কেওয়ার লাগা তাড়াতাড়ি, চিপায় গিয়ে বাঁচি!
লিখেছেন লিখেছেন কুশপুতুল ২২ নভেম্বর, ২০১৪, ০৮:৫৭:৪৭ রাত
ঘরের ভেতর দেৌড়ে এসে চাচা
বলল, তোরা কে কৈ আছস
জলদি আমায় বাঁচা।
এই দেখ্ দে্খ্ দে্খ্
মাথার কাপড় কোমড় প্যাঁচিয়ে
আসছে তোদের চাচি
হাতের মুঠোয় পোড়া লাকড়ী
ভয়েতে না বাঁচি।
কেওয়ার লাগা তাড়াতাড়ি
চিপায় গিয়ে বাঁচি!
লাকড়ী দিয়ে গুঁতো মেরে
বলল চাচি, খোল্
খাটের তলে পলাইছে না?
টানদে তারে তাে্ল্।
ভয়ে আমার পায়ের জোড়া
কাঁপছে থর্ থ্র্
ফিসফিসিয়ে বলল চাচা
দরজা ঠেলে ধর।
আমার ঠেলায় ভর মানে না
ঢুকলো চাচি ঘরে
বলল চাচি, তার সংসার
করুম কেমন করে?
`বাজার থেইকা যেইডা আনে
হেইডাতেই বিষ
কারে ধরি কারে মারি
পাইনা আমি দিশ!!'
বিষয়: বিবিধ
১২৫১ বার পঠিত, ৩৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কবিতাটা ভাল্লাক্সে
চোরের মন পুলিশ পুলিশ!!
চাচী ভীষণ তেড়া,
চাচাও দেখি চাচীর ভয়ে,
হয়ে গেছে মেড়া৷
বঙ্গ দিদির ঠিকানাটা
দেয়না কেন চাচা?
পারলে চাচী সেথায় গিয়ে
ফাটিয়ে গলা চেঁচা৷
যত্ত রাগ চাচার লগে ঝাড়।ে।
বাজারে চাচিরে পাঠান উচিত। শিক্ষা হইয়া যাইব!!!
ধন্যবাদ সুন্দরী আপু।
মিষ্টি ছেলেমেয়ে
একটি আছে লেখাপড়ায়
আরেকটি আছে চেয়ে।
কম শোনেন নি কানে?
লাকড়ী হাতে চাচারে দৌড়ায়
দারুন কোন খানে??
চাচাকে পিঠা দিয়ে আদরকরলেই হতো
হেমন্ত আসে...
হিমহিম বাতাসে ভেসে
দূর হতে হেমন্ত আসে,
ওড়ুওড়ু মন ওড়ে যায়
অচেনা ফুলের সুভাসে।
পাখিরা গান গেয়ে যায়
হলুদিয়া ধরণী সাজে,
উৎসবে উৎরোল প্রাণ
নবান্ন- সূরবীণা বাজে।
ঘাসের ডগাতে শিশির
সকালের কিরণে নাচে,
দুপুরের ঝাপসা রোদও
সন্ধ্যায় গোধুলিমা আছে।
চারদিকে ধুম পড়ে যায়
পিঠাপুলি মনে সুখ আনে,
চাষীনীর মন নেচে ওঠে
সোনালি ধানের সু-বানে।
শরতের শুভ্রতা পেরিয়ে
বাংলাতে হেমন্ত আসে,
মন-প্রাণ নাড়া দিয়ে যায়
কার্তিক অগ্রাণ দু’মাসে।
এখনও নতুন ধানের চাল আসেনি ঘরে।
বানানের দিকে আরেকটু...
হেইডাতেই বিষ
কারে ধরি কারে মারি
পাইনা আমি দিশ!!'
মন্তব্য করতে লগইন করুন