হে! আমাদের প্রতিপালক তুমি আমাদিগকে কাফিরদের পীড়নের পাত্র করিও না। (রিপোস্ট। মাহবুব রহমান ভাই এর মন্তব্য ও উত্তর সহ)

লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ১৯ আগস্ট, ২০১৩, ০১:৪৬:১৩ দুপুর

সেদিন রাতে CNN নিউজ চ্যানেল দেখছিলাম। ব্রাদারহুডের এক বোন কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন শত শত লাশের সারিতে নিজের আপনজনের লাশ খুঁজে চলেছেন। CNN সাংবাদিক এক ব্রাদারহুড সমর্থক যুবকের সামনে মাইক উচিয়ে ধরলেন তার অনুভূতি জানার জন্য। যুবকের উত্তর, "আমরা শুধুমাত্র আল্লাহর উপরই নির্ভর করি, তার উপরই আস্হা রাখি। আমার ভাই গুলিতে মারা গিয়েছে আমার কোন কষ্ট নেই কারণ আমার ভাই শহীদ হয়েছে। আমি গর্ব অনুভব করি আমি শহীদের ভাই।" পাশে স্বজনহারানো এক বৃদ্ধ কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন তিনিও কান্নাজড়ানো কন্ঠে বলছেন, হ্যা ওরা শহীদ হয়েছে, ওরা শহীদ হয়েছে। আল্লাহু আকবার।

অথচ কিছুক্ষণ পর সাংবাদিক যখন ঘটনাস্হলে আসা মুরসীবিরোধী জোটের এক রাজনৈতিক কর্মীর কাছে ব্রাদারহুডের উপর চলা গণহত্যার ব্যাপারে তার অনুভূতি জানতে চাইলেন তখন সেই যুবকের উত্তর: মিডিয়ায় ব্যাপারটি জানার পর ঘটনাটা নিজের চোখে দেখতে আসলাম কারণ অনেকেই বলছে মিডিয়া মিথ্যাই বেশি প্রচার করছে।

সাংবাদিকের প্রশ্ন: আচ্ছা বুঝলাম মিডিয়া বাড়াবাড়ি করছে কিন্তু আপনি চাক্ষুস সাক্ষি হিসেবে কি দেখেছেন?

যুবকের উত্তর: ব্রাদারহুড তো রীতিমত সন্ত্রাসি কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছে। তারা সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে। তারা আইনশৃংক্ষলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর আক্রমণ করছে।

সাংবাদিক: আপনি কি নিশ্চিত আপনি যা বলছেন তা সঠিক?

যুবক: অবশ্যই! আমি নিজে দেখেছি ব্রাদারহুডের যুবকেরা হাতে অস্ত্র নিয়ে উচু দালানগুলোর জানালা দিয়ে পুলিশ ও আর্মিকে লক্ষ করে গুলি করছে। আমি নিজের চোখে দেখেছি (উচুগলায়)।

কিছুদিন আগে বাংলাদেশের শাপলা চত্ত্বরেও ঠিক একইরকম ঘটনা ঘটিয়েছিল আমাদের পুলিশ ও আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। সেখানেও এভাবে গণহত্যা চলেছিল অথচ সেক্যুলার মিডিয়া আর সেক্যুলার সরকার ও সমর্থকেরা একজন মানুষও মরেনি তা দাবি করলেও পরে ১১ বা তার কিছু বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর স্বীকার করে নেয়। কিছুদিন আগে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ: "তিনি ৫ মে_ রাতের অভিযান নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করেছেন। সেদিন রাতে কোন গণহত্যা হয়নি অথচ তিনি ভুয়া কিছু ব্যক্তির নাম, পরিচয় জোগাড় করেছেন।" সরকারের পক্ষ থেকে নিহতদের তালিকা চেয়ে অধিকারকে চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে অধিকার সরকারকে তালিকা দিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে। আজ তিনি রিমান্ডে।

সরকারের উচিত আমাকেও গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া কারণ আমিও সাক্ষি সেদিন আমার এক বন্ধুর দুলাভাইও পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছিলেন। দিনের বেলায় পুলিশের গুলিতে আহত আমার অন্য এক বন্ধুকে সেদিন আমরা কয়েকবন্ধু মিলে নিয়ে এসেছিলাম।

কিন্তু সেদিনকার জন্য যদি আমি আহমেদ শফি ও হেফাজতের কিছু নেতাকে দায়ি করি তবে কি সেটা আমার অপরাধ হবে?? আহমেদ শফি সাহেবের একটি লেটেস্ট ভিডিও সাক্ষাৎকার ইউটিউবে সম্প্রতি ছাড়া হয়েছে হয়ত অনেকেই দেখেছেন। তিনি সেটাতে বলেছেন, " তিন মাস ধরে যদি শাহবাগ রাস্তা আটকে অবস্হান করতে পারে তবে আল্লাহর বান্দারা একটা রাত কেন শাপলা চত্ত্বরে অবস্হান করতে পারবেনা? রাতটা থাকতে দিতেন আমি সকালে গিয়ে তাদের একবার বলে দিতাম: যাও এখন তোমরা ঘরে ফীরে যাও, পরিবারের কাছে ফীরে যাও। সবাই চলে যেত কিন্তু তার আগেই আপনারা নবীপ্রেমীদের উপর গুলি চালালেন।"

এবার যদি আমি প্রশ্ন করি: আপনি সেদিনই কেন সমাবেশে গিয়ে বললেননা যে, যাও তোমরা ফীরে যাও?? আপনি সেদিন সারাটা দিন কেন সমাবেশ স্হলের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখলেন? যদি সেদিনি সেখানে গিয়ে বলে দিতেন, তোমরা এবার যাও তবে কি এতগুলো মানুষ মরত? জানি সমর্থকেরা বলবেন, "তাকে পুলিশ আসতে দেয়নি তিনি আসতে চেয়েছিলেন।" হ্যা! মানি কিন্তু সেদিন "আমারদেশ" পত্রিকায় দেখলাম তিনি কর্মীদের সাথে ভয়েস কনফারেন্স এর মাধ্যমে মিটিং করছেন। আমার প্রশ্ন: আজ তিনি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যাবহার করছেন কিন্তু সেদিনকি একটা মোবাইল কল করে তিনি যোগাযোগ করতে পারতেননা? ধর্মীয় আবেগে আসা লাখ লাখ মানুষগুলোকে তিনি কার কথায় রাস্তায় বসিয়ে দিলেন?? সেদিন আমরা দেখেছি লাখ লাখ মানুষ কিন্তু সেখানে ছিলনা কোন নেতৃত্ব দেয়ার মত নেতা কিন্তু কেন? আহমেদ শফি সাহেব ৫মে_ ঢাকা অবরোধ কর্মসূচীর আগে ঢাকার বাইরে বড় এক সমাবেশে বলেছিলেন, "৫মে দেশে কি হতে চলেছে তিনি নিজেও জানেন না" যা তখন সবকটি পত্রিকায় বড়সর আকারে ছাপা হয়েছিল। তিনি এত লাখ লাখ মানুষকে আন্দোলনে এনেছেন তাদের প্রতি তার দায়িত্ব নেই? তিনি তার লেটেস্ট ভিডিওতে বলেছেন, "আবারো প্রস্তুত হতে হবে আবারো শহীদ হওয়ার আশায় ঘর ছাড়তে হবে।" আমি রাজি না। (যদিও আমি তাদের আগের সব আন্দোলনে সক্রিয় ছিলাম) যদি সত্যি সত্যি ইসলামের জন্য মরতে হত তবে সেটা নিয়ে কোন কথা থাকত না কিন্তু যারা মরেছে তারা কি শুধুমাত্র ইসলামকে ভালবাসে এই দোষে মরেছে? নাহ! তাদেরকে নিয়ে রাজনীতি হয়েছে। বিএনপি-জামাতের কথায় তাদের সেদিন রাস্তায় বসিয়ে দেয়া হয়েছে আর আওয়ামী লীগ তাদের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দীকে ভীত করতে এসব নিরীহ মানুষের উপর গণহত্যা চালিয়েছে। এটাই সত্যি। তাই আমিও জানি এই মৃত্যুতে ইসলামের কোন উপকার নেই বরং ক্ষতি। তাতে কিছু খাঁটি মুমিনের সংখ্যা কমে কিন্তু অত্যাচারীদের কিছুই হয়না বরং তাদের অত্যাচারের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ_তে যারা শহীদ হন তাদের অসহায় পরিবারের দায়িত্ব এসে পড়ে মুমিনদের উপর কিন্তু হেফাজতের পক্ষে কি সেই ভয়াবহ রাতে শহীদ হওয়া সেসব ব্যক্তিদের পরিবারগুলোর দায়িত্ব নেয়া সম্ভব?

শিবিরের ভাইদের কিছু কথা বলতে চাই। ভাই আমি জানি ঈমান কি জিনিস? আমি জানি একজন মুসলিমের মাথায় যখন এই চিন্তাটা চিরস্হায়ীভাবে গেঁথে যায়: "সব কিছুই আল্লাহর হাতে, সব কিছুই তার ইশারায় হয়, তিনিই জীবন-মৃত্যুর মালিক" তখন একজন মুমিনের কাছে জীবন-মৃত্যু সমান হয়ে দাড়ায়। কারণ সে জানে, জীবন অথবা মৃত্যু তার একমাত্র অভিভাবক আল্লাহ। বরং মুমিনের জন্য তো মৃত্যুর পরের জীবন আনন্দদায়ক অন্যদিকে পৃথিবী অত্যাচারময়। তাই তার বুকে ধেয়ে আসা বন্দুকের বুলেট তার ভয় না বরং ঈমান আরো বাড়িয়ে দেয়। তাই ইসলামী আন্দোলনের কর্মী, হোক সে শিবির, শাসনতন্ত্র বা তাহরির মৃত্যুর পরোয়া কেউ করেনা। একই আদর্শের প্রতি বিশ্বাসের কারণে আপনারাও নিজের জীবন প্রতিটাদিন পুলিশের গুলিতে বিসর্জন দিচ্ছেন( আল্লাহ আপনাদের মাফ করুন এবং শহীদ হিসেবে কবুল করুন) কিন্তু তা কি সত্যিকার অর্থেই ইসলামের কাজে আসছে?? আপনারা আপনাদের নেতাদের মুক্তির জন্য জীবন দিচ্ছেন। আমি নিজেও মানি আপনাদের নেতাদের অনেকের সাথেই বিচারের নামে তামাশা হচ্ছে কিন্তু তবু কোথাও কিছু কথা থেকে যায়। জামায়াত প্রতিষ্ঠাতা জনাব আবুল আলা মওদুদী তার নিজের জীবনের শুরুতেই এটা বলতেন, গণতন্ত্র ইসলামে হারাম কেননা তা কুফরিতন্ত্র। কারণ গণতন্ত্র= আল্লাহর আইন না বরং জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। অথচ একপর্যায়ে তার মাথা থেকেই আমরা পেয়েছি: গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ইসলাম মিশ্রিত নতুন মতবাদ গণতান্ত্রিক ইসলামী রাজনৈতিক দল। যাকে ইউরোপিয়ানরা বলে, "মডারেট ইসলামিক মুভমেন্ট ।" অথচ ইসলাম বলেছিল খেলাফত ভিত্তিক রাষ্ঠ্রের কথা। মুসলিমদের মাঝে আবার ইসলামিক পার্টি? সেটা কি আমরা আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ) ও তার হেদায়াতপ্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদীনের প্রচারিত ইসলামের মাঝে খুঁজে পাই? অথবা কোরআনের কোন আয়াতটির উপর ভিত্তি একটা গণতান্ত্রিক ইসলামিক পার্টি বানানো যায়? কাজেই মূল ইসলাম থেকে সরে এসে এমন মতবাদ তৈরী ছিল আপনাদের প্রথম বড় ধরণের ভুল। আর এর দায়ভারও গিয়ে পড়ে আপনাদের দল ও নেতাদের উপর কারণ তারা এসব মেনে নিয়েছেন। পাকিস্তান হবার সময়ে আপনারা বিরোধীতা করেছেন কারণ অখন্ড ভারত আপনাদের দলের জন্য ছিল প্লাস পয়েন্ট। আমি মানি আজ যুদ্ধাপরাধের নামে সাইদির মত একজন বড় মাপের আলেমকেও চরমভাবে অপমান করা হয়েছে যা স্বংয় কাদের সিদ্দিকী নিজেও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে আপনাদের অবস্হান যাই হোক এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই সে যুদ্ধে পাকিস্তান আর্মির দ্বারা এদেশের নিরস্ত্র মানুষের উপর ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যা, ধর্ষন ও ধ্বংসাত্নক কার্যকলাপ ঘটেছে। ঘরহারা, স্বজনহারা মানুষগুলি মুসলমানই ছিল। ভেবে দেখুন তারা দিনের পর দিন নিজের স্বজন হত্যা, ধর্ষন ও সম্পদ লুটপাটের জন্য আল্লাহর দরবারে বিচার দিয়েছে, অভিশাপ দিয়েছে আল্লাহ কি তাদের সেসব ফরিয়াদ ফীরিয়ে দিবেন?? তাই আপনারা যদি তাতে জড়িত নাও থাকেন কিন্তু সে যুদ্ধে পাকিস্হানের সমর্থক হিসেবে পাকিস্তান আর্মির কুকর্মের দায়ভার, নিরীহ মানুষের অভিশাপ কি আপনাদের দলের নেতৃত্বের গায়ে, বড় নেতাদের গায়ে একটুও লাগবে না? ইসলামী দল হিসেবে তার প্রধান লক্ষ সর্বদাই থাকে স্হির। অথচ আমরা দেখেছি জামায়াতকে আওয়ামী লীগের মত সেক্যুলার দলের সাথে এক জোটে। ইসলামে কি জাতীয়তাবাদ এর কোন স্হান আছে? অথচ জামায়াতের বিশ্বাসে আজ সে তত্ত্বও কাজ করছে। নারী নেতৃত্ব কি ইসলামে নিষিদ্ধ না? অথচ কেন জামায়াত সেটা মেনে নিল? আমরা দেখেছি জামায়াতের কট্টর বিরোধী কওমী গ্রুপ যেমন চরমোনাই, খেলাফত আন্দোলন এর মত ইসলামপন্হিরাও বাহ্যিকভাবে জামায়াতের আদর্শের বিরোধীতা করলেও খোদ তারাই জামায়াতের মডারেট ইসলামিক মুভমেন্টের আদর্শ কে মেনে নিয়েই তারাও একাধিক ইসলামিক রাজনৈতিক দলের জন্ম দিয়েছে। ফলে মুসলিমরা ভাগ হয়েছে শতগুণে। আর নিজেদের মাঝে এই বিভক্তির সুযোগে জন্ম নিয়েছে মাজার পুজা, পীর পুজার মত শিরকী শ্রেণী। কাজেই মডারেট ইসলামিক মতবাদের পথপ্রদর্শক হিসেবে আজকের যে বিভক্তি এই দায়ও কি জামায়াতের না? কারণ এটাই তো চেয়েছিল পশ্চিমারা। ১৯২৪ সালে পশ্চিমারা তুরষ্কে ফেলাফত ব্যাবস্হার পতন ঘটায় আর মুসলিমদের বাধ্য করে গণতন্ত্র ও সেক্যুলারিজম কে মেনে নিতে কারণ তাদের মূল টার্গেট ছিল মুসলিমদের ভেতরেই বিভিন্ন দল-উপদল সৃষ্টি করা যেন তারা আর খেলাফত ব্যাবস্হায় কখনোই ফীরে যেতে না পারে। আর এসব দেখভালের জন্য সৌদি আরবে বসানো হল সৌদ রাজপরিবারকে। আর সৌদ রাজপরিবার আজ পর্যন্ত তাদের হুকুম তামিলে ব্যাস্ত। খেলাফতকে দমিয়ে রাখতে তাদের ইচ্ছায় চলা মডারেট ইসলামিক দলগুলোর সমর্থন অন্যদিকে নিজ সিংহাসন টিকিয়ে রাখতে পশ্চিমাদের মুসলিমদের রক্ত নিয়ে হোলি খেলার সুযোগ দান। কারণ খেলাফত মানে বিশ্বময় মুসলিম ভ্রাতৃত্ব,ইসলামী শক্তির পুনঃজাগরণ আর পশ্চিমাদের বিশ্বময় কর্তৃত্বের পতন। ভাই এজন্যই আপনাদের একটার পর একটা নতুন তত্ত্ব উদ্ভাবণ, অন্যের দোষ নিজের কাধে নেয়া, ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোকে পাশ কাটিয়ে ক্ষমতা লাভের জন্য কুফরের সাথে আপোষ করা ও অনেক বিষয়কেই জায়েজ করার জন্য ইসলামিক রূপ দেয়ার প্রচেষ্টা ইত্যাদি ভুল গুলো একসাথে জড়ো হতে হতে অনেক বড় হয়ে উঠেছে আর দলের পরিচালনাকারী বা নেতা হওয়ার জন্য এসমস্ত দায়ভার গিয়ে পড়েছে আপনাদের নেতাদের উপর। তাই আজ তাদের উপর যেসব অত্যাচার হচ্ছে তা যতটা না তাদের ইসলাম প্রীতির জন্য তার থেকেও বেশি সত্য তারা যেসব বড় বড় ভুলের জন্ম দিয়েছেন তার প্রতিদানস্বরূপ আজ তারা শাস্তি ভোগ করছেন।

কওমী আলেম ভাইদের প্রতি আমার কিছু কথা আছে। ইদানিং দেখছি বেশ কিছু কওমী নির্ভর ইসলামিক মাসিক পত্রিকা এবং কওমীপন্হী ভাইয়েরা ডাঃ জাকির নায়ের কে খুব বিকৃতভাবে উপস্হাপন করছেন। তার বিরুদ্ধে এমন সব অভিযোগ তুলছেন যার সপক্ষে সত্যিকার অর্থে বাস্তবভিত্তিক কোন প্রমাণ নেই। আবার যেসব কওমী আলেম তার পক্ষে সাফাই গাইছেন অবাক করা বিষয় হল, তারাও এসব অভিযোগ অন্যের কাছ থেকে শুনেই সত্যি বলে প্রচারে নেমেছেন নিজেদের কাছে কোন প্রমাণ নেই। সম্প্রতি একটি বহূল প্রচারিত কওমী মাসিক পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে জঘন্য কিছু অভিযোগ প্রমাণ করতে যেসব ওয়েবসাইটের ঠিকানা দেয়া হয়েছে অবাক করার মত সত্যি হল সেসব ওয়েবসাইটগুলো ইয়াহুদীরা চালায়। তার বিরুদ্ধে সবথেকে বড় যেই অভিযোগ তা হল, তিনি ডাক্তার কোন মাদ্রাসায় পড়া আলেম নন। কাজেই তিনি কেন ইসলাম নিয়ে কথা বলবেন? ভাই আল্লাহর রাসূল (সাঃ)_এর সাথে মক্কা বিজয়ের সময় ১০,০০০ সাহাবি ছিলেন অথচ মদিনাতে বা মক্কাতে খুব কম সংক্ষক সাহাবীর কবর পাওয়া যায় কারণ কি? কারণ তারা অর্জিত জ্ঞান নিয়ে মদিনায় বসে বসে জ্ঞান জাহির করেননি বরং ইসলাম প্রচারে সারা পৃথিবী ছড়িয়ে পরেছিলেন। খৃষ্টানদের মাঝে একটি বিশেষ শ্রেণী আছে যাদেরকে বলা হয়, পাদ্রি, পোপ বা নান। আবার হিন্দুদের মাঝেও এই বিশেষ ধর্মীয় শ্রেণীকে বলা হয়, পুরোহিত। শুধুমাত্র তারাই ধর্ম নিয়ে কথা বলতে পারবেন, তারাই ধর্মের ব্যাখ্যা দিবেন। সাধারণ কোন খৃষ্টান বা হিন্দুর ধর্ম নিয়ে কথা বলার কোন অধিকার নেই, ব্যাখ্যা দেয়ার অধিকার নেই। কওমী ভাইয়েরা আপনারাও কি ঠিক তাদের মত ইসলামেও এমন ধর্মীয় শ্রেণী তৈরী করতে চান?? আপনারাও কি এটা চান যে, শুধুমাত্র আপনারাই ইসলাম নিয়ে কথা বলবেন? রাসূল (সাঃ) কি বিদায় হজ্জ্বের ভাষনে বলেননি, তার আদর্শকে, ইসলামকে কুক্ষিগত করে না রেখে সাধারণের মাঝে ছড়িয়ে দিতে? একজন মানুষ কখনোই ভুলের উর্দ্ধে নন। ডাঃ জাকিরের সব কথা আমার আপনার মতের সাথে মিলবে সেটা প্রত্যাশা করাও ঠিক না। কিন্তু মাজহাব সম্পর্কিত কিছু মতের অমিল, মাসআলা সম্পর্কিত কিছু মতের অমিলের জন্য আমরা একজন মুসলিমকে ভন্ড প্রমাণ করার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করব? মাজহাব সম্পর্কিত বিষয়গুলোর পার্থক্যের কারণ তো সাহাবিদের আমলের মাঝেও বিভিন্ন বিষয়ে অমিল ছিল কিন্তু তাই বলে কি কেউ কাউকে কটাক্ষ করেছেন? ক্ষতিটা কার করছেন? একজন কাফির আপনার বুকে গুলি করার সময় দেখবে আপনি মুসলিম কিনা। সে এটা যাচাই করতে যাবেনা আপনি হানাফি, শাফেয়ী নাকি জাকির পন্হী নাকি সালাফি।

আল্লামা শফি সাহেবের কিছুদিন পূর্বের একটা ১০মিনিটের ইউটিউব ভিডিও এর কথা অবশ্যই আপনারা ভুলে যাননি। আমি জানি একটা ওয়াজ মাহফিল চলে দীর্ঘ সময় ৬ঘন্টা, ৭ঘন্টা ইত্যাদি। তাই এত দীর্ঘ একটা বক্তব্য থেকে কাটছাট করে ১০ মিনিট বানিয়ে কিছু বিতর্কিত কথা-বার্তাকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যাবহার করাকে আমি হীনকাজ ছাড়া কিছু মনে করিনা। কিন্তু তার মত একজন দায়িত্বশীল ব্যাক্তির কাছ থেকে এমন বক্তব্য কি হতাশাজনক নয়? মিশরের দিকে কি একটু তাকাবেন না?? সেখান থেকে কি আমাদের কিছু শেখার নেই? সেখানে আন্দোলনে ভাইয়েরা কি একাই ছিল? নাহ! বোনেরাও সমানভাবে ছিল। ইসলামের জন্য আমাদের ভাইয়েরা গুলি খেয়ে মরেছে, আগুনে পুড়েছে ঠিক তেমনি আমাদের অগণিত বোনেরাও শহীদ হয়েছে। ব্রাদারহুডের ভাইয়েরা ইচ্ছা করলে পরিবার ফেলে বা নারীকে ঘরে রেখে আন্দোলনে আসতে পারতেন কিন্তু পরিবারকে সাথে নিয়েই চলে তারা এসেছেন। কারণ কোরানের বর্ণনামতে, জিহাদের ময়দানে শয়তান মুমিন পুরুষের চোখের সামনে তুলে ধরে তার ফেলে আসা স্ত্রী-কণ্যা, পরিবারের চিত্র । ফলে মুমিনের মনে পিছুটান চলে আসে। দুনিয়ার প্রতি আসক্তি তার মনে প্রবল হতে শুরু করে এবং সে বাঁচতে চায় এবং ঘরে ফীরে যেতে চায় নিজ প্রেমময় স্ত্রী, কণ্যা ও পুত্রের কাছে। তার মাঝে ঈমানী শক্তি হ্রাস পায়। এজন্যই হয়ত ব্রাদারহুডের ভাইয়েরা বোনদের মাঝেও ইসলামের জ্ঞানকে সমানভাবে বন্টন করেছেন। ফলে পরিবারের নারীরাও আজ সে আদর্শে উজ্জিবীত। ঘর বাড়ি ছেড়ে বাবা, স্বামী, ভাইদের পাশে এসে তাদের আরও উৎসাহিত করতে পেরেছেন পিছুটান হয়ে থাকেননি। বোনেরা তাবু থেকে তাবুতে ঘুরে ঘুরে বোনেদের ইসলামের দাওয়াত দিয়েছেন। আর ভাইয়েরা রাজপথ কাপিয়ে আল্লাহর মহিমা ঘোষনা করেছেন। কিছুদিন যাবত রাবেয়া স্কয়ার যেন হয়ে উঠেছিল ১৪০০ বছর আগের একটুকরা মদিনা। সাহাবীদের দিক কি একটু তাকাবেন না? রাসূল (সাঃ) মৃত্যুর পর তো আমরা দেখেছি নারী-পুরুষ উভয়েই নিজেদের সর্ব্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে দ্বীনের জ্ঞান অন্যের কাছে পৌছে দিয়েছেন। দূরবর্তী জিহাদের অভিযানেও তো আমরা দেখেছি পুরুষেরা নিজেদের স্ত্রী-কণ্যা, পরিবার সাথে করে নিয়ে জিহাদে অংশগ্রহণ করেছেন। আজ মুনাফিক, নাস্তিক, মুশরিক নর-নারী এক হয়ে গোটা মুসলিম জাতির বিরুদ্ধে, কোরানের বিরুদ্ধে লড়ছে সেখানে আমরা কেন এমন ভাবব যে, বোনেরা ৪-৫ ক্লাস পর্যন্ত পড়বে বাচ্চাকাচ্চা পালবে ব্যাস আর কিছু দরকার নেই। আমরা কেন আমাদের বোনদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলব না? কেন আমরা তাদের মাঝে সমান ভাবে জ্ঞান বন্টন করব না? " ইসলাম নারীর অধিকার হরণ করেছে" এমন মিথ্যার জবাব কেন আমরা বোনদের দিয়ে দেয়াবো না? বোনদের যদি পশ্চাদপদ করে রাখি তবে আমরা কি সত্যি বেশি দূর এগোতে পারব?

*আজকে আপনার বোনের কোন অসুখ হলে চিকিৎসার জন্য আপনি খুঁজবেন কোন নারী ডাক্তার আছে কিনা। *তাকে পড়াতে চাইলে দেখবেন পৃথক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পর্যাক্ত নারী শিক্ষক আছেন কিনা। আবার কর্মক্ষেত্রে তার নিরাপত্তার অভাব আপনার কাছে বেশি প্রাধান্য পায় তাই আপনি তাকে কর্মক্ষেত্রে ছাড়তে চাইবেননা। কারণ নারীর জন্য পরিবেশটাই এমন মুনাফিক পুরুষ ফাঁদ পেতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, অফিস সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে এমনভাবে বসে আছে সুযোগ পেলেই সে আপনার আমার বোনের কাপড় ধরে টানাটানি করবে। কিন্তু ভাবেন তো আপনি যদি তাকে ক্লাস ৪-৫ পর্যন্ত পড়িয়ে ঘরে বসিয়ে রাখেন আমি কি আমার বোনের চিকিৎসার জন্য কোন নারী ডাক্তার খুঁজে পাব? আমি যে তাকে শিক্ষিত করবো আমি কি নারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই পর্যাক্ত নারী শিক্ষিকা পাব? কাজেই আমরা কেন বোনদের দিয়েই অন্য বোনদের সহায়তার জন্য তাদের সামনে এগিয়ে আনবো না? মাথা ব্যাথা করে বলে মাথা কেটে ফেলা সমাধান না। বোনেদের শিক্ষার জন্য, কাজের জন্য পৃথক ক্ষেত্র সৃষ্টির আন্দোলন চালিয়ে যাওয়াই আমাদের দায়িত্ব।

গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র বা আমাদের বানানো মতবাদ বা গোয়াড় চিন্তাধারা কখনোই আমাদের এক করতে পারবেনা। কিন্তু এটা চিরসত্য নিজেদের বিবাদ না মিটাতে পারলেও পৃথিবীময় আমাদের উপর কাফির, মুনাফিক আর সেক্যুলারদের নির্যাতন, নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষন কোনটাই থেমে থাকবে না। আজকে আমি কিবোর্ডে লিখছি কালকে আমিই হয়ত বা জেলে বা আহত দেহে হাসপাতালে অথবা ক্ষত-বিক্ষত দেহে কবরে থাকব। সবচেয়ে বাস্তব উদাহরণ আজ মিশর। কিন্তু মতভেদ থাকলেও আপনার প্রতি অত্যাচারে আমার চোখেই পানি আসবে কোন মুনাফিক, সেক্যুলার বা নাস্তিকের চোখে- মুখে আপনি বিভংস হাসি ছাড়া আর কিছু দেখতে পাবেন না। তাই সবার প্রতি অনুরোধ ফীরে আসেন ইসলাম ১৪০০ বছর আগে যেটা রেখে গেছে সেটাকেই আকড়ে ধরুন। খেলাফত ব্যাবস্হাই একমাত্র মুসলিমদের এক করতে পারে তবে তা হতে হবে বিশ্বময়। দলবাজি ভুলে যান। প্লিজ একটাই প্লাটফর্ম তৈরী করুন। আমাদের পরিচয় যেন জামায়াত, হেফাজত,ইসলামী আন্দোলন, মাজহাবী, লা-মাজহাবী এমনকি বিএনপি-আওয়ামী লীগ না হয়। পরিচয় যেন একটাই হয় "মুসলিম"। আমাদের সম্পর্ক একটাই আমরা ভাই আর একজন মুমিন নারী আমাদের বোন। এটা নিছক কোন লেখা না এটা পরিবর্তনের ডাক যদি না আসেন তবে এই হাদিসটা সর্বদা মনে রাখবেন,

"আর আমার {নবী (সাঃ)} পর তোমাদের কেউ জীবিত থাকলে সে বহূ (ইসলামে) মতভেদ দেখতে পাবে। তখন আমার সুন্নাত এবং হেদায়াতপ্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নত অনুসরণ করা হবে তোমাদের অপরিহার্য কর্তব্য। এই সুন্নতকে খুব মজবুত করে দাঁত দিয়ে চেপে ধরবে। আর দ্বীনে নতুন উদ্ভাবিত বিষয়সমূহ থেকে বিরত থাকবে। কেননা, (দ্বীনে)প্রত্যেক নব উদ্ভাবিত জিনিসই হচ্ছে বিদ'আত। আর প্রত্যেক বিদ'আতই ভ্রষ্টতা। (তীরমিযী, নাসায়ী, আহমাদ, আবু দাউদ)"

কোন সন্দেহ নেই এটাই রাসূল (সাঃ) প্রতিশ্রুত কেয়ামত পূর্ব সময় যখন মুসলিমরা পৃথিবীময় গণহত্যা, নির্যাতন ইত্যাদির শিকার হবেন। তাদের মধ্যকার ভেদাভেদ কাফিরদের মন থেকে মুসলিমদের প্রতি ভয়-ভীতি দূর করে দিবে। আমরা আজ অনেক হতাশ বুঝতে পারছিনা কেন এতকিছুর পরেও আল্লাহর সাহায্য আসছেনা। আজ কোরানের ১৮ নাম্বার সূরা "কাহফ" পড়বেন যেখানে কয়েকজন মুমিন যুবকের ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে যারা গোটা জাতির ভয়কে উপেক্ষা করে ঈমান এনেছিল। অত্যাচারী শাসক ও জাতি তাদেরকে পাথর মেরে হত্যা করবে সেই ভয়ে তারা গুহায় পালিয়ে গিয়েছিল আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়েছিল আল্লাহ কি তাদের রক্ষা করেননি? আসুন কোরান দিয়েই খুঁজে বের করার চেষ্টা করি আমরা কোথায় আটকে আছি? কোথায় সমস্যা? সমাধান কি? আল ইমরান: ১০৩-১০৫, শুরা: ১৩-১৪, ইয়াছিন: ২১-২২, হাজ্জ: ৭৮, কাসাস:৭০, কাসাস: ৮৮, আনকাবুত: ২, মুমতাহিনা: ১-২ (সর্বাধিক গুরত্বপূর্ণ আয়াত), মুমতাহিনা: ১৩, মুমতাহিনা: ৮-৯, আহযাব: ১-৩, ফাতির: ১৬-১৭, হা-মিম-আস-সাজদা: ৩০-৩২, আহকাফ: ৩৫, মুহাম্মদ: ২২, মুহাম্মদ: ৩৫, সাফফ: ৮.. কিছু আশার বাণী আম্বিয়া: ৩৭, মুজাদালাহ: ২১, সূরা নুর: ৫৫-৫৭

আমার লেখাটা উৎসর্গ করলাম মিশরের শহীদ ভাই-বোনদের প্রতি। আজকে জুমার দিন আসুন তাদের জন্য ও নিজেদের জন্য দোয়া করি। " হে! আমাদের প্রতিপালক তুমি আমাদিগকে কাফিরদের পীড়নের পাত্র করিও না। হে আমাদের প্রতিপালক তুমি আমাদিগকে ক্ষমা কর; তুমি তো পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (মুমতাহিনা:৫)"

(১৭ আগস্ট ২০১৩ দুপুর ০২:৫৩

মাহবুব রহমান লিখেছেন : অনেক সুন্দর লেখা, তবে প্রথম অংশের কিছু কথার সাথে একমত হতে পারিনি,আহমেদ শফি সাহেবের রাজনৈতিক দুরদর্শীতার অভাব ছিলো, বর্তমানের নোংরা রাজনীতির সাথে তিনি পরিচিত নয়। নিংসন্দেহে তিনি অনেক গুনী ও শ্রদ্ধাভাজন ব্যাক্তি, তাঁর কিছু দোষ আছে তবে সেগুলোকে বাদ দিয়ে যদি ভাল দিক গুলো বিবেচনা করি তাহলে অবশ্যই তিনিযোগ্য ব্যাক্তি, তাছাড়া মনে রাখতে হবে উনার বয়স হয়েছে.

৫ মে যারা শহীদ হয়েছে এবং প্রতিদিন বিভিন্নভাবে যারা শহীদ হচ্ছেন আপনি তাদের নিয়ে সন্দেহে আছেন তারা আদৌ শহীদ কিনা. শহীদ তাদের ই বলা যায় যারা আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য মারাযায় ও যাদের মনে শহীদ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা থাকে. দল বা সংগঠনের দোষ থাকতে পারে তবে লক্ষ্য উদ্দেশ্য কি সেদিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন যে মারাগেছেন তাঁকে শহীদ বলা যায় কিনা. ৫ মে যাই ঘটুক যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিলো আল্লাহর দ্বীনকে হেফাজত করা.

ইসলামী আন্দোলন বলতে যা বোঝায় সে হিসেবে জামায়াত সঠিক পথেই অগ্রসর হচ্ছে.

"হে! আমােদর পতিপালক তুিম আমািদগকে কািফরদের পীড়নের পাত্র করিওনা। হে আমাদের পতিপালক তুমি আমাদিগকে ক্ষমা কর, তুমি তো পরাক্রমশালী প্রঞাময় (মুমতািহনা:৫)"

ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : "প্রথম অংশের কিছু কথার সাথে একমত হতে পারিনি, আহমেদ শফি সাহেবের রাজনৈতিক দুরদর্শীতার অভাব ছিলো, বতমানের নোংরা রাজনীতির সাথে তিনি পরিচিত নয়। নিংসন্দেহে তিনি অনেক গুনী ও শ্রদ্ধাভাজন ব্যাক্তি, তাঁর কিছু দোষ আছে তবে সেগুলোকে বাদ দিয়ে যদি ভাল দিক গুলো বিবেচনা করি তাহলে অবশ্যই তিনিযোগ্য ব্যাক্তি, তাছাড়া মনে রাখতে হবে উনার বয়স হয়েছে."

একমত।

"৫ মে যারা শহীদ হয়েছে এবং প্রতিদিন বিভিন্নভাবে যারা শহীদ হচ্ছেন আপনি তাদের নিয়ে সন্দেহে আছেন তারা আদৌ শহীদ কিনা. শহীদ তাদের ই বলা যায় যারা আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য মারাযায় ও যাদের মনে শহীদ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা থাকে. দল বা সংগঠনের দোষ থাকতে পারে তবে লক্ষ্য উদ্দেশ্য কি সেদিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন যে মারাগেছেন তাঁকে শহীদ বলা যায় কিনা. ৫ মে যাই ঘটুক যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিলো আল্লাহর দ্বীনকে হেফাজত করা." আমিও একমত।

তবে আপনার শেষ কথার সাথে চরমভাবে ভিন্নমত পোষন করছি। আমি লেখা বড় করতে চাইনি তাই শুধুমাত্র কোরানের আয়াতগুলোর ক্রমিক নাম্বারগুলো উল্লেখ করেছি। অনুরোধ করব আয়াতগুলো পড়বেন। আমাদের মাঝে যেই মতভেদ এর প্রধান কারণ আমরা মডারেট ইসলাম বা মূল ইসলামকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছি। গণতন্ত্র বলে নানা মত-পথের কথা। সহজভাবে ভিন্ন ভিন্ন মতের, পথের বা দলের কথা আর জনগণের যে মত বা দল পছন্দ সে দলকে ক্ষমতার উৎস হিসেবে তাকে ভোটের দ্বারা ক্ষমতায় আনা। অথচ ইসলাম বলে কোরান-হাদিসের বাইরে কোন ব্যক্তিগত পথ বা আদর্শ সৃষ্টি করার কোন সুযোগ নেই। আপনি ইজমা কিয়াস এর কথা বলবেন? সেটিও কোরান-হাদিসের বাইরে পরেনা। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে আপনি কিভাবে আলাদা আলাদা ১০টা মুসলিম পলিটিক্যাল পার্টি তৈরী করেন?? আপনি কি মুসলিমদের ১০ টা ভাগে ভাগ করছেননা? কারণ একেকজন মুসলিম একেকটা মুসলিম পার্টিকে সমর্থন করছে। তার মানে আপনি মুসলিম ভ্রাতৃত্বকে কি অস্বিকার করছেননা? আলী (রাঃ) এর সময় খারেজিরা আলাদা মতবাদের সূচনা করেছিল তাই আলী (রাঃ) তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করে তাদের কঠোরহাতে দমন করেছিলেন।

১০৩. আর তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে ধারণ কর এবং বিভক্ত হয়ো না। আর তোমরা তোমাদের উপর আল্লাহর নিয়ামতকে স্মরণ কর, যখন তোমরা পরস্পরে শত্রু ছিলে। তারপর আল্লাহ তোমাদের অন্তরে ভালবাসার সঞ্চার করেছেন। অতঃপর তাঁর অনুগ্রহে তোমরা ভাই-ভাই হয়ে গেল। আর তোমরা ছিলে আগুনের গর্তের কিনারায়, অতঃপর তিনি তোমাদেরকে তা থেকে রক্ষা করেছেন। এভাবেই আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ বিবৃত করেন, যাতে তোমরা হিদায়াতপ্রাপ্ত হও।

১০৪. আর যেন তোমাদের মধ্য থেকে এমন একটি দল হয়, যারা কল্যাণের প্রতি আহ্বান করবে, ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবে। আর তারাই সফলকাম।

১০৫. আর তোমরা তাদের মত হয়ো না, যারা বিভক্ত হয়েছে এবং মতবিরোধ করেছে তাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শনসমূহ আসার পর। আর তাদের জন্যই রয়েছে কঠোর আযাব।( আল ইমরান)

সেটাই কি মডারেট মুসলিম পার্টিগুলো দ্বারা সংগঠিত হচ্ছেনা? সাহাবা, তাবেয়ী, তাবে-তাবীনদের সময়ে কি কোথাও পলিটিক্যাল পার্টির অস্তিত্ব ছিল?হ্যা ইসলামে নির্বাচন আছে কিন্তু সেটা কি কোন আইনপ্রণেতা নির্বাচনের জন্য? নাহ! খলিফা নির্বাচনের জন্য। খেলাফত ছাড়া মুসলিমদের মাঝে ঐক্যমত সম্ভব কখনোই না। আর খেলাফতকে ঠেকানোর জন্যই পশ্চিমারা মডারেট মুসলিম পার্টিগুলোকে সমর্থন দেয় যেন খোদ মডারেট মুসলিম পার্টিগুলোই না বুঝে খেলাফত নিয়ে না ভাবে। আবার আরব রাজারাও এই মডারেট মুসলিম পার্টি গুলোকে অর্থ দিয়ে, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান দিয়ে টিকিয়ে রাখে যেন তাদের রাজতন্ত্র নিয়ে মুসলিমরা কথা না বলতে পারে। আবার আরব রাজা, পশ্চিমাদের বিপক্ষে গেলেই আবার সব শেষ। আপনি যতই গণতন্ত্রের কথা বলেন, গণতান্ত্রিক মুসলিম পলিটিক্যাল পার্টি তৈরী করেন কিন্তু যেহেতু আপনি তাদের না মেনে ইসলামের মাঝে সমাধান খুঁজতে চান তাই আপনাকে তারা ক্ষমতা থেকে নামাবেই উদাহরণ তো মিশরের ব্রাদারহুড। ভাই গণতন্ত্র দিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠা সম্ভব না আন-নাহদা ক্ষমতায় এসে পারেনি। তুরষ্কে জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি নিজেই উল্টা সাধারণ রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। আর ব্রাদারহুড মডারেট মুসলিম দলগুলোর মাঝে সর্বোচ্চ পরিমাণ নির্যাতন শিকার করার পরে রাষ্ঠ্রিয় ক্ষমতায় এসেও আমেরিকা, ইসরাইল, সৌদি আরব আর মিশরের সেক্যুলারদের যৌথ প্রচেষ্টায় ব্যার্থ হয়েছে। আজ ২ তৃতীয়াংশ সিটের জোড়ে বাংলাদেশে জামাত নিষিদ্ধ হয়ে যায় কালকে যে এই সিটের জোড়ে সংসদে কোরান ব্যান করার আইন হবেনা তার গ্যারান্টি কি? ভাই মদিনায় কি মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল? নাহ! সংখ্যালঘু ছিল তারা। তাই ৯০ ভাগ মানুষ মুসলমান বলেই আপনি তাদের ভোটে ক্ষমতায় এসে ইসলাম কায়েম করবেন সে চিন্তা কি যৌক্তিক? ইসলামের জন্য আন্দোলন করছেন কিন্তু আল্লাহর সাহায্য কেন আমরা পাইনা? কারণ লক্ষ্য তো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। নিবন্ধিত মুসলিম রাজনৈতিক দলগুলো সবাই চায় ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে নিজ নিজ বানানো ইসলামী মতবাদ প্রতিষ্ঠা। এবার বলেন আল্লাহ কেন সাহায্য করবে? আল্লাহ তো বলেছেন, খেলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করতে যদি সেটা করতাম সাহায্য অবশ্যই পেতাম।

১৯ আগস্ট ২০১৩ সকাল ১০:২১

মাহবুব রহমান লিখেছেন : @ ঘুম ভাঙাতে চাই: সর্ব প্রথম আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এতোটা সময় নিয়ে দীর্ঘ জবাব দেয়ার জন্য।

আপনি যে যুক্তি ও রেফারেন্স দিয়েছেন তার যথার্থ জবাব দেয়ার মতো ঙ্গান আমার নাই তাই আমি এখানেই ক্ষান্ত হলাম। তবে আমি মনে করি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটের আলোকে খেলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করার সময় এখনো আসেনি. যেখানে নেতা কর্মীদের ত্বাকওয়ার ঘাটতি আছে সেখানে খেলাফত বাস্তবায়ন করবেন কাদের দিয়ে?

১৯ আগস্ট ২০১৩ দুপুর ০১:১১

ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আপনার প্রশ্ন: "যেখানে নেতা কর্মীদের ত্বাকওয়ার ঘাটতি আছে সেখানে খেলাফত বাস্তবায়ন করবেন কাদের দিয়ে?"

উত্তর: সাহাবীদের সময় রাসূল (সাঃ) যখন জীবিত ছিলেন তখনও আমরা দেখেছি সাহাবীদের কেউ কেউ বড় ধরণের গুনাহ করে ফেলেছেন আবার পরক্ষণেই অনুতপ্ত হয়ে নবী (সাঃ) কাছে গিয়ে সত্যি বলে দিয়েছেন। গোনাহ মাফের জন্য আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করেছেন। এসব অপরাধের মধ্যে ছিল ব্যাভিচার, কোন গ্রহণযোগ্য কারণ না থাকার পরও জিহাদে যেতে অস্বিকৃতি জ্ঞাপন করা(অথচ আগের জিহাদে আরো কঠিন পরিস্হিতিতেও তারা অংশগ্রহণ করেছিলেন), না জেনে হযরত আয়েশা (রাঃ) এর বিরুদ্ধে ব্যাভিচারের মিথ্যা অভিযোগ আরোপ করা ও মুসলিম সমাজে সেটা প্রচার করা। অথচ তাদের মাঝে অনেকেই প্রথম সারির ত্যাগী সাহাবী ছিলেন।

কাজেই ভাই আপনার কথার সাথে আমি একমত না। আপনি মানুষকে কখনোই ফেরেশতাদের মত মাসুম বা গোনাহমুক্ত করতে পারবেননা। কারণ আমরা মানুষ ভুল করবই। কিন্তু আপনি যখন কাজে নামবেন বাঁধা পাবেন, নির্যাতিত হবেন তখন আস্তে আস্তে আল্লাহর উপর আপনার নির্ভরতা বাড়বেই থাকবে, ভুল কমে আসবে, আপনার মনে পাপের প্রতি দিন দিন ঘৃণা বাড়তে থাকবে। আপনি সবাইকে পরিপূর্ণ ত্বাকওয়ার অধিকারী করতে পারবেননা। আবার আপনি যদি সবাইকে পরিপূর্ণ ত্বাকওয়ার অধিকারী করে তবেই মাঠে নামবেন সেটা কামনা করেন তাহলে তো একমাত্র তাবলীগ জামাত ই সঠিক কাজটিই করছে, সঠিক কথাই বলছে। আমাদের তো উচিত ইসলামি আন্দোলন ছেড়ে দিয়ে তাবলীগ জামাতে যোগদান করা। ৩চিল্লা, ৪চিল্লা আর ইহকাল ত্যাগ করে পরকাল নিয়ে ভাবাই ভাল তাহলে একটা সুবিধাও আছে তাবলীগের লোককে তো আর পিটানি খেতে হয়না। জীবনটাও বেঁচে যাবে তাহলে। মিশরে ব্রাদারহুড মরছে আবার বাংলাদেশেই বিভিন্ন মসজিদে গিয়ে দেখুন কোন এক কোণায় এক মিশরীয় তাবলিগে বয়ান দিয়ে বেড়াচ্ছেন তার অন্যকিছু নিয়ে ভাবার টাইম নেই।

আপনার যুক্তি: তবে আমি মনে করি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটের আলোকে খেলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করার সময় এখনো আসেনি।

আমার যুক্তি: এটাই সঠিক সময় খেলাফত নিয়ে ভাবার। কারণ গণতান্ত্রিক ইসলামী রাজনীতি আমাদের বিভক্ত করেছে, মূল ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে এনেছে, আমরা চাইছি এক হতে কিন্তু পারছিনা এই সুযোগে আমাদের উপর আগের যে কোন সময়ের চাইতে অত্যাচার বৃদ্ধি পেয়েছে। আর আপনি কেন শুধু বাংলাদেশ নিয়ে ভাবছেন? ভাই মুসলিমদের পতাকা ছিল একটাই কালো পতাকা। যা কিনা কেয়ামত পূর্ব সময়ের আল্লাহ কর্তৃক প্রতিশ্রিত খলিফা আল মাহদি (আঃ)(যাকে শিয়ারা ইমাম মাহদি বলে) এর পতাকা হবে যার নীচে সমগ্র বিশ্বের মুসলিমরা এক হবে। ভাই মুসলিমদের ১০০ টা আলাদা আলাদা দেশ থাকতে পারেনা, ১০০ টা আলাদা পতাকা থাকতে পারেনা, ১০০ টা জাতীয়তা থাকতে পারেনা। সিলেটে রাজা গৌরগবিন্দ গো হত্যার দায়ে এক মুসলিমের ২হাত কেটেছিল, ছোট্ট সন্তানকে হত্যা করেছিল খবর জেনে সেই প্রাচীন সময়ে শাহ জালাল হাজার মাইল পথ অতিক্রম করে জিহাদে এসেছিলেন সিলেটে। অথচ দেখেন যখন মায়ানমারে মুসলিমদের উপর গণহত্যা চলছিল সারা পৃথিবীর মিডিয়া তা প্রচার করছিল। ২৫০০০ বা তারও বেশি মুসলিম হত্যা, ৫০০০ হাজার মুসলিম নারী ধর্ষণ হয়েছে তখন বাংলাদেশের সেনাবাহিনী মুসলিম হবার পরেও চুপচাপ বসেছিল। কারণ তারা মুসলিম সেনাবাহিনী না তারা বাংলাদেশী সেনাবাহিনী তাদের শ্লোগান, "বাংলার জমিন রাখিব মুক্ত" বাংলার বাইরে কি হল তা তাদের দেখার বিষয় না। মুসলিম অঞ্চলে মুসলিমদের জন্য কোন সীমারেখা বা বর্ডার থাকতে পারেনা, আলাদা আলাদা পাসপোর্ট থাকতে পারেনা। আসলে এসব পশ্চিমাদের বানানো রীতি আমাদের ভাগ করার জন্য। আর আমরা যদি শুধুমাত্র বাংলাদেশে খেলাফত কায়েমের চেষ্টা করে সফলও হই সেটাও টিকে থাকতে দিবেনা আমেরিকা, ভারত, সৌদি বাদশাহেরা। গণতান্ত্রিক উপায়ে ইসলাম কায়েমে সবাই ব্যার্থ। তিউনিসিয়ার আন-নাহদা, মিশরের ব্রাদারহুড, তুরষ্কের জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি। আর উপমহাদেশের জামায়াত। ভুলে যাবেননা গণতন্ত্র তত্ত্ব এসেছে পশ্চিমা নাস্তিকদের মাথা থেকে এবং তা ধর্মের সাথে বিরোধের জের ধরেই। আর আপনি কেন ভাবছেন আমরা বললাম খেলাফতের কথা আর সেটা কায়েম হয়ে যাবে? ফেলাফতের পূর্বশর্ত মুসলিম জনগণ সেটা চাইবে নিজেদের জন্য অন্যসব মতবাদকে প্রত্যাক্ষান করে। আল্লাহ কারো উপর কোন কিছু চাপিয়ে দেননা যদিনা তারা সেটা মন থেকে কামনা করে। কাজেই মুসলিম জনতাকে খেলাফত সম্পর্কে কে বোঝাবে? যারা ইসলামী আন্দোলনের সাথে জড়িত তারাই। কিন্তু আমরা জনগণকে কি শিখাচ্ছি? আমরা গণতান্ত্রিক ইসলামিক পার্টি বানাচ্ছি জনগণকে বোঝাচ্ছি ইসলামও এই গণতন্ত্রের কথাই ১৪০০ বছর আগে বলেছে এটাই আসলে ইসলাম। একটু চিন্তা করেন আমরা ইসলামের কথা বলে কি তাদের ধোঁকা দিচ্ছিনা? আমাদের জন্য আল্লাহর সাহায্য আসা উচিত? ঠিক এজন্যই ইসলামিক পার্টিগুলোর মাঝে ঐক্যমত দরকার কিন্তু সবাই যদি নিজ নিজ দলীয় পার্টি বা দলীয় মতবাদ নিয়ে বসে থাকে তবে সেটা সম্ভব না। সবাই যদি নিজ মতবাদ ছুড়ে ফেলে ফেলাফতকেই মতবাদ হিসেবে গ্রহণ করে তবেই ঐক্যমত সম্ভব। আজ ইসলামিক পার্টিগুলো জনগণের কাছে যেতে পারেনা, সমর্থন পায়না কারণ একজন মুসলিমের কাছে যদি ১০ টা ইসলামিক পার্টি ১০ ভাবে ইসলামকে উপস্হাপন করে তবে সে মুসলিম তো বিভ্রান্ত হবেই।)

বিষয়: বিবিধ

২৫৭১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File