যৌতুক চা্ওয়া ছেলেগুলা, মস্ত বড়ো লোভী
লিখেছেন লিখেছেন কুশপুতুল ২৬ নভেম্বর, ২০১৪, ০৯:১১:৪১ রাত
এই ছেলেরা বিয়ে করেই, যৌতুক চা্ও কেনো?
যৌতুক চা্ওয়া নিষেধ আছে, সেই খবর কি জানো?
বিয়ের পরে বউ পিটিয়ে, পাঠিয়ে দিবা বাড়ি
ঊনিশ থেকে বিশ হলেই, লাগা্ও বেদম ঝাড়ি।
মেয়ে পালা সোজা না, কষ্ট আছে মেলা
বউয়ের কাছে যৌতুক চা্ও, পাইছ ছেলেখেলা।
যৌতুক চা্ওয়া ছেলেগুলা, মস্ত বড়ো লোভী
শ্বশুর বেটার কামাই খেতে, ইচ্ছে জাগে খুবই?
এখন থেকে বউয়ের কাছে, চাইবা ভালোবাসা
ভুলে যা্ও এক্কেবারে, যৌতুক পা্ওয়ার আশা।
বুঝেছেন এবার??????????
বিষয়: বিবিধ
১১৯৮ বার পঠিত, ৩৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভুলে গিয়ে ঘৃণা করলাম যৌতুক পাওয়ার আশা।।
যৌতুক যেমন শরিয়তে নেই , নেই তেমনিও স্বামীর সংসারে স্বামীর উপর বউয়ের বসিং করা ।
টাকা খরচ করেও স্বামী যখন বসিং করতে পারে না , এক পয়সা না দিয়ে সেটা বউয়ের করার তো প্রশ্নই আসে না ।
বসিং করতে হলে টাকা ঢেলেই করতে হবে ।
পুরুষ যদি মেয়ের মতো হয় বসিং মানতেই হবে।
কিন্তু.... আইন একটা যে আপনারা নিজেদের ফেভারে কইরা রাখছেন শরিয়ত বিরোধী সেইটা কি এই কমেন্ট করার সময় ইনটেনশনালি ভুলেই থাকলেন ? যেটা দিয়ে যথেচ্ছে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা করেই যাচ্ছেন আপনারা ?
ব্লগার আফরার মন্তব্যেই জেনেছি যে, বসিংয়ের বিনিময়ে মেয়েরা সংসারে অশান্তির সৃষ্টি করে না । বলে নাকি , সংসারের যদি শান্তি চাও তাহলে আমি যা বলি তাই মানতে হবে ।
এটাই আপনাদের মেয়েদের ন্যাচার । পেতে চাইবেন সব কিছু শরিয়ত মোতাবেক , শরিয়ত বিরোধী মনুষ্য আইনও বানাবেন নিজেদের অনূকুলে, কিন্তু শরিয়ত মোতাবেক দেবার , চলার ও মানার ব্যাপারে আপনাদের চরম অনীহা ।
০ তার মানে যৌতুক নিলে এবং বউকে মারধোর করলে সে স্বামীকে আর যাই বলা হোক মিনমিনে , নিমছা বলা যায় না ।
আপনিও তাহলে যৌতুক চাওয়ার কথা পরোক্ষভাবে স্বীকার করলেন !
বর্তমানের অশান্ত সামাজিক পরিমন্ডলে যেসব বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে প্রতি নিয়ত সেটা হয়েছে মূলত সংসারের বসিংয়ে স্ত্রীদের চলে আসাতে ।
একজন স্ত্রী যখন যৌতুকবিহীনভাবে তার স্বামীর সংসারে আসে এবং সে তার স্বামীর কাছে ভরণপোষন++ পায় তখন সে আরও পেতে আগ্রাসী হয়ে ওঠে । ফলে স্বামীকে বাধ্য হয়েই বিপথে যেতে হয় ।
কিন্তু যদি সেই স্বামী মেয়ের বাবার কাছ থেকে বিশাল বিশাল যৌতুক নিতো তাহলে এইসব বিশাল সামগ্রীর জন্য হলেও সে তার স্বামীর সংসারে অশান্তির সৃষ্টি করতো না ।
আপনার চারপাশে লক্ষ্য করলেই দেখতে পাবেন যে , যে সব সংসারে স্বামীরাই বস এবং স্ত্রী তার স্বামীকে মান্য করে সে সব সংসার যে সব সংসারে স্ত্রীরা বসিং করে তার চেয়ে ফার ফার বেটার ।
বখে যাওয়া ছেলে মেয়েদের পরিবারে দেখবেন যে তাদের মা তাদের বাবার সাথে সব সময় খিটি মিটি করেই যায় এবং দাদাগিরি ফলাতে চায় ।
রত্নগর্ভা মায়েদের হিস্ট্রি ঘাটলে দেখবেন যে , উনারা উনাদের স্বামীকে মান্য করতেন , তার কথা অনুযায়ী সংসারের দেখভাল করতেন । স্বামী চাকরি/ব্যবসার কারনে বেশীর ভাগ সময়ই বাইরে থাকতেন । ফলে ছেলে মেয়েদের মায়ের সাথেই বেশী ইনটিমেসী হত । তার মানে এই নয় যে বাবাকে তারা মানতো না বা ভালবাসতো না । বরং তারা বাবাকে সভয়ে সন্মান করতো । তাদের বাবাও তাদেরকে পিতৃস্নেহ থেকে বন্চিত করতেন না , এবং তাদের চাওয়াগুলোর যথাসাধ্য পূরনেও চেষ্টা করতো।
ফলে ,এসব পরিবারের সন্তানেরাও ভালভাবে মানুষ হয়ে গড়ে উঠতো কারণ তাদের বাবা মায়ের আন্ডারস্ট্যান্ডিং ভাল ছিল এবং তারা জানতো নিজেদের লিমিট ও দায়িত্ব সম্পর্কে ।
মেয়ের বাবার উচিত এটা বোঝা যে , সে তার মেয়েকে ২৫-২৬ বছর চাকরি করে যেভাবে চালিয়েছে একজন ছেলে যার বয়স কি না এখনও ২৫/২৬ বছর হয় নি এবং চাকরিও করছে বছর খানেক ধরে - সে কিভাবে তার মেয়েকে একই স্ট্যাটাসে চালাতে পারবে ?
আরাম আয়েশে থাকা মেয়েটি বিয়ের পর যখন দেখবে যে বাবার তাকে যে স্ট্যাটাসে চালিয়েছে স্বামী সেটা পারছে না , তখনই সে সমস্যার সৃষ্টি করে । এটা তারা বুঝতে চায় না যে তার বাবার ইনকাম ও ছেলের ইনকাম আকাশ পাতাল তফাত ।
রুঢ় হলেও সত্য যে , বিয়ে হল বর্তমান বাজারে একটা ইনভেস্টমেন্ট স্বরুপ। এখানে স্বামীই শুধু ইনভেস্ট করে দেনমোহর এবং ভরণ পোষনের আকারে । ফলে যদি কোন ভাঙ্গনের আশংকা দেখা দেয় তাহলে অস্থির হয়ে যাবে স্বামী বেচারাই । কারণ ডিভোর্সের পর তাকে বউয়ের ৩ মাসের খরচ তো দিতে হবেই সাথে যদি সন্তান থাকে তারও খরচ দিতে হবে । সন্তানের খরচ দেবে সেটা বাবা হিসেবে কোন সমস্যা না , কিন্তু সমস্যা হল সন্তান যে থাকবে এক্স-ওয়াইফের কাছে !
মেয়েদের কোন সমস্যা হয় না সংসার থাকলেও বা না থাকলেও । বরং ভেঙ্গে গেলে আরও বেশী লাভ।
পরিস্থিতি এমন যে সংসার টেকানোর দায় একমাত্র স্বামীরই ।
আপনি আপনার জমিতে বাড়ি বানানোর জন্য কন্ট্রাকটর নিয়োগ করলেন এবং তাকে এডভান্স ১০ লাখ টাকা দিলেন ৩০ লাখের চুক্তিতে।
কথা হল যে ,৬ মাসের মধ্যে সে আপনার বাড়ি কমপ্লিট করে দেবে
দেখা গেল সে কাজ ফেলে রাখছে তাং ঝাং করছে , ৬ মাস তো দূরের কথা দেড় দুই বছরেও কাজ দশ ভাগের এক ভাগও এগোয় নি ।
আপনি তাকে যে এডভান্স দিয়েছেন সেটা তো সে আর আপনাকে ফেরত দেবে না । ফলে আপনি তার কাছে ঠ্যাকা পড়ে যান কারণ আপনার টাকা তার কাছে আটকা। তার কোন সমস্যা নেই কারণ আপনার কাজই কিন্তু তার একমাত্র কাজ না । আপনার বাড়ির কাজ বছরের পর বছর পড়ে থাকলেও সেটা তার ঠ্যাকা না , আপনার ঠ্যাকা।
অন্যভাবে ঠিকাদারকেও ঘোরাতে পারে কোন কোন চতুর জমির মালিক ।
উভয়ক্ষেত্রেই এমন কিছু থাকতে হবে কেউ যেন কাউকে ঠকাতে না পারে।
বিয়ের বেলাতেও একই জিনিস খাটে । যেহেতু স্বামীই ব্যয় করে , সেই ইনভেস্টর - তাই সংসার ভেঙ্গে গেলে লোকসান শুধু তারই হবে। স্ত্রীর না , কারণ তার এক পয়সাও ইনভেস্ট নেই , বরং সেই গেইনার । সংসার ভেঙ্গে গেলেও সেই গেইনার থাকবে এবং আরেক জায়গায় গেলেও সে গেইনারই রবে।
পুরুষরা আরেক সংসার গড়লে সেখানেও তাকে ইনভেস্ট করতে হবে , বিন্দুমাত্র লাভের আশা ছেড়েই যেমনটা হয় সবসময়ই।
এখন ইনভেস্ট যদি মেয়েরাও করে তাহলে সেই ইনভেস্টই মেয়েকে ''সংসার ভেঙ্গে গেলে লোকসানের মুখোমুখি হতে হবে'' এই আশংকায় সংসার ভাঙ্গা থেকে নিরুতসাহী রাখবে।
বর্তমানের অশান্ত পারিবারিক তথা সামাজিক পরিস্থিতির কারণ সংসারে নারীদের অযাচিত দাদাগিরি - যেটা তারা পেয়েছে বেশরিয়তী আইনের মাধ্যমে এবং সংসারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যে নুন্যতম পিছুটান থাকে সেটার তাদের উপর প্রয়োগের বা বাধ্য করার অনুপস্থিতির কারণে।
এসব বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি যৌতুক প্রথার প্রয়োজনীয়তার কথা মনে করিয়ে দেয় বার বার।
আমার আব্বা আম্মার মধ্যেও মাঝে মাঝে এটা সেটা নিয়ে বাধে। কিন্তু সেটা স্থায়ী হয় না। আম্মু আব্বুকে অনেক শ্রদ্ধা করে আবার কিছু কিছু ক্ষেতে ভয়ও করে।
আবার আব্বাকেও দেখি কিছু বিষয়ে মাকে সমীহ করে। মতামত ছাড়া করে না। তারপরেও দুজনের ব্যক্তিত্ব আলাদা। আলাদা হলেও মিলেমিশে চলে।
কিন্তু পুরুষ যদি মিনমিনে স্বভাবের হয় আর নারী যদি দারগা মতো হয় তার অশান্তির সীমা থাকে না।
ব্যালেন্স করেই চলতে হবে। বুঝেছেন হতভাগা?
০ সেটা কিভাবে করতে হবে ? কি কি করতে হবে ? কাকে করতে হবে ?
''কিন্তু পুরুষ যদি মিনমিনে স্বভাবের হয় আর নারী যদি দারগা মতো হয় তার অশান্তির সীমা থাকে না।''
০ মেয়ে দারোগা হোক বা হিলারী হোক - যেহেতু শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে করতে হয়েছে সেহেতু শরিয়ত মোতাবেক সে তার স্বামী সে যতই মুটে মজুর বা রিক্সাওয়ালা হোক না কেন অনুগত হতে বাধ্য শরিয়ত মোতাবেকই ।
আর মেয়েরা শরিয়তের বাইরে গিয়ে যদি বসিং করার যদি মজা চাখতে চায় তাহলে পুরুষরা কেন শুধু শরিয়তকে আঁকড়ে থাকবে ?
পবিত্র ক্বুরআনেই বলা আছে - পুরুষরা নারীদের উপর কর্তৃত্বকারী ।
আমি একজন শান্তশিষ্ট পত্নিনিষ্ঠ ভদ্রলোক!!!
তবে একটু যেীতুক খারাপ কি? নাইলে যদি মতিন চাচার মত করে!
ভালো লাগলো খুব।
বউ বা শ্বশুর আদর করে যা দেয় তাতে সমস্যা নেই।
চাপ দিয়ে কিছু আনাই ত কষ্টের, নাকি?
মন্তব্য করতে লগইন করুন