ব্লগার "শেষ বিকেলের" জঘন্য মন্তব্যের উত্তর।
লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৬:২৯:৫১ সন্ধ্যা
"০৩ ডিসেম্বর ২০১৩ রাত ০৯:২৫
শেষ বিকেলের লিখেছেন : ইসলাম আবার কি ধরনের ধর্ম? যে ধর্মের নবী বৃদ্ধ বয়সে ৭ বছরের বালিকার সাথে বিকৃত যৌনতা করেন।"
আমার উত্তর:
ব্লগার "শেষ বিকেলের" অভিযোগটি সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা। কারণ ৭ বছর মতান্তরে ৬ বছর বয়সে আয়েশা (রাঃ) এর পরিবারের কাছে নবী (সাঃ) এর সাথে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়। কিন্তু আয়েশা (রাঃ) রাসূল (সাঃ) এর ঘরে স্ত্রীর মর্যাদা নিয়ে প্রবেশ করেছিলেন ৯ বছর বয়সে যখন তিনি সাবালিকা ছিলেন। আর রাসূল (সাঃ) তখন বৃদ্ধ ছিলেননা। তিনি ৪০ বছর বয়সে নবী হন। মক্কায় ১৩ বছর অবস্হান করেন এবং হিজরতের ২/৩ বছর আগে আয়েশা (রাঃ)কে বিয়ে করেন। অর্থাৎ তিনি তখন মধ্যবয়স্ক ছিলেন, বৃদ্ধ না। রাসূল (সাঃ) তার কোন স্ত্রীকেই নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে করেননি। অনেকক্ষেত্রেই তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে এবং আল্লাহর নির্দেশেই তা কার্যকর হয়েছে আর কাউকে তিনি জোড় করে আটকেও রাখেননি। প্রমাণ হল, যখন কোরআনের এই আয়াত নাজিল হয়: "হে! নবী আপনি আপনার স্ত্রীদেরকে বলুন, তোমরা যদি পার্থিব জীবন ও তার বিলাসিতা কামনা কর, তবে এসো,আমি তোমাদের ভোগ-সামগ্রীর ব্যবস্হা করে দেই এবং সৌজন্যের সাথে তোমাদেরকে মুক্ত (বিবাহ বিচ্ছেদ) করে দেই। (আহযাব: ২৮)" ,তখন রাসূল (সাঃ) সর্বপ্রথম আয়েশা (রাঃ) এর নিকট যান এবং এ আয়াতটি বর্ণনা করেন। এবং তাকে বলেন, তুমি এ ব্যাপারে (যদি বিবাহ বিচ্ছেদ চাও) তোমার মা-বাবার সাথে আলোচনা করতে পার। আয়েশা (রাঃ) সাথে সাথেই উত্তর দিলেন," এই তুচ্ছ বিষয়ে আমাকে আমার পিতা-মাতার সাথে পরামর্শ করতে হবে? আামিতো আল্লাহ, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) ও পরকালের আবাসই কামনা করি।" (বুখারী-৪৮৮৪, ৯ম খন্ড)
আয়াত ও ঘটনা জানার পরে রাসূল (সাঃ) এর অন্যান্য স্ত্রীগণও আয়েশা (রাঃ) এর মত অনুভুতি ব্যক্ত করেন।
নাস্তিক ও উগ্র হিন্দুরা সর্বদা একটা কথা বলে, আয়েশা (রাঃ) বাদে ( যায়নাব বিনতে জাহাশ ছিলেন তালাকপ্রাপ্তা) রাসূল (সাঃ) এর সব স্ত্রী যেহেতু বিধবা ও অধিকাংশই বয়স্কা ছিলেন কাজেই মুহাম্মাদ (সাঃ) নিজ ঘনিষ্ঠ বন্ধু আবূ বকর (রাঃ)-এর কিশোরী মেয়ের উপর কুনজর দিয়েছিল। আয়েশার সুন্দর চেহারা তাকে পাগল করে দেয় তাই বিয়ের নামে ৯ বছরের কিশোরীকে ঘরে তুলে যৌন কামনা চরিতার্থ করাই ছিল তার আসল উদ্দেশ্য। (নাউযুবিল্লাহ)
# আমার উত্তর: নাস্তিক ও উগ্র হিন্দুদের কাছে একজন স্ত্রী মানে শুধুমাত্র একজন সেক্স পার্টনার ছাড়া আর কিছুই না। যাকে যেভাবে ইচ্ছা ভোগ করা যায়। তাদের পূর্বপুরুষ মার্কস, এঙ্গেলস, নিৎসে, দুরখেইম, ফ্রয়েড রা যেমন পরিবার প্রথার বিলোপের পক্ষে বলেছেন, পরিবারের বদলে মানব বংশবৃদ্ধির উপায় হিসেবে কমিউন কালচার চালুর পক্ষে বলেছেন, আজ ঠিক তাদের উত্তরাধিকারী বর্তমান নাস্তিকেরা যৌন স্বাধীনতা বা আবাধ যৌনতায় বিশ্বাস করেন, পরিবার প্রথার বিলোপের কথা বলেন। সমকাম, লিভ টুগেদারকে promote করেন। আবার নাস্তিকেরা বলেন, মোহরানা হল পতিতা ভাড়া করার ইসলামিক সিষ্টেম। (নাউযুবিল্লাহ) পতিতাকে যেমন যৌন চাহিদা পুরণের জন্য টাকা পরিশোধ করতে হয় তেমনি মুসলিম পুরুষরাও স্ত্রীকে তাদের দীর্ঘমেয়াদি যৌন চাহিদা পুরণের জন্য মোহরাণার অর্থ পরিশোধ করেন। (নাউযুবিল্লাহ) অথচ আমরা মুসলিমরা ভাল করেই জানি, একজন মুসলিম নারীর অনিশ্চিত ভবিষ্যতের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই মুসলিম স্বামীর উপর মোহরাণার অর্থ প্রদান করাকে আল্লাহ ফরজ করেছেন। যেন তার মৃত্যু বা আকস্মিক কোন বিপদে তার স্ত্রীকে অন্যের কাছে হাত পাততে না হয়। তার মানে এটা প্রমাণিত তারা নারী-পুরুষের সম্পর্ককে যৌনতা ছাড়া অন্য কিছুর ভিত্তিতে বিচার করেনা। অথচ আমরা কোরআন থেকে জানি, আল্লাহ নারী-পুরুষকে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন, স্বামী-স্ত্রী হল একে অন্যের পোশাক স্বরূপ, মুমিনের জন্য বিয়ে মানে তার ঈমানের অর্ধেক পুরণ হওয়া, মুমিন পুরুষকে চরিত্রবান হতে গেলে তার স্ত্রীর সার্টিফিকেট লাগবে আবার একজন মুমিন স্ত্রীর জান্নাত লাভের সহজ পথ মুমিন স্বামীর সন্তুষ্টি এবং মুমিন স্ত্রী- মুমিন স্বামীর বৈবাহিক সম্পর্ক জান্নাতেও অটুট থাকবে।
# আর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে যৌনতা বলবেন? কিভাবে? আমাদের আদি পিতা আদম (আঃ) এর সাথি হিসেবে আল্লাহ তায়ালা আমাদের মাতা হাওয়া (আঃ) কে সৃষ্টি করেছিলেন, আল্লাহ নিজেই তাদের বিয়ে দিয়েছিলেন এবং জান্নাতের একটা অংশে তারা দীর্ঘদিন অবস্হান করেছেন। আচ্ছা জান্নাতে থাকাকালীন সময়ে কি মানব ইতিহাসের প্রথম স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কোন যৌন সম্পর্ক ছিল?? নাহ! কোরান বলে, ছিলনা। পৃথিবীতে আসার পরই তাদের সেটা দরকার হয়েছে কারণ সন্তানের প্রয়োজনে। কাজেই ইসলামে স্বামী-স্ত্রী মানে সেক্স পার্টনার না। আবার স্বামী-স্ত্রীর যৌন ক্রিয়াতেও ইসলাম স্পষ্টভাবে হালাল-হারামের বিধান জানিয়ে দিয়েছে। যেমন: রাসূল (সাঃ) বলেন:-
ক. আল্লাহ ঐ ব্যক্তির প্রতি ফীরে তাকাবেন না, যে ব্যক্তি কোন নারী (স্ত্রী) বা পুরুষের মলদ্বারে মৈথুন করে। (তিরমিযী, ইবনে হিব্বান, নাসাঈ, সহীহুল জা’মে/৭৮০১)
খ. অভিশপ্ত ঐ ব্যক্তি যে লুতের কওমের মত কুকর্ম (সমকাম/ANAL SEX ) করে। (আহমাদ, সহীহুল জা’মে/৫৮৯১)
# হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসগুলিতে বর্ণনা করা হয়েছে, রাসূল (সাঃ) যৌন সম্পর্ক ছিল যে কোন ধরণের নোংরামি থেকে মুক্ত। মেশকাত শরীফে এসেছে আয়েশা (রাঃ) কখনো রাসূল ﷺ এর লজ্জাস্হান দেখেননি বরং যৌনকাজের সময় তাদের শরীর সাদা কাপড়ে ঢাকা থাকত ফলে কেউ কারো লজ্জাস্হান দেখতে পেতেননা। কাজেই বিকৃত যৌনাচারের অভিযোগ নিতান্তই নাস্তিকদের চরম বিকৃত রুচি ও নবী (সাঃ) বিদ্বেশি মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ মাত্র।
# নাস্তিকরা আয়েশা (রাঃ) এর ৯বছর বয়সের কথা বলে তার প্রতি মায়াকান্না দেখায়। তিনি নাবালিকা ছিলেন পরিস্হিতির শিকার ছিলেন ইত্যাদি জঘন্য কথাবার্তা বলে রাসূল (সাঃ) এর চরিত্র নিয়ে মিথ্যাচার করে। কারণ তাদের কাছে বিয়ের প্রথম ও প্রধান উদ্দেশ্য সেক্স পার্টনার অর্জন করা। যাকে মোহরাণা প্রদান করা লাগবে না, সে পুরুষের সমান তাই তাকেই অর্থ কামাই করে নিজের ভরণপোষনের দায়িত্ব পালন করতে হবে কারণ স্বামীর টাকা তার জন্য অসন্মানজনক। সে স্বামীর সাথে থাকবে শুধুমাত্র নিজ যৌন চাহিদার জন্য, এটাই নাস্তিক্য থিওরি।
#১৮ বছর বয়সে সাবালক-সাবালিকা হয় এমন ধারণা আমাদের মাঝে এসেছে ব্রিটিশ আইনের কারণে। একটা সময় পৃথিবীময় ছিল ব্রিটিশ শাসন আমরাও ছিলাম ব্রিটিশ কলোনি। সম্প্রতি ভারতে আলোচিত মেডিকেল ছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ১৭ বছরের তরুণ। তার বিচার হলে সাজা হবে মাত্র ৩ বছর কারণ সে শিশু!!!! আচ্ছা যেই ছেলে তার থেকে ৬ বছরের বড় একজন নারীকে ধর্ষণ করা শিখে গেছে সে কি নাবালক? সাধারণভাবে বললে ছেলে-মেয়েদের প্রাপ্ত বয়স্ক হবার বিষয়টা অনেকাংশে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের ভৌগলিক আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে, কোন আইনের উপর নির্ভর করেনা। আবার জেনেটিক্স এর ভাষাতেও যথার্থ ব্যাখ্যা আছে। বাংলাদেশ এর মত দেশগুলোতে ছেলে মেয়েরা প্রাপ্তবয়স্ক হয় ১১-১২ বছরের মাঝে। আবার প্রান্ত বয়ষ্ক হতে ইউরোপের শীত প্রধান এলাকাগুলোতেও কখনো ১৮ বছর লাগেনা। আরবের মরুভূমির গরম আবহাওয়ার জন্য সেখানে সাধারণত ৯, ১০,১১ বছরেই প্রাপ্তবয়স্ক হবার ব্যাপারটা ঘটে থাকে। উদাহরণস্বরূপ বুখারীর একটি হাদিস উল্লেখ করা যায়।
মুগিরা (রঃ) বলেন, আমি বারো বছর বয়সে সাবালক হয়েছি। আর মেয়েরা সাবালেগা হয় হায়িজ হলে। যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেন: তোমাদের যেসব মেয়েরা ঋতুস্রাবের ব্যাপারে নিরাশ হয়ে গেছে...সন্তান প্রসব করা পর্যন্ত (৬৫:৪) হাসান ইবনে সালিহ (রঃ)বলেন, আমাদের এক প্রতিবেশিনী কে একুশ বছর বয়সেই আমি নানি হতে দেখেছি। (বুখারী ৪র্থ খন্ড, হাদিস সংখ্যা:১৬৫৯, পেজ:৪০১, ইফাবা)
খৃষ্টান পাদ্রিদের মতে, যখন মারিয়াম (আঃ) এর গর্ভে ঈসা (আঃ) (জেসাস/যিশু) এর জন্ম হয় তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৩-১৫ বছরের মধ্যে বা কম, যা কিনা ঐতিহাসিক ভাবে সত্য। তাহলে কি খৃষ্টানদের ইশ্বর যিশুর মাও নাবালিকা ছিলেন? কাজেই রাসূল (সাঃ) কোন নাবালিকাকে ঘরে তোলেননি। আর আগেও বলেছি নাস্তিক বা উগ্র হিন্দুদের কাছে যেহেতু বিবাহিতা স্ত্রী মানে শুধুমাত্র সেক্স পার্টনার কাজেই তাদের মাথায় জঘন্য সব চিন্তার উদয় হবে সেটাই স্বাভাবিক।
তাহলে এবার আসুন আমরা হযরত আয়েশা (রাঃ) কে বিয়ের কারণগুলো ব্যাখ্যা করি।
# আয়েশা বিনতে আবূ বকর (রাঃ): হিজরতের পূর্বে মক্কায় অবস্হানের শেষ সময়ে রাসূল (সাঃ) তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু আবূ বকরের কণ্যা আয়েশা (রাঃ) কে বিয়ের প্রস্তাব দেন যখন তার বয়স ছিল ৭ মতান্তরে ৬। এই বিয়ের সিদ্ধান্ত স্বয়ং আল্লাহ জিবরাঈল (আঃ) এর মাধ্যমে প্রদান করেন তখন রাসূল (সাঃ) বললেন, যদি তা আল্লাহর পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে, তবে তা বাস্তবায়ন করুন। হযরত আয়েশা (রাঃ) মদিনায় হিজরতের পরে ৯ বছর বয়সে স্ত্রীর মর্যাদা নিয়ে রাসূল (সাঃ) এর গৃহে শিক্ষার উদ্দেশ্যে প্রবেশ করেন।
শিক্ষার উদ্দেশ্যে??? অবাক হচ্ছেন? আমরা ছোট বয়সে স্কুলে ভর্তি হই শিক্ষার উদ্দেশ্যে তারপর কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি। আবার অনেকে গবেষণা নির্ভর পড়ালেখা চালিয়ে যান পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। আয়েশা (রাঃ) ও রাসূলের গৃহে প্রবেশ করেছিলেন এই শিক্ষা অর্জনের জন্যই। তিনিই সেই আয়েশা (রাঃ) যিনি সাহাবীগণ (রাঃ), কোরানের প্রসিদ্ধ তাফসীরকারক, মুহাদ্দিস(হাদিস বিশেষজ্ঞ), ফকীহ( ইসলামী আইন বিশেষজ্ঞ) সহ ইসলামের বড় বড় আলেমদের শিক্ষক। রাসূল (সাঃ) যখন ইন্তেকাল করেন তখন তার বয়স ছিল ১৮ বছর। ফাতিমা (রাঃ) ছাড়া রাসূল (সাঃ)-এর কোন সন্তান জীবিত অবস্হায় ছিলেন না। হযরত ফাতিমা (রাঃ) নিজেও রাসূল (সাঃ)-এর ইন্তেকালের মাত্র ৬মাস পরেই ইন্তেকাল করেন। এ অবস্হায় নবী পরিবার হিসেবে ইসলামের প্রসার ও শিক্ষার দিক থেকে রাসূল (সাঃ) পরিবারের প্রতিনিধিত্ব গ্রহণ করেন হযরত আয়েশা (রাঃ) ও যয়নাব (রাঃ)। তিনি ছিলেন কোরানের হাফেজ এবং সর্বপ্রথম তিনিই কোরানের আয়াতসমূহ গণনা করেন এবং কোরআনের লিপিবদ্ধকরণেও তার ভূমিকা ছিল। সর্বাধিক হাদিস বর্ণনাকারী মুসলিমদের মধ্যে তার অবস্হান ছিল দ্বিতীয়। তিনি ২২১০ টি বিশুদ্ধ হাদিস বর্ণনা করেন যা ছিল আবূ হুরায়রা (রাঃ) (পাচ হাজারের অধিক) এর পরে সর্বাধিক। ইসলামি ফিকহ বা শরীয়তের এক-চতুর্থাংশ এসেছে সম্পূর্ণরূপে তার গবেষণা থেকে। আরব জাতীর প্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কে তার জানার পরিধি ছিল বিশাল এবং তিনি কথা বলতেন আরবের সবচেয়ে বিশুদ্ধতম ভাষায় এবং কবিতা চর্চাও করতেন। তৎকালীন সময়কার চিকিৎসা বিদ্যা সম্পর্কেও তার জ্ঞান ছিল। রাসূল (সাঃ) মৃত্যুর পর ৫৮ হিজরীতে নিজ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ইসলামি শিক্ষা প্রচার ও প্রসারে কাজ করে গেছেন। তার নিজস্ব একটি ইসলামী শিক্ষালয় ছিল যেখানে ছাত্রসংখ্যা ছিল প্রায় ২০০ । মুসলিম খলিফাদের দরবারে তিনি ফতোয়া প্রদান করতেন। সাহাবী ও তাবেয়িরা দ্বীনের ব্যাপারে কোন বিষয়ে সমস্যায় পতিত হলে সাথে সাথে ছুটে যেতেন তার কাছে সমাধানের আশায়। হ্যা! তিনিই সেই নারী যাকে ছাড়া তৎকালীন মুসলিম সমাজ কল্পনা করা অসম্ভব।
#ওহে! মুসলিম ভাই-বোনেরা এই মহিয়সী নারী কোথা থেকে এত জ্ঞান অর্জন করলেন?
উত্তর একটাই: তার শিক্ষক ও নারী-পুরুষ গোটা মানবজাতির শিক্ষক মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর কাছ থেকেই এই জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। নবী (সাঃ)-এর গৃহেই তিনি তার শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করেছেন আর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মুসলিম সমাজে সেই শিক্ষা বিস্তারেই জীবন ব্যায় করেছেন।
#যার বিয়ে হয়েছে ছোটকালে সে কিভাবে এত গুরত্বপূর্ণ হয়ে উঠল? কার হাত ছিল?
উত্তর: ফেরেশতারা যখন মানবসৃষ্টি নিয়ে আল্লাহর সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেছিলেন তখন আল্লাহ তাদের বলেছিলেন, হে! ফেরেশতারা আমি যা জানি তোমরা তা জান না। সবজান্তা আল্লাহই এই নারীকে সৃষ্টি করেছিলেন, তিনিই রাসূল (সাঃ) এর সাথে তাকে সরাসরি সিদ্ধান্তের দ্বারা বিয়ে দিয়েছিলেন। কারণ আল্লাহ তায়ালা জানতেন, তিনি আয়েশা (রাঃ) কে ভবিষ্যতে কোন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন, যা কিনা রাসূল (সাঃ) ও হয়ত জানতেন না। তাই তিনি জিবরাইল (আঃ) কে বলেছিলেন, "আমার সাথে আয়েশার বিয়ের সিদ্ধান্ত যদি আল্লাহর হয়ে থাকে তবে বাস্তবায়ন করুন (আমার নিজস্ব কোন মতামত নেই)।" কাজেই নাস্তিকদের এলোমেলো কথায় বিভ্রান্ত হবেন না।
বিষয়: বিবিধ
২৯২৪ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বিগত ১৪শত বছর থেকে এই ধারা অব্যাহত আছে। কিন্তু যে সম্মান আর শ্রদ্ধা মা আয়শাকে মহান আল্রাহ দিয়েছেন - তার সাথে কালিম লেপন যারা ই করতে চেয়েছে তারা সবাই ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।
আপনাকে ধন্যবাদ।
তারা কখনই সঠিক পথ পাবে না ।
ধন্যবাদ ভাইয়া ।
আপনি সুন্দর উত্তর দিয়েছেন। তবে এরা মৃত-এদের হৃদয়ে কোনো ভাব নেই, সুন্দর জিনিস এদের চোখে লাগে না, অনুভবে শুধুই নোংরামি, তাই এরা শোধরাবে না।
অনেক ধন্যবাদ পোষ্টটির জন্য।
নাস্তিকদের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিয়েছেন। পড়ে অনেক বেশি ভাল লাগল এবং অনেক প্রশ্নের উত্তরও জেনে নিলাম।
ইনভাইট পাওয়ার বহুদিন পর পড়ে নিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন