`অশ্লীলতা'র দিকে পা বাড়াচ্ছে?
লিখেছেন লিখেছেন কুশপুতুল ০৩ নভেম্বর, ২০১৪, ১২:০৪:১৮ রাত
এক কথায় জবাব দেয়ার মতো নয়। কারো জবাব হবে `হ্যা', আবার কারো জবাব হবে `না'। জবাব `না' হলেই ভাল হতো। কিন্তু এখন ফিক করে `হা' বা`না' বলা যাবে না হয়তো। ইদানীং কিছু লেখায় কিছু শব্দ পড়ে এমনটাই মনে হচ্ছে আমার।
অশ্লীল বাক্য ও শব্দ পড়ে খুব কষ্ট পেয়েছি। একটি অশ্লীল শব্দ বা বাক্য পাঠে মনে গভীর বেদনার ছাপ পড়ে।
একটি লেখা যখন পোষ্ট করা হয় তখন বিভিন্ন বয়সের শত শত ব্লগার সেটা দেখেন। অনেকে এটা পড়েন। কেউ কেউ মন্তব্য করেন। লেখায় যেমন রুচিবোধ থাকতে হয় তেমনি পরিমিতি বোধেরও পরিচয় দিতে হয়। অনেকে সেভাবেই লিখছেন। কিন্তু কেউ কেউ সেটা মানছেন না।
লেখার মাধ্যমেই লেখক তার মনের ভাব প্রকাশ করে থাকে। আমি মনে করি লেখার মধ্যে একজন লেখকের উন্মুক্ত মনের পরিচয় পাওয়া যায়। এতে লেখকের মানসিক অবস্থাটা তাঁর অজান্তে অবলীলায় ফুটে ওঠে পাঠকের সামনে।
একটি ব্লগ কি শুধু লেখালেখি আর পড়ার জায়গা মাত্র? এ ছাড়া কি এর থেকে আমরা আর কোনো কিছু প্রত্যাশা করি না? অবশ্যই করি। কারণ লেখা আর পড়ার জায়গা সীমিত হতে পারে কিন্তু এর আওতা অনেক বড়, ব্যাপক এবং অনেক গভীর।
আমি মনে করি ব্লগ, ফেসবুক ইত্যাদি লেখালেখি বা পড়ার পাশাপাশি দেশ-বিদেশের নানা বৈচিত্র্যময় তাজা খবর জানা ও জ্ঞান আহরণের একটি অত্যাধুনিক জায়গা। এসব থেকে অনেক তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায়। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি ব্লগ, ফেসবুক অনেক সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
আমি স্কুল ও কলেজে বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তথ্য-উপাত্ত ও সবর্শেষ নানা খবর জানার জন্য প্রথমে ব্লগ ও ফেসবুকের আশ্রয় নিয়েছিলাম। তারপর থেকেই এগুলোর সাথে আমার পরিচয়। এগুলো বর্তমান সময়ের সবচেয়ে উত্তম ও চলমান জ্ঞানভাণ্ডার। ব্লগ বা ফেসবুক খুললেই মনে হয় আমার সামনে দুনিয়ার দ্বার খুলে গেল। তখন আমি প্রবেশ করি পৃথিবীর জ্ঞানভাণ্ডারে। বিচরণ করি। মনের আনন্দে আমার যা প্রয়োজন তা গ্রহণ করি। এক আনন্দময় জ্ঞানের দুনিয়া আমাকে নিয়ে যায় স্বপ্নের জগতে। ঠিক এমনই সময় যখন কোনো অশ্লীল বিষয় বা অশ্লীল শব্দ চোখে পড়ে তখন আমি আহত বোধ করি। আমার স্বাচ্ছ্যন্দ্যে চলার পথটাকে বাধাগ্রস্থ করে তোলে। মুহূর্তের মধ্যে আমার সমস্ত আনন্দ আয়োজন কেমন জানি বিবর্ণ হয়ে যায়। এক গামলা দুধের মধ্যে এক ফোঁটা চনার মতো সব অর্জনকে এক নিমেশে ধুলায় মিশিয়ে দেয়।
ব্লগে ও ফেসবুকে বিভিন্ন বয়সের অল্পশিক্ষিত লোক থেকে শুরু করে অনেক বড় জ্ঞানীগুণী ও লোকেরা বিচরণ করেন। একটি লেখা পোষ্ট করার আগে ভেবে নেয়া উচিৎ লেখাটি এই সমাজে লেখকের প্রতিনিধিত্ব করার ঠিক উপযোগী কী না।
আমি লেখক নই। মনের খেয়ালে মাঝে মধ্যে ছড়া-টড়া লিখি। আমার এইসব হেয়ালী লেখায় আনন্দ দেবার চেষ্টাটাই করি বেশি। সুখ-দুখ, আনন্দ-বেদনা এ সবই জীবনের অংশ। তবে মানুষ সব থেকে আনন্দটাই গ্রহণ করে বেশি। আমি চেষ্টা করি আনন্দের সাথে জীবনের এই অংশগুলোকে উপভোগ করার। চেষ্টা করি সকল প্রকার অশ্লীলতাকে পরিহার করে নির্মল আনন্দদায়ক কিছু লিখে পাঠকের সামনে তুলে ধরার।
ব্লগ অনেক আছে। সব ব্লগ সমান নয়। একেকটা ব্লগ একেক ধরনের বৈশিষ্ট্য ধারণ করে চলে।
অশ্লীলতা কোনো ব্লগ ধারণ করতে পারে না।
বিষয়: বিবিধ
১৩৬৬ বার পঠিত, ৩৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আসলে আমাদের মানসিকতাতে এখন অশ্লিলতা অনেক গভিরে ঢুকে গিয়েছে। আমরাও ব্লগকে অশ্লিলতা মুক্ত দেখতে চাই।
আসলে অশ্লীলতা তো কোন অবস্থাতেই কাম্য নয়। আর যদি সেটা ঘটে তাদের পক্ষ থেকে যাদের কাছ থেকে আমরা এমনটা আশা করিনা তখন সেটা হয় আরো বেশি হৃদয়বিদারক। আল্লাহ বলেছেনঃ
‘পবিত্র বাক্য হলো পবিত্র বৃক্ষের মত। তার শিকড় মজবুত এবং শাখাপ্রশাখা আকাশে উত্থিত। সে পালনকর্তার নির্দেশে অহরহ ফল দান করে। আল্লাহ মানুষের জন্যে দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেন-যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে। এবং নোংরা বাক্যের উদাহরণ হলো নোংরা বৃক্ষ। একে মাটির উপর থেকে উপড়ে ফেলা হয়েছে। এর কোন স্থিতি নেই’ (সূরা ইবরাহীমঃ আয়াত ২৪-২৬)।
আল্লাহ আমাদের এই কথাগুলো মাথায় রেখে পথ চলার তাওফিক দিন।
এটি আমার মন্তব্য করার তৃতীয় প্রচেষ্টা। এবার না হলে আমি কি করব আমি জানিনা।
তবে কথা দিচ্ছি, অশ্লীলতার আশ্রয় নেবনা ইনশা আল্লাহ
সুন্দর পোস্টের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ
http://www.bdmonitor.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/56083#.VFavVPnF9XA
আপু আপনাকে ধন্যবাদ আপনি বলেই ফেলেছেন `অশ্লীলতার আশ্রয় নেবনা ইনশা আল্লাহ'।
প্রতিক্রিয়া জানাতে পারব না?
ধন্যবাদ।
সহমত।
ধন্যবাদ!!!
তবে দেশের অন্য ব্লগ গুলোর চেয়ে টুডে ব্লগই সব চেয়ে পরিচ্ছন্ন
কথাগুলো নিরেট সত্য। বলতে চাইলেও বলিনা। একজন মানুষের লিখা তাকে প্রতিিনিধিত্ব করে। কিন্তু লিখার মানগুলো..। যাক। ধন্যবাদ খুব সুন্দর পোষ্ট দেয়ার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার চমৎকার সুন্দর আহবান সম্বলিত অসাধারণ লেখনীর সাথে একমত পোষণ করছি আমিও। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে....।
ওহ আচ্ছা, আপনার দেয়া লিঙ্কটা পড়বনা। তখন মন খারাপ হয়ে যাবে, আসতে ইচ্ছে হবেনা, লোকজন বলবে 'অহংকারী, তাই আসেনা', কিন্তু যারা অন্যায় করে তাদের কেউ কিছু বলবেনা। এটা তাকওয়ার পরিপন্থী কাজ, কারণ আল্লাহ বলেছেন শুধু দুর্বলকে ধৈর্য্যধারণ করার উপদেশ না দিয়ে অন্যায়েরও প্রতিবাদ করতে, কিন্তু আমরা এখন প্রতিবাদ করাকেই খারাপ চোখে দেখি, অন্যায় করাকে নয়।
ধন্যবাদ।
অন্যায়ের প্রতিবাদ করা একজন মুসলমান হিসেবে আমার দায়িত্ব আমি মনে করি। ব্লগার কুশপুতুল সেই কাজটা সাহসের সাথে করেছে বলে তাকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
যাজাকিল্লাহু খাইর শ্রদ্ধেয়া আপু।
যাজাকিল্লাহু খাইর শ্রদ্ধেয়া আপু।
=================
আমারো একই কথা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন