IRAN AND AMERICA:PUBLIC ENEMIES,PRIVATE FRIENDS.

লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ২৮ আগস্ট, ২০১৪, ১০:০৩:২০ সকাল



ইরানকে মহান করে দেখার কিছু নেই। আচ্ছা ইরান কি আসলেই আমেরিকা, ইজরাইল বিরোধী? হ্যা সত্যি ইরান গাজার হামাসকে সমর্থন করে,কিছু সামরিক ও আর্থিক সাহায্যও দিয়েছে। কিন্তু তারা তো অনেকবার ইজরাইলের বিপক্ষেও হুংকার ছেড়েছে তারা ইজরাইলকে গুড়িয়ে দিবে আর সত্যি বলতে তাদের সেই সক্ষমতা আসলেই আছে। এই কয়েক বছর আগেই ইজরাইল ইরানের মিলিশিয়া বাহিনী হিজবুল্লাহ এর সাথে যুদ্ধে হেরে গিয়েছিল, ভারি অস্ত্রসস্ত্র ফেলে পালিয়ে গিয়েছিল যা প্রমাণস্বরূপ হিজবুল্লাহ এখন তাদের জাদুঘরে এসব যুদ্ধাস্ত্র রেখে দিয়েছে। হামাসের সামরিক সক্ষমতা বলতে কিছুই নেই কিন্তু ইজরাইল তাদের কতটুকু ক্ষতি করতে পেরেছে? তাদের বাহাদুরী শুধু নিরস্ত্র মানুষ হত্যায়। সামরিক মোকাবেলায় তারা বরাবরই কাপুরুষ ছিল। এই যখন অবস্হা সেখানে ইরানি সেনাবাহিনী ইজরাইল এর জন্য কতটা ভীতিকর হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। ইরান যদি সত্যিই ইজরাইল বিরোধী হত তবে অবশ্যই হামাসের সাহায্যে সেনাবাহিনী পাঠিয়ে দিত, কিন্তু কেন পাঠায়নি? কারণটা সহজ "ফিলিস্তিনীরা সুন্নি" এটাই প্রধান কারণ। তারা শিয়া হলে ইরান ইজরাইল দখল করতে এক মিনিটও ভাবতোনা। বাস্তব উদাহরণ হল সিরিয়া ও ইরাক। সিরিয়ায় যুদ্ধ শুরু হবার সাথে সাথে ইরানী সেনাবাহিনী আসাদকে রক্ষা করতে তার পক্ষে লড়ছে এমনকি নিজ মিলিশিয়া বাহিনী হিজবুল্লাহকেও নিয়োগ দিয়েছে। ইরাকে আইএসআইএস শিয়া মালিকী সরকার ও শিয়া সেনাবাহিনীকে কোণঠাসা করে ফেলার সাথে সাথে ইরান ইরাকে সেনাবাহিনী পাঠিয়ে দিয়েছে। আমেরিকার সাথে খোলামেলা সাহায্যের কথা বলেছে এবং বর্তমানে কুর্দিদের অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে আইএস এর সাথে যুদ্ধ করার জন্য। অথচ এত বছর হুমকি দেয়ার পরেও ইজরাইল যখন গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে এবং হামাসের সামরিক সহায়তা দরকার। এঅবস্হায় ইরান কি মুখে সান্তনার বাণী শোনানো ছাড়া কোন পদক্ষেপ নিয়েছে? নাহ !নেয়নি। ইরানের সাথে কি আসলেই ইহুদি ইজরাইলের কোন গোলমাল আছে?ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট এবার ইহুদিদের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তাহলে হামাসের প্রতি তাদের সমর্থনের রহস্য কি? আসলে আরব সুন্নি দেশগুলো আমেরিকা আর ইজরাইলের পরম বন্ধু ইজরাইলের অমানবিকতায় তাদের সাহায্য, সমর্থন আছে আর এজন্য গাজাবাসিদের মনে ইরানিদের মতই আরবদের প্রতি ক্ষোভ রয়েছে। ইরান এজন্যই তাদের নিয়ন্ত্রণের উপায় হিসেবে হামাসকে সমর্থন দেয়। তাছাড়া আরো একটা কারণ আছে সেটা হল, গাজা চারদিক থেকে অবরুদ্ধ ঢোকার কোন পথ বলতে গেলে নেই এরপরেও যদি কোন সুন্নী গোষ্ঠী গাজায় একবার ঢুকতে পারে এবং হামাসের সাথে এক হতে পারে তখন ইজরাইলের অস্তিত্ব যেমন হুমকিতে পরবে তেমনি ইরানও হুমকিতে পরবে। তাই ইরান হামাসকে নামমাত্র সমর্থন ও সহযোগীতা দিয়ে থাকে যেন হামাস ইরানের নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে কোন সুন্নী গ্রুপকে গাজায় প্রশ্রয় না দেয়।

ইরান কি আসলেই আমেরিকা বিরোধী? হ্যা! কারণ সে রাশিয়ার পরম বন্ধু কিন্তু বাস্তবে কতটা? আফগানে মার্কিন হামলা_ সহায়তায় ইরান, ইরাকে মার্কিন আগ্রাসন শুরু_সাহায্যে ইরান, সিরিয়ায় সুন্নি বিদ্রোহিদের দমণ করতে ওবামার প্রতি ইরানী প্রেসিডেন্টের আহবান, ইরাকে বর্তমান পরিস্হিতি মোকাবেলায় কোনরকম গোপনীয়তা না রেখে সরাসরি মার্কিনদের সাথে যুদ্ধে সহায়ত। আর কত প্রমাণ দরকার যে, মার্কিন-ইজরাইল এর সাথে ইরানের শত্রুতা নিছক লোকদেখানো?? আর কোন শত্রুতা থাকলেও তা ধর্মীয় কারণে না, তা নিছক বিশ্ব রাজনীতি ও ক্ষমতার দ্বন্দের জন্য কিন্তু অভিন্ন স্বার্থে তারা এক হতে কখনোই পিছপা হবেনা।

বিষয়: বিবিধ

২২৩০ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

259097
২৮ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১০:১৬
মোহাম্মদ নূর উদ্দীন লিখেছেন : এত গবেষনা করে ফল কি ? তবে গবেষনার সময় মনে রাখা উচিত ' সব মুসলিম সুন্নী হতে পারে, কিন্তু সব সুন্নি মুসলিম নয়' ।
২৮ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১০:৫৩
202842
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ব্লগার হিসেবে আপনার উচিত প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলা, ফেসবুকারদের মত অযথা বিতর্ক না করা। আর তাকফির বিষয়টা সুখকর না সেটা খারেজীদের বৈশিষ্ঠ ধন্যবাদ আপনার মন্তব্য প্রদানের জন্য।
259101
২৮ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১১:০১
সুজন মাহমুদ লিখেছেন : আপনার ইনফরমেসন গুলোর কোন লিংক দেন নি।
আমেরিকার সাথে খোলামেলা সাহায্যের কথা বলেছে এবং বর্তমানে কুর্দিদের অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে আইএস এর সাথে যুদ্ধ করার জন্য
ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট এবার ইহুদিদের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
গাজাবাসিদের মনে ইরানিদের মতই আরবদের প্রতি ক্ষোভ রয়েছে।
আফগানে মার্কিন হামলা_ সহায়তায় ইরান, ইরাকে মার্কিন আগ্রাসন শুরু_সাহায্যে ইরান, সিরিয়ায় সুন্নি বিদ্রোহিদের দমণ করতে ওবামার প্রতি ইরানী প্রেসিডেন্টের আহবান, ইরাকে বর্তমান পরিস্হিতি মোকাবেলায় কোনরকম গোপনীয়তা না রেখে সরাসরি মার্কিনদের সাথে যুদ্ধে সহায়ত।


এই তথ্য গুলোর কোন ভিত্তি নেই ।তাই বিতর্কে গিয়ে সময় নষ্ট করছি না।
আপনার লেখাতির চরম জবাব দিতে পারতাম কিন্তু সময় নেই। তবে একটা অনুরধ। নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে বিশ্লেষণ কর্বেন সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিতে নয়।

ইরান যদি সত্যিই ইজরাইল বিরোধী হত তবে অবশ্যই হামাসের সাহায্যে সেনাবাহিনী পাঠিয়ে দিত, কিন্তু কেন পাঠায়নি? কারণটা সহজ "ফিলিস্তিনীরা সুন্নি" এটাই প্রধান কারণ

এটি সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিতে দেখেছেন। ধরি ফিলিস্তিনিরা সুন্নি তাই তবে আরবের সুন্নি ভাইরা কেন পাথাইনি? বরং হামাস নিধনে ইসরায়েলকে সহায়তা করেছে। খবরের উৎস: http://goo.gl/ZIdH7q

আর মনে আন্তর্জাতিক আইনের কারনে ইরান ইসরায়েলে ফিলিস্তিন ও সিরিয়া ইস্যুতে সরাসরি হামলা করতে পারে না তবে প্রক্সি যুদ্ধ করতে পারে।

যদি ইরান সরাসরি ইজরায়েলে হামলা করত। তবে এটি হয়তো ইরানের জন্য বোকামি। কারণ দীর্ঘ দিন থেকে পশ্চিমারা ইরানে হামলার ইস্যু খুজছে। তখন একটা ইস্যু পেয়ে যেত এবং পশ্চিমারা এক যোগে ইরানে হামলা চালাত। ইরান অজ্ঞতা নিয়ে ঘুম পারে না।

২৮ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১১:৩৩
202851
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আপনি লিংক চাইছেন?? না জেনে যখন বলেই দিচ্ছেন আমার কথার ভিত্তি নেই সেখানে লিংক চাওয়া বোকামি না? যিনি কোনপ্রকার যাচাই-বাছাই ব্যাতিত বলেই দেন এসব ভুয়া তার সাথে তর্কে গিয়ে সময় নষ্ট আমিও করতে চাইনা।ভাই আপনি আমার কথার দাঁতভাঙ্গা জবাব না দিয়ে মিনিমাম আলজাজিরার ওয়েবসাইটা ঘাটাঘাটি করলেও পারতেন। হেকমাহ মিডিসিন খেয়ে ঘুমিয়ে থাকলে ইরানের কোন দোষকেই দোষ মনে হবেনা। ইসলামের সোনালী যুগের কথা ভাবলে ঘুরেফীরে চোখের সামনে ইরানের প্রতিচ্ছবি ভাসবে।
"আর মনে আন্তর্জাতিক আইনের কারনে ইরান ইসরায়েলে ফিলিস্তিন ও সিরিয়া ইস্যুতে সরাসরি হামলা করতে পারে না তবে প্রক্সি যুদ্ধ করতে পারে।"
এই একই যুক্তি সিরিয়া ও ইরাকে কার্যকর হলোনা কেন, যেখানে ইরানী সেনাবাহিনী সুন্নী নিধনে আসাদ ও মালিকি সরকারকে সাহায্য করে যাচ্ছে? আপনাদের সংগঠনের বড় ভাই লোকমান বিন ইউসুফ ভাইকে জিঙ্গাসা করবেন আমি যা বলেছি তা ভুয়া নাকি আসলেও সত্যি। আর নিয়মিত আলজাজিরার খবর দেখতে পারেন। আগে নিজে জানুন অতঃপর অন্যের দেয়া তথ্য সত্য না মিথ্যা যাচাই করতে আসবেন। আপনার কথা

"ধরি ফিলিস্তিনিরা সুন্নি তাই তবে আরবের সুন্নি ভাইরা কেন পাথাইনি? বরং হামাস নিধনে ইসরায়েলকে সহায়তা করেছে। খবরের উৎস: http://goo.gl/ZIdH7q"
আমি তো সেটা আমার লেখাতেও উল্লেখ করেছি। ধন্যবাদ।
259120
২৮ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭
অন্ধকারের বাতি লিখেছেন : ভাই আপনার সমস্ত যুক্তি তাৎপর্যপূর্ণ নয়!!
তাই, দু:খিত আপনাকে সাফোর্ট দিতে পারলাম না।
২৮ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৯:১৪
203050
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আমি যা বলেছি তা যদি যাচাই-বাছাই না করেন তবে তাৎপর্যপূর্ণ মনে হবার কোন কারণও নেই। জাঝাক আল্লাহ
259133
২৮ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০১:৩৯
মামুন লিখেছেন : আল্লাহ পাক মুসলমানদের এক দল হিসেবে বসবাস করার তৌফিক দান করুন। আপনার লেখাটায় অনেক কিছু জানলাম। আসলে মতভেদ তাও- একই জাতির ভিতরে ঠিক নয়। যখনি মুসলামদের উপর বিধর্মিদের দ্বারা আঘাত আসবে, গোত্র, ফেরকা নির্বিশেষে সকলের এক সাথে ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত। তাহলে মুসলমানদের বিরুদ্ধে অন্যায় ভাবে কিছু করতে অন্যরা একশোবার ভাববে। শুভেচ্ছা রইলো। Rose Good Luck
২৮ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৯:১৬
203051
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : কিন্তু সেটা কখনো হবেনা। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: ইসলাম এসেছে অল্প কিছু লোকের দ্বারা আর শেষও হবে অল্প কিছু লোকের দ্বারা। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমার অবস্হান ইনশাআল্লাহ পরিষ্কার করব।
259148
২৮ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০২:৪৭
আবু জান্নাত লিখেছেন : আপনার কথাগুলোর সত্য মিথ্যা যাচাই করা ছাড়া পুরোপুরি সাপোর্ট বা বিরোধ করা যাবে না, তবুও বলতে চাই, মুসলমানদের মাঝে দুনিয়ার লালসা ও মরনের ভয় চেপে বসেছে, তাই আজ পৃথিবীতে মুসলমানরা নির্যাতিত নিষ্পেষিত।
২৮ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৯:২১
203059
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : হ্যা! ভাই আমিও চাই আমার প্রতিটি কথা বাচাই-বাছাই করুন, কতটুকু সত্যি বলেছি আপনারাও জানুন। জানার মাধ্যমেই গোড়ামি দূর হয় কারণ সত্যকে অস্বীকার করা যায়না। আর আপনার কথাটি হাদিসেই এসেছে শেষ জামানায় মুসলিমদের মার খাওয়ার প্রধান কারণ হবে তারা মৃত্যুকে ঘৃণা করবে ও পৃথিবীর লালসায় মত্ত হয়ে পরবে।
২৮ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৯:৩৩
203070
আবু জান্নাত লিখেছেন : "জানার মাধ্যমেই গোড়ামি দূর হয়" এই কথার দ্বারা কি বুঝাতে চেয়েছেন আসলেই বুঝলাম না, একটু বুঝিয়ে বলুন প্লিজ। আপনার সাথে তো আমার কোন বিষয় নিয়ে গোড়ামি করা হইনি!
259182
২৮ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৯
ফেরারী মন লিখেছেন : নিজেকে টিকিয়ে রাখতে সবাই সবকিছু করতে পারে।
২৮ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৯:২৪
203063
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : যখন পারভেজ মোশাররফকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আপনি আফগান হামলায় আমেরিকাকে কেন সাহায্য করলেন? তিনি জবাব দিয়েছিলেন: আমি যদি আমেরিকাকে তখন সাহায্য না করতাম তবে ইন্ডিয়া আমেরিকাকে সামরিক সাহায্য দিত ফলে পাকিস্তান আর নিরাপদ থাকতোনা। কিন্তু নিজেকে বাঁচানোর জন্য আমরা লাখ লাখ নিরপরাধ মানুষ হত্যায় সাহায্য করব? আপনার কথা ঠিক।
259282
২৮ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:৪৩
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : আমি বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতে এই শিআরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের সাথে একত্রিত হয়ে যুদ্ধ করবে।
গুরুত্বপূর্ণ পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। জাযাকাল্লাহ খইর
৩০ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:৩৬
203543
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ভাই সিরিয়া ও ইরাকে কি সেটা হচ্ছেনা? বাশার ও মালিকি কি সুন্নীদের উপর কম হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন চালাচ্ছে? আর সালাহউদ্দিন আইয়ুবীকে প্রথমে এই শিয়াদের সাথেই যুদ্ধ করতে হয়েছে অতঃপর ক্রুশেডার। জাঝাক আল্লাহ ভাই। এখানে অধিকাংশ ব্লগারই একটি নির্দিষ্ট দলের সমর্থক যারা শিয়া ও বিশেষ করে ইরানকে ইসলামের পথপ্রদর্শক ভাবেন এমনকি হিজবুল্লাহ কে মুজাহিদ বলে বিশ্বাস করেন।
259778
৩০ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:৫১
বুড়া মিয়া লিখেছেন : এ ব্লগে বিভিন্ন আলোচনায় যা বুঝতেছি, মুসলমানরা নিজেরা নিজেরা মারামারি করে ভিন্ন-ভিন্ন মতাবলম্বী নিঃশেষ হয়ে একটা দল গঠন না হওয়া পর্যন্ত কোন উপায় নাই!

এ জন্যই মনে হয় মাহদী-ইসা(আঃ) যুগে মুসলিমদের একটা দলই হবে।
৩১ আগস্ট ২০১৪ রাত ০১:৩৮
203609
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : মুসলমান কারা শিয়ারা? সিরিয়াতে শিয়া আসাদ সুন্নী হত্যা শুরু করলে সেখানে যখন সুন্নীদের হাতে JAN,FSA, ISlamic front,Ahrar as Sham, ISIL গঠিত হল তখন শিয়া ইরান আসাদের সাহায্যার্থে তার সেনাবাহিনী পাঠিয়ে দিল এমনকি শিয়া হিজবুল্লাহকে ডেকে আনল। ইরাকে ISIS মালিকি সরকার ও ইরাকি শিয়া সেনাবাহিনীকে ধাওয়া করার সাথে সাথে ইরান ঘোষণা দিয়ে ইরাকে সৈন্য ঢুকিয়ে দিল। শিয়ারা মুসলিম আপনাকে কে বলল? যেখানে ইমাম ইবনু তাইমিয়া(রহঃ)এর মত হাম্বলি মাযহাবের এত বড় আলেম তাদের মুসলিম বলেননি(যাকে সারা আরব বিশ্ব ফলো করে),যেই সালাউদ্দীন আইউবী(রহঃ)শিয়াদের সাথে দীর্ঘদিন যুদ্ধ করে গেছেন সেখানে তাদের আমি মুসলিম বলে কেন বিশ্বাস করব? তারা ৪০ পারা কোরানে বিশ্বাস করে, আয়েশা(রাঃ)কে ব্যভিচারী বলে (নাউযুবিল্লাহ) অথচ কোরানে তার বিরুদ্ধে আনা ব্যাভিচারের অভোযোগ ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা সেটা বলে দেয়া হয়েছে। তারা আবুবকর, উমার, উসমান, খালিদ বিন ওয়ালিদ সহ বড় বড় সাহাবীদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে, তাদের বিরুদ্ধে নানান মিথ্যা অভিযোগ তোলে,ইসলামে হারাম মূতা বিয়েকে হালাল বলে এবং শিয়া সমাজে এর প্রচলন জারিও রেখেছে, এন্যাল সেক্সকে হালাল বলে অথচ রাসূল(সাঃ)এদের অভিশপ্ত বলেছেন, যারা বিশ্বাস করে সুন্নী হত্যায় সোয়াব।
যেই শিয়া আসাদ গত ৩ বছরের যুদ্ধে ৩,০০,০০০ সুন্নী হত্যা করেছে। যেই ইরান আফগান ও ইরাক যুদ্ধে আমেরিকাকে সুন্নী হত্যায় সাহায্য করেছে। যেই ইরাকের শিয়ারা আমেরিকার হাত থেকে ক্ষমতা নেয়ার পর গণহারে সুন্নী হত্যায় মেতে উঠেছিল, অগণিত সুন্নী নারীকে জেলখানায় বন্দী করে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছে যা আলজাজিরার মত চ্যানেলেও দেখানো হয়েছে। এত কিছুর পরেও কোন যুক্তিতে শিয়াদের চুমু খাব? ২জন কখনো সঠিক হয়না, সঠিক হয় তাদের মধ্যে যে কোন একজন। শিয়াদের দাবি সুন্নীরা কাফির আবার সুন্নীদের দাবি ওরা কাফির। তাহলে যদি ওরা মুসলমান হয় তবে অবশ্যই আমরা কাফির।
৩১ আগস্ট ২০১৪ রাত ০২:৪২
203636
বুড়া মিয়া লিখেছেন : সেটাইতো, মুসলমানের একটা দলই ঐ যুগে থাকবে - সেটা শিয়া নাকি সুন্নী নাকি অন্য কোন দল নাকি সব দলের একটা সংমিশ্রন, তা পরিস্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে না।

রাসূল(সাঃ) বলছেন ৭৩ টা দল হবে, এক দল মুক্তি পাবে,
আল্লাহ উপদেশ দিয়েছেন কোন বিভক্তির মধ্যে না যাইতে, এবং বিভক্তরা ধ্বংসপ্রাপ্ত;

সে দল কোনটা? ৭৩ দলের প্রত্যেক দলের যারা বিভক্তি পছন্দ করে না তারা? নাকি যে কোন এক দল?

আল্লাহর বাণী আর রাসূল(সাঃ) এর বাণী একসাথে রেখে হিসেব করলে তো মনে হয় – ৭৩ দলের প্রত্যেকের মধ্যে যারা বিভক্তি না চায়, তারাই সে দল! নইলে তো আল্লাহ এবং রাসূল(সাঃ) উভয়ের যে কোন একটা মিথ্যা হবে।

এটা আমার অভিমত, সত্য-মিথ্যা জানি না! ভিন্ন কোন মত থাকলে জানাবেন।
৩১ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৮
203906
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ভাই রাগ করবেননা আপনার কাছে ইসলাম ও তার ইতিহাস এবং হাদিসের ভবিষ্যতবাণীর আলোকে বর্তমান সময়ে কি কি ঘটবে? ইত্যাদি ব্যাপারগুলো সম্পূর্ণই অস্পষ্ট। যার জন্য আপনি ভাসা ভাসা ইসলামী জ্ঞানের ভিত্তিতে কথা বলছেন। অনুরোধ থাকবে ভাল কোন কওমী মাদ্রাসার আলেমের কাছে গিয়ে শিয়াইজম এর ব্যাপারে ভালভাবে জানবেন।৭৩ ফিরকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন! শিয়াদের জন্মদাতা আবদুল্লাহ ইবনে সাবা যে ছিল একজন ইহুদি। ইমাম ইবনু তাইমিয়া(রহঃ)এর মত প্রাচীন আলেম থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের সকল আলেমই একমত শিয়াইজম আলাদা একটি ধর্মবিশ্বাস, যা ইসলাম থেকে বিচ্ছিন্ন। ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো শিয়ারা মানেনা। শিয়াদের মধ্যে নানান মতবাদে বিশ্বাসী অনেকগুলো গোত্র আছে যাদের এক গোত্র আবার অন্য গোত্রকে কাফির বলে বিশ্বাস করে। কে সঠিক? শিয়া না সুন্নী? এমন প্রশ্নের কোন ভিত্তিই নেই। সালাহউদ্দিন আইয়ুবী (রহঃ)যিনি মুসলিমদের সংগঠিত করে খৃষ্টান ক্রুশেডারদের হাত থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস পুরুদ্ধার করেছিলেন তিনি ক্রুশেডারদের সাথে যুদ্ধের আগে দীর্ঘদিন শিয়াদের সাথে যুদ্ধ করেছেন। খারেজীরা ইসলামের আদেশ নিষেধ পালনে মারাত্নক সিরিয়াস। তাদের বিশ্বাস কেউ কবিরা গুনাহ করলেই সে কাফির। অথচ তাদের বিষয়ে হাদিসের বাণী কি শুনুন:-

মূসা ইবনে ইসমাইল (রঃ)..ইউসায়ের ইবনে আমর (রাঃ)হতে বর্ণিত।তিনি বলেন,আমি সাহল ইবনে হুনায়েফ(রাঃ) কে জিঙ্গাসা করলাম,আপনি নবী (সাঃ)কে খারেজীদের সম্পর্কে কিছু বলতে শুনেছেন কি?তিনি বললেন,আমি তাকে বলতে শুনেছি, আর তখন তিনি তার হাত ইরাকের দিকে বাড়িয়েছিলেন যে,সেখান থেকে এমন একটি কওম বের হবে যারা কুরআন পড়বে সত্য,কিন্তু তা তাদের গলদেশ অতিক্রম করবে না, তারা ইসলাম থেকে বেরিয়ে যাবে যেমন তীর শিকার ভেদ করে বেরিয়ে যায়। (বুখারী-৬৪৬৫) যেখানে ইসলামকে পরিপূর্ণভাবে মান্যকারী খারেজিরা কিছু বাড়াবাড়ির জন্য ইসলাম থেকে খারিজ সেখানে আপনি শিয়ারা সঠিক, না সুন্নী? এমন প্রশ্ন করছেন। আলেমদের আকছে কেন যেতে বলেছি জানেন?
সাঈদ ইবনে তালীদ (রঃ)...উরওয়া(রঃ)থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ)আমাদের এদিক দিয়ে হজ্জ্বে যাচ্ছিলেন।আমি শুনতে পেলাম,তিনি বলছেন যে,আমি নবী (সাঃ)কে বলতে শুনেছি,আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে যে ইলম দান করেছেন তা হটাৎ করে ছিনিয়ে নেবেন না বরং ইলমের বাহক উলামায়ে কিরামকে তাদের ইলেমসহ ক্রমশ তুলে নেবেন।তখন শুধুমাত্র মূর্খ লোকেরা অবশিষ্ঠ থাকবে। তাদের কাছে ফাতওয়া চাওয়া হবে।তারা মনগড়া ফাতওয়া দিবে।ফলে নিজেরাও পথভ্রষ্ঠ হবে,অন্যদেরকেও পথভ্রষ্ঠ করবে। (বুখারী:৬৮০৯) কাজেই আপনি আমি ইমাম ইবনু তাইমিয়া (রঃ)থেকে বেশি বুঝলে তো হবেনা।
কারা সঠিক দল জানতে চান?
উবায়দুল্লাহ ইবন মূসা (র)....মুগিরা ইবন শুবা(রাঃ)থেকে বর্ণিত। নবী(সাঃ)বলেছেন,আল্লাহর হুকুম অর্থাৎ কিয়ামত আসা পর্যন্ত আমার উম্মতের এক জামায়াত সর্বদাই বিজয়ী থাকবে। আর তারা হলেন(সেই দল যারা প্রতিপক্ষের উপর)প্রভাবশালী।(বুখারী:৬৮১৩)
ইসমাইল (রঃ)...মুআবিয়া ইবনে আবূ সুফিয়ান (রাঃ)থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন,আমি নবী(সাঃ)কে বলতে শুনেছি যে,আল্লাহ তায়ালা যার কল্যাণ চান,তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করেন।আমি তো(ইলমের)বন্টনকারী মাত্র;আল্লাহ তা প্রদান করে থাকেন। এ উম্মতের কর্মকান্ড কিয়ামত পর্যন্ত কিংবা বলেছিলেন,মহান আল্লাহ তায়ালার হুকুম আসা পর্যন্ত (সত্যের উপর)সুদৃঢ় থাকবে।(বুখারী:৬৮১৪)
কিন্তু কারা এসব লোক?
ইরবায বিন সারিয়া (রাঃ)হতে বর্ণিত। রাসূল (সাঃ)বলেন, আর আমার পর তোমাদের কেউ জীবিত থাকলে সে বহূ(ইসলামে)মতভেদ দেখতে পাবে। তখন আমার সুন্নাত এবং হেদায়াতপ্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নত অনুসরণ করা হবে তোমাদের অপরিহার্য কর্তব্য।এই সুন্নতকে খুব মজবুত করে দাঁত দিয়ে চেপে ধরবে। আর দ্বীনে নতুন উদ্ভাবিত বিষয়সমূহ থেকে বিরত থাকবে। কেননা, (দ্বীনে)প্রত্যেক নব উদ্ভাবিত জিনিসই হচ্ছে বিদ'আত।আর প্রত্যেক বিদ'আতই ভ্রষ্টতা। (তীরমিযী, নাসায়ী, আহমাদ, আবু দাউদ (আহমাদ, আবু দাউদ ৪৬০৭, তিরমিজি ২৮১৫, ইবনে মাজাহ, মিশকাত ১৬৫) )"
আনাস বিন মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ ইরানের ইস্পাহান শহরের সওর হাজার ইহুদী কাল চাদর পরিহিত অবস্থায় দাজ্জালের সাথী হবে "। (সহীহ মুসলিমঃ -কিতাবুল ফিতান ওয়া আশরাতিস্সায়া। বাব জিকর দাজ্জাল।)
হেদায়েতপ্রাপ্ত খলিফা কারা? আবুবকর, উমার, ওসমান, আলী (রাঃ)হলেন এই হেদায়েতপ্রাপ্ত ও পূর্ণাঙ্গ খলিফা। কারণ খেলাফত ব্যাবস্হা উচ্ছেদ করা হয় ১৯২৪ সালে সর্বশেষ খলিফা ছিলেন আবদুল মাজিদ। কিন্তু এটি মুসলিম বিশ্বের জন্য পূর্ণাঙ্গ ছিলনা অল্প কিছু এলাকাতেই তা কার্যকর ছিল। হাদিসের ভবিষ্যৎবাণী অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ খিলাফতের বয়স হবে ৩০ বছর। ৩০ বছরের মধ্যেই এ চারজন খলিফা এসেছেন। কাজেই যারা রাসূল (সাঃ) ও সাহাবাদের আদর্শ অনুসরণ করবে তারাই সঠিক দল। অথচ শিয়ারা তো প্রথম ৩ জনকে তাকফির করে, গালাগালি করে, তাদেরকে অবৈধ বলে এমনকি বাড়াবাড়ি করে তাদের জন্য জাহান্নামের দোয়াও করে। হাদিস মানে শুধুমাত্র রাসূল (সাঃ)এর কথা কাজ ও অনুমোদন না বরং সেই সাথে সাহাবীদের কাজ, কথা ও অনুমোদনও এর অন্তর্ভুক্ত। এজন্যই বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ ইত্যাদি হাদিস গ্রন্হে সাহাবীদের এসব কর্মকান্ডকেও হাদিস হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। আর শিয়ারা তো সাহাবীদের মুসলিমই মনে করেনা তাদের বিরুদ্ধে জঘন্য অভিযোগ তুলে।
আর দাজ্জালের অনুসারীরা তো ইরান থেকেই বের হবে।
আনাস বিন মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ ইরানের ইস্পাহান শহরের সওর হাজার ইহুদী কাল চাদর পরিহিত অবস্থায় দাজ্জালের সাথী হবে "। (সহীহ মুসলিমঃ -কিতাবুল ফিতান ওয়া আশরাতিস্সায়া। বাব জিকর দাজ্জাল।) কাজেই ব্যাপারগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখবেন সেটাই ভাল। আমার কথা যদি ব্যক্তিগত আক্রমণের পর্যায়ে চলে যায় আমি খুবই দুঃখিত। আপনাকে আঁঘাত দেয়ার কোন ইচ্ছা আমার নেই।
৩১ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৫
203915
বুড়া মিয়া লিখেছেন : বাইরে আলেমদের থেকে এখানেই ভালো, এখানে অনেক প্রশ্নের জিনিসও জানা যায়, উত্তর দেয়ার মতোও অনেককে পাওয়া যায়।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File