তেতুলের উপাখ্যান ও ফেসবুকের একজন নারীর প্রশ্নের জবাব।

লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ১৯ জুলাই, ২০১৩, ১২:১৪:১২ দুপুর

"অনেক কষ্ট করে শফি সাহেবের ‘ওয়াজের’ কিছুটা শুনলাম। জানতে অনেক ইচ্ছে করছে যারা মনপ্রান দিয়ে হেফাজত কে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছেন (বিশেষ করে এদের মধ্যে যারা মেয়ে) তারা কি উনার বক্তব্য একটুও শুনেছেন? তাদের কাছে কিছু উত্তর জানতে চাচ্ছি।

১। মেয়েরা বাইরে কেন যাবে? তাদের কাজ ঘরে বসে স্বামীর 'আসবাব পত্রের' হেফাজত করা, 'ছেলে সন্তান' দের লালন পালন করা। সত্যিই কি আমার হেফাজতী ভাই-বোনেরা এই বক্তব্যের সাথে একমত?

২। শফি 'হুজুরের' প্রশ্নঃ আপনার মেয়ে সন্তান কে কেন গার্মেন্টসে দিয়েছেন? সকাল ৬ টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ‘জেনা’ করে টাকা রোজগার করে মেয়েগুলো! এই ৬-১২ খাটনির সুবাদে মেয়েগুলোর পুরো পরিবারই শুধু চলে না, বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার ৭৬% উপার্জন হয় এটা কি উনি ভেবে দেখেছেন? আপনাদের শফি হুজুর হয়তো এটুক জানার বা বোঝার যোগ্যতা রাখে না কিন্তু যারা চোখ বন্ধ করে হেফাজত/জামাতের তজবী গুনছেন তারা কি এই সামান্য হিসাবটা বোঝার চেষ্টা করেছেন?

৩। বাবাদের কাছে শফি সাহেবের প্রশ্নঃ টাকা পয়সা খরচ করে মেয়েদের স্কুল/কলেজ/ভার্সেটি তে পড়ানোর কি দরকার, একদিন বিয়ে করে অন্যের ঘরে চলে যাবে। ‘স্বামীর টাকা পয়সার হিসেব রাখার জন্য ক্লাস ৪-৫ পর্যন্ত পড়াই যথেষ্ট!’ ভার্সেটি পড়ুয়া মেয়েদের কাছে আমার জানতে ইচ্ছা করে, তারা কি এই মতের সাথেও একমত? যারা হেফাজতের হাত ধরে দেশ থেকে ‘কু-সংস্কৃতি’ দূর করতে চান, তারা এই বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন?

৪। ‘মেয়েরা হচ্ছে তেতুলের মত’-তাই আমাদের দেখে ছেলেদের মুখ থেকে লালা বের হবে এটা খুবই নাকি স্বাভাবিক। আমার পরিচিত অনেক মেয়েদের মধ্যেই দেখেছি নারীদের চকলেটের সাথে তুলনা করা সিনারিওটা ব্যাপক গ্রহনযোগ্যতা পায়। সেই মুদি দোকানের মোড়ক ঢাকা চকলেট হতে মেয়েদের যখন এতটাই উৎসাহ তখন আর শফি সাহেব আমাদের তেতুলের সাথে তুলনা করে কীইবা এমন অন্যায় করেছেন? লজ্জা লাগে ভাবতে, আমাদেরই মধ্যে কিছু মেয়ের আত্মসম্মানবোধ এত নিচে নেমে গেছে যে আমরা এসব তুলনায় অপমানিত হই না। এই আমরাই নাকি শিক্ষিত! আমরাই নাকি স্বাধীন!

উনার উয়াজ শুধু ১০ মিনিট শুনলাম, এর চেয়ে বেশি শোনার রুচি করে উঠতে পারছি না। আপনারা যারা হেফাজতের দুঃখে কান্নার বন্যা ভাসিয়ে ফেলেছিলেন এই ক’দিন আগেই, যারা বলেছিলেন তাদের একটি দাবীও অযৌক্তিক না, তারা নিশ্চয় মনযোগ দিয়ে পুরোটা শুনবেন; এরপর নিজেকে প্রশ্ন করে দেখবেন, এই আপনাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ? এই আপনাদের আত্মসম্মান? এতটুকুই আপনাদের দুরদর্শীতা?"

জবাব:

জ্বি আপু আমিও হেফাজতের প্রথম সমাবেশে গেছিলাম কেন জানেন? আমার এক আপু আগের দিন ফোন করে বলেছিল, কালকে হেফাজতের সমাবেশে যাবিনা ভাইয়া? আমি বলছিলাম, আপু সিওর না। আপু বলছিল কেন যাবিনা? নাস্তিকরা যা খুশি তাই বলবে, যা খুশি করবে আর নুন্যতম প্রতিবাদ করবোনা? আমি তো ছেলে হলে ঠিক ঠিক যেতাম। আব্বু যাবে তুইও যাবি। অথচ আমার আপু একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ফ্যাশন ডিজাইনিং এর উপর পড়ালেখা করেছে জীবনে মাদ্রাসার ধারে কাছেও যায়নি।তার পোশাক আশাক, চালচলনও তোমাদের মতে, প্রগতিশীল, আধুনিক,রুচিশীল। কিন্তু কেন এসব মানুষরা যারা নিজেরাই ধর্মের ব্যাপারে উদাসীন তারা নিজের ভাইকে হেফাজতের সমাবেশে যেতে বলে? গত ২বছর যাবত ব্লগিং করি তাই শাহবাগী ব্লগারদের আগে থেকেই এদের চিনতাম। আসিফ মহিউদ্দিন (নাস্তিকদের শিরমণি), অমি পিয়াল(ব্লগীয় চটি শিয়াল যে নিজেই গর্ব করে প্রচার করে সে একজন চটি লেখক ও যৌন ব্লগের ফাউন্ডার যেটা চটি ব্লগ এবং নারীদের পর্ণ ভিডিও সাইট।), তামান্না ঝুমু,আরিফুর রহমান (যার ইসলাম, আল্লাহ, নবী নিয়ে গালাগালি ও মন্তব্যগুলো পড়লে অন্য নাস্তিকরাও লজ্জা পাবে),রাজিব( থাবা বাবা, ধর্মকারী ব্লগের প্রাণপুরুষ), কে এম মাহদী হাসান( যে ব্লগে কোরান ব্যান করার দাবী করেছিল) বিপ্লব( ব্লগীয় নিক শয়তান ), বাম ব্লগার জেবতিক, সবাক এরাই তোমাদের তথাকথিত শাহবাগ আন্দোলনের নেতা। "ধর্মকারী ব্লগ" ব্যবহার করে চরম ইসলামবিদ্বেষী প্রচারণা চালানোর জন্য আদালত গত এক বছর আগেও তাদের অনেকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলেও তাদের সেটা করা হয়নি। কিন্তু শাহবাগি আন্দোলনের সময় যখন তারাই নেতা তখন কিছু পত্রিকায় তাদের কাজের কিছু নমূনা আসলেই আমার বোনের মত আপনাদের ভাষায়, আধুনিক মেয়েদেরও রক্ত গরম হয়ে যায়। কিন্তু শাহবাগের পক্ষে আপনারা যারা কট্টর সমর্থক তারা যেভাবে মনের সুখে স্টাটাস দিয়েছেন কিন্তু অন্যদিকে আমরা আন্দোলনের যৌক্তিকতা মেনে নিয়ে শুধুমাত্র এসব নাস্তিকদের নিয়ে একটা কথা বললেও জামাত শিবির বলে গালাগালি করা হয়েছে, বিভিন্ন ব্লগে ব্যান ও হুমকি দেয়া হয়েছে। এমনকি শাহবাগী নাস্তিকবিরোধী একটা ফেসবুক মন্তব্যের জের ধরে পুলিশও মানুষকে গ্রেফতার করেছে। জাফর ইকবাল, সুলতানা কামালরা শাহবাগে গিয়ে রাজাকারের ফাঁসি চাই বলে চিল্লাতে পারে কিন্তু ট্রাইবুনালে সাইদীর বিরুদ্ধে সাক্ষি দিতে আসেনা। আমার বাবা এবং নানার বাড়ি কেউই জামাত শিবিরকে সমর্থন করেননা তাই ছোটকাল থেকে তাদের সম্পর্কে ভাল ধারণা নিয়ে বড় হয়নি তাই তাদের নিয়ে কেউ কিছু বললে গায়ে লাগেনা। কিন্তু এই জাফর ইকবাল যার লেখা বইগুলো কখনো মিস করতামনা সেই যখন "তোমরা যারা শিবির করো" লেখাটা লিখল তখন আমারও গায়ে লাগার কথা ছিলনা কিন্তু সে এত নীচু মনের পরিচয় দিয়ে লেখাটা লিখেছে যা একজন মুসলিমের পক্ষে মেনে নেয়া অসম্ভব। তার একটা লাইন ছিল এরকম, যেসব যুবকরা নিজেদের ঘর ও মসজিদে আটকে রাখে তারা খুব নীচু মনের হয়। তারা পার্কে গার্লফ্রেন্ড নিয়ে প্রেম করা, রিকসায় ঘোরা, একসাথে বেড়াতে যাওয়াকে রীতিমত নিষিদ্ধ কাজ মনে করে। তারা প্রেমিক-প্রেমিকার স্বাভাবিক পবিত্র সম্পর্ককে অশ্রদ্ধা করে। তারা পহেলা বৈশাখে রমনীদের সাজগোজ করে নারী-পুরুষ মিলে একসাথে নাঁচগান করাকে অশ্লীলতা মনে করে তাই এসব থেকে নিজেদের বঞ্চিত করে।'' তার লেখাটা ছিল শিবিরের প্রতি কিন্তু সেটা ছিল মূলত আইওয়াশ মাত্র। শিবিরের নাম স্পষ্ট করে উল্লেখ করে কিছু কথা ছাড়া গোটা লেখাটাই ছিল একজন মুসলিমের জন্য চরম অপমানজনক। কারণটা সহজ একজন তাবলিগের লোক অপছন্দ করেন জামাতের আদর্শকে, জামাত অপছন্দ করে হিজবুত তাহরীরের আদর্শকে কিন্তু এসব লোকদের চোখে তাবলীগ,জামাত বা তাহরির,, হেফাজত এমনকি একজন সাধারণ ধার্মিক মুসলিম সবাই- ই এক ও অভিন্ন কারণ সবাই ইসলাম মানতে চায় আর এটাই তাদের আসল প্রবলেম। আপনাদের শাহবাগী নাস্তিক ব্লগার নেতারা ইচ্ছা করলে অন্তত আন্দোলনের সময়টাতে সংযম পালন করতে পারতো কিন্তু তারা শাহবাগে বসেও হাতে ল্যাপটপ নিয়ে ইসলাম, নবী (সাঃ), কোরান, আল্লাহনিয়ে গালাগালি করেছে। আসিফ লিখেছিল, কই তোগো আল্লাহ? এখন যদি আল্লাহও আসমান থেকে নেমে সাইদীদের বাঁচাতে আসে তাকেও শাহবাগে ..... ঝুলিয়ে দিব।" (বিচার আল্লাহর হাতে) এত কিছুর পরেও অন্তত ছাত্র ইউনিয়নের একজন সাবেক কর্মী হিসেবে আমার মত কিছু লোক নাস্তিক ব্লগারদের থেকে চোখ সরিয়ে বামদের উপর কিছুটা ভরসা রাখতে পারত কারন অপরাধীর শাস্তি হতেই হবে। ১৯৭১ এ ১৪৭৫৭০ বর্গ কিঃমিঃ জুড়েই যুদ্ধ হয়েছে কাজেই এদেশে যে হণহত্যা হয়েছে তার জন্য শত শত রাজাকার জড়িত ছিল এবং আজ এসব রাজাকারেরা শুধু জামাত, বিএনপিতেই সীমাবদ্ধ না বরং ক্ষমতাসীন দলে চিহ্নিত অনেক রাজাকার আছে যাদের বিরুদ্ধে সরাসরি পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে প্রত্যক্ষভাবে গণহত্যায় সহায়তার প্রমান মানুষের মুখেই আছে। অথচ বামেরা শুধুমা্ত্র নিদিষ্ট একটি রাজনৈতিক দলের মাত্র ৫-৬ জন রাজাকার মিলেই গোটা দেশে এত লাখ মানুষ মেরেছে, ধর্ষণ, লুটপাট করেছে এমন প্রচারে নামল ও শুধুমাত্র তাদের বিচারের জন্যই শ্লোগান দিয়ে যাচ্ছে অন্যদের বিষয়ে তারা নিশ্চুপ কারণটা কি ?? কারণ আমি সাবেক বাম কর্মী হিসেবে বলব, বিএনপি-আলীগ তাদের প্রতিদ্বন্দী না তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দীই হচ্ছে জামাত ও ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল আর এই তাই সুযোগ পেয়ে যদি এই ইস্যুতে তাদের ল্যাং মেরে ফেলে দেয়া যায় তবেই কেল্লা ফতে। আর এই জন্যই রাজাকারের ফাঁসি চাই তবে অন্য দলের রাজাকারের প্রবলেম নাই এমন ভন্ডামি তারাও করেছে। আদর্শ নিয়ে আন্দোলন এত সোজা না পুলিশের মার খেতে হয়, গুলি খেতে হয়। কাজেই এত কিছুর পরও আমাদের মত মানুষরা ইসলামের গায়ে লাথি মেরে নাস্তিক আর ভন্ড বামদের সাথে তাল মেলবো সেটা কি তোমাদের আশা করা উচিত?? ব্লগাররা এসব ভন্ডদের আগে থেকেই চিনত কিন্তু সাধারণ মানুষ জেনেছে অনেক পরে পত্রিকায় পড়ে বা মিডিয়ার আলোচনায় শুনে আর সেজন্যই আমার আপুর মত মানুষরা যারা ধর্ম নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না তারাও তাদের ভাইদেরকে হেফাজতের সমাবেশে পাঠায়। মিডিয়ায় যখন বিষয়গুলো জানাজানি হল,পত্রিকায় এল তখন নিজের আপন ভাই থেকে শুরু করে কাজিন, কাছের আত্বীয়-স্বজন, বন্ধু বান্ধব যারাই এতদিন শাহবাগে রাজাকারের ফাঁসি চাই বলে গলা ফাটিয়েছে, লেখালেখি করেছে তাদের মাঝেই দেখেছি শাহবাগ সম্পর্কে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও নিজেদের অবস্হানের জন্য অপরাধবোধ। কাজেই হেফাজত ই ছিল তখন আমার মত সাধারণ মানুষের কাছে এসব নাস্তিক ও ভন্ডদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সর্বোত্তম একটা প্লাটফর্ম তাই সেখানে শুধু আমি না অনেক বন্ধুদেরই পেয়েছি যারা এতদিন শাহবাগীদের পক্ষে শ্লোগান দিয়ে এসেছে। সেদিন গাড়ি-ঘোড়া সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল তাতে কি?? হেটে হেটেই গেছিলাম।

আমার ছোট বোন HSC পরীক্ষার্থী ছিল physics পরীক্ষার দিন গার্ডে থাকা কলেজ শিক্ষক বারবার তাকে ডিসটার্ব করছিল একপর্যায়ে ওর কাছে মোবাইল নাম্বার জানতে চায় ও রেগে গেলে স্যার নানান ওজুহাতে পরীক্ষার মাঝেই ওর সাথে খারাপ ব্যবহার করছিল একপর্যায়ে পেছনে তাকিয়েছে এই কথা বলে ওর খাতা নিয়ে যায় প্রায় ৪০ মিনিট খাতা আটকে রাখে ওর পরীক্ষাটা খুব খারাপ হয়। বাসায় এসে ও আব্বুকে সব জানায় বাবা তখন একটা সরকারি প্রতিষ্ঠানের উপ পরিচালক ছিল বাবা সাথে সাথে কলেজের প্রিন্সিপালকে সব জানান কলেজ প্রিন্সিপাল সেই শিক্ষককে প্রত্যাহার করেন, সাময়িক কিছু শাস্তি দেন কিন্তু যা হবার তাই হল পরীক্ষার রেজাল্ট বের হল আর ঠিক ঐ physics _এই সে ফেল করল। আমি এর জন্য কাকে দায়ি করব?? ঔ শিক্ষককে নাকি যারা সহঅবস্হানের কথা বলে নারীকে পুরুষের সহজ শিকারে পরিণত করার সুযোগ করে দেন তারা? যাইহোক সেই ১সাবজেক্ট পরীক্ষা দিয়ে পাশ করার পর বাবা তাকে কোন পাবলিক ভার্সিটিতে পরীক্ষা দেয়ার উৎসাহ দেননি। ও নিজের ইচ্ছায় ইবিতে পরীক্ষা দিল ওয়েটিং-এ ছিল কিন্তু বাবা ডাইরেক্ট ভর্তি করল একটা প্রাইভেট ভার্সিটিতে যেখানে ছেলে- মেয়েদের জন্য আলাদা আলাদা বিভাগ। কারণ বাবা চাননা দ্বিতীয়বার কোন পুরুষ শিক্ষক তার লাইফ নষ্ট করুক। আমার ক্লাসমেট একটা মেয়ে খুব ব্রিলিয়ান্ট ছিল ও জাহাঙ্গীরনগর ভার্সিটিতে চান্স পাওয়ার পরও ওর বাবা ওকে সেখানে ভর্তি হতে দিলনা এটা নিয়ে ওর অনেক অভিযোগ। অথচ ওর বাবাও বেশ শিক্ষিত একজন সরকারী কর্মকর্তা। আমি জানি কেন ওর বাবা ওকে সেখানে ভর্তি করেনি। এটাই সেই জাহাঙ্গীরনগর যেখানে প্রগতিশীল নামধারী একটি ছাত্র সংগঠন ৩২০ টা রেপের ঘটনা ঘটিয়ে ককটেল পার্টি দিয়েছিল, নেতাদের মিষ্টিমুখ করিয়েছিল। অনেক শিক্ষিত ছেলেকে দেখি তাদের উচ্চশিক্ষিত বউদের চাকরি করতে দিতে চাননা। কিন্তু কেন? তাদের পুরুষ মানষিকতার জন্য?? নাহ তারা জানেন চাকরি করতে গিয়ে একজন নারীকে তার কলিগ বা বসের দ্বারা যৌন নির্যাতন বা হয়রাণির শিকার হতে হয় তাই নিরাপত্তার কথা ভেবেই তারা নিজেদের বউদের ঘরে বসিয়ে রাখাকেই উত্তম মনে করেন। ভিকারুন্নেছার পরিমলদের কথা অবশ্যই মনে থাকার কথা। পরিমলদের এসব সুযোগ করে দেয় কে?? মেয়েদের স্কুলে যারা পুরুষ শিক্ষক নিয়োগ দেন তারা। আমার এক কাজিন প্রেমিকের সাথে দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে যায় পরে এটা নিয়ে তার লাইফটাই এলোমেলো হয়ে যায়। বাট ও কি একাই এর জন্য দায়ী নাকি সেই কো-এডুকেশন যা ওকে এসবে উদ্বুদ্ধ করেছে? কিছুদিন আগে একজন মহিলা ডাক্তার নাইট ডিউটি পালনকালে ধষর্ণের শিকার ও খুন হন। হ্যা আমি কেন চাইব না আমার বোন উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হোক?? আমার ভবিষ্যৎ স্ত্রী যদি তার নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি করতে চায় আমি তো তাকে বাধা দিতে পারিনা। কিন্তু ঢাকার পার্কগুলোতে রাত ৮টার সময়েও দেখা যায় অনেক মেয়ে বয়ফ্রেন্ড নিয়ে বসে আছে এসব মেয়েরা অধিকাংশই আসলে ঢাকার বাইরে থেকে আসা অন্য জেলা শহরগুলোর মেয়ে। তারা ঢাকায় এসেছে পড়াশুনার জন্য কিন্তু কোন অভিভাবক যদি তার মেয়ের এমন বিষয়টা জানেন সে কি আর তার মেয়েকে ঢাকায় একা একা পড়তে পাঠাবে?? আমার বোন যখন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে শিক্ষক দ্বারা যৌন হয়রাণির শিকার হচ্ছে, কো-এডুকেশনের সুযোগ নিয়ে ছাত্রনামধারীরা তাকে ধর্ষণের সুযোগ পাচ্ছে, প্রেমিক নামধারী লুচ্চাদের ফাঁদে পরছে, চাকরি করতে গিয়েও সে খুন হচ্ছে, ধর্ষনের শিকার হচ্ছে তখন আমার কাছে কোনটা বেশি প্রাধান্য পাবে তার জীবনের নিরাপত্তা নাকি তার ক্যারিয়ার? অবশ্যই তার নিরাপত্তা আমার কাছে বেশি গুরত্বপূর্ণ। এজন্যই হয়ত শফি সাহেবরা মেয়েদের ক্লাস ৫ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রাখতে চান, ঘরে আটকে রাখতে চান তবে সেটা তার চিন্তার সীমাবদ্ধতা বা জোর করে নিজের মতামতকে চাপিয়ে দেয়ার প্রবণতা। মাথা ব্যাথা করছে বলে মাথা কেটে ফেলাই শ্রেয় এমন আরকি। কিন্তু আমরা তো সেটা কখনো বলিনা। সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা চাইব নারীর জন্য মহিলা স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ও অবশ্যই নারী শিক্ষক এবং পৃথক কর্মক্ষেত্র যেখানে কোন পুরুষ তার কলিগ বা বস হয়ে বসে থাকবে না। আর এতকিছুর পরেও ধার্মিক মেয়েরা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল সবখানেই পড়ছে উচ্চশিক্ষিত হচ্ছে তবে পরিপূর্ণভাবে ইসলামের বিধান মেনে, হিজাব পালন করে। কাজেই শফি সাহেবের চিন্তা ও মন্তব্য একান্তই তার নিজের এটার দায়ও তার আমাদের না। মুমিন মাত্রই মানেন কোরানই একমাত্র পথনির্দেশক ও রাসূল (সাঃ) এর কথাই মুমিন নারীর কাছে চুড়ান্ত। আল্লামা শফি বা অন্য কেউ তাদের পথপ্রর্দশক না। আর এসব কথাও আমি বা আমরা এমনি এমনি আবেগ দিয়ে বলছি না বরং এ দাবিকে ইসলামই বৈধতা দেয়। সেই ১৪০০ বছর আগের মদিনায় ফীরে গেলে দেখি মহিলারা ঘর থেকে বের হয়ে মসজিদে নামাজ পড়তে যেত ((ওমর (রাঃ) তার স্ত্রীর ফজর নামাজ জামাতে শরীক হয়ে পড়তে যাওয়ার জন্য ভোররাতে মসজিদে গমনকে অপছন্দ করতেন কিন্তু তাকে মুখ দিয়ে কখনো মানা করেননি কারণ পবিত্র কোরানের আয়াত হল, তোমরা আল্লাহর বান্দীদেরকে মসজিদে যেতে বাঁধা দিওনা), সকল মুসলিম নারী ও পুরুষ জুমার খুৎবায় অংশ নিতেন, অনেক মহিলা সাহাবী সংসারের নানান প্রয়োজনে দুর দুরান্তে কাজ করতে যেতেন। রাসূল (সাঃ) এর মৃত্যুর পর হযরত আয়েশা (রাঃ) রীতিমত তার জ্ঞানের উত্তরাধিকারী হিসেবে আভির্ভূত হন। হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবীদের মধ্যে তার অবস্হান আবূ হুরাইরা (রাঃ) (৫হাজারের অধিক) এর পরের স্হান ২য়_তে, ২২১০ টি হাদিস। ইসলামি ফিকহ এর এক চতুর্থাংশ তিনি নিজেই সমাধান দিয়েছেন, তিনি কোরানের হাফেজ ছিলেন এবং সর্বপ্রথম তিনিই কোরানের আয়াতগুলো গণনা করেন, আরবীয় চিকিৎসা বিদ্যা সম্পর্কেও তার যথেষ্ট জ্ঞান ছিল। তার নিজস্ব একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ছিল যেখানে তার প্রায় ২০০ এর মত ছাত্র ছিল। এবং তিনি খলিফাদের বিভিন্ন সমস্যায় তারা তার কাছ থেকে ফতোয়া গ্রহণ করতেন। তার মত রাসূল (সাঃ) আরেকজন স্ত্রী হযরত যয়নাব (রাঃ) ছিলেন অন্যতম একজন গুরত্বপূর্ণ মুসলিম নারী। তিনিও কোরানের হাফেজ ছিলেন ও বড় সংখ্যক হাদিসের বর্ণনাকারী এবং কোরানের তাফসীরকারক ও ফিকহ শাস্ত্রবীদ ছিলেন। এসব জ্ঞান তারা কোথা থেকে অর্জন করেছিলেন? নিঃসন্দেহে রাসূল (সাঃ) এর কাছ থেকে। কাজেই ইসলামে নারী বা পুরুষ সবাই নিজ নিজ গুণ ও মহিমায় একেকজন কিংবদন্তী। কিন্তু কথা হচ্ছে মুসলিমরা তখন নারীদের জন্য এমন একটি সমাজ নির্মাণ করতে পেরেছিলেন যা ছিল নারীদের জন্য ভয়হীন ও নিরাপদ। সে সমাজে পর্দাপ্রথা চরমভাবে পালনীয় ছিল। পর্দা রাকি জিনিস? মুমিন নারী ও পুরুষকে দৃষ্টি সংযত করার কথা বলা হয়েছে, উভয়কেই এমন পোশাক পরার নির্দেশ দেয়া হয়েছে যা পরলে শারিরিক কাঠামো বোঝা যায় না। মুমিন নারী-পুরুষের সম্পর্ক আল্লাহ নির্ধারণ করে দিয়েছেন রক্ত সম্পর্কের অথবা দুধ সম্পর্কের ভাই-বোন এবং এদুটি সম্পর্কের(রক্ত ও দুধ) বাইরে দ্বীনি ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী ও মুমিন নারী-পুরুষ একে অপরের বন্ধু। আর তোমাকে বলতে চাই, প্রত্যেকটি মুমিন নর-নারী এসব বিষয়গুলো খুব ভাল মত জানেন। কাজেই আবারো বলি, আল্লামা শফি তার মত করে প্রচার করেছেন তার অনুসারীদের কাছে। আমরা ঠিক ততক্ষন পর্যন্তই তাকে সমর্থন করতে পারি যতক্ষণ তিনি ইসলামকে কোরান-হাদিসের দৃষ্টিতে ব্যাখ্যা করবেন। এসব বললাম কারণ, তোমার কথা শুনে মনে হচ্ছে তুমি বিশেষত সেইসব নারী ও পুরুষকে উদ্দেশ্য করে কথাগুলো বলেছ যা দাড়ি টুপি রাখেন ও যারা বোরখা পরেন বা পর্দার ব্যাপারে খুব রক্ষণশীল থাকেন। তাই বলতে চাচ্ছি, এসব মানুষ হেফাজতের আন্দোলনকে স্বিকৃতি দিয়েছে নাস্তিকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ কিছু যৌক্তিক দাবির পক্ষেই কিন্তু সেটাও ইসলামিক বিবেচনার জন্য সেটা শফি সাহেব আহবান করেছেন তাই সবাই তাকে সমর্থন করে তার পিছনে লাইনে দাড়িয়ে গেছে এমন ভাববার কোন কারণ নেই। তিনি যদি কোন ভুল বলেন বা নিজের মতামতকে সঠিক মনে করেন আমরা কেন তার সেইসব ভুল কাজ ও মন্তব্যের দায়ভার গ্রহণ করব? আর আল্লামা শফি কোন নবী-রাসূল না যে তার কথাকেই আমরা চুড়ান্তভাবে মেনে নিব। মুমিনদের কাছে মানদন্ড হচ্ছে কোরান-হাদিস ও সাহাবীদের কর্মপন্হা। মুমিন নারী পুরুষের কাছে জিবনবিধান কোরান ও অনুসরণের জন্য একমাত্র নির্ভূল ব্যক্তি হচ্ছেন রাসূল (সাঃ), আহমাদ শফি কখনও নন। কাজেই তোমরা যে বিচার কর... "যাহা আহমাদ শফি তাহাই হেফাজত, তাহাই জামাত, তাহাই তাবলীগ আর ইহাই ইসলাম আর এরাই দুর্ভাগা মুসলিম নারী-পুরুষ" এমন চিন্তা থেকেও তোমাদের উত্তরণ হোক সে আশা করি। আমাদের লক্ষ্য মধ্যযুগ না নারীর জন্য সেই ১৪০০ বছর আগের মদিনার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য চেষ্টা করা।

আমার বাবা যদি মারা যান আমি তাকে দ্রুত সম্ভব উত্তমভাবে গোসল করাবো, তার জানাযা নামাজ পড়ে তার শান্তির জন্য দোয়া করব তাকে উত্তমভাবে কবর দিব। এবং যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন তার জন্য দোয়া করব যেভাবে আল্লাহ কোরানে শিখিয়ে দিয়েছেন কেননা আল্লাহই কোরানে বলেছেন, সন্তানের দোয়াতে বাবা-মা কে আল্লাহ মাফ করে দেন সন্তানের সাথে জান্নাতে যাবার ব্যবস্হা করে দেন। আমি কখনই মৃত্যুর কিছুদিন পর তার কবরের ওপর স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করবোনা, প্রতি বছর মৃত্যুদিন বা নির্দিষ্ট কিছু দিনে তার কবরের উপর ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে যাবোনা, তার কবরে মোমবাতি জ্বালাবোনা, তার শোকে গান গাইবোনা। কারণ খুব সহজ এসবের কোন কিছুই আমার মৃত বাবার আত্নাকে শান্তি দিবেনা, আমার শ্রদ্ধার ফুল বা ভক্তির গান তার কবরে তার নিকট পৌছাবে না। তাই এবার বল আমার কি দোষ আমি কেন শহীদ মিনারে ফুল দিতে যাব??এসব কি তাদের জন্য পরকালীন কোন কল্যাণ বয়ে আনবে? নাহ আমি তাদের জন্য দোয়া করব এটাই সহজ ও সুন্দর পথ। কোরানে আছে কল্যাণ ও অকল্যাণ সব কিছুই আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে। রাসূল (সাঃ) বলেছিলেন, দোয়া ব্যতীত কোন কিছুই মানুষের ভাগ্যকে পরিবর্তন করেনা, পূণ্য ব্যতীত কোন কিছুই মানুষের আয়ুকে দীর্ঘায়িত করতে পারেনা। আর মানুষ যে কাজ করে সে তারই ফলাফল ভোগ করে। কাজেই আমি কেন মঙ্গল শোভাযাত্রায় যাব? কেন বিশ্বাস করব যে, সেটা আমার জন্য কোন মঙ্গল বয়ে আনবে?? এটা তোমার সেই কথার উত্তর "এরা বাংলাদেশকে কিভাবে দেখতে চায়??"হ্যা আমরা হেফাজতের সমাবেশে গেছিলাম যেমনি ভাবে তোমরা গিয়েছিলে শাহবাগে। সেদিন ৫তারিখে আমরা সেখানে ঢুকতে পারিনি কারণ পুলিশ ও ছাত্রলীগ যাকেই দেখছিল গুলি করে মারছিল। শফি সাহেব কেন আসলেননা সেটা জানিনা হটাৎ সিদ্ধান্ত নেয়া হল তারা রাস্তা ছাড়বেননা। রাতে লাইট অফ হল আর পরেরদিন বিএনপি-জামাত প্রচার করল হাজার হাজার লোক মেরে ফেলা হয়েছে। এটা ছিল একটা রাজনৈতিক প্রচার আবার আওয়ামী লীগ বলল, কোন লোকই মরে নাই অথচ সেদিন দিনেই পুলিশ- লীগের হাতে ১৩ জন মারা গেছিল। যা কিনা বিভিন্ন পত্রিকাতেও এসেছে, টিভি ফুটেজে পিটিয়ে মারার দৃশ্যও মানুষ দেখেছে। আল জাজিরাতেও সেদিন রাত নিয়ে একটা রিপোর্ট ছিল। অধিকারের প্রতিবেদনে ৬৩জন ব্যক্তির পূর্ণাঙ্গ পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে যারা সেদিন রাতে হত্যার শিকার হয়েছিল। আমাদের এলাকার একটা কওমী মাদ্রাসাতেই এখনও ৩-৪ জন ছাত্রের কোন খোঁজ আজ পর্যন্ত জানা যায়নি। তারা বেঁচে আছে না মরে গেছে কেউ জানেনা তারা সেদিন রাতে সেখানে অবস্হান করছিল। আজ হেফাজতের লোকেরা সব সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির হয়ে কাজ করছে। সব কিছুই পরিষ্কার তাদের সেদিন রাতে বিএনপি জামাত তাদের রাস্তায় বসিয়ে দিয়েছিল, কিছু নিরীহ লোক মরেছে তাই হেফাজতের আজ প্রতিশোধ চাই তাই তারা আজ বিএনপির অলিখিত রাজনৈতিক কর্মী। যতদিন এই হেফাজত জামাতের বিরুদ্ধে কথা বলেছে ততদিন সরকার তাদের দুধ কলা দিয়ে পুষেছে, জনকন্ঠ পত্রিকা পড়লে মনে হতো সেটা বুঝি হেফাজতের ই মুখপাত্র কিন্তু যখন তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছে ঠিক তখনই তাদের উপর গুলি চালিয়েছে। আলীগ যেভাবে শাহবাগ কে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে বিএনপি-জামাতও হেফাজতকে। কিন্তু আমার একটা প্রশ্নের জবাবে এক শাহবাগী নারী উত্তর দিয়েছিল, শাহবাগে গেছিলাম যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আওয়ামী লীগের চামচামির জন্য না। শাহবাগের নাস্তিকদের দায় তাদের আমি কেন তাদের দায় নিব?? এবার আমরাও সেটাই বলি শাপলা চত্ত্বরে গেছি নাস্তিকদের শাস্তির দাবিতে বিএনপি-জামাতের চামচামির জন্য না। আজ হেফাজতের সাথে বিএনপির সম্পর্কের জন্য আমরা দায়ী না কাজেই সে দায় আমরাও বহন করব কেন??

আর তেতুলের বিবৃতি আমরা দেইনি দিয়েছেন শফি সাহেব কাজেই সেই দায় ও তার, তা আমাদের না। আর এই বক্তব্য তিনি দিয়েছেন বেশ কয়েকবছর আগে আর ৬-৭ ঘন্টার একটা ওয়াজের আগে পরে কি বলেছেন সেটা বাদ দিয়ে কিছু আপত্তিকর কথা কাটছাট করে ঠিক তখনি প্রচার করা হচ্ছে যখন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন গুলোতে তারা বিএনপির অলিখিত কর্মী হয়ে কাজ করছেন। কাজেই এটাও রাজনৈতিক মারপ্যাচ। যাইহোক সে দায় তাদের আমাদের না। রাসূল (সাঃ) আমাদের বলেছেন, "আল্লাহর কাছে প্রত্যেকটি মানুষ চিরুনীর প্রতিটি কাঠির মতই সমান।" কাজেই মুমিন নর -নারীর কাছে তাদের রাসূল (সাঃ) কথাই যথেষ্ট শফি সাহেব কি বললেন তাতে নিশ্চয়ই কিছু আসে যায়না। আর এদেশে ইসলাম নিয়ে কত জন কত ফতোয়া দেন এমনকি সুরঞ্জিত সেনের মত হিন্দুরাও ইসলামের ব্যাখ্যা দেন, শাহরিয়ার কবিরেরাও ইসলামের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ, তাফসীর করেন কাজেই এসব নিয়ে কথা বলার ইচ্ছা নেই। আর শফি সাহেবদের কথা শুনতে অন্যন্ত আশ্লীল লাগে অথচ যখন টিভি এ্যাডে বলা হয়, ওড়না দিয়ে শরীর ঢেকে রেখেছিস কেন? তোর হাত ঢাকা কেন, পা ঢাকা কেন? ওমুক সাবান মাখ, ওমুক লোশন মাখ শরীর ফর্সা কর, পায়ে ভিট লাগা, দেখিয়ে দাও নিজের সৌন্দর্য দুনিয়াকে। বাথটাবে নারীর গোসলের দৃশ্য দেখানো হয়, বডি স্প্রে দিয়ে নারীকে বিকৃত ভাবে উপস্হাপন করা হয় তখন কিন্তু আমাদের খারাপ লাগেনা। জাতীয় সংসদের স্পিকার যখন বলেন, যারা বোরখা দিয়ে মুখ ঢেকে রাখে তাদের চেহারা কুৎসিত। মন্ত্রিরা বলেন, ধর্মের কালো হাত থেকে বাঁচাতে আমাদের নারীদের নাঁচ গান শেখাতে হবে তখন কিন্তু আমাদেরও গায়ে লাগে। শেষকথায় আসি মুমিন নর নারীদের কাছে আল্লাহ, তার প্রেরিত গ্রন্হ কোরান, রাসূল (সাঃ) এবং হেদায়াতপ্রাপ্ত সাহাবীরাই আদর্শ কাজেই তারা এসব নিয়েই থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তারা বললেই সবাই নিজ লাইফষ্টাইল চেঞ্জ করে ফেলবে না অন্যদের উপর তাদের কতৃত্ব নেই কিন্তু নিজেদের লাইফের উপর তাদের নিয়ন্ত্রণ আছে। তাই তাদের অধিকার আছে নিজেদের মত চলার। জাফর ইকবাল, শাহরিয়ার কবির বা শাহবাগ বলতে পারেনা এই লোকগুলো কেন অবিবাহিত নারী পুরুষের প্রেমকে মেনে নেয়না? কেন এসব নারীরা অন্যদের মত পহেলা বৈশাখে সাজগোজ করে পুরুষদের সাথে এখানে নেঁচে গেয়ে বৈশাখকে স্বাগত জানায় না? কেন তারা মঙ্গল শোভাযাত্রায় যায়না? কেন তারা শহীদ মিনারে ফুল দিতে যায়না? এসমস্ত লোক আসলে মধ্যযুগীয়। প্লিজ এসব বন্ধ করেন। মুমিন নারী-পুরুষ নিজেদের মাঝে বিভাগ করেনা। তুমি গরীব আমি বড়লোক, আমি নারী তুমি পুরুষ, তুমি সাদা আমি কালো এসব নিয়ে মুমিন নারী-পুরুষ মাথা ঘামায় না কারণ আল্লাহর রাসূল (সাঃ) তাদের এক পরিবারের অংশ করে দিয়ে গেছেন যার নেতা তিনি নিজে। কাজেই তারা তাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সম্পর্কে সচেতন। তাদের নেতা রাসূল (সাঃ) বলেছেন, পিতার অপরাধের ভার পুত্র গ্রহণ করবে না আর পুত্রের অপরাধের ভারও পিতা গ্রহণ করবে না।

বিষয়: বিবিধ

২৬০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File