বাংলা সাহিত্যে কারবালা, বিশ্ব ইতিহাসে নজীর বিহীন বিষাদময় ঘটনা কারবালা ও তার শোক!

লিখেছেন লিখেছেন এম আর মিলন ০৫ নভেম্বর, ২০১৪, ০২:০৫:১০ রাত

ইসলামের সবচেয়ে বিষাদময় কারবালার ঘটনা নিয়ে মর্সিয়া সাহিত্য নামে একটি সাহিত্য ধারা একসময় বাংলা সাহিত্যে একটি বিরাট অংশ দখল করেছিল।মহরম উপলক্ষ্যে একসময় ঘরে ঘরে মর্সিয়া সাহিত্য পড়ত বাঙ্গালী মুসলমানরা । পাড়ায় মহল্লায় শোকের মিছিল হত,পুথি পাঠের আসর বসত, মহরমের দিন বাপ-দাদারা ও বিশেষ করে মহিলারা রোজা রাখতেন, শোনা যায় মহরম মাসে বিয়ে শাদি পর্যন্ত বন্ধ রাখত-শোকের কথা ভেবে ! আমি ছোটকালে নিজেই অনেক বাড়িতে একটি ছবি দেখেছি দেয়ালে ঝুলানো- একটি সাদা ঘোড়া, তার শরীরে চতুর্দিকে তীর এস বিদ্ধ করেছে, শরীর রক্তাক্ত রক্ত ঝরছে ফোটায় ফোটায় ! এখনও কোথাও কোথাও ছবিটা চোখে পড়ে। কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে মহরম নিয়ে কবিতা, গল্প, ছড়া লেখার প্রতিযোগিতা হত তাই আমাদের বাংলা সাহিত্যের এখনও বিরাট একটা অংশ জুড়ে আছে মর্সিয়া সাহিত্য । বাংলা সাহিত্যের শুরুর দিকে হিন্দু সাহিত্যিকদের দেব-দেবী নিয়ে উপাখ্যানের বিপরীতে মুসলিম সাহিত্যিকগণ রচনা করতেন মর্সিয়া সাহিত্য ! মর্সিয়া সাহিত্যের প্রভাব এমনই ছিল যে অনেক হিন্দু সাহিত্যিকগণও দেব-দেবী উপাখ্যান রচনা বাদ দিয়ে মর্সিয়া সাহিত্য রচনা করেছেন ! কাজী নজরুল ইসলাম যেমন লিখেছেনঃ

মহরমের চাঁদ এল ঐ কাঁদাতে ফের দুনিয়ায়।

ওয়া হোসেনা ওয়া হোসেনা তারি মাতম শোনা যায়।।

কাঁদিয়া জয়নাল আবেদীন বেহোশ হ'ল কারবালায়।

বেহেশতে লুটিয়া কাঁদে আলি ও মা ফাতেমায়।।

কাঁদে বিশ্বের মুসলিম আজি, গাহে তারি মর্সিয়া।

ঝরে হাজার বছর ধরে অশ্রূ তারি শোকে হায়।।




ইনাদের একজন (আ) কে হত্যার আগে তৎকালীন খাঁটি মুসলিম(!) দের একজন বলেছিলো ''হুসাইন কে তারাতারি হত্যা করতে হবে যাতে আমাদের আসরের নামাজ ক্বাজা না হয়ে যায়''

মর্সিয়া শব্দটি আরবি। এর অর্থ শোক প্রকাশ করা বা শোক গাঁথা । ইসলামের ইতিহাসের বিশেষ করে কারবালার বিষাদময় ঘটনাকে উপজীব্য করে রচিত হয়েছিল মর্সিয়া সাহিত্য।আমাদের বঙ্গ দেশে ইসলামের আগমনের প্রাক্কালে ও তৎবধি কয়েকশ বছর পর্যন্ত মর্সিয়া সাহিত্য বাঙ্গালী মুসলমানদের সাহিত্যের উপজীব্যের বিষয় ছিল। নি:সন্দেহে কারবালার বিষাদময় ঘটনা অবলম্বনে রচিত সাহিত্যে ইসলাম প্রচারে সহায়ক ভুমিকা পালন করেছে। শেখ ফয়জুল্লাহ, দৌলত উজির বাহরাম খান, হায়াৎ মাহমুদ, জাফর হামিদ,সৈয়দ সুলতান,মুহম্মদ খান ও এমনকি হিন্দু কবি রাধারমণ গোপও ছিলেন মর্সিয়া ধারার একজন উল্লেখযোগ্য কবি। মহাকবি কায়কোবাদও এ ধারার কিছু কাব্য রচনা করেছেন।



মহাত্মা গান্ধী ইমাম হুসাইনের শাহাদাত সম্পর্কে কি বলেছিলেন পড়ুন ।

এ থেকে আরো বোঝা যায়-যারা আমাদের দেশে ইসলাম প্রচার করেছেন তাদের মধ্যে শিয়া সুন্নি কেোনো ইস্যুই ছিল না । কিন্তু কালের বিবর্তনে ও সময়ের আবর্তনে এ ধারায় সাহিত্য রচনা লোপ পেয়েছে, এর কারণ ইসলাম হয়ে গেছে জঙ্গীবাদ, কর্পোরেট ও পেট্রোডলার নির্ভর যেন ধর্মের নামে চলছে চরম এক ব্যবসা ও বোমাবাজী ! তৎকালীন সময় ইসলাম আজকের জঙ্গী ওহাবি/সালাফিদের দ্বারা প্রচার হয়নি। ইসলাম প্রচার হয়েছে সুফি সাধকদের দ্বারা । সুফি সাধকরা ছিলেন মোহাম্মদ (সা) এর বংশধর তথা আহলে বাইতের অনুসারী! যেমন বিখ্যাত সুফি খাজা মইন উদ্দিন চিশতী কারবালার ঘটনার স্বরণে বলেছেন,

শাহ আস্ত হোসাইন

বাদশাহ আস্ত হোসাইন

দ্বীন আস্ত হোসাইন

দ্বীনে পানাহ আস্ত হোসাইন

সারদাদ নাদাদ দাস্তেদার দাস্তে ইয়াজিদ

হাক্কাকে বেনায়ে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আস্ত হোসাইন।।


হযরত মোহাম্মদ (সা) এর মৃত্যুর পরপরই তার বংশের সদস্যদের এক এক করে হত্যা করে উমাইয়া ও আব্বাসীয় খলিফারা। শিয়া মুসলিমদের ১২ জন ইমামের মধ্যে ১১ জনই তাদের হাতে শহীদ হন ( উল্লেখ্য যে ১২তম ইমাম মাহদির আবির্ভাব এখনও হয়নি) ! এটা নি”সন্দেহে বলা যায় সুফি সাধকদের প্রচারিত ইসলাম ছিল মানবতার ইসলাম, ভালবাসার ইসলাম, ন্যায়-অন্যায় ফারাকের ইসলাম ! কোরান ও হাদিস পাঠ করে নয় সুফি সাধকদের অপার চরিত্র, মহত্ব, মানুষের প্রতি মমত্ববোধ দেখেই নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষ দলে দলে ইসলামে প্রবেশ করেছে ! কিন্তু আজকে সে ইসলাম নেই কেন ? পরবর্তীতে পেট্রোডলারের কল্যাণেই হোক আর যে কারণেই হোক প্রতিষ্ঠিত হয় ওহাবি/সালাফি ইসলাম! নিজেদের বাইরে এই ওহাবি/সালাফিরা আর কাউকেই মুসলিম মনে করে না, ওরা বাদে বাদবাকি সব মুসলমানই মুশরিক/কাফের/মুরতাদ ! শুধু তাই নয়-কাফের/মুশরিক/মুরতাদদের এরা হত্যা করাও ফরজ কাজ মনে করে ! তাই তো জঙ্গীবাদের নামে দেশে দেশে চলছে কাফের নিধন ! শিয়া, সুন্নী, কুর্দি, কাদিয়ানিসহ ইসলামের বিভিন্ন সেক্টের অনুসারীদের পাকিস্থান, ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্থানে পাইকারী হারে গণহত্যা করছে এরাই ! এদের কল্যাণেই ইসলাম পরিচিতি পেয়েছে জঙ্গী ইসলাম হিসাবে ! ইসলাম ও মুসলিমের নাম শুনলেই নন মুসলিমরা ভয়ে, আতঙ্কে কুঁকড়ে ওঠে ! কয়েক দিন আগে এক হিন্দু পেজে দেখলাম, লিখেছে-যেখানে মুসলিমদের কাছে মুসলিম নিরাপদ নয় সেখানে আমরা নন মুসলিমরা মুসলিমদের কাছে কিভাবে নিরাপদ ? ইসলামিক খেলাফত কায়েমের নামে ইরাক, সিরিয়ায় চলছে মুসলিম কর্তৃক মুসলিম নিধন ! ওহাবি/সালাফি জঙ্গীদের প্রতি প্রশ্নঃ আপনারা নিজেরাও শান্তির মধ্যে নেই ও আপনাদের অনুসারিত ইসলাম যেখানে মুসলমানদেরই শান্তি দিতে পারে না সেখানে বিশ্বের অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের কিভাবে শান্তি দিবে ? কঠিন প্রশ্ন নয় কি ?



আশুরার শোক হোক এরকমই।

কারবালার শোককে বুকে ধারণ নয় বরং বোমাবাজি করে নতুন নতুন শোক সৃষ্টি করাই হলো ঐ সব জঙ্গীবাদীদের কাজ ! কিন্তু লোপ পায়নি এখনো কিছু মুসলমানের শোক ও মাতম ।এখানেই শিয়াদের থেকে সুন্নিদের বড় পার্থক্য ।বেশিরভাগ সুন্নি ধর্মীয় নেতাগণ মহরম উপলক্ষ্যে যদি ত্রিশ মিনিট বক্তব্য দেন এর মধ্যে পুরো সময় জুড়ে তারা মহররমের দিন কোন নবীর জন্ম হয়েছে, কে গর্ভবতী হয়েছে, কে নদী পার হয়েছে ইত্যাদি বলে শোকের মহরমকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টাও করেণ। অথচ ইতিহাসে কারবালার ঘটনা নজিরবিহীন যেখানে তাদেরই ধর্মের প্রবর্তকের পরিবারের ৭২ জনকে হত্যা করা হয়েছিল নিমর্মভাবে ও বাদবাকিদের বন্দি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ইয়াজিদের হেরেমে ! হোসেনের কর্তিত মস্তক প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, তার মস্তক বিহীন শরীরে ঘোরা দাবড়িয়ে হাড় ও বুকের পাজর ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছিল ! সেই দিন এজিদ বাহিনী তথাকথিত খেলাফত রক্ষার নামে যা করেছে আজকে ওহাবি/সালাফি জঙ্গীরাও সেই একই খেলাফতের নামে বর্বরতা, গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে ! যাইহোক একমাত্র শিয়ারাই মহরমের শোককে বুকে ধারণ করেছে ও সেটাকে শক্তিতে পরিণত করেছে । প্রতি বছর তারা যেভাবে দুঃখ ভারা ক্রান্ত মন নিয়ে মহরমকে স্বাগত জানায় তা এক বিষ্ময়কর বটে ! তারা এখনো ইসলামের নবী মোহাম্মদ (সা) এর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসেনের কারবালার সেই বিষাদময় ঘটনাকে বুকে ধারণ করে আছে । প্রতি বছর মহররম এলে তারা সেই স্মৃতিকে রোমন্থন করে ও যেভাবে শোক প্রকাশ করে তা যেন এক ঐতিহাসিক ঘটনা থেকে মানব জাতিকে অন্যায়ের প্রতিবাদের জন্য শিক্ষা গ্রহন করতে উদ্বুদ্ধকরনেরই নামান্তর ! সত্যি এরকম ঐতিহাসিক একটা ঘটনা নিয়ে বিশ্বের আর কোনো জাতি ও ধর্মের লোকজন এত ব্যাপকহারে কোনো শোকানুষ্ঠান করে বলে আমার জানা নেই আর আর সত্যি শিয়াদের এ শোকানুষ্ঠান বিশ্ব ইতিহাসে নজিরবিহীন !!!

তবে সেই কুখ্যাত এজিদের অনুসারীও আমাদের দেশে এখন কম নয় আরব পেট্রোডলারের কল্যাণে।পেট্রোডলারের আবির্ভাবের পূর্বে ইসলামে শিয়া সুন্নি বিভক্তি এত প্রকট ছিল না বর্তমানে যেমনটা আছে।ইসলামে জঙ্গীবাদও এমনটা ছিল না বর্তমানে যেমনটা আছে। ইসলামের নবীর বংশকে যারা প্রাণপ্রিয় ভালবাসেন সামান্য মত-পার্থক্যের কারণেই তাদেরকে অমুসলমান ঘোষনা করে , কাফের ফতোয়া দিয়ে হত্যা করা হচ্ছে অবলীলায় !! এটা ইসলামের কোন নৈতিক শিক্ষা ? আজকেই এক রিপোর্টে পড়লাম, ইরাকে মহরমের এক শোকানুষ্ঠানে বোমা হামলা করে ৪০ জন শিয়া মুসলিমকে হত্যা করেছে জঙ্গীরা ! এই মহররম উপলক্ষ্যে না জানি আরো কতশত শিয়া মুসলমানের প্রাণ যায় !!!

”কাশেমের লাশ লয়ে কাঁদে বিবি সকিনা

আসগারের ঐ কচি বুকে তীর দেখে কাঁদে খোদায়।।

কাঁদে বিশ্বের মুসলিম আজি, গাহে তারি মর্সিয়া

ঝরে হাজার বছর ধ'রে অশ্রু তারি শোকে হায়।।”

---------------কাজী নজরুল ইসলাম।

অফ টপিকঃ যারা মহরমের শোককে নিয়ে বাড়াবাড়ি করে তাদের জন্য আমার ফেসবুক বন্ধু Joy Bd এর একটি স্টাটাস তুলে ধরছি-

মহররমে শোক পালনের সময় নিজেকে রক্তাক্ত করা প্রসংগেঃ

''আমাদের জন্য অলংকার হও, অমর্যাদার কারন হয়োনা''

--ইমাম জাফর আস-সাদিক(আ)

''যারা তাতবীর করে তাদের ব্যাপারে আমি খুবই হতাশ''

--আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ আলী খামেনী।

''কিছু মানুষ মহররমে তলোয়ার, চেইন ইত্যাদি দিয়ে নিজেদের আহত রক্তাক্ত করে, যা শয়তান কে উৎসাহিত করে''

--আয়াতুল্লাহ মুহসিন আল-আমিন আল-আমলি।

''তলোয়ার, চেইন ইত্যাদি দিয়ে নিজেদের রক্তাক্ত করা, (শোক মিছিলে) ড্রাম, হর্ন বাজানো, যেমনটি আজকাল কিছু লোক কে করতে দেখা যায়; এগুলো অবশ্যই হারাম এবং ধর্মীয় আদর্শের পরিপন্থী''

--আয়াতুল্লাহ আবুল হাশাম ইস্পাহানী।

নোটঃ মহররমের শোক পালনের সময় কেউ কেউ নিজেদের কে ছুরি ইত্যাদি দ্বারা আঘাত করে রক্তাক্ত করে; সেটা কে তাতবির বলা হয়।

মিজানুর রহমান মিলন।

০৫.১১.২০১৪

বি.দ্রঃ লেখকের নাম ছাড়া লেখা প্রকাশ করা অমার্জনীয় ও দণ্ডনীয় অপরাধ! কপি করার আগে একবার ভাবুন এই লেখাটি আপনার নিজস্ব সম্পত্তি নয়।

বিষয়: বিবিধ

২৩৩৩ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

281333
০৫ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৫:২৯
তহুরা লিখেছেন :
০৫ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৪২
225069
এম আর মিলন লিখেছেন : মনে হয় পোস্ট না পড়েই কমেন্ট করেছেন ! আপনার জবাব নিচের অফ টপিক পড়েন! পেয়ে যাবেন ।
281501
০৫ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:২৯
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : হযরত হুসাইনের শাহাদাত; রাসূল (সাঃ) কি এই ঘটনার ইঙ্গিত আগে থেকেই দিয়েছিলেন কিনা? অবশ্যই দিয়েছিলেন। তথাপি, ইসলামে মৃত ব্যক্তির জন্য ৩ দিনের বেশি শোক করার অনুমতি রাসূল (সাঃ) দেননি। বরং স্বামী ব্যতিত অন্য কারো জন্য ৩ দিনের অধিক শোক পালন করা বৈধ নয়। (বুখারী-২৩৭১) পাশাপাশি জাহেলি প্রথার অনুকরণের শোক পালন, বুক চাপড়ানো ও কাপড় ছেঁড়াকে রাসূল (সাঃ)কঠোর ভাষায় বারণ করেছেন (মুত্তাফাকুন আলাই বুখারি-১২৯৪, মুসলিম-১০৩)। এরপরও যারা এরকম মাতম করে এবং সমর্থন করে তাদের উপর রাসূলের (সাঃ) লানত।

আর শোক যদি করতেই হয়, তাহলে রাসূলের (সাঃ) ওফাতের দিন কেন শোক করা হয় না? হযরত উমরের (রাযি.) শাহাদাতের কেন রোনাজারি হয় না? হযরত উসমানের (রাযি.) মর্মান্তিক শাহাদাতের দিন কেন ছাতি পেটা হয় না? এমনকি যে রাফেজি শিআরা হুসাইনের (রাযি.) জন্য তথাকথিত শোক দেখিয়ে বেড়ায়, তারা কেন তাদের প্রথম দুই ইমাম হযরত আলী (রাযি.) ও হযরত হাসান (রাযি.) এর শাহাদাতের দিন এমন মাতম মিছিল বের করে না? নাকি মাতমের ফাতওয়া শুধু হুসাইন (রাযি.) পর্যন্তই সীমাবদ্ধ? মূর্খতার বোধ হয় শেষ আছে, কিন্তু রাফেজি ও তদ্বীয় দালালদের কান্ডজ্ঞানহীনতার শেষ নেই।
281502
০৫ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৩

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File