ক্ষমতায় কি মার্কিন সমর্থন ব্যাতীত থাকা সম্ভব?
লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ০৯ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৮:৪১:২২ রাত
ভারত,আমেরিকা আর সেনাবাহিনীর সমর্থনেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে আছে। মার্কিনিরা আফগান যুদ্ধে পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌছেছে। ওবামা অনেক আগ থেকেই চাইছেন আফগান থেকে মার্কিন বাহিনীকে প্রত্যাহার করে নিতে।অল্প কিছু মার্কিন সেনাসদস্য রাখতে চাইছে আফগান সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য। তবে ভারত প্রশাসন চাইছে আফগানে যে কোন মূল্যে মার্কিন ঘাটি ধরে রাখতে।তারা কখনো চায়না মার্কিন বাহিনী আফগান ছেড়ে চলে যাক। কারণ তালেবানরা ঘোষনা দিয়েছে, মার্কিন বাহিনী চলে গেলে তারা কাশ্মির,গুজরাট,মুজাফফরনগর,আহমেদাবাদ, বিহারসহ অন্যান্য যেসব অঞ্চলে দীর্ঘদিন যাবত লাখ লাখ মুসলিম গণহত্যা-ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন সেসব অঞ্চলের মুসলিমদের রক্ষার জন্য তারা ভারতের সাথে যুদ্ধে জড়াবে।ভারত ৫লাখ সৈন্য নিয়েও কাশ্মিরের সামান্য কিছু জঙ্গীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা সেখানে তালেবানরা যদি এসে ভারতে ঘাটি গাড়ে তখন তা ভারতের অখন্ডতার জন্য হবে মারাত্নক। আমেরিকাও চীনকে টেক্কা দেয়া এবং জঙ্গী দমনের জন্য ভারতকে বন্ধু হিসেবেই গ্রহণ করেছে। ভারতের ২প্রতিবেশি চীন ও পাকিস্তান ভারতের চরম শত্রু এবং তারা চায় ভারতকে টুকরো টুকরো করতে।ফলে ভারত নিজের স্বার্থেই মার্কিনিদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। ভারত জানে যদি আমেরিকান বাহিনী আফগান ছেড়ে চলে যায় এমন অবস্হায় যদি বাংলাদেশে বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় থাকে তখন তারা উভয় সংকটে পড়বে তারা তখন বাংলাদেশের কাছ থেকে কোন সহায়তা পাবেনা। ২শত্রু প্রতিবেশি দেশের বিদ্বেশী মনোভাবের জন্য তারা তখন বাংলাদেশ লাগোয়া ভারতের বিচ্ছিন্ন অঞ্চলগুলোর নিয়ন্ত্রণ ও অধিকার হারাতে পারে।তাই তারা কখনো চায়না আওয়ামী লীগ ব্যতীত অন্য কোন সরকার আসুক।যে কোন মূল্যে তারা আওয়ামীকে টিকিয়ে রাখবে।আর আমেরিকাও জোড়ালোভাবে ভারতের বিরোধীতা করবেনা কারণ: আমেরিকা বঙ্গোপসাগরে সামরিক ঘাটি স্হাপনের জন্য অনেকদিন যাবত চিন্তা করছে কিন্তু ভারতের সাহায্য ও সমর্থন ছাড়াও তা সহজ হবেনা কারণ বাঁধা হল, চীন। তাই তারা ভারতের কথার বাইরে যাবেনা।আর টিকফা চুক্তি মার্কিনীদের খুব প্রয়োজন ছিল যা সম্পাদিত হয়েছে ভারতের ইশারায়। যা প্রমাণ করে,বর্তমান সরকারের প্রতি মার্কিন সমর্থন অবশ্যই আছে। তবে ভারতের সাথে আমেরিকার মতপার্থক্যের কারণ আমেরিকা সারা পৃথিবীতে রাজনীতি করে। তাদের অভিজ্ঞতা বলে, এ অঞ্চলের স্হিতিশীলতার জন্য বিএনপি-জামাত বেস্ট।কারণ: সিরিয়ায় দেখা গেছে সর্বপ্রথম আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিল একদল সেকুলার। কিন্তু আসাদ সরকার তাদের উপর হত্যা-নির্যাতন শুরু করলে তারা অস্ত্র হাতে তুলে নেয়।যাদের প্রতি ইঙ্গ-মার্কিন সমর্থন ছিল কারণ তাদের লক্ষ্য ছিল, "আসাদ সরকারকে হটিয়ে নতুন সেকুলার সরকার প্রতিষ্ঠা করা।কিন্তু যুদ্ধ যখন ব্যাপক আকার ধারণ করে সুন্নী মুসলিমদের উপর গণহত্যা-ধর্ষণ শুরু হয় তখন "জাবহাত আন নূসরাহ" এর নেতৃত্বে ইসলামিস্টরা যুদ্ধ শুরু করে যাদের লক্ষ্য: সিরিয়া ও ইরাকের বড় অংশ নিয়ে খেলাফত ব্যাবস্হা কায়েম করা। সাম্প্রতিক সময়ে আসাদ শিবিরে যুদ্ধ নিয়ে হতাশা দেখা দিয়েছে তারা যুদ্ধের মনোবল হারিয়ে ফেলেছে। তাই আমেরিকাও বাংলাদেশে এমন আশঙ্কা করে যে, যদি লীগ ভারতের সহায়তায় ক্ষমতায় থাকে তবে ইসলামিস্টদের উপর ব্যাপক দমন-পীড়ন শুরু হবে ফলে এ অঞ্চলেও ইসলামিস্টরা যুদ্ধে জড়িয়ে যেতে পারে।ফলে গোটা উপমহাদেশ অস্হিতিশীল হয়ে পড়বে। কিন্তু ভারতের আপত্তির জন্য তারা আপাতত চুপ আছে। আর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমেরিকান কমান্ড ছাড়া একপা নড়েনা।কারণ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে দায়িত্বপালন স্বরূপ তারা মার্কিন কমান্ডের উপর নির্ভরশীল তাই মার্কিন বলয়ে থাকার জন্যই সেনাবাহিনী চুপ করে আছে।আবার বিগত কয়েকবছর শুদ্ধি অভিযানে কয়েকশত এ্যান্টি লীগ সিনিয়র আর্মি অফিসারদের চাকরি গেছে।তবে এটা সঠিক,নির্বাচন পরবর্তী গণহত্যায় তারা হয়ত অংশ নেবেনা। কারণ তাতে নিজেরা বিতর্কিত হয়ে পড়বে ফলে শান্তিরক্ষা মিশনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
বিষয়: বিবিধ
২০৮৭ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
একমত !!
http://www.bdtomorrow.org/blog/blogdetail/detail/4475/rouzameer007/33257#.Ut_4H9LxJkg
মন্তব্য করতে লগইন করুন