত্র যা হবে রাসুল সাঃ ও সাহাবায়ে কেরামগণদের মত কোন ISIS,TALIBAN দের মত নয়।
আপনার মতে কি ইসলামি খেলাফত হারাম?
যদি উত্তর না হয় তাহলে আমার সম্বন্ধে আপনার ধারনা ভুল
আমার সম্বন্ধে না জেনে আমাকে ইসলাম বিরোধী একটি দলে ফেলে দেয়া কি আপনার একদম উচিত্ হয়েছে ?
যাইহোক ইসলাম সম্বন্ধে আমার ধারনা কম থাকায় আমি এই আলোচনার হার মেনে নিলাম ,এবং ইসলামি কিছু সঠিক জ্ঞান পেলাম যার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
হ্যা আমি আপনার এই প্যারার জন্যই ঐ মন্তব্য করেছিলাম যা ছিল আমার বুঝার ভুল,
"মাযহাব অর্থ "চলার পথ" সে অর্থে আপনার আলোচনার যুক্তি অনুযায়ী শিয়ারাও তাদের ইমামের নির্দেশ মোতাবেক চলে তাদের মাযহাব বলা চলে।শিয়ারাও তাদের ইমামদের দেখানো পথ অনুযায়ী চলে।কাজেই তাদের মাযহাব বল্লে ভুল তো হবেনা ।মাযহাব অর্থ চলার পথ ,ইমামদের দেখানো পথ অর্থ মাযহাব নয়।তাদের ও ইমাম আছে রাফেজি শিয়ার ইমামের নাম আমার জানা তার নাম "আব্দুল্লাহ্ আল শাবা"।"
ভাই এভাবে ধরলে তো হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান সবাই ই মাজহাবের অন্তর্ভুক্ত। হিন্দুরাও তো মাজহাব শব্দটা ধর্মের ক্ষেত্রে ব্যাবহার করে। ভাই মাজহাব ব্যাপারটা শরীয়ত সম্পর্কিত বিষয় তাই নিজের মত ব্যাখ্যা না দেয়াই সর্বোত্তম। আপনার সংজ্ঞার বৈধতা কে দিবে? যেহেতু আপনি আলেমনা কাজেই এসব মনগড়া সংজ্ঞা না দেয়াই উত্তম।
আল্লাহর রাসূল(সাঃ)বলেছেন,আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে যে ইলম দান করেছেন তা হটাৎ করে ছিনিয়ে নেবেন না বরং ইলমের বাহক উলামায়ে কিরামকে তাদের ইলেমসহ ক্রমশ তুলে নেবেন।তখন শুধুমাত্র মূর্খ লোকেরা অবশিষ্ঠ থাকবে। তাদের কাছে ফাতওয়া চাওয়া হবে।তারা মনগড়া ফাতওয়া দিবে।ফলে নিজেরাও পথভ্রষ্ঠ হবে,অন্যদেরকেও পথভ্রষ্ঠ করবে। (বুখারী:৬৮০৯)
কাজেই ব্যাপারটি যেহেতু শরীয়ত সম্পর্কিত কাজেই "আলেমরা এব্যাপারে কি বলেছেন?" সেটাই গ্রহণযোগ্য। আপনার আমার নিজস্ব যুক্তি-সংজ্ঞা দেয়ার অধিকার নেই। আর আলেমরা মাজহাবের সংজ্ঞায় কোথাও বলেননি: শিয়ারাও মাজহাবের অন্তর্ভুক্ত। হানাফী, শাফেয়ী, মালিকি, হাম্বলী এ চারটি পন্হা ইসলামের প্রাচীন সময় থেকেই আলেমদের কাছে মাজহাব হিসেবে স্বিকৃত ও পালনীয়। এবং চারটিই আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত। পরবর্তীতে সালাফী মতাদর্শ হিসেবে যা এসেছে সেটিও মাজহাবকে অতিক্রম করেনি। শাফেয়ী মসজিদে হানাফিদের আত্নঘাতি বোমা হামলায় ১০০ নিহত, হাম্বলি মার্কেটে মালিকি জঙ্গিদের হামলা!! এমন ঘটনা শুনতেও হাস্যকর লাগে। কারণ এসব অযৌক্তিক। বাংলাদেশে আহলে হাদিস ভাইয়েরা তো হানাফিদের মসজিদেও নিয়মিত নামাজ পড়ছে, হানাফীরাও তাদের পেছনে নামাজ পড়ছে কিন্তু তেমন কোন সমস্যা কি তৈরী হয়েছে? মতপার্থক্য কি সহিংসতায় রূপ নিয়েছে? কাবা শরীফে যখন নামাজ হয় দেখা যায় হানাফি, শাফেয়ী, মালেকি, হাম্বলি, সালাফি সবাই এক কাতারে নামাজ পড়ছে কই তা তো কোন সমস্যা হচ্ছেনা। সিরিয়ায় সারা বিশ্ব থেকে মুসলিমরা গিয়েছে। সব মাজহাবের লোক। আমার কাছে সিরিয়ার বিদ্রোহি যোদ্ধাদের নামাজ পড়ার বেশ কিছু ছবি ছিল কেউ ইমাম শাফেয়ী মাজহাবের,পেছনে কেউ সালাফী,হানাফি,মালেকি সবাই একই কাতারে একসাথে নামাজ পড়ছে। সবার সামনে অস্ত্র কই এসব নিয়ে তো কোন সমস্যা তৈরী হয়নি। কোন হানাফী তো হাতের অস্ত্র উচিয়ে সালাফীর দিকে তাক করে বলেনি, তুমি সালাফী তাই আজকে শেষ করে ফেলবো।
তাহলে আপনিই বলেন কোন যুক্তিতে আমি মানব যে, মাজহাবের জন্য মারামারি হচ্ছে??
যা যৌক্তিক, গ্রহণযোগ্য তা নিয়েই আমি আলোচনা করবো তাইনা? আর এইএস এর ব্যাপারে যা সত্যি তা আমি উল্লেখ করেছি যে, "তাদের আচরণ কেমন?" আমিও মানি তালিবান, আল কায়েদা ইত্যাদি মিলিশিয়া গ্রুপগুলো পুরোপুরি সঠিক না। কিন্তু আপনি যেভাবে ঢালাওভাবে বলছেন তালিবান খারাপ তারা এই তারা ঐ ইত্যাদি, এসবের কত পারসেন্টের ব্যাপারে আপনি জানেন? মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ ও মালিকানা টোটালি ইহুদিদের হাতে তারা কত পারসেন্ট সত্য খবর প্রচার করে? তারা তো ইজরাইলের দিক হামাসের একটা ফাকা রকেট ছোড়াকেও বিশাল সন্ত্রাসী কর্মকান্ড হিসেবে উল্লেখ করে অথচ ইজরাইল কর্তৃক ২০০০ ফিলিস্তিনি হত্যাও তাদের চোখে যৌক্তিক। তারা সেটা যৌক্তিক ভাবেই তুলে ধরে। কাজে এই মিডিয়া কতখানি সত্যটার মানদন্ড?
যখন তোমাদের কাছে কোন ফাসিক ব্যক্তি সংবাদ নিয়ে আসে, তখন তা অনুসন্ধান কর। যদি তোমরা না জেনে কোন জাতির উপর ঝাঁপিয়ে পড় তাহলে অবশেষে তোমরা যা করেছো তার উপর লজ্জিত হবে। (সূরা হুজুরাত-৬) কাজেই কাফির মিডিয়ার সব কথা যে সত্যি তার নিশ্চয়তা কি? কিছুদিন আগে আফগানিস্তানে আর্মি ও তালিবানদের মাঝে গোলাগুলি শুরু হয় তখন সে এলাকায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল।তালেবানদের উদ্দেশ্যে আর্মির ছোড়া রকেট লাঞ্চার এসে পরে বিয়ে বাড়িতে বেশ কয়েকজন মারা যায়। আলজাজিরাতে সত্য ঘটনা উল্লেখ করলেও অন্যান্য মিডিয়ার শিরোনাম ছিল, তালিবান হামলায় বিয়ে বাড়িতে মানুষ খুন।" এই হল বাস্তবতা। যদিও আমি বলছিনা সশস্ত্র গ্রুপগুলো সবসময় সঠিক। কিন্তু আমি যদি বলি তালেবানরা নারী ধর্ষণ করছে বিশ্বাস করবেন? ব্যাপারগুলো এমনই। মনে হয় এসব নিয়ে আর কথা না বলাই ভাল। খেলাফত নিয়ে না হয় অন্যদিন কথা হবে। জাঝাক আল্লাহ। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
আপনার লিখা পড়ে আমি এ মর্মে আশ্বস্থ হলাম যে আপনি আপনার মতাদর্শ ও আপনার আন্ডারস্ট্যান্ডিং এ এতটাই বায়াসড্ যে আপনি আপনার মতামত স্টাবলিশ করার জন্য - ইচ্ছামত সোর্স ব্যবহার করছেন এবং মনের মাধুরী মিশিয়ে বিচার বিশ্লেষন করছেন। এবং আমার ভয় হচ্ছে আপনি হয়তো আপনার বিপক্ষমতামত ব্যক্ত কারীকে কাফের ইত্যাদি উপাধী দিতে আপনি দ্বিধা করবেন না।
এ লিখাটার প্রথম ছবিটি দিয়ে আপনি বললেন শিয়া বাশার ক্যামিক্যাল অস্ত্রের ব্যবহার করে সুন্নি মুসলিম হত্যা করেছে। অথচ যারা সিরিয়ার বিষয়াবলী প্রথম থেকে ফলো করছে - তারা প্রত্যেক ই জানে আমেরিকার তল্পি বাহক সৌদী আরব, জর্ডান এর সহায়তায় তথাকথিত তাকফিরি / সিরিয়ান অপজিশান সরকারের বিরুদ্ধে স্যাবোটাজ এর পার্ট হিসাবে এ কাজ করেছে।
আপনি যদি উম্মাহর জন্য কাজ করতে চাইতেন - নিউট্রাল সোর্স হতে শিয়া দের সম্পর্কে লিখলে আমাদের সুন্নিদের উপকার হত। সিম্পলী শিয়া লিখে গুগল এ সার্চ করলে দেখা যায় ৩০টির ও বেশী দল ও উপদল এর শিয়া মতবাদে বিশ্বাসী মানুষের কথা লিখা আছে।
সিম্পলী এখন সৌদী আরব যখন হুতি দের মারছে - তাদের সম্পর্কে পড়তে গেলে দেখবেন হুতিদের মধ্যে ও প্রায় ৩/৪ রকমের ভিন্ন ভিন্ন শিয়া মতবাদে বিশ্বাসী মানুষ আছে।
কিন্তু তাদের সবাই ই ইমাম আবু হানিফা রঃ এর শরীয়া ফলো করেন আর সুন্নি আকিদায় বিশ্বাস করেন তথা আল্লাহ, ফেরেস্তা, নবী রাসুল ইত্যাদি। সুন্নির সাথে তাদের সিম্পলী ডিফারেন্স তারা মনে করে মোহাম্মদ সঃ এর পরিবার হতে খলিফা আসা উচিত ছিল - কিন্তু তা না হওয়ায় আবু বকর রাঃ ওমর রাঃ ও ওসমান রাঃ ভুল করেছেন এবং ওনাদের আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল। এটা অনুভব করা ভুল কিন্তু কুফুরী নয় - নিদেন পক্ষে এমন কুফুরী নয় - যা আপনি যেভাবে তাদেরকে শত্রু বানিয়ে আমাদের ঘৃনা সৃষ্টি করার অপপ্রয়াস চালিয়েছেন। অথচ তাদের এই ভুল কারেকশান করার জন্য আপনি কি করছেন কি লিখা লিখি করছেন কি আলোচনা করছেন - সেটা আল্লাহ নিশ্চয়ই আপনাকে জিজ্ঙাসা করবেন। কেন আপনার ভাই ইয়াহুদী দিয়ে প্রতারিত হলেও আপনি কারেকশান করলেন না?
এমনি দেখা যাবে জন ভিত্তি আছে অমন প্রতিটি শিয়া বিশ্বাসের লোকের ই ঈমান ও আমল আর দশটি সুন্নি মুসলিমের মতই।
এর মানে এই নয় যে তাদের একটা মাইনর পারসেন্টেইজ এক্সট্রিমলী কুফরী করছে ঠিক যেমন সুন্নি মুসলিমদের একটি মাইনর পারসেন্টেইজ এক্সট্রিম কুফুরী করছে।
যাইহোক আমি ব্যাক্তিগতভাবে আপনার ভুল তথ্যে ভরা বায়াসড লিখাটি পড়ে অস্বস্থি অনুভব করছি। বিশেষ করে এমন একটি সময়ে যখন অলরেডি আমাদের গলা পয্যন্ত ভুল নিউজ ভিউজ ও বিশ্লেষন গলধঃকরন করা হচ্ছে।
এনিওয়া আসসালামুআলাইকুম।
যেন ব্যাপারগুলো আপনি জানেনই না বা জীবনে প্রথম শুনে চমকে উঠলেন যে, বাশার আল আসাদ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যাবহার করে সুন্নী হত্যা করছে!!! আমি যে ছবিগুলো দিয়েছি আপনার কি মনে হয় এগুলো আমার এডিট করা ফেক ছবি?? সন্দেহ হলে প্রমান করে দেখান অযথা কুতর্কের প্রয়োজন কি? বাশার আল আসাদ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যাবহার করে সিরিয়ায় কয়েক হাজার সুন্নী শিশু হত্যা করেছে। গত কয়েকদিন আগে নুসরাহ ফ্রন্ট ও আহরার আশ শাম সহ সমমণা বিদ্রোহী যৌথ জোট কর্তৃক ইদলিব দখল এর কয়েক সপ্তাহ আগে ইদলিবে ২য় দফা রাসায়নিক অস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। এসব কি আমার বানানো তথ্য?? এটা আলজাজিরার নিউজ লিংক http://www.aljazeera.com/news/2015/03/syrian-raid-amount-war-crimes-rights-group-150317142539249.html
গুগল তো ভালই চিনেন তো ভাই আলজাজিরা, বিবিসির রিপোর্ট গুলো কি চোখে পড়েনি? জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাশারের উপর কোন কারণে অবরোধ আরোপ করার কথা বলেছিল? আপনি কি বলতে চান,
(SOHR), the Syrian observatory for human rights, সিরিয়া বিষয়ক ব্রিটেন ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন, এমনেস্টি, জাতিসংঘ, আলজাজিরা ইত্যাদি যারাই সিরিয়ার ব্যাপারে তথ্য-প্রমাণ পরিবেশন করছে তারা সবাই ভূয়া?? অবাক করা চিন্তাভাবনা আপনার।
আপনার পরবর্তী মন্তব্য: "প্রত্যেক ই জানে আমেরিকার তল্পি বাহক সৌদী আরব, জর্ডান এর সহায়তায় তথাকথিত তাকফিরি / সিরিয়ান অপজিশান সরকারের বিরুদ্ধে স্যাবোটাজ এর পার্ট হিসাবে এ কাজ করেছে।"
আমার উত্তর: আপনার কথায় মনে হচ্ছে আপনি বলতে চাইছেন, যেহেতু আসাদের বিরুদ্ধে তারা বিদ্রোহ করেছে এবং তারা পশ্চিমাদের হাত থেকে অস্ত্র গ্রহণ করেছে কাজেই বাশার আল আসাদ তাদের দমণে নামবেন এটাই আপনার চোখে স্বাভাবিক ও যৌক্তিক। আমিও মেনে নিলাম কিন্তু নিজেদের ধর্মীয় পরিচয় শিয়া ইমেজ ব্যাবহার করে শিয়া ইরান, শিয়া হিজবুল্লাহকে ডেকে এনে সুন্নী জনগোষ্ঠীর উপর একতরফা গণহত্যা, শিশুহত্যা,নারী ধর্ষণ,দখল-লুটপাট অর্থাৎ বেসামরিক সুন্নী জনতার উপর এমন বর্বরতা পরিচালনা কোন যুক্তিতে সঠিক? আপনি তো কথায় কথায় ল দেখান কিন্তু ভাই এটা কি সুস্পষ্টভাবে মানবাধিকার লংঘন ও যুদ্ধাপরাধ না??আমার লেখায় আমি খুব স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করেছি সিরিয়ায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো কে কোন চিন্তাধারায় বিশ্বাস করে? তারা কিভাবে গড়ে উঠেছে? আপনি একটি শব্দ ব্যাবহার করেছেন "তাকফিরী" এটি সম্পর্কে আপনার ধারণা কতটুকু? ধরে নিলাম তাকফিরি বলতে আপনি সিরিয়ান আল কায়েদা জাবহাত আন নুসরাহ, ইসলামিক ফ্রন্ট, আহরার আশ শাম, জইশ, খোরাশান এসব ধর্মভিত্তিক বিদ্রোহী গ্রুপ গুলোকে নির্দেশ করেছেন। কিন্তু পশ্চিমারা কি এদের সবাইকেই সাহায্য করেছে? নুসরাহ ফ্রন্ট, খোরাসান ফ্রন্টকে পশ্চিমারা সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করেছে এমনকি এসব বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর উপর মার্কিনিরা বেশ কয়েকবার বিমান হামলাও চালিয়েছে। আল জাজিরার ওয়েবসাইট ঘাটলে এখনো সেসব খবরগুলো পাবেন। পশ্চিমারা ফ্রি সিরিয়ান আর্মি গড়ে তুলেছিল, তাদের অস্ত্রও দিয়েছিল কিন্তু অন্যরা কি পশ্চিমাদের হাতে গড়া? আর পশ্চিমা অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করা যাবেনা, এটাই বা কেমন যুক্তি? যখন সিরিয়ায় সুন্নী হত্যা হচ্ছিল আপনি তখন হয়ত এসি রুমে বসে মুরগীর ঠ্যাং চিবাতে চিবাতে কম্পিউটারে গুগল, ফেসবুক নিয়ে সিরিয়ার যুদ্ধকে যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা হিসেবেই উপভোগ করছিলেন। অথচ নিরস্ত্র সিরিয়ান সুন্নীরা চোখের সামনে নিজের আপন জনকে মরতে দেখছিল, নিজের ঘরবাড়ি বিমান হামলায় গুড়িয়ে যেতে দেখছিল, খাদ্যাভাবে ধুকছিল। তাই তাদের হাতে যদি পশ্চিমারা-সৌদিরা-তুর্কিরা অস্ত্র তুলে দেয় নিজেদের রক্ষার জন্য, তখন তারা কেন সেটা গ্রহণ করবেনা?? বাংলাদেশে ১৯৭১ সালেও তো মুক্তিযোদ্ধারা রাশিয়ান ও ভারতীয় অস্ত্র হাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছিল অথচ রাশিয়ান ও ভারতীয়দের এই অস্ত্র দেয়ার পেছনে ছিল বিশাল পরিকল্পনা।
#আমি যুদ্ধের মাঝে দাড়িয়ে আছি, আমাকে বাঁচতে হবে আমার দরকার অস্ত্র এমন মুহূর্তে কেউ আমাকে অস্ত্র দিল। আমি তখন কি করব?
*আমার জীবনই বাঁচেনা আমি এখন কি করব? financial analyst দের মত ধ্যানে বসে হিসাব করব যে, কেন অস্ত্র দিবে? কেন নিব? নিলে কি হবে? তার উদ্দেশ্য কি? ইত্যাদি নাকি, আমি অস্ত্রটাই হাতে নিব? উত্তরটা সহজ। আগে বাঁচতে পারলে তারপর নাহয় হিসাব-নিকেশ। তাই আমি অবশ্যই আমি অস্ত্রটাই হাতে নিব কারণ আমার দরকার অস্ত্র, তাত্ত্বিক বিচার-বিশ্লেষণ না।
আপনার লেখার ৩য় প্যারায় আপনি বলেছেন: আপনি যদি উম্মাহর জন্য কাজ করতে চাইতেন - নিউট্রাল সোর্স হতে শিয়া দের সম্পর্কে লিখলে আমাদের সুন্নিদের উপকার হত।"
আপনার চিন্তাধারা ও গুগল বিষয়ক জ্ঞানের পরিধি দেখেই বোঝা যায়, সুন্নী বিষয়ক ব্যাপারটা আপনার কাছে কতটা অস্পষ্ট। আপনি জানার চাইতে বেশি নিজের গুগল থেকে অর্জিত জ্ঞানের ভিত্তিতেই তর্ক করতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। আর গত কয়েকদিন আমার লেখার বিরুদ্ধে আপনার ব্লগপোস্ট http://www.todaybd.net/blog/blogdetail/detail/5064/dishaastha/63431 আমার লেখায় নিজের জ্ঞানের পরিধি অনুযায়ী তাচ্ছিল্যপূর্ণ কমেন্ট ইত্যাদিতেই সেটা স্পষ্ট। কথা যুক্তি প্রমাণ দিয়েই বলুন। আমি আপনার মত মুখের কথায়, গায়ের জোড়ে কিছু প্রমাণে বিশ্বাসী না। আমি শিয়া-সুন্নীদের নিকট গ্রহণযোগ্য বিভিন্ন বই-পুস্তক, খবরের লিংক, ইতিহাস, আলেমদের ব্যাখ্যা ইত্যাদির ভিত্তিতেই প্রতিটি কথা বলেছি। আপনি যুক্তি-প্রমাণ দিয়েই তা ভুল প্রমাণ করেন প্লিজ।
আর আপনার যেহেতু শিয়া, সুন্নী, শরীয়ত ও মাজহাব ইত্যাদি বিষয়ে স্পষ্ট জ্ঞান নেই কাজেই এসব বিষয় নিয়ে অযথা তর্কে সময় নষ্ট না করাই ভাল। আপনি এসব বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করুন। আপনি বলছেন, তারা ইমাম আবু হানিফা (রঃ) কে অনুসরণ করে, অথচ এর সমর্থনে কোন প্রমান হাজির করেননি, যদিও আমার লেখা আপনার কাছে গাঁজাখুরী মনে হয়েছে, তথ্য-প্রমাণের অভাববোধ করেছেন আপনি। আল্লাহ আপনাকে ও আমাকে বোঝার তৌফিক দান করুক।
ভাই আমি আপনার মত গুগল সার্চে গিয়ে "শিয়া কাকে বলে? কয় প্রকার? কি কি? উদাহরণ সহ উল্লেখ কর" এসব খুঁজে বেড়াই না। কারণ সেটার কোন প্রয়োজন নেই। পূর্ববর্তী ও পরবর্তী আলেমরা তাদের ব্যাপারে কোরান-হাদিস নির্ভর ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। তাদের ব্যাপারে হাদিস এসেছে। তাহলে এসব রেখে গুগল সার্চে গিয়ে আমি কি করব?? ইমাম আবু হানিফার শরীয়াহ!!!! জীবনে প্রথমবার শুনলাম ইমাম আবু হানিফা(রঃ)শরীয়াহ প্রবর্তন করেছিলেন, যার অনুসারী হুতিরা। ইসলামের ব্যাপারে জ্ঞান পরিষ্কার করুন। শিয়ারা মোটামোটি ৭০ এর মত শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত। শিয়াদের বহুধাবিভক্ত উপদলের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী যে দল , সেটি হলো – "শিয়ায়ে ইমামিয়া বা শিয়ায়ে ইসনা আশারা" সহজভাবে যারা ১২ জন শিয়া ইমামে বিশ্বাস করে। বর্তমানে এ দলটিই ‘শিয়া’ নামে পরিচিত।"শিয়ায়ে ইমামিয়া বা শিয়ায়ে ইসনা আশারা" এর বিংশ খ্রীষ্টাব্দের ইমাম বিগত বিংশ খ্রীষ্টাব্দে "শিয়ায়ে ইমামিয়া বা শিয়ায়ে ইসনা আশারিয়ার পথ প্রদর্শক ও মহান নেতা ছিল ইরানী বিপ্লবের আহ্বায়ক আয়াতুল্লাহ রুহুল্লা খোমেনী। বর্তমানে ইরান, ইরাক, সিরিয়ার আসাদ, লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুতিরা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনীকেই নিজেদের পরবর্তী শিয়া ইমাম হিসেবে মান্য করে। আমার লেখায় তাদের কর্মকান্ড নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে, ৭০ দল নিয়ে না। ‘হুছি’ বা হুতি গ্রুপটি মূলত শিয়াদের বিপ্লবী নেতা আয়াতুল্লাহ খমেনীকেই ইমাম হিসেবে মানে। দলটি এমন আকিদায় বিশ্বাস করে যে, তাঁদের ১২ জন ইমামের সর্বশেষ ইমামের (মাহদি আঃ) আসার সময় হয়ে গেছে, অচিরেই তিনি ইরানের কোন এক জায়গা (গর্ত) থেকে বের হয়ে আসবেন, আর এসে তিনি ইমামত তথা শিয়াদের খেলাফত কায়েম করবেন। মক্কা-মদিনা অচিরেই তাদের নিয়ন্ত্রণে আসবে। তারা উত্তর ইয়েমেনের ছা’আদা নামক শহরে ১৯৯১ সালে একটি সংগঠন তৈরি করে, আর নাম দেয় ‘’ তাঞ্জিমুল শাবাব আল মুমিনিন’’। আর তখন থেকেই তাঁরা ধীরে ধীরে সংগঠিত হতে থাকে। আর তাঁদের সাথে যেহেতু ইরানী “ইছনা আশারা’’শিয়াদের ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক আকিদার মিল রয়েছে, এবং আয়াতুল্লাহ খামেনীকে তারা ইমাম হিসেবে মান্য করে তাই ইরানের ওপর অত্যাবশ্যক হয়ে যায় তাঁদের সহযোগিতা করার এবং ইরান তাদের সামরিক প্রশিক্ষণ, অস্ত্রের যোগান ইত্যাদি দিয়ে সহায়তা শুরু করে। ইয়েমেন দখলের পর তাঁরা সৌদি আরাবিয়ার দিকে এগুতে থাকে, আর তাঁদের মূল টার্গেট হল মাক্কাহ দখল করা যেহেতু ইরান ইতিমধ্যে তাঁদের ম্যাপ করে ফেলেছে তাঁরা সৌদি আরাবিয়ার জেদ্দা শহরের উপর দিয়ে ইরাক এবং ইরানের সংযোগ সড়ক তৈরি করবে আর বাগদাদ হবে ইরানের আধ্যাত্মিক রাজধানী, কাজেই সৌদি কোয়ালিশন নিজেদের ভূমি ও ক্ষমতা রক্ষার জন্য তাদের সাথে যুদ্ধে নেমেছে। এখনে কোন ধর্মীয় কারণ নেই। ধর্মীয় আবেগ তাদের থাকলে অনেক আগেই তারা সিরিয়ান সুন্নীদের রক্ষার জন্য সুন্নী জোট গঠন করে সিরিয়ায় আর্মি পাঠিয়ে বাশার আল আসাদকে হটিয়ে দিতে পারত। ইরানের সাথেও এখই ইস্যুতে দ্বন্দে জড়াত কিন্তু তারা সেখানে নিরব। আমি সৌদি আরবের পক্ষও টানিনি। কারণ আমি সৌদিদের রাজতন্ত্র, মিশরের বৈধ সরকারকে উৎখাতে মিশরীয় সেনাবাহিনীকে অর্থ সহায়তা, পশ্চিমাদের সাথে তাদের জামাই-বউ সম্পর্ক সব ব্যাপারেই জানি।
আসসালামুআলাইকুম।
মন্তব্য করতে লগইন করুন